আখাউড়ায় ভারতীয় নাগরিকসহ ২জন আটক

আখাউড়া, আন্তর্জাতিক, 15 October 2024, 106 Views,

চলারপথে রিপোর্ট :
আখাউড়ায় ভারতীয় নাগরিকসহ দু’জনকে আটক করেছে বিজিবি। ১৪ অক্টোবর সোমবার রাতে ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার আখাউড়া উপজেলার দক্ষিণ ইউনিয়নের হীরাপুর এলাকা থেকে তাদেরকে গ্রেফতার করা হয়। আটককৃত ভারতীয় নাগরিক সাগর রাজারাম কলি (২৩) ভারতের সাংলী বোম্বে জেলার তাঁজগাও এলাকার মৃত রাজারাম কলির ছেলে ও বাংলাদেশি নাগরিক লিটন দেবনাথ (৩৬) হবিগঞ্জ সদর উপজেলার নোয়াহাটি গ্রামের অবনী দেবনাথের ছেলে।

banner

বিজিবি ২৫ ব্যাটালিয়নের অধিনায়ক লে. কর্ণেল ফারাহ্ মোহাম্মদ ইমতিয়াজ জানান, একজন ভারতে যাচ্ছিলেন, আরেকজন ভারত থেকে এসেছিলেন। বিজিবি ফকিরমোড়া বিওপির টহলদল সীমান্ত পিলার ২০২২/৫-এস এর নিকটবর্তী হীরাপুর নামক স্থান থেকে তাদেরকে আটক করে। আটককৃত ব্যক্তিদের জিজ্ঞাসাবাদে জানা যায়, ভারতীয় নাগরিক সাগর রাজারাম কলি এক বছর দুই মাস আগে অবৈধভাবে ভারত হতে বাংলাদেশে এসে নারায়ণগঞ্জে স্বর্ণকারের কাজে নিয়োজিত ছিল।

স্থানীয় মানব পাচারকারী দালাল ও হীরাপুর গ্রামের হেফজু মিয়ার ছেলে বিজয় মিয়া (২৮) এবং আরমান আলীর ছেলে পারভেজ (২৮) এর সহযোগিতায় তিনি ভারতে ফেরত যাচ্ছিল। এছাড়া বাংলাদেশী নাগরিক লিটন দেবনাথ গত ১০ দিন আগে চুনারুঘাট সীমান্ত দিয়ে দূর্গাপুজা উপলক্ষে ভারতের আগরতলায় এক ভাইয়ের বাড়িতে বেড়াতে গিয়েছিলেন। আটক হওয়া ভারতীয় নাগরিকের কাছ থেকে ভারতের আধার কার্ড তৈরীর আবেদন ফরম পাওয়া যায়। তাদেরকে আখাউড়া থানায় হন্তান্তর এবং মানব পাচারে সহায়তাকারীদের বিরুদ্ধে আখাউড়া থানায় মামলা দেওয়া হয়েছে।

Leave a Reply

ইসকন নিষিদ্ধের দাবিতে মানববন্ধন

চলারপথে রিপোর্ট : ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার নাসিরনগরে ভারতে বাংলাদেশের পতাকার অবমাননা, Read more

সরাইলে জাল টাকার নোটসহ গ্রেফতার ২

চলারপথে রিপোর্ট : সরাইলে জাল টাকার নোটসহ দু’জনকে গ্রেফতার করেছে Read more

নবীনগরে টিকটক বানাতে গিয়ে মোটরসাইকেল দুর্ঘটনায়…

চলারপথে রিপোর্ট : নবীনগরে টিকটক করতে গিয়ে মোটর সাইকেল নিয়ন্ত্রণ Read more

উঠান বৈঠক

চলারপথে রিপোর্ট : জেলা তথ্য অফিসের উদ্যোগে তথ্য ও সম্প্রচার Read more

আমন ধান সংগ্রহ অভিযান শুরু

চলারপথে রিপোর্ট : ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার আখাউড়া উপজেলায় ২০২৪-২৫ মৌসুমের আমন Read more

৫ দিনব্যাপী জোড় ইজতেমা শেষ হলো

অনলাইন ডেস্ক : দেশের কল্যাণ, নিরাপত্তা, মুক্তি ও শান্তি কামনা Read more

নাটক থেকে বিদায় নিলেন ফারিয়া শাহরিন

অনলাইন ডেস্ক : ছোট পর্দার অভিনেত্রী ফারিয়া শাহরিন সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে Read more

যাকে বিয়ে করতে চান জানালেন ভাবনা

অনলাইন ডেস্ক : দেশের মডেল ও অভিনেত্রী আশনা হাবিব ভাবনা Read more
ছবি সংগৃহীত

লাখ টাকা আয় চিতই পিঠা বিক্রি…

চলারপথে রিপোর্ট : আব্দুল কাদের চিতই পিঠা বিক্রি করে মাসে Read more

ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় ক্যাবের মানববন্ধন

চলারপথে রিপোর্ট : ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলায় দুর্নীতিবাজ ব্যবসায়ীদের কারসাজি ও অতিরিক্ত Read more

