চলারপথে রিপোর্ট :
বিজয়নগরে ১৩টি দেশীয় অস্ত্রসহ মো. সজীব মিয়া (৩০) নামে একজন চিহ্নিত সন্ত্রাসীকে গ্রেফতার করেছে যৌথবাহিনী। গোপন সূত্রের তথ্যের ভিত্তিতে গতকাল ১৪ অক্টোবর সোমবার রাতে ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার বিজয়নগর উপজেলার চান্দুরা ইউনিয়নের কালীসিমা গ্রাম থেকে তাকে গ্রেফতার করা হয়।
এ সময় তার কাছ থেকে ১৩ টি দেশীয় অস্ত্র, ২০ গ্রাম গাজা, ১ বোতল ফেন্সিডিল, ২টি মোবাইল, ১টি মোটর সাইকেল ও নগদ ৩ লাখ ৯১ হাজার ৭৯০ টাকা উদ্ধার করা হয়। আজ ১৫ অক্টোবর মঙ্গলবার যৌথবাহিনীর পক্ষ থেকে দেয়া প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে এই তথ্য নিশ্চিত করা হয়। গ্রেফতারকৃত মোঃ সজীব মিয়া কালীসিমা গ্রামের তারা মিয়ার ছেলে।
প্রেসবিজ্ঞপ্তিতে উল্লেখ করা হয়, গত ৪ সেপ্টেম্বর থেকে যৌথ বাহিনীর নেতৃত্বে গত ৪এবং ৫ আগস্ট ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার নিরীহ ছাত্র-জনতার উপর আক্রমনকারী, সন্ত্রাসীসহ সকল অস্ত্রধারী সন্ত্রাসী, অবৈধ মাদক কারবারী এবং অবৈধ অস্ত্র উদ্ধার অভিযান চলমান রয়েছে। এরই ধারাবাহিকতায় গোপন সংবাদের ভিত্তিতে সেনাবাহিনীর নেতৃত্বে যৌথ বাহিনী গত সোমবার রাতে বিজয়নগর উপজেলার কালীসীমা গ্রামের সজীব মিয়ার বাড়িতে অভিযান চালানো হয়। অভিযানকালে সজীব মিয়াকে গ্রেফতার করে তার বাড়ি থেকে ১৩ টি দেশীয় অস্ত্র, ২০ গ্রাম গাজা, ১ বোতল ফেন্সিডিল, ২টি মোবাইল, ১টি মোটর সাইকেল ও নগদ ৩ লাখ ৯১ হাজার ৭৯০ টাকা উদ্ধার করা হয়। পরে গ্রেফতারকৃত সজীব মিয়াকে বিজয়নগর থানায় হস্তান্তর করা হয়।
চলারপথে রিপোর্ট :
বিজয়নগর থেকে ১৭টি ভারতীয় মহিষ আটক করেছে বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি)।
২৩ সেপ্টেম্বর সোমবার দুপুর আড়াইটার দিকে ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার বিজয়নগর উপজেলার চান্দুরা এলাকা থেকে সরাইল বিজিবি-২৫ ব্যাটালিয়নের সদস্যরা অভিযানে ট্রাকসহ মহিষগুলোকে আটক করা হয়।
এ সময় ট্রাকের চালক ও হেলপার পালিয়ে যান। সোমবার রাতে বিজিবির পক্ষ থেকে গণমাধ্যমকর্মীদের কাছে একটি প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।
বিজ্ঞপ্তিতে উল্লেখ করা হয়, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে দুপুরে বিজয়নগর উপজেলার চান্দুরা এলাকায় অভিযান পরিচালনা করে একটি ট্রাক আটক করা হয়। পরে ট্রাক থেকে ১৭টি ভারতীয় মহিষ উদ্ধার করা করা হয়।
উদ্ধারকৃত মহিষের বাজার মূল্য প্রায় ৩৪ লাখ টাকা।
উদ্ধার মহিষগুলো আখাউড়া কাস্টমস্ অফিসে জমার পর রাতে নিলামের মাধ্যমে বিক্রি করা হয়েছে। এ ধরনের অভিযান অব্যাহত থাকবে।
স্টাফ রিপোর্টার:
