চলারপথে রিপোর্ট :
কসবায় সিএনজি চালিত অটোরিকশা ছিনতাই করতে রিফাত (১৫) নামে এক অটোচালককে খুন করা হয়েছে।
আজ ২৪ অক্টোবর বৃহস্পতিবার দুপুরে কুমিল্লা-সিলেট মহাসড়কের ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার কসবা উপজেলার মনকাসাই এলাকায় মহাসড়কের পাশ থেকে তার লাশ উদ্ধার করা হয়। নিহত রিফাত উপজেলার কুটি ইউনিয়নের কালামুড়িয়া গ্রামের মোঃ আবেদ মিয়ার ছেলে। নিহতের পরিবার ও পুলিশ সূত্রে জানা যায়, রিফাত লেখাপড়ার পাশাপাশি তার বাবার অটোরিক্সা চালাতো। বুধবার সন্ধ্যায় সে অটোরিকশা নিয়ে বের হওয়ার পর আর বাড়ি ফিরে আসেনি।
বৃহস্পতিবার সকালে পরিবারের লোকজন তাকে খোঁজাখুঁজির এক পর্যায়ে শাহপুর এলাকার একটি গ্যারেজে অটোরিকশাটি পাওয়া যায়। এ সময় ছিনতাইকারী আপন মিয়া অটোরিকশাটি গ্যারেজ থেকে নিতে এলে তাকে আটক করে পুলিশে সোপর্দ করা হয়। পরে পুলিশ ঘাতক আপন মিয়ার দেয়া তথ্য মতে নিহত রিফাতের লাশ উদ্ধার করে। ঘাতক আপন মিয়া উপজেলার চন্ডীদ্বার গ্রামের আলমগীর মিয়ার ছেলে।
এ ব্যাপারে কসবা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) জহিরুল হক কবির বলেন, অটোরিকশাটি ছিনতাই করতেই চালককে খুন করা হয়েছে। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পুলিশ পাঠিয়ে লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট জেনারেল হাসপাতাল ব্রাহ্মণবাড়িয়ার মর্গে প্রেরণ করা হয়। এ ঘটনায় প্রয়োজনীয় আইনগত ব্যবস্থা প্রক্রিয়াধীন।
চলারপথে রিপোর্ট :
আলোচিত ফারুক চৌধুরী হত্যা মামলার স্বাক্ষী আজারুল ইসলাম হৃদয় (২৬) কে পিটিয়ে আহত করেছে হত্যা মামলার আসামীরা। ৮ মার্চ বুধবার রাত ৯টায় কসবা পৌর এলাকার শাহপুর গ্রামে এই ঘটনা ঘটে। আজারুলের চিৎকারে স্থানীয়রা এসে তাকে উদ্ধার করে কসবা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করে।
এ ঘটনায় ওইদিন রাতেই আহতের চাচা মোঃ শাহ আলম চৌধুরী বাদী হয়ে আনোয়ার হোসেন আনার (৪৫)কে প্রধান আসামী করে ৮ জনের বিরুদ্ধে কসবা থানায় একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন।
অভিযোগ ও আহত আজারুল ইসলামের পরিবার সূত্রে জানা যায়, বুধবার রাতে শাহপুর গ্রামের চাচার বাড়ি থেকে নিজ বাড়িতে ফেরার পথে ফারুক চৌধুরী হত্যা মামলার আসামীরা তার পথরোধ করে তাকে রড, লাঠি ও দা দিয়ে এলোপাথাড়ি পিটিয়ে রক্তাক্ত জখম করে। তার চিৎকারে পথচারীরা ও আশপাশের লোকজন তাকে মুমূর্ষ অবস্থায় উদ্ধার করে কসবা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করে।
আহত আজারুল ইসলামের মা আছিয়া বেগম জানান, আসামীরা হাইকোর্ট থেকে জামিনে এসে তার স্বামী ফারুক চৌধুরী হত্যা মামলা তুলে নেয়ার জন্য জন্য বাদীকে হুমকী-ধামকী দিয়ে আসছে। গত বুধবার তারা তার ছেলেকে হত্যার উদ্দেশ্যে বেদম মারধোর করে আহত করে। এ অবস্থায় আমরা নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছি।
উল্লেখ্য ২০২০ সালের ১৩ এপ্রিল বেলা ১১ টায় ফারুক চৌধুরী স্থানীয় একজনের নামাজে জানাজা শেষে বাড়ি ফেরার পথে আসামীরা তাকে এলোপাথাড়ি কুপিয়ে হত্যা করে।
