চলারপথে রিপোর্ট :
বিজয়নগর উপজেলায় সামাজিক সংগঠন তরী বাংলাদেশ এর উদ্যোগে ডেঙ্গু প্রতিরোধ ও জনসচেতনতামূলক আলোচনা ও লিফলেট বিতরণ করা হয়েছে। আজ ২২ অক্টোবর মঙ্গলবার সকাল ১১টায় ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার বিজয়নগর উপজেলার দাউদপুর সরকারি উচ্চ বিদ্যালয়, আমতলী বাজার, চান্দুরা বাজার, চম্পকনগর বাজার ও কাজী শফিকুল ইসলাম বিশ্ববিদ্যালয় কলেজ এর ছাত্র-ছাত্রীদের মধ্যে ডেঙ্গুর প্রতিরোধে আলোচনা ও লিফলেট বিতরণ করা হয়েছে।
এসময় উপস্থিত ছিলেন উপজেলা নির্বাহী অফিসার মো: সাইফুল ইসলাম, অধ্যক্ষ মো. শফিকুর রহমান, প্রধান শিক্ষক মো. শাহজাহান মিয়া। তরী বাংলাদেশ বিজয়নগর শাখার আহ্বায়ক মো. সাদেকুল ইসলাম ভূঁইয়া, সদস্য সচিব আলমগীর হোসেন, খাইরুল আলম জুয়েল, মো. সাইফুল ইসলাম, অপু চন্দ্র বিশ্বাস, শাহজাহান মিয়া, লিটন মিয়া, সুমন মিয়া, জিল্লু মিয়া, জাহাঙ্গীর আলম, লোকমান হোসেন, আমিনুল ইসলাম, শফিকুল ইসলাম (রাজীব) স্কুল-কলেজের শিক্ষক ও ছাত্রছাত্রীবৃন্দ।
তরী সংগঠনের জনকল্যাণমূলক উদ্যোগকে স্বাগত জানিয়ে প্রধান অতিথির বক্তব্যে উপজেলা নির্বাহী অফিসার সাইফুল ইসলাম বলেন, সচেতনতাই পারে ডেঙ্গু থেকে বাঁচাতে, তাই সচেতনতার বিকল্প নেই। শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে মশার বিস্তার রোধ করার জন্য কয়েকটি ফগার মেশিন ক্রয় করবেন বলে জানান।
অধ্যক্ষ মো. শফিকুর রহমান বলেন, বাড়ির আঙিনা ও আশেপাশ পরিষ্কার পরিচ্ছন্ন রাখার মাধ্যমে ডেঙ্গু মশার বিস্তার রোধ করতে হবে এবং এ আন্দোলন সমাজে ছড়িয়ে দিতে হবে।
আলোচনা সভা শেষে উপজেলা নির্বাহী অফিসার এর উপস্থিতিতে আমতলী বাজার, চান্দুরা বাজার কাজী শফিকুল ইসলাম বিশ্ববিদ্যালয় কলেজ শিক্ষার্থীর মধ্যে আলোচনা ও লিফলেট বিতরণ করা হয়। পরে চম্পকনগর বাজারে ডেঙ্গু প্রতিরোধ ও প্রতিকারের লিফলেট জনসাধারণের মধ্যে বিতরণ করার মাধ্যমে দিনব্যাপী কর্মসূচি সম্পন্ন হয়।
চলারপথে রিপোর্ট :
ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার বিজয়নগরে বিপণিবিতান তৈরির জন্য চার দশকের পুরোনো একটি পুকুর ভরাট করছেন স্থানীয় কয়েকজন। যদিও পরিবেশ সংরক্ষণ আইন অনুযায়ী, জলাধার হিসেবে চিহ্নিত জায়গা ভরাট বা শ্রেণি পরিবর্তন করা যাবে না। প্রশাসনের নাকের ডগায় প্রতিদিন ট্রাক্টরে মাটি ফেলে ভরাট চললেও রহস্যজনক কারণে নীরব কর্তৃপক্ষ। দুই মাস ধরে পুকুর ভরাটের কাজ চলছে।
ভরাটকাজে জড়িত ব্যক্তিরা বলছেন, সবাইরে ‘ম্যানেজ’ করেই তাঁরা ভরাট করছেন। উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার (ইউএনও) কাছে প্রয়োজনীয় কাগজপত্র জমা দিয়েছেন। তবে প্রশাসনের কর্তাব্যক্তিরা বলছেন, তাঁরা কাউকে পুকুর ভরাটের অনুমতি দেননি। একবার ভরাটের খবর পেয়ে ভরাট বন্ধ করে দিয়েছিলেন। আবার ভরাট শুরু হলে তাঁরা উদ্যোগ নেবেন।
