অনলাইন ডেস্ক :
ঘরের মাঠে বাংলাদেশের বিপক্ষে দাপট দেখিয়েছিল ভারত। টেস্ট সিরিজের দুই ম্যাচেই বড় ব্যবধানে জয়লাভ করে সিরিজ জিতে নেয় তারা। কিন্তু নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে যেন ভিন্নরূপে দেখা যাচ্ছে তাদের। প্রথম টেস্টের প্রথম দিন বৃষ্টিতে ভেসে যাওয়ার পর দ্বিতীয় দিন খেলতে নেমেই ধ্বস নামে। দ্রুত সবগুলো উইকেট হারিয়ে স্রেফ ৪৬ রানেই থামে তারা। যেটি টেস্টে তাদের তৃতীয় সর্বনিম্ন স্কোর। আর ঘরের মাঠে সর্বনিম্ন।
টস জিতে ভারত ব্যাট করতে নেমে উইকেটের মিছিল শুরু হয়। ৩১ ওভার ২ বলে সবগুলো উইকেট হারিয়ে ফেলে তারা। পুরো ইনিংসে কেবল দুজন ব্যাটার স্পর্শ করতে পেরেছেন দুই অঙ্ক। ওপেনার জায়সাওয়াল ১৩ ও পাঁচে ব্যাট করতে নামা ঋশভ পন্থ করেন ২০ রান।
নিউজিল্যান্ডের হয়ে বল হাতে আলো ছড়ান ম্যাট হেনরি। ১৩ ওভার ২ বলে ১৫ রান খরচায় তিনি নেন ৫টি উইকেট। একইসঙ্গে পূর্ণ করেন ক্যারিয়ারের ১০০ উইকেট। ১২ ওভারে ২২ রান দিয়ে ৪ উইকেট শিকার করেন উইলিয়াম ও’রউরকে। বাকি উইকেট নেন টিম সাউদি।
কিউই পেসারদের তোপে ভারতের শুরুটা হয় বিবর্ণ। টিম সাউদির বলে বোল্ড হয়ে ফেরেন রোহিত শর্মা। তার ব্যাট থেকে আসে ২ রান। ভিরাট কোহলি মাঠে নেমে টিকতেও পারেননি। ডাক মেরে সাজঘরে ফেরেন তিনি। একই পথে হাঁটেন সরফরাজ খানও। কিছুক্ষণ থিতু হওয়া ইয়াশাসবি জায়সাওয়ালকে উইলিয়াম। ১৩ রানে ফেরেন তিনি।
বাকিদের আসা যাওয়ার মাঝে কেবল থিতু হন ঋশভ পন্থ। এদিকে লোকেশ রাহুল, রবীন্দ্র জাদেজা ও রবিচন্দ্রন অশ্বিনও শূন্য রানে ফিরে ভারতকে নিয়ে যান লজ্জার রেকর্ডের কাছে। অবশ্য নিজেদের সর্বনিম্ন সংগ্রহ ইতোমধ্যে পার করে ফেলেছেন তারা। এর মধ্যে ৪৯ বলে ২০ রানে ফেরেন পন্থ। আর বুমরাহ ফেরেন ১ রানে।
শেষদিকে বেশ কিছুক্ষণ লড়াই চালান মোহাম্মদ সিরাজ ও কুলদ্বীপ যাদব। কিন্তু তাদের জুটিটি দীর্ঘস্থায়ী হয়নি। তারা ৩০ বলে যোগ করতে পারেন ৬ রান। পঞ্চাশের আগেই সবগুলো উইকেট বিলিয়ে দেয় ভারত।
অনলাইন ডেস্ক :
