চলারপথে রিপোর্ট :
আখাউড়া স্থলবন্দরে গত দুই বছর ধরে গুদমে পড়ে থেকে পচে নষ্ট হয়ে গেছে ভারত থেকে আমদানি করা ২২৮ টন গম। যা এখন পশুখাদ্য হিসেবেও ব্যবহারের উপযোগী নয় বলে জানিয়েছে আমদানিকারক প্রতিষ্ঠান। ফলে গমের আমদানিমূল্য বাবদ ক্ষতির পরিমাণ অন্তত ৮০ লাখ টাকা। দফায় দফায় চিঠি দেওয়ার পরও আমদানিকারক গমগুলো ছাড়াতে আগ্রহী না হওয়ায় বিপাকে পড়েছে বন্দর কর্তৃপক্ষ। এ অবস্থায় গমগুলো ধ্বংসকরণের প্রস্তুতি নিচ্ছে শুল্ক কর্তৃপক্ষ। যদিও আমদানিকারক প্রতিষ্ঠানের দাবি, শুল্ক কর্তৃপক্ষের গড়িমসির কারণেই নির্ধারিত সময়ে গমগুলো খালাস করা যায়নি।
সংশ্লষ্টদের সাথে কথা বলে জানা গেছে, ২০২১ সালের আগস্ট থেকে প্রথমবারের মতো আখাউড়া স্থলবন্দর দিয়ে ভারত থেকে গম আমদানি শুরু হয়। মূলত ব্যবসায়ীদের চাহিদা মতো পণ্য আমদানির সুযোগ না থাকায় অনুমোদিত পণ্য আমদানি করে ভালো মুনাফা করতে না পারায় বন্দর দিয়ে কম পণ্য আমদানি করেন ব্যবসায়ীরা।
তবে, শুল্কমুক্ত হওয়ায় ২০২১ সালের আগস্ট থেকে গম আমদানির মাধ্যমেই সচল ছিল আমদানি বাণিজ্য। যদিও ২০২২ সালের মে মাসে গম রফতানিতে নিষেধাজ্ঞা দেয় ভারত সরকার। তবে নিষেধাজ্ঞার পরও কয়েক মাস পর্যন্ত পূর্বের খোলা এলসির গমগুলো আমদানি হয় আখাউড়া স্থলবন্দর দিয়ে। ২০২১-২২ অর্থবছরে আখাউড়া স্থলবন্দর দিয়ে ভারত থেকে ৮৮ হাজার ৫২৪ মেট্রিক টন গম আমদানি হয়।
২০২২ সালে শুল্কমুক্ত সুবিধায় আখাউড়া স্থলবন্দর দিয়ে ভারত থেকে প্রায় সাড়ে ১১ হাজার টন গম আমদানি করে চট্টগ্রামের আলম ট্রেডার্স। প্রতিটন গমের আমদানি মূল্য ছিল ৩২৫ থেকে ৩৫০ মার্কিন ডলার। বাজারে চাহিদা থাকায় আমদানির পরপরই গমগুলো খালাস করে আমদানিকারক প্রতিষ্ঠান। তবে ওই বছরের জুনে ভারতের ভারী বর্ষণের কারণে যোগাযোগ ব্যবস্থা ভেঙে পড়ায় গম আমদানি বন্ধ হয়ে যায়। পরবর্তীতে আগস্ট থেকে আবারও বন্দরে আসতে থাকে আটকে পড়া গমের চালান।
আমদানিকারক প্রতিষ্ঠানের দাবি, পশ্চিমবঙ্গের রফতানিকারক প্রতিষ্ঠান ভালো গমের সঙ্গে বৃষ্টিতে ভেজা গমও পাঠায়। যার পরিমাণ প্রায় ২২৮ টন। তাই ভালো গমগুলো প্রথমে খালাস করে পরবর্তীতে ভেজা গমগুলো ছাড়াতে গেলে আটকে দেয় শুল্ক কর্তৃপক্ষ। তাদের গড়িমসির কারণে নির্ধারিত সময়ে খালাস না করতে পারায় দীর্ঘসময় গুদামে পড়ে নষ্ট হতে থাকে গমগুলো। এসব গমে পোকা ধরেছে এবং পচে যাওয়ায় দুর্গন্ধ ছড়াচ্ছে।
আলম ট্রেডার্সের আখাউড়া স্থলবন্দর প্রতিনিধি মো. আক্তার হোসেন বলেন, গমগুলো ভেজা হওয়ায় রফতানিকারকের সাথে সমঝোতার ভিত্তিতে খালাসের উদ্যোগ নেওয়া হয়েছিল। কিন্তু শুল্ক কর্তৃপক্ষ ছাড় দিব-দিচ্ছি করতে করতে গমগুলো আর নির্ধারিত সময়ে খালাস করা যায়নি। ফলশ্রুতিতে অবহেলায় গুদামে পড়ে থেকেই সবগুলো গম পচে নষ্ট হয়েগেছে। এগুলো এখন আর ছাড়ানোর কোনো যৌক্তিকতা নেই, কারণ পশুখাদ্য হিসেবেও ব্যবহারের উপযুক্ত নেই গমগুলো।
