চলারপথে রিপোর্ট :
সৌদি আরবে সড়ক দুর্ঘটনায় বাংলাদেশী যুবকের মৃত্যুর খবর পাওয়া গেছে। এতে এলাকায় চলছে শোকের মাতম। ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার বাঞ্ছারামপুর উপজেলার গকুলনগর গ্রামের খুরশিদ মিয়ার ছেলে সাইদুল ইসলাম (২২) সৌদি আরবে সড়ক দুর্ঘটনায় নিহত হয়।
এলাকাবাসী ও সৌদী আরবের সিসিটিভি ভিডিও ফুটেজ সূত্রে জানা যায় ৪ অক্টোবর রাত আটটার দিকে সৌদি আরবে বাইসাইকেল চালিয়ে মার্কেটে যাওয়ার সময় ঝড়ো গতিতে ছুটে আসা এক প্রাইভেট কার পিছন থেকে ধাক্কা দিলে এ দুর্ঘটনা ঘটে। এতে সাইকেল থেকে ছিটকে পড়ে মারাত্মক জখম হয় সাইদুল। অজ্ঞান অবস্থায় রাস্তায় পড়ে থাকতে দেখে পথচারীগণ পুলিশে খবর দেয়।
পুলিশ এসে সাইদুলকে হাসপাতালে নিয়ে আইসিইউতে ভর্তি করান। ৫ দিন মৃত্যুর সাথে পাঞ্জা লড়ে ৯তারিখ রাত আটটায় না ফেরার দেশে চলে যায় সাইদুল। নিহতের বাড়িতে গিয়ে দেখা যায় পুত্রের মৃত্যু শোকে বারবার মূর্ছা যাচ্ছে বাবা-মা।
এ ব্যাপারে নিহতের চাচাতো ভাই মুকুল মিয়া বলেন ভাগ্যের অন্বেষণে ২০১৯ সালে সৌদি আরব যায় সাইদুল, বাড়ীতে আসবে বলে কেনাকাঁটার জন্য পাশের মার্কেটে যাওয়ার সময় পিছন থেকে একটি প্রাভেট কার ধাক্কা দিলে সাইদুল ছিটকে দুরে পড়ে যায়।
বাঞ্ছারামপুর মডেল থানার অফিসার ইনচার্জ মো: নাছির উদ্দিন বলেন, আমি ঘটনাটি শুনেছি, নিহতের মরদেহ বাংলাদেশে আনতে প্রয়োজনীয় আইনি সহায়তা আমি করব।
চলারপথে রিপোর্ট :
দেশের শীর্ষস্থানীয় মিডিয়া হাউজ ইস্ট ওয়েষ্ট মিডিয়া গ্রুপ কমপ্লেক্সে দুর্বৃত্তদের হামলার ঘটনার প্রতিবাদে ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার বাঞ্ছারামপুরে সাংবাদিকবৃন্দ ও ছাত্র জনতা মানববন্ধন করেছে। আজ ১ সেপ্টেম্বর রবিবার বাঞ্ছারামপুর সরকারি কলেজ মাঠে এই মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়।
এ ঘটনায় হামলায় জড়িতদের সঠিক তদন্তের মাধ্যমে অবিলম্বে গ্রেফতার করে আইনের আওতায় এনে বিচারের দাবি করেছেন বক্তারা। সাংবাদিকরা সরকারের কাছে বাংলাদেশের সকল সাংবাদিক এবং মিডিয়া প্রতিষ্ঠানের নিরাপত্তার নিশ্চিতে জোর দাবি জানান।
এতে উপস্থিত ছিলেন এম এ আউয়াল, রিপন মিয়া, মো. জহিরুল হক, মোল্লা মোঃ নাছির, দিলীপ কুমার সূত্রধর, মীর মোশারফ হোসনে, মোঃ শামিম শিবলী, মোঃ শফিকুল ইসলাম, সুমন চক্রবর্তী, আশিকুর রহমান, মাহবুবুর রহমান বাবু, মোঃ নাছির উদ্দিন, মোঃ বাহারুল ইসলাম, মোঃ পলাশ সরকার এবং আতাউর রহমান সনেট প্রমুখ।
বাঞ্ছারামপুর সরকারি কলেজের একাডেমিক কাউন্সিলের সম্পাদক ও হিসাব বিজ্ঞান বিভিাগরে বিভাগীয় প্রধান মো. চাঁন মিয়া সরকার বলেন, হামলাকারীদের সঠিক তদন্তের মাধ্যমে বিচারের আওতায় এনে বিচার করতে হবে। তা না হলে মিডিয়া প্রতিষ্ঠান ও সাংবাদিকরা উভয়ই ক্ষতিগ্রস্ত হবে। ঝুঁকি নিয়ে বস্তুনিষ্ঠ সংবাদ সংগ্রহ ও পরিবেশন করতে উৎসাহ হারাবে সাংবাদিকরা।
চলারপথে রিপোর্ট :
বাঞ্ছারামপুরে সোনারামপুর ইউনিয়নে এক গৃহবধূকে (১৯) বাড়ি থেকে তুলে নিয়ে ধর্ষণ করেছে বখাটেরা। এছাড়া ধর্ষণের সময় ধারণ করা ভিডিও অনলাইনে ছেড়ে দেওয়ার ভয় দেখানোর অভিযোগে তিনজনকে আসামি করে মামলা হয়েছে।