উঠান বৈঠক অনুষ্ঠিত

চলারপথে রিপোর্ট : ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা তথ্য অফিসের উদ্যোগে তথ্য ও Read more

আল্লাহর আইন হচ্ছে সত্যের জয় আর…

চলারপথে রিপোর্ট : আমার দেশ পত্রিকার সম্পাদক ড. মাহমুদুর রহমান Read more

মাটি খুঁড়তে গিয়ে পাওয়া গেল মর্টার শেল

আখাউড়া, 4 March 2024, 431 Views,

চলারপথে রিপোর্ট :
ব্রাহ্মণবাড়িয়ার সীমান্তবর্তী উপজেলা আখাউড়ায় মাটি খুঁড়তে গিয়ে একটি মর্টার শেল পাওয়া গেছে।

banner

আজ ৪ মার্চ সোমবার দুপুরে আখাউড়া উপজেলার উত্তর ইউনিয়নের চাঁনপুর গ্রাম থেকে মর্টার শেলটি উদ্ধার করা হয়।

ধারণা করা হচ্ছে, মর্টার শেলটি মুক্তিযুদ্ধের সময়কার। যা অবিস্ফোরিত রয়ে গেছে। এর আগেও ওই জায়গার পাশ থেকে মর্টার শেল উদ্ধার হয়।

স্থানীয় সূত্র জানায়, সকালে চাঁনপুর গ্রামের পশ্চিম পাড়ার আবুল হাসিমের বাড়ির আঙ্গিনায় লিচু গাছের গোঁড়ার মাটি খোঁড়া হচ্ছিল। কিছুটা মাটি খোঁড়ার পর মর্টার শেলটি পাওয়া যায়। পরে পুলিশে খবর দেওয়া হয়। এ খবর ছড়িয়ে পড়লে মর্টার শেলটি দেখতে লোকজন ঘটনাস্থলে ছুটে আসেন।

আখাউড়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. নূরে আলম বলেন, এটি ১৯৭১ সালের মুক্তিযুদ্ধে ব্যবহার হয়েছিল বলে ধারণা করা হচ্ছে। সে সময় শেলটি অবিস্ফোরিত থাকে। পুলিশ শেলটিকে নিজেদের হেফাজতে নিয়ে নিরাপদ স্থানে রেখেছে। এ ব্যাপারে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিতে কুমিল্লা সেনানিবাসে খবর দেওয়া হয়েছে।

আখাউড়ায় যুগান্তরের প্রতিষ্ঠা বার্ষিকী পালিত

আখাউড়া, 14 February 2023, 1255 Views,

আখাউড়া প্রতিনিধি :
আধুনিক সাংবাদিকতায় যুগান্তরের ভূমিকা অনস্বীকার্য বলে মন্তব্য করেছেন আখাউড়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা অংগ্যজাই মারমা।

banner

যুগান্তরের দুই যুগে পদার্পণ উপলক্ষে আজ ১৪ ফেব্রুয়ারি মঙ্গলবার সকালে উপজেলা সম্মেলন কক্ষে আলোচনা ও কেক কাটা অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ মন্তব্য করেন।

এসময় তিনি আরো বলেন, বস্তুনিষ্ঠ ও সঠিক তথ্য বাংলাদেশের মানুষের কাছে পৌঁছে দিয়ে দায়িত্বশীল সাংবাদিকতায় অবদান রাখায় দৈনিক যুগান্তর আজ দেশের সেরা সংবাদপত্র। যা বাংলাদেশ প্রেস কাউন্সিল থেকে স্বীকৃতপ্রাপ্ত। যুগান্তর ভালোকে ভালো ও মন্দকে মন্দ বলতে দ্বিধান্বিত করেনা। এদিকে আখাউড়া টেলিভিশন জার্নালিস্ট অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি বাংলা টিভির প্রতিনিধি এবং জেলা পরিষদ সদস্য সাইফুল ইসলামের উদ্যোগে উপজেলা ডাকবাংলো মিলনায়তনে যুগান্তর স্বজনদের কেক ও মিষ্টি মুখে তুলে দেয়া হয়েছে। এসময় ফুল দিয়ে শুভেচ্ছা জানান ভাতশালা ফ্রেন্ডশীপ ক্লাবের সভাপতি যোবায়ের আহমেদের পক্ষে সংগঠনের সদস্য ইফতি।

