অনলাইন ডেস্ক :
ঘরের মাঠে দক্ষিণ আফ্রিকার টেস্ট সিরিজ দিয়ে ঘুরে দাঁড়ানোর স্বপ্ন দেখেছিল শান্ত বাহিনী। কিন্তু সিরিজের প্রথম এবং মিরপুর টেস্টেও নিজেদের সেরাটা দিতে পারেনি স্বাগতিকরা। যার ফলে প্রথম ম্যাচে প্রোটিয়াদের কাছে ৭ উইকেটে হেরেছে টাইগাররা।লক্ষ্য ছিল চতুর্থ দিন যতক্ষণ ও যত ওভার ব্যাটিং করা যায়। এই ক্ষণটা ভেঙে বললে একটা সেশন। কিন্তু সকালে ক্ষণের হিসেবে ২৫ মিনিটি এবং ৪.৫ ওভার স্থায়ী হলো বাংলাদেশের ইনিংস। দুর্দান্ত দৃঢ়তা দেখানো এবং আশা দেওয়া মেহেদী মিরাজ মিস করেন সেঞ্চুরি। জয়ের জন্য দক্ষিণ আফ্রিকা পায় ১০৫ রানের লক্ষ্য। জিততে ৩ উইকেট হারালেও খুব একটা বেগ পেতে হয়নি দক্ষিণ আফ্রিকার।
বৃষ্টির পরে চতুর্থ দিনের উইকেটে দক্ষিণ আফ্রিকা একটু ধীরে এগোবে এমনটা মনে হয়েছিল। কিন্তু ঘূর্ণিঝড় দানার কথা মাথায় রেখে রান তোলার দিকেও বেশ মনোযোগ ছিল তাদের। যে কারণে ২২ ওভার ব্যাটিং করেই তারা তুলে ফেলেছে রান। এতে কেটেছে তাদের একটি ফাঁড়াও। এর আগে ২০১৫ সালে জুলাই-আগস্টে বাংলাদেশে এসে বৃষ্টির কারণে মিরপুর ও চট্টগ্রামে দুই টেস্টেই ড্র নিয়ে মাঠ ছাড়তে হয়েছিল তাদের।
মিরপুর টেস্টে টস জেতে বাংলাদেশ। অনুমিতভাবে ব্যাটিং করতে নামলেও প্রথম ইনিংসে মাত্র ১০৬ রানে অলআউট হয়। জবাবে প্রথম ইনিংসে ৩০৮ রান করে দক্ষিণ আফ্রিকা। ১০৮ রানে ৬ উইকেট হারায় তারা। সেখান থেকে উইকেটরক্ষক ব্যাটার কাইল ভেরায়েনে ও পেস অলরাউন্ডার ওয়ান মুলদার ১১৯ রানের জুটি গড়ে ম্যাচ বাংলাদেশের নাগালের বাহিরে নিয়ে যান। মুলদার ৫৪ রান করে ফিরলেও ভারায়েনে ক্যারিয়ারের দ্বিতীয় টেস্ট সেঞ্চুরি তুলে নিয়ে ১১৪ রানে থামেন।
প্রথম ইনিংসে ২০২ রানের লিড নেয় দক্ষিণ আফ্রিকা। দ্বিতীয় ইনিংসে নেমে বেশ ভালো ব্যাটিং করেছে বাংলাদেশ দল। ৫৯ রানে ৩ উইকেট হারালেও মেহেদী মিরাজ ও জাকের আলীর ব্যাটে ভর করে ৩০৭ রান তোলে স্বাগতিকরা। মিরাজ খেলেন ৯৭ রানের ইনিংস। শেষ ব্যাটার হিসেবে সাজঘরে ফেরেন। অভিষেক টেস্ট খেলা জাকের ৫৮ রান যোগ করেন। এছাড়া ওপেনার জয় ৪০ ও মিডলে মুশফিক ৩৩ রানের ইনিংস খেলেন।