খেলার দুনিয়ার সবকিছুকে ছাড়িয়ে যার অবস্থান। যেখানে সুযোগ পাওয়া প্রতিটি অ্যাথলেটের কাছে সর্বোচ্চ প্রাপ্তি হিসেবে বিবেচনা করা হয়। ‘গ্রেটেস্ট শো অন আর্থ’ তো আর এমনি এমনি বলা হয় না অলিম্পিককে। সেই মহাযজ্ঞের আনুষ্ঠানিক পর্দা উঠতে যাচ্ছে। প্রেমের শহর, ঐতিহ্যের শহর, সৌন্দর্যের শহর প্যারিসের কাঁধে এবার গুরুদায়িত্ব। বাংলাদেশ সময় আজ ২৬ জুলাই শুক্রবার জমকালো উদ্বোধনে শুরু হচ্ছে অলিম্পিক। কেমন হচ্ছে এবারের উদ্বোধন, কতজন অ্যাথলেটের মিলনমেলা হচ্ছে যাচ্ছে প্যারিসে? সিন নদীর তীরে চোখ রাখার আগে জেনে নেওয়া যাক- উদ্বোধনী অনুষ্ঠান কোথায়: অলিম্পিকের আয়োজক হিসেবে কোনও দেশের নাম থাকে না। থাকে শহরের নাম। এবারের অলিম্পিক হচ্ছে প্যারিসে। তো এই শহরের মূল ভেন্যু, অর্থাৎ প্রধান অ্যাথলেটিক স্টেডিয়ামে হওয়ার কথা উদ্বোধনী অনুষ্ঠান। যেটা হয়ে এসেছে আগের আসরগুলোতে। কিন্তু এই জায়গায় প্যারিস অলিম্পিক ব্যতিক্রম। মূল স্টেডিয়ামে নয়, এবারের অলিম্পিকের উদ্বোধন সিন নদীতে। ৬ থেকে ৭ হাজার অ্যাথলেট অস্টারলিটজ সেতু থেকে নৌকা ও বার্জে করে সিন নদীর ৬ কিলোমিটার পাড়ি দেবেন। উদ্বোধন দেখার জন্য প্রায় প্রায় ৫ লাখের বেশি দর্শকের জন্য বানানো হয়েছে বিশেষ স্ট্যান্ড। আগ্রহ যে তুঙ্গে সেটার প্রমাণ পাওয়া যায় ২ হাজার ৭০০ ইউরোর বেশি দামে টিকিট বিক্রির চিত্রে। উদ্বোধন কখন: শুক্রবার বাংলাদেশ সময় রাত ১১টা ৩০ মিনিটে উদ্বোধনী অনুষ্ঠান শুরু হবার কথা রয়েছে। প্রায় চার ঘণ্টাব্যাপী এই অনুষ্ঠানের বেশিরভাগ সময় দিনের আলোয়। তবে সূর্যাস্তের সময়ও রয়েছে আয়োজন। যাতে প্রেমের শহর হিসেবে পরিচিত প্যারিসের গোধূলির সৌন্দর্য উপভোগ করতে পারবেন দর্শকেরা। অনুষ্ঠানে কী রয়েছে: ঐতিহ্য মেনে উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে সবার আগে পরিচয় করিয়ে দেওয়া হবে অলিম্পিকের জন্মভূমি গ্রিসকে। এরপর শরণার্থী অলিম্পিক দলের পরিচিতি পর্ব। ইউক্রেন যুদ্ধের কারণে দেশের পতাকায় অংশ নিতে পারবেন না রাশিয়া ও বেলারুশের অ্যাথলেটরা। তারা অংশ নেবেন ব্যক্তিগত পরিচয়ে। পরিচয় পর্ব শেষে রয়েছে বিনোদন পর্ব। এই অনুষ্ঠানের পরিকল্পনা সাজিয়েছেন বিখ্যাত থিয়েটার পরিচালক টমাস জলি। অনুষ্ঠানটিকে ১২টি ভাগে ভাগ করা হয়েছে। যেখানে ৩ হাজার নৃত্যশিল্পী, সংগীতশিল্পী ও বিনোদনকর্মী অংশ নেবেন। অংশগ্রহণকারী শিল্পীরা সিন নদীর তীরে, সেতুতে ও কাছাকাছি স্মৃতিস্তম্ভগুলোয় থাকবেন। খরচ কত: প্যারিস অলিম্পিক আয়োজক ঠিক কত খরচ হচ্ছে, সেটি নিশ্চিত করতে পারেনি ফ্রান্স। তবে ফ্রান্সের জাতীয় নিরীক্ষণ সংস্থার প্রধান পিয়েরে মসকোভিচি জানিয়েছেন, ৩০০ থেকে ৫০০ কোটি ইউরো খরচ হবে। মসকোভিচির বলেছেন, ‘অলিম্পিক আয়োজনের খরচ এখনও আমরা জানি না। এ গেমস আয়োজনে তিন, চার কিংবা পাঁচ শত কোটি ইউরো খরচ হতে পারে।’