যুগান্তরের আখাউড়া উপজেলা প্রতিনিধি মহিউদ্দিন মিশুর সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে আখাউড়া থানার ওসি আসাদুল ইসলাম, রেলওয়ে থানার ওসি আলীম হোসেন শিকদার, রেলওয়ে নিরাপত্তা বাহিনীর সিআই আবু সুফিয়ান, উপজেলা যুব উন্নয়ন কর্মকর্তা মুসলিম উদ্দিন, উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি মোহাম্মদ আলী চৌধুরী, আওয়ামী লীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক মনির হেসেন বাবুল, উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা শাহানা বেগম, উপজেলা সহকারী সমাজসেবা কর্মকর্তা মো. নূরুল ইসলাম চৌধুরী, উত্তর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মো. শাহাজাহান, যুবলীগের যুগ্ন আহবায়ক আব্দুল মমিন বাবুল, আওয়ামী লীগ নেতা বাবুল পারভেজ, সেচ্ছাসেবক লীগের সাধারণ সম্পাদক শাহ আলম, বীর মুক্তিযোদ্ধা বাহার মিয়া মালদার, বীর মুক্তিযোদ্ধা সৈয়দ জামশেদ শাহ্, ত্রিপুরার দৈনিক সংবাদ প্রতিনিধি দুলাল ঘোষ, যায়যায়দিন প্রতিনিধি হান্নান খাদেম, ইত্তেফাক প্রতিনিধি ফজলে রাব্বি, বিজয় টিভির আশরাফুল মামুন, দেশ রূপান্তর প্রতিনিধি জালাল হোসেন মামুন, আরটিভি সৌদি আরব জেদ্দা প্রতিনিধি হানিছ সরকার উজ্জল, আজকের পত্রিকার সাদ্দাম হোসেন, বাংলাদেশ বুলেটিন প্রতিনিধি রুবেল আহমেদ, এশিয়ান টিভির মোহাম্মদ আবির, প্রতিদিনের সংবাদের মোহাম্মদ শরীফ, আমাদের নতুন সময় প্রতিনিধি হাসান মাহমুদ পারভেজ, দৈনিক আমাদের বাংলা ও দৈনিক কুরুলিয়ায়’র আখাউড়া প্রতিনিধি মোঃ ইসমাইল হোসেন, বাংলাদেশ সমাচারের অমিত হাসান অপু সাংবাদিক শেখ মনির হেসেন নিজাম ও রিফাত অন্যান্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন।

এছাড়া উপজেলা প্রশাসনের বিভিন্ন দফতরের কর্মকর্তা-কর্মচারী, রাজনীতিবিদ, জনপ্রতিনিধি, বিভিন্ন সামাজিক ও সাংস্কৃতিক সংগঠনের নেতৃবৃন্দসহ গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গ যুগান্তরের স্বজনরা উপস্থিত ছিলেন।

এ সময় উপজেলা পরিষদ এলাকায় সর্বস্তরের মানুষের উৎসবে পরিণত হয়।
অন্যদিকে যুগান্তর পত্রিকা সাহসী অভিযাত্রায় দুই যুগে পদার্পণে আখাউড়া উপজেলার অজস্র পাঠক, বিজ্ঞাপনদাতা, এজেন্ট, হকারসহ সর্বস্তরের শুভানুধ্যায়ীকে শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন জানিয়ে সকাল থেকে পিকআপ যোগে উপজেলাজুড়ে মাইক ও ঢাকঢোল বাজিয়ে আনন্দ উদযাপন করেন স্বজন সমাবেশের সদস্য এবং স্থানীয় প্রতিনিধি মহিউদ্দিন মিশু।

অনুষ্ঠানে যুগান্তরের স্বপ্নদ্রষ্টা বীর মুক্তিযোদ্ধা নুরুল ইসলামের অসামান্য অবদান নিয়ে আলোচনা এবং তার বিদেহী আত্মার শান্তি কামনা করা হয়।

