চলারপথে রিপোর্ট :
ব্রাহ্মণবাড়িয়া শহরের আনন্দময়ী বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক আবু জামালের দুর্নীতি ও অনিয়মের তদন্তপূর্বক বিচারের দাবিতে মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়েছে।
আজ ২০ অক্টোবর রোববার বেলা ১১টায় বিদ্যালয়ের প্রধান গেটের সামনে এ মানববন্ধন করেন বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা।
এসময় তারা বলে, আনন্দময়ী উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক বিভিন্ন অনিয়ম ও দুর্নীতির সঙ্গে সম্পৃক্ত আছেন। আমাদের কাছ থেকে বিভিন্ন সময় বিভিন্ন অনুষ্ঠানের কথা বলে টাকা নিতেন। আমরা সেই টাকা ফেরত ও প্রধান শিক্ষক আবু জামালের পদত্যাগ চাই। মানববন্ধনে আনন্দময়ী উচ্চ বিদ্যালয়ের নবম শ্রেণির শিক্ষার্থী ইশরাত জাহান তিশা, অষ্টম শ্রেণির শিক্ষার্থী সুসাত আক্তার, সামিয়া আক্তার, আফরিন জাহান নাদিয়া, ইফাত জাহান লাবনী, সপ্তম শ্রেণির শিক্ষার্থী রিতু মনিসহ বিদ্যালয়ের শতাধিক শিক্ষার্থী অংশগ্রহণ করে।
ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক শাহাদাৎ হোসেন শোভন। ২০ মে প্রতীক বরাদ্দ দেয়া হয়েছে। তিনি প্রতীক পেয়েছেন আনারস।
চলারপথে রিপোর্ট :
আসন্ন ঈদুল ফিতর সামনে রেখে ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় মধ্যবিত্ত ও হতদরিদ্র মানুষের জন্য ৫৫০ টাকা কেজিদরে গরুর মাংস বিক্রি করছে ছাত্রলীগ। গৃহায়ন ও গণপূর্তমন্ত্রী র আ ম উবায়দুল মোকতাদির চৌধুরীর পক্ষ থেকে ঈদের আগে দু’দিন পর্যন্ত এই মাংস বিক্রি কার্যক্রম চলবে।
আজ ৮ এপ্রিল সোমবার বেলা সাড়ে ১০টা থেকে জেলা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক শাহদাৎ হোসেন শোভনের নিজস্ব উদ্যোগে ভর্তুকি মূল্যে এই মাংস বিক্রয় কার্যক্রম শুরু হয়। বাজারে গরুর মাংসের চড়া দাম থাকায় সাধারণ ক্রেতারা সকাল থেকেই শহরের বঙ্গবন্ধু স্কয়ারে স্বল্প মূল্যে মাংস কিনতে ভিড় করেন। এ সময় ৪৩০ জন ক্রেতার মাঝে ৫৫০ টাকায় এক কেজি গরুর মাংস এবং একশ টাকায় এক কেজি পোলাও চাল বিক্রি করা হয়।
ক্রেতারা জানান, গরুর মাংসের দাম বেড়ে যাওয়ায় অনেকে কিনতে পারেন না। সাধারণ মানুষ যখন ঊর্ধ্বমূখী বাজারে হিমশিম খাচ্ছে এমন সময় স্বল্প মূল্যে গরুর মাংস কিনতে পেরে তারা অনেক খুশি।
মাংস নিতে আসা সাবিনা বেগম বলেন, আমার স্বামীর সংসারে আয় কম। যে টাকা রোজগার হয় তা দিয়ে সংসার চালাতে কষ্ট হয়ে যায়। গরুর মাংসের দাম বেশি হওয়াই তিন মাস ধরে কিনতে পারছি না। সামনে ঈদ এমন সময় কম দামের গরুর মাংসের খবর পেয়ে আমি এখানে এসে ৫৫০ টাকায় এক কেজি মাংস ও ১০০ টাকায় এক কেজি পোলাওয়ের কিনেছি।বৃদ্ধ শাহজাদা মিয়া বলেন, বাজারে তো ৭৫০ থেকে ৮০০ টাকা ধরে গরুর মাংস বিক্রি হয়। তা কেনা আমাদের পক্ষে সম্ভব নয়। ছাত্রলীগের উদ্যোগে ৫৫০ টাকায় গরুর মাংস বিক্রি হচ্ছে খবর পেয়ে আমিও এসে এক কেজি গরুর মাংস কিনে বাড়িতে নিয়ে যাচ্ছি।
