অনলাইন ডেস্ক :
ঘরের মাঠে বাংলাদেশের বিপক্ষে দাপট দেখিয়েছিল ভারত। টেস্ট সিরিজের দুই ম্যাচেই বড় ব্যবধানে জয়লাভ করে সিরিজ জিতে নেয় তারা। কিন্তু নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে যেন ভিন্নরূপে দেখা যাচ্ছে তাদের। প্রথম টেস্টের প্রথম দিন বৃষ্টিতে ভেসে যাওয়ার পর দ্বিতীয় দিন খেলতে নেমেই ধ্বস নামে। দ্রুত সবগুলো উইকেট হারিয়ে স্রেফ ৪৬ রানেই থামে তারা। যেটি টেস্টে তাদের তৃতীয় সর্বনিম্ন স্কোর। আর ঘরের মাঠে সর্বনিম্ন।
টস জিতে ভারত ব্যাট করতে নেমে উইকেটের মিছিল শুরু হয়। ৩১ ওভার ২ বলে সবগুলো উইকেট হারিয়ে ফেলে তারা। পুরো ইনিংসে কেবল দুজন ব্যাটার স্পর্শ করতে পেরেছেন দুই অঙ্ক। ওপেনার জায়সাওয়াল ১৩ ও পাঁচে ব্যাট করতে নামা ঋশভ পন্থ করেন ২০ রান।
নিউজিল্যান্ডের হয়ে বল হাতে আলো ছড়ান ম্যাট হেনরি। ১৩ ওভার ২ বলে ১৫ রান খরচায় তিনি নেন ৫টি উইকেট। একইসঙ্গে পূর্ণ করেন ক্যারিয়ারের ১০০ উইকেট। ১২ ওভারে ২২ রান দিয়ে ৪ উইকেট শিকার করেন উইলিয়াম ও’রউরকে। বাকি উইকেট নেন টিম সাউদি।
কিউই পেসারদের তোপে ভারতের শুরুটা হয় বিবর্ণ। টিম সাউদির বলে বোল্ড হয়ে ফেরেন রোহিত শর্মা। তার ব্যাট থেকে আসে ২ রান। ভিরাট কোহলি মাঠে নেমে টিকতেও পারেননি। ডাক মেরে সাজঘরে ফেরেন তিনি। একই পথে হাঁটেন সরফরাজ খানও। কিছুক্ষণ থিতু হওয়া ইয়াশাসবি জায়সাওয়ালকে উইলিয়াম। ১৩ রানে ফেরেন তিনি।
বাকিদের আসা যাওয়ার মাঝে কেবল থিতু হন ঋশভ পন্থ। এদিকে লোকেশ রাহুল, রবীন্দ্র জাদেজা ও রবিচন্দ্রন অশ্বিনও শূন্য রানে ফিরে ভারতকে নিয়ে যান লজ্জার রেকর্ডের কাছে। অবশ্য নিজেদের সর্বনিম্ন সংগ্রহ ইতোমধ্যে পার করে ফেলেছেন তারা। এর মধ্যে ৪৯ বলে ২০ রানে ফেরেন পন্থ। আর বুমরাহ ফেরেন ১ রানে।
শেষদিকে বেশ কিছুক্ষণ লড়াই চালান মোহাম্মদ সিরাজ ও কুলদ্বীপ যাদব। কিন্তু তাদের জুটিটি দীর্ঘস্থায়ী হয়নি। তারা ৩০ বলে যোগ করতে পারেন ৬ রান। পঞ্চাশের আগেই সবগুলো উইকেট বিলিয়ে দেয় ভারত।
অনলাইন ডেস্ক :
