চলারপথে রিপোর্ট :
ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় পৃথক পৃথক অভিযানে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের নিষিদ্ধ ঘোষিত সন্ত্রাসী সংগঠন ছাত্রলীগের নেতাসহ ৪ জনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। গ্রেফতারকৃতরা হলো ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার আশুগঞ্জ উপজেলার তালশহর ইউনিয়ন থেকে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্রীড়া বিষয়ক সম্পাদক জাহিদুল হক শুভ (২৫), ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর উপজেলা যুবলীগের সাবেক যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মোঃ নাহিদ সরকার (৪২), বিজয়নগর উপজেলার সাবেক ভাইস চেয়ারম্যান ও উপজেলা আওয়ামী লীগ নেতা মাহমুদুল হক মান্না (৫৫) ও উপজেলা আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি আদেল মোহাম্মদ জাহাঙ্গীরকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।
ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মোজাফফর হোসেন বলেন, জেলার বিজয়নগরে ২০১৮ সালের ১৬ ডিসেম্বর বিজয়নগর উপজেলার মির্জাপুর এলাকায় কেন্দ্রীয় বিএনপির অর্থনৈতিক বিষয়ক সম্পাদক খালেদ হোসেন মাহবুব শ্যামলের উপর হামলা ও গাড়ি ভাঙচুরের ঘটনায় রাষ্টু মিয়া বাদী হয়ে একটি মামলা দায়ের করেন। এই নাশকতা মামলায় মাহমুদুল হক মান্নাকে জেলা শহরের পাইকপাড়া ও আদেল মোহাম্মদ জাহাঙ্গীরকে কান্দিপাড়া মহল্লা থেকে গ্রেফতার করা হয়।
চলারপথে রিপোর্ট :
আশুগঞ্জে ২৩ কেজি গাঁজাসহ মোঃ সুমন (৩০) ও মোঃ লিটন মিয়া (২৫) নামে দুই মাদক ব্যবসায়ীকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। এ সময় গাঁজা বহনকারী একটি কাভার্ডভ্যানও জব্দ করা হয়।
আজ ২৪ অক্টোবর বৃহস্পতিবার ভোরে ঢাকা-সিলেট মহাসড়কের ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার আশুগঞ্জ উপজেলার সৈয়দ নজরুল ইসলাম সেতুর টোল প্লাজার সামনে থেকে তাদেরকে গ্রেফতার করা হয়।
গ্রেফতারকৃত সুজন বরিশাল জেলার মেহেন্দিগঞ্জ উপজেলার রাজাপুর গ্রামের সাহেব আলী মাতাব্বরের ছেলে ও লিটন মিয়া হবিগঞ্জ জেলার মাধবপুর উপজেলার নয়নপুর গ্রামের নুরু মিয়ার ছেলে।
আশুগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) বিল্লাল হোসেন ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, গোপন সূত্রের তথ্যের ভিত্তিতে বৃহস্পতিবার ভোর ৪টার সময় সৈয়দ নজরুল ইসলাম সেতুর টোল প্লাজার সামনে অভিযান চালিয়ে একটি কাভার্ডভ্যান আটক করা হয়। পরে কাভার্ডভ্যানে তল্লাশী চালিয়ে ২৩ কেজি গাঁজাসহ তাদেরকে গ্রেফতার করা হয়। তাদের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করা হয়েছে।
চলারপথে রিপোর্ট :
আশুগঞ্জে মাথায় বাঁশ পড়ে জুবেদা বেগম (৬০) নামের এক ভিক্ষুক প্রাণ হারিয়েছেন।
২১ নভেম্বর মঙ্গলবার সন্ধ্যায় আশুগঞ্জের খড়িয়ালা গ্রামে এই ঘটনা ঘটে।
পরে রাত সাড়ে ১১টার দিকে জেনারেল হাসপাতাল ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় চিকিৎসাধীন অবস্থায় ওই ভিক্ষুক মারা যান।
জুবেদা খাতুন উপজেলার দুর্গাপুর ইউনিয়নের খড়িয়ালা গ্রামের খোদেজা বেগমের বাড়িতে বসবাস করতেন। জুবেদা খাতুনের স্বামী/পিতার নাম-ঠিকানা জানা যায়নি।
