অনলাইন ডেস্ক :
নতুন প্রজন্মকে ধর্মকে ধর্মের জায়গায়, রাষ্ট্রকে রাষ্ট্রের জায়গায় রাখার অনুরোধ জানিয়ে বিএনপির আন্তর্জাতিক বিষয়ক সহ-সম্পাদক রুমিন ফারহানা বলেন, ‘রাষ্ট্রের সঙ্গে ধর্ম, ধর্মের সঙ্গে রাষ্ট্র একাকার হতে পারে না। তাহলে ধর্মও রক্ষা হয় না, রাষ্ট্রও চলে না। রাষ্ট্র ধর্মকে তার নিজের প্রয়োজনে তার সব অপকর্মের সাফাই হিসেবে ব্যবহার করে। বর্তমান সংবিধান বৈপরীত্যে ভরা।
আজ ৮ অক্টোবর মঙ্গলবার বিকেলে জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ে ‘সংবিধান : ক্ষমতার না জনতার’ শীর্ষক এক সেমিনারে এসব কথা বলেন তিনি।
তিনি আরো বলেন, ‘যখন যে সরকার ছিল সে তার দলের স্বার্থে, দলকে ক্ষমতার রাখার স্বার্থে, ক্ষমতাকে দীর্ঘায়ু করতে সংবিধান সংশোধন করেছে। চতুর্থ সংশোধনী রাষ্ট্রের পুরো কাঠামো ভেঙে দিয়েছে। এই সংশোধনীর মাধ্যমে রাষ্ট্রপতি শাসিত সরকার এসেছে। বিচার বিভাগীয় স্বাধীনতা পুরাপুরি নির্বাহী বিভাগের হাতে দিয়ে সেপারেশন অব পাওয়ারকে মুছে ফেলা হয়েছে।
বিচার বিভাগ যদি স্বাধীন না হয় তখন সেই রাষ্ট্রটা আর রাষ্ট্র থাকে না।
রুমিন ফারহানা বলেন, ২২ অনুচ্ছেদে বিচার বিভাগের স্বাধীনতার কথা বলছি আবার একি সঙ্গে ১১৬ অনুচ্ছেদ রাখছি যেটা দিয়ে নিম্ন আদালতের নিয়ন্ত্রণ চলে যায় রাষ্ট্রপতির কাছে। এখন প্রশ্ন, বাংলাদেশের রাষ্ট্রপতির ক্ষমতা কতটুকু। ৪৮-এর (৩) অনুচ্ছেদ অনুযায়ী রাষ্ট্রপতিকে সবকিছু করতে হবে প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে পরামর্শক্রমে।
বাংলাদেশে কারা রাষ্ট্রপতি হন? তাদের কি এতটুকু ক্ষমতা আছে প্রধানমন্ত্রীর বাহিরে গিয়ে একটা হাঁচি দেওয়ার। এ জন্য আগে আওয়াজ তুলেন বাংলাদেশে আর কোনো দলীয় রাষ্ট্রপতি চান কিনা।’
তিনি বলেন, ‘সংবিধানের ৮(ক)-তে বলা হচ্ছে সমাজতন্ত্রের কথা। সমাজতন্ত্র তো দূরে থাক আমরা কি ন্যূনতম একটা কল্যাণরাষ্ট্র তৈরি করতে পেরেছি। যদি আমাদের রাষ্ট্র কল্যাণরাষ্ট্র হতো তাহলে তো স্বাস্থ্য, শিক্ষা, সামাজিক সুরক্ষা এসব খাতে আমরা জিডিপির ২০ শতাংশ বরাদ্দ দিতাম, কিন্তু না আমরা দিচ্ছি কত? প্রতি বছর বাজেট আলোচনায় আমরা দেখি জিডিপির মাত্র এক বা দুই শতাংশ বরাদ্দ দেওয়া হচ্ছে।
যেখানে আমরা একটা কল্যাণরাষ্ট্র তৈরি করতে পারিনি সেখানে কি করে আমরা সমাজতন্ত্রের কথা বলি। সুতরাং এই গঠনতন্ত্র আপনারা রাখবেন কি না, তা নিয়ে আলোচনা হতে পারে। সংবিধানের ষষ্ঠ অনুচ্ছেদে বলা হচ্ছে আমরা জাতি হিসেবে বাঙালি, বাংলাদেশে কি চাকমা, মারমাসহ নানা জাতি নেই, তাদের আলাদা ভাষা, সংস্কৃতি নেই? আছে কিন্তু আমাদের এই সংবিধানটি সেটাকে ধারণ করতে ব্যর্থ হয়েছে।’