মুলতানে ঘূর্ণি পিচ বানিয়ে ওয়েস্ট ইন্ডিজের কাছে সোয়া দু’দিনেই নাকাল হলো শান মাসুদের দল। দুই ম্যাচের টেস্ট সিরিজ ১-১ সমতায় শেষ করলো ক্যারিবীয়রা। ক্যারিবীয়রা ৩৪ বছর দুই মাস পর জয় পেয়েছে পাকিস্তানে। সবশেষ জিতেছিল ১৯৯০ সালের নভেম্বরে। দ্বিতীয় দিন শেষেই হারের শঙ্কায় ছিল পাকিস্তান। স্বাগতিকদের প্রয়োজন ছিল ১৭৮ রান, হাতে ৬ উইকেট। কিন্তু ব্যাটসম্যানের জন্য বধ্যভূমি হয়ে ওঠা মুলতান পিচে পুরো ১০ উইকেট নিয়েও এই রান প্রায় পাহাড়সম। আজ ২৭ জানুয়ারি সোমবার পাকিস্তানের শেষ দিকের ব্যাটসম্যানেরা সেই পাহাড় টপকাতে পারেনি। ২০ ওভারের মধ্যে ৫৭ রানে বাকি ৬ উইকেট হারিয়ে পরাজয় নিয়ে মাঠ ছেড়েছে। ২৫৩ রান তাড়া করতে নামা পাকিস্তানকে ১৩৩ রানে গুটিয়ে দিয়ে ওয়েস্ট ইন্ডিজ ম্যাচ জিতেছে ১২০ রানে।
ম্যাচের তৃতীয় দিন সকালে দিনের প্রথম আট বলের মধ্যেই আউট হয়েছেন দুই অপরাজিত সৌদ শাকিল ও কাশিফ আলী। ১৩ রান করা শাকিল ক্যাচ দিয়েছেন কেভিন সিনক্লেয়ারের বলে, নাইটওয়াচম্যান হিসেবে আগেভাগে নামা কাশিফ জোমেল ওয়ারিক্যানের বলে।
সপ্তম উইকেটে মোহাম্মদ রিজওয়ান ও আগা সালমান কিছুটা প্রতিরোধের চেষ্টা করেছেন। কিন্তু যে উইকেটে স্পিনাররা ইচ্ছামতো বল ‘নাচাতে’ পারেন, সে উইকেটে ব্যাটসম্যানের প্রতিরোধও আর কতক্ষণ! ৩৯ রানের জুটি ভেঙে দুজনকেই ফিরিয়েছেন ওয়ারিক্যান।
বাঁহাতি এ স্পিনার শেষ ব্যাটসম্যান সাজিদ খানকে ফিরিয়ে পূর্ণ করেন ইনিংসে ৫ উইকেটও। প্রথম ইনিংসে ৪ উইকেট আর ব্যাট হাতে দুই ইনিংস মিলিয়ে ৫৪ রান করে ম্যাচসেরাও হয়েছেন ওয়ারিক্যানই। আর দুই ম্যাচ মিলিয়ে ৮৫ রান ও ১৯ উইকেট নিয়ে সিরিজসেরাও ৩২ বছর বয়সী এই স্পিনার।
ওয়ার্ল্ড টেস্ট চ্যাম্পিয়নশে পাকিস্তান ও ওয়েস্ট ইন্ডিজের সর্বশেষ এই সিরিজে বড়সড় একটি রেকর্ডই গড়েছেন স্পিনাররা। দুই টেস্ট মিলিয়ে স্পিনাররা নিয়েছেন মোট ৬৯ উইকেট—যা এক সিরিজে সর্বোচ্চ। পেছনে পড়ে গেছে ২০২১ সালে শ্রীলঙ্কা–ওয়েস্ট ইন্ডিজ সিরিজের ৬৭ উইকেট।
তবে ওয়েস্ট ইন্ডিজের সবচেয়ে বড় অর্জন মুলতানের দ্বিতীয় টেস্ট জয়ে। এবারের আগে পাকিস্তানে ২২ টেস্ট খেলে মাত্র ৪টিতে জিতেছিল ক্যারিবীয়রা। যার সর্বশেষটি ১৯৯০ সালের ২৫ নভেম্বর ফয়সালাবাদে। কেমার রোচ ছাড়া এই দলের কারও তখন জন্মই হয়নি।
সংক্ষিপ্ত স্কোর:
ওয়েস্ট ইন্ডিজ: ১৬৩ ও ২৪৪ (ব্রাফেট ৫২, ইমলাখ ৩৫, জাঙ্গু ৩০; সাজিদ ৪/৭৬, নোমান ৪/৮০)।
