চলারপথে রিপোর্ট :
নাসিরনগরে ভাষা শহীদদের স্মরণে বঙ্গবন্ধু নক-আউট ক্রিকেট টুর্নামেন্টের উদ্বোধন করা হয়েছে।
আজ ২২ ফেব্রুয়ারি বুধবার সকালে উপজেলার গোকর্ন ইউনিয়নের সূচীউড়া স্পোর্টিং ক্লাবের আয়োজনে চৈয়ারকুড়ি আলীয়া মাদ্রাসা সংলগ্ন মাঠে এই টুর্নামেন্টের আয়োজন করা হয়।
সকালে প্রধান অতিথি হিসেবে গোর্কণ ইউনিয়ন আওয়ামীলীগের সভাপতি আমিনুল ইসলাম বেলায়েত ক্রিকেট টুর্ণামেন্টের উদ্বোধন করেন।
উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে উপজেলা যুবলীগ নেতা বকুল চৌধুরীর সঞ্চালনায় বক্তব্য রাখেন আওয়ামীলীগ নেতা দিলীপ বন্ধু বিশ্বাস, বিপ্লব দেব, গোর্কণ ইউনিয়ন যুবলীগ সভাপতি মাহবুবুর রহমান, সাধারণ সম্পাদক ফয়েজ আহমেদ, ইউনিয়ন সেচ্ছাসেবক লীগের সহ-সভাপতি সৈয়দ পলাশ, সাধারণ সম্পাদক জহির খান প্রমুখ।
উদ্বোধনী ম্যাচে গোর্কণ সিক্সার্স ক্লাব বনাম চৈয়ারকুড়ি কাকলী স্পোটিং ক্লাব অংশ গ্রহণ করে। খেলায় চৈয়ারকুড়ি কাকলী স্পোটিং ক্লাব নির্ধারিত ১৪ ওভারে ৭৫ রান করে অল আউট হয়।
জবাবে গোর্কণ সিক্সার্স ক্লাব ১৪ ওভারে ৮ উইকেটে ৭৬ রান করতে সক্ষম হয়। আম্পায়ার ছিলেন মাহিদ চৌধুরী, জলিল মিয়া। স্কোরার ছিলেন শেখ আনিসুল ইসলাম।
উল্লেখ্য, বঙ্গবন্ধু নক-আউট ক্রিকেট টুর্ণামেন্টের মোট ৩২টি দল অংশ গ্রহন করে।
চলারপথে রিপোর্ট :
ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার নাসিরনগর উপজেলার নাসিরপুর সাহেব বাড়ির কৃতি সন্তান সৈয়দ শাহ আবদুল্লাহ কল্যাণ ট্রাস্টের সভাপতি দানবীর মরহুম আলহাজ্ব সৈয়দ আবু এমাদের মাগফিরাত কামনায় আলোচনা সভা ও দোয়া মাহফিল অনুষ্ঠিত হয়েছে।
৫ মার্চ মঙ্গলবার বিকালে স্থানীয় এলাকাবাসীর আয়োজনে সুচীউড়া গাউছিয়া আজিজিয়া আবদুল্লাহ (রহ:) দাখিল মাদ্রাসা মাঠে সৈয়দ আবু এমাদের জীবন ও কর্ম শীর্ষক আলোচনা সভা ও দোয়া মাহফিল অনুষ্ঠিত হয়।
পীরজাদা সৈয়দ সিরাজুল ইসলাম কনা মিয়ার সভাপতিত্বে মো: মিছির উদ্দিন মাষ্টারের পরিচালনায় আলোচনা সভা ও দোয়া মাহফিলে প্রধান অতিথি ছিলেন গাউছিয়া আজিজিয়া আবদুল্লাহ (রহ:) দাখিল মাদ্রাসার প্রতিষ্টাতা সভাপতি পীরে তরিকত আলহাজ্ব মাওলানা সৈয়দ আবুল মোজাররদ আশিক বিল্লাহ।
বিশেষ অতিথি‘র বক্তব্য রাখেন বৃন্দাবন সরকারি কলেজের অধ্যক্ষ প্রফেসর সৈয়দ ছগির আহমেদ, প্রভাষক মাওলানা এখলাছুর রহমান, গাউছিয়া আজিজিয়া আবদুল্লাহ (রহ:) দাখিল মাদ্রাসার সুপার মো: শাহ আলম, সাবেক প্রধান শিক্ষক সৈয়দ শওকতুল ইসলাম,গোর্কণ ইউনিয়ন আওয়ামীলীগ সভাপতি মো: আমিনুল ইসলাম বেলায়েত,গাউছিয়া আজিজিয়া আবদুল্লাহ (রহ:) দাখিল মাদ্রাসার সহ-সভাপতি মো: আতিকুর রহমান খসরু,সমাজসেবক হুমায়ুন রেজা চৌধুরী, মো: আকতার হোসেন,শিক্ষক হোসাইন আহমেদ ও হাবিবুর রহমান মাষ্ঠার।
