অনলাইন ডেস্ক :
৯ অক্টোবর বিশ্ব ডাক দিবস। এ উপলক্ষে ১০ টাকা মূল্যমানের স্মারক ডাকটিকিট এবং ১০ টাকা মূল্যমানের উদ্বোধনী খাম অবমুক্ত করেছেন ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্য প্রযুক্তি উপদেষ্টা মো. নাহিদ ইসলাম। দিবসটি উপলক্ষে একটি বিশেষ সিলমোহর ব্যবহার করা হয়।
আজ ৯ অক্টোবর বুধবার সচিবালয়ে ডাক ও টেলিযোগাযোগ বিভাগের অফিস কক্ষে উপদেষ্টা স্মারক ডাকটিকিট ও উদ্বোধনী খাম অবমুক্ত করেন।
দিবসটি উপলক্ষে ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্য প্রযুক্তি উপদেষ্টা মো. নাহিদ ইসলাম এক বিবৃতিতে সবাইকে শুভেচ্ছা জানান।
অনুষ্ঠানে ডাক বিভাগের দুর্লভ ডাকটিকিটের ছবি সংবলিত বিশেষ অ্যালবাম ‘ন্যাচারাল বিউটি অ্যান্ড ওয়াইল্ডলাইফ অব বাংলাদেশ পোস্টেজ স্টাম্পাস’র মোড়ক উন্মোচন করেন উপদেষ্টা নাহিদ।
১৮৭৪ সালের এদিনে সুইজারল্যন্ডের বার্ণে ২২ দেশের অংশগ্রহণে গঠিত হয় ইউনিভার্সেল পোস্টাল ইউনিয়ন (ইউপিইউ)। ইউনিয়ন গঠন করার দিনটি স্মরণীয় রাখতে সংগঠনের পক্ষ থেকে ১৯৬৯ সালে ডাক ইউনিয়নের ১৬তম অধিবেশনে ৯ অক্টোবরকে বিশ্ব ‘ডাক ইউনিয়ন দিবস’ হিসেবে ঘোষণার প্রস্তাব সর্বসম্মতিক্রমে গৃহীত হয়। পরবর্তীতে ১৯৮৪ সালে জার্মানির হামবুর্গে অনুষ্ঠিত বিশ্ব ডাক ইউনিয়নের ১৯তম অধিবেশনে বিশ্ব ডাক ইউনিয়ন দিবসের নাম পরিবর্তন করে ‘বিশ্ব ডাক দিবস’ রাখা হয়।
এ সময় ডাক ও টেলিযোগাযোগ বিভাগের সচিব ড. মো. মুশফিকুর রহমান, ডাক অধিদপ্তরের মহাপরিচালক এস এম শাহাব উদ্দীনসহ অধিদপ্তরের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
চলারপথে রিপোর্ট :
গাজীপুর মেট্রোপলিটন পুলিশ সিটি করপোরেশনের কাশিমপুর ও বাসন এলাকায় পৃথক অভিযান চালিয়ে ডাকাত ও মোটরসাইকেল চোর চক্রের ৬ সদস্যকে গ্রেফতার করেছে। এসময় তাদের হেফাজত থেকে চোরাই চারটি মোটরসাইকেল উদ্ধার করা হয়।
গ্রেফতার ব্যক্তিরা হলো রুহুল আমিন (৩৮), শ্যাম খান ওরফে শরীফ ওরফে ফারুক (৩০), আবুল সাঈদ (৩৫), মাহমুদুল হাসান রুবেল (৩১), সোহেল মিয়া ওরফে নাক কাটা সোহেল (৪০) ও সজিব আহাম্মদ (২৬)।
আজ ৩ অক্টোবর মঙ্গলবার দুপুরে এক সংবাদ ব্রিফিংয়ে এসব তথ্য জানান গাজীপুর মেট্রোপলিটন পুলিশের উপ-পুলিশ কমিশনার (অপরাধ, উত্তর) আবু তোরাব মো. শামছুর রহমান।
গাজীপুর মেট্রোপলিটন পুলিশের উপ-পুলিশ কমিশনার (অপরাধ, উত্তর) আবু তোরাব মো. শামছুর রহমান বলেন, গত ৩১ সেপ্টেম্বর রাতে সিটি করপোরেশনের দক্ষিণ পানিশাইল এলাকার বাসিন্দা দুলাল উদ্দিন তার ম্যানেজার জাহাঙ্গীর হোসেন, আব্দুল বাছেদ এবং ভগ্নিপতি সোলায়মানকে নিয়ে সদর থানার আদাবৈ পেয়ারা বাগান এলাকায় গার্মেন্টস ফ্যাক্টরির মালামাল কেনার জন্য যান। তাদের বহনকারী প্রাইভেটকার তিন রাস্তার মোড়ে পৌঁছালে ১৪/১৫ জন ডাকাত দেশীয় অস্ত্রশস্ত্র নিয়ে প্রাইভেটকারের গতিরোধ করে। এক পর্যায়ে অস্ত্রের ভয় দেখিয়ে তাদের বাউন্ডারি ঘেরা একটি বাগানের ভেতর নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানে ডাকাতরা তাদেরকে এলোপাথাড়িভাবে মারধোর করে নগদ ১৪ লাখ ২৬ হাজার ৫০০ টাকা, মোবাইল ফোন লুট করে পালিয়ে যায়। এ ঘটনায় পরদিন দুলাল উদ্দিন সদর থানার মামলা দায়ের করেন।