নৌকায় ভেসে ভেসে লিবিয়ার ‘গেম ঘরে’ আটকা কয়েকশ বাংলাদেশি

আন্তর্জাতিক, 18 December 2022, 1194 Views,

চলার পথে অনলাইন ডেস্ক:
পিরোজপুরের নাজিরপুরের সফিকুল ইসলাম ওরফে শফিউল্লাহ শেখ। ভাগ্য বদলাতে ১৩ লাখ টাকায় ইতালি যাওয়ার জন্য চুক্তি করেন। প্রথমে সাত লাখ টাকা দেন; পরবর্তীসময়ে আরও পাঁচ লাখ টাকা দেওয়ার কথা ছিল। ইতালি যাওয়ার কথা বলে প্রথমে দুবাই, পরে সিরিয়া হয়ে লিবিয়ার ‘গেম ঘর’ নামক টর্চাল সেলে নিয়ে শফিউল্লাহকে নির্যাতন করতো একটি সংঘবদ্ধ মানবপাচারকারী চক্র। চলতি বছরের ২৮ অক্টোবর রাজধানীর যাত্রাবাড়ী ও ডেমরা থানা এলাকায় অভিযান চালিয়ে মানবপাচারকারী চক্রের দুই সদস্যকে গ্রেফতার করে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের গোয়েন্দা (তেজগাঁও) বিভাগ। একই সঙ্গে অপহৃত শফিউল্লাহকে লিবিয়া থেকে উদ্ধার করে পুলিশ।
রাজধানীর গুলিস্তানে নুরুজ্জামান রাজুর একটি মোবাইল ফোন মেরামতের দোকান ছিল। ইউরোপে একটি উন্নত জীবন শুরুর আশায় ২৯ বছর বয়সী এই তরুণ তার দোকান প্রায় ১২ লাখ টাকায় বিক্রি করেন। চলতি বছরের মার্চে দেশ ছেড়ে চলে যান স্বপ্নের দেশ ইতালি। মানবপাচারকারী চক্র তাকে প্রথমে দুবাই ও পরে লিবিয়ায় পাঠায়। কিন্তু রাজু লিবিয়ার বেনগাজিতে পৌঁছানোর পর তার যাত্রা হঠাৎ বন্ধ হয়ে যায়। সেখানে তিনি গত আট মাস ‘গেম ঘরে’।
এভাবেই রাজুর বাবা আমিনুল ইসলাম তার ছেলের সঙ্গে ঘটে যাওয়া ঘটনার করুণ বর্ণনা দেন। আমিনুল বলেন, ‘আমি প্রতি দু-তিনদিন পরপর আমার ছেলের কাছ থেকে ফোন পাই। গেম ঘরের লোকরা মুক্তিপণের জন্য রাজুকে নির্যাতন করছে। সে সাহায্যের জন্য কান্নাকাটি করে কিন্তু আমি অসহায়।’
রাজুর বাবা আরও বলেন, ১০ লাখ টাকা চেয়ে ছেলের নির্যাতনের ভিডিও পাঠিয়েছে। যখন আমি বলেছিলাম আমার কাছে এতো টাকা নেই, তখন একজন বাংলাদেশি নিজেকে শরীফ বলে পরিচয় দিয়ে আমাকে ফোন করে ৭ লাখ টাকায় চুক্তি করা হয়েছে বলে জানান।
পরে সম্পত্তি বিক্রি করে ও ঋণ নিয়ে আমিনুল ইসলাম সাড়ে পাঁচ লাখ টাকা দিয়ে রফাদফা করে শরীফের মাধ্যমে। এরপর নভেম্বর মাসে তিনি দুটি ব্যাংক অ্যাকাউন্ট ও একটি মোবাইল ব্যাংকিং অ্যাকাউন্টে টাকা পাঠান। টাকা দেওয়ার পরেও আমিনুলের ছেলে রাজুর কপালে মুক্তি মেলেনি।
পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, কুমিল্লার শরীফ হোসেন। এই মানবপাচার চক্রের মূলহোতা। তিনি থাকেন লিবিয়ার বেনগাজিতে। লিবিয়ায় অবস্থান করা বাংলাদেশি লোকজন তাকে সমীহ করেন। কারণ, তিনি সেখানে ‘মাফিয়া শরীফ’ নামে পরিচিত। এই শরীফ সেখানে বসে ‘গেম ঘর’র মালিক। দেশের বিভিন্ন জেলা থেকে ইউরোপে পাঠানোর কথা বলে শরীফের চক্র লোকজনকে লিবিয়া নিয়ে ‘গেম ঘর’ এ আটকে রেখে নির্যাতন চালায় এবং বাংলাদেশে ভুক্তভোগীদের পরিবারের কাছ থেকে মোটা অংকের টাকা নেয়। তবে সেই গেম ঘরের চাবি থাকে মাদারীপুর জেলার বাসিন্দা তাজনাহার রিক্তা নামে এক নারীর কাছে।
ডিএমপির কাউন্টার টেরোরিজম অ্যান্ড ট্রান্সন্যাশনাল ক্রাইম (সিটিটিসি) মানবপাচারের একটি মামলা তদন্ত করতে গিয়ে এই গেম ঘরের তথ্য পেয়েছে। বাংলাদেশ থেকে হাজার মাইল দূরে সেই ‘গেম ঘর’ এ নির্মম নির্যাতনের শিকার কয়েকশ বাংলাদেশি।
মামলার তদন্ত কর্মকর্তারা বলছেন, মাদারীপুরে অবস্থানকারী রিক্তার হাতে শরীফ মাফিয়ার চাহিদা অনুযায়ী টাকা দিলেই গেম ঘর থেকে পাচার হওয়া ব্যক্তিদের মুক্তি মেলে। লিবিয়ার গেম ঘর থেকে মুক্তি পাওয়ার সেই চাবি আগে থাকতো শরীফের স্ত্রী সুমি আক্তারের কাছে। এই সুমি গত নভেম্বরে লিবিয়ায় মাফিয়া স্বামীর রাজ্যে চলে গেছেন। এরপর সেই দায়িত্ব পান রিক্তা। সম্পর্কে সুমির ভাবি রিক্তা।
