চলারপথে রিপোর্ট :
ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার নবীনগর উপজেলার নবীনগর প্রেসক্লাব থেকে উপজেলা নির্বাহী অফিসার তানভীর ফরহাদ শামীমকে বিদায় সংবর্ধনা দেওয়া হয়েছে। ২৩ অক্টোবর বুধবার রাতে প্রেসক্লাব কার্যালয়ে এ বিদয়ী সংবর্ধনা অনুষ্ঠিত হয়।
অনুষ্ঠানের প্রধান অতিথি তার বক্তব্যে বলেন, নবীনগরে আমার কর্মকালীন সময়ে আপনাদের যে সহযোগিতা পেয়েছি, তা ভুলব না, আমার প্রথম সাংবাদিকতার কর্মজীবনে জাতীয় প্রেসক্লাবে সদস্য হওয়ার ইচ্ছে ছিল, সেটা সেখানে পূরণ না হলেও আপনারা এই নবীনগর প্রেসক্লাব আমাকে আজীবন সদস্য করার যে ঘোষণা দিলেন তাতে আমার সেই আশা পূরণ হয়েছে।
তিনি আরো বলেন, আমি চেষ্ঠা করেছি নবীনগরে শিল্প সাহিত্যের উন্নয়নে কাজ করার, আপনাদের দাবির প্রেক্ষিতে নবীনগর গণগন্থাগারে লাইব্রেরিয়ানকে পৌরসভায় মাষ্টাররোলে চাকুরির সিদান্ত গ্রহন করা হয়েছে এবং সার্বজনীন সার্বজনীন ট্যারিটেবল ট্রাস্ট থেকে মাসিক একটা সম্মানি দেওয়া কথা ট্রাষ্টের চেয়ারম্যান মোহাম্মদ হোসেন শান্তি আমাকে জানান। তিনি বলেন, আমি আপনাদের পাশে আছি,থাকব, বিভিন্ন সময়ে আপনাদের প্রয়োজনে ও দাওয়াতে আসার চেষ্টা করব।
অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন, প্রেসক্লাব সভাপতি শ্যামা প্রসাদ চক্রবর্তী শ্যামল।
অনুষ্ঠানের সভাপতি তার বক্তব্যে ক্লাবের সিদ্ধান্তের আলোকে সাংবাদিকবান্ধব উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা তানভীর ফরহাদ শামীমকে নবীনগর প্রেসক্লাবের আজীবন সদস্য হিসেবে ঘোষণা করে বলেন, প্রেসক্লাব একটি সার্বজনীন প্রতিষ্ঠান, সেখানে রাজনৈতিক নেতৃবৃন্দ, সুশীল সমাজ, সমাজের নিপীড়িত নির্যাতিত মানুষসহ সকল শ্রেণীর পেশার মানুষের প্রবেশের অধিকার রয়েছে।
অনুষ্ঠানের বিশেষ অতিথি ছিলেন, নবীনগর থানার অফিসার ইনর্চাজ হুমায়ুন কবির, প্রেসক্লাবের উপদেষ্টা আবু কামাল খন্দকার, নবীনগর মহিলা ডিগ্রী কলেজের ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ শুক্লা রানী দেব, উপজেলা বিএনিপ’র সাংগঠনিক সম্পাদক আশরাফুল ইসলাম রাজু, সাবেক ভিপি গোলাম হোসেন খান টিটু, জামায়েত ইসলামের পৌর শাখার সেক্রেটারী শাইফুল ইসলাম বাশার, সমাজসেবক মাওলানা সানাউল্লাহ, মাধ্যমিক শিক্ষক সমিতির সাবেক সভাপতি মোর্শেদুল ইসলাম লিটন, প্রাথমিক শিক্ষক সমিতির সভাপতি রেজাউল করিম সবুজ, প্রাথমিক শিক্ষক সমিতির যুগ্ম সম্পাদক সামছুন্নাহার বেগম, শ্রমিকদল নেতা ইলিয়াস আলী।