এ ঘটনায় পুলিশ দুলারামপুর গ্রামের লবিশ মিয়ার ছেলে মনু মিয়া (২০), হবি মিয়ার ছেলে আলমগীর (২০) ও দুলাল মিয়ার ছেলে আরিফকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। তাদের আদালতে পাঠানো হয়।
ধর্ষণের শিকার ওই গৃহবধূর নানি বাদী হয়ে গত মঙ্গলবার রাতে তিনজনকে আসামি করে বাঞ্ছারামপুর মডেল থানায় মামলা দায়ের করেন। ওই গৃহবধূকে মেডিকেল পরীক্ষার জন্য ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।
পুলিশ ও মামলা সূত্রে জানা গেছে, সোনারামপুর ইউনিয়নে নানার বাড়িতে থাকতেন এই নারী। শনিবার রাত সাড়ে ১২টার দিকে প্রকৃতির ডাকে সাড়া দিতে ঘর থেকে বের হলে ওতপেতে থাকা এলাকার বখাটে মনু মিয়া, আলমগীর, আরিফ তাকে জোর করে মুখ চেপে ধরে পাশের জমিতে নিয়ে যায়। সেখানে তিনজন পালাক্রমে ধর্ষণ করে ওই নারীকে। এ সময় তারা ধর্ষণের ঘটনা ভিডিও করে রাখে।
ঘটনার পর নারী বিষয়টি চেপে গেলেও আসামিরা বিভিন্ন নম্বর থেকে ধারণ করা ভিডিও দেখিয়ে ওই নারীকে তাদের সঙ্গে পুনরায় দেখা করতে বলে। দেখা না করলে এই ভিডিও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ও ইন্টারনেটে ছড়িয়ে দেওয়ার ভয় দেখায়। নারী বিষয়টি তার পরিবারকে জানালে মঙ্গলবার রাতে বাঞ্ছারামপুর মডেল থানায় মামলাটি দায়ের করা হয়।
বাঞ্ছারামপুর মডেল থানার ওসি নুরে আলম জানান, অভিযোগ পেয়ে আমরা তাৎক্ষণিক অভিযান চালিয়ে রাতে অভিযুক্ত তিনজনকে গ্রেফতার করে বুধবার আদালতে প্রেরণ করেছি। তাদের বিরুদ্ধে গণধর্ষণ ও পর্নোগ্রাফি আইনে মামলা হয়েছে। আদালতে ১৬৪ ধারা জবানবন্দিতে আলমগীর ও আরিফ ধর্ষণের কথা স্বীকার করেছে।
চলারপথে রিপোর্ট :
আম পাড়াকে কেন্দ্র করে দুই পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। এ ঘটনায় সিয়াম ও রমিজ নামে দুইজন টেটাঁবিদ্ধসহ অন্তত ৮ জন আহত হয়েছেন। তাদের আশঙ্কাজনক অবস্থায় ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।
১৬ মে শুক্রবার দুপুরে ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার বাঞ্ছারামপুর উপজেলার ফরদাবাদ গ্রামের মধ্য পাড়ার পোড়া বাড়িতে এ সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে।
সংঘর্ষে অন্যান্য আহতরা হলেন- আরিফ হোসেন, আক্তার হোসেন, মতিন মিয়া, সুবর্না বেগম, দেলোয়ার হোসেন। আহতদের বাঞ্ছারামপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ও স্থানীয়ভাবে চিকিৎসা দেওয়া হয়।
স্থানীয়রা জানায়, ফরদাবাদ মধ্যপাড়া পোড়া বাড়ির হানিফ মিয়ার কাছ থেকে পুকুর পাড়ে দুই শতক জমি ক্রয় করেন মতিন মিয়া। এ নিয়ে হানিফ মিয়ার ছেলে রমিজদের সঙ্গে বিরোধ চলে আসছিল। শুক্রবার দুপুরে পুকুর পাড়ের আম গাছ থেকে মতিন মিয়া ও তার ভাতিজা আরিফ আম পাড়ার সময় রমিজের ছেলে সিয়াম ও চাচাতো ভাই রমিজ বাধা দেন। এ নিয়ে কথা কাটাকাটির একপর্যায়ে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। এ সময় সিয়াম ও রমিজ টেঁটাবিদ্ধ হয়।
বাঞ্ছারামপুর মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোরশেদুল আলম জানান, দুই পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষের খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পুলিশ পাঠানো হয়। এ ঘটনায় আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