তিনি আরো বলেন, মামলার ১০ ঘণ্টা পর তথ্য প্রযুক্তির সহায়তায় ডাকাতির ঘটনায় জড়িত রুহুল আমিনকে কালিগঞ্জ থানার নরুন বাজার থেকে গ্রেফতার করা হয়। তার দেয়া তথ্যে শ্যামল খান, আবুল সাঈদ ও মাহমুদুল হাসান রুবেলকে ময়মনসিংহ ও গাজীপুরের বিভিন্ন এলাকা থেকে গ্রেফতার করা হয়। মালামাল উদ্ধারসহ অপর আসামিদের গ্রেফতারে অভিযান অব্যাহত রয়েছে।
এদিকে, চোরাই মোটর সাইকেল কেনাবেচা হচ্ছে এমন গোপন সংবাদের ভিত্তিতে সিটি করপোরেশনের যোগীতলার সুইচ ফ্যাক্টরির মোড় থেকে সোহেল মিয়া ও সজিব আহম্মদকে গ্রেফতার করা হয়। পরে তাদের হেফাজত থেকে চোরাই ৪টি মোটরসাইকেল উদ্ধার করা হয়। পুলিশের জিজ্ঞাসাবাদে গ্রেফতারকৃতরা জানায়, বিভিন্ন জায়গা থেকে মোটরসাইকেল চুরি করে তারা নিজেদের হেফাজতে রেখে বিক্রি করত। জিএমপির বাসন থানার এস আই সুকান্ত পাল জানান, বিভিন্ন থানায় তাদের বিরুদ্ধে একাধিক মামলা রয়েছে বলে জানান তিনি। মোটরসাইকেল চোর চক্রের অন্যান্য সদস্যদের গ্রেফতারে তাদের অভিযান অব্যাহত রয়েছে।
চলারপথে রিপোর্ট :
দ্বাদশ সংসদ নির্বাচনে বিপুল জয়ের পর টানা চতুর্থ মেয়াদে ক্ষমতায় এসে নতুন সূচনা করতে যাচ্ছেন আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনা। প্রধানমন্ত্রীসহ নতুন মন্ত্রিসভার আকার দাঁড়িয়েছে ৩৭ জনে। তাদের মধ্যে ২৫ জন পূর্ণ মন্ত্রী। আর ১১ জন পাচ্ছেন প্রতিমন্ত্রীর দায়িত্ব।
মন্ত্রিপরিষদ সচিব মো. মাহবুব হোসেন আজ ১০ জানুয়ারি বুধবার সন্ধ্যায় সংবাদ সম্মেলন করে নতুন মন্ত্রিসভার সদস্যদের নাম ঘোষণা করেন।
তিনি বলেন, ‘আমি মোট ২৫ জন পূর্ণমন্ত্রী এবং ১১ জন প্রতিমন্ত্রীর নামের তালিকা পেয়েছি। এখানে আসার আগে তাদেরকে টেলিফোনে জানিয়েছি।’
মন্ত্রিপরিষদ সচিব মো. মাহবুব, মন্ত্রী হচ্ছেন আ ক ম মোজাম্মেল হক, ওবায়দুল কাদের, নূরুল মজিদ মাহমুদ হুমায়ূন, আসাদুজ্জামান খান কামাল, দীপু মনি, তাজুল ইসলাম, ফারুক খান, আবুল হাসান মাহমুদ আলী, আনিসুল হক, হাছান মাহমুদ, আবদুস শহীদ, সাধন চন্দ্র মজুমদার, র আ ম উবায়দুল মোকতাদির চৌধুরী, আব্দুর রহমান, নারায়ণ চন্দ্র চন্দ, আব্দুস সালাম, মহিবুল হাসান চৌধুরী নওফেল, ফরহাদ হোসেন, ফরিদুল হক খান, জিল্লুল হাকিম, সাবের হোসেন চৌধুরী, জাহাঙ্গীর কবির নানক, নাজমুল হাসান পাপন, ইয়াফেস ওসমান এবং সামন্ত লাল সেন।
তাদের মধ্যে ইয়াফেস ওসমান ও ডা. সামন্ত লাল সেন টেকনোক্রেট মন্ত্রী হচ্ছেন।