প্রেসক্লাবের সাধারণ সম্পাদক সাইদুল আলম সোরাফ এর সঞ্চালনায় বক্তব্য রাখেন, প্রেসক্লাবের সাবেক সভাপতি মাহাবুব আলম লিটন, প্রেসক্লাবের সাবেক সভাপতি জালাল উদ্দিন মনির, সাবেক সাধারণ সম্পাদক কান্তি কুমার ভট্টাচার্য, সাবেক সাধারণ সম্পাদক আসাদুজ্জামান কল্লোল, সাবেক সিনিয়র সহ-সভাপতি তাজুল ইসলাম চৌধুরী, প্রেসক্লাবের সিনিয়র সহ-সভাপতি আরিফুল ইসলাম মিনাজ, প্রেসক্লাবের সহ-সাধারণ সম্পাদক দেলোয়ার হোসেন, সাপ্তাহিক মলয়া পত্রিকার প্রকাশক মোহাম্মদ হোসেন শান্তি, সাপ্তাহিক গ্লোবালনেট পত্রিকার সম্পাদক ও প্রকাশক পিয়াল চৌধুরী মিঠু,প্রেসক্লাবের সাবেক সহ-সভাপতি মোহাম্মদ আই কে ইব্রাহিম, প্রেসক্লাবের সাবেক সাহিত্য ও সাংস্কৃতিক সম্পাদক কামরুল ইসলাম, প্রেসক্লাবের অর্থ সম্পাদক মনিরুল ইসলাম বাবু, প্রেসক্লাবের দপ্তর সম্পাদক মিঠু সুত্রধর পলাশ, প্রেসক্লাবের সাবেক কার্যনির্বাহী সদস্য মোহাম্মদ আবদুল হাদী, সাংবাদিক জামাল হোসেন পান্না, প্রেসক্লাবের সদস্য শাহনূর খান আলমগীর, সাংবাদিক খলিলুর রহমান, সাংবাদিক মাহাবুব মোর্শেদ, সাংবাদিক সোহেল, সাংবাদিক আলম, সাংবাদিক খন্দকার আলমগীর, প্রেসক্লাব কার্যকরি পরিষদের সদস্য পিয়াল হাসান রিয়াজ, প্রেসক্লাব কার্যকরি পরিষদের সদস্য মো: মনির হোসেন প্রমুখ।
এ সময় উক্ত অনুষ্ঠানের বিশেষ অতিথি মাওলানা সানাউল্লাহ্ প্রেসক্লাব উন্নয়নের এক লক্ষ টাকা অনুদান প্রদান করেন।
চলারপথে রিপোর্ট :
ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার নবীনগরে পরিবেশ আইন লঙ্ঘন করে একটি প্রভাবশালী মহল রাতের আঁধারে জলাশয় ভরাট করছেন বলে অভিযোগ উঠেছে। প্রশাসনের অভিযানের পরও বন্ধ হয়নি জলাশয় ভরাট। এ ঘটনায় গত ৪ মার্চ জালশুকা গ্রামের মোঃ শওকত, আলি মিয়া, রহিম মিয়া, নান্টু মিয়া ও খবির উদ্দিন জলাশয় ভরাট বন্ধে জেলা প্রশাসকের কাছে লিখিত আবেদন করেছেন।
গ্রামবাসীর লিখিত অভিযোগ সূত্রে জানা গেছে, সিএস, আরএস ও বিএসসহ সকল কাগজপত্রে উপজেলার বড়াইল ইউনিয়নের জালশুকা গ্রামে পানি প্রবাহিত হওয়ার খাল বিদ্যমান রয়েছে। এক সময় এই খাল দিয়ে পুরো ইউনিয়নের লোকজন কৃষি পন্য নৌকা দিয়ে জমি থেকে বাড়িতে আনা-নেওয়া করত। স্থানীয় প্রভাবশালীরা খালটির বিভিন্ন অংশে দখল করেছেন।