বাংলাদেশের দেওয়া লক্ষ্য তাড়ায় প্রোটিয়া ওপেনার টনি ডি জর্জি ৪১ রান করেন। অধিনায়কি এইডেন মার্করাম ২০ রানের ইনিংস খেলেন। ত্রিস্তান স্টাবস ৩০ রান যোগ করেন।
প্রথম ইনিংসে বাংলাদেশ দলের হয়ে দারুণ বোলিং করেছেন তাইজুল ইসলাম ও হাসান মাহমুদ। প্রথম দিন প্রোটিয়াদের ৬ উইকেটের ৫টিই নেন তাইজুল। ক্যারিয়ারের ২০০ উইকেটের মাইলফলক স্পর্শ করেন। দ্বিতীয় ইনিংসে দলের পক্ষে ৩ উইকেটই নেন তিনি। পেসার হাসান প্রথম ইনিংসে নেন ৩ উইকেট। প্রথম ইনিংসে দক্ষিণ আফ্রিকার পেসার কাগিসু রাবাদা ও মুলদার ৩টি করে উইকেট নেন। স্পিনার কেশব মহারাজ নেন ৩ উইকেট। দ্বিতীয় ইনিংসে রাবাদা নিয়েছেন ৬ উইকেট। ৩ উইকেট নিয়েছেন মহারাজ।
চলারপথে রিপোর্ট :
ক্রীড়াই শক্তি, ক্রীড়াই বল, সুস্থ দেহ সুন্দর মন এ শ্লোগানে ক্রীড়া পরিদপ্তর যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয় কর্তৃক বার্ষিক ক্রীড়া কর্মসূচি ২০২৪-২০২৫ ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা ক্রীড়া অফিস আয়োজিত আজ ২৭ এপ্রিল রবিবার বিকালে মেড্ডা সরকারি শিশু পরিবার খেলার মাঠে অনুর্ধ্ব-১৪ বালক ও বালিকাদের মাসব্যাপী এ্যাথলেটিক্স প্রশিক্ষণ উদ্বোধন করা হয়।
উক্ত উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন সদর উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) মুক্তা গোস্বামী। জেলা ক্রীড়া অফিসার মাহ্মুদা আক্তারের সভাপতিত্বে এসময় প্রশিক্ষক নয়না আক্তার, বিশাল আহমেদ দুলালসহ সরকারি শিশু পরিবারের কর্মকর্তা কর্মচারী উপস্থিত ছিলেন। এ্যাথলেটিক্স প্রশিক্ষণে সরকারি শিশু পরিবারের বালক ও বালিকা অংশ গ্রহণ করেন।
প্রধান অতিথি সহকারী কমিশনার (ভূমি) মুক্তা গো স্বামী বলেন, সুস্থ সবল, মেধাবী জাতি গঠনের ক্রীড়া ও সংস্কৃতির সমন্বয়ে শিক্ষা পরিপূর্ণতা লাভ করে। সুস্থ জাতি গঠনে নিয়মিত খেলাধূলার ও সংস্কৃতি চর্চার কোন বিকল্প নেই।
অনলাইন ডেস্ক :
বিশ্বকাপ বাছাইয় পর্বের ম্যাচে ৮ সেপ্টেম্বর সোমবার মুখোমুখি হয়েছিল ইসরায়েল ও ইতালি। নানা রোমাঞ্চ ছড়িয়ে ম্যাচটি ৫-৪ গোলে জিতে নেয় ইতালি। দারুণ এক উত্তেজনাপূর্ণ ম্যাচটি শেষের আগ পর্যন্ত মনে হচ্ছিল ম্যাচটি ড্র হবে। তবে নানা নাটকীয়তার পর জয় নিয়েই মাঠ ছাড়ে গাত্তুসোর ইতালি।