প্রতিমন্ত্রী হচ্ছেন সিমিন হোসেন রিমি, নসরুল হামিদ, জুনাইদ আহমেদ পলক, মোহাম্মদ এ আরাফাত, মহিবুর রহমান, জাহিদ ফারুক, কুজেন্দ্র লাল ত্রিপুরা, রুমানা আলী, শফিকুর রহমান চৌধুরী, আহসানুল টিটু এবং খালিদ মাহমুদ চৌধুরী।
নতুন মন্ত্রিসভার সদস্যদের শপথ অনুষ্ঠান হবে শুক্রবার। সন্ধ্যা ৭টায় বঙ্গভবনে শপথ অনুষ্ঠানের প্রস্তুতি নেওয়ার কথা মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ ইতোমধ্যে জানিয়েছে। নতুন সরকারে কে কোন মন্ত্রণালয় পাবেন, তা জানা যাবে দপ্তর বণ্টনের পর।
অনলাইন ডেস্ক :
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, ‘আমাদের দেশীয় খেলাধুলাগুলোর চর্চা বেশি বেশি করে করা উচিত। এই খেলাধুলার মধ্য দিয়ে শরীরচর্চা হয়। খেলাধুলা হলে বাচ্চাদের মধ্যে ছোটবেলা থেকে ঐক্যের মনোভাব গড়ে ওঠে। তাই আমরা এ বিষয়ে আরো বেশি মনোযোগী হয়েছি।
ছেলে এবং মেয়েদের জন্য বঙ্গবন্ধু-বঙ্গমাতা টুর্ণামেন্ট শুরু করেছি। মাধ্যমিক বিদ্যালয়েও খেলাধুলা হচ্ছে। বিশ্ববিদ্যালয়গুলোকেও সেভাবে গড়ে তুলতে হবে।’
দেশের সব বিভাগীয় শহরেই একটি করে বাংলাদেশ ক্রীড়া শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের (বিকেএসপি) কেন্দ্র করা হবে জানিয়ে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘খেলাধুলায় আমাদের ছেলে-মেয়েদের দক্ষ করে গড়ে তুলতে হলে উন্নত প্রশিক্ষণ দরকার।
এ জন্য দেশের সব বিভাগীয় শহরে একটি করে বিকেএসপি করা হবে। ইতিমধ্যে এর কাজও শুরু হয়েছে।’
আজ ৭ ফেব্রুয়ারি বুধবার সকালে রাজশাহীর মুক্তিযুদ্ধ স্মৃতি স্টেডিয়ামে শুরু হওয়া শীতকালীন জাতীয় ক্রীড়া প্রতিযোগিতার চূড়ান্ত পর্বের খেলার উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে ভার্চুয়ালি যুক্ত হয়ে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এ কথা বলেন প্রধানমন্ত্রী।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘আমাদের এখন প্রশিক্ষক তৈরি করতে হবে।
সে জন্য প্রত্যেক বিভাগীয় শহরে একটা করে বিকেএসপি গড়ে তুলতে হবে। এটা আটটা বিভাগে আটটা হবে। আমাদের ছেলে-মেয়েদের উন্নত প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা করতে হবে। ছোটবেলা থেকে ভালো ট্রেনিংয়ের ব্যবস্থা করতে পারলে তারা দক্ষতার পরিচয় দিতে পারবে।’
তিনি বলেন, ‘আমাদের মেয়েরা খুবই এগিয়ে যাচ্ছে মনে হচ্ছে।
ফুটবলে ভুটানকে ৪-০ গোলে হারিয়েছে। আমরা প্রত্যেক উপজেলায় খেলার মাঠ, মিনি স্টেডিয়াম তৈরি করছি। আরো কয়েকটা বাকি আছে। উপজেলা পর্যায় পর্যন্ত মিনি স্টেডিয়াম করেছি একটা লক্ষ্য নিয়েই যে খেলাধুলা হবে, প্রতিযোগিতা হবে। আমি মনে করি, লেখাপড়ার পাশাপাশি খেলাধুলার আয়োজন করলে ছেলে-মেয়েরা মন-মানসিকতায় উদার হবে। সুস্বাস্থ্যের অধিকারী হবে।’