আলোচনা সভা শেষে মরহুমের রুহের মাগফিরাত কামনা করে দোয়া ও মোনাজাত পরিচালনা করেন অনুষ্ঠানের প্রধান অতিথি পীরে তরিকত আলহাজ্ব মাওলানা সৈয়দ আবুল মোজাররদ আশিক বিল্লাহ ।
দোয়া মাহফিলে এলাকার গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গ উপস্থিত ছিলেন।
চলারপথে রিপোর্ট :
নাসিরনগরে চিতনা থেকে রসুলপুর পর্যন্ত প্রায় দুই কিলোমিটার সড়কে আটটি বৈদ্যুতিক খুঁটি রেখেই চলছে উন্নয়ন কাজ। এতে ওই সড়ক দিয়ে যান চলাচলের সময় ঘটছে দুর্ঘটনা।
এ অবস্থায় বৈদ্যুতিক খুঁটিগুলো দ্রুত সরিয়ে ফেলার দাবি করেছেন স্থানীয় বাসিন্দারা। কাজটি তদারক করছে উপজেলা প্রকৌশল বিভাগ।
নাসিরনগর উপজেলার স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তর (এলজিইডি) সূত্রে জানা গেছে, প্রায় সাড়ে আট কোটি টাকা ব্যয়ে দুই মাস আগে এপ্রিলের প্রথম সপ্তাহ থেকে রাস্তার নির্মাণ কাজ শুরু হয়। গুনিয়াউক ইউনিয়নের চিতনা গ্রাম থেকে ফান্দাউক ইউনিয়নের রসুলপুর গ্রাম পর্যন্ত প্রায় দুই কিলোমিটার রাস্তা নির্মাণ করা হচ্ছে। কাজটি পায় হাসান এন্টারপ্রাইজ নামে একটি ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান। এর আগে রাস্তা ছোট ছিল। তখন রাস্তার এক পাশে ছিল বৈদ্যুতিক খুঁটি। এখন যেহেতু রাস্তা প্রশস্ত করা হয়েছে তাই কিছু খুঁটি ভেতরে পড়েছে। নির্মাণ সম্পন্ন করার আগে খুঁটি সরানো হবে বলে জানিয়েছেন উপজেলা প্রকৌশলী।
গত মঙ্গলবার ওই এলাকায় গিয়ে দেখা যায়, চিতনা থেকে রসুলপুর পর্যন্ত রাস্তার মাটি ভরাটের কাজ প্রায় শেষ পর্যায়ে। এই রাস্তার কাজ শুরু হয়েছে চিতনা ও চাপরতলা গ্রামের সংযোগকারী একটি সেতুর গোড়া থেকে। সেতু থেকে নামতেই রাস্তার মাঝ অংশে দাঁড়িয়ে রয়েছে একটি বৈদ্যুতিক খুঁটি। কিছু দূর যেতেই রাস্তার মাঝ অংশে আরো কয়েকটি খুঁটি দেখা যায়। বৈদ্যুতিক খুঁটি থাকায় রাস্তার ওই অংশ দিয়ে পথচারী ও যানবাহন ঝুঁকি নিয়ে চলাচল করছে। স্থানীয় বাসিন্দারা খুঁটিগুলো সরিয়ে নেওয়ার দাবি জানালেও সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ পদক্ষেপ নিচ্ছে না।
চিতনা গ্রামের স্থানীয় বাসিন্দা খায়রুল ইসলাম বলেন, রাস্তার মধ্যে ৭-৮টা খুঁটি রেখেই নির্মাণকাজ চলছে। গত দুই-তিন দিন ধরে বৃষ্টি হচ্ছে। রাস্তায় মাটির কাজ চলায় কাদা হয়ে গেছে। এই কর্দমাক্ত রাস্তায় বিদ্যুতের খুঁটি থাকায় খুবই ঝুঁকিপূর্ণ হয়ে উঠেছে। প্রতিদিন ছোট-বড় দুর্ঘটনা ঘটছে। বারবার বলার পরও খুঁটিগুলো সরানো হচ্ছে না।
