চলারপথে রিপোর্ট :
লায়ন্স ক্লাব অব ঢাকা ব্রাহ্মণবাড়িয়ার উদ্যোগে ফ্রি ডায়াবেটিস চেক-আপ কর্মসূচি পালন করা হয়েছে।
আজ ১১ অক্টোবর শুক্রবার সকালে শহরের বর্ডার বাজারে ব্রাদার্স ক্লাব প্রাঙ্গনে এই কর্মসূচির উদ্বোধন করেন অনুষ্ঠানের প্রধান অতিথি ব্রাহ্মণবাড়িয়া প্রেস ক্লাব সভাপতি জাবেদ রহিম বিজন।
ক্লাবের প্রথম ভাইস প্রেসিডেন্ট লায়ন প্রফেসর ডাঃ মো রুহুল আমিনের সভাপতিত্বে এতে অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য রাখেন ক্লাব সেক্রেটারি লায়ন এটিএম ফয়েজুল কবির এমজেএফ।
এসময় উপস্থিত ছিলেন ক্লাব ট্রেজারার লায়ন শরিফুল হক, যুগ্ম ট্রেজারার লায়ন স্বপন কুমার দেবনাথ, লিও এডভাইজর লায়ন আর্কিটেক্ট মো রুবেল মিয়া। সকাল ৮টা থেকে বেলা ১১ টা পর্যন্ত ১২৫ জনের ডায়াবেটিস চেক-আপ করা হয়। এই কাজে সহযোগিতা করেন ঐশী, আরশী, আরিয়ান, মুতাসিম বিল্লাহ ও আবুল খায়ের। এছাড়াও স্থানীয় বয়োজেষ্ঠ্য ব্যক্তিবর্গ উপস্থিত ছিলেন।
চলারপথে রিপোর্ট :
দুইশত মেধাবী শিক্ষার্থীদের মধ্যে শিক্ষা বৃত্তি প্রদান করেছে ঢাকাস্থ ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা সমিতি।
আজ ১১ নভেম্বও শনিবার দুপুরে ব্রাহ্মণবাড়িয়া বিশ্ববিদ্যালয় চত্বরে এক অনুষ্ঠানের মাধ্যমে এ বৃত্তি প্রদান করা হয়। জেলার ৯ টি উপজেলার বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠান থেকে ২০২২ সালের এইচএসসি পরীক্ষায় জিপিএ ৫ পাওয়া শিক্ষার্থীরা এ বৃত্তিপ্রাপ্ত হন।
ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা সমিতির সহ-সভাপতি ও শিক্ষাবৃত্তি-২০২৩ উপকমিটির আহবায়ক মো. আবদুল হামিদের সভাপতিত্বে ও সংস্কৃতিকর্মী মো. মনির হোসেন এর সঞ্চালনায় এসময় প্রধান অতিথি ছিলেন বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটন মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সভাপতি যুদ্ধাহত বীর মুক্তিযোদ্ধা উবায়দুল মোকতাদির চৌধুরী এমপি।
বিশেষ অতিথি ছিলেন বাংলাদেশ পাবলিক সার্ভিস কমিশনের সদস্য ও ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা সমিতির সাধারণ সম্পাদক মো. খলিলুর রহমান, গণপূর্ত অধিদপ্তরের সাবেক প্রধান প্রকৌশলী ও ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা সমিতির সহসভাপতি কবীর আহমেদ ভূঞা, অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) মো. সাইফুল ইসলাম, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (ক্রাইম এন্ড অবস) মো. সোনাহর আলী, পৌর মেয়র মিসেস নায়ার কবীর।
