চলারপথে রিপোর্ট :
ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় ২ হাজার ৭২ পিস ইয়াবা ট্যাবলেট, ৪০৩ বোতল ইস্কফ সিরাপ, ১০০ কেজি গাঁজা, ২১ বোতল বিদেশী মদ এবং ২৩ বোতল বিয়ার উদ্ধার করেছে বিজিবির সরাইল ব্যাটালিয়নের (২৫ ব্যাটালিয়ন) সদস্যরা।
২১ ফেব্রুয়ারি মঙ্গলবার দিনব্যাপী জেলার বিজয়নগর ও আখাউড়া উপজেলার সীমান্তবর্তী কালাছড়া, ছানিপুর, নোয়াবাদী, রাজাপুর, কাশিনগর, হীরাপুর, আনোয়ারপুর, কামালমোড়া এবং বিষ্ণুপুর এলাকায় পৃথক অভিযান চালিয়ে বিপুল পরিমান এই মাদকদ্রব্য উদ্ধার করা হয়।
আজ ২২ ফেব্রুয়ারি বুধবার দুপুরে বিজিবির ২৫ ব্যাটালিয়ন থেকে পাঠানো প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে এই তথ্য নিশ্চিত করা হয়। প্রেসবিজ্ঞপ্তিতে উল্লেখ করা হয়, উদ্ধারকৃত মাদকদ্রব্যগুলো ধ্বংসের জন্য ব্রাহ্মণবাড়িয়া মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অফিসে জমা দেয়া হয়েছে।
চলারপথে রিপোর্ট :
আসন্ন ঈদুল আজহাকে সামনে রেখে বিজয়নগর উপজেলার বিভিন্ন খামারে চলছে গরু মোটাতাজাকরণ। খৈল, ভূষি, ঘাস, খড়, বন, লালিসহ বিভিন্ন প্রাকৃতিক খাবার দিয়ে পশু হৃষ্টপুষ্ট করা হচ্ছে।
বিজয়নগর উপজেলা প্রাণিসম্পদ অফিস সূত্রে জানা যায়, চাহিদার তুলনায় কোরবানি যোগ্য অতিরিক্ত পশু মজুদ রয়েছে উপজেলায়।
উপজেলার বিভিন্ন জায়গায় ৬২০টি খামার ছাড়াও অনেকেই পারিবারিক ভাবেও কোরবানির পশু পালন করছেন। তার মধ্যে ষাঁড় গরু ২৫৫৭টি, বলদ গরু ১৩৭৪টি গাভী গরু ২৩৬৬ টি এবং মহিষ ৮৭৯ টি ছাড়াও ছাগল রয়েছে ৩২৯৫ টি ও ভেড়া ২১৫১ সহ মোট ১২৬২২ টি পশু কুরবানির জন্য প্রস্তুত রয়েছে। তার বিপরীতে উপজেলায় কুরবানির জন্য চাহিদা রয়েছে ১০৫০০ টি পশু।
খামারগুলোতে গিয়ে দেখা যায়, প্রতিটি খামারের শ্রমিকরা পশুগুলোর পরিচর্যায় ব্যস্ত। কেউ গরুকে গোসল করাচ্ছেন, কেউ আবার খাওয়াচ্ছেন, কেউ বা পরিচ্ছন্ন করছেন।
কথা হয় খামার মালিক সেন্টু মিয়ার সাথে তিনি বলেন, আমাদের খামারে বিভিন্ন জাতের গরু রয়েছে। সবনিম্ন লাখ টাকা থেকে পাঁচ লাখ টাকারও গরু রয়েছে। তিনি আরো জানান, বিভিন্ন বাজারের পাশাপাশি অনলাইনের মাধ্যমে বিক্রি করতে হবে।
আরেক খামার মালিক মোঃ হাবিব শাহীন বলেন, স্বাস্থ্যবিধি মেনে আমার খামারে গরুর পরিচর্যা করা হচ্ছে। মোটাতাজা করতে কোনো প্রকার ক্ষতিকর উপাদান ব্যবহার না করে সম্পূর্ণ প্রাকৃতিক উপায়ে খাবার খাওয়ানো হচ্ছে। তবে এবার বাজারজাত নিয়ে উৎকণ্ঠায় আছি। শুনছি চাহিদার চেয়ে পশু উৎপাদন বেশী।