যদি এই খরচের পরিমাণ সত্যি হয়, তাহলে সেটি ফ্রান্সের অলিম্পিক বাজেট ছাড়িয়ে যাবে। কারণ অলিম্পিকের বাজেট করার সময় ফরাসি সরকার জানিয়েছিল, অলিম্পিক আয়োজনে তাদের বাজেট ধরা হয়েছে ২৪৪ কোটি ইউরো।
কতদিনের গেমস:
২৬ জুলাই আনুষ্ঠানিকভাবে শুরু হচ্ছে প্যারিস অলিম্পিক। তবে উদ্বোধনের আগেই শুরু হয়েছে বেশ কয়েকটি ইভেন্ট। এর মধ্যে ফুটবল অন্যতম।
তবে যদি আনুষ্ঠানিক সময়ের হিসাব টানা যায়, তাহলে প্যারিস অলিম্পিক চলবে ১৭ দিন। ২৬ জুলাই শুরু হয়ে পর্দা নামবে ১১ আগস্ট।
অ্যাথলেট সংখ্যা কত:
২০৬টি দেশের অ্যাথলেট অংশ নিচ্ছে এবারের অলিম্পিকে। আফ্রিকার ৫৪টি, ইউরোপের ৪৮টি, এশিয়ার ৪৪টি, আমেরিকার ৪১টি ও ওশেনিয়া অঞ্চলের ১৭টি দেশের সঙ্গে ব্যক্তিগত পরিচয় ও শরণার্থী দলের হয়ে অংশ নেবেন অ্যাথলেটরা। এবারের অলিম্পিকে ৩২টি খেলার ৩২৯টি ইভেন্টে প্রায় ৭ হাজার অ্যাথলেট অংশ নিচ্ছে পদকের লড়াইয়ে।
অলিম্পিক ফুটবল:
৩২টি খেলা নিয়ে সাজানো হয়েছে এবারের অলিম্পিক। অনেক আকর্ষণীয় খেলার মধ্যে আগ্রহের কেন্দ্রবিন্দুতে থাকবে ছেলের ফুটবল। এবারের প্রতিযোগিতায় স্বাগতিক ফ্রান্স ছাড়াও রয়েছে আর্জেন্টিনা, স্পেন, মরক্কো, মিশরের মতো দলগুলো। তবে সুযোগ পায়নি গত টোকিও অলিম্পিকের সোনাজয়ী ব্রাজিল।
১৬ দল চার গ্রুপে ভাগ হয়ে খেলবে প্রথম রাউন্ড। প্রত্যেক গ্রুপের শীর্ষ দুই দল নিশ্চিত করবে কোয়ার্টার ফাইনাল। এরপর চার দলের সেমিফাইনাল। জয়ী দুই দল খেলবে সোনার লড়াইয়ে। আর হেরে যাওয়ার দুই দল মুখোমুখি হবে ব্রোঞ্জের লড়াইয়ে। খেলাগুলো হবে ফ্রান্সের সাতটি ভেন্যুতে। প্রতিটি দলের স্কোয়াডে আছেন ২২ খেলোয়াড়। ১৮ জন মূল খেলোয়াড় ও ৪ জন বিকল্প। অলিম্পিক ফুটবল মূলত অনূর্ধ্ব-২৩ দলের লড়াই। তবে এই বয়সের উর্ধ্বে থাকা তিনজন খেলোয়াড়কে স্কোয়াডে রাখার অনুমোদন আছে। অর্থাৎ, ২৩ পেরিয়ে যাওয়া তিনজন খেলোয়াড় নিয়ে স্কোয়াড সাজিয়েছে সুযোগ পাওয়া ১৬ দল। আর্জেন্টিনা যেমন তাদের স্কোয়াডে রেখেছে হুলিয়ান আলভারেজ, নিকোলাস ওতামেন্দি ও থিয়াগো আলমাদাকে। মরক্কোর রেখেছে আশরাফ হাকিমিকে।