প্রধান অতিথির বক্তব্যে মোকতাদির চৌধুরী এমপি বলেন, ব্রাহ্মণবাড়িয়া প্রাচীনকাল থেকেই বিশ^বিখ্যাত ও উপমহাদেশখ্যাত মানুষদের জন্ম দিয়েছে। এ উর্বর ভূমি গুণী মানুষদের জন্মদানের সাথে সম্মানও করতে জানে। আজকে যারা মেধাবী শিক্ষার্থী তারাই ভবিষ্যতে দেশ ও জাতির সেরা সন্তানে পরিনত হবে। তিনি মেধাবী শিক্ষার্থীদের এ জনপদের শ্রেষ্ঠ সন্তান ওস্তাদ আলাউদ্দিন খা, ব্যারিস্টার আবদুর রসুল, নবান সৈয়দ শামসুল হুদা ও শহীদ ধীরেন্দ্রনাথ দত্তের পদাংক অনুসরণ করে এগিয়ে যাওয়ার আহবান করেন।
ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা সমিতি ঢাকার সাংগঠনিক সম্পাদক সৈয়দ এহতেশামুল বারী তানজিল জানান, প্রতিবছরই ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা সমিতি মেধাবী শিক্ষার্থীদের শিক্ষাবৃত্তি প্রদান করে আসছে। কখনো ঢাকায় বা কখনো ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় অনুষ্ঠান করে শিক্ষাবৃত্তি প্রদান করা হয়। এবারের আয়োজন ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় করতে পেরে আমরা আনন্দিত।
চলারপথে রিপোর্ট :
ব্রাহ্মণবাড়িয়া পৌরসভার সংরক্ষণ শাখার (পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতা শাখা) কর্মীদের নিজস্ব উদ্যোগ ও অর্থায়নে বাংলাদেশের জাতীয় খেলার (হা-ডু-ডু খেলার) চূড়ান্ত প্রতিযোগিতা অনুষ্ঠিত হয়েছে। গতকাল বৃহস্পতিবার বিকেলে পৌর মুক্ত মঞ্চে অনুষ্ঠিত এই খেলায় সংরক্ষণ শাখার কর্মীরা চারটি দলে ভাগ হয়ে অংশগ্রহণ করে। খেলার চূড়ান্ত পর্বে সাদা ও হলুদ দল প্রতিযোগিতায় নেমে সাদা দল বিজয়ী হয়।
পৗরসভার প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা মো. আ. কুদ্দূস উপস্থিত থেকে বিজয়ী ও রানার্স আপ দলের মাঝে চ্যাম্পিয়ন ও রানার্সআপ ট্রফি তুলে দেন।
এ সময় চ্যাম্পিয়ন দলকে একটি খাসি ও রানার্সআপ দলকে একটি হাঁস পুরস্কার দেওয়া হয় এবং প্রত্যেক দলের সদস্যকে মেডেল পড়িয়ে দেওয়া হয়। অনুষ্ঠানে পৌরসভার সংরক্ষণ সুপারভাইজার মো. গোলাম মোস্তফা এর সভাপতিত্বে এতে অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য রাখেন প্রেসক্লাবের সাবেক সহ-সভাপতি, দৈনিক কুরুলিয়া সম্পাদক ও প্রকাশক ইব্রাহিম খান সাদত।
খেলার ধারা বিবরণী ও পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠান পরিচালনা করেন মনিরুল ইসলাম শ্রাবণ।
খেলায় রেফারির দায়িত্ব পালন করেন মো. জহিরুল ইসলাম।
খেলা পরিচালনা করেন মোঃ দেলোয়ার হোসেন দিলু, মো. কিরণ মোল্লা, স্বপন বাবু, লিল মিয়া, নায়েব আলী প্রমুখ।
অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি তার বক্তব্যে বলেন, যেকোনো খেলাধুলার ক্রীড়া নৈপূণ্য প্রদর্শনের পাশাপাশি খেলোয়ারদের শারীরিক ও মানসিক সুস্থতা অর্জন এবং পারস্পরিক ভ্রাতৃত্ব বন্ধন বৃদ্ধি করায় সহায়ক ভূমিকা রাখে। বক্তব্যে তিনি আরো বলেন, পৌরসভার পরিচ্ছন্নতা কর্মীরা আমাদের শহরকে পরিস্কার-পরিচ্ছন্ন রাখতে দিনরাত পরিশ্রম করে যায়। তার পাশাপাশি এই খেলাধুলার আয়োজনকে আমরা ইতিবাচক দৃষ্টিতে দেখি। তিনি ভবিষ্যতে তাদের এই খেলাধুলাগুলোকে পৃষ্ঠপোষকতা প্রদানের মাধ্যমে আরো ভালো কিছু করার আশাবাদ ব্যক্ত করেন। এ সময় অসংখ্য দর্শক দেশের ঐতিহ্যবাহী এই জমজমাট ও প্রতিদ্বন্দ্বিতাপূর্ণ হা-ডু-ডু খেলা উপভোগ করেন।
স্টাফ রিপোর্টার :
ছিনতাইকারীদের ছুরিকাঘাতে তিন বাসযাত্রী আহত হয়েছেন। ঘটনাটি ঘটেছে ২ ফেব্রুয়ারি বৃহস্পতিবার রাত ১টায় ব্রাহ্মণবাড়িয়া পৌর এলাকার বাইপাস সড়কের পৈরতলা রেলগেইট এলাকায় ।
আহতরা হলেন কিশোরগঞ্জ জেলার সদর উপজেলার দেবরাজ রায়ের ছেলে কলেজ ছাত্র সিগ্ধ রায়, একই এলাকার স্বপন বর্মনের ছেলে প্লাবন বর্মন ও অপূর্ব বর্মন। আহতদেরকে ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
জেনারেল হাসপাতাল ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় আহত সিগ্ধ রায়ের বন্ধু আকাশ সরকার ও তন্ময় রায় জানান, ৪৫জন যাত্রী নিয়ে বাসযোগে তারা কিশোরগঞ্জ সদর থেকে চট্টগ্রামে তীর্থ ভ্রমণের জন্য প্রবর্তক মন্দির ও পুন্ডুরি ধামে যাওয়ার পথে বাসটি ব্রাহ্মণবাড়িয়া পৌর এলাকার বাইপাস সড়কের পৈরতলা রেলগেইট এলাকায় পৌছে বাসটি ট্রেন যাওয়ার কারণে লেভেল ক্রসিংয়ে আটকা পড়ে।
এ সময় তীর্থ যাত্রী প্লাবন, সিগ্ধ ও অপূর্ব প্রকৃতির ডাকে সাড়া দেয়ার জন্য বাস থেকে নামার সাথে সাথে সেখানে আগে থেকে উৎপেতে থাকা ৫/৬ জনের একটি ছিনতাইকারীর দল তাদেরকে এলোপাথারি ছুরিকাঘাত করে। এতে তারা তিনজন আহত হন।
পরে তাদেরকে জেনারেল হাসপাতাল ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় এনে ভর্তি করা হয়। আহত তিনজনই কিশোরগঞ্জ জেলার বিভিন্ন কলেজের শিক্ষার্থী।
এ ব্যাপারে জেলা খেলাঘর আসরের সাধারণ সম্পাদক নীহার রঞ্জন সরকার জানান, পৈরতলা রেলগেইটের স্পটটি দীর্ঘদিন ধরে ছিনতাইয়ের রেডজোন হিসেবে পরিচিত। এর আগেও এই স্থানে একাধিক ছিনতাইয়ের ঘটনা ঘটেছে। বিশেষ করে রাতের বেলায় এই স্পটে দূর পাল্লার বাস যাত্রী ও চালকেরা ছিনতাইয়ের কবলে পরছেন।
তিনি একাধিক বাস চালকদের বরাত দিয়ে জানান, গভীর রাতে সিলেট থেকে চট্টগ্রামগামী এনা, শ্যামলী, সৌদিয়া, মামুন, ইউনিক, ও গ্রীনলাইনসহ একাধিক পরিবহনের যাত্রীবাহি বাস পৈরতলা রেলগেইট এলাকায় গিয়ে ছিনতাইয়ের কবলে পড়েন। যার কারণে বেশীর ভাগ সময়ে দূর পাল্লার পরিবহনের চালকেরা বাইপাস সড়ক বাদ দিয়ে ব্রাহ্মণবাড়িয়া শহরের ভেতর দিয়ে চলাচল করতো। পরে শহরবাসীর আপত্তির মুখে রাতের বেলা দূর পাল্লার বাস শহরের মধ্যে দিয়ে চলাচল বন্ধ করে দেয় প্রশাসন।