হাসপাতাল ও প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, খোদেজা বেগমের বাড়িতে ৫-৬ নারী ভিক্ষুক বসবাস করেন। এসব ভিক্ষুক গ্রামে বিভিন্ন এলাকায় ভিক্ষা করেন। জুবেদা বেগম ভিক্ষা শেষে থাকার ঘরে আসার পর হঠাৎ তীরের বাঁশ মাথায় পড়ে গুরুতর আহত হন। পরে পাশের বাড়ির খোকন মিয়া জুবেদাকে উদ্ধার করে প্রথমে আশুগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে এবং পরবর্তীতে জেনারেল হাসপাতাল ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় নিয়ে ভর্তি করলে রাত সাড়ে ১১টার দিকে হাসপাতালের সার্জারি বিভাগে চিকিৎসাধীন অবস্থায় জুবেদা মারা যান।
আশুগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত (ওসি) নাহিদ আহম্মেদ বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
চলারপথে রিপোর্ট :
ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা ছাত্রলীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ইকরাম মিয়া (৩০) হত্যার ঘটনায় মামলা করা হয়েছে।
আজ ২৫ মে বৃহস্পতিবার সকাল সাড়ে ১০টায় নিহত ইকরামের বাবা মাসুদ মিয়া বাদী হয়ে সদর মডেল থানায় হত্যা মামলা করেন।
এ হত্যাকাণ্ডে অভিযুক্ত রায়হানকে (২২) মামলায় একমাত্র আসামি করা হয়েছে। তিনি ঢাকার বংশালের সিদ্দিক বাজার এলাকার জিয়াউল করিম জিয়ার ছেলে।
এর আগে মোটর সাইকেলের চাবি নিয়ে বাগবিতণ্ডার জেরে রায়হান ইকরাম মিয়াকে ছুরিকাঘাত করেন। বুধবার সন্ধ্যা ৬টার দিকে ব্রাহ্মণবাড়িয়া শহরের মুন্সেফপাড়ায় কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগের সাবেক সদস্য রেদোয়ান আনসারী রিমোর বাসায় এ ঘটনা ঘটে।
ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর মডেল থানার পরিদর্শক (তদন্ত) সোহরাব আল হোসাইন বলেন, এ ঘটনায় ইকরামের বাবা গ্রেফতার রায়হানকে একমাত্র আসামি করে মামলা করেছেন। হত্যাকাণ্ডের পর পরই রায়হানকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য আটক করে পুলিশ। থানায় প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে ছুরিকাঘাতে ইকরামকে হত্যার কথা স্বীকার করে সে। এরপর তাকে গ্রেফতার দেখানো হয়।
তিনি বলেন, শহরের মুন্সেফপাড়ায় কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগের সাবেক সদস্য রেদোয়ান আনসারী রিমোর বাসায় ইকরাম মিয়ার আসা-যাওয়া ছিল। সেখানে রিমোর মামাতো ভাই রায়হান থাকতো। রায়হান ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় রিমোর দোকানে সেলসম্যানের কাজ করে। সে মাদকাসক্ত। রিমোর এক মামার মোটরসাইকেল রায়হান ও ইকরাম মাঝেমাঝে চালাতো।
পুলিশের এ কর্মকর্তা আরো বলেন, বুধবার সন্ধ্যায় ইকরাম সেখানে গেলে মোটর সাইকেলের চাবি নিয়ে রায়হানের সঙ্গে তার বাগবিতণ্ডা হয়। এরই জেরে রায়হান ইকরামকে ছুরিকাঘাত করে। তাকে উদ্ধার করে ২৫০ শয্যাবিশিষ্ট জেনারেল হাসপাতাল ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় নিয়ে যাওয়া হলে চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন।
চলারপথে রিপোর্ট :
ব্রাহ্মণবাড়িয়া প্রেসক্লাবের সাবেক সভাপতি সৈয়দ মিজানুর রেজা বাংলাদেশ রেডক্রিসেন্ট সোসাইটি, ব্রাহ্মণবাড়িয়া ইউনিটের অ্যাডহক নির্বাহী কমিটির ভাইস চেয়ারম্যান ও প্রেসক্লাবের সাধারণ সম্পাদক মোঃ বাহারুল ইসলাম মোল্লা বাংলাদেশ রেডক্রিসেন্ট সোসাইটি, ব্রাহ্মণবাড়িয়া ইউনিটের অ্যাডহক নির্বাহী কমিটির সেক্রেটারি মনোনীত হওয়ায় তাদেরকে ব্রাহ্মণবাড়িয়া প্রেসক্লাবের উদ্যোগে সংবর্ধনা ও ফুলেল শুভেচ্ছা জানানো হয়েছে।
