চলারপথে রিপোর্ট :
বাংলাদেশের আকাশে পবিত্র শাবান মাসের চাঁদ দেখা গেছে। আগামীকাল ২২ ফেব্রুয়ারি বুধবার থেকে ১৪৪৪ হিজরি সনের এ মাস গণনা শুরু হবে। এ হিসাবে আগামী ১৪ শাবান অর্থাৎ ৭ মার্চ মঙ্গলবার রাতে পালিত হবে পবিত্র শবে বরাত বা লাইলাতুল বরাত। মুসলমানরা বিশ্বাস করেন শবে বরাতের রাতে পরবর্তী এক বছরের ভাগ্য নির্ধারিত হয়।
আজ ২১ ফেব্রুয়ারি মঙ্গলবার সন্ধ্যায় বায়তুল মোকাররম জাতীয় মসজিদে ইসলামিক ফাউন্ডেশনের সভা কক্ষে জাতীয় চাঁদ দেখা কমিটির সভায় এ সিদ্ধান্ত হয়। সন্ধ্যা সাড়ে ছয়টায় শুরু হয়ে রাত ৯টা পর্যন্ত চলে সভা। দেশের আকাশে চাঁদ দেখার তথ্য নিশ্চিত করতে এই দীর্ঘ সময় লাগে।
সভায় সভাপতিত্ব করেন ধর্ম প্রতিমন্ত্রী ফরিদুল হক খান। চাঁদ দেখার খবর ঘোষণা করেন ইসলামিক ফাউন্ডেশনের মহাপরিচালক মহাঃ বশিরুল আলম। সভায় বায়তুল মোকাররম জাতীয় মসজিদের খতিব মাওলানা রুহুল আমিনসহ সরকারের বিভিন্ন সংস্থার উর্দ্ধতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
মুসলমানদের অনেকে শবে বরাতকে সৌভাগ্য রজনী হিসেবে গণ্য করেন। ধর্মীয় ভাবগাম্ভীর্য ও ইবাদত বন্দেগির মাধ্যমে রাতটি কাটান। শবে বরাতের পরের দিন নফল রোজা রাখেন অনেকেই। শবে বরাত উপলক্ষে আগামী ৮ মার্চ বুধবার সরকারি ছুটি।
অনলাইন ডেস্ক :
এইচএসসি পরীক্ষার শিক্ষার্থীদের ফরম পূরণের সময় বাড়ানো হয়েছে। আজ ২১ এপ্রিল রবিবার ঢাকা মাধ্যমিক ও উচ্চমাধ্যমিক শিক্ষা বোর্ডের এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে। বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, এইচএসসি পরীক্ষার অনলাইনের ফরম পূরণের চলমান কার্যক্রমের সময় আগামী ৫ মে পর্যন্ত বাড়ানো হলো। ‘সোনালী সেবার’ মাধ্যমে ফি পরিশোধ করা যাবে ৬ মে পর্যন্ত। বিলম্ব ফিসহ ফরম পূরণের সময় ৭ মে থেকে শুরু হয়ে চলবে ১২ মে পর্যন্ত। ‘সোনালী সেবার’ মাধ্যমে ফি পরিশোধ করা যাবে ১৩ মে পর্যন্ত।
চলতি বছরের এইচএসসি পরীক্ষা শুরু হবে আগামী ৩০ জুন। এই পরীক্ষার ফরম পূরণ শুরু হয়েছে ১৬ এপ্রিল থেকে। ফরম পূরণ চলার কথা ছিল ২৫ এপ্রিল পর্যন্ত। এখন বর্ধিত সময় অনুযায়ী আগামী ৫ মে পর্যন্ত ফরম পূরণ করা যাবে। পূর্বঘোষণা অনুযায়ী, এবার পুনর্বিন্যাসকৃত (সংক্ষিপ্ত) পাঠ্যসূচিতে অনুষ্ঠিত হবে এইচএসসি পরীক্ষা।
কোনো বিভাগের জন্য কত ফি
পরীক্ষার্থীদের কাছ থেকে ফি বাবদ পত্রপ্রতি ১১০ টাকা, ব্যবহারিকের ফি বাবদ পত্রপ্রতি ২৫ টাকা, একাডেমিক ট্রান্সক্রিপ্টের ফি বাবদ পরীক্ষার্থীপ্রতি ৫০ টাকা, মূল সনদ বাবদ ১০০ টাকা, বয়েজ স্কাউট ও গার্লস গাইড ফি বাবদ ১৫ টাকা এবং জাতীয় শিক্ষা সপ্তাহ ফি বাবদ পরীক্ষার্থীপ্রতি ৫ টাকা নেওয়া হবে।