স্পোর্টস ডেস্ক :
ফুটবল ইতিহাসে একমাত্র দল হিসেবে টানা তিনটি বড় আন্তর্জাতিক টুর্নামেন্টের শিরোপা জিতেছে স্পেন। তাদের সে রেকর্ডে ভাগ বসানোর পথে শেষ ধাপে এসে পৌঁছাল আর্জেন্টিনা। কোপা আমেরিকায় ফাইনালের এই ধাপটা এখন পাড়ি দিতে পারলেই স্পেনের অনন্য সেই কীর্তিতে উচ্চারিত হবে লিওনেল মেসি-আনহেল দি মারিয়াদের নামও। আর্জেন্টিনা তা পারবে কি না, তা সময়ই বলে দেবে।
কানাডার বিপক্ষে জয়টা প্রত্যাশিতই ছিল। মাঠের পারফরম্যান্সেও দেখা গেল দাপুটে আর্জেন্টিনার পুরো চিত্র। স্কোরলাইন যদিও বলছে আর্জেন্টিনা ম্যাচ জিতেছে ২-০ গোলের ব্যবধানে। তবে নব্বই মিনিটের খেলায় আলবিসেলেস্তেরা ছিল আরও বেশি পরিণত। কোপা আমেরিকা এবং বিশ্বকাপের বর্তমান চ্যাম্পিয়নরা খেললেন চ্যাম্পিয়নদের মতোই। তাতে টানা দ্বিতীয়বার এবং শেষ আট কোপায় ৬ষ্ঠবার ফাইনালে চলে গেল আর্জেন্টিনা।
২০১৫ সাল থেকেই কোপা আমেরিকার ফাইনালে নিয়মিত মুখ আর্জেন্টিনা। মাঝে বাদ গিয়েছিল শুধু ২০১৯ সালের কোপা আমেরিকা। যেবারে সেমিফাইনালে ব্রাজিলের কাছে হেরে সেমিফাইনাল থেকেই বিদায় নিতে হয়েছিল আলবিসেলেস্তেদের। এরপর ২০২১ সালে শিরোপাটাই জয় করে তারা। এবার তাদের সামনে সুযোগ টানা দুইবার কোপা আমেরিকা জয়ের। যে জয় পেলে ফুটবলের বিরল এক রেকর্ডে নাম উঠবে আর্জেন্টিনার।
দুই মহাদেশীয় আসর আর এক বিশ্বকাপ টানা জয়ের কীর্তি এর আগে আছে কেবল স্পেনের। ২০০৮ সালের ইউরো, ২০১০ বিশ্বকাপ এবং ২০১২ সালের ইউরো জয় করেছিল স্পেন। এবার সেই সুযোগ আর্জেন্টিনার সামনে। আগামীকালের উরুগুয়ে ও কলম্বিয়া ম্যাচের জয়ী দলের বিপক্ষে বাংলাদেশ সময় সোমবার ভোরে ফাইনালে নামবে লিওনেল মেসির দল।
ম্যাচের প্রথমদিকে অবশ্য খানিক ভুগতে হয়েছে মেসিদের। কানাডার আক্রমণ এদিন শুরুতে বারবার বিব্রত করেছে আর্জেন্টিনাকে। যদিও ম্যাচে ফিরে আসতে ২০ মিনিটের বেশি সময় নেয়নি কোপার বর্তমান চ্যাম্পিয়নরা। ২১ মিনিটেই পেয়ে যায় নিজেদের প্রথম গোল। মাঝমাঠ থেকে রদ্রিগো ডি পলের লম্বা পাস। সেটা ধরে এক ডিফেন্ডারকে পাশ কাটিয়ে স্কোরশিটে নাম তুললেন হুলিয়ান আলভারেজ। দিয়েগো ফোরলান, রোমারিও ও মেসির পর চতুর্থ খেলোয়াড় হিসেবে কোপা আমেরিকা ও বিশ্বকাপের সেমিফাইনালে গোল করলেন আর্জেন্টাইন নাম্বার নাইন।
