চলারপথে রিপোর্ট :
বিজয়নগরে ১৬ কেজি গাঁজা এবং ৫০ বোতল ফেন্সিডিলসহ মাদক ব্যবসায়ী মোঃ বাবুল মিয়া(৪০) কে গ্রেফতার করছে যৌথ বাহিনী।
৮ অক্টোবর মঙ্গলবার রাতে ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার বিজয়নগর উপজেলার দেওয়ানবাজার থেকে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়। গ্রেফতারকৃত বাবুল মিয়া হবিগঞ্জ জেলার মাধবপুর উপজেলার হরষপুর গ্রামের মৃত মাইদর আলীর ছেলে।
মঙ্গলবার রাতে গণমাধ্যম কর্মীদের কাছে যৌথবাহিনীর পক্ষ থেকে পাঠানো প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে এই তথ্য নিশ্চিত করা হয়।
প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে উল্লেখ করা হয়, গোপন সূত্রের তথ্যের ভিত্তিতে মঙ্গলবার রাতে বিজয়নগর উপজেলার দেওয়ান বাজার এলাকা থেকে সেনাবাহিনীর নেতৃত্বে যৌথ বাহিনী বাবুল মিয়াকে গ্রেফতার করে। পরে তার কাছ থেকে ১৬ কেজি গাঁজা এবং ৫০ বোতল ফেন্সিডিল উদ্ধার করা হয়। পরবর্তীতে তাকে বিজয়নগর থানায় হস্তান্তর করা হয়।
চলারপথে রিপোর্ট :
বিগত ২০২২ – ২০২৩ অর্থ বছরের সার্বিক বিশ্লেষণে “সুখী-সমৃদ্ধ সোনার বাংলা” গড়ার প্রত্যয়ে এবং রাষ্ট্রীয় প্রতিষ্ঠান ও সমাজে সুশাসন প্রতিষ্ঠার লক্ষ্যে কর্মদক্ষতায় জেলার পেশাগত জ্ঞান, দক্ষতা, ডিজিটাল বাংলাদেশ বিনির্মাণ সহ ০৭ টি ক্যাটাগরিতে বিচার বিবেচনায় ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার শ্রেষ্ঠ ইউএনও নির্বাচিত হওয়ায় বিজয়নগর উপজেলা নির্বাহী অফিসার এ এইচ ইরফান উদ্দিন আহমেদ কে বিজয়নগর উপজেলা নাগরিক ফোরাম এর পক্ষ থেকে সম্মাননা স্মারক প্রদান হয়।
গতকাল বৃহস্পতিবার বিকাল ৪ টায় উপজেলা নির্বাহী অফিসারের কার্যালয় বিজয়নগর উপজেলা নাগরিক ফোরাম এর নেতৃবৃন্দ সম্মাননা স্মারক প্রদান কালে ইউএনও কে বলেন, আপনার এই কর্মদক্ষতার স্বীকৃতি সুফল ভোগ করব আমরা বিজয়নগরবাসী। আমরা দেখছি আপনি বিজয়নগর যোগদানের পর থেকে নিষ্ঠা ও সততার সাথে প্রশাসনিক বিভিন্ন কাজের গতি ফিরে আসছে। পাশাপাশি ভেজাল পণ্যের বিরুদ্ধে মোবাইল কোর্ট পরিচালনা, মাদকদ্রব্য উদ্ধার ভূমিকা, বাল্য বিবাহ নিয়ন্ত্রণ, ভূমিদস্যু বিরুদ্ধে শক্তিশালী অবস্থান, অবহেলিত মানুষের প্রশাসনিক হয়রানি বন্ধের মত গুরুত্বপূর্ণ কাজ করে যাচ্ছেন। আপনার কর্মগুনে চির দিন বিজয়নগরবাসী আপনাকে মনে রাখবে।
এ সময় বিজয়নগর উপজেলা নাগরিক ফোরাম এর সভাপতি মোঃ আব্দুর রশিদ খাঁন, সিনিয়র সহ-সভাপতি মোঃ শাহ আলম, সাধারণ সম্পাদক, বিজয়নগর উপজেলা প্রেসক্লাব এর সভাপতি এস এম কামরুল হাসান শান্ত, দপ্তর সম্পাদক মোহাম্মদ সেলিম চৌধুরী, প্রচার সম্পাদক সাংবাদিক শাহনেওয়াজ শাহ, সহ-সম্পাদক মোঃ আব্দুল হামিদ, জিয়াউর রহমান, মোঃ সাইমন মিয়া, সদস্য সুজন মিয়া, মোঃ জাহাঙ্গীর হোসেন প্রমুখ।
