অনলাইন ডেস্ক :
রাজধানীর কমলাপুর রেলস্টেশনের বহির্গমন পথের ডিজিটাল স্ক্রিনে ‘আওয়ামী লীগ জিন্দাবাদ’ লেখা স্লোগান ভেসে ওঠার ঘটনায় ঢাকা বিভাগীয় রেলওয়ের উপ-সহকারী প্রকৌশলী (বিদ্যুৎ) মোবারক হোসেনকে চাকরি থেকে বরখাস্ত করা হয়েছে। তার বিরুদ্ধে দায়িত্বে অবহেলার অভিযোগ আনা হয়েছে।
ঢাকা বিভাগীয় রেলওয়ে ব্যবস্থাপক মোহাম্মদ মহিউদ্দিন আরিফ গণমাধ্যমকে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
এ ঘটনায় রেলওয়ে থানায় একটি মামলা করা হয়েছে বলেও জানিয়েছেন তিনি।
২৬ অক্টোবর শনিবার সকালে কমলাপুর রেলওয়ে স্টেশনের বের হওয়ার পথে ডিজিটাল স্ক্রিনে ‘আওয়ামী লীগ জিন্দাবাদ’ লেখা স্লোগান প্রচারিত হয়। এই ঘটনার একটি ভিডিও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়লে ব্যাপক বিতর্কের সৃষ্টি হয়। নেটিজেনদের একটি পক্ষ এই ঘটনায় জড়িতদের স্বৈরাচারের দোসর উল্লেখ করে তাদের গ্রেফতারের দাবি জানান। সূত্র : কালেরকণ্ঠ
চলারপথে রিপোর্ট :
ভারতের ত্রিপুরা রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মানিক সাহার জন্য উপহার হিসেবে ৫০০ কেজি হিমসাগর আম পাঠিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
আজ ১৫ জুন বৃহস্পতিবার দুপুর ১টায় ব্রাহ্মণবাড়িয়ার আখাউড়া স্থলবন্দর দিয়ে ১০০টি কার্টনে করে আমগুলো ত্রিপুরায় পাঠানো হয়।
স্থলবন্দরের শূন্যরেখায় আগরতলাস্থ বাংলাদেশের সহকারী হাইকমিশনার আরিফ মোহাম্মদ উপহারের আমগুলো গ্রহণ করেন। তিনি প্রধানমন্ত্রীর উপহারস্বরূপ আমগুলো ত্রিপুরার মুখ্যমন্ত্রীকে পৌঁছে দেবেন।
আমগুলো পাঠানোর ক্ষেত্রে আখাউড়া স্থলবন্দরের সিঅ্যান্ডএফ এজেন্ট সুয়েব ট্রেড ইন্টারন্যাশনাল কাস্টমস ক্লিয়ারিংসহ অন্যান্য আনুষ্ঠানিকতা সম্পন্ন করেছে।
আগরতলাস্থ বাংলাদেশ সহকারী হাইকমিশনার আরিফ মোহাম্মদ বলেন, প্রতি বছরই প্রধানমন্ত্রী এমন উপহার পাঠিয়ে থাকেন। দুই দেশের মধ্যে বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্কেরই নিদর্শন এটি। আমি আমগুলো ত্রিপুরার মুখ্যমন্ত্রীর কাছে পৌঁছে দেব। এ উপহারের মাধ্যমে দুই দেশের সম্পর্ক আরও গভীর হবে।
এ সময় স্থলবন্দরের শূন্যরেখায় আগরতলাস্থ বাংলাদেশ সহকারী হাইকমিশনের প্রথম সচিব রেজাউল হক চৌধুরী ও মো. আল আমিন এবং সিঅ্যান্ডএফ এজেন্ট সুয়েব ট্রেড ইন্টারন্যাশনালের স্বত্বাধিকারী রাজীব উদ্দিন ভূঁইয়া প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।
অনলাইন ডেস্ক :
ডেঙ্গুর চেয়ে বিএনপিকে বেশি মারাত্মক বললেন আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ও তথ্যমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ। তিনি বলেন, ডেঙ্গু (এডিস) মশা কামড়ায়, আর বিএনপি আগুন জ্বালায়।
আজ ৪ আগস্ট শুক্রবার সকালে রাজধানীর খামারবাড়ি গোল চত্বর এলাকায় কৃষক লীগ আয়োজিত এডিস মশা নিধন ও সচেতনতা তৈরি কর্মসূচি অনুষ্ঠানে এসব কথা বলেন তথ্যমন্ত্রী।
