অনলাইন ডেস্ক :
বহুল আলোচিত বিচারপতিদের অপসারণের ক্ষমতা সংসদ সদস্যদের হাতে এনে সংবিধানের ষোড়শ সংশোধনী অবৈধ ও বাতিল ঘোষণা করে দেওয়া আপিল বিভাগের রায়ের বিরুদ্ধে রিভিউ আবেদন নিষ্পত্তি করেছেন আপিল বিভাগ।
ষোড়শ সংশোধনী অবৈধ ঘোষণা করেছেন আদালত। বিচারপতিদের অপসারণের ক্ষমতা সংসদের হাতে আর থাকছে না। বিচারপতিদের অপসারণ করা যাবে সুপ্রিম কোর্ট জুডিশিয়াল কাউন্সিলের মাধ্যমে। আজ রোববার প্রধান বিচারপতি ড. সৈয়দ রেফাত আহমেদের নেতৃত্বে ৬ বিচারপতির আপিল বেঞ্চে ষোড়শ সংশোধনীর রিভিউ শুনানি শেষে এ আদেশ দেন।
ফলে ষোড়শ সংশোধনী বাতিলের রায় বহাল থাকবে বলে জানিয়েছেন আইনজীবী। এখন থেকে বিচারপতিদের অপসারণের ক্ষমতা সুপ্রিম জুডিশিয়াল কাউন্সিলের হাতে থাকবে। রাষ্ট্রপক্ষে শুনানি করেন অ্যাটর্নি জেনারেল মো. আসাদুজ্জামান।
আজ ২০ অক্টোবর রোববার প্রধান বিচারপতি ড. সৈয়দ রেফাত আহমেদের নেতৃত্বে ৬ বিচারপতির আপিল বেঞ্চ এ রায় দেন। এ রায়ের ফলে দীর্ঘ আট বছর পর নিষ্পত্তি হলো গুরুত্বপূর্ণ এ রিভিউ আপিলের।
বহুল আলোচিত বিচারপতিদের অপসারণের ক্ষমতা সংসদ সদস্যদের হাতে এনে সংবিধানের ষোড়শ সংশোধনী অবৈধ ও বাতিল ঘোষণা করে দেওয়া আপিল বিভাগের রায়ের বিরুদ্ধে রিভিউ আবেদন শুনানির দিন গত ১৫ আগস্ট আজকের দিন ধার্য করা হয়। প্রধান বিচারপতি সৈয়দ রেফাত আহমেদের নেতৃত্বে ৫ বিচারপতির আপিল বেঞ্চ এ দিন ধার্য করেন।
আদালতে রিভিউ আবেদন শুনানির জন্য উপস্থাপন করেন রিটকারী আইনজীবী অ্যাডভোকেট মনজিল মোরসেদ।
এর আগে বেশ কয়েকবার সংবিধানের ষোড়শ সংশোধনী অবৈধ ও বাতিল ঘোষণা করে দেওয়া আপিল বিভাগের রায়ের বিরুদ্ধে রিভিউ আবেদন কার্যতালিকায় এলেও শুনানি হয়নি।
গত বছরের ২৩ নভেম্বর বহুল আলোচিত বিচারপতিদের অপসারণের ক্ষমতা সংসদ সদস্যদের হাতে এনে সংবিধানের ষোড়শ সংশোধনী অবৈধ ও বাতিল ঘোষণা করে দেওয়া আপিল বিভাগের রায়ের বিরুদ্ধে রিভিউ ৬ জন বিচারপতি শুনতে পারবেন বলে সিদ্ধান্ত জানিয়ে দেন আপিল বিভাগ।
২০১৭ সালের ২৪ ডিসেম্বর বিচারপতিদের অপসারণের ক্ষমতা সংসদ সদস্যদের হাতে এনে সংবিধানের ষোড়শ সংশোধনী অবৈধ ও বাতিল ঘোষণা করে দেওয়া আপিল বিভাগের রায়ের বিরুদ্ধে রিভিউ আবেদন দাখিল করা হয়।
আপিল বিভাগের সংশ্লিষ্ট শাখায় রাষ্ট্রপক্ষ ৯০৮ পৃষ্ঠার এ রিভিউ আবেদনে ষোড়শ সংশোধনীর পক্ষে ৯৪টি যুক্তি দেখিয়ে আপিল বিভাগের রায় বাতিল চাওয়া হয়েছে।