উপজেলার জালশুকা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সামনের জলাশয় ভরাটের দায়ে গত ১৬ ফেব্রæয়ারি নবীনগর উপজেলার তৎকালীন সহকারী কমিশনার (ভূমি) ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মাহমুদা জাহান ভ্রাম্যমান আদালতের পরিচালনা করেন। অভিযানকালে অভিযুক্তদের একজনকে ১ লাখ টাকা জরিমানা করেন তিনি। অভিযানের সময় বালু ভরাট কাজে ব্যবহৃত সরঞ্জাম পাইপ নষ্ট করা হয়।
ভ্রাম্যমাণ আদালতের অভিযানের ১ সপ্তাহ পর থেকে জলাশয়টি ব্যক্তি মালিকানার জায়গা দাবি করে রাতের আধারে বালু ফেলে ভরাট করা হচ্ছে। জালশুকা গ্রামের আবেদ হোসেন ও তার ভাই মোঃ রহমান জলাশয়টি ভরাট করছেন।
অভিযোগকারীদের দাবি জলাশয়ের পাশে মানুষের চলাচলের জন্য থাকা ১ নম্বর খাস খতিয়ানের ১৭শতক জায়গাও ভরাট করা হয়েছে। প্রাকৃতিক জলাধার সংরক্ষণ আইনের (২০০০) ৫ ধারা অনুযায়ী, খেলার মাঠ, উন্মুক্ত স্থান, উদ্যান ও প্রাকৃতিক জলাধার হিসেবে চিহ্নিত জায়গার শ্রেনী পরিবর্তন করা যাবে না।
এ ছাড়া এ ধরনের জায়গা অন্য কোনোভাবে ব্যবহার করা, ভাড়া, ইজারা বা হস্তান্তর করা যাবে না। পরিবেশ সংরক্ষণ আইন (২০১০ সালে সংশোধিত) অনুযায়ী যেকোনো ধরনের জলাশয় ভরাট করা নিষিদ্ধ।
জলাধার সংরক্ষণ আইন অনুযায়ী, কেউ আইনের বিধান লঙ্ঘন করলে অনধিক ৫ বছরের কারাদন্ড বা অনধিক ৫০ হাজার টাকা জরিমানা করা যাবে। শাস্তি প্রদানের পাশাপাশি আইন অমান্যকারীর নিজ খরচে সেটা আগের অবস্থায় ফিরিয়ে দেওয়ার বিধানও রয়েছে।
ভূমি কার্যালয়ের একটি নথিতে দেখা গেছে, ১ নম্বর খাস খতিয়ানের ১২১ দাগে মানুষের চলাচলের জন্য ১৭শতক চলার পথ রয়েছে। ইতোমধ্যে জায়গাটি ভরাট করে ফেলা হয়েছে।
সম্প্রতি সরেজমিনে দেখা গেছে, জালশুকা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সামনে একটি জলাশয় রয়েছে। ওই জলাশয়ের নিচের দিকে বেশিরভাগ অংশ বালু ফেলে ভরাট করা হয়েছে। এর দক্ষিণদিকে গোকর্ণ-কৃষ্ণনগর সড়ক সংলগ্ন একটি খাল রয়েছে। তবে ওই খালেরও অনেকটা জায়গা বালু ফেলে ভরাট করে ফেলা হয়েছে। ভরাট করার পরও কিছু অংশে পানি দেখা যায়। ওই জায়গা বেশ কিছু শিশু শিক্ষার্থীকে খেলা করতে দেখা যায়।
এ ব্যাপারে উপজেলার বড়াইল ইউনিয়ন ভূমি কার্যালয়ের নায়েব মো. রাসেল জানান, অনুমতি না নিয়ে জলাশয় ভরাটের অভিযোগে জরিমানা করা হয়। তবে যতদূর জানি জরিমানা করার পর জায়গাটিতে আর বালু ফেলা হয়নি।
ভরাটের সাথে যুক্ত আবেদ হোসেন বলেন, প্রশাসনের অভিযানের পর আমরা আর বালু ফেলিনি। জায়গাটি আমাদের নিজস্ব। স্কুলের মাঠের জন্য এখান থেকে মাটি দেওয়া হয়েছিল। কিন্তু এখন জলাশয় হয়ে যাওয়ায় অনুমতি না নিয়ে ভরাটের কারণে প্রশাসন অভিযান চালিয়েছে। তারা বলছে ভরাটের অনুমতি লাগবে।
