চলারপথে রিপোর্ট :
ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা গোয়েন্দা শাখা কসবা উপজেলা থেকে ১৪ কেজি গাঁজাসহ ১ জন আসামিকে গ্রেফতার করেছে।
আজ ৮ অক্টোবর মঙ্গলবার দুপুর ২টা ৩৫ মিনিটে ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার কসবা উপজেলার বায়েক ইউপি কৈখলা থেকে জেলা গোয়েন্দা শাখার এসআই (নি:) সাইফুল ইসলাম সঙ্গীয় অফিসার ও ফোর্সসহ মাদক উদ্ধার অভিযান পরিচালনা করা কালে তাহের ফকিরের বাড়ির পশ্চিম পাশে নতুন ব্রিজগামী ব্রিক সলিং রাস্তার উপর থেকে ১৪ কেজি গাঁজাসহ একজনকে গ্রেফতার করেন।
গ্রেফতারকৃত আসামি চট্টগ্রামের মধ্যম সোনাপাহাড় ৮ নং ওয়ার্ড জোরারগঞ্জের শেখ ফরিদের ছেলে মো. মামুন (৩০)।
পরবর্তী আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ লক্ষ্যে জব্দকৃত আলামতসহ গ্রেফতারকৃতের বিরুদ্ধে কসবা থানায় উল্লেখিত বিষয়ে মামলা রুজু প্রক্রিয়াধীন।
চলারপথে রিপোর্ট :
কসবা সীমান্ত দিয়ে ভারতে পাচারকালে অভিযান চালিয়ে এক হাজার ৫০ কেজি ইলিশ জব্দ করেছে সেনাবাহিনী।
আজ ২৩ সেপ্টেম্বর সোমবার বিকেলে ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার কসবা উপজেলার বিনাউটি ইউনিয়নের আদ্রা এলাকা থেকে একটি পিকআপভ্যানসহ এই মাছ জব্দ করা হয়।
এ সময় পাচারে অভিযুক্ত সারোয়ার আলম (২৭) নামে একজনকে আটক করে সেনাবাহিনী।
আটককৃত সারোয়ার আলম উপজেলার আদ্রা গ্রামের শহিদ ভূঁইয়ার ছেলে।
জানা যায়, সোমবার বিকেলে উপজেলার বিনাউটি ইউনিয়নের আদ্রা নামক গ্রামের ভেতর দিয়ে একটি পিকআপভ্যানে করে ইলিশ ভারতে পাচারের উদ্দেশ্যে নিয়ে যাওয়া হচ্ছিল। এ সময় গোপন সংবাদের ভিত্তিতে সেখানে অভিযান চালায় সেনাবাহিনীর একটি টহল দল। অভিযানে নেতৃত্ব দেন বাংলাদেশ সেনাবাহিনী ১২ বীর’র ক্যাপ্টেন সানিউল আলম। এ ব্যাপারে ক্যাপ্টেন সানিউল আলম সাংবাদিকদের জানান, পাচারের উদ্দেশ্যে পিকআপে করে ইলিশ নিয়ে যাচ্ছে একটি চোরাই চক্র।এমন সংবাদ পেয়ে তাৎক্ষণিক অভিযান চালিয়ে পিকআপ ভর্তি ইলিশ জব্দ করা হয়। পরে পাচারকারীকে খুঁজে বের করে আটক করা হয়।
অভিযানের সত্যতা নিশ্চিত করে কসবার ইউএনও মুহাম্মদ শাহরিয়ার মুক্তার জানান, সেনাবাহিনী অভিযান পরিচালনা করে এক হাজার ৫০ কেজি ইলিশ, একটি পিকআপভ্যান জব্দ ও একজনকে আটক করেছে। এ বিষয়ে কসবা থানায় মামলা দায়েরের প্রস্তুতি চলছে।
কসবা প্রতিনিধি :
কসবায় ৪ হাজার ২শত পিস ইয়াবা ট্যাবলেটসহ দুই মাদক ব্যবসায়ীকে গ্রেফতার করেছে টাস্কফোর্স। এ সময় ৪টি মোবাইল ফোন ও নগদ ১৬ হাজার টাকা উদ্ধার করা হয়।
৫ ফেব্রুয়ারি রবিবার রাতে কসবা উপজেলা সহকারি কমিশনার (ভূমি) ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট সঞ্জীব সরকার ও মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তর ব্রাহ্মণবাড়িয়ার সহকারী পরিচালক মিজানুর রহমানের নেতৃত্বে কসবা উপজেলার মিজানুর রহমানের বাড়িতে অভিযান চালিয়ে তাদেরকে গ্রেফতার করা হয়।