২০১৭ সালের ৩ জুলাই তৎকালীন প্রধান বিচারপতি সুরেন্দ্র কুমার সিনহার নেতৃত্বাধীন সাত বিচারপতির আপিল বেঞ্চ ষোড়শ সংশোধনী অবৈধ ও বাতিল ঘোষণা করেন। ৮ মে হাইকোর্টের দেওয়া রায়ের বিরুদ্ধে আপিল শুনানি শুরু হয়। ধারাবাহিকভাবে ১১ দিন শুনানি অনুষ্ঠিত হয়।
আপিল শুনানিতে আদালতে মতামত উপস্থাপনকারী ১০ অ্যামিকাস কিউরির (আদালতের বন্ধু) মধ্যে শুধু ব্যারিস্টার আজমালুল হোসেন সংবিধানের ষোড়শ সংশোধনীর পক্ষে মত দেন।
অপর ৯ অ্যামিকাস কিউরি ড. কামাল হোসেন, জ্যেষ্ঠ আইনজীবী এম আই ফারুকী, আব্দুল ওয়াদুদ ভূঁইয়া, প্রাক্তন অ্যাটর্নি জেনারেল এ এফ এম হাসান আরিফ ব্যারিস্টার এম. আমিরুল ইসলাম, বিচারপতি টিএইচ খান, ব্যারিস্টার রোকন উদ্দিন মাহমুদ, ফিদা এম কামাল, এ জে মোহাম্মদ আলী সংবিধানের ষোড়শ সংশোধনীর বিপক্ষে তাদের মতামত তুলে ধরেন।
২০১৬ সালের ১১ আগস্ট সংবিধানের ষোড়শ সংশোধনী অবৈধ ঘোষণা করে দেওয়া রায় সুপ্রিম কোর্টের ওয়েবসাইটে প্রকাশ করা হয়। পরে এই রায়ের বিরুদ্ধে আপিল করে রাষ্ট্রপক্ষ।
২০১৬ সালের ৫ মে বিচারপতি মইনুল ইসলাম চৌধুরী, বিচারপতি কাজী রেজা-উল হক ও বিচারপতি আশরাফুল কামালের সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্টের বিশেষ বেঞ্চ সংখ্যাগরিষ্ঠ মতের ভিত্তিতে ষোড়শ সংশোধনী অবৈধ বলে রায় ঘোষণা করেন।
২০১৪ সালের ৫ জানুয়ারি দশম জাতীয় সংসদ নির্বাচনের পর সুপ্রিম জুডিশিয়াল কাউন্সিলের বিধানটি তুলে দিয়ে সংবিধানের ষোড়শ সংশোধনী পাস হয়। ২০১৪ সালের ১৭ সেপ্টেম্বর ৯৬ অনুচ্ছেদে পরিবর্তন এনে বিচারকের অপসারণের ক্ষমতা সংসদ সদস্যদের হাতে পুনরায় ফিরিয়ে দেওয়া হয়। যেটি ১৯৭২ সালের সংবিধানেও ছিল।
দেশের প্রথম সংবিধানে সংসদের হাতে সুপ্রিম কোর্টের বিচারপতিদের অপসারণের ক্ষমতা রাখা হয়। তবে ১৯৭৫ সালে সংবিধানের চতুর্থ সংশোধনীতে রাষ্ট্রপতিকে এ ক্ষমতা দেওয়া হয়। পরবর্তীতে আবারও পঞ্চম সংশোধনীতে বিচারক অপসারণে নিষ্পত্তির ভার দিতে সুপ্রিম জুডিশিয়াল কাউন্সিল গঠন করা হয়। এরপর পঞ্চম থেকে পঞ্চদশ সংশোধনী পর্যন্ত বিচারপতি অপসারণ নিয়ে আর নতুন কোনো সংশোধনী আসেনি। তবে ২০১৪ সালে ষোড়শ সংশোধনীতে বিচারপতি অপসারণের ক্ষমতাপ্রাপ্ত হয় জাতীয় সংসদ। তৎকালীন প্রধান বিচারপতির এস কে সিনহার তৎপরতায় হাইকোর্ট ও আপিল বিভাগ ষোড়শ সংশোধনী বাতিল করা হয়। পরে আওয়ামী লীগ সরকার এর রিভিউতে যায়।
অনলাইন ডেস্ক :
দেশের প্রত্যন্ত এলাকায় বিশেষ করে উপজেলা পর্যন্ত জাতীয় গৃহায়ন কার্যক্রম সম্প্রসারণে উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে বলে জানিয়েছেন গৃহায়ন ও গণপূর্ত মন্ত্রী র আ ম উবায়দুল মোকতাদির চৌধুরী এম.পি।