পাকিস্তান: ১৫৪ ও ৪৪ ওভারে ১৩৩ (বাবর ৩১, রিজওয়ান ২৫, সালমান ১৫; ওয়ারিক্যান ৫/২৭, সিনক্লেয়ার ৩/৬১)।
ফল: ওয়েস্ট ইন্ডিজ ১২০ রানে জয়ী।
ম্যান অব দ্য ম্যাচ: জোমেল ওয়ারিক্যান।
সিরিজ: দুই টেস্ট সিরিজে পাকিস্তান–ওয়েস্ট ইন্ডিজ ১–১ সমতা।
ম্যান অব দ্য সিরিজ: জোমেল ওয়ারিক্যান।
অনলাইন ডেস্ক :
পাকিস্তান সিরিজ দিয়ে বাংলাদেশ দলের ব্যস্ত টেস্ট মৌসুম শুরু হবে। আগামী ডিসেম্বরের মধ্যে নাজমুল হোসেনরা ৮টি টেস্ট খেলবেন। ব্যস্ত সূচিকে সামনে রেখে গত ২৫ মে থেকেই সিলেট ও চট্টগ্রামে বিশেষ ক্যাম্প করে প্রস্তুতি নিয়েছেন টেস্ট দলের আশপাশে থাকা ক্রিকেটাররা। টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ থেকে ফেরা ক্রিকেটারদের কয়েকজনও সে ক্যাম্পে যোগ দিয়েছেন।
সাকিব আল হাসান এ সময়টায় ব্যস্ত ছিলেন ফ্র্যাঞ্চাইজি ক্রিকেটে। প্রথমে যুক্তরাষ্ট্রের মেজর লিগ টি-টোয়েন্টি ও পরে খেলেছেন কানাডায় গ্লোবাল টি-টোয়েন্টি লিগে। কানাডা থেকেই পাকিস্তানে দলের সঙ্গে যোগ দেওয়ার কথা সাকিবের। ফিটনেস ও লাল বলে অনুশীলন না থাকার পরও সাকিবকে পাকিস্তান সফরের দলে নেওয়ার পেছনে বেশ কিছু যুক্তি দিয়েছেন প্রধান নির্বাচক গাজী আশরাফ হোসেন।
মিরপুর শেরেবাংলা স্টেডিয়ামে সংবাদ সম্মেলনে তিনি বলেছেন, ‘কিছু ব্যতিক্রম খেলোয়াড় তো থাকে। গ্লোবাল টি-টোয়েন্টি ক্রিকেটে আমাদের পারফরম্যান্সে উন্নতি করতে হলে বাইরের ফ্র্যাঞ্চাইজি লিগে খেলোয়াড়দের সুযোগ দিতে হবে। আমরা অনেককে এনওসি দিয়েছি। দুর্ভাগ্যবশত ভিসার কারণে সাইফউদ্দিন ও রিশাদ যেতে পারেনি। আর সব সময় আপনি সবাইকে অনুশীলনে পাবেন, সেটা সম্ভব হবে না। তাদের ব্যস্ততা ক্রিকেট নিয়েই ছিল।’
আরেক প্রশ্নের উত্তরে গাজী আশরাফ হোসেন বলেছেন, ‘সে তার পারফরম্যান্সের আলোকেই যাচ্ছে। পারফরম্যান্স দিয়ে সাকিব নিজেকে যে জায়গায় নিয়ে যেতে পেরেছে, বিভিন্ন সংস্করণের ক্রিকেট, পাকিস্তানের বিপক্ষে তার রেকর্ড…সবকিছু মিলিয়েই যাচ্ছে।’ গত বছর থেকে চোখের সমস্যায় ভোগা সাকিবের ব্যাটিংয়ের ছন্দ নিয়েও প্রশ্ন উঠেছে। গাজী আশরাফ হোসেন অবশ্য সাকিবের অলরাউন্ড সামর্থ্যে আস্থা রাখছেন, ‘আমাদের চিকিৎসক দল থেকে এমন কিছু শুনিনি। বিশ্ব যেমন স্বীকার করছে, সে ওয়ান অব দ্য বেস্ট অলরাউন্ডার, গত ২৫ বছরে। আমি সেই মতামতের সঙ্গেই যাচ্ছি। শুধু বোলার হিসেবে ধরব, সেই দুঃসাহস আমার নেই।’