অপর বাসিন্দা শহিদুল ইসলাম বলেন, ‘রাস্তার মইধ্যে বিদ্যুতের খুডি (খুঁটি) রাইখা কীভাবে রাস্তার কাজ করে আমার বুঝে আসে না।’
গুনিয়াউক ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান জিতু মিয়া জানান, রাস্তার মাঝ অংশে বেশকিছু পল্লী বিদ্যুতের খুঁটি রেখে নির্মাণকাজ চলছে। এটা বিদ্যুৎ অফিসের ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে জানাবেন এবং দ্রুত খুঁটি সরিয়ে জনদুর্ভোগ কমাতে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের অনুরোধ করব।
এ বিষয়ে নাসিরনগর পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির জোনাল ম্যানেজার তৌহিদ উল্লাহ খান বলেন, চিতনা থেকে রসুলপুর পর্যন্ত রাস্তা নির্মাণ হচ্ছে এমন কোনো তথ্য তাঁদের জানা নেই। রাস্তা নির্মাণকারী কোনো সংস্থা তাঁদের এ বিষয়ে কিছু জানায়নি। পল্লী বিদ্যুতের প্রধান কার্যালয়ে কোনো পক্ষ যোগাযোগ করেছে কিনা তাঁর জানা নেই। তবে রাস্তা নির্মাণকারী প্রতিষ্ঠানকে নিজ খরচে বিদ্যুতের খুঁটি সরাতে হবে।
নাসিরনগর উপজেলা প্রকৌশলী রবিউল হোসাইন বলেন, রাস্তার মাটির কাজ শেষ হয়েছে। পুরো কাজ শেষ হতে আরও সময় লাগবে। কাজ শেষ হওয়ার আগেই রাস্তায় যে সব বৈদ্যুতিক খুঁটি পড়বে তা সরিয়ে কার্পেটিংয়ের কাজ করা হবে।
চলারপথে রিপোর্ট :
‘গাছের হেলথ কার্ড’ কথাটি শুনলেই অনেকের মনে প্রশ্ন জাগতে পারে-এটি আবার কী?
কিন্তু বাস্তবেই শিক্ষার্থীদের হাতে গাছের চারা তুলে দেওয়ার পাশাপাশি প্রথমবারের মতো গাছের হেলথ কার্ডের প্রবর্তন করেছেন নাসিরনগর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মুহাম্মদ ইমরানুল হক ভূঁইয়া।ব্যতিক্রমী এ হেলথ কার্ডে গাছের নাম, রোপণকারী শিক্ষার্থী নাম, রোপণের তারিখ ও পরিদর্শকের স্বাক্ষর দেওয়ার জায়গা রয়েছে।
আজ ৬ অক্টোবর রবিবার দুপুরে নাসিরনগর উপজেলার চাতলপাড় ডিগ্রি কলেজের শিক্ষার্থীদের মধ্যে উপজেলা প্রশাসনের দেওয়া দুই শতাধিক গাছের ছাড়া তুলে দেন ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ মো. আমিনুল হক তালুকদার।
নাসিরনগর উপজেলার বিভিন্ন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থীদের মধ্যে ফলদ, বনজ ও ঔষধিজাতীয় প্রায় ৬ হাজার গাছের চারা বিতরণ করা হয়। বিভিন্ন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের শিক্ষকরা রোপণকৃত এ গাছ পরিদর্শন করবেন এবং গাছের হেলথ কার্ডে স্বাক্ষর করবেন। সমষ্টিক মূল্যায়ন হিসেবে শিক্ষার্থীরা পাবে পাঁচ নম্বর। মূলত গাছে পরিচর্যা নিশ্চিত করার জন্যই এ উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে।