আজ ৫ ফেব্রুয়ারি সোমবার জাতীয় গৃহায়ন কর্তৃপক্ষের সম্মেলন কক্ষে বিভিন্ন স্তরের কর্মকর্তাদের সঙ্গে মতবিনিময় সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ কথা জানান।
মন্ত্রী বলেন, ‘যত্রতত্র ঘরবাড়ি ও রাস্তাঘাট নির্মাণের ফলে একদিকে কৃষিজমি হ্রাস পাচ্ছে অন্যদিকে পরিবেশের ভারসাম্য নষ্ট হচ্ছে। এজন্য বিভাগ, জেলা ও উপজেলার পাশাপাশি প্রান্তিক জনপদের আবাসন পরিকল্পিত ও পরিবেশবান্ধব হওয়া প্রয়োজন।
মফস্বলে পরিবেশবান্ধব ও পরিকল্পিত আবাসন নিশ্চিত করতে জাতীয় গৃহায়ন কর্তৃপক্ষের কার্যক্রম উপজেলা পর্যন্ত বিস্তৃত করা প্রয়োজন এবং এজন্য শিগগিরই প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নেওয়া হবে।’
কর্মক্ষেত্র অকারণে কালক্ষেপন না করে সাধারণ মানুষের স্বার্থকে সর্বোচ্চ প্রাধান্য দিয়ে বিদ্যমান আইন মেনে যে কোনো সিদ্ধান্ত দ্রুততার সঙ্গে নেওয়ার জন্য কর্মকর্তাদের প্রতি তিনি আহ্বান জানান।
অনুষ্ঠানে জাগৃক সদস্য (ইঞ্জিনিয়ার) মোসলেহ উদ্দিন গ্রিন বিল্ডিং টেকনোলজি সম্পর্কে বিস্তারিত আলোচনা করেন। তিনি বলেন, উচ্চ আমদানি শুল্কের কারণে প্রাকৃতিক পাথরের মূল্য দেশীয় বাজারে অনেক বেশি।
অন্যদিকে সিমেন্ট শিল্পের স্বার্থে যেসব পাথর আমদানি করা হয় সেসব পাথরের আমদানি শুল্ক কম হওয়ায় বাজারে এর মূল্য অনেক কম। ফলে বেসরকারি নির্মাণ শিল্পে এসব নিম্নমানের পাথর ব্যবহারের ফলে কম স্থায়িত্বের ঝুঁকিপূর্ণ স্থাপনা নির্মাণ দিন দিন বাড়ছে। এজন্য গণপূর্তের রেট সিডিউলে রেডিমিক্স কংক্রিট ও পরিবেশবান্ধব ব্লকের অন্তর্ভুক্তি প্রয়োজন। তাছাড়া বর্তমানে দেশীয় অনেক ইলেকট্রনিক সামগ্রী প্রস্তুতকারী সংস্থা লিফটসহ বিভিন্ন ইলেক্ট্র মেকানিক্যাল সামগ্রী প্রস্তুত করে থাকে।
কিন্তু গণপূর্তের রেট সিডিউলে অন্তর্ভুক্ত না থাকার কারণে সরকারি ক্রয় কার্যক্রমে এসব পণ্য ক্রয়ের সুযোগ নেই। রেট সিডিউলে এসব দেশীয় পণ্য অন্তর্ভুক্ত করা হলে প্রচুর বৈদেশিক মুদ্রা সাশ্রয় করা সম্ভব বলে তিনি মন্তব্য করেন।
প্রত্যুত্তরে মন্ত্রী এসব প্রস্তাবনা লিখিত আকারে মন্ত্রণালয়ে পাঠানোর জন্য বলেন এবং প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়ার আশ্বাস দেন।
অনুষ্ঠানে জাতীয় গৃহায়ন কর্তৃপক্ষের অর্গানোগ্রাম হালনাগাদ করার দাবি উত্থাপন করলে মন্ত্রী এ ব্যাপারে প্রয়োজনীয় সহযোগিতার আশ্বাস দেন।
জাতীয় গৃহায়ন কর্তৃপক্ষের চেয়ারম্যান মোস্তাফিজুর রহমান এমডিসির সভাপতিত্বে আয়োজিত এ মতবিনিময় সভায় বিশেষ অতিথি ছিলেন গৃহায়ন ও গণপূর্ত মন্ত্রণালয়ের সচিব কাজি ওয়াছি উদ্দিন।