এদিকে, দীর্ঘদিন ধরে গমগুলো গুদামে ফেলে রাখায় বিপাকে পড়েছে স্থলবন্দর কর্তৃপক্ষ। গুদাম ভাড়া বাবদ পাওনা হয়েছে কয়েক লাখ টাকা। যা আর আদায়ের কোনো সম্ভাবনাও দেখছে না কর্তৃপক্ষ। এছাড়া গুদামে অন্য কোনো পণ্যও রাখা যাচ্ছে না। তবে গুদাম খালি করার লক্ষ্যে গমগুলো ধ্বংসের উদ্যোগ নিয়েছে শুল্ক কর্তৃপক্ষ।
আখাউড়া স্থলবন্দরের সহকারী পরিচালক মো. মাহমুদুল হাসান বলেন, সবগুলো গমে পোকা ধরেছে এবং দুর্গন্ধও ছড়াচ্ছে। তবে আমদানিকারক গমগুলো আর ছাড়াতে আগ্রহী নয়। ফলে গুদামও খালি করা যাচ্ছে না। এতে করে বন্দর কর্তৃপক্ষও ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে। এছাড়া বন্দরের বিদ্যমান সড়কটি চারলেন উন্নীতকরণ কাজের জন্য গুদামটি ভাঙা পড়বে। তাই দ্রুত গুদাম খালি করা প্রয়োজন।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে আখাউড়া স্থল শুল্ক স্টেশনের সহকারী কমিশনার মো. ইমরান হোসেন বলেন, গমগুলো ভেজা এবং নিম্নমানের ছিল। তাই আমদানি নীতিবর্হিভূত হওয়ায় তখন ছাড় দেওয়া যায়নি। পরবর্তীতে আমদানিকারককে চিঠি দেওয়া হলেও গমগুলো খালাসে আগ্রহী নয় বলে জানায়। গমগুলো পশুখাদ্য হিসেবে ব্যবহারের উপযোগী কিনা- সেটি পরীক্ষা করে দেখার জন্য নমুনা পাঠানো হয়েছিল। পরীক্ষার রিপোর্টে বিষয়টি স্পষ্টভাবে উল্লেখ না করায় আবার রিপোর্ট চাওয়া হয়েছে। নতুন রিপোর্ট এলেই গমগুলো আনুষ্ঠানিকভাবে বাজেয়াপ্ত ঘোষণা করে ধ্বংসের প্রক্রিয়া শুরু হবে।
চলারপথে রিপোর্ট :
ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার আখাউড়ায় উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে শহীদ স্মৃতি ডিগ্রি কলেজ কেন্দ্রে অবৈধভাবে গোপনকক্ষে গিয়ে অন্য ভোটারের ব্যালট পেপারে সিল মারার দায়ে মাহবুব মিয়া (৩৮) নামে এক পুলিং এজেন্টকে ৭ দিনের কারাদণ্ড দিয়েছেন ভ্রাম্যমাণ আদালত। তিনি মাইক প্রতীকের এজেন্ট ছিলেন।
এসময় ভোট কক্ষে দ্বায়িত্বে অবহেলার প্রমাণ পাওয়ায় সহকারী প্রিজাইডিং অফিসার আব্দুল আলীকে নির্বাচনের দায়িত্ব হতে অব্যাহতি দেওয়া হয়েছে। আদালত পরিচালনা করেন সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোঃ সেলিম শেখ। আজ মঙ্গলবার দুপুর দেড়টার এ ঘটনা ঘটে। এক ভোটারের ভোট জোর করে তার ইচ্ছার বিরুদ্ধে অন্য প্রতীকে দেওয়ায় দণ্ডবিধির ১৭১-চ ধারায় ০৭ দিন বিনাশ্রম কারাদণ্ড প্রদান করা হয়েছে।
চলারপথে রিপোর্ট :