সিটিটিসি জানায়, বাংলাদেশ থেকে অবৈধপথে ইউরোপ নেওয়ার কথা বলে লিবিয়ার গেম ঘরে আটকে রাখার চক্রগুলোর মধ্যে শরীফ হোসেন অন্যতম। তাকে বেনগাজিতে সবাই মাফিয়া হিসেবে চেনে। ফরিদপুর, মাদারীপুর ও শরীয়তপুরসহ দেশের বিভিন্ন জেলায় এই চক্র ছড়িয়ে রয়েছে। তাদের চক্রে নারী সদস্যও রয়েছে।
সিটিটিসির ট্রান্সন্যাশনাল ক্রাইম বিভাগের অতিরিক্ত উপ-পুলিশ কমিশনার (এডিসি) তৌহিদুল ইসলাম বলেন, শরীফ ও রিক্তা চক্রের মোবাইল ব্যাংকিংসহ বিভিন্ন ব্যাংকে শতাধিক অ্যাকাউন্টের তথ্য মিলেছে। এর মধ্যে ৭০টি অ্যাকাউন্ট তারা যাচাই করে দেখেছেন।
এতে দেখা গেছে, ওই অ্যাকাউন্টগুলোতে গত দুই বছরে অন্তত ৫ কোটি টাকা লেনদেন হয়েছে। দেশের বিভিন্ন জায়গা থেকে লোকজনকে লিবিয়ায় পাচার, সেখানে গেম ঘরে আটকে ও জিম্মি নাটক সাজিয়ে ভিকটিম পরিবারগুলো থেকে এই টাকা আদায় করে শরীফ চক্র।
সিটিটিসির আরেক কর্মকর্তা বলেন, লিবিয়ায় মাফিয়া শরীফের গেম ঘরে কয়েক মাস ধরে তিন শতাধিক বাংলাদেশি বন্দি অবস্থায় রয়েছে। তাদের ভূমধ্যসাগর পাড়ি দিয়ে ইতালি নেওয়ার কথা বলে সেখানে নিয়ে আটকে রাখা হয়েছে। তবে অবৈধ অভিবাসী অনুপ্রবেশে দেশটির নৌ সীমান্তে কড়াকড়ির কারণে কেউ যেতে পারছেন না। এ অবস্থায় শরীফ জিম্মির নাটক সাজিয়ে বাংলাদেশে থাকা ভুক্তভোগীদের পরিবারের কাছ থেকে টাকা নিচ্ছেন।
ওই কর্মকর্তা বলেন, গেম ঘরে আটক থাকা লোকদের খাওয়ার খরচও তাদের স্বজনরা বাংলাদেশ থেকে পাঠান। মাসে ৪ থেকে ৫ হাজার টাকা খাওয়া খরচ হিসেবে শরীফের লোকদের হাতে তুলে দিতে হচ্ছে।
এডিসি তৌহিদুল ইসলাম বলেন, গত নভেম্বরে শরীফ দেশেই ছিলেন। তার বিষয়ে তথ্য পেয়ে তাকে গ্রেফতারে উদ্যোগও নেওয়া হয়। তবে ৩০ নভেম্বর দুই স্ত্রী সুমি আক্তার ও হালিমা বেগমকে নিয়ে তিনি দেশ ছাড়েন। এরপরই রিক্তা শরীফের হয়ে দেশে সমন্বয়কের দায়িত্ব পান। তবে শরীফের পুরো পরিবার, তার শ্বশুরবাড়ির লোকজনও এই পাচার চক্রে জড়িত। এরই মধ্যে কয়েকজনকে গ্রেফতার করে চক্রের কার্যক্রম নিয়ে বেশকিছু তথ্য মিলেছে।
এই কর্মকর্তা বলেন, শরীফের বিষয়ে পুলিশ সদর দপ্তরের ন্যাশনাল সেন্ট্রাল ব্যুরোর (এনসিবি) শাখায় তারা চিঠি লিখবেন, যাতে ইন্টারপোলের মাধ্যমে তাকে দেশে ফেরানো যায়। তার গেম ঘরে থাকা বন্দিদের কীভাবে মুক্ত করা যায়, সে বিষয়েও পরামর্শ করা হবে।
দেশ থেকে যেভাবে যে রুটে পাচার ॥ সিটিটিসি কর্মকর্তারা বলছেন, শরীফ চক্রের দালালরা দেশের প্রত্যন্ত অঞ্চলে ছড়িয়ে। দালালরা ইউরোপ যেতে ইচ্ছুক লোকজনকে খুঁজে বের করে। এরপর তাদের কাছ থেকে প্রথম দফায় ৩ থেকে ৪ লাখ করে টাকা নেয়। প্রলোভন দেখানো হয়, এক সপ্তাহের মধ্যে বৈধভাবে বড় জাহাজে করে ইতালি পাঠানো হবে। এরপর ইউরোপ যেতে ইচ্ছুক লোকজনকে প্রথমে বৈধভাবে (ভ্রমণ ভিসায়) দুবাই, মিশর বা তুরস্ক পাঠানো হয়। এসব দেশেও শরীফের চক্রের লোকজন রয়েছে।
তারা বাংলাদেশ থেকে পাঠানো লোকজনকে রিসিভ করে নিজেদের কাছে রাখে। এরপর সুযোগ মতো লিবিয়ার বেনগাজিতে পাঠানো হয়। সেখানে শরীফ ও তার দুই স্ত্রীসহ তাদের মাফিয়া চক্রের লোকজন রিসিভ করে নিজেদের হেফাজতে নিয়ে নেয়। এরপর শুরু হয় গেম ঘরের খেলা।