এসময় সবার উদ্দেশ্যে বিজয়নগর উপজেলা নির্বাহী অফিসার এ এইচ ইরফান উদ্দিন আহমেদ বলেন, আমি বিজয়নগর উপজেলায় যোগদানের পরে উপজেলার সবার সহযোগিতায় চমৎকার কাজের পরিবেশ পেয়েছি। এবং নবগঠিত বিজয়নগর উপজেলায় অনেক কাজ করার সুযোগ রয়েছে। তাই মনে করি এই অর্জন বিজয়নগরবাসীর পাপ্য। সরকারি কর্মচারী হিসেবে চেষ্টা করে যাচ্ছি সরকারের সকল কাজের যথাযথভাবে বাস্তবায়ন করার জন্য। সবাই আমার জন্য দোয়া করবেন।
চলারপথে রিপোর্ট :
বিজয়নগরে অভিনব কায়দায় পাচারকালে আনুমানিক ৪ কোটি টাকা মূল্যের ভারতীয় শাড়ি ও থ্রিপিস উদ্ধার করেছে বিজিবি। গোপন সংবাদের ভিত্তিতে বিজিবির ২৫ ব্যাটালিয়নের সদসর্যা (সরাইল ব্যাটালিয়ন) আজ ২২ সেপ্টেম্বর রবিবার ভোররাতে ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার বিজয়নগর উপজেলার চান্দুরা এলাকা থেকে বিপুল পরিমান এই ভারতীয় শাড়ি ও থ্রিপিস উদ্ধার করে। এসময় শাড়ি ও থ্রিপিস বহনকারী একটি ট্রাক জব্দ করা হয়।
ট্রাকের ওপরে পাথর দিয়ে ড্রাম ও বস্তায় ভরে অভিনব কায়দায় পাচারকালে এসব শাড়ি-থ্রিপিস জব্দ করা হয়। প্রায় ছয় কিলোমিটার ধাওয়া করে ট্রাকটি আটকের পর এতে তল্লাশি চালিয়ে ওই বিপুল পরিমাণ ভারতীয় শাড়ি-থ্রিপিস পাওয়া যায়।
অভিযান প্রসঙ্গে ২৫ বিজিবি ব্যাটালিয়নের (সরাইল ব্যাটালিয়ন) অধিনায়ক লেঃ কর্ণেল ফারাহ মোহাম্মদ ইমতিয়াজ জানান, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে গভীর রাত থেকে বিজিবি সদস্যরা মহাসড়কে টহল দিচ্ছিল। ভোর রাতে বিজয়নগর এলাকায় পন্যবাহী একটি ট্রাক বিজিবির নির্দেশনা অমান্য করে দ্রুত গতিতে চলে যাওয়ার চেষ্টা করলে বিজিবির টহল দল চান্দুরা এলাকা থেকে ৬ কিলোমিটার ভেতরে ধাওয়া করে ট্রাকটিকে আটক করে। এ সময় ট্রাকের চালক ও হেলপার পালিয়ে যায়। পরে ট্রাক তল্লাশী করে অভিনব কায়দায় পাথরের স্তরে লুকানো আনুমানিক ৪ কোটি টাকা মূল্যের ভারতীয় শাড়ী- থ্রিপিস উদ্ধার করা হয়।
তিনি বলেন, আসন্ন দূর্গাপূজাকে সামনে রেখে অসাধু ব্যবসায়ীরা চোরাইপথে এসব শাড়ী রাজধারী ঢাকায় পাচার করছিলেন।
চলারপথে রিপোর্ট :
মুক্তিযোদ্ধার কাছে চাঁদা দাবির অভিযোগে দুই নামধারী সাংবাদিককে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। গতকাল শনিবার রাত ১০টার দিকে ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর উপজেলার বাসুদেব ইউনিয়নের জারুইলতলা গ্রাম থেকে তাদেরকে গ্রেপ্তার করা হয়।
আজ ৮ সেপ্টেম্বর রোববার সকালে তাদের বিরুদ্ধে সদর থানায় মামলা দায়ের করা হয়েছে। গ্রেফতারকৃতরা হলেন, জেলার বিজয়নগর উপজেলার মেরাশানী গ্রামের ভূইয়া বাড়ির ফজলে এলাহী ওরফে উজ্জ্বল ভূইয়া (৫০) ও একই উপজেলার সিঙ্গারবিল গ্রামের ইয়ানুর রহমান (৩৩)। উজ্জ্বল দৈনিক প্রথম বুলেটিং এর প্রতিনিধি। উজ্জ্বলের সহযোগী হলেন ইয়ানুর। উজ্জ্বলের হাতে দৈনিক প্রথম বুলেটিং এবং নিউজ টোয়েন্টিফোর লাইভের লগো মাইক্রোফোন ছিল।
