চলারপথে রিপোর্ট :
আখাউড়ায় মাদকবিরোধী অভিযান চালিয়ে এক হাজার পিস ইয়াবা ট্যাবলেটসহ নাসিমা বেগম নামে এক মাদক ব্যবসায়ীকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।
আজ ১৩ অক্টোবর রোববার দুপুরে তাকে ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা আদালতে সোপর্দ করা হয়েছে।
গ্রেফতারকৃত নাসিমা বেগম ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার আখাউড়া উপজেলার মনিয়ন্দ ইউনিয়নের মিনারকোট গ্রামের আনিস খাঁর স্ত্রী।
পুলিশ জানায়, জেলা পুলিশের মাদকবিরোধী অভিযানের অংশ হিসেবে গোপন সংবাদের মাধ্যমে সঙ্গীয় ফোর্স নিয়ে ভোররাতে মিনারকোট এলাকায় তার বাড়িতে অভিযান চালানো হয়। পুলিশ আসার খবর পেয়ে গ্রেফতার এড়াতে নাসিমা কৌশলে বসতঘরের শয়নকক্ষে ইয়াবাগুলো লুকিয়ে রাখেন। একপর্যায়ে পুলিশ তার শয়নকক্ষের নিচ থেকে এক হাজার পিস ইয়াবা উদ্ধারসহ তাকে হাতেনাতে গ্রেফতার করে।
আখাউড়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ আবুল হাসিম বলেন, মাদকবিরোধী অভিযানে এক হাজার পিস ইয়াবা ট্যাবলেটসহ নাসিমাকে হাতেনাতে গ্রেফতার করা হয়েছে। তার বিরুদ্ধে মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইনে নিয়মিত মামলা দিয়ে ব্রাহ্মণবাড়িয়া আদালতে সোপর্দ করা হয়। আমাদের মাদকবিরোধী অভিযান নিয়মিত চলছে। যেকোনো মূল্যে মাদক নিয়ন্ত্রণ করা হবে।
আখাউড়া প্রতিনিধি :
আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে সামনে রেখে দল গোছাতে শুরু করেছে আখাউড়া উপজেলা আওয়ামীলীগ। স্থানীয় সংসদ সদস্য ও আইনমন্ত্রী আনিসুল হকের নির্দেশে নির্বাচনমুখি নানা কর্মকান্ড পরিচালনা করছে আওয়ামীলীগ। দলের সাংগঠনিক অবস্থা তুলে ধরতে আজ ১৬ ফেব্রুয়ারি বৃহস্পতিবার সকালে উপজেলা আওয়ামীলীগের উদ্যোগে প্রিন্ট ও ইলেক্ট্রনিক মিডিয়ার সাংবাদিকদের সাথে মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। পৌরসভা ভবনের তৃতীয় তলায় অনুষ্ঠিত মতবিনিময় সভায় সভাপতিত্ব করেন উপজেলা আওয়ামীলীগের সভাপতি মোহাম্মদ আলী চৌধুরী।
উপজেলা আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক ও পৌর মেয়র তাকজিল খলিফা কাজল লিখিত বক্তব্য পাঠ করে দলের সাংগঠনিক অবস্থা তুলে ধরেন। লিখিত বক্তব্যে তিনি বলেন, দলকে শক্তিশালী করতে নবীন প্রবীনের সমন্বয়ে পৌরসভাসহ প্রতিটি ইউনিয়নের মেয়াদোত্তীর্ণ আওয়ামীলীগ, যুবলীগ, ছাত্রলীগ, মহিলালীগসহ সহযোগি সংগঠনগুলোর নতুন কমিটি গঠনের কাজ চলছে। এতে তৃনমূলের নেতাকর্মীদের মাঝে জাগরণ সৃষ্টি হয়েছে।
তিনি আরো বলেন, স্থানীয় সংসদ সদস্য ও আইনমন্ত্রী আনিসুল হকের নেতৃত্বে অতীতের যে কোন সময়ের চেয়ে আখাউড়ায় আওয়ামীলীগ অনেক বেশি শক্তিশালী। আইনমন্ত্রীর নেতৃত্বে আখাউড়ায় ব্যাপক উন্নয়ন হয়েছে। শহর থেকে গ্রামের প্রত্যন্ত অঞ্চলে উন্নয়নের ছোঁয়া লেগেছে।