অনুষ্ঠানে জাতীয় গৃহায়ন কর্তৃপক্ষের বিভিন্ন স্তরের কর্মকর্তা-কর্মচারীরা উপস্থিত ছিলেন।
অনলাইন ডেস্ক :
ইতালির ভিসা পেতে অপেক্ষায় থাকা প্রায় ৫০ হাজার বাংলাদেশি কর্মীর ভাগ্য নির্ধারণে আজ গুরুত্বপূর্ণ দিন। উন্নত জীবনের আশায় বৈধ পথে দেশটিতে যেতে বিপুল অর্থ বিনিয়োগ করেও মাসের পর মাস অপেক্ষায় রয়েছেন অনেকে। আজ শুরু হওয়া ইতালির স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর বাংলাদেশ সফর থেকে তারা আশাবাদী একটি ইতিবাচক অগ্রগতি হবে।
দুইদিনের সফরে আজ ঢাকা আসছেন ইতালির স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী মাতেও পিয়ান্তেদোসি। সফরে নিয়মিত ও বৈধ অভিবাসন নিয়ে তাৎপর্যপূর্ণ আলোচনা হবে।
অবৈধ পথে ইতালি যাওয়া বন্ধ করতে বাংলাদেশ ও ইতালি উদ্যোগ নিয়েছে। বাংলাদেশ থেকে পর্যায়ক্রমে লক্ষাধিক দক্ষ ও অদক্ষ কর্মী নেওয়ার জন্য দুই দেশের মধ্যে সমঝোতা স্মারক (এমওইউ) সই হতে যাচ্ছে।
আগামীকাল ৬ মে মঙ্গলবার প্রবাসী কল্যাণ মন্ত্রণালয়ের সাথে ইতালির এই এমওইউ স্বাক্ষর হবে। প্রবাসী কল্যাণ মন্ত্রণালয়ের এক কর্মকর্তা গতকাল রবিবার রাতে গণমাধ্যমকে জানান, ভূমধ্যসাগর পাড়ি দিয়ে অবৈধভাবে দীর্ঘদিন ধরে ইতালিতে পাড়ি দিচ্ছেন অনেক বাংলাদেশি নাগরিক।
ইতালি যাওয়ার পথে ভূমধ্যসাগরে নৌকাডুবিতে অনেক বাংলাদেশি মারাও যাচ্ছেন। সেই প্রেক্ষাপটে বাংলাদেশ থেকে বৈধ পথে দক্ষ ও অদক্ষ কর্মী নেওয়ার উদ্যোগ নিয়েছে ইতালি। এ কারণে দুই দেশের আলোচনাসাপেক্ষে একটি এমওইউ (সমঝোতা স্মারক) সই করতে যাচ্ছে দুই দেশ।
এক প্রশ্নের জবাবে এই কর্মকর্তা বলেন, ইতালি সরকারের সাথে বাংলাদেশ সরকারের কথা হয়েছে। তারা লক্ষাধিক দক্ষ-অদক্ষ কর্মী নেবে। ইতালির সঙ্গে এর আগে কোনো এমওইউ ছিল না। এই এমওইউ স্বাক্ষরের পর বাংলাদেশের শ্রমিকদের ভাগ্য খুলবে। মঙ্গলবার সকাল পৌনে ১০টায় ইস্কাটন গার্ডেনের প্রবাসী কল্যাণ ভবনে অভিবাসনসংক্রান্ত এমওইউ স্বাক্ষর হবে।
অন্যদিকে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় সূত্র জানিয়েছে, আজ বিকেলে স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা মো. জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরীর সঙ্গে ইতালির স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর বৈঠক হওয়ার কথা আছে। এর আগে ইতালির স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীকে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে গার্ড অব অনার দেওয়া হবে। স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টার সাথে বৈঠকে দুই দেশের গোয়েন্দা তথ্য আদান-প্রদান, আন্তর্জাতিক অপরাধ নিয়ন্ত্রণ, প্রশিক্ষণসহ নানা বিষয়ে আলোচনা হবে।
