চলারপথে রিপোর্ট :
নবীনগরে ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান-মেম্বারদের নির্দিষ্ট সময় পর্যন্ত কার্যক্রম বহাল রাখার দাবিতে বাংলাদেশ ইউনিয়ন পরিষদ এসোসিয়েশন কেন্দ্রীয় কমিটির নির্দেশনায় মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়েছে। আজ ২০ অক্টোবর রবিবার দুপুরে ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার নবীনগর উপজেলা পরিষদ রোডে মানববন্ধন শেষে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা বরাবর তারা স্মারক লিপি প্রদান করেন।
এসময় উপস্থিত ছিলেন নবীনগর পূর্ব ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান হেলাল উদ্দীন, নবীনগর পশ্চিম ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মো. নুর আজ্জম, রসুল্লাবাদ ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান খন্দকার মনির হোসেন, নাটঘর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মোঃ আক্তারুজ্জামান, বিদ্যাকুট ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মোঃ জাকারুল হক, ইব্রাহিমপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আবু মুসা, লাউর ফতেহপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান জাহাঙ্গীর আলম, বড়িকান্দি ইউনিয়নের চেয়ারম্যান লাল মিয়া, বিটঘর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মেহেদী জাফর দস্তগীর, বড়াইল ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান জাকির হোসেনসহ উপজেলার ২১টি ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান, মেম্বার ও সংরক্ষিত মেম্বারগণ।
কেন্দ্রীয় কমিটির আহ্বায়ক ও উপজেলার কৃষ্ণনগর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান মুফতী আমজাদ হোসাইন আশরাফী বলেন, যদি চেয়ারম্যান-মেম্বারদের অপসারণ করা হয়, তাহলে বিগত সরকারের আমলের ১৬ বছরে যত সরকারি কর্মকর্তা- কর্মচারী নিয়োগ করা হয়েছে তাদের সবাইকে অপসারণ করতে হবে।
স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা মহোদয়ের কাছে আমাদের দাবি একটাই আমাদেরকে অপসারণ না করে আমাদের মেয়াদ পর্যন্ত বহাল রেখে জনগণের সেবা করার সুযোগ দিতে হবে। আমরা আমাদের জায়গা থেকে বর্তমান অন্তর্বর্তী সরকারকে সব ধরনের সহযোগিতা করতে চাই।
চলারপথে রিপোর্ট :
ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার নবীনগরে পুকুরের পানিতে ডুবে দুই শিশুর মৃত্যু হয়েছে। আজ ৯ জানুয়ারি মঙ্গলবার দুপুরে উপজেলার শিবপুর ইউনিয়নের কনিকাড়া গ্রামে এ দুর্ঘটনা ঘটে।
নিহতরা হলো কনিকাড়া গ্রামের তাজুল ইসলামের মেয়ে সায়মা (১২) ও কসবা উপজেলার কুঠি গ্রামে ইব্রাহিম মিয়ার মেয়ে ইলমা (৬)। সায়মা সম্পর্কে ইলমার খালা।