এ ঘটনায় জারুইলতলা গ্রামের বাসিন্দা ও একটি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক মোহাম্মদ জহিরুল ইসলাম বাদী হয়ে তাদের বিরুদ্ধে চাঁদাবাজি ও প্রতারণার মামলা দায়ের করেন।
মামলার এজাহার সূত্রে জানা গেছে, মোহাম্মদ জহিরুলের বাবা আবু জামাল একজন বীর মুক্তিযোদ্ধা। গত শনিবার রাত সাড়ে আটটার দিকে সদর উপজেলার বাসুদেব ইউনিয়নের জারুইলতলা গ্রামে জহিরুলের বাড়িতে যান নামধারী সাংবাদিক উজ্জ্বল ও তার সহযোগী ইয়ানুর। কিন্তু বীর মুক্তিযোদ্ধা আবু জামালকে বাড়িতে না পেয়ে তারা ফিরে যান। পরে নামাজ পড়ে বাড়ি ফেরার পথে দুই নামধারী সাংবাদিকের সাথে মুক্তিযোদ্ধা আবু জামালের কথা হয়। এক পর্যায়ে তারা আবু জামালের বাড়ি যান। সেখানে মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ে তাদের বিভিন্ন প্রশ্নের উত্তর দেন আবু জামাল। এক পর্যায়ে বীর মুক্তিযোদ্ধা আবু জামাল মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক বিভিন্ন নথিপত্র দেখালে সেগুলোর ছবি মোবাইল ফোনে তুলেন দুই কথিত সাংবাদিক।
সাক্ষাতকার শেষে কমান্ডার সনদপত্র কোথায় জানতে চান তারা। এমন কোনো সনদ হয় না বলে বীর মুক্তিযোদ্ধা আবু জামাল উত্তর দেন। এক পর্যায়ে পরিবারের সদস্যদের থেকে বীর মুক্তিযোদ্ধা জামালকে আড়ালে নিয়ে যান উজ্জ্বল। কথিত সাংবাদিক উজ্জ্বল দেশের পরিস্থিতির কথা উল্লেখ করে মুক্তিযোদ্ধার কাছে ১২ হাজার টাকা চাঁদা দাবি করেন।
চাঁদা না দিলে মুক্তিযোদ্ধার নাম ভুয়া মুক্তিযোদ্ধার তালিকায় দিয়ে দিবে বলে ভয় দেখান উজ্জ্বল। মুক্তিযোদ্ধা এক পর্যায়ে কথিত সাংবাদিক উজ্জ্বলকে ৫ হাজার টাকা দেন। বিষয়টি নিয়ে সন্দেহ হলে মুক্তিযোদ্ধার ছেলে মোহাম্মদ জহিরুল স্থানীয়দের সাথে নিয়ে তাদের আটক করেন। জিজ্ঞাসাবাদে তারা জানতে পারেন তারা ভুয়া সাংবাদিক এবং সাংবাদিক পরিচয় দিয়ে তারা চাঁদাবাজি করেন।
পরে জাতীয় জরুরী সেবা ৯৯৯ এ ফোন করে তারা সহায়তা চান। রাতে পুলিশ পৌঁছে দুইজনকে আটক করে থানায় নিয়ে আসে। রোববার সকাল ১১টায় মুক্তিযোদ্ধার ছেলে বাদী হয়ে সদর থানায় একটি মামলা দায়ের করেন।
এ ব্যাপারে সদর মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোঃ মোজাফফর হোসেন বলেন, তারা সাংবাদিক পরিচয় দিয়ে মুক্তিযোদ্ধাদের নাম ভুয়া মুক্তিযোদ্ধার তালিকায় তুলে দিবে হুমকি দিয়ে চাঁদাবাজি করেছেন। মুক্তিযোদ্ধার ছেলের মামলায় গ্রেপ্তার দেখিয়ে তাদেরকে আদালতের মাধ্যমে জেলা কারাগারে পাঠানো হয়েছে।
বিজয়নগর প্রতিনিধি :
বিজয়নগরে নদীর পাড় থেকে মাটি কাটার দায়ে এক ইটভাটাকে ৫০ হাজার টাকা জরিমানা ও মাটির কাটার কাজে ব্যবহৃত একটি ভেকু জব্দ করেছে ভ্রাম্যমাণ আদালত। ২৮ জানুয়ারি শনিবার দুপুর ২ টায় উপজেলা সহকারি কমিশনার (ভূমি) ও নির্বাহী ম্যাজিষ্ট্রেট মেহেদী হাসান খান শাওন এই ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করেন।