এ ব্যাপারে মোঃ রহমান বলেন, ‘এটি খাল বা জলাশয় নয়। পৈতৃকসূত্রে পাওয়া এখানে আমাদের ৪০শতক জমি রয়েছে। আমাদের জমির মাটি দিয়ে বিদ্যালয়ের মাঠ এবং গোকর্ণঘাট-কৃষ্ণনগর সড়ক নির্মানের জন্য দেয়া হয়েছে। খালের কোনো জায়গা ভরাট করা হয়নি। বরং আমাদের জমির উপর দিয়ে সেচের পানির নালা গিয়েছে। তিনি বলেন, আমরা এলাকায় থাকি না। একটি চক্র আমাদের জমি ভরাটকে জলাশয় ভরাটের নাম দিচ্ছেন।
এ ব্যাপারে বড়াইল ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান জাকির হোসেন বলেন, আমি শুনেছি ভ্রাম্যমান আদালতের অভিযানের পর থেকে জলাশয় ভরাট বন্ধ রয়েছে। তবে আমি যতদূর জানি এটি তাদের ব্যক্তিগত জায়গা। একসময় জমি ছিল। স্কুলের মাঠ ও রাস্তা নির্মাণের সময় তাদের জমি থেকে মাটি নিয়েছিল। এটাকে এলাকায় মরা ডোবা বলে। বর্তমানে ভরাট বন্ধ আছে। শুনেছি ভ্রাম্যমান আদালতের অভিযানে এক লাখ টাকা জরিমানা করা হয়েছে।
এ ব্যাপারে নবীনগর উপজেলা নির্বাহী অফিসার তানভীর ফরহাদের সাথে যোগাযোগগের চেষ্টা করা হলেও তিনি ফোন ধরেনি।
চলারপথে রিপোর্ট :
ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় মেধাবী শিক্ষার্থী আনিকা আক্তারকে আর্থিক সহায়তা প্রদান করেছে জেলা প্রশাসন। গতকাল রবিবার বিকেলে এসএসসি পরীক্ষায় জিপিএ-৫ প্রাপ্ত মেধাবী শিক্ষার্থী আনিকার পড়াশুনা চালানোর জন্য তার হাতে ২০ হাজার টাকা তুলে দেন জেলা প্রশাসক মোঃ শাহগীর আলম।
আনিকা আক্তার জেলার নবীনগর উপজেলার ভোলাচং গ্রামের কাজীমাবাদ শালকান্দি গ্রামের প্রয়াত মোঃ ফারুকুল ইসলামের একমাত্র মেয়ে।
আনিকা আক্তার যখন ষষ্ঠ শ্রেনীর ছাত্রী তখন তার বাবা ফারুকুল ইসলাম মারা যান।এরপর দারিদ্র্যের সাথে সংগ্রাম করে আনিকার পড়াশুনা চালিয়ে যান মা আয়েশা খাতুন।
অভাব অনটনের কারণে আনিকার বই কেনা, বিদ্যালয়ের বেতন, পরীক্ষার ফি ও ফরম পূরণের টাকা দেওয়ার মতো অবস্থা ছিলোনা মা আয়েশা খাতুনের। অনেক কষ্ট করে এসব টাকা পয়সা যোগাড় করতে হয়েছে আয়েশা খাতুনকে।
তবে কোনো কিছুই বাঁধা হয়ে দাঁড়ায়নি সংগ্রামী আনিকার। ২০২৩ সালের এসএসসি পরীক্ষায় নবীনগর উপজেলার ভোলাচং উচ্চ বিদ্যালয় থেকে অংশ নিয়ে বিজ্ঞান বিভাগে সকল বিষয়ে জিপিএ-৫ পেয়েছে আনিকা। পরে সে ব্রাহ্মণবাড়িয়া সরকারি কলেজে ভর্তি হয়।