উপজেলার কয়েকটি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থীরা জানান, ইউএনও স্যারের কাছ থেকে গাছ পেয়ে আমরা অনেক খুশি। সঙ্গে একটি গাছের হেলথ কার্ড দেওয়া হয়েছে। যেটি আমরা সংরক্ষণ করে রাখব। ফলে গাছটির প্রতি আমাদের আলাদা আগ্রহ থাকবে।
চাতলপাড় ডিগ্রি কলেজের ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ মো. আমিনুল হক তালুকদার বলেন, অনেক সময় আমরা শিক্ষার্থীদের গাছ দিলে বাড়ি নিয়ে লাগানোর পর আর পরিচর্যা নেয় না। গাছের হেলথ কার্ডের ফলে শিক্ষার্থীদের মনে থাকবে যে এটি দেখতে আমার শিক্ষক আসবে, ফলে গাছটির সঠিক পরিচর্যা করবে।
সাংবাদিক বরুণ কান্তি সরকার বলেন, এটি আসলেই একটি ব্যতিক্রমী ও সৃজনশীল উদ্যোগ। এর আগেও তিনি অমর একুশে বইমেলা ও পবিত্র কুরআনুল কারিম তিলাওয়াত প্রতিযোগিতার আয়োজনের মাধ্যমে ব্যাপক প্রশংসা পেয়েছেন।
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মুহাম্মদ ইমরানুল হক ভূঁইয়া বলেন, পৃথিবীকে রক্ষায় আমাদের যে আন্দোলন তার একটি পদক্ষেপ এটি। আমাদের এ পৃথিবীকে বাসযোগ্য করার জন্য বৃক্ষরোপণ প্রয়োজন। অনেক সময় দেখা যায় শিক্ষার্থীরা নিয়ে গিয়ে আর যত্ন নেয় না। গাছের হেলথ কার্ডের ফলে আমার ওই শিক্ষার্থী গাছটি যত্ন নেবে।
চলারপথে রিপোর্ট :
ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার নাসিরনগরে উপজেলা পরিষদ নিবার্চন অবাধ, সুষ্ঠু, নিরপেক্ষ, অংশগ্রহণমূলক ও গ্রহণযোগ্য করার লক্ষ্যে ভোট গ্রহনকারী কর্মকর্তাদের তিনদিন ব্যাপী প্রশিক্ষণ কর্মশালা শুরু হয়েছে।
আজ ২ মে বৃহস্পতিবার সকালে নাসিরনগর উপজেলা পরিষদ অডিটোরিয়ামে ও স্থানীয় আশুতোষ পাইলট উচ্চ বিদ্যালয়ে উপজেলা প্রশাসন ও উপজেলা নির্বাচন অফিস প্রিজাউডিং কর্মকর্তা, সহকারী প্রিজাইডিং কর্মকর্তা ও পুলিং কর্মকর্তাদের প্রশিক্ষণের আয়োজন করেন।
এতে প্রধান অতিথি হিসেবে তিন দিনব্যাপী প্রশিক্ষণের উদ্বোধনী কর্মশালায় ভার্চুয়ালি বক্তব্য রাখেন ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ হাবিবুর রহমান।
বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন, জেলা নির্বাচন কর্মকর্তা ও জেলা রির্টানিং কর্মকর্তা মোহাম্মদ সাদেকুল ইসলাম, উপজেলা নির্বাহী অফিসার ও নিবার্চন সমন্বয়কারী মোঃ ইমরানুল হক ভূইয়া, উপজেলা নির্বাচন কর্মকর্তা ও সহকারী রির্টানিং কর্মকর্তা মোঃ শহীদুল ইসলাম ও নবীনগর উপজেলা নির্বাচন কর্মকর্তা মোঃ আজগর আলী।