শুধু পাকিস্তান সিরিজ নয়, এ বছর বাংলাদেশ দলের ৮টি টেস্টই সাকিব খেলবেন বলে জানিয়েছেন প্রধান নির্বাচক। তাঁর কথা, ‘জিম্বাবুয়ে সিরিজের সময় তার কাছে আমরা সংক্ষিপ্ত পরিকল্পনা জানতে চেয়েছিলাম। আমাদের অনেকগুলো টেস্ট ম্যাচ আছে, ডিসেম্বর পর্যন্ত আটটা টেস্ট খেলব। সেখানে সে আমাদের আশ্বস্ত করেছে, সবগুলো টেস্ট খেলবে। প্রত্যেকটা সিরিজের আগে সব অনুশীলন সেশনে থাকবে।’
মাঠের ক্রিকেটের বাইরেও সাকিবকে নিয়ে আছে অন্য দুশ্চিন্তা। প্রধানমন্ত্রীর পদ থেকে শেখ হাসিনার পদত্যাগ ও সংসদও ভেঙে দেওয়ার পর আওয়ামী লীগের কোনো নেতা-কর্মীই এখন দেশে প্রকাশ্যে নেই। গত নির্বাচনে আওয়ামী লীগ থেকে মাগুরা-১ আসনের সংসদ সদস্য নির্বাচিত হওয়া সাকিবের নিরাপত্তা নিয়েও একটা শঙ্কা থাকে।
এ নিয়ে প্রশ্নের মুখোমুখি হয়েছেন গাজী আশরাফ হোসেনও, ‘অনুশীলন সেশনে প্রত্যেকটা খেলোয়াড়, কোচের নিরাপত্তা নিশ্চিত করা হয়। এটা অবশ্যই পরিস্থিতির আলোকে দেশকে নিশ্চিত করতেই হবে। কারণ, সাকিব আল হাসান নিশ্চিতভাবেই দেশের শীর্ষ খেলোয়াড়। এখানে নির্বাচনের (দলে রাখা) ক্ষেত্রে অনেকে আমাকে প্রশ্ন করেছেন। কারণ, সে একজন রাজনৈতিক ব্যক্তিত্ব। আমরা সেটা নিয়ে ভেবেছি। কিন্তু তার নির্বাচনটা হয়েছে মেধার ভিত্তিতে। প্রত্যেকটা খেলোয়াড়ের ক্ষেত্রেই এটা হয়। আগামীতেও মেধাটাকেই গুরুত্ব দেব।’
অনলাইন ডেস্ক :
বয়সকে বৃদ্ধা আঙুল দেখিয়ে মাঠে দ্যুতি ছড়িয়ে যাচ্ছেন ক্রিস্টিয়ানো রোনালদো। সৌদি প্রো লিগে আল খোলুদের বিপক্ষে পর্তুগিজ এই তারকা দেখা পেলেন ক্যারিয়ারের ৯২৮তম গোলের। পর্তুগিজ তারকার গোলের রাতে ১৪ মার্চ শুক্রবার ১০ জনের দল নিয়েও জয় পেল আল নাসর। ৩-১ ব্যবধানে তারা হারিয়েছে খোলুদকে।
বয়স ৪০ পেরিয়ে এক মাস। কিন্তু এখনো মাঠে তরুণদের মতো পারফরম্যান্স করে যাচ্ছেন রোনালদো। ক্রমান্বয়ে এগোচ্ছেন হাজারতম গোলের মাইলফলকের পথে।
সৌদি প্রো লিগে এবারের মৌসুমে আল নাসর খুব একটা সুবিধা করতে না পারলেও ব্যক্তিগত পারফরম্যান্সে উজ্জ্বল রোনালদো। লিগটিতে এবারের আসরে এখন পর্যন্ত সর্বোচ্চ গোলস্কোরার পর্তুগিজ তারকা। ২৪ ম্যাচে তিনি করেছেন ১৯ গোল।