এ বিষয়ে জেলা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক শাহাদৎ হোসেন শোভন বলেন, সাধারণ মানুষের কথা চিন্তা করে রমজানের প্রথম দিন থেকে আমরা ভর্তুকিতে পাঁচটি নিত্য প্রয়োজনীয় পণ্য বিক্রি করে আসছি। এরই ধারাবাহিকতায় এবার গৃহায়ন ও গণপূর্তমন্ত্রী র আ ম উবায়দুল মোকতাদির চৌধুরীর পক্ষ থেকে ঈদের আগে দুদিন ছাত্রলীগ গরুর মাংস বিক্রি করছে। প্রত্যেকে এক কেজি করে মাংস কিনতে পারছেন। আগামী দু’দিন প্রতিদিন সকাল সাড়ে ১০টা থেকে দুপুর ১টা পর্যন্ত এই মাংস বিক্রয় কার্যক্রম চলবে।
প্রসঙ্গত, মধ্যবিত্ত ও হতদরিদ্র মানুষের জন্য রমজানের প্রথম দিন থেকে ভর্তুকি মূল্যে ছোলা, তেল, চিনি, ডাল ও পেঁয়াজ বিক্রি করছে জেলা ছাত্রলীগ।
ব্রাহ্মণবাড়িয়া রেড ক্রিসেন্ট ইউনিটের চেয়ারম্যান, যুদ্ধাহত বীর মুক্তিযোদ্ধা আল-মামুন সরকার বলেছেন, দীর্ঘদিন যাবত কমিটি বিহীন একটি অকার্যকর প্রতিষ্ঠানে পরিনত ব্রাহ্মণবাড়িয়া রেড ক্রিসেন্ট ইউনিটকে গতিশীল করে আর্ত মানবতার একটি কার্যকর সংগঠনে পরিনত করা হবে।
আজ ৬ ফেব্রুয়ারি সোমবার ইউনিটের কার্যনির্বাহী কমিটি সভা ও বাংলাদেশ রেড ক্রিসেন্ট সোসাইটি এবং সুইজারল্যান্ড রেডক্রস সোসাইটির যৌথ উদ্দ্যেগে ‘‘ব্রাঞ্চ ক্যাপাসিটি ডেভালেপমেন্ট প্রজেক্ট বাস্তবায়ন’’ শীর্ষক সেমিনারের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে সভাপতির বক্তৃতায় তিনি এই প্রতিশ্রুতি ব্যক্ত করেন।
ইউনিটের সেক্রেটারী আলহাজ্ব মোঃ শাহ আলমের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে অন্যান্যের মধ্যে প্রোগ্রাম ম্যানেজার তুহিন সমদ্দার, সহকারী প্রকল্প কর্মকর্তা আলবী রহমান, ভাইস চেয়ারম্যান জায়েদুল হক, প্রেসক্লাব সেক্রেটারী বাহারুল ইসলাম মোল্লা, সাদেকুর রহমান শরীফ, আশিকুর রহমান পাঠান, মাসুকুল কবির, সালা উদ্দিন সরকার, ইউনিট কর্মকর্তা জাহিদুল ইসলাম, যুব রেড ক্রিসেন্টের আফরিন ফাতেমা জুঁই, মনির হোসেন ও ফাহিম মুনতাছির প্রমুখ অংশগ্রহণ করেন।
চলারপথে রিপোর্ট :
ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় অবরোধের সমর্থনে আজ ৩১ অক্টোবর মঙ্গলবার দুপুরে বিএনপির নেতা-কর্মীরা বিক্ষোভ মিছিল বের করলে ছাত্রলীগের নেতা-কর্মীদের ধাওয়ায় তা পন্ড হয়ে যায়। মঙ্গলবার দুপুরে কুমিল্লা-সিলেট মহাসড়কের পৌর এলাকার পশ্চিম মেড্ডা এলাকায় এই ঘটনা ঘটে।
স্থানীয়রা জানান, দুপুরে জেলা বিএনপির আহবায়ক আবদুল মান্নানের নেতৃত্বে বিএনপির একাংশের নেতা-কর্মীরা মহাসড়কের পীরবাড়ি এলাকায় একটি বিক্ষোভ মিছিল করে। মিছিলে জেলা ছাত্রদলের সদস্য সচিব সমীর চক্রবর্তী, জেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের আহবায়ক দেলোয়ার হোসেন দিলীপ, জেলা যুবদলের যুগ্ম সম্পাদক সজিবুর রহমান, সাবেক ভিপি তাজুল ইসলামসহ বেশ কয়েকজন অংশ গ্রহণ করেন।
মিছিলটি বের করার ২/৩ মিনিটের মধ্যেই জেলা ছাত্রলীগের সভাপতি রবিউল হোসেন রুবেল ও সাধারণ সম্পাদক শাহাদাৎ হোসেন শোভনের নেতৃত্বে ছাত্রলীগের নেতা-কর্মীরা শতাধিক মোটর সাইকেল নিয়ে সেখানে উপস্থিত হয়। পরে ছাত্রলীগের নেতা-কর্মীরা মিছিলটিকে ধাওয়া করলে বিএনপির নেতা-কর্মীরা দৌড়ে পাশের কৃষি জমিতে গিয়ে আত্মরক্ষা করেন। খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে উপস্থিত হয়।
এ ব্যাপারে জেলা বিএনপির আহবায়ক আবদুল মান্নানের মোবাইল ফোনে একাধিকবার ফোন দেয়া হলেও তা বন্ধ পাওয়া যায়।
এ ব্যাপারে জেলা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক শাহাদাৎ হোসেন শোভন বলেন, বিএনপি-জামায়াত দেশ বিরোধী নাশকতামূলক কর্মসূচি দিয়েছে। সাধারণ মানুষ তা প্রত্যাখ্যান করেছে। আমরা সকাল থেকেই তাদের অপচেষ্টা প্রতিরোধে মোটর সাইকেল নিয়ে ঘুরেছি। পীরবাড়ি এলাকায় তারা নাশকতার চেষ্টা চালালে আমরা সেখানে গেলে আমাদের দেখেই তারা দৌড়ে পালিয়ে যায়।
এ ব্যাপারে ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোঃ আসলাম হোসাইন বলেন, বিএনপির নেতা-কর্মীদের মিছিল বের করার খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌছার আগেই ছাত্রলীগের ছেলেরা সেখানে গেলে তারা পালিয়ে যায়। তবে সেখানে কোন সংঘর্ষ বা অপ্রীতিকর ঘটনা ঘটেনি।
এদিকে জেলা বিএনপির অপর অংশের নেতা ও জেলা বিএনপির সাবেক সাধারণ সম্পাদক ও আহবায়ক কমিটির সদস্য জহিরুল হক খোকনের নেতৃত্বে মঙ্গলবার বেলা ১১টার সময় শহরের পাওয়ার হাউজ রোডে এক ঝটিকা মিছিল বের করে। মিছিলে জেলা বিএনপির সাবেক সহ-সভাপতি মোঃ শফিকুল ইসলাম, সাবেক যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক এ.বি.এম মোমিনুল হক, জেলা যুবদলের সভাপতি শামীম মোল্লা ও সাধারণ সম্পাদক ইয়াছিন মাহমুদ প্রমুখ অংশ নেন।
চলারপথে রিপোর্ট :
ডিষ্ট্রিক পলিসি ফোরাম (ডিপিএফ) ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা কমিটির উদ্যোগে ২৮ সেপ্টেম্বর শনিবার আন্তর্জাতিক তথ্য অধিকার দিবস উদযাপিত হয়েছে। দিবসটি উপলক্ষে শহরের কাউতলী এলাকার স্বপ্নতরী মিলনায়তনে এক আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়।
আলোচনা সভায় সভাপতিত্ব করেন ডিপিএফ সভাপতি ও বিশিষ্ট সাংবাদিক মোহাম্মদ আরজু মিয়া।
আলোচনায় অংশ নেন ডিপিএফ সেক্রেটারি মোঃ শরীফ উদ্দিন, স্বর্নিভর ব্রাহ্মণবাড়িয়ার নির্বাহী পরিচালক এস.এম শাহীন, মিতালী সংগঠনের সভাপতি মোহাম্মদ মাহবুব খান, স্বপ্নতরীর নির্বাহী পরিচালক মোঃ তাহের উদ্দিন ভূইয়া, ডিপিএফএর সদস্য সাবেক পৌর কাউন্সিলর নিলুফা ইয়াসমিন, ডিপিএফ সদস্য মেহেদী হাসান রজত প্রমুখ।
সভায় বক্তারা সাধারণ মানুষের সহজে তথ্য জানার অধিকার নিশ্চিত করার জন্যে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের কাছে দাবি জানান।