তিনি আরো বলেন, ‘আমরা ১৯৭১ সালে যে সুযোগটা তৈরি করেছিলাম তা ১৯৭৩ সালে এসেই শেষ করে ফেলেছি। জাতীয় নির্বাচনে কারচুপি করে। আমরা ১৯৯০ সালেও একটা সুযোগ তৈরি করেছিলাম তাও ধরে রাখতে পারিনি, আমরা ২০২৪ সালে এসে আরেকটা সুযোগ পেয়েছি, এই সুযোগটা আমরা কাজে লাগাব না বেহাত করব তা নির্ভর করছে এই প্রজন্মের ওপর।’
বিশ্ববিদ্যালয়ের নৃবিজ্ঞান বিভাগের শিক্ষার্থী ফাইজার মুহাম্মদ শাওলীনের সঞ্চালনায় আরো আলোচনা করেন বিশ্ববিদ্যালয়ের অর্থনীতি বিভাগের অধ্যাপক শরমীন্দ নিলোর্মী এবং রাষ্ট্র সংস্কার আন্দোলনের প্রধান সমন্বয়কারী হাসনাত কাইয়ুম।
চলারপথে ডেস্ক :
দেশের শিক্ষাবোর্ডগুলোর পরিকল্পনা ছিল আগামী জুলাই মাসের শেষ সপ্তাহে ২০২৩ সালের এইচএসসি ও সমমান পরীক্ষা শুরু করার। তবে বেশিরভাগ কলেজ ও মাদ্রাসায় সিলেবাস শেষ না হওয়ায় এ পরীক্ষা এক মাস পিছিয়ে যাচ্ছে। এইচএসসি ও সমমান পরীক্ষা আগামী আগস্টে নেওয়ার জন্য সরকারের কাছে প্রস্তাব দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে আন্তঃশিক্ষা বোর্ড সমন্বয় সাব কমিটি। শীগ্রই শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি এ বিষয়ে প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে কথা বলবেন বলে জানা গেছে।
আন্তঃশিক্ষা বোর্ড সমন্বয় সাব কমিটি সূত্রে জানা গেছে, করোনা সংক্রমণের কারণে ২০২০ সালের মার্চ থেকে টানা প্রায় দেড় বছর দেশের শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলোয় সশরীরে শিক্ষার্থীদের ক্লাস নেওয়া বন্ধ ছিল। সে কারণে এলোমেলো হয়ে যায় শিক্ষাপঞ্জি, যা এখনো স্বাভাবিক হয়নি। স্বাভাবিক সময়ে এসএসসি পরীক্ষা শুরু হতো ফেব্রুয়ারিতে। আর এইচএসসি পরীক্ষা শুরু হতো এপ্রিলে। গত বছর ভর্তি হওয়া শিক্ষার্থীদের একাদশ শ্রেণিতে ক্লাস শুরু হয় গত বছরের মার্চ থেকে। তারাই এ বছর এইচএসসি পরীক্ষায় বসবেন।
এবার পুনর্বিন্যাস করা পাঠ্যসূচিতে পরীক্ষা হলেও প্রশ্নপত্রের ধরন হবে আগের মতোই। করোনার সময় যেমন বেশি প্রশ্নপত্র থেকে কম প্রশ্নের উত্তর দেওয়ার সুযোগ রাখা হয়েছিল, এবার সেই সুবিধা নেই। মূলত এসব কারণেই জুলাইয়ে এ বছরের এইচএসসি ও সমমান পরীক্ষা নেওয়ার পরিকল্পনা থেকে সরে এল শিক্ষা বোর্ডগুলো।
চলারপথে রিপোর্ট :