সমাজের দর্পন হিসেবে সরকারের এসব উন্নয়ন গণমাধ্যমে তুলে ধরার জন্য তিনি সাংবাদিকদের প্রতি আহবান জানান।
এসময় সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে উপজেলা আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক তাকজিল খলিফা কাজল দাবী করেন, আখাউড়ায় আওয়ামীলীগে কোন গ্রুপিং বা বিভেদ নাই। দলের নবীন-প্রবীণ সকল নেতাকর্মীকে মূল্যায়ন করেই জাতীয় নির্বানকে সামনে রেখে দলীয় কর্মকান্ড চলছে।
এসময় অন্যান্যের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন উপজেলা আওয়ামীলীগের সাবেক যুগ্ম আহবায়ক মোঃ সেলিম ভূঁইয়া, মোঃ মনির হোসেন বাবুল, উপজেলা যুবলীগের যুগ্ম আহবায়ক মোঃ আব্দুল মমিন বাবুল, মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান নাসরিন সফিক আলেয়া, পৌর যুবলীগের সভাপতি মনির খান, উপজেলা ছাত্রলীগের সভাপতি শাহাব উদ্দিন বেগ শাপলু, সাধারণ সম্পাদক সাখাওয়াত হোসেন নয়ন প্রমুখ।
চলারপথে নিউজ :
ব্রাহ্মণবাড়িয়া: পবিত্র ঈদুল ফিতর উপলক্ষে টানা পাঁচ ছুটি শেষে আখাউড়া স্থলবন্দর দিয়ে আমদানি-রপ্তানি কার্যক্রম শুরু হয়েছে।
২৬ এপ্রিল বুধবার সকালে বাংলাদেশ থেকে মাছ, রডসহ বিভিন্ন পণ্য রপ্তানির মধ্যদিয়ে কার্যক্রম শুরু হয়।
এতে বন্দরে কর্মচাঞ্চল্য ফিরে এসেছে।
আখাউড়া স্থলবন্দর আমদানি-রপ্তানিকারক অ্যাসোসিয়েশনের সাধারণ সম্পাদক শফিকুল ইসলাম বলেন, ঈদুল ফিতর উপলক্ষে উভয় দেশের ব্যবসায়ী নেতাদের সিদ্ধান্তে গত ২১ এপ্রিল থেকে ২৫ এপ্রিল পর্যন্ত পাঁচ দিন আখাউড়া স্থলবন্দর দিয়ে পণ্য আমদানি-রপ্তানির কার্যক্রম বন্ধ ছিল। ছুটি শেষে সকাল থেকে বন্দর দিয়ে আবারও পণ্য আমদানি-রপ্তানি বাণিজ্য শুরু হয়েছে।
আখাউড়া ইমিগ্রেশন চেকপোস্টের ইনচার্জ স্বপন চন্দ্র দাস জানান, ছুটির সময়ে আমদানি-রপ্তানি বাণিজ্য বন্ধ থাকলেও আন্তর্জাতিক ইমিগ্রেশন চেকপোস্টে সীমান্ত পথে পাসপোর্টধারী যাত্রীদের চলাচল স্বাভাবিক ছিল।
ব্রাহ্মণবাড়িয়ার আখাউড়া স্থলবন্দর দিয়ে ভারতের ত্রিপুরা রাজ্যসহ উত্তর-পূর্ব ভারতের সাতটি পাহাড়ি রাজ্যে পাথর, ছোট বড় মাছ, প্লাস্টিক সামগ্রী ও সিমেন্টসহ অর্ধশতাধিক পণ্য রপ্তানি করা হয়।
চলারপথে রিপোর্ট :
দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের ব্রাহ্মণবাড়িয়া-৪ (কসবা- আখাউড়া) আসনে টানা তৃতীয় বারের মত দলীয় মনোনয়ন পেয়েছে আইনমন্ত্রী আনিসুল হক।
আজ ২৬ নভেম্বর রবিবার বিকেলে গণভবন থেকে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের দলীয় প্রার্থীদের নাম ঘোষণার সন্ধ্যায় আখাউড়া পৌর শহরে আনন্দ মিছিল করেছেন আওয়ামী লীগ ও অঙ্গ সংগঠনের নেতাকর্মীরা।