নাম প্রকাশ না করার শর্তে স্থানীয় কয়েকজন বাসিন্দা বলেন, পুকুরটি বিজয়নগর উপজেলা পরিষদের ৫০০ মিটারের মধ্যে অবস্থিত। ইউএনও, সহকারী কমিশনারসহ (ভূমি) প্রশাসনের কর্মকর্তারা প্রতিদিন পুকুরের সামনে দিয়ে যাতায়াত করেন। তাঁরা এ বিষয়ে কোনো কিছু বলছেন না। দুই মাস ধরে মাটি ফেলার কাজ করলেও তাঁরা শুরু থেকে নীরব।
স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, বিজয়নগরের চান্দুরা-আখাউড়া সড়কে ইছাপুরা ইউনিয়নের মির্জাপুর মোড়ে রাস্তা-সংলগ্ন পুকুরটি ৪০-৫০ বছরের পুরোনো। পুকুরের পূর্ব দিকের বাসিন্দা জলফু মিয়া, তাঁর ছোট ভাই আজিজুল হক ওরফে মলাই মিয়া, করিম মিয়াসহ কয়েকজন পুকুরটির ৭২ শতকের মালিক। সাড়ে তিন মাস আগে পুকুরটি ভরাট করতে পানি সরানো হয়। এরপর জলফু, মলাইসহ পাড়ের বাসিন্দারা বিভিন্ন জায়গা থেকে ট্রাক্টর দিয়ে মাটি এনে ভরাটের কাজ শুরু করেন। পুকুরটি ভরাট করে সেখানে বিপণিবিতান নির্মাণ করা হবে বলে জানা গেছে। এ জন্য তাঁরা ইউএনও বরাবর আবেদন করেছেন বলে তাঁরা জানিয়েছেন।
প্রাকৃতিক জলাধার সংরক্ষণ আইন-২০০০ অনুযায়ী, কোনো পুকুর, জলাশয়, নদী, খাল ভরাট করা বেআইনি। আইনের ৫ ধারা অনুযায়ী, প্রাকৃতিক জলাধার হিসেবে চিহ্নিত জায়গার শ্রেণি পরিবর্তন বা অন্য কোনোভাবে ব্যবহার, ভাড়া, ইজারা বা হস্তান্তর বেআইনি। কোনো ব্যক্তি এ বিধান লঙ্ঘন করলে আইনের ৮ ও ১২ ধারা অনুযায়ী পাঁচ বছরের কারাদণ্ড বা অনধিক ৫০ হাজার টাকা অর্থদণ্ড বা উভয় দণ্ডে দণ্ডিত হবেন।
অন্যদিকে পরিবেশ সংরক্ষণ আইনের (২০১০ সালে সংশোধিত) ৬ ধারায় উল্লেখ করা হয়েছে, ‘বলবৎ অন্য কোনো আইনে যা-ই থাকুক না কেন, জলাধার হিসেবে চিহ্নিত জায়গা ভরাট বা অন্য কোনোভাবে শ্রেণি পরিবর্তন করা যাবে না।’
বিজয়নগর উপজেলা ভূমি কার্যালয়ের নাজির মো. সৈয়দ মিয়া ও বুধন্তি ইউনিয়ন ভূমি কার্যালয়ের তহসিলদার কাজল বণিক বলেন, তাঁরা যতটুকু জানেন, জমিটি নালা শ্রেণির। সেটি ভরাটের অনুমতির জন্য তাঁরা ইউএনওর কাছে আবেদন করেছেন বলে শুনেছেন।
বিজয়নগর উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) মেহেদি হাসান খান বলেন, অভিযোগ আসার পর ভরাট বন্ধ রাখতে নির্দেশ দেওয়া হয়েছিল। আবার শুরু করলে তাঁরা ব্যবস্থা নেবেন। জমিটি জলাশয় না পুকুর শ্রেণির কাগজপত্র না দেখে বলা যাবে না। এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ব্যক্তিমালিকানাধীন ও শ্রেণিভুক্ত না হলে ভরাটের অনুমতির জন্য জেলা প্রশাসক বরাবর আবেদন করতে হবে। বাস্তবতার নিরিখে জমিটি কী হিসেবে ব্যবহৃত হয়ে আসছে, তদন্ত করে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
পুকুরের মালিক আজিজুল হক বলেন, ‘আপনে আমারে কেন জিগাইতেছেন। ম্যাডামরে (ইউএনও) জিগান। ম্যাডামের কাছে সব কাগজপত্র জমা আছে। সব দিছি। জায়গাটি ২০০০ সালে আমরা কিনছি। এইডা পুকুর না, জলাশয়। এখানে জায়গা আছে ৭২ শতক। আমরার ভাই-বোনদের বাড়িঘরের প্রয়োজনে এইডা ভরাট করতাছি।’
তবে ইছাপুরা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান জিয়াউল হক বলেন, ‘আনুমানিক ৪০ বছর ধরে পুকুর হিসেবে দেখতেছি। ভরাট বন্ধের জন্য বলেছি। বিষয়টি ইউএনওকেও জানিয়েছি।’
কোনো পুকুর ভরাটের জন্য কাউকে অনুমতি দেননি বলে দাবি করেন ইউএনও রুবাইয়া আফরোজ। তিনি বলেন, এ বিষয়ে খোঁজ নেবেন। প্রশাসনকে উৎকোচ দেওয়ার বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘যিনি এই অভিযোগ করছেন, তাঁকে রেকর্ড বা প্রমাণ থাকলে দেখাতে বলেন। আমি তো বলছি, আমাকে একটু সময় দিন।’ দুই মাস ধরে প্রশাসনের নাকের ডগায় ভরাট চলছে উল্লেখ করলে রুবাইয়া আফরোজ বলেন, ‘আমি খোঁজ নেব।’
চলারপথে রিপোর্ট :
ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার বিজয়নগরে সর্ব সাধারণের ব্যবহারের জন্য ইনপ্রুভড ল্যাট্টিন (ওয়াশরুম) উপজেলার ইছাপুরা ইউনিয়ন পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান আক্তার হোসেনের জায়গায় নির্মাণ করার অভিযোগ উঠেছে।
স্থানীয় বাসিন্দাদের অভিমত জনস্বাস্থ্য অধিদপ্তর, ব্রাহ্মণবাড়িয়া অফিসের নির্মাণকরা ইনপ্রুভড ল্যাট্টিনটি সাধারণ মানুষ ব্যবহার করতে পারবেনা। আক্তার হোসেন বিজয়নগর উপজেলার ইছাপুরা ইউনিয়ন পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান ও স্থানীয় আওয়ামীলীগ নেতা।
স্থানীয়রা জানান, উপজেলার ইছাপুরা ইউনিয়ন পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান আক্তার হোসেনের উপজেলার মির্জাপুর গ্রামে একটি জায়গা রয়েছে। জায়গাটি স্থানীয় রাষ্ট্রু মিয়া নামে এক ব্যক্তি ভাড়া নিয়ে সেখানে একটি মুরগীর খামার গড়ে তুলেছেন।
উপজেলা জনস্বাস্থ্য প্রকৌশল অধিদপ্তর, কার্যালয় সূত্রে জানা গেছে, উপজেলায় ৬৯টি ইনপ্রুভড ল্যাট্টিন স্থাপনের প্রকল্প নেয়া হয়েছে। এর মধ্যে ইতিমধ্যেই ৩০টির বেশি ইনপ্রুভড ল্যাট্টিন বাস্তবায়ন করেছে উপজেলা জনস্বাস্থ্য প্রকৌশল অধিদপ্তর। প্রতিটি ল্যাট্টিন নির্মাণের ব্যয় ধরা হয়েছে চার লাখ থেকে সাড়ে চার লাখ টাকা। প্রতিটি ইনপ্রুভড ল্যাট্টিনের সাথে একটি সাব মারজিবল টিউবওয়েল রয়েছে।
সর্ব সাধারণের জন্য উপজেলার বিভিন্ন বাজার এলাকা এবং ২/৩টি বাড়ির মানুষের জন্য একটি করে ইনপ্রুভড ল্যাট্টিন ও নলকূপ স্থাপন করা হয়েছে।
স্থানীয়রা জানান, বিজয়নগর উপজেলার মির্জাপুর বাজার থেকে অনুমানিক ১০০/১৫০ গজ দূরে সাবেক চেয়ারম্যান আক্তার হোসেনের ব্যক্তি মালিকানাধীন একটি জায়গা আছে। জায়গাটি স্থানীয় রাষ্ট্রু মিয়া নামে এক ভাড়া নিয়ে মুরগির খামার নির্মাণ করেছেন। রাস্তার পাশে থাকা ওই জায়গাটি চারপাশে প্লাষ্টিকের নেট দিয়ে বেড়া দেয়া। এর ভেতরেই নির্মান করা হয়েছে।এর ভেতরে ইনপ্রুভড ল্যাট্টিন। সেখানে মুরগীর খামার থাকায় সাধারণ লোকজন এই ইনপ্রুভড ল্যাট্টিনটি ব্যবহার করতে পারেন না।
স্থানীয়দের অভিযোগ নিজেদের সুবিধার জন্যই সাবেক চেয়ারম্যান আক্তার হোসেন সরকারি টাকায় এই ইনপ্রুভড ল্যাট্টিনটি নিজের জায়গায় নির্মান করেছেন। ইনপ্রুভড ল্যাট্টিনটি যে সাধারণ লোকজনের সুবিধার জন্য করা হয়েছে তা স্থানীয়রা জানেননা। অভিযোগকারীরা বলেন, একজন সাবেক চেয়ারম্যানের জায়গায় নির্মাণ করা ল্যাট্টিন ব্যবহার করতে কে যাবে? একটি সরকারি জায়গায় উম্মুক্ত স্থানে ইনপ্রুভড ল্যাট্টিনটি নির্মাণ করা দরকার ছিলো।
এ ব্যাপারে ইছাপুরা ইউনিয়ন পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান আক্তার হোসেন বলেন, জায়গাটির আশেপাশে মার্কেট আছে, সিএনজি পাম্প আছে। সকলই এই ইনপ্রুভড ল্যাট্টিন ব্যবহার করতে পারবেন। তিনি আমার জায়গায় ইনপ্রুভড ল্যাট্টিনটি নির্মান হলেও সাধারণ লোকজন এটি ব্যবহার করতে পারবেন। তিনি বলেন, জায়গার সামনে দেয়া প্লাষ্টিকের বেড়া খুলে ইনপ্রুভড ল্যাট্টিনটি সকলের ব্যবহারের উপযোগী করে দিবো। তিনি বলেন, ল্যাট্টিনটি এখনো উদ্বোধন করা হয়নি।
এ ব্যাপারে ইছাপুরা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান জিয়াউল হক বকুল বলেন, ওই জায়গায় ইনপ্রুভড ল্যাট্টিনটি কিভাবে নির্মাণ করা হয়েছে, তা আমি জানিনা। আমাকে কেউ বিষয়টি অবহিত করেনি।
এ ব্যাপারে বিজয়নগর উপজেলা জনস্বাস্থ্য প্রকৌশল অধিদপ্তরের উপ-সহকারী প্রকৌশলী আমান উল্লাহ বলেন, আমরা সাধারণত কোন উম্মুক্ত জায়গা বা বাজার এলাকায় ইনপ্রুভড ল্যাট্টিন নির্মাণ করে থাকি। আবার গ্রামে ২/৩টি পরিবারের জন্যও ল্যাট্টিন নির্মাণ করে দেই।
তিনি বলেন, সাবেক চেয়ারম্যান আক্তার হোসেনের জায়গায় নির্মাণ করা ল্যাট্টিন সাধারণ মানুষ ব্যবহার করতে পারবেন বলে তিনি আমাকে আশ্বস্থ্য করেছেন। তবে এখনো ল্যাট্টিন নির্মাণের কাজ শেষ হয়নি। তিনি বলেন, সেখানে যে মুরগীর খামার আছে তা আমার জানা নেই। তবে ল্যাট্টিন নির্মাণ হলে তা সবাই ব্যবহার করতে পারবেন।
চলারপথে রিপোর্ট :
বিজয়নগর উপজেলা স্বাস্থ্য অফিসের সার্বিক তত্ত্বাবধানে দিনব্যাপী নিরাপদ খাদ্য বিষয়ক সচেতনামূলক কর্মশালা অনুষ্ঠিত হয়েছে।
আজ ২৮ ফেব্রুয়ারি মঙ্গলবার বিজয়নগর উপজেলার স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স এর হল রুমে এই কর্মশালা অনুষ্ঠিত হয়।
কর্মশালার মূল আলোচনা করেন বিজয়নগর উপজেলা পরিবার পরিকল্পনা অফিসার ডাঃ মাছুম।
পরে বক্তব্য রাখেন, বিজয়নগর উপজেলা আওয়ামীলীগের সহ-সভাপতি জাহাঙ্গীর আলম রমজান, উপজেলা মডেল মসজিদ এর খতিব মাওলানা মিজবাহ উদ্দীন, পত্তন ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মোঃ তাজুল ইসলাম, চম্পকনগর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মোঃ আনোয়ার হোসেন চৌধুরী, বিজয়নগর উপজেলা প্রেসক্লাবের সভাপতি মোঃ কামরুল হাসান শান্ত প্রমুখ।
চলারপথে রিপোর্ট :
বিজয়নগর উপজেলা থেকে বিপুল পরিমাণ গাঁজাসহ ১ জন পেশাদার মাদক ব্যবসায়ীকে গ্রেফতার করেছে র্যাব-৯। এসময় গ্রেফতারকৃতের কাছ থেকে ৫৪ কেজি গাঁজা উদ্ধার করা হয়।
আজ ২০ নভেম্বর বুধবার গোপন সংবাদের ভিত্তিতে র্যাব-৯, সিপিসি-১, কোম্পানীর একটি আভিযানিক দল আনুমানিক রাত ৪:২০টায় ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার বিজয়নগর থেকে তাকে গ্রেফতার করে।
গ্রেফতারকৃত আসামী হলেন আরাফাত (১৯)। তিনি হবিগঞ্জের মাধবপুর উপজেলার গন্ধবপুর গ্রামের মো. ইদ্রিস আলীর ছেলে।
গ্রেফতারকৃত মাদক ব্যবসায়ীর বিরুদ্ধে মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইন, ২০১৮ এর সংশ্লিষ্ট ধারায় মামলা দায়ের করা হয় এবং আসামী ও জব্দকৃত আলামত সংশ্লিষ্ট থানায় হস্তান্তর করা হয়।
এছাড়াও মাদকের বিরুদ্ধে জিরো টলারেন্স নীতি বাস্তবায়নে র্যাব-৯ এর গোয়েন্দা তৎপরতা এবং চলমান অভিযান অব্যাহত থাকবে বলে জানানো হয়েছে।
স্টাফ রিপোর্টার:
ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় স্বাধীনতা কাপ মহিলা ব্যাডমিন্টন টুর্নামেন্টের পুরস্কার বিতরণ সোমবার দুপুরে অনুষ্ঠিত হয়েছে। গভ. মডেল গার্লস উচ্চ বিদ্যালয়ের সম্মেলন কক্ষে খেলো বাংলাদেশে স্পোর্টস সোসাইটি ও ভারত-বাংলাদেশ সাংস্কৃতিক মৈত্রী পরিষদ এ অনুষ্ঠানের আয়োজন করে। খেলো বাংলাদেশে স্পোর্টস সোসাইটি’র প্রধান উপদেষ্টা আ. ফ. ম কাউসার এমরানের সভাপতিত্বে এতে প্রধান অতিথি ছিলেন ব্রাহ্মণবাড়িয়া প্রেস ক্লাবের সদস্য সচিব জাবেদ রহিম বিজন। বিশেষ অতিথি ছিলেন, গভ. মডেল গার্লস স্কুলের প্রধান শিক্ষক পারভীন আক্তার, ব্রাহ্মণবাড়িয়া সাংবাদিক ইউনিয়নের সভাপতি দীপক চৌধুরী বাপ্পী, সহ-সভাপতি বিশ্বজিৎ পাল বাবু, প্রেসক্লাবের সাবেক আইসিটি সম্পাদক মুজিবুর রহমান খান, ভারত-বাংলাদেশ সাংস্কৃতিক মৈত্রী পরিষদ এর সভাপতি করবী চক্রবর্তী, সাধারন সম্পাদক সঞ্জয় দাস। সুষ্মিতা সাহার সঞ্চালনায় এতে স্বাগত বক্তব্য দেন খেলো বাংলাদেশে স্পোর্টস সোসাইটির সাধারন সম্পাদক শিশির সিকদার।
ব্যাডমিন্টন খেলায় এককে রূপালী চ্যাম্পিয়ন, অনিতা রানার আপ হন। দ্বৈতে রূপালী ও নন্দিনি চ্যাম্পিয়ন এবং জান্নাত ও লিটা রানার আপ হন। এককে ম্যান অব দ্যা ম্যাচ রূপালী ও দ্বৈতে জান্নাত। অতিথিরা খেলোয়ারড়দের হাতে নগদ টাকা ও ক্রেস্ট তুলে দেন।
এ সময় বক্তারা বলেন, ‘খেলো স্পোর্টস সোসাইটি নারীদের নিয়ে ক্রিকেট, ব্যাডমিন্টন খেলার মতো যেসব আয়োজন করছে সত্যিই প্রশংসনীয়। নারীদেরকে এগিয়ে নিতে হলে আমাদেরকে সুযোগ করে দিতে হবে। নারীরা এখন সমানতালে এগিয়ে চলছে’।