নারায়ণগঞ্জের ফতুল্লার ভুইগড় থেকে স্বামী-স্ত্রীসহ প্রতারক চক্রের চারজনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। চক্রটি মোবাইল ফোনের পরিচয়ের সূত্র ধরে নানা শ্রেণির লোকজনকে প্রেমের ফাঁদে ফেলে ব্লাকমেইল করে মুক্তিপণ আদায় করত। এ অভিযোগে চক্রটির বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করা হয়েছে।
গতকাল রবিবার রাতে ফতুল্লা মডেল থানা এলাকা থেকে তাদেরকে গ্রেফতার করা হয়। এ সময় গ্রেপ্তারকৃতদের কবল থেকে উদ্ধার করা হয় মুক্তিপনের জন্য আটকে রাখা হৃদয় হোসেন (৩২) নামে এক যুবককে। গ্রেফতারকৃতরা হলেন- ফতুল্লা মডেল থানার উত্তর ভুইগড়ের নজরুল ইসলামের ভাড়াটিয়া আঃ হাইয়ের পুত্র মোঃ মোরশেদ আলম (৩৫), তার স্ত্রী পাপিয়া খাতুন (৩৩), কোরবান আলীর ছেলে মো. নয়ন আলী (২৯) ও ফতুল্লা মডেল থানার উত্তর ভুইগড়ের নজরুল ইসলামের ভাড়াটিয়া শাহিন আলমের স্ত্রী কান্তা মনি (২২)।
পুলিশ জানায়, গ্রেফতারকৃতরা দীর্ঘদিন ধরে প্রেমের ফাঁদে ফেলে মোবাইল ফোনে বাসায় ডেকে এনে নগ্ন করে তরুণী দিয়ে আপত্তিকর ছবি তোলে ও ভিডিও ধারণ করে ভয় দেখিয়ে অর্থ আদায়ের মত অপরাধ করে আসছিল। রবিবার এই প্রতারক চক্রটি মোবাইল ফোনে কান্তাকে দিয়ে ফোন করে মানিকগঞ্জ থেকে হৃদয়কে ভুইগড়ের বাসায় ডেকে এনে চার লাখ টাকা মুক্তিপন দাবী করে। সংবাদ পেয়ে রাত ১১ টার দিকে ফতুল্লা মডেল থানা পুলিশ ঘটনাস্থলে অভিযান স্বামী-স্ত্রী সহ প্রতারক চক্রের চার সদস্যকে গ্রেফতার করে। এ সময় উদ্ধার করা হয় আটকে রাখা যুবক হৃদয়কে।
বিষয়টি নিশ্চিত করে ফতুল্লা মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) নূরে আজম মিয়া জানান, চক্রটিকে গ্রেফতার করা হয়েছে। তাদের বিরুদ্ধে ফতুল্লা মডেল থানায় মামলা দায়ের হয়েছে। তিনি আরো জানান, চক্রটির হাত থেকে উদ্ধার হওয়া যুবক হ্নদয় হোসেন আটককৃতদের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করেছেন। হ্নদয় মানিকগঞ্জ জেলার সদর থানার আব্দুল মান্নান প্রধানিয়ার ছেলে।
চলারপথে রিপোর্ট :
কক্সবাজারের পেকুয়ায় নিখোঁজের এক দিন পর মাছের ঘেরের পানি থেকে তিন শিশুর লাশ উদ্ধার করেছেন স্থানীয় ব্যক্তিরা। আজ ১০ আগস্ট বৃহস্পতিবার সকাল ছয়টার দিকে উপজেলার উজানটিয়া ইউনিয়নের ফেরাসিঙ্গাপাড়া এলাকায় লাশগুলো পাওয়া যায়। এ সময় তারা একে অপরের হাত ধরে ছিল।
মারা যাওয়া তিন শিশু হলো উজানটিয়া ইউনিয়নের ফেরাসিঙ্গাপাড়া এলাকার নুরুল আলমের মেয়ে তৌহিদা বেগম (১০) ও ছেলে আমির হোসেন (৫) এবং ছাবের আহমদের মেয়ে হুমায়রা বেগম (৮)। হুমায়রা সম্পর্কে তৌহিদা ও আমিরের ফুফাতো বোন। তারা গতকাল সন্ধ্যা ছয়টা থেকে নিখোঁজ ছিল।