কিন্তু বিপত্তি বাঁধে এইচএসসি পর্যায়ের পড়াশোনার খরচ চালানো নিয়ে। বিষয়টি জানতে পেরে জেলা প্রশাসক মোঃ শাহগীর আলম তাকে ২০ হাজার টাকা আর্থিক সহায়তা প্রদান করেন।
এ ব্যাপারে জেলা প্রশাসক মোঃ শাহগীর আলম বলেন, জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে ওই কৃতি শিক্ষার্থীকে ২০ হাজার টাকার সহায়তা প্রদান করা হয়েছে। যেহেতু এই শিক্ষার্থী ব্রাহ্মণবাড়িয়া সরকারি কলেজে ভর্তির সুযোগ পেয়েছে, তাই সেখানে পড়াশোনার খরচ তেমন হবে না। নিয়মিত ক্লাশে উপস্থিত থাকলে এবং মনোযোগ দিয়ে পড়াশোনা করলে এই শিক্ষার্থী ভালো ফলাফল করতে পারবে। তিনি এই শিক্ষার্থী ও তার মাকে সহায়তা ববাদ দেয়া টাকা পড়াশোনার জন্য খরচের পরামর্শ দেন।
এ ব্যাপারে আনিকা বলেন, বাবার আদর স্নেহ পেলেও সে কথা মনে নেই। মা আমার সব। এক চাচি পরীক্ষার ফি যোগাড় করে দিতেন। বই কেনাসহ অন্যান্য টাকা মামা দিতেন। বাবার আর্থিক অবস্থা ভালো ছিল না বলে সৌদি আরব প্রবাসী মামা আমজাদ হোসেনের বাড়িতে তৃতীয় থেকে অষ্টম শ্রেনী পর্যন্ত পড়াশোনা করেছি।
নবীনগর পৌরসভার মেয়র শিব সংকর দাস বিদ্যালয়ের বেতন ও এসএসসি পরীক্ষার ফরম পূরণে ফি মওকুফ করিয়েছেন। শিক্ষকরা বিনা টাকা পড়িয়েছেন। আনিকা বলেন, সহায়তা পেয়েছি। জেলা প্রশাসক স্যারের কাছে কৃতজ্ঞ। এখন ব্রাহ্মণবাড়িয়া সরকারি কলেজের হোস্টেলে একটি সীট পেলেই হয়। প্রয়োজনে টিউশনি করব, তবুুও পড়াশোনা চালিয়ে যাব।
আনিকার মা আয়েশা খাতুন বলেন, মেয়ের বাবা বেঁচে নেই। আমার আয়ের কোনা উৎস নেই। সহায়তা নিয়ে পাশে দাঁড়ানোর জন্য জেলা প্রশাসনকে তিনি ধন্যবাদ জানিয়ে বলেন, আমি চাই মেয়ে পড়াশোনা করে সামনে এগিয়ে যাক।
চলারপথে রিপোর্ট :
ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় একটি বেসরকারি হাসপাতালে অপারেশন থিয়েটার থেকে লিজা নামের এক প্রসূতির এক নবজাতক গায়েব করে দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে।
২১ এপ্রিল শুক্রবার দুপুরে জেলা শহরের মুন্সেফপাড়া খ্রিষ্টিয়ান মেমোরিয়াল হাসপাতালে এ ঘটনা ঘটে।
লিজা ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার নবীনগর উপজেলার আলেয়াবাদ গ্রামের ফরহাদ আহমেদের স্ত্রী।
স্বজনদের দাবি, বেশ কয়েকটি পরীক্ষায় লিজার গর্ভে দুটি সন্তান আছে বলে নিশ্চিত হওয়া গেলেও সিজারিয়ান অপারেশনের পর তাকে একটি নবজাতক দেখানো হয়েছে।