উপজেলা প্রাণিসম্পদ সম্পদ কর্মকর্তা ডাঃ মোহাম্মদ আরিফুর ইসলাম বলেন, উপজেলায় দীর্ঘ একটি বছর আমাদের পরামর্শে ৬২০ টি খামারের স্বাস্থ্যসম্মত ভাবে সর্ব মোট ১২৬২২ পশুর উৎপাদন করা হয়েছে। এছাড়াও পারিবারিক ভাবে যারা পশু লালনপালন করেছে তাদের পরামর্শ দিয়ে সহযোগিতা করেছি। আসন্ন ঈদুল আজহাকে সামনে রেখে উপজেলার বিভিন্ন জায়গায় বাজার গুলোতে পশুর স্বাস্থ্য পরীক্ষার জন্য উপজেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তার কার্যালয় থেকে সার্বক্ষণিক দুইটি মেডিকেল টিম কাজ করবে।
চলারপথে রিপোর্ট :
হনুফা বেগম সাত মাসের অন্তঃসত্ত্বা ছিলেন বেসরকারি সংস্থার মাঠকর্মী। এক সহকর্মীর মোটরসাইকেলে চড়ে সকালে কর্মস্থলে যাচ্ছিলেন। পেছন থেকে ট্রাক্টর ধাক্কা দিলে তিনি মহাসড়কে ছিটকে পড়েন। এতে ঘটনাস্থলেই প্রাণ হারান। ৩০ নভেম্বর শনিবার বেলা সাড়ে ১১টার দিকে ঢাকা-সিলেট মহাসড়কের বিজয়নগর উপজেলার রামপুরা এলাকায় দুর্ঘটনায় নিহত হন হনুফা। খবর পেয়ে মরদেহ উদ্ধার করে খাটিহাতা হাইওয়ে থানায় নিয়ে রাখে পুলিশ।
পুলিশ ও পারিবারিক সূত্রে জানা গেছে, হনুফা পেশায় বেসরকারি একটি সংস্থার মাঠকর্মী। তাঁর কর্মস্থল ছিল বিজয়নগর উপজেলার ইছাপুর ইউনিয়নে। প্রতিষ্ঠানটির ইছাপুর শাখার ব্যবস্থাপক ফারুক হোসেনের (৩৫) সঙ্গে একই মোটরসাইকেলে চড়ে কর্মস্থলে যাচ্ছিলেন হনুফা। বেলা সাড়ে ১১টার দিকে ঢাকা-সিলেট মহাসড়কের বিজয়নগর উপজেলার রামপুরা এলাকায় পৌঁছালে বেপরোয়া গতির একটি ট্রাক্টর পেছন দিক থেকে ধাক্কা দেয়। এতে হনুফা মহাসড়কে ছিটকে পড়ে ঘটনাস্থলেই প্রাণ হারান। গুরুতর আহত ফারুককে জেলা সদরের একটি বেসরকারি হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
সরাইল খাটিহাতা হাইওয়ে থানার উপপরিদর্শক (এসআই) সিরাজুল ইসলাম বলেন, মোটরসাইকেল চালকের মাথায় হেলমেট থাকলেও হনুফার মাথায় হেলমেট ছিল না। মাথায় আঘাতের কারণেই তাঁর মৃত্যু হয়।
খাটিহাতা হাইওয়ে থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মারগুব তৌহিদ বলেন, মোটরসাইকেল ও ট্রাক্টরটি জব্দ করা হয়েছে। পরিবারের আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে ময়নাতদন্ত ছাড়াই লাশ পরিবারের জিম্মায় দেয়া হয়েছে। ট্রাক্টরচালক পলাতক। এ ব্যাপারে সড়ক আইনে মামলা প্রক্রিয়াধীন।
চলারপথে রিপোর্ট :
ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার বিজয়নগরে ভয়াবহ অগ্নিকান্ডে ১০টি দোকান ঘর পুড়ে ছাই হয়ে গেছে। আজ ১০ জানুয়ারি বুধবার দুপুর ১টার দিকে উপজেলার মির্জাপুর মোড়ে এ অগ্নিকান্ডের ঘটনা ঘটে।
স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, দুপুরে স্থানীয় সন্তোষ দাসের টিনশেডের মার্কেটে কুরিয়ার সার্ভিসের দোকান থেকে আগুনের সূত্রপাত ঘটে। সেই আগুনের লেলিহান শিখা মুহুর্তের মধ্যে আশপাশ দোকান ঘরে ছড়িয়ে পড়ে। খবর পেয়ে উপজেলা ফায়ার সার্ভিস ও পুলিশ সদস্য এবং স্থানীয়দের সহায়তায় আধা ঘন্টা পর আগুন নিয়ন্ত্রনে আনতে সক্ষম হয়। আগুনে মুদি মাল, কনফেকশনারী, বিকাশ, কম্পিউটার, ওষুদের ফার্মেসী, কাঠের ফার্নিচার, কুরিয়ার সার্ভিসসহ অন্যান্য দোকান ঘর পুড়ে ছাই হয়ে গেছে বলে ক্ষতিগ্রস্থ ব্যবসায়ীরা জানান।
বিজয়নগর উপজেলা ফায়ার সার্ভিসের লিডার মোশারফ হোসেন নিয়াজী জানান, আগুন লাগার খবর পেয়ে ফায়াস সার্ভিসের কর্মীরা দ্রুত ঘটনারস্থলে পৌঁছে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনে। তবে আগুনের উৎপত্তি কিসে থেকে তা এখনো নিশ্চিত হওয়া যায়নি। তবে প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে বৈদ্যুতিক শর্ট সার্কিট দেখে আগুনের সূত্রপাত হতে পারে।
বিজয়নগর উপজেলা নির্বাহী অফিসার রুবাইয়া আফরোজ জানান, মির্জাপুর মোড়ে আগুনের খবর পেয়ে তাৎক্ষণিক ঘটনাস্থল পরির্দশন করেছি। ক্ষতিগ্রস্তদের তালিকা প্রনয়ন করে উপজেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে সহযোগিতা করার আশ্বাস দেন তিনি।
চলারপথে রিপোর্ট :
বিজয়নগর উপজেলা থেকে বিপুল পরিমাণ গাঁজাসহ ১ জন পেশাদার মাদক ব্যবসায়ীকে গ্রেফতার করেছে র্যাব-৯। এসময় গ্রেফতারকৃতের কাছ থেকে ৫৪ কেজি গাঁজা উদ্ধার করা হয়।
আজ ২০ নভেম্বর বুধবার গোপন সংবাদের ভিত্তিতে র্যাব-৯, সিপিসি-১, কোম্পানীর একটি আভিযানিক দল আনুমানিক রাত ৪:২০টায় ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার বিজয়নগর থেকে তাকে গ্রেফতার করে।
গ্রেফতারকৃত আসামী হলেন আরাফাত (১৯)। তিনি হবিগঞ্জের মাধবপুর উপজেলার গন্ধবপুর গ্রামের মো. ইদ্রিস আলীর ছেলে।
গ্রেফতারকৃত মাদক ব্যবসায়ীর বিরুদ্ধে মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইন, ২০১৮ এর সংশ্লিষ্ট ধারায় মামলা দায়ের করা হয় এবং আসামী ও জব্দকৃত আলামত সংশ্লিষ্ট থানায় হস্তান্তর করা হয়।
এছাড়াও মাদকের বিরুদ্ধে জিরো টলারেন্স নীতি বাস্তবায়নে র্যাব-৯ এর গোয়েন্দা তৎপরতা এবং চলমান অভিযান অব্যাহত থাকবে বলে জানানো হয়েছে।