ডি মারিয়া এদিন ছিলেন ডানপ্রান্তে। ক্যারিয়ারের সায়াহ্নে এসে আরও একবার দেখা গেল মেসির সঙ্গে তার দুর্দান্ত বোঝাপড়া। দুজনের রসায়নে পুরো আসরের তুলনায় মেসি ছিলেন আরও বেশি উজ্জ্বল। ম্যাচের ৪৪ মিনিটে গোল পেয়েও যেতে পারতেন। এক ডিফেন্ডারকে ডামি করে গোলমুখে শট নিয়েছিলেন। অল্পের জন্য লক্ষ্যভ্রষ্ট হয় সেটা।
ম্যাচের ৫১ মিনিটে নিজের কাঙ্ক্ষিত গোল পেয়ে যান লিওনেল মেসি। জটলার মাঝে এনজো ফার্নান্দেজের শটে পা ছুঁইয়ে বলের দিক পরিবর্তন করেন লা পুলগা। বল জড়ায় জালে। অফসাইডের অভিযোগ ছিল। তবে কানাডার রক্ষণের এক খেলোয়াড় ডিফেন্স লাইনের অনেকটাই নিচে ছিলেন। ভিডিও অ্যাসিস্ট্যান্ট রেফারি বাতিল করেন অফসাইডের আবেদন। এই গোলের সুবাদে বেশকিছু রেকর্ডও নিজের করেছেন মেসি।
ব্রাজিলের জিজিনিয়োর পর দ্বিতীয় খেলোয়াড় হিসেবে ৬টি ভিন্ন ভিন্ন কোপায় গোল পেয়েছেন এলএমটেন। এছাড়া নিজের ১৮৬তম ম্যাচে এসে পেয়েছেন ১০৯তম আন্তর্জাতিক গোল। ইরানের আলী দাঈয়ের সঙ্গে আন্তর্জাতিক ক্যারিয়ারে সবচেয়ে বেশি গোলের টালিতে দুইয়ে আছেন মেসি। আর এক গোল পেলেই ছাড়িয়ে যাবেন তাকে।
দুই গোল ব্যবধানে পিছিয়ে পড়ার পরও অবশ্য হাল ছাড়েনি কানাডা। যদিও ৬৮ মিনিটে পরিস্থিতি ঘোলাটে হয়ে পড়ে তাদের। পায়ের চোটে মাঠ ছাড়েন কানাডা তারকা আলফোন্সো ডেভিস। ম্যাচের একেবারে শেষ দিকে এসে গোলের সুযোগটাও পেয়ে যায় তারা। ৮৯ মিনিটে তানি ওলুয়াসারির বক্সের মাথা থেকে নেওয়া শট দুর্দান্তভাবে পা দিয়ে ঠেকান আর্জেন্টিনার গোলকিপার এমিলিয়ানো মার্তিনেজ।
সবশেষ ১০ বছরে আর্জেন্টিনা খেলবে তাদের ৬ষ্ঠ মেজর ফাইনাল। ২০১৪ সালের বিশ্বকাপের পর ৩ বিশ্বকাপের মাঝে দুবার। আর ২০১৯ ব্যতীত ৪র্থ কোপা আমেরিকার ফাইনাল খেলতে নামবে আর্জেন্টাইনরা। সবশেষ ৩ বছরে দুর্দান্ত সাফল্য পাওয়া দলটার সামনে তাই এখন ইতিহাস গড়ার হাতছানি।
অনলাইন ডেস্ক :
প্রায় ১১ বছর পর দেশে এসে নিজ গ্রামে হাজারো ভক্তের উঞ্চ অভ্যর্থনায় সিক্ত হয়েছেন হামজা দেওয়ান চৌধুরী। ১৭ মার্চ সোমবার বিকেলে হবিগঞ্জ জেলার বাহুবল উপজেলার স্নানঘাট গ্রামে নিজ বাড়িতে তাকে এ উষ্ণ অভ্যর্থনা ও সংবর্ধনা জানায় গ্রামবাসী। এ সময় লাল সবুজের হয়ে জার্সি গায়ে দেয়ার অপেক্ষায় থাকা হামজা দেওয়ান চৌধুরীর বাবা দেওয়ান মোর্শেদ চৌধুরীসহ তার নিকটাত্মীয়রা উপস্থিত ছিলেন।