সিটিটিসির কর্মকর্তা তৌহিদুল ইসলাম জানান, তাদের কাছে তথ্য রয়েছে, নভেম্বরে শরীফ দুই স্ত্রীকে নিয়ে লিবিয়ায় নিজের ডেরায় চলে গেলেও প্রথম স্ত্রী হালিমা বেগম সেখানে মারা যান। শরীফ তার পরিবারের কাছে দাবি করেছেন, হালিমা স্ট্রোক করে মারা গেছেন। তবে তাকে মেরে ফেলা হয়েছে বলে সন্দেহ করা হচ্ছে। শরীফকে দেশে ফেরাতে পারলে এসব প্রশ্নের উত্তর মিলবে।
শরীফ চক্রের স্থানীয় দালালদের মাধ্যমে লিবিয়া হয়ে ভূমধ্যসাগর পাড়ি দিয়ে ইউরোপে গেছেন, বর্তমানে লিবিয়ায় শরীফের গেম ঘরে রয়েছেন- এমন অন্তত ছয় ভুক্তভোগী পরিবারের সঙ্গে কথা হয় এই প্রতিবেদকের। তাদের মধ্যে শরীয়তপুর জেলার বাসিন্দা সোহরাব হোসেন গেম ঘর থেকে লিবিয়া যাওয়ার পথে নৌকাডুবির পর আন্তর্জাতিক শরণার্থী সংস্থার মাধ্যমে উদ্ধার হয়ে দেশে ফেরেন। তিনি বলেন, তারা স্থানীয় দালালদের মাধ্যমে প্রথমে ৪ লাখ টাকায় লিবিয়া যান। সেখানে তাদের একটি বাসায় রাখা হলেও কয়েকদিন পর জাহাজে তুলে দেওয়ার কথা বলে সমুদ্রের অদূরে একটি গুদামঘরের মতো বাসায় নেওয়া হয় তাকেসহ কয়েকজনকে। সেখানে তার মতো আরও কয়েকজনকে দেখতে পান। এটিই গেম ঘর নামে পরিচিত। এখান থেকেই সাগরে ছোট ছোট নৌকায় তুলে দেওয়া হয়, তাকেও একইভাবে তুলে দেওয়া হয়েছিল। যদিও তাকে বলা হয়েছিল, বড় জাহাজে ইতালি নেওয়া হবে। সেই কথা বলে তার পরিবারের কাছ থেকে আরও ৬ লাখ টাকা নেওয়া হয়। তবে স্থানীয় দালাল চক্রটি তার এলাকায় প্রভাবশালী হওয়ায় তিনি নাম বলতে রাজি হননি।
শরীফের গেম ঘরে জিম্মি অবস্থা থেকে উদ্ধার হয়ে বিভিন্ন সময়ে দেশে ফেরা লোকজন পুলিশকে বলেছে, তাদের বাসা থেকে গেম ঘরে নেওয়ার সময়ে লিবিয়ার স্থানীয় পুলিশ বা দেশটির সন্ত্রাসী চক্র তুলে নিয়ে যায়। অনেককে গেম ঘর থেকেও তুলে নেওয়া হয়। এরপর শরীফ ও তার লোকজন দেশে থাকা দালালদের মাধ্যমে পরিবার ও স্বজনদের জানিয়ে দেন এবং তাদের মুক্ত করতে ৫ থেকে ৮ লাখ টাকা দাবি করেন।
মাদারীপুরের শিবচরের একজন বাসিন্দা রহিম শেখ গত জুলাইয়ে ভূমধ্যসাগর পাড়ি দিয়ে ইতালি পৌঁছতে পেরেছেন। তিনি ইমো অ্যাপসে সম্প্রতি এই প্রতিবেদককে বলেন, তাকে এক সপ্তাহের মধ্যে বড় জাহাজে ইতালি নেওয়ার কথা ছিল। কিন্তু তিনি ছয় মাস লিবিয়ায় থাকেন। এর মধ্যে মাফিয়াদের হাতে একবার জিম্মি হন। কিন্তু নিজের এলাকায় টাকা দেওয়ার পর মুক্ত হন। যদিও তার জিম্মি বা অপহরণ হওয়ার বিষয়টি পরিবারকে তিনি জানাতে পারেনি। যারা জিম্মি করে, অপহরণ করে তারাই ভুক্তভোগীদের পরিবারকে বলে, ভয় দেখিয়ে ও নির্যাতনের ভিডিও পাঠিয়ে টাকা হাতিয়ে নেয়।
লেনদেন ইতালিতে, হুন্ডি হয়ে আসে দেশে ॥ সিটিটিসির ট্রান্সন্যাশনাল ক্রাইম এডিসি তৌহিদুল ইসলাম বলেন, ইতালিতেও মাফিয়া শরীফের একটা সিন্ডিকেট রয়েছে। তারা অবৈধভাবে ইউরোপে লোক পাঠিয়ে অন্তত ৫ কোটি টাকা পাচারের তথ্য পেলেও এর বাইরে বড় অঙ্কের টাকার লেনদেন হয় ইতালিতে। পরে সেই টাকা হুন্ডির মাধ্যমে আসে দেশে। মূলহোতা শরীফের বিষয়ে পুলিশ সদর দপ্তরের ন্যাশনাল সেন্ট্রাল ব্যুরোর (এনসিবি) শাখায় চিঠি পাঠানো হবে। যাতে গেম ঘরে থাকা বাংলাদেশিদের উদ্ধার করা যায়।
বিদেশ যেতে ইচ্ছুক বাংলাদেশি তরুণ-যুবকদের উদ্দেশ্যে পুলিশের এই কর্মকর্তা বলেন, উন্নত জীবন-যাপনের জন্য দালালরা ইউরোপ যেতে ইচ্ছুক লোকজনকে টার্গেট করে। প্রলোভন দেখানো হয়, বৈধভাবে বড় জাহাজে ইতালি পাঠানো হবে। এরপর ইউরোপ যেতে ইচ্ছুক লোকজনকে প্রথমে বৈধভাবে (ভ্রমণ ভিসায়) দুবাই, মিশর বা তুরস্ক পাঠানো হবে। এসব প্রলোভন থেকে নিজেকে ও পচিরিতদের সতর্ক করতে হবে। অন্যথায় মাসের পর মাস গেম ঘরে থেকে নির্যাতনের শিকার হয়ে দেশে থাকা পরিবারের কষ্টার্জিত সম্পদ বিনষ্ট হবে।