চলারপথে রিপোর্ট :
বিজয়নগরে পুলিশের উপর হামলা করেছে মাদক ব্যবসায়ীরা। এ সময় পুলিশের গুলিতে আইয়ূব নূর (৫৫) নামে এক মাদক ব্যবসায়ী নিহত হয় এবং পুলিশের একজন এস.আইসহ ১০জন পুলিশ আহত হয়।
আজ ২০ জুলাই বৃহস্পতিবার ভোররাতে উপজেলার পত্তন ইউনিয়নের আদমপুর গ্রামের গাবানিমোড়া গ্রামে এই ঘটনা ঘটে। নিহত আইয়ূব নূর গাবানিমোড়া গ্রামের মন্তু মিয়া প্রকাশ মস্তু মিয়ার ছেলে। পুলিশ জানায় নিহত মাদক ব্যবসায়ী আইয়ূব নূরের বিরুদ্ধে বিজয়নগর থানায় মাদকের ৫টি মামলা রয়েছে। হামলার সময় নিহত আইয়ূব নূরের ছেলে আরিফকে হাতকড়া পড়ানো অবস্থায় ছিনিয়ে নিয়ে যায় মাদক ব্যবসায়ী ও তার স্বজনরা।
বিজয়নগর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) রাজু আহমেদ বলেন, মাদক ব্যবসায়ী আইয়ূব নূরের পরিবারের সবাই এলাকার পেশাদার মাদক ব্যবসায়ী। বিজয়নগর থানায় আইয়ূব নূরের বিরুদ্ধে মাদকের ৫টি, তার ছেলে আরিফের বিরুদ্ধে ৫টি ও তার ভাই তোফাজ্জলের বিরুদ্ধে ১০টি মাদকের মামলা রয়েছে।
বৃহস্পতিবার রাতে পুলিশ মাদক ব্যবসায়ীদের গ্রেপ্তার করতে তার বাড়িতে অভিযান চালায়। পরে পুলিশ আরিফকে গ্রেপ্তার করে হাতকড়া পড়ালে পুলিশের উপর হামলা করে মাদক ব্যবসায়ী ও তাদের স্বজনরা। তারা আরিফকে হাতকড়া পড়ানো অবস্থায় পুলিশের কাছ থেকে ছিনিয়ে নিয়ে পুলিশের উপর হামলা চালায়। এ সময় পুলিশ আত্মরক্ষার্থে রাবার বুলেট ছুড়ে। এতে আইয়ূব নূর, সালামা বেগম ও ইমন নামে তিনজন আহত হয়।
মাদক ব্যবসায়ীদের হামলায় এস.আই সাঈদুল, এ.এস.আই সেলিম, এ.এস.আই আবদুল্লাহ আল-মামুন ও কন্সটেবল তুষারসহ ১০ পুলিশ সদস্য আহত হয়।
আহত পুলিশ সদস্য এ.এস.আই আবদুল্লাহ আল-মামুন ও কন্সটেবল তুষারকে বিজয়নগর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়েছে। বাকীরা প্রাথমিক চিকিৎসা নেয়। তিনি বলেন, আমরা আইয়ূব নূরের লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য জেনারেল হাসপাতাল ব্রাহ্মণবাড়িয়ার মর্গে প্রেরণ করেছি। এ ঘটনায় মামলা দায়েরের প্রস্তুতি চলছে।
এ ব্যাপারে ব্রাহ্মণবাড়িয়ার পুলিশ সুপার মোঃ শাখাওয়াত হোসেনের সাথে যোগাযোগ করলে তিনি বিষয়টির সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, আইয়ূব নূরের বিরুদ্ধে বিজয়নগর থানায় মাদকের ৫টি মামলা রয়েছে। এ বিষয়ে প্রয়োজনীয় আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।