প্রত্যক্ষদর্শীদের বরাত দিয়ে নিহত সায়মার মা জুহেরা বেগম জানান, দুপুরে ইলমা ও সায়মা বাড়ির পাশে পুকুরে গোসল করতে যায়। এসময় ইলমা পানিতে পড়ে ডুবে যায়। তাকে বাঁচাতে সায়মাও পানিতে লাফ দেয়। তবে সাঁতার না জানার কারণে তারা তীরে আসতে পারেনি। প্রত্যক্ষদর্শীরাও চেষ্টা করে তাদের উদ্ধার করতে পারেননি। পরে তারা দু’জনই পানিতে তলিয়ে গিয়ে মারা যায়।
নবীনগর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মাহাবুব আলম ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেছেন।
নবীনগর প্রতিনিধি :
নবীনগর পশ্চিম ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান নূরে আলম এর বিরুদ্ধে ইউনিয়ন পরিষদের কর আদায়ের নামে জনসাধারণের কাছ থেকে লক্ষ লক্ষ টাকা হাতিয়ে নেওয়ার অভিযোগ উঠেছে। এ ঘটনায় আজ ১৪ ফেব্রুয়ারি মঙ্গলবার দুপুরে জেলা প্রশাসক শাহগীর আলম উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তাকে তদন্ত করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়ার নির্দেশনা দিয়েছেন।
বিগত কয়েক মাস ধরে ইউনিয়নের প্রতিটি বাড়ি বাড়ি গিয়ে জেলা প্রশাসকের ‘খন্ডকালিন কর আদায়কারি’ পরিচয় দিয়ে মাসুদ নামে এক ব্যক্তি বিগত ৫ বছরের কর আদায় করছেন। খন্ডকালীন কর আদায়কারী পরিচয় দানকারী আইডেন্টটি কার্ড কিংবা জেলা প্রশাসকের কোন অনুমোদন পত্র দেখাতে পারেননি।
জানা যায়, নবীনগর পশ্চিম ইউনিয়ন পরিষদের কর আদায়ের রশিদ বহিতে বিগত ২০১৭-১৮, ১৮-১৯, ১৯-২০, ২০-২১, ২১-২২ এই পাঁচ অর্থ বছরের বাস্তভিটা কর প্রতিটি বাড়ি ঘরের শ্রেনীভেদ অনুযায়ী ৩০০ থেকে ২০০০ টাকা করে আদায় করছে। অথচ ইউনিয়ন পরিষদের কর আদায়ের সরকারি তথ্য মোতাবেক বিগত২০১৭-১৮ থেকে ২১-২২ পাচঁ অর্থ বছরের কর পরিশোধিত রয়েছে। ইউনিয়ন পরিষদের বিধি অনুযায়ী কর আদায়ের রেজিস্ট্রার বহি শুধু এক অর্থ বছরের জন্য এবং কর আদায়ের বিগত বছরের রশিদ বহি তাদের নিজ নিজ পরিষদে রেজিস্ট্রার স্টকে সংরক্ষিত থাকে। স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয়ের ইউনিয়ন পরিষদের বার্ষিক আয়-ব্যায়ের বিবরণীতেও প্রতিটি ইউনিয়ন পরিষদের সকল তথ্য আলাদাভাবে হালনাগাদ করা রয়েছে। এরপরও জনগণের কাছ থেকে জোর পূর্বক কর আদায় করা হচ্ছে। এ নিয়ে এলাকায় জনসাধারণের ক্ষোভের সৃষ্টি হয়েছে। বিগত চেয়ারম্যানগণ বে-আইনিভাবে জোরপূর্বক কোন কর চাপিয়ে দেয়নি। জনগণের কথা চিন্তা করে সমন্বয়ের মাধ্যমে বিধি মোতাবেক সরকারি কোষাগারে তারা কর জমা দিয়েছে।
৯ নং ওয়াডের বাসিন্দা মজনু মিয়া জানান, বিগত সময়ে আমরা এমন দেখেনি, তারা আমার কাছ থেকে জোরপূর্বক ৫ বছরের কর আদায় করেছে।
এ ব্যাপারে ৯ নং ওয়ার্ডের অপর এক বাসিন্দা বাকির হোসেন বলেন,আমার ভাই ঘর তুলেছে পাঁচ মাস হয়েছে কিন্তু আমার কাছ থেকে তারা জোরপূর্বক ৫ বছরের কর আদায় করেছে।
২নং ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য তাজুল ইসলাম বলেন,আমাদের অজান্তে বে-আইনীভাবে চেয়ারম্যন বিগত পাঁচ বছরের টাকা তুলছে যা সে ব্যক্তিগত ভাবে টাকা আত্মসাৎ-এর জন্য করেছে। আমরা নির্বাচিত হয়েছি ১ বছর হলো,বিগত চেয়ারম্যান তাদের আমলের কর সমন্বয় করে পরিশোধ করে দিয়ে গেছে।