স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের জনসংযোগ কর্মকর্তা ফয়সাল হাসান গণমাধ্যমকে জানিয়েছেন, আজ দুপুরে ইতালির স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর ঢাকা হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে অবতরণ করার কথা রয়েছে।
বৈঠক ও এমওইউ স্বাক্ষর শেষে মঙ্গলবার তিনি নিজ দেশে ফিরে যাবেন। পররাষ্ট্র উপদেষ্টা এম তৌহিদ হোসেনের সঙ্গেও বৈঠক করবেন ইতালির স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী।
সংশ্লিষ্ট সূত্র জানায়, ইতালিতে যাওয়ার জন্য বাংলাদেশের অনেক কর্মী ভিসা পেতে অপেক্ষায় রয়েছেন। দীর্ঘদিন অপেক্ষার পরও তারা ভিসা পাচ্ছেন না। ইতালির পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, অনেক বাংলাদেশি ইতালি যাওয়ার জন্য যে ভিসা আবেদন করেছেন, সেখানে তারা ভুয়া নথিপত্র জমা দিয়েছেন। সে কারণে অধিকতর যাচাই-বাছাই করার জন্য ভিসা দিতে দেরি হচ্ছে। ইতালির স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর সফরে এই বিষয়টির সুরাহা হবে বলে জানা গেছে।
ইতালিতে যেতে ইচ্ছুক প্রবাসী কর্মীদের ভিসা পেতে বিলম্বের বিষয়ে একাধিকবার ব্যাখ্যা দিয়েছে ভিসা আবেদনপত্র ও ডকুমেন্টস প্রক্রিয়ার সঙ্গে জড়িত প্রতিষ্ঠান ভিএফএস গ্লোবাল। এক বিবৃতিতে বলা হয়, একটি দায়িত্বশীল সেবা প্রদানকারী প্রতিষ্ঠান হিসেবে আমরা প্রতিনিয়ত ভিসা আবেদনকারীদের সচেতন করার চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছি, যাতে করে তারা সতর্ক থাকেন এবং শেষ মুহূর্তের সমস্যা এড়াতে জলদি ভিসার জন্য আবেদন করেন।
গত ৩১ মার্চ থেকে ইতালির ভিসা আবেদনের ক্ষেত্রে নতুন ই-মেইল ভিত্তিক অ্যাপয়েন্টমেন্ট বুকিং সিস্টেম চালুর কথা জানিয়ে বিবৃতিতে বলা হয়, বৈধ ‘নুল্লা ওস্তা’ থাকা আবেদনকারীদের ই-মেইলে তাদের অ্যাপয়েন্টমেন্টের তারিখ ও সময় জানানো হচ্ছে। ‘নুল্লা ওস্তার’ বৈধতা ইতালীয় দূতাবাস যাচাই করে এবং অ্যাপয়েন্টমেন্টের সংখ্যাও তারাই নির্ধারণ করে। ‘নুল্লা ওস্তা’ পাওয়ার ছয় মাসের মধ্যে আবেদনকারী যদি সঠিকভাবে মেইল করলে ওই ‘নুল্লা ওস্তা’ বাতিল হয় না।