স্থানীয় লোকজন বলেন, গতকাল বিকেলে তৌহিদা, আমির হোসেন ও হুমায়রা টানা বৃষ্টিতে সৃষ্ট বন্যার পানিতে মাছ ধরতে যায়। সন্ধ্যা ছয়টায় তারা হুমায়রার বাড়ি আসে। এরপর আবারও তারা একসঙ্গে ঘর থেকে বের হয়ে তৌহিদাদের বাড়িতে যাচ্ছিল। সন্ধ্যা সাতটা বাজলেও তারা বাড়ি না পৌঁছানোয় খোঁজাখুঁজি শুরু হয়। পরে আজ বৃহস্পতিবার সকাল সাড়ে ছয়টায় একটি মাছের ঘেরের পানিতে তাদের মরদেহ দেখতে পান স্থানীয় লোকজন। পরে বিলের পানি থেকে তাদের মরদেহ উদ্ধার করা হয়।
পেকুয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ ওমর হায়দার বলেন, নিখোঁজ তিন শিশুর লাশ বিলের পানি থেকে উদ্ধার করা হয়েছে। কোনো অভিযোগ না থাকায় ময়নাতদন্ত ছাড়া লাশ দাফনের জন্য তাদের পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে।
অনলাইন ডেস্ক :
শরীয়তপুরের ভেদরগঞ্জ উপজেলায় হালিমা বেগম (৮১) নামে এক জীবিত বৃদ্ধাকে মৃত দেখিয়ে তার বয়স্ক ভাতা হস্তান্তরের অভিযোগ উঠেছে স্থানীয় এক ইউপি সদস্যের বিরুদ্ধে। শরীয়তপুর ভেদরগঞ্জ উপজেলার রামভদ্রপুর ইউনিয়নের কোড়ালতলী গ্রাম এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।
ভুক্তভোগীর অভিযোগ, পারুল বেগম (৫৫) নামে এক মহিলার থেকে টাকা খেয়ে স্থানীয় ইউপি সদস্য জাহাঙ্গীর দালাল এ কাজ করেছেন। ফলে বিগত ৫ মাস যাবত তিনি ভাতা বঞ্চিত রয়েছেন। এ বিষয়ে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা বরাবর একটি লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন ভুক্তভোগী হালিমা বেগম।
সংশ্লিষ্ট সূত্র জানায়, হালিমা বেগম রামভদ্রপুর ইউনিয়নের ৮নং ওয়ার্ড কোরালতলী গ্রাম এলাকার মৃত আব্দুল শুকুর বেপারির স্ত্রী। তিনি অত্যন্ত গরিব হওয়ায় সাবেক চেয়ারম্যান শাজাহান ঢালী ওই বৃদ্ধার নামে বয়স্ক ভাতার কার্ড করে দেন।
ভুক্তভোগী হালিমা বেগম বলেন, আমি ভাতার কার্ড পাওয়ার পর থেকে তিন মাস পরপর ১ হাজার ৫শ টাকা করে পেয়েছিলাম। কিন্তু এখন আমার টাকার কোনো মেসেজ না আসায় আমি উপজেলা সমাজসেবা অফিসে গিয়ে জানতে পারি আমাকে মৃত দেখিয়ে পারুল বেগমের নামে ভাতার কার্ড করে দিয়েছেন মেম্বার জাহাঙ্গীর দালাল। সে টাকা খেয়ে এ কাজ করেছে। আমি গরিব মানুষ এক ছেলে প্রতিবন্ধী কোনোরকম খেয়ে না খেয়ে দিন কাটে, এই টাকা দিয়ে ওষুধ খেয়ে বেঁচে আছি। আমি মানবতার মা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার কাছে এর বিচার চাই।
তবে বিষয়ে মেম্বার জাহাঙ্গীর দালাল বলেন, ভুলবশত এটা হয়েছে, আমি নতুন করে হালিমার নামে বিধবা ভাতার ব্যবস্থা করে দিব।