গ্রেফতারকৃতরা হলেন, কাঞ্চনমুড়ি গ্রামের মিজানুর রহমান ও একই এলাকার আমির মিয়া (৩৮)।
এ ঘটনায় কসবা থানায় একটি মামলা দায়ের করা হয়েছে।
চলারপথে রিপোর্ট :
সরকারের উন্নয়ন কর্মকাণ্ড সম্পর্কে মহিলাদের অবহিতকরণ ও উন্নয়ন কর্মকাণ্ডে তাদের সম্পৃক্তকরণ আত্মকর্মসংস্থান সৃষ্টি, গুজব, মাদক, মানব পাচার, অপপ্রচার, ডেঙ্গু প্রতিরোধ, জন্ম ও মৃত্যু নিবন্ধন ও সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি বজায় রাখার লক্ষ্যে ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা তথ্য অফিসের আয়োজনে আজ ৪ সেপ্টেম্বর বুধবার কসবা উপজেলা বিআরডিবি সম্মেলন কক্ষে নারী সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়।
ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা তথ্য অফিস জনসচেতনতামূলক কাজটি করে যাচ্ছে।
জেলা তথ্য অফিসার মো: ফখরুল ইসলাম এর সভাপতিত্বে উক্ত সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্য রাখেন ব্রাহ্মণবাড়িয়া বিআরডিবির উপপরিচালক মুহম্মদ সাইফুল ইসলাম।
বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন উপজেলা পল্লী উন্নয়ন কর্মকর্তা মো: শরীফুর রহমান ও কসবা উপজেলার সহকারী পল্লী উন্নয়ন কর্মকর্তা মো: রাসেল। নৈতিকতার উপর জোর দিয়ে বক্তরা বলেন, সুশিক্ষার মাধ্যমে দেশকে এগিয়ে নিয়ে যেতে হবে। নারীর ক্ষমতায়ন বৃদ্ধি করতে হবে। দেশ গঠনে ছাত্র ও যুব সমাজের অংশগ্রহণ করতে হবে। সমাজ থেকে অন্যায় অবিচার নির্মূল করে একটি স্বচ্ছ সমাজ গড়তে হবে। মাদকের বিরুদ্ধে সমাজে ব্যাপক সচেতনতা বৃদ্ধি করতে হবে তাহলেই সমাজ থেকে মাদক নির্মূল সম্ভব হবে। বক্তারা বলেন, নারীর ক্ষমতায়ন ব্যতিত এদেশে উন্নয়ন সম্ভব নয়। দেশের উন্নয়নে নারী পুরুষকে সমান অবদান রাখতে হবে।
চলারপথে রিপোর্ট :
ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার কসবায় প্রতারণা করে আত্মসাৎকৃত ১৫৮ বস্তা ভুট্টাসহ মো. আব্দুর রহমান নামে এক প্রতারককে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। ২৩ মার্চ শনিবার রাতে ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার পৌর শহরের উত্তর পৈরতলা এলাকা থেকে তাকে গ্রেফতার করা হয়। গ্রেফতার মো. আব্দুর রহমান (৩৭) পৌর শহরের উত্তর পৈরতলা (ছয়গড়িয়া পাড়া) এলাকার কাঞ্চন মিয়ার ছেলে। পরে তার দেয়া তথ্য মতে, জেলার আশুগঞ্জ উপজেলা শরিফপুর ইউনিয়নের লালপুর খোলাবাজার মোহাম্মদ আলী মিয়ার রাইস মিলের গোডাউন থেকে ১৫৮ বস্তা ভুট্টা উদ্ধার করা হয়।