এ ব্যাপারে ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ এমরানুল ইসলাম বলেন, খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থল ও হাসপাতালে গিয়ে আহতদের সাথে কথা বলেন। ছিনতাইকারীদের গ্রেফতার করার চেষ্টা চলছে।
চলারপথে রিপোর্ট :
ব্রাহ্মণবাড়িয়া মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ফরেনসিক মেডিসিন ও টক্সিকোলজি বিভাগের আধুনিকায়ন মিউজিয়ামের উদ্বোধন করা হয়েছে।
গতকাল মঙ্গলবার দুপুর ১২টায় ব্রাহ্মণবাড়িয়া মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের প্রতিষ্ঠাতা ও চেয়ারম্যান ডাঃ মোঃ আবু সাঈদ এর উদ্বোধন করেন।
উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে কলেজের অধ্যক্ষ ও শিশু বিশেষজ্ঞ অধ্যাপক ডাঃ মোঃ আবু সুফিয়ান, ফরেনসিক বিভাগের বিভাগীয় প্রধান অধ্যাপক ডাঃ মোহাম্মদ ইমরান হোসাইন, সার্জারী বিভাগের বিভাগীয় প্রধান ডাঃ জাহাঙ্গীর হোসেন ভূইয়া, ফরেনসিক বিভাগের সহকারী অধ্যাপক ডাঃ সারওয়ার আলমসহ চিকিৎসকগন উপস্থিত ছিলেন।
উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে অনুষ্ঠানে ডাঃ মোঃ আবু সাঈদ বলেন, মেডিকেল পড়াশুনার জন্য যুগোপযোগী সকল কিছু অপরিসীম। আধুনিকায়ন ব্যতীত মেডিকেল কার্যক্রমে অসমাপ্তি রয়ে যায়। তাই সকল বিভাগের আধুনিকায়নই একান্তই প্রয়োজন। এ সময় মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতালের সকল বিভাগের সহকারী অধ্যাপক, প্রভাষক, কর্মকর্তা-কর্মচারী ও শিক্ষার্থীগন উপস্থিত ছিলেন।
চলারপথে রিপোর্ট :
কার্ডিওলজিক্যাল সোসাইটি অব ইন্ডিয়া (সিএসআই) আয়োজিত ‘৭৫তম প্লাটিনাম জুবিলী বার্ষিক কার্ডিওলজিক্যাল কনফারেন্স-২০২৩’-এ যোগ দিতে ব্রাহ্মণবাড়িয়া ন্যাশনাল হার্ট ফাউন্ডেশন হাসপাতালের হৃদরোগ বিশেষজ্ঞ ও কার্ডিয়াক কনসালটেন্ট ডা. মুহাম্মদ আব্দুল মতিন (সেলিম) ভারত গেছেন।
ইউরোপীয়ান সোসাইটি অব কার্ডিওলজিক্যাল এর মেম্বার ডা. মতিনকে বার্ষিক এই কনফারেন্সে যোগ দিতে আমন্ত্রণ জানিয়েছে কার্ডিওলজিক্যাল সোসাইটি অব ইন্ডিয়া (সিএসআই)।
৭ ডিসেম্বর বৃহস্পতিবার থেকে ভারতের কলকাতার আইটিসি রয়্যালে শুরু হওয়া এ বার্ষিক কনফারেন্স শেষ হবে ১০ ডিসেম্বর। কনফারেন্সে যোগ দিতে আজ ৬ ডিসেম্বর বুধবার কলকাতার উদ্দেশ্যে তিনি ঢাকা ত্যাগ করেন। ২০২২ সালে ভারতের চেন্নাইয়ে অনুষ্ঠিত বার্ষিক কার্ডিওলজিক্যাল কনফারেন্সেও অংশগ্রহণ করেছিলেন ডা. মতিন।