ভ্রাম্যমাণ আদালত সূত্রে জানা গেছে, উপজেলার বুধন্তী ইউনিয়নের সোনাই নদীর পাড় থেকে অবৈধভাবে মাটি কাটার খবর পেয়ে উপজেলা সহকারি কমিশনার (ভূমি) ও নির্বাহী ম্যাজিষ্ট্রেট মেহেদী হাসান খান শাওন সেখানে ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করে একটি ভেকু জব্দ করেন ও নদীর পাড়ের মাটি কেনার দায়ে পার্শ্ববতী মেসার্স জামান বিকস্ ফিল্ডের কর্মচারী মোঃ সালেক (২৬) কে ৫০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়।
ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনাকালে উপজেলা নির্বাহী অফিসার (ইউএনও) এ.এইচ ইরফান উদ্দিন আহমেদ, ইসলামপুর পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ রঞ্জন কুমার ঘোষ, বুধন্তী ইউনিয়ন ভূমি অফিসের তহশিলদার কাজল কুমার বণিক উপস্থিত ছিলেন।
চলারপথে রিপোর্ট :
বিজয়নগর উপজেলার ছতরপুর জামিয়া রশিদীয়া মাদরাসার ছাত্র মুজাহিদ। বয়সমাত্র ৯বছর। আর এই অল্প বয়সেই হাফেজে কুরআন হওয়ার গৌরব অর্জন করে এলাকাবাসীকে তাক লাগিয়ে দিয়েছে এই বালক। তার এ কৃতিত্বে অভিভাবকসহ শিক্ষক ও সহপাঠীরা আনন্দিত। তার উজ্জল ভবিষ্যৎ কামনা করে দেশবাসীর কাছে দোয়া চেয়েছেন তার পরিবার।
মুজাহিদ ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার বিজয়নগর উপজেলার বিষ্ণুপুর ইউনিয়নের মহেষপুর পাক্কাবাড়ীর ইসমাঈল ভুঁইয়ার ছেলে। তিনি জানান, ছোটবেলা থেকেই কোরআন হিফজের বিষয়ে মুজাহিদের প্রবল ইচ্ছা ও আকর্ষণ ছিল। মাদরাসায় ভর্তির জন্য মুজাহিদ নিজেই বায়না ধরলে তাকে ২০২২ সালে জামিয়া রশিদিয়া ছতরপুর মাদ্রাসার (নুরানি) বিভাগে ভর্তি করানো হয়। শুরুতে তাকে বাংলার পাশাপাশি পবিত্র কোরআনের রিডিং পড়ানো হয়। এর পরে হিফজের উপযুক্ত হলে আল্লাহর রহমতে ১৪ মাসের মধ্যেই কোরআনের হাফেজ হয়ে ওঠে।
তার শিক্ষক হুসাইন আহমাদ বলেন, মুজাহিদের বাবা পেশায় একজন রাজ মিস্ত্রি। দিন এনে দিন খাওয়া পরিবার। তার লেখা পড়ার যাবতীয় খরচ আমাদের পক্ষ থেকে বহন করা হয়েছে। সে অত্যন্ত মেধাবী ছেলে। সঠিক পরিচর্যা হলে সে জগত বিখ্যাত একজন আলেম হতে পারবে বলে আমার দৃঢ় বিশ্বাস। আমাদের মাদ্রাসায় মুজাহিদ সহ আরো অনেক এতিম ও গরীব অসহায় মেধাবীদের যাবতীয় খরচ আমরা বহন করে থাকি।
হাফেজ মুজাহিদ বলেন, আমি চেষ্টা করেছি, আল্লাহ সহায় ছিলেন বলেই মহাগ্রন্থ কোরআন আয়ত্ত করতে পেরেছি। ইসলামের দাওয়াত পৌঁছে দেওয়ার জন্য আলেম হওয়ার স্বপ্ন তার।
মাদরাসার প্রিন্সিপাল মুফতি রহমতুল্লাহ কাসেমীর কাছে জানতে চাইলে বলেন, ছেলেটি অত্যন্ত নম্র-ভদ্র। পড়ালেখার সমস্ত খরচ তার বিভাগীয় প্রধান শিক্ষক হুসাইন আহমাদ এর বড় ভাই বহন করেছেন। আল্লাহ পাক ওনার এই সহযোগিতা কে কবুল করুন এবং তাকেও দ্বীনের দায়ী হিসেবে যেন আমরা গড়ে তুলতে পারি সকলের নিকট দোয়া চাই।