ম্যাচের ১৬তম মিনিটে আত্মঘাতী গোলে এগিয়ে যায় ইসরায়েল। ডি-বক্সের ভেতরে ইসরাইলের এক ফুটবলারের পাস ক্লিয়ার করতে গিয়ে নিজেদের জালেই বল পাঠান লোকাতেলি। ইতালির সমতায় ফিরতে বেশ সময় লেগে যায়। ৪০তম মিনিটে ময়সে কিনের দুর্দান্ত গোলে সমতায় ফেরে আজ্জুরিরা। কে ভেবেছিল, দ্বিতীয় হাফে দুই দল গোলের বন্যা বইয়ে দেবে? দ্বিতীয় হাফে দুই দল মিলিয়ে করে ৭ গোল। ৫২ মিনিটে ইসরায়েলকে লিড এনে দেন ডর পেরেটজ। তবে এবার সমতায় ফিরতে বেশি সময় নেয়নি ইতালি। ৫৪তম মিনিটে ইতালিকে আবারও সমতায় ফেরান সেই কিন। এবার শুধু সমতা নয়, ৫৮তম মিনিটে গোল করে ম্যাচে প্রথমবার লিড নেয় গাত্তুসোর দল।
ডি-বক্সের ভেতরে রেটেগুয়ের ব্যাকহিল পাস পেয়ে বল জালে জড়ান পোলিতানো। এরপর ৮১তম মিনিটে রাসপাদোরি ইতালির চতুর্থ গোলটি করলে সহজ জয় নিয়ে মাঠ ছাড়বে তারা এমনটাই মনে হচ্ছিল। তবে নাটকের তখনও বাকি ছিল। ৮৭ মিনিটে ইতালি আবারও এক আত্মঘাতী গোল করে। আর ৮৯তম মিনিটে ইসরায়েলকে সমতায় ফেরান সেই পেরেটজ।
তবে দুই মিনিটের মধ্যেই তাদের উচ্ছ্বাস থামিয়ে দেন সান্দ্রো তোনালি। ডি-বক্সের বাইরে থেকে জয়সূচক গোলটি করেন নিউক্যাসল ইউনাইটেডের মিডফিল্ডার। স্মরণীয় জয়ে তিন ম্যাচে ৯ পয়েন্ট নিয়ে ‘আই’ গ্রুপের দ্বিতীয় স্থানে ইতালি। সমান পয়েন্ট নিয়ে তিনে নেমে গেছে ইসরায়েল।
অনলাইন ডেস্ক :
বিপিএলে রাজশাহীকে সাত উইকেটে হারাল ফরচুন বরিশাল। আজ ৬ জানুয়ারি সোমবার ১৬৮ রানের জবাবে ৩ উইকেট হারিয়ে ১৬৯ রান করেছে তামিম ইকবালের দল।
সিলেট আন্তর্জাতিক স্টেডিয়ামে আগে ব্যাট করতে নেমে ৪ উইকেটে ১৬৮ রান করে রাজশাহী। উদ্বোধনী জুটি থেকে আসে ৩০ রান। চতুর্থ ওভারে মোহাম্মদ হারিসকে ২২ রানে ফিরিয়ে এই জুটি ভাঙেন তানভীর আহমেদ। দ্বিতীয় উইকেটে জিসান আলমের সঙ্গে ৫৫ রানের জুটি গড়েন অধিনায়ক এনামুল হক বিজয়। বড় সংগ্রহের ইঙ্গিত দিতে থাকেন তারা। এই জুটি ভেঙ্গে দেন ফাহিম আশরাফ। পাকিস্তানি এই অলরাউন্ডারের বলে উইকেটরক্ষকের হাতে ক্যাচ দেন জিসান। ২৭ বলে ৩৮ রান করেন তিনি। পরে ইয়াসির আলীর সঙ্গে জুটি বেঁধে রানের চাকা সচল রাখেন বিজয়।