অনিয়মিত শিক্ষার্থীদের ক্ষেত্রে পরীক্ষার্থীপ্রতি ১০০ টাকা অনিয়মিত ফি নির্ধারণ করা হয়েছে। জিপিএ উন্নয়ন ও প্রাইভেট পরীক্ষার্থীদের জন্য ১০০ টাকা তালিকাভুক্তি ফি নির্ধারণ করা হয়েছে। রেজিস্ট্রেশন নবায়ন ফি নির্ধারণ করা হয়েছে ২৫০ টাকা। বিলম্ব ফি নির্ধারণ করা হয়েছে ১০০ টাকা।
কেন্দ্র ফি বাবদ প্রত্যেক পরীক্ষার্থীকে ৪৫০ টাকা ও ব্যবহারিক পরীক্ষার ফি বাবদ পরীক্ষার্থীদের পত্রপ্রতি ২৫ টাকা দিতে হবে। আর ব্যবহারিক উত্তরপত্র মূল্যায়ন ফি নির্ধারণ করা হয়েছে ২০ টাকা।
শিক্ষা বোর্ডগুলো বলছে, বিজ্ঞান শাখার পরীক্ষার্থীদের মোট ২ হাজার ৬৮০ টাকা এবং মানবিক ও ব্যবসায় শিক্ষার জন্য ২ হাজার ১২০ টাকা করে ফি নির্ধারণ করা হয়েছে। মানবিক ও ব্যবসায় শিক্ষা শাখার কোনো পরীক্ষার্থীর চতুর্থ বিষয়ে ব্যবহারিক পরীক্ষা থাকলে এ ফির সঙ্গে অতিরিক্ত ১৪০ টাকা যুক্ত হবে। আর মানবিক ও ব্যবসায় শিক্ষা শাখার কোনো শিক্ষার্থীর নৈর্বাচনিক বিষয়ে ব্যবহারিক থাকলে বিষয়প্রতি আরও ১৪০ টাকা যোগ হবে।
চলারপথে ডেস্ক :
কোভিড-১৯ মহামারি ও রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ, নিষেধাজ্ঞা ও পাল্টা নিষেধাজ্ঞার কারণে বিশ্ব অর্থনৈতিক মন্দার মধ্য দিয়ে যাচ্ছে বলে মন্তব্য করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। তিনি বলেছেন, দেশবাসীকে বিদ্যুৎ, পানি ও গ্যাস ব্যবহারে সাশ্রয়ী হতে হবে। বিশ্বব্যাপী প্রয়োজনীয় জিনিসপত্রসহ সবকিছুর মূল্যবৃদ্ধি আকাশচুম্বী হয়েছে ও যুদ্ধ কখন থামবে তা নিশ্চিত নয়।
আজ ২৭ ফেব্রুয়ারি সোমবার নিজ কার্যালয়ে বিসিএস কর্মকর্তাদের ৭৪তম বুনিয়াদি প্রশিক্ষণ কোর্সের সনদ বিতরণ ও সমাপনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব এ কথা বলেন। প্রধানমন্ত্রী বলেন, আমাদের উৎপাদন বাড়ানোর দিকে নজর দিতে হবে। আমরা সাধ্যমতো চেষ্টা করে যাচ্ছি অবস্থা মোকাবিলা করতে।
নতুন কর্মকর্তাদের দেশ ও জনগণের কল্যাণে আন্তরিকতার সঙ্গে কাজ করার আহ্বান জানিয়ে শেখ হাসিনা বলেন, আপনাদের মনে রাখতে হবে যে আমাদের সবসময় সামনের দিকে অগ্রসর হতে হবে। আমি চাই নতুন কর্মকর্তারা দেশকে উন্নত, সমৃদ্ধ ও স্মার্ট বাংলাদেশে রূপান্তর করতে তাদের মেধা ও উদ্ভাবনী শক্তিকে আরও কার্যকরভাবে কাজে লাগিয়ে দেশকে এগিয়ে নিয়ে যাবেন।
১৪ বছর আগের বাংলাদেশের পরিস্থিতির কথা উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, গত ১৪ বছরে দেশের উন্নয়নের ক্ষেত্রে ব্যাপক পরিবর্তন এসেছে।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, তার সরকারের একমাত্র লক্ষ্য ২০৪১ সালের মধ্যে বাংলাদেশকে একটি উন্নত ও সমৃদ্ধ দেশে পরিণত করে দেশবাসীর জন্য উন্নত ও সুন্দর জীবন নিশ্চিত করা।
নতুন বিসিএস ক্যাডারদের ২০৪১ সালের সৈনিক হিসেবে আখ্যায়িত করে তিনি বলেন, ২০৪১ সালের মধ্যে বাংলাদেশকে একটি স্মার্ট দেশ হিসেবে গড়ে তোলা হবে। আজকের কর্মকর্তারাই হবে আগামী দিনের সৈনিক।