এছাড়াও উপস্থিত ছিলেন নবীগঞ্জ বাহুবল আসনের সাবেক সংসদ সদস্য শেখ সুজাত মিয়া ও হবিগঞ্জ জেলা ফুটবল খেলোয়াড় কল্যাণ সমিতিসহ বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার লোকজন।
এর আগে সিলেট থেকে সড়ক পথে পরিবার নিয়ে হবিগঞ্জ আসেন হামজা দেওয়ান চৌধুরী। হামজার গাড়ি বহরটি স্নানঘাট বাজারে পৌঁছলে সেখান থেকে মোটরসাইকেল শোভাযাত্রার মাধ্যমে তাকে বাড়ি নিয়ে যায় ভক্তরা। পরে নিজ বাড়িতে কিছুক্ষণ বিশ্রাম নিয়ে বিকেল সাড়ে চারটার দিকে সংবর্ধনা মঞ্চে যান হামজা। এ সময় ভক্ত ও জেলার বিভিন্ন এলাকা থেকে আসা দর্শকদের মধ্যে হামজা হামজা শ্লোগানে মুখরিত হয়ে উঠে পুরো এলাকা।
মাত্র বিশ সেকেন্ডের দেয়া বক্তব্যে হামজা দেওয়ান চৌধুরী বলেন, ‘আমার খুভ ভালা লাগছে আপনারা যে আইছেন আমারে দেখার লাগি।’
পরে বেশ কয়েকবার বাংলাদেশ জিন্দাবাদ, বাংলাদেশ জিন্দাবাদ-বলে শ্লোগান দেন লেস্টার সিটির হয়ে মাঠ মাতানো এই তারকা ফুটবলার।
হামজা দেওয়ান চৌধুরীকে দেখতে আসা হবিগঞ্জ অনুর্ধ্ব ১৫ দলের কয়েকজন খেলোয়াড় তাদের অনুভূতি ব্যক্ত করতে গিয়ে জানান, হামজা চৌধুরীকে এক নজর দেখতে এখানে এসেছি। আমরা তার আদর্শে উজ্জ্বীবিত হয়ে একদিন দেশের হয়ে খেলব এবং হামজা চৌধুরী দেশের হয়ে আমাদের মুখ উজ্জ্বল করবেন এই প্রত্যাশা করি।
হবিগঞ্জ জেলা ফুটবল খেলোয়াড় কল্যাণ সমিতির সভাপতি আব্দুল হান্নান বলেন, হামজা শুধু আমাদের জেলার নয়, আমাদের দেশের গর্ব। আমরা চাই তার হাত ধরে আমাদের জেলাসহ দেশের ফুটবলের প্রসার হোক।
স্নানঘাট গ্রামের বাসিন্দা আজিজ সিদ্দিকী বলেন, ‘হামজা দেশের প্রতি টান থেকেই এবং দেশের ফুটবলকে এগিয়ে নেয়ার চেষ্টা থেকেই দেশের জার্সি গায়ে দিতে চলছে। আমরা সবাই তার জন্য দোয়া করি সে যেন দেশের জন্য ভালো কিছু করতে পারে।’
এদিকে হামজার আগমনকে ঘিরে পুরো এলাকায় নেয়া হয় বাড়তি নিরাপত্তা ব্যবস্থা। সড়কে সড়কে অবস্থান নেয় আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরা।
চলারপথে রিপোর্ট :
ক্রীড়াই শক্তি, ক্রীড়াই বল, সুস্থ দেহ সুন্দর মন এ শ্লোগানে ক্রীড়া পরিদপ্তর যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয় কর্তৃক বার্ষিক ক্রীড়া কর্মসূচি ২০২৪-২০২৫ ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা ক্রীড়া অফিস আয়োজিত আজ ২৭ এপ্রিল রবিবার বিকালে মেড্ডা সরকারি শিশু পরিবার খেলার মাঠে অনুর্ধ্ব-১৪ বালক ও বালিকাদের মাসব্যাপী এ্যাথলেটিক্স প্রশিক্ষণ উদ্বোধন করা হয়।