পরে ইয়াসিরকেও ফিরতে হয়। শাহিন আফ্রিদির এলবিডব্লিউর ফাঁদে পা দেওয়া এই ব্যাটার ২৩ বলে করেন ৩৭ রান। অন্যদিকে শাহিনের বলেই বোল্ড হন বিজয়। ৩৫ বলে ৩৯ রানের বেশি করতে পারেননি তিনি। শেষ দিকে রায়ান বার্ল ১১ বলে ১০ ও আকবর আলী ৯ বলে ১৫ রানে অপরাজিত থাকেন।
শাহিন আফ্রিদি ৪ ওভারে ২০ রান খরচ করে ২ উইকেট নেন।
জবাবে খেলতে নেমে বেগ পেতে হয়নি বরিশালকে। তামিম ইকবাল ৪৮ বলে ৮৬ রানের অপরাজিত ইনিংস খেলে ম্যাচ জয় নিয়ে মাঠ ছাড়েন। প্রীতম কুমার করেছেন ৩ রান। এ ছাড়া কাইল মায়ার্সের ব্যাট থেকে আসে ১১ বলে ২৪ ও তাওহিদ হৃদয় করেন ১৩ রান। ২৪ বলে ৩৪ রান করে অপরাজিত ছিলেন মুশফিক।
স্পোর্টস ডেস্ক :
ফুটবল ইতিহাসে একমাত্র দল হিসেবে টানা তিনটি বড় আন্তর্জাতিক টুর্নামেন্টের শিরোপা জিতেছে স্পেন। তাদের সে রেকর্ডে ভাগ বসানোর পথে শেষ ধাপে এসে পৌঁছাল আর্জেন্টিনা। কোপা আমেরিকায় ফাইনালের এই ধাপটা এখন পাড়ি দিতে পারলেই স্পেনের অনন্য সেই কীর্তিতে উচ্চারিত হবে লিওনেল মেসি-আনহেল দি মারিয়াদের নামও। আর্জেন্টিনা তা পারবে কি না, তা সময়ই বলে দেবে।
কানাডার বিপক্ষে জয়টা প্রত্যাশিতই ছিল। মাঠের পারফরম্যান্সেও দেখা গেল দাপুটে আর্জেন্টিনার পুরো চিত্র। স্কোরলাইন যদিও বলছে আর্জেন্টিনা ম্যাচ জিতেছে ২-০ গোলের ব্যবধানে। তবে নব্বই মিনিটের খেলায় আলবিসেলেস্তেরা ছিল আরও বেশি পরিণত। কোপা আমেরিকা এবং বিশ্বকাপের বর্তমান চ্যাম্পিয়নরা খেললেন চ্যাম্পিয়নদের মতোই। তাতে টানা দ্বিতীয়বার এবং শেষ আট কোপায় ৬ষ্ঠবার ফাইনালে চলে গেল আর্জেন্টিনা।
২০১৫ সাল থেকেই কোপা আমেরিকার ফাইনালে নিয়মিত মুখ আর্জেন্টিনা। মাঝে বাদ গিয়েছিল শুধু ২০১৯ সালের কোপা আমেরিকা। যেবারে সেমিফাইনালে ব্রাজিলের কাছে হেরে সেমিফাইনাল থেকেই বিদায় নিতে হয়েছিল আলবিসেলেস্তেদের। এরপর ২০২১ সালে শিরোপাটাই জয় করে তারা। এবার তাদের সামনে সুযোগ টানা দুইবার কোপা আমেরিকা জয়ের। যে জয় পেলে ফুটবলের বিরল এক রেকর্ডে নাম উঠবে আর্জেন্টিনার।