গতকাল মঙ্গলবার দুপুরে ব্রাহ্মণবাড়িয়া প্রেসক্লাব মিলনায়তনে এই সংবর্ধনা অনুষ্ঠিত হয়।
সংবর্ধনা উপলক্ষে ব্রাহ্মণবাড়িয়া প্রেসক্লাবের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি মোঃ জসিম উদ্দিনের সভাপতিত্বে ও সাংবাদিক হাবিবুর রহমান পারভেজের সঞ্চালানায় অনুষ্ঠিত আলোচনা সভায় অনুভূতি করে বক্তব্য রাখেন প্রেসক্লাবের সাবেক সভাপতি খ.আ.ম রশিদুল ইসলাম, সাবেক সভাপতি মোহাম্মদ আরজু, সাবেক সাধারণ সম্পাদক মোঃ সাদেকুর রহমান, ব্রাহ্মণবাড়িয়া টেলিভিশন জার্নালিস্ট অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি মনজুরুল আলম, ব্রাহ্মণবাড়িয়া সাহিত্য একাডেমীর সভাপতি ও মুক্তিযুদ্ধের গবেষক কবি জয়দুল হোসেন, প্রেসক্লাবের সাবেক সাধারণ সম্পাদক আ.ফ.ম. কাউসার এমরান, সিনিয়র সদস্য আবদুন নূর, সাবেক সহ-সভাপতি সৈয়দ মোঃ আকরাম, মফিজুর রহমান লিমন, প্রেসক্লাবের কার্যকরি কমিটির যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক শিহাব উদ্দিন বিপু, সংবর্ধিত অতিথি সৈয়দ মিজানুর রেজা ও মোঃ বাহারুল ইসলাম মোল্লা।
আলোচনা সভায় বক্তারা বাংলাদেশ রেডক্রিসেন্ট সোসাইটি ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় ইউনিটের নির্বাহী কমিটির ভাইস চেয়ারম্যান পদে সৈয়দ মিজানুর রেজা ও সেক্রেটারি পদে মোঃ বাহারুল ইসলাম মোল্লাকে নিযুক্ত করায় বাংলাদেশ রেডক্রিসেন্ট সোসাটির চেয়ারম্যান, মহাসচিব ও ব্রাহ্মণবাড়িয়ার গণমানুষের নেতা র.আ.ম উবায়দুল মোকতাদির চৌধুরী এমপির প্রতি কৃতজ্ঞতা জানান।
বক্তারা বলেন, দীর্ঘদিন ধরে ব্রাহ্মণবাড়িয়া রেডক্রিসেন্ট ইউনিটে কোন নির্বাচন হয়না। তারা ইউনিটের আজীবন ভোটারদের তালিকা হালনাগাদ ও তাদের পরিচয়পত্র তৈরী করে দ্রুত একটি সুন্দর ও সুষ্ঠ নির্বাচনের আয়োজন করার জন্য নব-নিযুক্ত দুই নেতার প্রতি আহবান জানান।
অনুষ্ঠানে সংবর্ধিত অতিথিরা বলেন, সোসাইটির দেয়া নির্দেশনা মেনেই আমরা ইউনিটকে পরিচালনা করবো। তারা দায়িত্ব পালনে সাংবাদিকদের সহযোগীতা প্রত্যাশা করে তাদেরকে ফুলেল শুভেচ্ছায় সিক্ত করার জন্য প্রেসক্লাবের নেতৃবৃন্দকে ধন্যবাদ ও কৃতজ্ঞতা জানান।
চলারপথে রিপোর্ট :
ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা বিএনপির ৫ সদস্য বিশিষ্ট আংশিক আহবায়ক কমিটি গঠনের জের ধরে আজ ১২ আগস্ট শনিবার বিএনপির দুই গ্রুপের মধ্যে ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়া ও ইটপাটকেল নিক্ষেপের ঘটনা ঘটে। এসময় ৮-১০ জন আহত হয়।
শনিবার বিকেল চারটার দিকে জেলা শহরের পাওয়ার হাউজ রোড এলাকায় এই ঘটনা ঘটে। খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। এ ঘটনায় বিএনপির দুই গ্রুপের মধ্যে টান টান উত্তেজনা বিরাজ করছে।
এর আগে গত বৃহস্পতিবার বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী স্বাক্ষরিত প্রেস বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে জেলা বিএনপির পাঁচ সদস্য বিশিষ্ট আংশিক আহবায়ক কমিটি অনুমোদন দেয়া হয়।
কমিটিতে জেলা জাতীয়তাবাদী আইনজীবী ফোরামের সভাপতি ও জেলা বিএনপির সাবেক সহ-সভাপতি অ্যাডভোকেট আবদুল মান্নান ও জেলা বিএনপির সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক মোঃ সিরাজুল ইসলামকে সদস্য সচিব করা হয়।
আহবায়ক কমিটির অপর ৩জন সদস্য হলেন জেলা বিএনপির সাবেক সভাপতি ও সাবেক পৌর মেয়র হাফিজুর রহমান মোল্লা কচি, জেলা বিএনপির সাবেক সাধারণ সম্পাদক জহিরুল হক খোকন ও সদর উপজেলা বিএনপির সাবেক সাধারণ সম্পাদক ও সদর উপজেলা পরিষদের সাবেক ভাইস চেয়ারম্যান নূরে আলম সিদ্দিকী।