এ ঘটনায় নিহতের বড় ভাই মোঃ শাহ আলম চৌধুরী বাদী হয়ে ৯ জনের বিরুদ্ধে হত্যা মামলা দায়ের করেন। বর্তমানে মামলাটি জেলা অপরাধ তদন্ত বিভাগে (সিআইডি) তদন্তনাধীন রয়েছে। এই হত্যা মামলার প্রত্যক্ষ স্বাক্ষী হলেন ফারুক মিয়ার ছেলে আজারুল ইসলাম।
এ ব্যাপারে কসবা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ মহিউদ্দিন জানান, এই বিষয়ে থানায় একটি লিখিত অভিযোগ দেয়া হয়েছে। আমরা আসামীদের গ্রেপ্তারের চেষ্টা করছি।
উল্লেখ্য, নিহত ফারুক চৌধুরী দৈনিক যায়যায়দিনের কসবা প্রতিনিধি মোঃ শাহ আলম চৌধুরীর ছোট ভাই।
চলারপথে রিপোর্ট :
ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার কসবায় ৫০ কেজি গাঁজাসহ একজনকে আটক করেছে পুলিশ।
আজ ৪ মার্চ সোমবার সকালে উপজেলার কুটি ইউনিয়নের কালামুরিয়া ব্রিজের পাশ থেকে গাঁজাসহ তাকে আটক করা হয়। আটক মো. সোহেল (৩২) উপজেলার কুটি ইউনিয়নের কালামুরিয়া এলাকার মো. শহীদ মিয়ার ছেলে।
কসবা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মো. রাজু আহমেদ জানান, সকালে গোপন সংবাদের ভিত্তিতে কসবা উপজেলার কুটি ইউনিয়নের কালামুরিয়া এলাকায় অভিযান পরিচালনা করা হয়। অভিযান কালে কালামুরিয়া ব্রিজের পাশ থেকে সোহেলকে আটক করা হয়। পরে তার দেয়া তথ্য মতে ব্রিজের পাশে ঝোপের মধ্যে থেকে ৫০ কেজি গাঁজা উদ্ধার করা হয়। তার বিরুদ্ধে মাদকদ্রব্য আইনে মামলা দায়েরের প্রস্তুতি চলছে।
চলারপথে রিপোর্ট :
কসবায় স্বজন সমাবেশের আয়োজনে আলোচনা সভা ও ইফতার মাহফিল অনুষ্ঠিত হয়েছে।
গতকাল বৃহস্পতিবার উপজেলার একটি রেস্টুরেন্টে স্বজনের আলোচনা সভা ও ইফতার মাহফিল অনুষ্ঠিত হয়। এ আয়োজনে বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার মানুষ অংশ নেন।
ইফতার মাহফিলে দৈনিক যুগান্তর পত্রিকার প্রতিষ্ঠাতা বীর মুক্তিযোদ্ধা নুরুল ইসলামসহ সব শহিদের মাগফিরাত কামনা করে দোয়া করা হয়।
কসবা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোহাম্মদ আমিমুল এহসান খান ভার্চুয়ালি যুক্ত হয়ে স্বজনদের শুভকামনা জানান। স্বজনের সাধারণ সম্পাদক নাজমুল হোসেনের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন স্বজন সমাবেশ কসবা শাখার সভাপতি মো. আব্দুল হান্নান।
বিশেষ অতিথির হিসেবে আলোচনা সভায় বক্তব্যে রাখেন সাংবাদিক সোহরাব হোসেন, কসবা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের প্রধান ডা. অরুপ পাল, ডা. জামাল চৌধুরী, মহিলা বিষয়ক কর্মকর্তা রওনক ফারজানা রুবা, স্বজনের উপদেষ্টা যুগান্তর প্রতিনিধি বোরহান মো. ইনামুল ইসলাম।
অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন- স্বজনের সহ-সভাপতি ডা. বিল্লাল হোসেন চৌধুরী, যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক নওশের আলম, অর্থ সম্পাদক কেএম বিল্লাল, সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক মাহবুবুর রহমান, কল্যাণ সম্পাদক মো. মেহেদী, তথ্য প্রযুক্তি সম্পাদক বায়েজিদ মিয়া, সদস্য মো. লোকমান হোসেন, সদস্য মো. হৃদয় মিয়া, সদস্য ইমা আক্তার, উপদেষ্টা সদস্য মো. জাহাঙ্গীর আলম, মো. শাহনেওয়াজ।
এছাড়াও উপস্থিত ছিলেন জুঁই আক্তার, রাখসান্দা রওনক, মো. খোরশেদ আলম, মো. শামিম, সাকিবুল ইসলাম।
চলারপথে রিপোর্ট :
কসবায় খড়ের গাদার নিচ থেকে পলিথিনে মোড়ানে ৯ কেজি গাঁজাসহ একজনকে আটক করেছে পুলিশ।