এ ব্যাপারে সাবেক চেয়ারম্যান ফিরোজ মিয়া বলেন, তিনি এবং তার পূর্বের সকল চেয়ারম্যানগণ সাধারণ জনগণের কথা চিন্তা করে কর সমন্বয় করে পরিশোধ করে দিয়েছেন। চেয়ারম্যান টাকা আত্মসাৎ-এর জন্য জনগণের উপর চাপ দিয়ে এ কর আদায় করছে। কর আদায় নিয়ে জনগনের মাঝে ক্ষোভের সৃস্টি হয়েছে।
এ ব্যাপারে চেয়াররম্যান নূরে আলম কর আদায়ের ব্যাপারে তার কোন এখতিয়ার নেই জানিয়ে তার বিরুদ্ধে অভিযোগ অস্বীকার করে সাংবাদিকদের তার অফিসে চায়ের আমন্ত্রন জানান।
এ ব্যাপারে জেলা প্রশাসক মো. শাহগীর আলম কে তাঁর সরকারি ০১৭৩০৪৪৯৬০ নাম্বারে বার বার যোগাযোগ করেও পাওয়া যায়নি। ক্ষুদেবার্তা পাঠালে কোন জবাব দেননি। তবে জেলা প্রশাসকের প্রতিনিধি নবীনগর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা একরামুল ছিদ্দিক বলেন, আমার জানা মতে জেলা প্রশাসক অফিস থেকে কাউকে কর আদায়ের জন্য পাঠানো হয়নি। জেলা প্রশাসক মহোদয় আপনার ক্ষুদে বার্তার মাধ্যমে বিষয়টি অবগত হয়ে আমাকে খতিয়ে দেখার নির্দেশ দিয়েছেন।
চলারপথে রিপোর্ট :
নবীনগরে সুশান্ত সরকার (৩০) নামের এক যুবককে বাড়ি থেকে ডেকে নিয়ে খুনের খবর পাওয়া গেছে।
ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার নবীনগর উপজেলার শ্যামগ্রাম ইউনিয়নের নাসিরাবাদ গ্রামের ক্ষুদ্র ব্যবসায়ী নিতাই চন্দ্র সরকারের ছেলে সুশান্ত। তার দুই মাস বয়সী একটি পুত্র সন্তান আছে। পরিবারের অভিযোগ, গ্রামের আশিক নামের এক যুবক ১৮ আগস্ট রবিবার রাতে সুশান্তকে ঘর থেকে ডেকে নিয়ে যান।
পরে আজ ১৯ আগস্ট সোমবার সকালে গ্রামের পাশে থাকা মেঘনা নদীর পাড়ে সুশান্তের মরদেহ পড়ে থাকতে দেখা যায়।
পুলিশ ও এলাকাবাসী সূত্রে জানা যায়, সুশান্ত সরকারের সঙ্গে একই গ্রামের তাহের মিয়ার ছেলে আশিক মিয়ার বন্ধুত্ব ছিল। ঘটনার দিন গত রবিবার রাতে আশিক সুশান্তের বাড়িতে আসেন। এরপর আশিক সুশান্তকে ঘর থেকে ডেকে নিয়ে চলে যান।
সুশান্তের মা রূপালী সরকার পুত্রশোকে বাড়ির উঠোনে বিলাপরত অবস্থায় বলেন, ‘আমার ছেলে একটি পুরনো মোটর সাইকেল আশিকের কাছে বিক্রি করেছিল। কিন্তু আশিক সেই টাকা পরিশোধ না করায়, এ নিয়ে সম্প্রতি আশিকের সাথে সুশান্তের একাধিকবার ঝগড়া হয়। এরই জের ধরে আশিক গতকাল রবিবার রাতে সুশান্তকে ঘর থেকে ডেকে নিয়ে গিয়ে খুন করে। পরে মেঘনার পাড়ে আমার ছেলের লাশ ফেলে রেখে যায়।
নবীনগর থানার ওসি আফজাল হোসেন বলেন, ‘ঘটনার সংবাদ পেয়েই পুলিশ নিয়ে ঘটনাস্থলে ছুটে যাই। এ বিষয়ে অপরাধীদের বিরুদ্ধে কঠোর আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’
চলারপথে রিপোর্ট :
পশ্চিমাঞ্চলের ‘মোস্ট ওয়ানটেড’ ১৯ মামলার আসামি, মন্নাফ মিয়া ওরফে মনেক ডাকাতকে অবশেষে গ্রেফতার করেছে র্যাব। ১৫ মার্চ শনিবার রাতে ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার নবীনগর উপজেলার বড়িকান্দি মাজার এলাকা থেকে র্যাব-৯ এর সহকারী পুলিশ সুপার (এএসপি) জিয়া লতিফুল ইসলামের নেতৃত্বে র্যাবের একটি দল তাকে গ্রেফতার করে। পরে তাকে নবীনগর থানায় হস্তান্তর করা হয়।