লিজার স্বামী ফরহাদ আহমেদ অভিযোগ করে বলেন, আমার স্ত্রী প্রথমবারের মতো গর্ভবতী হলে উপজেলার স্থানীয় একটি বেসরকারি হাসপাতালের চিকিৎসক মেহেরুন্নেছার তত্ত্বাবধানে চিকিৎসাধীন ছিলেন। সেসময় আলট্রাসনোগ্রাফিতে আমার স্ত্রীর গর্ভে দুটি সন্তান দেখা গেছে বলে জানান চিকিৎসকরা। সবশেষ ১৮ এপ্রিল করা আলট্রাসনোগ্রাফি রিপোর্টে গর্ভে দুটি সন্তান আসে। আজ আমার স্ত্রীর প্রসব ব্যথা ওঠে। যমজ শিশু গর্ভে থাকায় স্থানীয় চিকিৎসকরা ঝুঁকি না নিয়ে ব্রাহ্মণবাড়িয়া শহরে হাসপাতালে এনে সিজার করাতে পরামর্শ দেন।
‘দুপুরে সাড়ে ১২টার দিকে তাকে শহরের খ্রিষ্টিয়ান মেমোরিয়াল হাসপাতালে ভর্তি করা হলে তাকে ডা. নওরিন পারভেজ আলট্রাসনোগ্রাফি করেন। ওই রিপোর্টেও দুটি সন্তান দেখা যায়। পরে তিনি নিজেই লিজাকে সিজারিয়ান অপারেশন করেন। এর কিছুক্ষণ পর হাসপাতালের লোকজন এসে জানান, আমার স্ত্রী একটি কন্যাসন্তান জন্ম দিয়েছেন। আর কোনো সন্তানের কথা তারা জানাতে পারেননি।’
ফরহাদ আহমেদ বলেন, ‘আমার প্রশ্ন, নবীনগরে আলট্রাসনোগ্রাফিতে দুটি সন্তানের কথা জানিয়েছে। এখানে তাদের চিকিৎসকও দুটি সন্তানের কথা জানান। তাহলে আমার আরেক সন্তান গেলো কোথায়?’
এ বিষয়ে খ্রিষ্টিয়ান মেমোরিয়াল হাসপাতালের চিকিৎসক নওরিন পারভেজ বলেন, ‘আমি দুই জায়গায় হার্টবিট পেয়েছি। অনেক সময় আমাদের দেখা এবং অনুমানে ভুল হতে পারে। সে অনুযায়ী আমি রিপোর্ট দিয়েছি। তবে সিজারিয়ানে গর্ভে একটি সন্তান পাওয়া গেছে।’
হাসপাতালের প্রশাসনিক কর্মকর্তা মার্শাল চৌধুরী বলেন, ‘আমরা রোগীর অভিভাবকদের বোঝানোর চেষ্টা করেছি এটা মেডিকেলের বিষয়। কিন্তু তারা চেঁচামেচি করে গরম করে দিয়েছে। বাধ্য হয়ে প্রশাসনকে ডেকেছি।’
এ বিষয়ে ব্রাহ্মণবাড়িয়া ১ নম্বর শহর পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ শেহাবুর রহমান বলেন, শিশুর বাবার অভিযোগ, আলট্রাসনোগ্রাফি রিপোর্টে দুই শিশু ছিল। হাসপাতালের চিকিৎসকও আলট্রাসনোগ্রাফি রিপোর্টে দুই শিশু দেখেছেন। কিন্তু সিজারে এক শিশু পাওয়া গেছে। বিষয়টি আমরা খতিয়ে দেখছি।
চলারপথে রিপোর্ট :
নবীনগর উপজেলার রসুল্লাবাদ ইউনিয়নের দাররা গ্রামে দেবরের দেয়া আগুনে গৃহবধূ লতিফা বেগম অগ্নিদগ্ধ হয়ে নিহত হওয়ার প্রতিবাদে ও অভিযুক্ত দেবরের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবিতে আজ ২৩ মার্চ বৃহস্পতিবার বিকেলে ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় মহিলা পরিষদ ব্রাহ্মণবাড়িয়ার উদ্যোগে মানববন্ধন পালিত হয়।