গ্রীষ্ম আসার আগেই এর প্রভাব পড়লো রেললাইনে। গরমের কারণে সিলেট-ঢাকা পথের ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার আখাউড়া উপজেলার আজমপুর স্টেশনের অনতিদূরে ৩ মার্চ রবিবার দুপুরে ১৫ ফুট রেল লাইন বাঁকা হয়ে যায়। সংশ্লিষ্টরা খবর পেয়ে সেটি মেরামত করে দেন। তবে ওই সময়ে কোনো ট্রেন না থাকায় চলাচালে কোনো ধরণের ব্যাঘাত ঘটেনি বলে সংশ্লিষ্ট সূত্র দাবি করেছে।
আখাউড়া রেলওয়ে জংশনের সহকারি নির্বাহী প্রকৌশলী (এইএন) মো. মেহেদী হাসান তারেক জানান, আজমপুর-মুকুন্দপুর সেকশনে ১৫ ফুটের মতো লাইন বাঁকা হয়ে যায়। রেলপথে দায়িত্বে থাকা লোকজন বেলা দুইটার দিকে বিষয়টি জানালে তাৎক্ষণিক ভাবে মেরামত করা হয়। তিনি বলেন, এখনো তেমন গরম পড়েনি। তবে কম গরমেও রেল লাইন বাঁকা হতে পারে। এখন গাড়ির গতি বাড়ানো হয়েছে। যেসব জায়গায় বাঁক আছে সেখানে কম গরমেও লাইন বাঁকা হওয়ার সম্ভাবনা থাকে।
চলারপথে রিপোর্ট :
আন্তঃদেশীয় বাণিজ্য ও যাত্রীসেবার মান বাড়াতে শীঘ্রই আখাউড়া স্থলবন্দরে অবকাঠামোগত উন্নয়ন কাজ শুরু হবে বলে জানিয়েছেন বাংলাদেশ স্থলবন্দর কর্তৃপক্ষের চেয়ারম্যান মানজারুল মান্নান।
আজ ২৬ অক্টোবর শনিবার বিকেলে ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার আখাউড়া স্থলবন্দরের অপারেশনাল কার্যক্রম পরিদর্শন শেষে এসব কথা জানান তিনি। বন্দর কর্তৃপক্ষের চেয়ারম্যান বলেন, সরকার পরিবর্তনের পর সবকিছুই নতুনভাবে গঠন করতে হচ্ছে। তবে আশা করছি শীঘ্রই আখাউড়া স্থলবন্দরের উন্নয়নমূলক অবকাঠামোগত কাজগুলো শুরু হবে। এর ফলে আন্তঃদেশীয় বাণিজ্যে প্রসার ঘটবে। আর বাণিজ্য বাড়লে রাজস্বও বাড়বে।
তিনি আরো বলেন, আমদানি-রপ্তানি পণ্য নির্ধারণের ক্ষেত্রে সরকারকে অনেক বিষয় বিবেচনায় নিয়ে সিদ্ধান্ত নিতে হয়। এ বন্দর দিয়ে সব পণ্য আমদানির অনুমতি দিলে বাণিজ্য বাড়বে।
এ বিষয়টি আমরা আগেও উপস্থাপন করেছি। যখন বন্দরে অবকাঠামোগত সুযোগ-সুবিধা বাড়বে, তখন হয়তো সরকার সব ধরনের পণ্য আমদানি পণ্যের বিষয়ে সিদ্ধান্ত দেবে।
মানজারুল মান্নান সংশ্লিষ্টদের কর্মকর্তাদের সাথে নিয়ে আখাউড়া স্থলবন্দরের যাত্রী পারাপার ও রপ্তানি বাণিজ্য কার্যক্রম পরিদর্শন করেন।
এসময় চেয়ারম্যানের সঙ্গে ভারতের আগরতলাস্থ বাংলাদেশ সহকারী হাইকমিশনার আরিফ মোহাম্মদ, স্থলবন্দর কর্তৃপক্ষের সদস্য আতিকুর রহমান, ব্রাহ্মণবাড়িয়ার অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক মো. সাইফুল ইসলাম, আখাউড়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা গাজালা পারভীন রুহি, আখাউড়া স্থলবন্দরের সহকারী পরিচালক মাহমুদুল হাসান, রাজস্ব কর্মকর্তা মো. ওয়াহিদুজ্জামান খান ও আখাউড়া আন্তর্জাতিক ইমিগ্রেশন চেকপোস্ট পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মো. খাইরুল আলম উপস্থিত ছিলেন।