তিনি বলেন, ডেঙ্গু মারাত্মক, বিএনপি আরো বেশি মারাত্মক। ডেঙ্গুর চেয়েও অনেক ক্ষেত্রে আরও বেশি মারাত্মক। ডেঙ্গু মশা কামড়ায়, বিএনপি আগুন জ্বালায়। বিএনপি গাড়ি পোড়ায়, মানুষ পোড়ায়, জীবন্ত মানুষ পুড়িয়ে মারে। অনেক ক্ষেত্রে ডেঙ্গু মশার চেয়েও বিএনপি মারাত্মক।
ডেঙ্গু নিয়ন্ত্রণের জন্য সামাজিক আন্দোলন দরকার উল্লেখ করে তিনি বলেন, শেখ হাসিনার নেতৃত্বে ডেঙ্গু নিয়ন্ত্রণ করতে পারবো। তবে ডেঙ্গু নিয়ন্ত্রণের জন্য সামাজিক আন্দোলন দরকার, রাজনৈতিক কর্মসূচি দরকার। কোনো দল আজ পর্যন্ত ডেঙ্গু মশা নিয়ন্ত্রণ বা নিধনের জন্য কর্মসূচি দেয় নাই।
তিনি বলেন, করোনার মহামারিতে আমাদের নেতাকর্মীরা জনগণের পাশে দাঁড়িয়েছেন। আওয়ামী লীগ এবং আওয়ামী লীগের সহযোগী সংগঠনগুলো দেশের মানুষের পাশে দাঁড়িয়েছে। মানুষের পাশে দাঁড়াতে গিয়ে আওয়ামী লীগের পাঁচজন নেতা করোনায় মারা গেছেন। আমাদের দলীয় ১২ জন সংসদ সদস্য করোনা আক্রান্ত হয়ে মারা গেছেন।
তথ্যমন্ত্রী আরো বলেন, আজকে দেশে হাজার হাজার মানুষ ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়েছেন। অনেকে মারা গেছেন। অনেক দেশে আমাদের তুলনায় ডেঙ্গু আক্রান্তের হার বেশি। মৃত্যুর হারও সেখানে বেশি।
বিএনপির সমালোচনা করে ড. হাছান মাহমুদ বলেন, করোনার সময় মাঝেমধ্যে ফটোসেশন ছাড়া তাদের (বিএনপি) আর কোথাও দেখা যায়নি। এখন আছেন তারেক-জোবায়দার কেন শাস্তি হলো সেটা নিয়ে। তারা রাজনীতিটা জনগণের জন্য করে না। বিএনপি রাজনীতি করে খালেদা জিয়া, তারেক রহমান এবং তাদের পরিবারের জন্য।
কৃষক লীগের সভাপতি সমীর চন্দের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল ও কৃষিবিদ সুব্রত কুমার দাস।
কৃষক লীগের সাধারণ সম্পাদক অ্যাড. উম্মে কুলসুম স্মৃতির সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে আরও বক্তব্য দেন সহ-সভাপতি আকবর আলী চৌধুরী, হোসনে আরা এমপি, আব্দুল লতিফ তারিন, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক বিশ্বনাথ সরকার বিটু, শামীমা আক্তার খানম প্রমুখ।
চলারপথে রিপোর্ট :
নির্বাচন কমিশনার মো. আনিছুর রহমান বলেছেন, ‘অবাধ, সুষ্ঠু নির্বাচনের কোনো ব্যতয় হবে না। ভালো নির্বাচন না হলে অর্থনৈতিক ও রাজনৈতিক সংকট তৈরি হবে।সকলের প্রতি একটাই নির্দেশনা অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচন। এটি জাতির জন্য, দেশের অর্থনীতির জন্য সুষ্ঠু নির্বাচন ছাড়া কোনো বিকল্প নেই।
আজ ২২ ডিসেম্বর শুক্রবার সকালে ব্রাহ্মণবাড়িয়ার জেলা প্রশাসকের সম্মেলন কক্ষে দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার প্রতিদ্বন্দ্বি প্রার্থী, নির্বাচন কর্মকর্তাসহ সংশ্লিষ্টদের সাথে বিশেষ আইনশৃংখলা সভা ও মতবিনিময় সভা শেষে সাংবাদিকদের সাথে সংক্ষিপ্ত প্রেস ব্রিফিংয়ে তিনি একথা বলেন।