banner

সূত্র : জাগো নিউজ ২৪.কম

আখাউড়ায় আনন্দ উচ্ছ্বাসে ’৯৩ ব্যাচের মিলন মেলা অনুষ্ঠিত

আখাউড়া, 2 July 2023, 922 Views,

চলারপথে রিপোর্ট :
আখাউড়ায় শাহপীর কল্লা শহীদ উচ্চ বিদ্যালয়ের ১৯৯৩ ব্যাচের এসএসসি পরীক্ষার্থীদের সংগঠন ‘প্রিয়মুখ ৯৩’ ব্যাচের বন্ধু মিলন মেলা অনুষ্ঠিত হয়েছে। উপজেলার উত্তর ইউনিয়নের আজমপুর সীমান্তবর্তী আর্মি বাগানে আজ ২ জুলাই রবিবার দিনব্যাপী আয়োজন আনন্দ উচ্ছাসে সম্পন্ন হয়।

banner

গান, কৌতুক, কবিতা, স্মৃতি চারণ, খেলাধুলা এবং র‌্যাফেল ড্র এসবের মাধ্যমে পরিবারের সদস্যদের নিয়ে একটি আনন্দময় দিন কাটায় সহপাঠীরা।

দীর্ঘদিন পর হারিয়ে যাওয়া বন্ধু-বান্ধবীদেরকে কাছে পেয়ে উচ্ছ্বাসে মেতে উঠেন সহপাঠীরা। অনুষ্ঠানে অনেকেই জীবনসঙ্গী ও ছেলে মেয়েদেরকে নিয়ে আসেন। পুরনো বন্ধুকে কাছে পেয়ে একে অপরকে জড়িয়ে ধরে আনন্দ উচ্ছাস প্রকাশ করেন প্রাক্তন শিক্ষার্থীরা। অনুষ্ঠানটি যেন হারিয়ে যাওয়া বন্ধুদের মিলন মেলায় পরিনত হয়। ছোট্ট ছোট্ট ছেলে মেয়েরা বাবা মায়ের সাথে এসে আনন্দ উপভোগ করে।

অনুষ্ঠানের প্রথম পর্বে ছিল পরিচিতি, গান, কৌতুক, স্মৃতিচারণ। দুপুরে নামাজের বিরতির পর প্রীতিভোজ। তারপর শুরু হয় মজার মজার সব খেলা। মিউজিক্যাল চেয়ার, সুইয়ের মুখে সুতা ঢুকানো, হাড়ি ভাঙ্গাসহ আরও কত কী।