জানা যায়, কিশোরগঞ্জ জেলার জয়নাল আবেদীন একজন সিজনাল পণ্যের ব্যবসায়ী। জয়নাল আবেদীনের ব্যবসায়িক পার্টনার আল-আমিন মিয়ার সাথে আব্দুর রহমানের মোবাইলে পরিচয় ছিল। আব্দুর রহমান জয়নাল আবেদীনকে জানান ব্রাহ্মণবাড়িয়ার কসবা উপজেলার কুটি বাজারের মায়ের দোয়া এন্টারপ্রাইজ তাদের নিকট থেকে ভুট্টা ক্রয় করতে ইচ্ছুক। পরে জয়নাল আবেদীন আব্দুর রহমানের সাথে মোবাইল ফোনে কথা বলে ১৬৪ বস্তা ভুট্টা একটি পিকআপভ্যানে করে ২০ মার্চ (বুধবার) রাত ৯টার দিকে কিশোরগঞ্জ হতে রওনা দিয়ে পরের দিন ভোরে কসবা তিনলাখপীর বাসষ্ট্যান্ডে এসে পৌঁছে। ২১ মার্চ সকালে আব্দুর রহমান লেবার দিয়ে তার আনা দুটি পিকাপে ভুট্টা বোঝাই করে করে কুটি এলাকায় তার গদির উদ্দেশ্য পাঠান। পরে ভুট্টার মূল্য বাবদ ৩ লাখ ৫৫ হাজার ৮৮০ টাকা দিবে বলে মো. নুরুল আলমকে আব্দুর রহমান মোটরসাইকেলে যোগে তার গদির উদ্দেশ্য রওনা দেন। পরে আব্দুর রহমান তার গদিতে না নিয়ে জেলার আখাউড়া খরমপুরের কেল্লাশাহর মাজারে নিয়ে যায়। পরে আব্দুর রহমান তার শশুরবাড়ি থেকে টাকা আনতে যাচ্ছে বলে নুরুল আলমকে তার মোটরসাইকেলটি পাহারা দিতে বলে। কিন্তু আব্দুর রহমান আর ফিরে আসেনি। তার ব্যবহৃত মোবাইল নম্বরটিও বন্ধ করে ফেলে। পরে ২৩ মার্চ সকালে জয়নাল আবেদীন বাদী হয়ে কসবা থানায় একটি প্রতারণা মামলা করেন।
কসবা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা রাজু আহমেদ জানান, শনিবার রাতেই গোপন সংবাদ ও তথ্য প্রযুক্তি ব্যবহার করে জেলার পৌর শহরের উত্তর পৈরতলা এলাকা থেকে আব্দুর রহমানকে গ্রেফতার করা হয়। পরে তার দেয়া তথ্য মতে রাতেই জেলার আশুগঞ্জ উপজেলা শরিফপুর ইউনিয়নের লালপুর খোলাবাজার মোহাম্মদ আলী মিয়ার রাইস মিলের গোডাউন থেকে ১৬৪ বস্তা ভুট্টার মধ্যে ১৫৮ বস্তা ভুট্টা উদ্ধার করা হয়।
চলারপথে রিপোর্ট :
দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ব্রাহ্মণবাড়িয়া -৪ (কসবা ও আখাউড়া) আসনেরর আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থী এবং আইন, বিচার ও সংসদবিষয়ক মন্ত্রী অ্যাডভোকেট আনিসুল হক বলেছেন, বিএনপির অসহযোগ আন্দোলন তাদের মনের শান্তির জন্য, জনগণ তাদের সমর্থন করে না।
পূর্ব পাকিস্তানের সময় বঙ্গবন্ধু দেশের সাড়ে সাত কোটি মানুষের ভোট ও সমর্থন নিয়ে অসহযোগ আন্দোলনের ডাক দিয়েছিলেন।
এখন বিএনপি অসহযোগ আন্দোলনের ডাক দিয়ে সেই ঐতিহ্যবাহী অসহযোগ আন্দোলনকে হাস্যকর পরিস্থিতিতে নিয়ে গেছে। জনগণ তাদের সমর্থন করে না, যোগ করেন মন্ত্রী।
আজ ২১ ডিসেম্বর বৃহস্পতিবার দুপুরে ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার কসবা উপজেলার খাড়েরা ইউনিয়নের সোনার গাঁও মাদরাসা মাঠে এক পথসভায় নির্বাচনী প্রচারণার সময় তিনি এ কথা বলেন।
তিনি আরো বলেন, নির্বাচন এলেই বিএনপি সন্ত্রাস শুরু করে। ২০১৪ সালে অগ্নিসন্ত্রাস ও ২০১৮ সালে মনোনয়ন সন্ত্রাস করেছে। আর এখন রেললাইন কাটা ও মানুষ মারার সন্ত্রাস শুরু করেছে। তারা নির্বাচন বানচাল করার চেষ্টা করছে। বিএনপি ভোটের জন্য জনগণের কাছে না গিয়ে লুট করা টাকা নিয়ে বিদেশিদের সঙ্গে আঁতাত করে।
এসময় কসবা উপজেলা চেয়ারম্যান অ্যাডভোকেট রাশেদুল কাউসার ভূইয়া জীবন, কসবা পৌর মেয়র গোলাম হাক্কানি, উপজেলা আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি কাজী আজহারুল ইসলামসহ দলীয় নেতাকর্মীরা উপস্থিত ছিলেন।