এবারের কনফারেন্সে ইউরোপীয়ান কার্ডিওলজিক্যাল সোসাইটি, আমেরিকান হার্ট এসোসিয়েশন, ইন্ডিয়ান কার্ডিওলজিক্যাল সোসাইটির সদস্যসহ বাংলাদেশসহ বিশ্বের সাড়ে ৫ হাজার কার্ডিলওজিস্ট অংশগ্রহণ করবেন। এছাড়া ইন্ডিয়ান কার্ডিওলজিক্যাল সোসাইটির আমন্ত্রণে বাংলাদেশের খ্যাতনামা কার্ডিওলজিস্টগণও কনফারেন্সে অংশগ্রহণ করবেন।
বার্ষিক কনফারেন্সে হৃদরোগ চিকিৎসায় আধুনিকবিজ্ঞানের নবতম সংযোজন, সংশ্লিষ্ট প্রযুক্তিবিদ্যার ব্যবহার, হৃদরোগের জটিল বিষয় নিয়ে গবেষণা প্রবন্ধ উপস্থাপন করাসহ হৃদরোগের সমসাময়িক চিকিৎসা বিজ্ঞানের নানা দিক নিয়ে পর্যালোচনা করেন বিশ্বের খ্যাতনামা কার্ডিওলজিস্টগণ। কনফারেন্সে অংশগ্রহণ করা চিকিৎসকগণ লব্ধ জ্ঞানের মাধ্যমে হৃদরোগীদেরকে বিশ্বমানের সেবাদানে সক্ষমতা অর্জন করেন এবং এতে রোগীরাও আগের তুলনায় আরও বেশি উপকৃত হন। কনফারেন্স উপলক্ষে চিকিৎসকদের আগমণ ও অবস্থান প্রতিবছর কার্ডিওলজিস্টদের মিলনমেলায় পরিণত হয়।
ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার সুলতানপুর ইউনিয়নের দক্ষিণ জাঙ্গাল গ্রামের কৃতি সন্তান ডা. মোহাম্মদ আব্দুল মতিন (সেলিম)। আশুগঞ্জ পূর্ব বাজার দারুল উলুম হাফেজিয়া কোরআনিয়া মাদ্রাসার প্রতিষ্ঠাতা শিক্ষক হাফেজ মো. আব্দুর রহিমের ৫ সন্তানের সর্বকনিষ্ঠ মোহাম্মদ আবদুল মতিন (সেলিম) নিজের দক্ষতায় রাশিয়ায় অনুষ্ঠিত ফিফা বিশ্বকাপ-২০১৮ এর ডোপিং কন্ট্রোল টিমে একমাত্র বাংলাদেশি ‘ডোপিং কন্ট্রোল চ্যাপেরন’ হিসেবে দায়িত্বপালন করেছেন। এর আগে ২০০৪ সালে অনেক কাঠখড় পুড়িয়ে একজন সৌভাগ্যবান হিসেবে বাংলাদেশ থেকে রাশিয়ায় গিয়েছিলেন ডাক্তারি পড়তে। তিনি রাশিয়ার রুস্তভ স্টেইট ইউনিভার্সিটি থেকে এমডি ও ক্লিনিক্যাল অরডিনাটুরা কোর্স সম্পন্ন করেন সেইন্ট পিটার্সবার্গ শহরেরই ঐতিহ্যবাহী নর্থ ওয়েস্টার্ন স্টেট মেডিকেল ইউনিভার্সিটি’তে। একই শহরের পাত্রোভ্সকায়া এলাকার সিটি হসপিটালে কার্ডিওলজি ডিপার্টমেন্টের হার্ট স্পেশালিস্ট হিসেবেও দায়িত্ব পালন করেছেন প্রায় দুই বছর। এরপর একের পর এক সাফল্যের সিঁড়ি বেয়ে পৌঁছে গেছেন নিজের কাঙ্ক্ষিত সীমানায়। সেই সঙ্গে রাশিয়ার বিভিন্ন সাংস্কৃতিক ইভেন্টে দেশের পতাকাকে তুলে ধরেছেন নানাভাবে। রাশিয়া বিশ্বকাপ-২০১৮ এর ফিফা ও অর্গানাইজেশন কমিটির বিভিন্ন অডিশনে অংশ নেন এবং রাশিয়া ফুটবল বিশ্বকাপে ‘ডোপিং কন্ট্রোল’ টিমের সদস্য হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন।
ডা. মোহাম্মদ আব্দুল মতিন (সেলিম) বলেন, ২০২২ সনে চেন্নাইয়ে অনুষ্ঠিত বার্ষিক কনফারেন্সে বিশ্বের নামি-দামি কার্ডিওলজিস্টদের সঙ্গে আমিও অংশগ্রহণ করেছিলাম। এবারও আমাকে আমন্ত্রণ জানানো হয়েছে। আশা করি, কনফারেন্স থেকে লব্ধ জ্ঞানের মাধ্যমে ব্রাহ্মণবাড়িয়াসহ সারা দেশের হৃদরোগীদেরকে আরও সহজভাবে মানসম্মত চিকিৎসা দিতে সক্ষম হব।