চলারপথে রিপোর্ট:
ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার বাঞ্ছারামপুরে ৭ জুয়াড়িকে আটক করেছে পুলিশ।
আজ ৬ এপ্রিল শনিবার দুপুরে উপজেলার তেজকালি বাড়াইলচর এলাকা থেকে তাদের আটক করা হয়।
আটককৃতরা হলেন, জয়নাল আবেদীন সুমন উপজেলার বাড়াইলচর এলাকার মো. শরীফ মিয়ার ছেলে, একই এলাকার আবু মিয়ার ছেলে মো. শাহজাহান, গফর বেপারীর ছেলে ইদ্রিস মিয়া, কালু মিয়ার ছেলে জিল্লু মিয়া, বাড়াইলচর এলাকার আবু মিয়ার ছেলে মো. শাহজাহান, তেজখালী এলাকার মো. নবীর ছেলে সাব্বির, কলেজপাড়া এলাকার সাহেব আলীর ছেলে নবাব মিয়া।
ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে বাঞ্ছারামপুর থানার ওসি মহিউদ্দিন জানান, উপজেলার তেজকালি বাড়াইলচর এলাকায় গোপন সংবাদের ভিত্তিতে অভিযান পরিচালনা করে জুয়া খেলার সময় ৭ জনকে আটক করা হয়। পরে তাদের কাছ থেকে জুয়ার তাস ও নগদ টাকা উদ্ধার করা হয়। অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে মামলার প্রস্তুতি চলছে।
চলারপথে রিপোর্ট :
তৃতীয় দফার উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার আশুগঞ্জ ও বাঞ্ছারামপুর উপজেলায় চেয়ারম্যান পদে ১১জন প্রার্থী তাদের মনোনয়নপত্র দাখিল করেছেন।
এরমধ্যে আশুগঞ্জ উপজেলায় ৮জন এবং বাঞ্ছারামপুর উপজেলায় ৩জন প্রার্থী চেয়ারম্যান পদে তাদের মনোনয়নপত্র দাখিল করেছেন।
আশুগঞ্জ উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান পদে মনোনয়নপত্র দাখিলকারীরা হলেন বর্তমান চেয়ারম্যান ও উপজেলা আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি মোঃ হানিফ মুন্সী, সাবেক চেয়ারম্যান ও উপজেলা আওয়ামী লীগের সদস্য মোঃ আনিসুর রহমান, সাবেক চেয়ারম্যান ও উপজেলা বিএনপির বহিষ্কৃত নেতা ও সাবেক সভাপতি মোঃ আবু আসিফ আহমেদ, উপজেলার সদর ইউনিয়ন পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান মোঃ সালাউদ্দিন, উপজেলার দুর্গাপুর ইউনিয়ন পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান মোঃ জিয়াউল করিম খাঁন, মোঃ শাহ আলম, মোঃ জসিম উদ্দিন ও মোঃ শাহবুদ্দিন। আশুগঞ্জ উপজেলায় চেয়ারম্যানপদে মনোনয়নপত্র দাখিলকারী ৮জনের মধ্যে একজন হলেন বিএনপির বহিষ্কৃত নেতা ও বাকী ৭জন হলেন আওয়ামী ঘরনার।
এছাড়াও আশুগঞ্জ উপজেলায় ভাইস চেয়ারম্যান পদে ৮জন, সংরক্ষিত ভাইস চেয়ারম্যান পদে তিনজন মনোনয়নপত্র দাখিল করেছেন।
বাঞ্ছারামপুর উপজেলায় চেয়ারম্যান পদে মনোনয়নপত্র দাখিলকারিরা হলেন, বর্তমান চেয়ারম্যান ও উপজেলা আওয়ামীলীগের সভাপতি মোঃ সিরাজুল ইসলাম, আওয়ামীলীগ নেতা আমিনুল ইসলাম ও এ.বি.এম আলী কাউছার।
এছাড়াও বাঞ্ছারামপুর উপজেলায় ভাইস চেয়ারম্যান পদে দুইজন এবং সংরক্ষিত ভাইস চেয়ারম্যান পদে তিনজন মনোননয়নপত্র দাখিল করেন।
নির্বাচনের রিটার্নিং অফিসার ও অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট (এডিএম) জেসমিন সুলতানা পপি এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন। তিনি জানান, আগামী ২৯ মে ওই দুই উপেজলায় ভোটগ্রহন অনুষ্ঠিত হবে।