দুই মহাদেশীয় আসর আর এক বিশ্বকাপ টানা জয়ের কীর্তি এর আগে আছে কেবল স্পেনের। ২০০৮ সালের ইউরো, ২০১০ বিশ্বকাপ এবং ২০১২ সালের ইউরো জয় করেছিল স্পেন। এবার সেই সুযোগ আর্জেন্টিনার সামনে। আগামীকালের উরুগুয়ে ও কলম্বিয়া ম্যাচের জয়ী দলের বিপক্ষে বাংলাদেশ সময় সোমবার ভোরে ফাইনালে নামবে লিওনেল মেসির দল।
ম্যাচের প্রথমদিকে অবশ্য খানিক ভুগতে হয়েছে মেসিদের। কানাডার আক্রমণ এদিন শুরুতে বারবার বিব্রত করেছে আর্জেন্টিনাকে। যদিও ম্যাচে ফিরে আসতে ২০ মিনিটের বেশি সময় নেয়নি কোপার বর্তমান চ্যাম্পিয়নরা। ২১ মিনিটেই পেয়ে যায় নিজেদের প্রথম গোল। মাঝমাঠ থেকে রদ্রিগো ডি পলের লম্বা পাস। সেটা ধরে এক ডিফেন্ডারকে পাশ কাটিয়ে স্কোরশিটে নাম তুললেন হুলিয়ান আলভারেজ। দিয়েগো ফোরলান, রোমারিও ও মেসির পর চতুর্থ খেলোয়াড় হিসেবে কোপা আমেরিকা ও বিশ্বকাপের সেমিফাইনালে গোল করলেন আর্জেন্টাইন নাম্বার নাইন।
ডি মারিয়া এদিন ছিলেন ডানপ্রান্তে। ক্যারিয়ারের সায়াহ্নে এসে আরও একবার দেখা গেল মেসির সঙ্গে তার দুর্দান্ত বোঝাপড়া। দুজনের রসায়নে পুরো আসরের তুলনায় মেসি ছিলেন আরও বেশি উজ্জ্বল। ম্যাচের ৪৪ মিনিটে গোল পেয়েও যেতে পারতেন। এক ডিফেন্ডারকে ডামি করে গোলমুখে শট নিয়েছিলেন। অল্পের জন্য লক্ষ্যভ্রষ্ট হয় সেটা।
ম্যাচের ৫১ মিনিটে নিজের কাঙ্ক্ষিত গোল পেয়ে যান লিওনেল মেসি। জটলার মাঝে এনজো ফার্নান্দেজের শটে পা ছুঁইয়ে বলের দিক পরিবর্তন করেন লা পুলগা। বল জড়ায় জালে। অফসাইডের অভিযোগ ছিল। তবে কানাডার রক্ষণের এক খেলোয়াড় ডিফেন্স লাইনের অনেকটাই নিচে ছিলেন। ভিডিও অ্যাসিস্ট্যান্ট রেফারি বাতিল করেন অফসাইডের আবেদন। এই গোলের সুবাদে বেশকিছু রেকর্ডও নিজের করেছেন মেসি।
ব্রাজিলের জিজিনিয়োর পর দ্বিতীয় খেলোয়াড় হিসেবে ৬টি ভিন্ন ভিন্ন কোপায় গোল পেয়েছেন এলএমটেন। এছাড়া নিজের ১৮৬তম ম্যাচে এসে পেয়েছেন ১০৯তম আন্তর্জাতিক গোল। ইরানের আলী দাঈয়ের সঙ্গে আন্তর্জাতিক ক্যারিয়ারে সবচেয়ে বেশি গোলের টালিতে দুইয়ে আছেন মেসি। আর এক গোল পেলেই ছাড়িয়ে যাবেন তাকে।