রামভদ্রপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান বিপ্লব সিকদার বলেন, জীবিত মানুষ মৃত দেখিয়ে ভাতার কার্ড পরিবর্তনের বিষয়ে আমি কিছুই জানি না। আমি সাংবাদিকদের মাধ্যমে জানতে পারি। তবে মেম্বার যদি করে থাকেন তাহলে খুবই খারাপ করেছে।
এ বিষয়ে উপজেলা সমাজসেবা কর্মকর্তা মো. মিজান বলেন, কেউ যদি নাম পরিবর্তন করে তাহলে চেয়ারম্যানের রেজুলেশন লাগে। তবে আমি বিষয়টা সম্পর্কে অবগত নই।
এ বিষয়ে ভেদরগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা আব্দুল্লাহ আল মামুন বলেন, বিষয়টি তদন্ত করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
চলারপথে রিপোর্ট :
ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার বিজয়নগরে উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে ভাইস চেয়ারম্যান প্রার্থী প্রীতি খন্দকার হালিমার অবশেষে খোঁজ মিলেছে।
আজ ৩০ মে বৃহস্পতিবার সকাল ১১টার দিকে রাজধানী ঢাকার নারাগঞ্জের কাঁচপুর এলাকা থেকে পুলিশ তাকে উদ্ধার করে। খবর দেয়া হয় বিজয়নগর থানা পুলিশকে।
বিজয়নগর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. আসাদুল ইসলাম জানান, পুলিশ নারাগঞ্জের কাঁচপুর এলাকায় থেকে উদ্ধার করেছে। বিজয়নগর থানা পুলিশের একটি দল তাকে আনতে নারাগঞ্জের কাঁচপুরে গিয়েছে। সন্ধ্যার মধ্যে তাকে ফিরিয়ে আনা হবে।
ওসি আরো বলেন, প্রীতি খন্দকারকে দুইজন নারী তাকে পান খাইয়েছিল এরপর তার কিছু মনে নেই বলে জানায়। তবে সে নিজেই আত্মগোপনে গিয়ে নিখোঁজের নাটক সাজিয়েছেন। এ বিষয়ে তাকে জিজ্ঞাসাবাদের পর বিস্তারিত বলা যাবে।
প্রীতি খন্দকারের স্বামী মাসুদ খন্দকার বলে আসছিলেন, ৫ জুন বিজয়নগর উপজেলা নির্বাচনে ভোট গ্রহণ অনুষ্ঠিত হবে। এই নির্বাচনে তার স্ত্রী মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান পদে পদ্মফুল প্রতিক নিয়ে নির্বাচন করছে। সার্ভার ক্রুটির কারণে প্রীতির মনোনয়ন জমা দিতে সমস্যা হওয়ার ফলে হাইকোর্ট থেকে প্রার্থিতা ফিরে পান। মঙ্গলবার দুপুরে হরষপুর ইউনিয়নে দুইজন সহযোগীয় নিয়ে নির্বাচনী প্রচারনায় যায় প্রীতি। হরষপুরের ঋষি পাড়ায় ঢুকে প্রচারণা চালানোর পর থেকে প্রীতির কোনো সন্ধান পাওয়া যাচ্ছিল না। এ সময় তিনি দাবী করেন প্রীতি খন্দকারের জনপ্রিয়তায় ঈর্ষান্বিত হয়ে প্রতিপক্ষের লোকজন তার স্ত্রীকে গুম করেছে। এ বিষয়ে তিনি সহকারি রিটার্নিং কর্মকর্তা ও উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তাকে অবগত করার পাশাপাশি থানায় একটি জিডি করেন।