পুরনো দিনের স্মৃতিচারণ করার সময় অনেকের কন্ঠের স্বর ভারি হয়ে আসে। চোখের কোণ গড়িয়ে নেমে আসে পানি। আবার অনেকে মজার কৌতুক বলে হাসিয়ে তুলেন সবাইকে। লাউড স্পিকারে করুন সুরে বেজে উঠে ‘পুরানো সেই দিনের কথা ভুলবি কি রে হায়। ও সেই চোখে দেখা, প্রাণের কথা, সে কি ভোলা যায়। আয় আর একটিবার আয় রে সখা, প্রাণের মাঝে আয়।’

অনুষ্ঠানের আয়োজনস্থলটি খুবই মনোমুগ্ধকর। সীমান্তঘেঁষা বিভিন্ন ফল ফলাদির বাগানটি খুবই সুন্দর। অনুষ্ঠানের ফাঁকে ফাঁকে বাগানটি ঘুরে দেখেন আগতরা। পূর্ব দিকে চোখ ফেরাতেই চোখে পড়ের কাঁটাতারের বেড়া। তারপরেই আগরতলার বিমানবন্দরের রানওয়ে। সব মিলিয়ে এলাকাটি ছিল খুবই চমৎকার।

পুরস্কার বিতরণ ও সমাপনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তৃতা করেন আজমপুরের কৃতি সন্তান, ঢাকা গুলশানের সাবেক সাব- রেজিস্ট্রার মোঃ রমজান খান। বিশেষ অতিথি ছিলেন অধ্যাপক মোবারক খান, হংকং প্রবাসী বিশিষ্ট শিল্পপতি এ.এম.ডি ফাউন্ডেশনের চেয়ারম্যান মোঃ আজমল হোসেন খান, এ.এমডি ফাউন্ডেশনের ম্যানেজিং ডিরেক্টর নাজমুল হোসেন সুমন, প্রভাষক সায়েদুর রহমান, আক্তার হোসেন, সার্জেন্ট (অব.) মোঃ সফিউল আলম স্বপন, ইকরাম হোসেন, কামাল ভূইয়া প্রমুখ।

অনুষ্ঠান সঞ্চালনা করেন মোহাম্মদ মুন্না।হাসি আনন্দ আর নিজেদের সুখ দু:খ ভাগাভাগি করে এক বুক ভালোবাসা নিয়ে যে যার নীড়ে ফিরে যান আবারও দেখা হবে সেই প্রত্যাশায়।

বীর মুক্তিযোদ্ধা ইদ্রিস মিয়ার রাষ্ট্রীয় মর্যাদায় দাফন সম্পন্ন

আখাউড়া, 2 June 2023, 899 Views,

চলারপথে রিপোর্ট :
চোখের জলে ও হৃদয় নিংড়ানো ভালোবাসায় সিক্ত হয়ে চির বিদায় নিলেন ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার আখাউড়া উপজেলার ১নং মনিয়ন্দ ইউনিয়নের পরিষদের মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডার, ১নং ওয়ার্ডে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক, মনিয়ন্দ গ্রামে কৃতিসন্তান বীর মুক্তিযোদ্ধা ইদ্রিস মিয়াকে রাষ্ট্রীয় মর্যাদায় দাফন করা হয়েছে।

banner

গতকাল বৃহস্পতিবার দিবাগত রাত আনুমানিক ১২ টায় জেনারেল হাসপাতাল ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান। মৃত্যুকালে তিনি স্ত্রী ৭ ছেলে, ৪ মেয়েসহ অসংখ্য আত্মীয়-স্বজন গুণগ্রাহী রেখে গেছেন।

আজ ২ জুন শুক্রবার বাদ আসর মনিয়ন্দ বিজিবি ক্যাম্প সংলগ্ন কেন্দ্রীয় জামে মসজিদ মাঠ প্রাঙ্গণেই জানাযা অনুষ্ঠিত হয়।

আখাউড়া উপজেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে সহকারী ভূমি কমিশনার প্রশান্ত চক্রবর্তী পুষ্প অপর্ণ করেন। এরপর পুলিশের একটি চৌকস দল তাকে গার্ড অব অনার প্রদান করেন।

এসময় আখউড়া উপজেলার মনিয়ন্দ ইউনিয়নের পরিষদের চেয়ারম্যান মাহবুব আলম দীপক, সাবেক চেয়ারম্যান কামাল ভুঁইয়া, বীর মুক্তিযোদ্ধা বাহার মালদার, আখউড়া উপজেলা আওয়ামী লীগের সহ সভাপতি সেলিম ভুঁইয়া, বীর মুক্তিযোদ্ধা আলি নেওয়াজ খান, ইউনিয়নের আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক রফিক মিয়া,ওয়ার্ড মেম্বার তাজুল ইসলাম, ১ং মনিয়ন্দ ইউনিয়নে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আলমগীর ভূঁইয়াসহ বিভিন্ন রাজনৈতিক, সামাজিক, সাংস্কৃতিক, সংগঠনের নেতৃবৃন্দসহ নানা শ্রেণীর পেশার মানুষ অংশগ্রহণ করেন।