আখাউড়া উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও পৌর মেয়র মোঃ তাকজিল খলিফা কাজলের নেতৃত্বে সড়ক বাজার অ্যাডভোকেট সিরাজুল হক পৌর মুক্তমঞ্চের সামনে থেকে একটি মিছিল শহরের প্রধান প্রধান সড়ক প্রদক্ষীন করে আবার মুক্ত মঞ্চে এসে শেষ হয়।
এ সময় উপজেলা আওয়ামী লীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক মনির হোসেন বাবুল, পৌর আওয়ামী লীগের সভাপতি এড আব্দুল্লা ভুঁইয়া বাদল,সাধারণ সম্পাদক কাজী নাসির উদ্দীন খাদেম লিটন, উপজেলা যুবলীগের যুগ্ম আহ্বায়ক আব্দুল মমিন বাবুল, পৌর যুবলীগের সভাপতি মনির খান, সাধারণ সম্পাদক আবু কাউছার ভুঁইয়া, উপজেলা ছাত্রলীগের সভাপতি শাহাব উদ্দিন বেগ শাপলু, সাধারণ সম্পাদক সাখাওয়াত হোসেন নয়নসহ বহু নেতাকর্মী মিছিলে অংশ নেয়।
মিছিল শেষে নেতাকর্মীরা আতশবাজি ফুটিয়ে আনন্দ প্রকাশ করে।আতশবাজির মুহুর্মুহ শব্দে প্রকম্পিত হয়ে উঠে উপজেলার প্রতিটি এলাকা।
চলারপথে রিপোর্ট :
বিয়ে, গায়ে হলুদ, পুজা, খেলা-ধুলা বা মিছিলে বাদ্য বাজানোর জন্য ডাক পরে তাদের। কাঁধে ঢোল ঝুলিয়ে দু’হাতে ঢাকে কাঠির বারি দিয়ে ছন্দের আওয়াজ তুলেন। সেই ছন্দে মানুষ নেচে গেয়ে আনন্দ করে। মানুষকে আনন্দ দিয়েই চলে ঢুলিদের সংসার। পুজা এলেই কদর বাড়ে তাদের। ঢাকের বাদ্য ছাড়া পুজার আনন্দ যেন অসম্পূর্ণ। তাই আসছে দুর্গাপুজায় বাদ্য বাজানোর জন্য প্রস্তুতি নিচ্ছেন ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার আখাউড়া উপজেলার উত্তর ইউনিয়নের করুয়াতলী ঋষিদাস পাড়ার ঢুলিরা। শুক্রবার থেকে শুরু হচ্ছে সনাতন ধর্মাবলম্বীদের সবচেয়ে বড় উৎসব দূর্গাপুজা।
সোমবার দুপুরে ঋষি পাড়ায় ঢুকতেই কানে আসে ঢোলের আওয়াজ টেম-টে টেটেম..টেম.। সেই আওয়াজের ছন্দে শিহরণ জাগায়। মনে করিয়ে দেয় পুজা আসছে। উঠানে গিয়ে দেখা যায় বাদ্যযন্ত্র পরখ করে নিচ্ছেন ঢুলিরা। কেউ বা আঙ্গুলের আলতো ঁেছায়ায় ঢোলে তাল তুলছেন। তাদের চোখে মুখে আনন্দের ঝিলিক।
ঢুলিদের সাথে কথা বলে জানা গেছে, পারিবারিক ঐতিহ্য ঢাক-ঢোল বাদ্য-বাজনার পেশা ধরে রেখেছে ঋষিদাস পাড়ার ৫/৬টি পরিবার। বিয়ে-গায়ে হলুদ, পুজাসহ বিভিন্ন অনুষ্ঠানে ঢাক বাজিয়ে জীবিকা নির্বাহ করে তারা। তাছাড়া ঢাক-ঢোল মেরামত আর মাঝে মধ্যে বাদ্যযন্ত্র বিক্রি করেও কিছু আয় হয়। তা দিয়েই চলে সংসার। তবে তাদের ভাষ্য, দিন দিন আয় রোজগার কমে যাচ্ছে। তবু বাপ-দাদার পেশা বলে আকড়ে ধরে রেখেছেন।
ঢুলির সর্দার বিশাম্বর ঋসি প্রায় ৫০ বছর ধরে ঢাক-ডোল বাজাচ্ছেন। তিনি বলেন, আমার বাবা ঢুলি ছিলেন। ১০/১২ বছর বয়স থেকে বাবার সাথে ঢোল বাজাতে বিভিন্ন জায়গায় যেতাম। এভাবেই ঢোল বাজানো শিখি। শখ থেকেই ঢোল বাজানো পেশা হয়ে গেছে। বাবার মৃত্যুর পর থেকে আমি বাবার পেশা ধরে রেখেছি। প্রায় ৫০ বছর ধরে ঢাক-ঢোল বাজানোর সাথে জড়িত আছি। ২ মেয়ে বিয়ে দিয়েছি। তিন ছেলে আছে তারাও আমার সাথে বাজনা বাজায়।