আবেদনকারীদের ধৈর্য ধরার পরামর্শ দিয়ে ভিএফএস গ্লোবাল বলছে, অ্যাপয়েন্টমেন্ট গ্রহণের অন্য কোনো উপায় নেই, প্রক্রিয়াটি সম্পূর্ণ বিনামূল্যে। যারা ভিন্ন তথ্য পাচ্ছেন, (তাদেরকে) প্রতারণা বা অননুমোদিত মধ্যস্থতাকারীদের বিশ্বাস না করে, ভিএফএস গ্লোবাল এবং ইতালির দূতাবাসে রিপোর্ট করার জন্য অনুরোধ করা হচ্ছে। স্মরণ করা যায়, জনশক্তি রপ্তানির সম্ভাবনাময় গন্তব্য ইতালি চলতি বছর স্পন্সর ভিসায় বিভিন্ন দেশ থেকে ১ লাখ ৯১ হাজারের বেশি শ্রমিক নেবে। তবে দুর্ভাগ্যজনক বিষয় হলো সেই তালিকায় বাংলাদেশি নেই। ফলে হাজার হাজার অভিবাসন প্রত্যাশী বেছে নিচ্ছেন অবৈধ পথ। দেশটিতে থাকা প্রবাসী বাংলাদেশিরা বৈধ ভিসার দ্বার খুলতে অন্তর্বর্তী সরকারের আরও জোরালো পদেক্ষেপ কামনা করেছেন।
সূত্র মতে, সম্প্রতি ইতালির নতুন অভিবাসন নীতি কার্যকর হয়েছে। এই নীতির আওতায় আলবেনিয়া হয়ে অবৈধ বাংলাদেশিদের ঢাকায় ফেরত পাঠানো হচ্ছে। অবৈধ অভিবাসীদের বিরুদ্ধে কঠোর ইতালির জর্জা মেলোনির সরকার। অবৈধ অভিবাসীদের আলবেনিয়ায় পাঠানোর সিদ্ধান্তসহ কঠোরতার খড়গ যাতে বাংলাদেশিদের ওপর না পড়ে সে বিষয়ে সফরে আসা দেশটির স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর দৃষ্টি আকর্ষণ করবে ঢাকা।
সূত্র : দৈনিক কালের কণ্ঠ
অনলাইন ডেস্ক :
এইচএসসি ও সমমানের স্থগিত পরীক্ষাগুলো নতুন সময়সূচি অনুযায়ী আগামী ১১ সেপ্টেম্বর থেকে শুরু হচ্ছে। এ বিষয়ে আজ ১৫ আগস্ট বৃহস্পতির সংশোধিত সময়সূচি প্রকাশ করেছে শিক্ষাবোর্ড।
কোটা সংস্কার আন্দোলন ঘিরে সহিংসতায় কয়েক দফায় স্থগিত করার পর এইচএসসি ও সমমানের পরীক্ষার নতুন রুটিন প্রকাশ করেছে মাধ্যমিক ও উচ্চমাধ্যমিক শিক্ষা বোর্ড। রুটিন অনুযায়ী স্থগিত এইচএসসি ও সমমান পরীক্ষা আগামী ১১ সেপ্টেম্বর থেকে শুরু হবে।
আজ ১৫ আগস্ট বৃহস্পতিবার মাধ্যমিক ও উচ্চমাধ্যমিক শিক্ষা বোর্ড পরীক্ষার নতুন সময়সূচি প্রকাশ করেছে। আগামী রবিবার থেকে মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে স্বাভাবিক পাঠদান কার্যক্রম শুরু হবে বলে জানিয়েছে শিক্ষা মন্ত্রণালয়।
চলারপথে রিপোর্ট :
ফেনীর ছাগলনাইয়া উপজেলার বিভিন্ন এলাকায় মোবাইল কোর্ট পরিচালনা করে তিনটি প্রতিষ্ঠানকে জরিমানা করেছে ভ্রাম্যমাণ আদালক। আজ ২২ আগস্ট মঙ্গলবার ভ্রাম্যমাণ আদালত ছাগলনাইয়ার ভাই ভাই মার্কেট জনতা ব্যাংকের নিচ গলিতে অবস্থিত মেসার্স খন্ডল মিষ্টি মেলা একই মার্কেটের মেসার্স মুসলিম খন্ডল মিষ্টি ও ছ্গালনাইয়ার হাজী পাড়া জনতা ব্যাংকের নিচ গলির মেসার্স মায়ের দোওয়া খন্ডল মিষ্টি দোকানে অভিযান চালিয়ে তাদের জরিমানা করে।