প্রথমদিন প্রশিক্ষণে ১০৩ জন প্রিজাইডিং কর্মকর্তা, ২৪০ জন সহকারী প্রিজাইডিং কর্মকর্তা এবং ৪৪৩ জন পোলিং কর্মকর্তা অংশগ্রহন করেন।
প্রশিক্ষণ কর্মশালায় জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ হাবিবুর রহমান ভোট গ্রহন কর্মকর্তাদের অবাধ, সুষ্ঠু এবং নিরপেক্ষ নির্বাচন অনুষ্ঠানের লক্ষ্যে নিজ নিজ দায়িত্ব, কর্তব্য সততা এবং নিষ্ঠার সাথে দায়িত্ব পালনের পাশাপাশি করণীয় সর্ম্পকে প্রয়োজনীয় দিক-নির্দেশনা প্রদান করেন।
উপজেলা নির্বাচন কর্মকর্তা ও সহকারী রির্টানিং কর্মকর্তা মোঃ শহীদুল ইসলাম জানান, আগামী ৮ মে ভোট গ্রহণ অনুষ্ঠিত হবে। এ লক্ষ্যে ১০৩ জন প্রিজাইডিং কর্মকর্তা,৭১২ জন সহকারী প্রিজাইডিং কর্মকর্তা এবং ১৪২৬ জন পোলিং কর্মকর্তাদের দুই শিফটে প্রশিক্ষণ দেয়া হচ্ছে।
উল্লেখ্য, নাসিরনগর উপজেলায় ৯৩টি কেন্দ্রে মোট ভোটার সংখ্যা ভোটার ২ লাখ ৫৬ হাজার ২৬৬ জন। এর মধ্যে পুরুষ ভোটার ১ লাখ ৩৫ হাজার ৫শ ১৯ জন ও মহিলা ভোটার ১ লাখ ২০ হাজার ৭শ ৪৫ জন এবং তৃতীয় লিঙ্গ ২ জন।
নাসিরনগর প্রতিনিধি :
নাসিরনগরে সিএনজি চালিত অটোরিক্সা আটকে গণডাকাতি হয়েছে বলে অভিযোগ উঠেছে। আজ ২৭ জানুয়ারি শুক্রবার ভোররাতে উপজেলার চাপরতলা ইউনিয়নের চাপড়তলা-ছাতিয়াইন সড়কের বুড়ইউরি গ্রামের পাশে এই ঘটনা ঘটে। ডাকাতরা কমপক্ষে ৩০টি অটোরিক্সা আটকে এর যাত্রীদেরকে মারধোর করে তাদের কাছ থেকে স্বর্ণালংকার, মোবাইল ফোন ও প্রায় নগদ ৩ লাখ টাকা নিয়ে যায়। ডাকাতদের মারধোর ও দায়ের কোপে মহিলাসহ কমপক্ষে ৩০জন আহত হয়েছে। তবে পুলিশের দাবি ডাকাতদের হামলায় ৪/৫ জন আহত হয়েছে। ডাকাতরা কয়েকটি সিএনজি চালিত অটোরিক্সা ছিনিয়ে নিতে চেয়েছিলো কিন্তু নিতে পারেনি।
এলাকাবাসী ও স্থানীয় জনপ্রতিনিধি সূত্রে জানা গেছে, বৃহস্পতিবার রাতে উপজেলার চাপরতলা ইউনিয়নের খান্দুরা গ্রামে ওয়াজ মাহফিল অনুষ্ঠিত হয়। ওয়াজ মাহফিল শুনতে সেখানে হাজারো ধর্মপ্রাণ মানুষ সমবেত হন। ওয়াজ শুনে ভোর রাত ৪টার দিকে মুসল্লীরা অটোরিক্সায় করে বাড়িতে ফেরার পথে চাপরতলা-ছাতিয়াইন সড়কের বুড়ইউরি গ্রামের পাশে পৌছলে ২০/২৫ জনের একটি ডাকাত দল যাত্রীবাহী ৩০টি অটোরিক্সা আটক করে। পরে যাত্রীদেরকে নামিয়ে সড়কের পাশের জমিতে নিয়ে চোখ বেঁধে তাদের কাছ থেকে মোবাইল ফোন, নারীদের কাছ থেকে স্বর্ণালংকার ও নগদ টাকা লুটে নেয়।