খেলাধুলার জন্য জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের অবদান তুলে ধরে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘জাতির পিতা নিজে খেলাধুলার প্রতি অত্যন্ত মনোযোগী ছিলেন। জাতির পিতার উদ্যোগেই এই শীতকালে শীতকালীন জাতীয় ক্রীড়া প্রতিযোগিতা শুরু হয়েছিল। জাতির পিতার নেতৃত্বে আজ বাংলাদেশ স্বাধীন হয়েছে বলে আমাদের ছেলে-মেয়েরা খেলাধুলার সুযোগ পাচ্ছে। আমাদের পরিবারটি সব সময় খেলাধুলার সঙ্গে জড়িত। আমার বাবাও নিজে ফুটবল খেলতেন। আমার ভাই কামাল এবং জামাল নিজেও খেলাধুলার সঙ্গে সম্পৃক্ত ছিলেন।’
স্টেডিয়ামে উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন শিক্ষামন্ত্রী মহিবুল হাসান চৌধুরী। বিশেষ অতিথি ছিলেন আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য ও রাজশাহী সিটি করপোরেশনের মেয়র এ এইচ এম খায়রুজ্জামান লিটন, শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা বিভাগের সচিব সোলেমান খান, কারিগরি ও মাদরাসা শিক্ষা বিভাগের সচিব ড. ফরিদ উদ্দিন আহমদ, বিভাগীয় কমিশনার ড. দেওয়ান মুহাম্মদ হুমায়ুন কবীর ও মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা অধিদপ্তরের মহাপরিচালক নেহাল আহমেদ।
উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে আরো উপস্থিত ছিলেন- রাজশাহী রেঞ্জের ডিআইজি মো. আনিসুর রহমান, রাজশাহী মেট্রোপলিটন পুলিশের পুলিশ কমিশনার বিপ্লব বিজয় তালুকদার, জেলা প্রশাসক শামীম আহমেদ, মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষা বোর্ড রাজশাহীর চেয়ারম্যান প্রফেসর ড. মো. অলীউল আলম, রাজশাহীর পুলিশ সুপার মো. সাইফুর রহমান, রাজশাহী শিক্ষা বোর্ডের সচিব মো. হুমায়ুন কবির, ক্রীড়া প্রতিযোগিতার সমন্বয়কারী ড. মুহম্মদ মনিরুল হকসহ দেশের ১১টি শিক্ষা বোর্ডের চেয়ারম্যান, শিক্ষা অফিসার ও ক্রীড়া কর্মকর্তরা উপস্থিত হয়েছেন।
‘খেলাধুলায় স্মার্ট দেশ, শেখ হাসিনার বাংলাদেশ’ প্রতিপাদ্যে বাংলাদেশ জাতীয় স্কুল, মাদরাসা ও কারিগরি শিক্ষা সমিতি ৫২তম এই শীতকালীন জাতীয় ক্রীড়া প্রতিযোগিতার আয়োজন করেছে। গত জানুয়ারিতে সারা দেশে এই প্রতিযোগিতা শুরু হয়। এতে প্রায় সাত লাখ শিক্ষার্থী অংশ নেয়। এর মধ্যে চূড়ান্ত পর্বের খেলায় অংশগ্রহণে সারা দেশের ৮২৪ জন রাজশাহী এসেছে। মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষা বোর্ড, রাজশাহী এর ব্যবস্থাপনায় রয়েছে।
ছয় দিনব্যাপী এই ক্রীড়াযজ্ঞের সমাপনী অনুষ্ঠিত হবে ১২ ফেব্রুয়ারি।
এই প্রতিযোগিতায় ছাত্র ও ছাত্রীদের জন্য আলাদা ইভেন্টে অ্যাথলেটিকস, দৌড়, বর্শা নিক্ষেপ, দীর্ঘ লাফ, চাকতি নিক্ষেপ, গোলক নিক্ষেপ, দড়ি লাফ ইভেন্টসহ হকি, ক্রিকেট, বাস্কেটবল, ভলিবল, ব্যাডমিন্টন একক ও দ্বৈত, সাইক্লিং ইভেন্টে জাতীয় স্কুল, মাদরাসা, কারিগরি শিক্ষা ক্রীড়া সমিতির শীতকালীন খেলার মহারণ প্রতিযোগিতা অনুষ্ঠিত হবে। এই আটটি ডিসিপ্লিনে সারা দেশ থেকে আট শতাধিক ছাত্রছাত্রী এ প্রতিযোগিতায় অংশ নেবে। চূড়ান্ত পর্বে চারটি অঞ্চলে ভাগ করা হয়েছে- চারটি ফুলের নামে।