দুই গোল ব্যবধানে পিছিয়ে পড়ার পরও অবশ্য হাল ছাড়েনি কানাডা। যদিও ৬৮ মিনিটে পরিস্থিতি ঘোলাটে হয়ে পড়ে তাদের। পায়ের চোটে মাঠ ছাড়েন কানাডা তারকা আলফোন্সো ডেভিস। ম্যাচের একেবারে শেষ দিকে এসে গোলের সুযোগটাও পেয়ে যায় তারা। ৮৯ মিনিটে তানি ওলুয়াসারির বক্সের মাথা থেকে নেওয়া শট দুর্দান্তভাবে পা দিয়ে ঠেকান আর্জেন্টিনার গোলকিপার এমিলিয়ানো মার্তিনেজ।
সবশেষ ১০ বছরে আর্জেন্টিনা খেলবে তাদের ৬ষ্ঠ মেজর ফাইনাল। ২০১৪ সালের বিশ্বকাপের পর ৩ বিশ্বকাপের মাঝে দুবার। আর ২০১৯ ব্যতীত ৪র্থ কোপা আমেরিকার ফাইনাল খেলতে নামবে আর্জেন্টাইনরা। সবশেষ ৩ বছরে দুর্দান্ত সাফল্য পাওয়া দলটার সামনে তাই এখন ইতিহাস গড়ার হাতছানি।
অনলাইন ডেস্ক :
পাকিস্তানের বিপক্ষে ওয়ানডে বিশ্বকাপ বাছাইয়ের শেষ ম্যাচে ১৯ এপ্রিল শনিবার বাংলাদেশ নারী ক্রিকেট দল ৭ উইকেটে হেরেছে। এতেই সেপ্টেম্বর-অক্টোবরে ভারতে অনুষ্ঠেয় বিশ্বকাপে খেলা নিয়ে বাংলাদেশ শঙ্কায় পড়ে যায়।
ম্যাচ হেরে বিশ্বকাপ ভাগ্যটা ওয়েস্ট ইন্ডিজের কাছে ছেড়ে দিয়েছিল নিগার সুলতানার দল। আজ ১৯ এপ্রিল শনিবার লাহোরে ওয়েস্ট ইন্ডিজের সামনেও ছিল কঠিন সমীকরণ। ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে প্রথমে ব্যাটিংয়ে নেমে ১৬৬ রানে অলআউট হয়ে যায় থাইল্যান্ড।
এতে বিশ্বকাপে খেলার জন্য ১০.১ ওভারেই থাইল্যান্ডের ১৬৭ রানের লক্ষ্য ছুঁতে হতো ক্যারিবীয় নারীদের। ওয়েস্ট ইন্ডিজ সেটা পারেনি। ১০.১ ওভার শেষে ৩ উইকেট হারিয়ে জয় থেকে ১০ রান পিছিয়ে ছিল তারা।
আর এতেই বিশ্বকাপে খেলা নিশ্চিত হয়ে গেছে বাংলাদেশ নারী ক্রিকেট দলের। ওয়েস্ট ইন্ডিজ অবশ্য থাইল্যান্ডের বিপক্ষে ১০.৫ ওভারে ৬ উইকেটের বড় ব্যবধানে জিতেছে। তবে নেট রান রেটে বাংলাদেশের পেছনে থাকায় বাদ পড়েছে আগামী বিশ্বকাপ থেকে। বাংলাদেশের নেট রান রেট +০.৬৩৯, ওয়েস্ট ইন্ডিজ থেমেছে +০.৬২৬ নেট রান নিয়ে।
ভারতে অনুষ্ঠেয় বিশ্বকাপে খেলবে ৮ দল। এর মধ্যে স্বাগতিক ভারতসহ ৬ দল সরাসরি বিশ্বকাপের টিকিট পায়। বাকি ৫ দল হলো-অস্ট্রেলিয়া, ইংল্যান্ড, দক্ষিণ আফ্রিকা, নিউজিল্যান্ড ও শ্রীলঙ্কা। বিশ্বকাপ বাছাইপর্বে ৫ ম্যাচে জিতেই বিশ্বকাপের টিকিট পায় বাছাইপর্বের স্বাগতিক পাকিস্তান। অন্য টিকিট হাতে পেলেন নিগার সুলতানা জ্যোতিরা।