ব্রাহ্মণবাড়িয়ার বিজয়নগরে মাইশা আফরিন সুবর্ণা (১৪) নামের এক কিশোরী বিয়ের তিনমাসের মাথায় গলায় ফাঁস লাগিয়ে আত্মহত্যা করেছে। রোববার (১১ ডিসেম্বর) দুপুরে কিশোরীর মরদেহটি ময়নাতদন্তের জন্য ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা সদর হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে। মাইশা আফরিন সুবর্ণা উপজেলার বুধন্তি ইউনিয়নের বীরপাশা গ্রামের নাসির উদ্দিনের মেয়ে। নাসির উদ্দিন বলেন, তার কিশোরী মেয়ে সুবর্ণা অষ্টম শ্রেণির শিক্ষার্থী। পার্শ্ববর্তী বিন্নিঘাট এলাকার ইদ্রিস মিয়ার ছেলে মনির হোসেন (২২) তার মেয়েকে পছন্দ করতেন। পরে পারিবারিক ভাবে তাদের বিয়ে হয়। বিয়ের পর থেকেই যৌতুকের টাকার জন্য তার মেয়ে সুবর্ণাকে অত্যাচার করতো মনির। বিয়ের সময় মনিরকে ১ লাখ টাকা যৌতুক দেওয়ার পর সে আরও যৌতুককের টাকা দাবি করেন। টাকা না দিলে তার মেয়েকে তালাক দিবে একথা বলেন মনির। সে কথা শুনে সুবর্ণা শনিবার বিকেলে শোবার ঘরের বাশের তীরের সাথে ওড়না পেচিয়ে গলায় ফাঁস লাগিয়ে আত্মহত্যা করে। তিনি আরও বলেন, মনিরের চাপের কারণে তার মেয়ে সুবর্ণাকে বিয়ে দিতে হয়। মনিরের কারনে তার মেয়ে আত্মহত্যা করেছে।
এ ব্যাপারে বিজয়নগর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) রাজু আহমেদ ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে জানান, এক কিশোরী গলায় ফাঁস লাগিয়ে আত্মহত্যা করেছে। মরদেহ উদ্ধারের পর জেলা সদর হাসপাতালের মর্গে প্রেরণ করেছি। থানায় একটি অপমৃত্যু মামলা হয়েছে।
চলারপথে রিপোর্ট :
বিজয়নগরে লুৎফুর রহমান ফাউন্ডেশনের সৌজন্যে উপজেলার বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠান ও বিভিন্ন অফিসে ২০ হাজার গাছের চারা বিতরণ করা হয়েছে।
আজ ৫ জুলাই শনিবার দুপুরে উপজেলা পরিষদ মিলনায়তনে উপজেলা নির্বাহী অফিসার (ইউএনও) এ.এইচ ইরফান উদ্দিন আহমেদের সভাপতিত্বে লুৎফুর রহমান ফাউন্ডেশনের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি ও উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান নাছিমা লুৎফুর রহমান ওরফে নাছিমা মুকাই আলী গাছের চারা বিতরণ কার্যক্রম উদ্বোধন করেন।
এ সময় উপস্থিত ছিলেন উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) মেহেদি হাসান শাওন, থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) রাজু আহমেদ, উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার মোঃ আবদুল জলিল, উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডাঃ মাসুমসহ উপজেলার বিভিন্ন দপ্তরের প্রধানগন, বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের প্রধানগন, উপজেলার বিভিন্ন ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যানগন, বীর মুক্তিযোদ্ধাসহ বিভিন্ন পেশাজীবী সংগঠনের নেতৃবৃন্দ।
অনুষ্ঠানে লুৎফুর রহমান ফাউন্ডেশনের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি ও উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান নাছিমা লুৎফুর রহমান ওরফে নাছিমা মুকাই আলী বলেন, পরিবেশের ভারসাম্য রক্ষায় ও বঙ্গবন্ধু শেখ মজিবুর রহমানের বড় সন্তান বীরমুক্তিযোদ্ধা শহীদ ক্যাপ্টেন শেখ কামালের ৭৪ তম জন্মবার্ষিকী উপলক্ষে উপজেলার বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠান ও অন্যান্য দপ্তরের অনুকূলে ২০ হাজার গাছের চারা রোপণের জন্য বিতরণ করা হয়েছে। তিনি বলেন, লুৎফুর রহমান ফাউন্ডেশন সবসময়ই সামাজিক কাজ করে থাকে।
চলারপথে রিপোর্ট :