প্রতিষ্ঠানগুলোকে বিএসটিআই আইন-২০১৮ অনুযায়ী, বিএসটিআই কর্তৃক পণ্যের মান পরীক্ষণ ও সিএম লাইসেন্স গ্রহণ না করে পণ্য উৎপাদন, বিক্রয় ও বিতরণের জন্য দশ হাজার টাকা করে মোট ত্রিশ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়।
মোবাইল কোর্টটি পরিচালনা করেন ছাগলনাইয়া উপজেলা নির্বাহী অফিসার মৌমিতা দাশ। এসময় প্রসিকিউটর হিসেবে বিএসটিআই কুমিল্লা অফিসের কর্মকর্তা ইকবাল আহাম্মদ, ফিল্ড অফিসার (সিএম) দায়িত্ব পালন করেন।
বাগেরহাট প্রতিনিধি :
বাগেরহাট সরকারি উচ্চ বিদ্যালয়ের ৭৫ বর্ষপূর্তি উৎসবে প্রাক্তন ও বর্তমান শিক্ষার্থীদের পদচারনায় মুখরিত হয়ে ওঠে স্কুলের মাঠ। একে অপরের সাথে গল্প ও কুশল বিনিময়ে সময় কাটান সাবেক শিক্ষার্থীরা। দীর্ঘদিন পরে দেখা হওয়ায় সহপাঠিদের জড়িয়ে ধরে কান্নাও করেছেন অনেকে। পুনর্মিলনীর এই আয়োজন সব মিলিয়ে এক আবেগাপ্লুত মিলনমেলায় পরিনত হয় প্রতিষ্ঠানটির ৭৫ বছর পূর্তি।
প্রাক্তন ছাত্র পুনর্মিলনী উপলক্ষে আজ ২১ জানুয়ারি শনিবার সকালে বিদ্যালয়লের একাডেমিক ভবনের সামনে বর্তমান ও প্রাক্তন শিক্ষার্থীদের নিয়ে অ্যাসামম্বলি অনুষ্ঠিত হয়। অ্যাসামম্বলি শেষে প্রায় সহস্রাধিক সাবেক ও বর্তমান শিক্ষার্থী একটি বর্ণাঢ্য শোভাযাত্রা বের করেন। শোভাযাত্রাটি শহরের বিভিন্ন সড়ক প্রদক্ষিণ করে বিদ্যালয় মাঠে এসে শেষ হয়।
শোভাযাত্রায় অংশগ্রহণকারী বর্তমান শিক্ষার্থীরা তাদের শ্রেণির নাম এবং সাবেক শিক্ষার্থীরা এসএসসি পাশের বর্ষ লেখা প্লাকার্ড নিয়ে উচ্ছাস প্রকাশ করেন।
দুপুরে সরকারি উচ্চ বিদ্যালয় মাঠে পুনর্মিলনী উদযাপন কমিটির আহ্বায়ক অধ্যাপক মোজাফ্ফর হোসেনের সভাপতিত্বে এক আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়।
আলোচনা সভায় বক্তব্য দেন, সরকারি উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রাক্তন ছাত্র পানি সম্পদ মন্ত্রণালয়ের যুগ্ম-সচিব অজিয়ার রহমান, বাগেরহাটের জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ আজিজুর রহমান, পুলিশ সুপার আরিফুল হক, উদযাপন কমিটির সদস্য সচিব ডা. মোশারফ হোসেনসহ আরও অনেকে। আলোচনা শেষে বীর মুক্তিযোদ্ধা ও প্রাক্তন শিক্ষকদের সম্মাননা প্রদান করা হয়। এছাড়া সারাদিনই সাবেক ও বর্তমান শিক্ষার্থীদের পদচারণায় প্রাণ ফিরেছিল বিদ্যালয়ের ক্যাম্পাসে। হৈ চৈ, নাচ গান ও ছাত্রদের মিলনে মুখরিত ছিল বিদ্যালয় প্রাঙ্গণ। খোলামেলা পরিবেশে ক্যাম্পাসটি সেজেছিল নতুনের বার্তা নিয়ে।