উক্ত উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন সদর উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) মুক্তা গোস্বামী। জেলা ক্রীড়া অফিসার মাহ্মুদা আক্তারের সভাপতিত্বে এসময় প্রশিক্ষক নয়না আক্তার, বিশাল আহমেদ দুলালসহ সরকারি শিশু পরিবারের কর্মকর্তা কর্মচারী উপস্থিত ছিলেন। এ্যাথলেটিক্স প্রশিক্ষণে সরকারি শিশু পরিবারের বালক ও বালিকা অংশ গ্রহণ করেন।
প্রধান অতিথি সহকারী কমিশনার (ভূমি) মুক্তা গো স্বামী বলেন, সুস্থ সবল, মেধাবী জাতি গঠনের ক্রীড়া ও সংস্কৃতির সমন্বয়ে শিক্ষা পরিপূর্ণতা লাভ করে। সুস্থ জাতি গঠনে নিয়মিত খেলাধূলার ও সংস্কৃতি চর্চার কোন বিকল্প নেই।
অনলাইন ডেস্ক :
কোনো বিদেশি খেলোয়াড় ছাড়াই বিপিএলে রংপুর রাইডার্সকে দুই রানে হারাল দুর্বার রাজশাহী। ১১৯ রানের জবাবে খেলতে নেমে নির্ধারিত ২০ ওভারে ৮ উইকেট হারিয়ে ১১৭ রান তোলে রংপুর। আজ ২৬ জানুয়ারি রবিবার বেতন ইস্যুতে রাজশাহীর কোনো বিদেশি খেলোয়াড় মাঠে নামেননি। এজন্য শুধু স্থানীয় ক্রিকেটারদের নিয়ে খেলতে নামে দলটি। বিপিএলে এর আগে তিন বিদেশির জায়গায় দুই বিদেশি নিয়ে খেলার নজির থাকলেও বিদেশি ছাড়া খেলার ঘটনা এটাই প্রথম।
মিরপুরে টস হেরে ব্যাট করতে নেমে শুরু থেকেই চাপে পড়ে রাজশাহী। বিশেষ করে রংপুরের খুশদিল শাহ, রাকিবুল হাসান ও মোহাম্মদ সাইফউদ্দিনের নিয়ন্ত্রিত বোলিংয়ে দিশেহারা হয়ে পড়েন রাজশাহীর ব্যাটাররা।
সর্বোচ্চ অপরাজিত ২৮ রান করেছেন সানজামুল ইসলাম। এই রান করতে তিনি খেলেছেন ২৯ বল। তিনি ছাড়া আর কোনো ব্যাটার বিশের ঘর স্পর্শ করতে পারেননি। দ্বিতীয় সর্বোচ্চ ২১ বলে ১৯ রান করেছেন আকবর আলী।
রংপুরের পক্ষে বল হাতে ৪ ওভারে ১৯ রানে ৩ উইকেট নিয়েছেন খুশদিল। এ ছাড়া রাকিবুল ও সাইফউদ্দিন নিয়েছেন ২টি করে উইকেট।
জবাবে খেলতে নেমে শুরুটা ভালো হয়নি রংপুরের। একের পর এক উইকেট হারাতে থাকে দলটি। তবে শেষ দিকে প্রতিরোধ গড়ার চেষ্টা করেন মোহাম্মদ সাইফউদ্দিন। তার অপরাজিত ৫২ রানের ইনিংস জয়ের আশা দেখালেও তা শেষ পর্যন্ত হয়নি।