এগুলো হলো- রাজশাহী ও দিনাজপুর ‘চাঁপা’ অঞ্চল, ঢাকা ও ময়মনসিংহ ‘পদ্ম’ অঞ্চল, চট্টগ্রাম, সিলেট ও কুমিল্লা ‘বকুল’ অঞ্চল এবং খুলনা ও বরিশাল ‘গোলাপ’ অঞ্চল। বর্ণাঢ্য উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে নানা ধরনের ডিসপ্লে প্রদর্শিত হয়।
অনলাইন ডেস্ক :
দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন সুষ্ঠু করতে যেখানে অনিয়ম চোখে পড়বে, সেখানেই অ্যাকশনে যাবেন বলে জানিয়েছেন নির্বাচন কমিশনার রাশেদা সুলতানা।
আজ ৩ জানুয়ারি বুধবার রাজধানীর আগারগাঁওয়ে ইসি ভবনে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে তিনি এ কথা বলেন।
রাশেদা সুলতানা বলেন, নির্বাচন চলাকালে যেকোনো অনিয়ম দেখলেই অ্যাকশনে যাওয়া হবে। প্রয়োজনে ভোট বাতিল করা হবে। কোনো অবস্থাতেই ছাড় দেয়া হবে না।
দলীয় সরকারের অধীনে ভোট সুষ্ঠু হবে কি-না – এমন প্রশ্নে তিনি বলেন, ‘সেটা বলার সময় এখনো আসেনি। তবে আমরা নির্বাচন সুষ্ঠু করতে সর্বোচ্চ চেষ্টা করছি।’
ভোটের পরিবেশ কেমন হবে– সাংবাদিকদের এমন প্রশ্নের জবাবে এই নির্বাচন কমিশনার বলেন, ভোট এখন যেটা হচ্ছে সেটা উৎসবমুখর ও সুন্দর হবে, এটা আমি বলতে পারি। ১৯৯৬ সালে একটি গ্রহণযোগ্য নির্বাচন না হওয়ার কারণে সেই নির্বাচন নিয়ে বিতর্ক তৈরি হয়েছিল, তাই আমরা এবারের নির্বাচনে কোনো বিতর্ক তৈরি করতে চাই না। আমরা আমাদের জনগণ ও আন্তর্জাতিক বিশ্বের কাছে গ্রহণযোগ্য নির্বাচন করতে চাই। ভালো নির্বাচন করা আমাদের নৈতিক দায়িত্ব। মিডিয়া, পত্রিকা দেখে আমার মনে হচ্ছে সরকার চাইছে একটা ফ্রি ফেয়ার ইলেকশন হোক।
ভোটকেন্দ্রে ভোটার উপস্থিতি কেমন হবে- সাংবাদিকদের এমন প্রশ্নের জবাবে রাশেদা সুলতানা বলেন, আমরা গুরুত্বের সঙ্গে নিয়েছি ভোটারদের ভোটকেন্দ্রে আনার বিষয়টি। সেজন্য বিভিন্ন মাধ্যমে আমরা প্রচার করে যাচ্ছি। ভোটাররা ভোটকেন্দ্রের প্রাণ, ভোটাররা না থাকলে নির্বাচন নিষ্প্রাণ হয়ে যাবে। তবে আমরা বিভিন্ন জায়গা থেকে যেসব তথ্য পাচ্ছি তাতে আমরা আশাবাদী ভোটকেন্দ্রে অনেক ভোটার আসবে।
একটি বড় দলের (বিএনপি) নির্বাচনে না আসার বিষয়টাকে কীভাবে দেখছেন– এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, দলগুলোর জন্য ভোটে আসা না আসা তাদের স্বাধীন ইচ্ছা। কিন্তু সেজন্য তো ভোট থেমে থাকবে না। আর ভোটকে কোনোভাবে প্রতিহত করা যাবে না এবং কোনো নাশকতামূলক কাজ করা যাবে না। এগুলো যদি তারা করে, তাহলে আমরা আইনশৃঙ্খলা বাহিনীকে নির্দেশ দিয়েছি যথাযথ পদক্ষেপ নেবে। তবে সব দল নির্বাচনে এলে একটা স্বস্তির বিষয় হতো, একটা উৎসবের বিষয় থাকত। এখন সেটা অতটা নেই সেটা তো আর অস্বীকার করার কিছু নেই।