দুই ম্যাচ পর আল নাসরকে জয়ে ফেরাতে শুক্রবার রেখেছেন গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা। ম্যাচের চতুর্থ মিনিটেই ক্যারিয়ারের ৯২৮তম গোলে দলকে লিডে ফেরান তিনি। বাঁ প্রান্ত ধরে আক্রমণে উঠে জন ডুরানকে পাস দিয়েছিলেন সাদিও মানে। কলম্বিয়ান ফরোয়ার্ড গোলমুখে বল পেয়েও জাল খুঁজে নিতে ব্যর্থ হন। তার শট বারে লেগে ফিরে আসে। সুযোগ পেয়ে যান রোনালদো। তিনি কোনো ভুল করেননি। গোলরক্ষক ও দুই ডিফেন্ডারের ফাঁকে খুঁজে নেন ঠিকানা।
২৬তম মিনিটে আল নাসরের দ্বিতীয় গোলেও ছিল রোনালদোর অবদান। মাঝমাঠ থেকে ডি-বক্সের বাঁ প্রান্তে তিনি লম্বা পাস বাড়ান আল নাজদিকে। তিনি পাস দেন গোলমুখে থাকা মানেকে। বাকিটা সেরে নেন সেনেগালিজ ফরোয়ার্ড। বিরতির আগেই ব্যবধান ৩-০ করে নেয় আল নাসর। ৪১তম মিনিটে ডি-বক্সের ঠিক বাইরে থেকে নিচু শটে বল জালে জড়ান ডুরান।
বিরতির পর ১০ জনের দলে পরিণত হয় আল নাসর। ৫৬তম মিনিটে প্রতিপক্ষের খেলোয়াড়কে ফাউল করে দ্বিতীয় হলুদ কার্ড দেখে মাঠ ছাড়েন নাওয়াফ বউশাল। তবে একজন কম নিয়ে খেললেও আল নাসরকে খুব বেশি চাপে ফেলতে পারেনি খোলুদ। ৭২তম মিনিটে বক্সের বাইরে থেকে জ্যাকসন মুলেকার জোরালো শটে একটি গোল শোধ করে খোলুদ। শেষ পর্যন্ত ৩-১ ব্যবধানেই শেষ হয় ম্যাচ।
২৫ ম্যাচে ৫১ পয়েন্ট নিয়ে টেবিলের তিনে অবস্থান করছে আল নাসর। শীর্ষে থাকা আল-ইত্তিহাদের সঙ্গে সমান ম্যাচে তাদের পয়েন্ট ব্যবধান ১০। অন্যদিকে, খোলুদ ২৫ ম্যাচে ৩১ পয়েন্ট নিয়ে ১০-এ আছে।
দুলাল মিয়া :
শালগাঁও কালিসীমা বাইক কাপ ফুটবল টুর্ণামেন্ট ২০২৫ এর আজ ১৯ জুলাই শনিবার এর খেলা অষ্টগ্রাম ফুটবল একাদশ বনাম দামছাইল আদর্শ স্পোর্টিং ক্লাবের মধ্যকার খেলা অনুষ্ঠিত হয়েছে। উক্ত খেলা অষ্টগ্রাম ফুটবল একাদশ ১-০ গোলে দামছাইল আদর্শ স্পোর্টিং ক্লাবকে পরাজিত করে। উক্ত জয়ের ফলে অষ্টগ্রাম ফুটবল একাদশ কোয়ার্টার ফাইনালে উন্নীত হয়।
অষ্টগ্রাম ফুটবল একাদশে ছিলেন : শাহরিয়ার, বিল্লাল, আমিনুল, রিমন, আরিফ, আলামিন, বাবু, আল মামুন, হাকিম, শাহাদাত, মান্না।
দামছাইল আদর্শ স্পোর্টিং ক্লাবে ছিলেন : সিয়াম, তোফাজ্জল, জীবন, ফালান, স্বাধীন, সাকিব, রাতুল, জাকির, শাকিল, জুবায়েদ, পিয়াল।
অষ্টগ্রাম ফুটবল একাদশে হয়ে একমাত্র গোল করেন : আমিনুল।