যাত্রীদের চিৎকার শুনে তাদেরকে উদ্ধার করতে গেয়ে ডাকাতরা সাদ্দাম মিয়া নামে এক যুবকের হাতে রামদা দিয়ে কোপ দিলে তার হাতের চারটি আঙ্গুল বিচ্ছিন্ন হয়ে যায়। ডাকাতদের মারধোরে আহতদের মধ্যে আলফাজ মিয়া, ফয়েজ মিয়া, ছোয়াব মিয়া, আলাল মিয়া, রমজান মিয়া, জোবাইদ মিয়া, আনালক মিয়া, আবু কালাম মিয়া, ভুট্টু মিয়া, হৃদয় মিয়া, আনাল হক, সাদ্দাম মিয়া, আনোয়ারা বেগম, শরিফা বেগম, ইন্তেজ আলী, লায়েছ মিয়া, ফায়েজ মিয়া ও আব্দুল মালেক মিয়ার নাম জানা গেছে।
শুক্রবার সকালে স্থানীয়রা আহতদের উদ্ধার করে নাসিরনগর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে আসে। এর মধ্যে আঙ্গুল হারারো সাদ্দামকে উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢাকা প্রেরণ করা হয়। নাসিরনগর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে আহত আলফাজ মিয়া ও আলাল মিয়া বলেন, খান্দুরা গ্রামে ওয়াজ মাহফিল শুনে শুক্রবার ভোররাতে অটোরিক্সা যোগে বাড়িতে আসার সময় চাপরতলা-ছাতিয়াইন সড়কের বুড়ইউরি গ্রামের পাশে পৌছলে ২০/২৫ জনের একটি ডাকাত দল আমাদের অটোরিক্সা গুলো আটক করে। পরে আমাদেরকে অটোরিকসা থেকে নামিয়ে পাশের জমিতে নিয়ে চোখ বেঁধে আমাদের কাছ থেকে মোবাইল ফোন, নগদ টাকা ও নারীদের স্বর্ণালংকার নিয়ে যায়। যাত্রীদের বাঁচাতে গিয়ে সাদ্দাম নামে এক যুবক এগিয়ে আসলে ডাকাতরা রামদা দিয়ে কোপ দিয়ে তার হাতের ৪টি আঙ্গুল বিচ্ছিন্ন করে। তিনি বলেন, তাদের সাথে প্রায় একশত যাত্রী ছিলো। ডাকাতরা সবার মোবাইল ফোন ও টাকা পয়সা নিয়ে যায়। তাদের মারধোরে কমপক্ষে ৩০জন যাত্রী আহত হন। তিনি বলেন, শুনেছি এই রাস্তায় প্রায়ই অটোরিক্সায় ডাকাতি হয়। এই রাস্তায় রাতের বেলা টহল পুলিশ থাকলে ডাকাতির ঘটনা ঘটতোনা।
এ ব্যাপারে চাপরতলা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মোঃ মনসুর আলী ও ইউপি সদস্য মোঃ হাবিব মিয়া আহত যাত্রীদের বরাত দিয়ে জানান, শুনেছি ভোররাতে ওয়াজ মাহফিল থেকে বাড়ি ফেরার পথে যাত্রীবাহী ৩০টি অটোরিক্সা ডাকাতের কবলে পড়ে। ডাকাতরা তাদের কাছে থাকা নগদ টাকা পয়সা, মোবাইল ফোন ও স্বর্ণালংকার নিয়ে যায়।
এ ব্যাপারে নাসিরনগর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোঃ হাবিবুল্লাহ সরকার জানান, শুক্রবার ভোররাতে বড়ইউরি গ্রামের পাশে অটোরিক্সায় ডাকাতি হয়েছে বলে শুনেছি। এ সময় ডাকাতদের হামলায় ৩ জন আহত হয়েছে। ডাকাতরা কয়েকটি সিএনজি চালিত অটোরিক্সা ছিনিয়ে নিতে চেয়েছিলো কিন্তু নিতে পারেনি। আমরা বিষয়টি তদন্ত করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেব।