অনলাইন ডেস্ক :
সেমিফাইনাল নিশ্চিতের ম্যাচে বাংলাদেশের প্রতিপক্ষ ছিল শক্তিশালীয় ভারত। দু’বছর আগে যাদেরকে ৩-০ গোলে তারা হারিয়েছিল। এবার আবারও তাদের উড়িয়ে দিয়েছে লাল-সবুজের জার্সিধারীরা। আজ (নারী সাফ চ্যাম্পিয়নশিপে নিজেদের দ্বিতীয় ম্যাচে ভারতকে ৩-১ গোলে হারিয়েছে বাংলাদেশ। এতে করে গ্রুপ চ্যাম্পিয়ন হয়ে নেপালের কাঠমান্ডুতে সাফ নারী চ্যাম্পিয়নশিপের সেমিফাইনাল নিশ্চিত করেছে বাংলাদেশ।
আজ ২৩ অক্টোবর বুধবার ম্যাচে বাংলাদেশের ড্র প্রয়োজন ছিল সেমিফাইনাল খেলতে। এমন সমীকরণ নিয়ে মাঠে নেমে সাবিনারা ৩-১ গোলের দাপুটে জয় আদায় করে নিয়েছেন। পুরো ম্যাচেই বাংলাদেশ দুর্দান্ত পারফরম্যান্স করেছে। যদিও সাম্প্রতিক সময়ে সিনিয়র খেলোয়াড়দের সঙ্গে কোচের সম্পর্কে টানাপোড়েন চলছিল। আজ মাঠের পারফরম্যান্সে অবশ্য সেই প্রভাব পড়েনি। তিন গোলের দুটি তহুরা খাতুনের, আরেকটি আফিদা খন্দকারের। ভারতের গোলটি করেন অধিনায়ক বালা দেবী। ম্যাচের চারটি গোলই হয়েছে প্রথমার্ধে।
এর আগে শুরুর একাদশে দুই পরিবর্তন করে মারিয়া মান্দা ও মাসুরা পারভীনকে সুযোগ দিয়েছিলেন কোচ পিটার বাটলার। ১৫ মিনিটে অধিনায়ক সাবিনা খাতুনের কর্নার ভারতীয় গোলরক্ষক ঠিকমতো গ্রিপ করতে পারেননি। বল এসে পড়ে বাংলাদেশের আফিদার কাছে। ভারতীয় ডিফেন্ডাররা ব্লক করার আগেই তিনি শট নেন। ভারতীয় গোলরক্ষকের পাশ দিয়ে গোললাইন অতিক্রম করে তার শটটি। এরপরই বাংলাদেশ গোল উৎসবে মাতে।
গোলের পর বাংলাদেশ আরও সুন্দর ফুটবল খেলা উপহার দেয়। অল্প সময়েই তারা বেশ কয়েকটি আক্রমণ শাণায়। ২৮ মিনিটে ভারতের ডিফেন্ডারের ভুলে আরেকটি গোল পায় বাংলাদেশ। বাম প্রান্ত থেকে আসা ক্রস ঠিকমতো ক্লিয়ার করতে পারেননি ভারতীয় ডিফেন্ডার। তার সঙ্গে থাকা বাংলাদেশের ফরোয়ার্ড তহুরার গায়ে লেগে সেই বলটি জালে জড়ায়।
৪২ মিনিটে তৃতীয় দফায় ব্যবধান বাড়ায় লাল-সবুজের প্রতিনিধিরা। শামসুন্নাহার সিনিয়র ও জুনিয়র বল দেওয়া-নেওয়ার মধ্যে বক্সের ওপর বল পান তহুরা খাতুন। জোরালো শটে গোল করেন বাংলাদেশের এই ফরোয়ার্ড। পরের মিনিটে ভারত এক গোল পরিশোধ করে। ভারতের আক্রমণে বাংলাদেশের গোলরক্ষক রুপ্না চাকমা গ্রিপ করতে পারেননি। গোলরক্ষকের হাত ফসকে যাওয়া বলে হেড দিয়ে জালে পাঠান ভারতীয় অধিনায়ক বালা দেবী।
বিরতির পর ভারত গোলের কয়েকটি সুযোগ পায়। প্রতিবারই বাধা হয়ে দাড়ান গোলরক্ষক রুপ্না চাকমা। রুপ্নার পারফরম্যান্সে ভারত দ্বিতীয়ার্ধে আর গোল পায়নি। বাংলাদেশের কোচ পিটার বাটলার দ্বিতীয়ার্ধে স্বপ্না রাণী, সানজিদাকে নামান। অবশ্য বাংলাদেশ দ্বিতীয়ার্ধে তেমন গোলের সুযোগ পায়নি। ফলে প্রথমার্ধের একই ব্যবধান নিয়েই দুই দল মাঠ ছাড়ে।
চলারপথে রিপোর্ট :
ভাদুঘর অল সুপার স্টার ক্লাব আয়োজিত ফুটবল টুর্ণামেন্টের ফাইনাল খেলা আজ ২৮ সেপ্টেম্বর শনিবার বিকালে অনুষ্ঠিত হয়।
উক্ত ফাইনাল খেলায় পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল বিএনপি কেন্দ্রীয় কমিটির অর্থনৈতিক বিষয়ক সম্পাদক সদর-বিজয়নগর আসনের ধানের শীষের কান্ডারী ইঞ্জিনিয়ার খালেদ হোসেন মাহবুব শ্যামল।
প্রধান অতিথির বক্তব্যে ইঞ্জিনিয়ার খালেদ হোসেন মাহবুব শ্যামল বলেন, যুব সমাজকে ক্রীড়ামুখী করতে ফুটবলসহ বিভিন্ন খেলাধুলার ব্যবস্থা করতে হবে। আমাদের প্রজন্মরা লেখাপড়ার পাশাপাশি খেলাধুলা, সংস্কৃতি চর্চা, নৈতিক শিক্ষাসহ শিক্ষার্থীদের মেধার বিকাশ ঘটিয়ে স্বৈরাচার বিরোধী দেশপ্রেমিক নাগরিক হিসেবে গড়ে তুলতে হবে।
তিনি বলেন, সুস্থ শরীর গঠনে খেলাধূলার বিকল্প নেই। খেলাধুলাই পারে মাদকসহ বিভিন্ন অপকর্ম থেকে যুবসমাজকে ফিরিয়ে আনতে।
কাউছার ভূইয়া সভাপতিত্বে এবং তোফাজ্জল হল ভূইয়ার পরিচালনায় উপস্থিত ছিলেন জেলা বিএনপির সাবেক সভাপতি ও সাবেক মেয়র হাফিজুর রহমান মোল্লা কচি, জেলা বিএনপির সাবেক সাধারণ সম্পাদক ও সাবেক ভিপি জহিরুল হক খোকন, সাবেক সহ-সভাপতি সফিকুর রহমান, গোলাম সারোয়ার খোকন, যুগ্ম সম্পাদক এ বি এম মমিনুল হক, অ্যাডঃ তারিকুল ইসলাম খাঁন রোমা, আলী আজ্জম, পৌর বিএনপির সাধারণ সম্পাদক মিজানুর রহমান, সাবেক জি এস মাইনুল হোসেন চপল, জেলা যুবদলের সভাপতি শামীম মোল্লা, সিনিয়র সহ- সভাপতি অ্যাডঃ আব্দুর রহিম গোলাপ, সহ- সভাপতি রাশেদুল হক, জসিম, রাশেদ কবির আকন্দ, যুগ্ম সম্পাদক বুলবুল আহমেদ মুসা, অ্যাডঃ মাসুদ, মামুন, সাংগঠনিক সম্পাদক আতিকুল হক জালাল, পৌর যুবদলের সদস্য সচিব ইয়াছিন, দিদার, জিয়াউল, সাঈদ হাসান সানি, স্বেচ্ছাসেবক নেতা মাইনুল ইসলাম, আমিন আরিফ, জেলা ছাত্রদলের যুগ্ম আহবায়ক সাজিদুর রহমান, জিমি হৃদয়, জেলা ছাত্রদলের সাবেক সহ-সভাপতি আদি, সহ-সভাপতি রাশেদ, কামরুল, জেলা ছাত্রদলের সাবেক যুগ্ম সম্পাদক সাব্বির বাবু ছাত্রদল নেতা রায়হান মেহেদি, তানিম, সাইফুল রানা প্রমুখ।
চলারপথে রিপোর্ট :
ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় শুরু হয়েছে অনুর্ধ্ব-১৭ বালক ও বালিকা গোল্ডকাপ ফুটবল টুূর্ণামেন্ট-২০২৪। আজ ২২ জানুয়ারি বুধবার দুপুরে শহরের নিয়াজ মোহাম্মদ স্টেডিয়ামে জেলা পর্যায়ের এই টুর্ণামেন্টের উদ্বোধন করেন অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) মো: সাইফুল ইসলাম।
উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে অতিথি ছিলেন অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মো: ইকবাল হোসাইন, ব্রাহ্মণবাড়িয়া প্রেস ক্লাব সভাপতি জাবেদ রহিম বিজন, সিভিল সার্জন অফিসের মেডিকেল অফিসার মাহমুদুল হাসান, জেলা কারাগারের তত্ত্বাবধায়ক শাহআলম খান, সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা সিফাত মো: ইশতিয়াক ভূইয়া, সদর উপজেলা মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডার আবু হুরায়রা। স্বাগত বক্তব্য রাখেন জেলা ক্রীড়া অফিসার মাহমুদা আক্তার।
জেলা প্রশাসন ও জেলা ক্রীড়া অফিস আয়োজিত টুর্ণামেন্টের উদ্বোধনী খেলায় ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর ও বিজয়নগর উপজেলার বালক ও বালিকা দল অংশগ্রহন করে।
টুূর্ণামেন্টে জেলার ৯টি উপজেলার ১০টি দল অংশ গ্রহন করবে।
অনলাইন ডেস্ক :
তুরস্ক আবারও ইতিহাস সৃষ্টি করলো । এবারের ইউরোর শেষ আটে স্থান করে নিয়েছে তারা। এবারের ইউরোর ম্যাচ গুলোতে খালাপ খেললেও পরের দিকে বেশ ভালো করে তারা।
গতকাল রাতে রোমাঞ্চকর এক ম্যাচে অস্ট্রিয়াকে হারিয়ে ইউরোর শেষ আটে স্থান করে নিয়েছে তুরস্ক। মঙ্গলবার রাতে তারা ২-১ গোলে জিতে গেছে। প্রি-কোয়ার্টার ফাইনালে তথাকথিত বড় দলের তুলনায় অনেক বেশি আক্রমণ প্রতি-আক্রমণ হয় অস্ট্রিয়া বনাম তুরস্ক ম্যাচ।
খেলা শুরুর ৫৭ সেকেন্ডে এগিয়ে যায় তুরস্ক। দ্বিতীয়ার্ধে ব্যবধান বাড়ায় তারা। দু’টি গোলই করেন দলের ডিফেন্ডার মেরি ডেমিরাল। তবে লড়াই ছাড়েনি অস্ট্রিয়া। এক গোল শোধ করে তারা। কিন্তু দ্বিতীয় গোল আর করতে পারেনি অস্ট্রিয়া। তুরস্কের মরিয়া ডিফেন্স গোলের মুখ খুলতে দেয়নি। ৯০ মিনিটের টান টান খেলা শেষে হার মানে অস্ট্রিয়া। আট নম্বর তথা শেষ দল হিসেবে ইউরোর কোয়ার্টার ফাইনালে জায়গা করে নেয় তুরস্ক। শেষ আটে নেদারল্যান্ডসের বিরুদ্ধে খেলবে তারা।
খেলা শুরুর ৫৭ সেকেন্ডের মাথায় অস্ট্রিয়াকে ধাক্কা দেয় তুরস্ক। নিরীহ কর্নার বার করতে গিয়ে গোলমাল করে ফেলেন অস্ট্রিয়ার ডিফেন্ডারেরা। বাউমগার্টনার ও পশের ভুল বোঝাবুঝির ফায়দা তোলে তুরস্ক। গোলরক্ষক পেন্টজ কোনো রকমে বল বের করলেও ফিরতি বলে গোল করে তুরস্ককে এগিয়ে দেন মেরি ডেমিরাল। ইউরোর ইতিহাসে দ্বিতীয় দ্রুততম গোল করলেন তিনি।
পরের মিনিটেই সমতা ফেরানোর সুযোগ পায় অস্ট্রিয়া। বাউমগার্টনার পায়ে বল লাগাতে পারেননি। পোস্টের পাস দিয়ে বল বেরিয়ে যায়। খাতায়-কলমে খুব বড় দল না হলেও দুই দলই আক্রমণাত্মক ফুটবল খেলছিল। অস্ট্রিয়া থ্রু বলের উপর বেশি নির্ভর করছিল। তুরস্কের আক্রমণ হচ্ছিল প্রান্ত ধরে।
দু’দলই বেশ কয়েকবার বিপক্ষ বক্সে ঢুকে পড়লেও গোল করতে পারেনি। তবে প্রথমার্ধ জুড়ে ওপেন ফুটবল হয়েছে। দু’দলই গোল করার চেষ্টা করেছে। প্রথমার্ধের একেবারে শেষে একটি ভাল সুযোগ পান সাবিৎজার। গোল করতে পারেননি তিনি। ১-০ গোলে এগিয়ে বিরতিতে যায় তুরস্ক।
দ্বিতীয়ার্ধের শুরুতেই কয়েকটি পরিবর্তন করেন অস্ট্রিয়ার কোচ। ফলে খেলার ধরন বদলে যায় তাদের। থ্রু বলের বদলে প্রান্ত ধরে আক্রমণে উঠতে শুরু করে অস্ট্রিয়া। ৫১ মিনিটে সমতা ফেরানোর সহজ সুযোগ পান আরনাউটোভিচ। গোলরক্ষককে একা পেয়েও তার গায়ে মারেন তিনি। পরের মিনিটেই লাইমার একক দক্ষতায় বক্সে ঢোকেন। তার বাঁ পায়ের শট পোস্টের পাস দিয়ে বেরিয়ে যায়। পরের মিনিট আবার সুযোগ নষ্ট অস্ট্রিয়ার। এবার বক্সে ঢুকে শট মারেন পশ। কিন্তু ডিফেন্ডারের গায়ে লেগে বল বেরিয়ে যায়। একের পর এক আক্রমণে পুরোপুরি চাপে পড়ে যায় তুরস্কের রক্ষণ।
এত সুযোগ পেয়েও গোলের মুখ খুলতে পারেনি অস্ট্রিয়া। তার খেসারত দিতে হয় তাদের। ধাক্কা সামলে ১০ মিনিট পর থেকে খেলায় ফিরতে শুরু করে তুরস্ক। ৫৯ মিনিটের মাথায় কর্নার পায় তারা। সেই কর্নার থেকে হেডে আবার গোল করেন ডেমিরাল। দুই ডিফেন্ডারের মাঝখান থেকে লাফিয়ে গোল করেন তিনি। সেট পিস কাজে লাগালে চাপের মাঝেও কিভাবে খেলায় ফেরা যায় তা দেখাল তুরস্ক।
দু’গোলে পিছিয়ে পড়ায় পুরোপুরি ওপেন ফুটবল খেলতে শুরু করে অস্ট্রিয়া। হতাশ হয়নি তারা। দ্বিতীয়ার্ধের শুরু থেকে যে ফুটবল খেলছিল সেটাই খেলতে থাকে। আক্রমণাত্মক ফুটবল কাজে দেয়। ৬৬ মিনিটের মাথায় এক গোল শোধ করেন মাইকেল গ্রেগরিচ। কর্নার থেকে সতীর্থের করা হেড কাজে লাগিয়ে গোল করেন তিনি। দু’মিনিট পরে আবার বক্সে অরক্ষিত জায়গা থেকে হেড করেন গ্রেগরিচ। কিন্তু এ ক্ষেত্রে বল সরাসরি গোলরক্ষকের কাছে যায়।
গোল করে ইংল্যান্ডের স্বপ্ন বাঁচিয়ে রাখা বেলিংহ্যামকে বাঁচাতে আসরে নামতে হলো পুলিশকে দ্বিতীয়ার্ধের প্রায় পুরো খেলা তুরস্কের বক্সের বাইরে হয়। তুরস্কের সবাই রক্ষণে নেমে যায়। ফলে অস্ট্রিয়ার পায়েই বলের সিংহভাগ দখল ছিল। দুই প্রান্ত ধরে বার বার আক্রমণের চেষ্টা করছিলেন সাবিৎজারেরা। কিন্তু তুরস্কের মরিয়া রক্ষণ গোলের মুখ খুলতে দিচ্ছিল না। বক্সের বাইরে পায়ের জঙ্গলের মাঝখান থেকে গোল করতে পারছিল না অস্ট্রিয়া।
যত সময় গড়াচ্ছিল, তত ছটফট করছিলেন অস্ট্রিয়ার ফুটবলারেরা। সবই করছিলেন, কিন্তু গোলটাই খালি করতে পারছিলেন না তারা। খেলার শেষ মিনিটে বাউমগার্টনারের হেড কোনো রকমে বাঁচান গুনক। নইলে খেলা গড়াত অতিরিক্ত সময়ে। শেষ পর্যন্ত ১-২ গোলে হেরে বিদায় নিতে হো অস্ট্রিয়াকে। ইউরোর শেষ আটে জায়গা করে নেয় তুরস্ক।
অনলাইন ডেস্ক :
দ্বিতীয় টেস্টের ফলাফল মূলত তৃতীয় দিনেই নির্ধারিত হয়ে গিয়েছিল। শুধু ছিল শ্রীলঙ্কার জয়ের অপেক্ষা। হলোও তাই। গলে শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে ইনিংস ব্যবধানে হেরেছে নিউজিল্যান্ড। তৃতীয় দিন শেষে ইনিংস ব্যবধানে হার এড়াতে কিউইদের দরকার ছিল ৩১৫ রান। হাতে ছিল ৫ উইকেট। চতুর্থ দিনে অলআউট হওয়ার আগে তার তুতে পেরেছে ১৬১ রান। হেরেছে ইনিংস ও ১৫৪ রানে।
ফলে দুই টেস্টের সিরিজ নিউজিল্যান্ডকে ধবলধোলাই হতে হলো শ্রীলঙ্কার কাছে। ৬ বছর পর ইনিংস ব্যবধানে হারল নিউজিল্যান্ড।
শ্রীলঙ্কার রানের (৬০২) পাহাড়ে চাপা পড়া কিউইদের প্রথম ইনিংস মূলত গুটিয়ে গিয়েছিল প্রবাত জয়াসুরিয়ার ঘূর্ণিতে। ফলো অনে পড়া নিউজিল্যান্ড ৫১৫ রানে পিছিয়ে থেকে দ্বিতীয় ইনিংস শুরু করেছিল।
এরপরও টিম সাউদির দল খুব একটা ভালো ব্যাটিং করতে পারেনি। দ্বিতীয় ইনিংসে ধস নামিয়েছেন আরেক স্পিনার নিশান পেরিস। দুই ইনিংস মিলিয়ে শ্রীলঙ্কার স্পিনাররা নিয়েছেন নিউজিল্যান্ডের ১৯ উইকেট।
প্রথম ইনিংসে শ্রীলঙ্কার হয়ে সেঞ্চুরি পেয়েছেন তিনজন। দিনেশ চান্দিমাল, কামিনদু মেন্ডিস ও কুশল মেন্ডিস।
টেস্ট অভিষেকের পর একের পর এক রেকর্ড করা কামিন্দু মেন্ডিস এই ম্যাচেও খেলেন ১৮২ রানের অপরাজিত ইনিংস।
অনলাইন ডেস্ক :
২০১৬ সালের এশিয়া কাপে জেতার পর দেশে কিংবা দেশের বাইরে টি-টোয়েন্টিতে পাকিস্তানকে বাংলাদেশ হারাতে পারেনি। অর্থাৎ সবশেষ ৯ বছরে পাকিস্তানের বিপক্ষে টি-টোয়েন্টিতে জয় নেই টাইগারদের। সর্বশেষ পাকিস্তান সফরেও স্বাগতিকদের বিপক্ষে টি-টোয়েন্টিতে হোয়াইটওয়াশ হয়েছিল বাংলাদেশ। তবে, এবার মিরপুরে সিরিজের প্রথম টি-টোয়েন্টিতে পাকিস্তানকে পাত্তাই দিল না লিটন দাসের দল। মিরপুরে টস হেরে আগে ব্যাট করতে নেমে সকলটি উইকেট হারিয়ে ১৯ ওভার ৩ বলে ১১০ রানে গুটিয়ে যায় পাকিস্তান। জবাবে খেলতে নেমে ১৫ ওভার ৩ বলে ৩ উইকেট হারিয়ে জয়ের বন্দরে পৌঁছে যায় বাংলাদেশ।
ছোট লক্ষ্য তাড়া করতে নেমে ইনিংসের প্রথম ওভারেই সাজঘরে ফেরেন তানজিদ তামিম। চার বল খেলে ১ রানের বেশি করতে পারেননি। তিনে নেমে ব্যাট হাতে ব্যর্থ লিটন দাস (১)। এতে করে মাত্র ৭ রানে ২ উইকেট হারিয়ে বেশ বিপাকে পড়ে বাংলাদেশ। তবে, তৃতীয় উইকেট জুটিতে সেই বিপদ সামাল দেন পারভেজ ইমন ও তাওহিদ হৃদয়। এই দুইজনের ৭৩ রানের জুটিতে জয়ের দিকে এগোতে থাকে বাংলাদেশ। ব্যক্তিগত ইনিংসে ৩৭ বলে ৩৬ রান করেন হৃদয়।
এ দিন ব্যক্তিগত অর্ধশতক তুলে নিয়েছেন ইমন। মাত্র ৩৪ বলে মাইলফলক ছুঁয়েছেন তিনি। শেষ পর্যন্ত ৩৯ বলে অপরাজিত ৫৬ রান এসেছে এই ওপেনারের ব্যাট থেকে। এছাড়া, ১৫ রানে অপরাজিত ছিলেন জাকের।
এর আগে, টস হেরে ব্যাটিংয়ে নেমে তাসকিন-মুস্তাফিজদের সামনে দাঁড়াতেই পারেনি পাকিস্তানি ব্যাটাররা। এতে কোনো রকমে একশ রান তুলে অলআউট হয় সফরকারীরা। দলের হয়ে সর্বোচ্চ ৪৪ রান করেন ফখর জামান। বাংলাদেশের হয়ে ২২ রানে ৩ উইকেট পান তাসকিন আহমেদ। এ ম্যাচে ৪ ওভারের কোটা পূরণ করে সবচেয়ে কম রান দেওয়ার রেকর্ড গড়েন মুস্তাফিজুর রহমান। আন্তর্জাতিক টি-টোয়েন্টিতে এই কীর্তি আর কারো নেই। মিরপুরে ৪ ওভার বোলিং করে মাত্র ৬ রান দিয়ে ২ উইকেট নিয়েছেন বাঁহাতি এই পেসার।
ইনিংসের দ্বিতীয় ওভারে নিজের প্রথম ওভার করতে এসেই সায়িম আইয়ুবকে ফেরান তাসকিন। ৪ বলে ৬ রান করেন সায়িম। পরের ওভারেই উইকেট নেন শেখ মেহেদি। তিনে নামা মোহাম্মদ হারিস এই স্পিনারকে উড়িয়ে মারতে গিয়ে কাউ কর্ণারে শামীম হোসেনের হাতে ধরা পড়েন তিনি। সাজঘরে ফেরার আগে ৩ বলে ৪ রান করেন তিনি।
ইনিংসের পঞ্চম ওভারে এসেই ব্রেকথ্রু এনে দেন তানজিম সাকিব। সালমান আলি আগাকে রীতিমতো বোকা বানান সাকিব। এই পেসারকে র্যাম্প স্কুপ করতে গিয়ে উইকেটের পেছনে লিটনের হাতে ধরা পড়েন সালমান।
পাওয়ার প্লের শেষ ওভার করতে এসে উইকেট পার্টিতে যোগ দেন মুস্তাফিজুর রহমানও। এই বাঁহাতি পেসারকে উড়িয়ে মারতে গিয়ে টপ এজ হয়ে থার্ড ম্যানে ধরা রিশাদ হোসেনের হাতে ধরা পড়েন হাসান নাওয়াজ। ডাক খেয়ে এই ব্যাটার ফেরায় ৪১ রান তুলতেই ৪ উইকেট হারায় পাকিস্তান।
মিডল অর্ডারে সুবিধা করতে পারেননি মোহাম্মদ নাওয়াজও। রান আউটের শিকার হন এই ব্যাটার। বাকিদের ব্যর্থতার দিনে এক প্রান্ত আগলে রেখে ব্যাটিং করেন ফখর। ব্যক্তিগত ফিফটির পথেই ছিলেন তিনি। তবে রান আউটের শিকার হয়ে ৪৬ রানে থামতে হয় তাকে।
৭০ রানে ৬ উইকেট হারানোর পর খুশদিল শাহ ও আব্বাস আফ্রিদি মিলে ৩৩ রান যোগ করেন। এই জুটি ভাঙেন মুস্তাফিজুর রহমান। ১০৩ রানে সপ্তম উইকেট হারানো পাকিস্তান অলআউট হয় ১১০ রানে। ৭ রান যোগ করতেই শেষ ৩ উইকেট হারায় তারা।
মিরপুরের আজকের উইকেটে যেন ফিরে এসেছিলেন পুরোনো মুস্তাফিজ। তার স্লোয়ার আর কাটার পড়তে বেশ বেগ পেতে হয়েছে পাকিস্তানিদের। ৪ ওভারে মাত্র ৬ রান দিয়ে ২ উইকেট নেন এই বাঁহাতি পেসার। এ ছাড়া তাসকিন পান ৩ উইকেট। একটি করে উইকেট পান তানজিম সাকিব ও মেহেদি।
সংক্ষিপ্ত স্কোর :
পাকিস্তান : ১৯.৩ ওভারে ১১০/১০
বাংলাদেশ : ১৫.৩ ওভারে ১১২/৩
বাংলাদেশ ৭ উইকেটে জয়ী।