চলারপথে রিপোর্ট :
ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার আখাউড়া আন্তর্জাতিক ইমিগ্রেশন চেকপোষ্ট দিয়ে যাওয়া এক ভারতীয় নাগরিককে ২ কেজি হেরোইনসহ আটক করেছে আগরতলা কাষ্টমস্। জব্ধকৃত হেরোইনের বাজার মূল্য ১৪ কোটির টাকার বেশি। আটক ব্যক্তির নাম থমাস।
তিনি ভারতের মিজোরাম রাজ্যের সারচিপ জেলার বাসিন্দা। তিনি গত শুক্রবার আখাউড়া চেকপোষ্ট দিয়ে ত্রিপুরার আগরতলায় প্রবেশ করেন। আগরতলা ল্যান্ড কাস্টমস স্টেশনের সহকারি কমিশনার অভ্যুদয় গুহ এক প্রেস বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে সেখানকার গণমাধ্যমকে এ তথ্য জানিয়েছেন। এদিকে আখাউড়া কাষ্টম্স এবং চেকপোষ্ট বিজিবির পৃথক দু’টি স্ক্যানার থাকা সত্বেও কীভাবে ওই ব্যক্তি এত বিপুল পরিমাণ হেরোইন নিয়ে চলে গেল তা বোধগম্য হচ্ছে না সংশ্লিষ্টদের।
ওই প্রেস বিজ্ঞপ্তির বরাত দিয়ে আগরতলা থেকে প্রকাশিত দৈনিক স্যান্দনসহ কয়েকটি পত্রিকায় রবিবার সংবাদ প্রকাশ হয়েছে। প্রকাশিত সংবাদে উল্লেখ করা হয়, থমাসের সঙ্গে থাকা কালো রংয়ের স্যুটকেসের ভেতরে এক্সরে-রোধক কাগজের বোর্ড দিয়ে মুড়ানো দু’টি প্যাকেটে হেরোইন ছিল। যা এক্সরে মেশিনেও ধরা পড়েনি।
তবে সুনির্দিষ্ট তথ্যের ভিত্তিতে তল্লাশি চালিয়ে সাদা হেরোইন পাউডার উদ্ধার করা হয়।
আটক থমাস কাতারের দোহা থেকে বিমানে ঢাকা হয়ে সড়ক পথে আখাউড়ায় এসে আগরতলায় প্রবেশ করে সংবাদে উল্লেখ করা হয়।
উল্লেখ্য, আখাউড়া কাস্টমস-এ অত্যাধুনিক ব্যাগেজ স্ক্যানার মেশিন স্থাপন করা হয়েছে। এক মাস আগে জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের চেয়ারম্যান সেটি আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন করেছেন। কিন্তু উদ্বোধনের পর থেকে যাত্রীদের ব্যাগেজ স্ক্যান করা হচ্ছে না। কক্ষটি সব সময় তালাবদ্ধ থাকে।
এদিকে রবিবার বেলা ২টার দিকে আখাউড়া কাষ্টম্স রাজস্ব কর্মকর্তা হাবিবুল্লাহ খানের কাছে এ বিষয়ে জানার জন্য মোবাইলে একাধিকবার কল দিলেও তিনি রিসিভ করেন নি।
আইসিপি বিজিবির নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক কর্মকর্তা বলেন, তিন দিন ধরে আমাদের স্ক্যানার মেশিনটি নষ্ট হয়ে আছে।
চলারপথে রিপোর্ট :
পুলিশের সরকারি কর্তব্য কাজে বাধা ও ককটেল বিস্ফোরনের অভিযোগে দায়েরকৃত মামলায় আখাউড়ায় বিএনপি-জামাতের ১৯ নেতাকর্মীকে আটক করেছে পুলিশ। ২৮ অক্টোবর রাত ৯টার দিকে আখাউড়া পৌরশহরের নারায়ণপুর বাইপাস তিন রাস্তার মোড়ে পুলিশের কর্তব্য কাজে বাধা ও বিস্ফোরণের অভিযোগে ২৯ অক্টোবর উপ-পুলিশ পরিদর্শক মোবারক আলী বাদী হয়ে এ মামলা করেন। আটককৃতদের মধ্যে ১৭ জন বিএনপির নেতাকর্মী এবং ২ জন জামাতের। তবে, উপজেলা বিএনপির শীর্ষ নেতাদের দাবি, আন্দোলন দমনে মিথ্যা মামলায় তাদের নেতাকর্মীদের আটক করছে পুলিশ।