ম্যান অব দ্যা ম্যান নির্বাচিত হয়েছেন : আমিনুল।
আগামী ২১ জুলাই সোমবার মায়াকারন স্পোটিং ক্লাব গোসাইপুর বনাম বিজেশ্বর স্পোটিং ক্লাব এর মধ্যকার খেলা অনুষ্ঠিত হবে।
মাঠে উপস্থিত থেকে কোয়ার্টার ফাইনাল খেলা উপভোগ করার জন্য সকলকে অনুরোধ করেছেন শালগাঁও কালিসীমা বাইক কাপ ফুটবল টুর্ণামেন্ট পরিচালনা কমিটি।
অনলাইন ডেস্ক :
কাতারে আর্থনা শীর্ষ সম্মেলন ২০২৫-এ যোগ দিতে প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূসের সফরসঙ্গী হয়েছেন চারজন জাতীয় নারী ক্রীড়াবিদ। মঙ্গলবার আর্থনা সামিটের আগে দোহার ম্যান্দারিন ওরিয়েন্টাল হোটেলে কাতার ফাউন্ডেশনের নেতৃত্বের সঙ্গে স্বাগত সংবর্ধনায় অংশ নেন তারা।
দেশের ইতিহাসে এই প্রথমবার চারজন জাতীয় নারী ক্রীড়াবিদ প্রধান উপদেষ্টার সফরসঙ্গী হিসেবে বিদেশ সফরে গেছেন। এই চার কৃতী ক্রীড়াবিদ হলেন- জাতীয় নারী ফুটবল দলের সদস্য আফিদা খন্দকার ও শাহেদা আখতার রিপা এবং জাতীয় নারী ক্রিকেট দলের সদস্য সুমাইয়া আখতার ও শারমিন সুলতানা।
এছাড়া প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব শফিকুল আলম তার ফেসবুক অ্যাকাউন্টে কয়েকটি ছবি শেয়ার করেন। ক্যাপশনে তিনি লেখেন, আর্থনা সামিটের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে বাংলাদেশ বিনিয়োগ ও উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের নির্বাহী চেয়ারম্যান চৌধুরী আশিক মাহমুদ বিন হারুনের সঙ্গে পোজ দিচ্ছেন জাতীয় চার নারী ফুটবলার এবং ক্রিকেটার।
এর আগে, স্থানীয় সময় সোমবার রাত ৯টা ৪০ মিনিটে দোহার হামাদ আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে অবতরণ করেন প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস ও তার সফরসঙ্গীরা। এ সময় কাতারের প্রটোকল প্রধান রাষ্ট্রদূত ইব্রাহিম ফাখরু প্রধান উপদেষ্টাকে স্বাগত জানান।
কাতারের দোহায় ২২ ও ২৩ এপ্রিল অনুষ্ঠেয় এবারের আর্থনা শীর্ষ সম্মেলনের প্রতিপাদ্য হচ্ছে ‘আমাদের উত্তরাধিকার গড়ে তোলা: স্থায়িত্ব, উদ্ভাবন ও ঐতিহ্যবাহী জ্ঞান। চার দিনের এ সফর চলাকালে তিনি কাতারের আমির শেখ তামিম বিন হামাদ আল থানির সঙ্গে দ্বিপক্ষীয় বৈঠক করবেন বলে আশা করা হচ্ছে।