এদিকে শনিবার বিকেল চারটার দিকে জেলা শহরের পাওয়ার হাউজ রোড (কান্দিপাড়া আখড়ার মোড়) এলাকায় আরাফাত রহমান কোকোর জন্মদিন পালনকে কেন্দ্র করে জেলা বিএনপির সাবেক সভাপতি ও আহবায়ক কমিটির সদস্য হাফিজুর রহমান মোল্লা কচি ও জেলা বিএনপির সাবেক সাধারণ সম্পাদক ও আহবায়ক কমিটির সদস্য জহিরুল হক খোকনের নেতৃত্বে বিএনপি ও সহযোগী সংগঠনের নেতা-কর্মীরা অবস্থান নেন।
একই সময়ে শহরের শিমরাইল কান্দি বিএডিসি (শেখ হাসিনা সড়ক) মোড় থেকে সদ্য ঘোষিত আহবায়ক কমিটির সদস্য সচিব মোঃ সিরাজুল ইসলাম সিরাজের নেতৃত্বে নব-ঘোষিত কমিটির পক্ষে একটি আনন্দ মিছিল বের হয়ে কালীবাড়ি মোড়ের দিকে আসার পথে পাওয়ার হাউজ রোডের আখড়ার মোড়ে পৌছলে হঠাৎ করে দুই গ্রুপের মধ্যে ধাওয়া পাল্টা ধাওয়া শুরু হয়।
এ সময় উভয় পক্ষের নেতা-কর্মীরা লাটিসোটা ও বাঁশ নিয়ে একে অপরকে উদ্দেশ্য করে ইট-পাথর নিক্ষেপ করে। প্রায় ২০-২৫ মিনিট চলে উভয়পক্ষের মধ্যে ইট-পাটকেল বিনিময়। এ সময় হাফিজুর রহমান মোল্লা কচি ও জহিরুল হক খোকনের অনুসারীরা সদ্য ঘোষিত কমিটির সদস্য সচিব সিরাজুল ইসলাম ও বিএনপি নেতা (এই কমিটি ঘোষণার মূলহোতা) কবির আহমেদ ভূঁইয়ার বিরুদ্ধে বিভিন্ন শ্লোগান দেন। দুই পক্ষের ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়ার সময় উভয়পক্ষের ৮-১০জন নেতা-কর্মী আহত হয়।
খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌছলে উভয়পক্ষের নেতা-কর্মীরা ছত্রভঙ্গ হয়ে যায়। এ সময় পুলিশ ঘটনাস্থল থেকে একজনকে আটক করে। এ সময় বিএনপির নেতা-কর্মীরা অভিযোগ করে বলেন, সদর উপজেলার বাসুদেব ইউনিয়নের বরিশল গ্রামের বাসিন্দা আবদুর রহমান সানি লন্ডনে বসবাসরত বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের ব্যক্তিগত সহকারী। তার প্রভাবকে কাজে লাগিয়ে সানির বড় ভাই এক সময়ের আখাউড়া উপজেলা ছাত্রলীগের সহ-সাংস্কৃতিক বিষয়ক সম্পাদক কবির আহমেদ ভূঁইয়া (বর্তমানে বিএনপি নেতা) এই বিতর্কিত কমিটি করেছেন।
এ ব্যাপারে ৫ সদস্য বিশিষ্ট আংশিক আহবায়ক কমিটির আহবায়ক আবদুল মান্নান বলেন, আমি ঢাকায় অবস্থান করছি। নতুন কমিটি দেয়ায় আনন্দ মিছিল হয়েছে বলে শুনেছি। ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়ার ঘটনা আমি জানি না।
এ ব্যাপারে জেলা বিএনপির সাবেক সভাপতি ও বর্তমান আহবায়ক কমিটির সদস্য হাফিজুর রহমান মোল্লা কচি বলেন, আরাফাত রহমান কোকোর ৫৪তম জন্মবার্ষিকী উপলক্ষে নেতা-কর্মীরা পাওয়ার হাউজ রোডে কেক কাটার আয়োজন করে। সেখানে সবাইকে উপস্থিত হতে বলা হয়েছে। কিন্তু কেউ কেউ আসেনি। আহবায়ক কমিটির ঘোষণা করায় একটি পক্ষ আনন্দ মিছিল ও সংবর্ধনার আয়োজন করে। আমাদেরকে উদ্দেশ্য করে ইটপাটকেল নিক্ষেপ করে। পরে ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়ার ঘটনা ঘটে।
এ ব্যাপারে সদর মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আসলাম হোসাইন বলেন, জেলা বিএনপির আহবায়ক কমিটি গঠনকে কেন্দ্র করে দুই পক্ষের মধ্যে ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়া ও ইটপাটকেল নিক্ষেপের ঘটনা ঘটে। পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌছে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রনে আনে। এ সময় একজনকে আটক করা হয়েছে।