৮জুলাই সোমবার দুপুর আড়াইটার দিকে ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার কসবা উপজেলার খাড়েরা ইউপির কেয়াইর গুচ্ছগ্রাম থেকে গাঁজাসহ রৌশন মিয়াকে আটক করা হয়। আটক রৌশন মিয়া কসবা উপজেলার গোপীনাথপুর ইউপির নোয়াগাঁও গ্রামের হাবিবুর রহমানের ছেলে।
কসবা থানার ওসি রাজু আহাম্মেদ জানান, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে উপজেলার খাড়েরা ইউপির কেয়াইর গুচ্ছগ্রামে অভিযান পরিচালনা করা হয়। অভিযানে গুচ্ছগ্রাম থেকে রৌশন মিয়াকে আটক করা হয়। পরে তার দেওয়া তথ্য মতে গুচ্ছগ্রামের ২১৯ নম্বর ঘরের পাশে খড়ের গাদার নিচে ছোট ছোট পলিথিনে মোড়ানে ৯ কেজি গাঁজা উদ্ধার করা হয়। তিনি একজন চিহ্নিত মাদক ব্যবসায়ী। তার বিরুদ্ধে মামলা দায়েরের প্রস্তুতি চলছে।
চলারপথে রিপোর্ট :
কসবা সীমান্ত দিয়ে ভারতে পালিয়ে যাওয়ার সময় আটক যুগ্ম সচিব এ কে এম জি কিবরিয়া মজুমদারকে কারাগারে পাঠানো হয়েছে।
আজ ১৩ অক্টোবর রোববার দুপুরে ব্রাহ্মণবাড়িয়া আদালতের মাধ্যমে তাকে কারাগারে পাঠানো হয়। এর আগে গতকাল শনিবার অবৈধভাবে ভারতে পালিয়ে যাওয়ার সময় যুগ্ম সচিব এ কে এম জি কিবরিয়া মজুমদারকে আটক করে বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি)। পরে পাসপোর্ট আইনে মামলা ও বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে অপরাধমূলক কার্যকলাপে জড়িত থাকার অপরাধে পল্টন থানায় দায়ের করা হত্যা মামলায় গ্রেপ্তার দেখিয়ে আজ আদালতে সোপর্দ করে কসবা থানা পুলিশ।
এ কে এম জি কিবরিয়া মজুমদার জাতীয় সংসদের সাবেক স্পিকার শিরীন শারমিন চৌধুরীর অধীনে যুগ্ম সচিব হিসেবে কর্মরত ছিলেন। তিনি কুমিল্লার চৌদ্দগ্রাম উপজেলার কোমরকড়া গ্রামের বাসিন্দা।
বিজিবির পাঠানো বিজ্ঞপ্তিতে জানা যায়, ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার কসবা উপজেলার বায়েক ইউনিয়নের পুটিয়া এলাকায় আন্তর্জাতিক সীমারেখা সীমান্ত পিলার ২০৫০/৮-এস থেকে ৫০ গজ বাংলাদেশের ভেতরে পুটিয়া নামক স্থান থেকে এ কে এম জি কিবরিয়া মজুমদারকে আটক করা হয়। তিনি ভারতের অনুপ্রবেশের জন্য সীমান্ত এলাকায় ঘোরাঘুরি করছিলেন।
এ সময় সালদানদী বিওপির টহল দল তাকে আটক করে। বিজিবির ৬০ ব্যাটালিয়ন অধিনায়ক (সিও) লে. কর্ণেল এ এম জাবের বিন জব্বার বলেন, সীমান্ত দিয়ে অবৈধভাবে ভারতে পালিয়ে যাওয়ার সময় যুগ্ম সচিব এ কে এম জি কিবরিয়া মজুমদারকে আটক করেছে বিজিবি। পাসপোর্ট ছাড়াই অবৈধভাবে বাংলাদেশ থেকে ভারতে অনুপ্রবেশের চেষ্টা করার অপরাধে তার বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণের করার জন্য কসবা থানায় সোপর্দ করা হয়েছে।
কসবা থানা অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মো. জহিরুল হক কবির জানান, আটক যুগ্ম সচিব এ কে এম জি কিবরিয়া মজুমদারকে দুপুরে আদালতে পাঠানো হয়। তার বিরুদ্ধে বিজিবির পক্ষ থেকে ১৯৭৩ সালের পাসপোর্ট আইনে মামলা করা হয়েছে। এ ছাড়া তার বিরুদ্ধে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে অপরাধমূলক কার্যকলাপে জড়িত থাকার অপরাধে পল্টন থানায় হত্যা মামলা রয়েছে। ওই দুটি মামলায় গ্রেপ্তার দেখিয়ে তাকে ব্রাহ্মণবাড়িয়া আদালতের মাধ্যমে জেল হাজতে প্রেরণ করা হয়েছে।