তিনি বলেন, সরকারের প্রণীত ডেল্টা প্ল্যান-২১০০ বাস্তবায়নের জন্য আপনাদের কাজ করতে হবে। সরকার এরই মধ্যে জলবায়ু পরিবর্তনের বিরূপ প্রভাব থেকে বাংলাদেশকে রক্ষা করার জন্য এটির বাস্তবায়ন শুরু করেছে। আপনাদের মনে রাখতে হবে যে আমাদের সবসময় সামনের দিকে অগ্রসর হতে হবে।
তিনি আরো বলেন, বাংলাদেশ একসময় বিদেশি দেশগুলোর কাছে অবহেলিত ছিল। বর্তমান সরকারের সময়োপযোগী পদক্ষেপের কারণে বাংলাদেশ এখন বিশ্ব মঞ্চে উন্নয়নের রোল মডেল হিসেবে আবির্ভূত হয়েছে।
সামরিক সরকার এলে দুর্নীতি বাড়ে মন্তব্য করে বঙ্গবন্ধুকন্যা বলেন, জনগণের কাছে তাদের (সামরিক সরকার) জবাবদিহি করতে হয় না। আমরা জনগণের ভোটে নির্বাচিত, তাই আমরা কাজ করছি জনকল্যাণে। দুর্নীতির বিরুদ্ধে আমরা শুদ্ধাচার নীতি নিয়েছি।
সরকারপ্রধান বলেন, বঙ্গবন্ধুর লক্ষ্য সামনে নিয়েই আওয়ামী লীগ দেশ পরিচালনা করছে। তিনি (বঙ্গবন্ধু) নিজেকে জনগণের সেবক মনে করতেন। কিন্তু অবৈধ ক্ষমতা দখলকারীরা ক্ষমতায় এসে সব ধ্বংস করে দেয়। সূত্র : বাসস
অনলাইন ডেস্ক :
জাতীয় সংসদের বিরোধী দলীয় নেতা জি এম কাদের ও বিরোধীদলীয় উপনেতা নেতা ব্যারিস্টার আনিসুল ইসলাম মাহমুদকে পবিত্র ঈদুল আযহার শুভেচ্ছা জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
প্রধানমন্ত্রীর প্রটোকল অফিসার-২ মোহাম্মদ আবু জাফর রাজু বিরোধী দলীয় নেতার একান্ত সচিব শামসুল ইসলামের নিকট আজ দুপুরে জাতীয় সংসদের অফিস কক্ষে এবং বিরোধী দলীয় উপনেতার একান্ত সচিব জাহাঙ্গীর আলমের নিকট পবিত্র ঈদুল আজহার শুভেচ্ছা পত্র পৌঁছে দেন।
এছাড়া সাবেক বিরোধী দলীয় নেতা বেগম রওশন এরশাদের গুলশানের বাসভবনে তার কাছেও ঈদের শুভেচ্ছা পৌঁছে দেন মোহাম্মদ আবু জাফর রাজু।
অনলাইন ডেস্ক :
শারদীয় দুর্গাপূজা উপলক্ষে হিন্দু ধর্মাবলম্বীদের নিরাপত্তার আশ্বাস দিয়েছেন সেনাপ্রধান জেনারেল ওকার-উজ-জামান। তিনি বলেন, ‘আমরা আপনাদের নিরাপত্তার নিশ্চয়তা দিচ্ছি। এতো দিন খুব ভালোভাবেই চলেছে, বাকি যে সময়টা আছে সেটাও সুন্দরভাবে উদযাপন করতে পারবেন বলে আমরা দৃঢ়ভাবে বিশ্বাস করি।
আজ ১১ আগস্ট শুক্রবার বিকেলে রমনা কালী মন্দিরে শুভেচ্ছা বিনিময় করতে এসে এ নিশ্চয়তা জানান তিনি।
এ সময় তার সাথে ছিলেন বিমানবাহিনী প্রধান এয়ার চিফ মার্শাল হাসান মাহমুদ খান ও নৌবাহিনী প্রধান অ্যাডমিরাল এম নাজমুল হাসান।
শুভেচ্ছা বক্তব্যে সেনাপ্রধান বলেন, ‘শতাব্দীর পর শতাব্দী আমরা বাংলাদেশে হিন্দু, মুসলমান, বৌদ্ধ, খ্রিস্টান একসঙ্গে বসবাস করে আসছি। এটা আমাদের ঐতিহ্য। একজনের প্রতি অন্যজনের যে সহমর্মিতা, এটা অতীতে ছিল, ভবিষ্যতেও থাকবে।
তিনি আরো বলেন, ‘আপনারা উৎসবমুখর সুন্দর পরিবেশে পূজা উদযাপন করতে পারছেন, তা দেখে আমি অত্যন্ত আনন্দিত। শুধু ঢাকাতেই না, ঢাকার বাইরে সব জায়গায় আমাদের লোকজন মোতায়েন আছে।’