তিনি আরও বলেন, বছরের অন্য সময় বিয়ে-গায়ে হলুদ, মিছিলে বাদ্য বাজনার ডাক পরে। বছরের ২০/২৫টি অনুষ্ঠান করতে পারি। তবে পুজার সময় কাজের চাপ বাড়ে। এবার দুর্গাপুজায় ৪টি মন্ডপে কাজ পেয়েছি। একটি মন্ডপে ১০/১২ হাজার টাকা পাওয়া যায়। লোকজনকে দিয়ে নিজের কিছু থাকে। বাপ-দাদা এ পেশায় ছিল। আমিও করছি। আমার ছেলেরাও করবে। তিনি বলেন আয় রোজগারের পাশাপাশি, ভক্ত-বৃন্দ আনন্দ পায় এটাই আমাদের আনন্দ।
কথা হয় রাখাল ঋসির সাথে। তিনি বলেন, ৬৫ বছর বয়স হয়েছে। ছোট বেলা থেকেই ঢাক-ডোল বাজাই। পুজার সময় রোজগার বেশি হয়। তাই সারা বছর পুজার জন্য অপেক্ষা করি। ঢাক বাজাতে বিভিন্ন জেলাতে চলে যাই। পুজাতে ঢাক বাজিয়ে বেশি আনন্দ পাই। তিনি আরও বলেন, বিয়ে-গায়ে হলুদ, মিছিলে ২/৩ হাজার টাকা পাওয়া যাই। এভাবেই আমাদের সংসার চলে। বয়স হয়েছে। জানি না আর কত দিন ঢোল বাজানোর কাজ করতে পারবো। আখাউড়া উপজেলা পুজা উদযাপন পরিষদের সদস্য সচিব সাংবাদিক বিশ^জিত পাল বাবু বলেন, পুজার একটি অন্যতম অনুষঙ্গ বাদ্য যন্ত্রের ব্যবহার। এটি আদিকাল থেকেই ছিল। এখনও আছে। তবে আশঙ্কার বিষয় হচ্ছে আয়ের স্বল্পতার কারণে অনেকেই এ পেশা থেকে দূরে সরে যাচ্ছে। ঋষিদাস পাড়ার কয়েকটি পরিবার পারিবারিক ঐতিহ্য ধরে রেখে কোন রকমে টিকে আছে। আশা করি, সরকারসহ স্থানীয়রা তাদের প্রতি নজর দিবেন।
চলারপথে রিপোর্ট :
ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার আখাউড়া উপজেলায় ২০২৪-২৫ মৌসুমের আমন ধান সংগ্রহ অভিযান শুরু হয়েছে। আজ ৩ ডিসেম্বর মঙ্গলবার দুপুর ১২টায় আখাউড়া উপজেলা এলএসডি গোডাউনে ধান সংগ্রহ অভিযানের কার্যক্রম উদ্বোধন করেন আখাউড়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা গাজালা পারভীন রুহি।
কৃষক মো: আউয়াল কাছ থেকে তিন মেট্রিক টন ধান সংগ্রহের মাধ্যমে এ কার্যক্রমের উদ্বোধন করা হয়। আগামী ২৮ ডিসেম্বর পর্যন্ত তালিকাভুক্ত ৬৮৮ জন কৃষকদের কাছ থেকে ধান সংগ্রহ করা হবে। এ সময় উপস্থিত ছিলেন আখাউড়া উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা তানিয়া তাবাসসুম, উপজেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রন কর্মকর্তা তাসলিমা বেগম, এলএসডির ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মো: সাজেদুর রহমান।
আখাউড়া উপজেলা এলএসডি কর্মকর্তা মো: সাজেদুর রহমান জানান, এবার উপজেলায় ৩০১ মেট্রিক টন ধান সংগ্রহের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে। ৩৩ টাকায় প্রতি কেজি ধান সংগ্রহ করা হবে। একজন কৃষক ১২০ কেজি থেকে শুরু করে তিন মেট্রিক টন ধান দিতে পারবেন। আগামী ২৮ ডিসেম্বর পর্যন্ত ধান সংগ্রহনের সময়সীমা বেঁধে দেয়া হয়েছে বলে তিনি জানান।