বাবার বাড়ি থেকে স্বামীর বাড়ি ফেরার পথে তিন শিশুকন্যাসহ খালেদা আক্তার রিতু নামে এক গৃহবধূ নিখোঁজ হয়েছেন। ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার আখাউড়া উপজেলার সিঙ্গারবিলে ঘটনাটি ঘটেছে।
আজ ৮ জুন শনিবার দুপুরে এ ঘটনায় নিখোঁজ গৃহবধূর বাবা আব্দুল আউয়াল ভুঁইয়া বিজয়নগর থানায় একটি সাধারণ ডায়েরি (জিডি) করেছেন। নিখোঁজ গৃহবধূ খালেদা আক্তার ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার আখাউড়া দক্ষিণ ইউনিয়নের দ্বিজয়পুর গ্রামের আতাউর রহমান ভূঁইয়ার স্ত্রী। রিতুর বাবার বাড়ি বিজয়নগর উপজেলার মিরাশানী (ভূঁইয়া বাড়ি) গ্রামে। তার তিন শিশুকন্যা হলো- তাবাসসুম আক্তার (১০), তানিশা আক্তার (৭) এবং হুমায়রা আক্তার (৫)। এর আগে ৭ জুন শুক্রবার বেলা সাড়ে ১১টায় বাবার বাড়ি থেকে স্বামীর বাড়ি ফেরার পথে নিখোঁজ হন তারা।
নিখোঁজ গৃহবধূর স্বামী আতাউর রহমান ভূঁইয়া জানান, গত রবিবার তার স্ত্রী তিন কন্যাকে নিয়ে তাদের বাড়ি থেকে বিজয়নগর উপজেলার মিরাশানী (ভূঁইয়া বাড়ি) তার বাবার বাড়ি বেড়াতে যায়। শুক্রবার বেলা সাড়ে ১১টার দিকে তারা আখাউড়ায় তাদের বাড়ির উদ্দেশ্যে পরিচিত এক অটোরিকশাযোগে বিজয়নগরের সিঙ্গারবিল বাজারে আসেন। পরে এ অটোরিকশা থেকে নেমে অজ্ঞাতপরিচয় অন্য একটি অটোরিকশাতে ওঠে। পরে সন্ধ্যা হয়ে গেলেও স্ত্রী ও সন্তান বাড়িতে না পৌঁছালে তিনি তার শ্বশুরকে ফোন করে জানতে পারেন তারা সকালেই বাড়ির উদ্দেশ্যে বেরিয়েছেন। তখন আশপাশের আত্মীয়-স্বজন, হাসপাতালসহ বিভিন্ন এলাকায় খোঁজ করেও তাদের কোনো সন্ধান পাওয়া যায়নি।
অটোচালক সুমন বলেন, আমি তাদের বাড়ির সামনে থেকে সিঙ্গাবিল বাজার পর্যন্ত নিয়ে আসি। পরে আখাউড়া বাইপাস পর্যন্ত যাওয়ার জন্য অন্য একটি অটোরিকশায় তুলে দেই।
বিজয়নগর থানার ওসি আসাদুল ইসলাম জিডি পাওয়ার বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, এক গৃহবধূ তিন সন্তানসহ নিখোঁজের ঘটনায় দুপুরে একটি জিডি করেছে তার বাবা আব্দুল আউয়াল। বিষয়টি নিয়ে আমাদের তদন্ত চলছে।
চলারপথে রিপোর্ট :
বিজয়নগরে ২ হাজার ৫৪০ পিস ইয়াবা ট্যাবলেট এবং ২০২ বোতল ফেনসিডিলসহ মাদক ব্যবসায়ী মোঃ কাকন মিয়া (৩৫) ও আল-আমিন (৩০) কে গ্রেফতার করেছে র্যাব সদস্যরা। এ সময় মাদকদ্রব্য বহনকারী একটি পিকআপ ভ্যান জব্দ করা হয়।
গতকাল মঙ্গলবার গভীর রাতে ঢাকা-সিলেট মহাসড়কের উপজেলার চান্দুরা ইউনিয়নের ইব্রাহিমপুর এলাকা থেকে তাদেরকে গ্রেফতার করা হয়। গ্রেফতারকৃত কাকন মিয়া ও আল-আমিন সরাইল উপজেলাপর শাহবাজপুর আমিনপাড়া গ্রামের হিরন মিয়ার ছেলে।
আজ ২৬ জুলাই বুধবার দুপুরে র্যাব-৯-এর ব্রাহ্মণবাড়িয়া সিপিসি-১-এর লেঃ কমান্ডার মোহাম্মদ নাহিদ হাসানর স্বাক্ষরিত এক প্রেসবিজ্ঞপ্তিতে এই তথ্য জানা গেছে।
প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে উল্লেখ করা হয়, মঙ্গলবার রাত সোয়া ২টার দিকে গোপন সংবাদের ভিত্তিতে র্যাব সদস্যরা উপজেলার ইব্রাহিমপুর এলাকায় অভিযান চালিয়ে একটি পিকআপ ভ্যান আটক করে। পরে পিকআপ ভ্যানে তল্লাশী করে ২হাজার ৫৪০ পিস ইয়াবা ট্যাবলেট এবং ২০২ বোতল ফেনসিডিল উদ্ধার করা হয়।
গ্রেফতারকৃতরা পেশাদার মাদক ব্যবসায়ি। তাদের বিরুদ্ধে বিজয়নগর থানায় মাদকদ্রব্য আইনে মামলা দায়ের করা হয়েছে।