গ্রেফতারের সত্যতা নিশ্চিত করেছেন ব্রাহ্মণবাড়িয়ার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (ক্রাইম) ওবায়দুর রহমান ।
এদিকে, উপজেলার পশ্চিমাঞ্চলে বসবাসরত লাখো মানুষের কাছে ‘মূর্তিমান আতঙ্ক’ খ্যাত মনেক ডাকাত আবারও গ্রেফতার হয়েছেন, এমন খবরে যেমন স্বস্তি বিরাজ করছে। তেমনি সে (মনেক) অতীতের মতো যেকোনো সময় আবারও জামিনে বের হয়ে এসে এলাকায় পুনরায় ত্রাসের রাজত্ব কায়েম করতে পারে, এরকম আতঙ্কেও ভুগছেন উপজেলার পশ্চিমাঞ্চলবাসী।
নবীনগর থানার ওসি আবদুর রাজ্জাক বলেন, সম্প্রতি একটি বিয়ে বাড়িতে সংঘটিত সন্ত্রাসী হামলায় বাবা-ছেলেসহ ৪ জন গুলিবিদ্ধের ঘটনার মামলায় ‘মূল নায়ক’ হিসেবে তাকে গ্রেফতার দেখিয়ে আজ ১৬ মার্চ রবিবার চালান দেওয়া হবে। আশা করছি, এবার সহসা জেল থেকে সে ছাড়া পাবে না।
তিনি আরো জানান, চুরি, ডাকাতি, মাদক, হত্যাসহ বিভিন্ন অভিযোগে মোট ১৯ মামলার ‘মোস্ট ওয়ানটেড’ আসামি এই মনেক ডাকাত। পুলিশ বারবার অভিযান চালিয়েও তাকে এতোদিন খুঁজে পায়নি। অবশেষে র্যাব পুলিশের যৌথ অভিযানে শনিবার তাকে গ্রেফতার করা হলো।
চলারপথে রিপোর্ট :
নবীনগরে ধর্ষকদের ফাঁসির দাবিতে বিক্ষোভ মিছিল করেছে বৈষম্যবিরোধী শিক্ষার্থীরা। আজ ২৭ ফেব্রুয়ারি বৃহস্পতিবার দুপুরে ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার নবীনগর উপজেলা সদরে এই বিক্ষোভ মিছিল করা হয়েছে।
জানা যায়, সম্প্রতি সারা দেশে সংঘটিত ধর্ষণের প্রতিবাদসহ আইনশৃঙ্খলার চরম অবনতির প্রতিবাদে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের উদ্যোগে এই বিক্ষোভ মিছিলের ডাক দেয়া হয়।
নবীনগর ইচ্ছাময়ী বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের শতাধিক ছাত্রী প্রথমে বিক্ষোভ মিছিল নিয়ে নবীনগর সরকারি কলেজে এসে জড়ো হন।
জানা যায়, সম্প্রতি সারাদেশে সংঘটিত ঘনঘন ধর্ষণের প্রতিবাদসহ আইনশৃংখলার চরম অবনতির প্রতিবাদে বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনের উদ্যোগে এই বিক্ষোভ মিছিলের ডাক দেয়া হয়।
দুপুর ১টার দিকে নবীনগর ইচ্ছাময়ী বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের শতাধিক ছাত্রী প্রথমে বিক্ষোভ মিছিল নিয়ে নবীনগর সরকারি কলেজে এসে একত্রিত হয়। এরপর কলেজ ক্যাম্পাসে ছাত্রীরা প্রচন্ড বিক্ষোভ মিছিল করতে থাকে। এখানে ধর্ষকদের ফাঁসি দাবি করে বিক্ষুব্ধ ছাত্রীদেরকে শ্লোগান দিতে দেখা যায়। এ সময় ধর্ষকদের ফাঁসি দাবি করে বৈষম্য বিরোধী ছাত্ররাও ছাত্রীদের সাথে কণ্ঠ মিলিয়ে বিভিন্ন শ্লোগান দেয়।
এ সময় কযেকজন ছাত্রী বক্তব্য রাখেন। পরে মিছিলটি উপজেলা সদরের বিভিন্ন সড়ক প্রক্ষিণ করে। এসময় পথচারীদেরকেও হাত নাড়িয়ে মিছিলকারীদের সমর্থন জানাতে দেখা যায়।