গত ১৬ দিনে পুলিশের অভিযানে আটককৃতরা হলো উপজেলা ছাত্রদলের সাবেক সাধারণ সম্পাদক জিয়াউল হাসান খান সানি (৩২), উপজেলা যুবদলের সাবেক যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মোঃ জাহাঙ্গীর আলম রানা (৫০), উপজেলা কৃষক দলের সভাপতি মোঃ আমজাদ খান (৫০), উপজেলা ছাত্রদলের সাবেক সদস্য সচিব মোবারক হোসেন (৩১), উপজেলা ছাত্রদলের সাবেক যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মোঃ লুৎফুর রহমান ভূইয়া (৪৫), মনিয়ন্দ ইউনিয়ন বিএনপির য্গ্মু সাধারণ সম্পাদক মোঃ মজিবুর চৌধুরী (৫৪), মনিয়ন্দ প্রবাসী বিএনপির সাধারণ সম্পাদক মোঃ হাবিব সরকার (২৯), উপজেলা যুবদলের সদস্য শেখ সুমন (৪২) দরখার ইউনিয়নের ওয়ার্ড বিএনপির সভাপতি আতিকুর রহমান মানিক (৫০), ধরখার ইউনিয়ন যুবদলের সহ সভাপতি মোঃ রফিকুল ইসলাম খন্দকার (৩৭, মোগড়া ইউনিয়ন যুবদলের সাংগঠনিক সম্পাদক ফয়েজ আহমেদ (৪০), উপজেলা শ্রমিক দলের সদস্য মোঃ আলমগীর মিয়া (৪৬), মোগড়া ইউনিয়ন বিএনপির সহ সভাপতি মোঃ ইয়াছিন মিয়া (৪০), বিএনপির কর্মী মোঃ কাউছার (১৯), বিএনপি কর্মী মোঃ ইকবাল (৫০), মনিয়ন্দ ইউনিয়ন বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক মোঃ রতন মিয়া (৫৪) জেলা স্বেচ্ছা সেবক দলের সদস্য মোঃ আসাদুল ইসলাম আশিক (৪৭) উপজেরা জামাতের শ্রমিক কল্যাণ সংগঠনের সাবেক সভাপতি ইউসুফ আল আনসারী (৫৫), জামাতের কর্মী মোঃ রতন (৪৫)।
এ ব্যাপারে আখাউড়া উপজেলা বিএনপির আহবায়ক মোঃ জয়নাল আবেদীন বলেন, যে তারিখ ও সময়ে যে ঘটনার কথা উল্লেখ করে পুলিশ মামলা করেছে। প্রকৃতপক্ষে এমন কোন ঘটনা ঘটেনি। বিএনপির নেতাকর্মীকে আটক করার জন্য মিথ্যাা মামলা দিয়েছে। আমরা এর নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাই। সামনে নির্বাচন, গায়েবী মামলা দিয়ে বিএনপি নেতাকর্মীকে দূরে রাখার জন্য এ মামলা করেছে বলে মন্তব্য করেন তিনি।
এ ব্যাপারে জানতে চাইলে আখাউড়া থানার অফিসার ইনচার্জ মোঃ আসাদুল ইসলাম বলেন, তারা সরকারের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্রে লিপ্ত ছিল। ঘটনাস্থলে পুলিশের উপর হামলা করে। সরকারি কাজে বাধা দেয়।
উল্লেখ্য, পুলিশের সরকারি কর্তব্য কাজে বাধা, পুলিশের উপর আক্রমণ, ও ককটেল বিস্ফোরনের দায়ে আখাউড়া থানার উপ-পুলিশ পরিদর্শক মোবারক আলী বাদী হয়ে ৬১ জনের নাম উল্লেখ করে থানায় মামলা করেছে। মামলায় অজ্ঞাতানামা আরো শতাধিক লোককে আসামী করা হয়েছে।