ব্রাহ্মণবাড়িয়া প্রেসক্লাবের সামনে অনুষ্ঠিত মানববন্ধনে জেলা মহিলা পরিষদের সভাপতি শোভা পালের সভাপতিত্বে বক্তব্য রাখেন, জেলা মহিলা পরিষদের সাধারণ সম্পাদক সাথী চৌধুরী, সাংগঠনিক সম্পাদক শামীমা শিকদার দীনা, অর্থ বিষয়ক সম্পাদক আসমা খানম, সাবেক সাধারণ সম্পাদক নেলি আক্তার, জেলা কমিউনিস্ট পার্টির সভাপতি কমরেড সাজিদুর রহমান, রবীন্দ্র সংগীত সম্মিলন পরিষদের সাধারণ সম্পাদক মাসুদ-উর-রহমান, নোঙ্গর, ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা সভাপতি শামীম আহমেদ, জেলা ছাত্র মৈত্রীর সভাপতির ফাহিম মুনতাসির প্রমুখ।
মানববন্ধনে বক্তারা বলেন, নবীনগর উপজেলার রসুল্লাবাদ ইউনিয়নের দাররা গ্রামে দেবর জালাল তার ভাবী লতিফা বেগমকে আগুন দিয়ে পুড়িয়ে হত্যা করেছে। বক্তারা অবিলম্বে লতিফা বেগমকে হত্যাকারী জাললকে গ্রেফতার করে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানান।
উল্লেখ্য, গত ২২ মার্চ বুধবার দুপুর ২টার দিকে রাজধানীর শেখ হাসিনা জাতীয় বার্ন এন্ড প্লাষ্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটে আইসিইউতে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান লতিফা বেগম। তিনি দাররা গ্রামের প্রবাস ফেরত মোঃ জাকারিয়া আল-আমিনের স্ত্রী।
চলারপথে রিপোর্ট :
ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার নবীনগরে এক কাজীর বিরুদ্ধে আরেক কাজীর সংববাদ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়েছে। আজ ২০ মে শনিবার সকালে শ্যামগ্রাম বাজারে কাজী মোঃ জয়নাল আবেদিনের অফিসে এ সংবাদ সম্মেল অনুষ্ঠিত হয়। সংবাদ সম্মেলনে জয়নাল আবেদিন লিখিত বক্তব্য বলেন দুজনের মধ্যে দীর্ঘদিনের চলমান মামলা অবশেষে সুপ্রিম কোর্ট আমার পক্ষে রায় দিয়েছে। আদালতের রায়ের পরিপ্রেক্ষিতে শ্যামগ্রাম ইউনিয়নে বিবাহ নিবন্ধনের জন্য আমিই একক কাজী।
এদিকে মোসাদ্দেক কাজী জানায় এই সংবাদ সম্মেলন মিথ্যা ভিত্তিহীন, আমার বাবা দীর্ঘদিন এই ইউনিয়নের কাজীর দায়িত্বে ছিলেন, তারিই ধারাবাহিকতায় শ্যামগ্রাম ইউনিয়ন পরিষদের রেজুলেশন সাপেক্ষে আমি এই ইউনিয়নের কাজীর দায়িত্ব পালন করে আসছি। জয়নাল কাজী নিজেকে নিয়োগপ্রাপ্ত কাজী দাবি করছেন কিন্তু মামলা চলমান অবস্থায় কাউকে নিয়োগ দেওয়ার এখতিয়ার নাই। তাহলে তিনি কি করে নিজেকে নিয়োগপ্রাপ্ত কাজী দাবি করেন।
সুপ্রিম কোর্টের রায়ের বিরুদ্ধে আমি রিকল পিটিশন দায়ের করেছি।