এ সময় নির্বাচন কমিশনার মো. আনিছুর রহমান আরো বলেন, প্রধানমন্ত্রী আমাদেরকে স্পষ্ট করে বলে দিয়েছেন যে, কে কোন পদের সেটা বড় কথা না। কেউ অন্যায় করলে তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে হবে।
তিনি বলেন, যারা নির্বাচনী দায়িত্ব পালন করছেন, তারা রাষ্ট্রের দায়িত্ব পালন করছে। তারা কোনো দলের কর্মচারী না। সংবিধানের ১২৬ নং অনুচ্ছেদে বলা আছে যে নির্বাহী বিভাগের দায়িত্ব নির্বাচন কমিশনকে সহায়তা দেয়া। নির্বাচন কমিশনার প্রয়োজন অনুযায়ী যে কোনো কর্মকর্তা-কর্মচারীকে যে কোন দায়িত্বে পাঠাতে পারেন।
তিনি বলেন, আগামী ২৯ ডিসেম্বর থেকে বিজিবি, র্যাব ও সেনাবাহিনী মাঠে নামবে। এবার ব্যালট পেপার ভোটকেন্দ্রে সকালে যাবে। ব্যালট পেপার যে অংশটুকু ভোটারকে দেয়া হবে সেই পেপারটিতে ভোট কেন্দ্রের প্রিজাইডিং অফিসারের সিল থাকতে হবে। এটি ছাড়া যদি কেউ ভোট দেয় সেই ভোট বাতিল ও অবৈধ বলে গণ্য করা হবে। এগুলো নির্বাচনী বিধিমালায় নতুন সংযোজন করা হয়েছে।
আচরণবিধি প্রশ্নে আনিছুর রহমান বলেন, নির্বাচনী আইনে আছে পৌরসভার প্রতিটি ওয়ার্ডে ১টি ও ইউনিয়নে ১টি করে প্রার্থীর অফিস থাকবে। এর বেশি যদি থাকে তাহলে সেগুলো স্থানীয় রিটানিং কর্মকর্তা অপসারণ করতে হবে। তাছাড়া প্রচারণা সময়সীমা রাত ৮টা পর্যন্ত দেয়া হয়েছে। এরপর যদি কেউ বাদ্যযন্ত্রের মাধ্যমে প্রচারণা চলায় তাহলে ব্যবস্থা নিতে হবে। নির্বাচন আচরণবিধি লঙ্ঘনে কোনো রকম ছাড় দেয়া যাবে না।
তিনি বলেন, মোটরসাইকেল দিয়েও কোনো প্রচারণা চালানো যাবে না। সেজন্য চেকপোস্ট বসিয়ে মোটর সাইকেলে বৈধ কাগজ নেই সেগুলোকে আটক করা হবে। শুধু মটর সাইকেল নয়, কোনো রকম যানবাহন দিয়ে মহড়া করতে পারবে না। এগুলো যদি চোখে পড়ে তাহলে রিটার্নিং কর্মকর্তা ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট যারা রয়েছে তাদের কাছে অভিযোগ দেবেন।
প্রেস ব্রিফিংয়ে জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ হাবিবুর রহমান, পুলিশ সুপার মোঃ শাখাওয়াত হোসেন, ৬০ বিজিবির ব্যাটালিয়ান অধিনায়ক লে. কর্ণেল আশিক হাসান উল্লাহ প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।
অনলাইন ডেস্ক :
দেশের ২৫ জেলার জেলা প্রশাসককে (ডিসি) প্রত্যাহার করে বিভিন্ন মন্ত্রণালয় ও দপ্তরে বদলি করা হয়েছে। আজ ২০ আগস্ট মঙ্গলবার এ সংক্রান্ত দুটি প্রজ্ঞাপন জারি করেছে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়। এর মধ্যে প্রথম প্রজ্ঞাপনে ঢাকা, সিলেট, হবিগঞ্জ, ময়মনসিংহ, মাগুরা, রংপুর, গাইবান্ধা, নওগাঁ, নাটোর, কক্সবাজার, চট্টগ্রাম, নোয়াখালী, গাজীপুর, কুমিল্লা, মৌলভীবাজার, খুলনা ও গোপালগঞ্জের ডিসিকে প্রত্যাহার করার কথা জানানো হয়েছে।
দ্বিতীয় প্রজ্ঞাপনে ফরিদপুর, শেরপুর, কুষ্টিয়া, ঝিনাইদহ, পাবনা, বগুড়া, জয়পুরহাট ও চাঁদপুরের ডিসিকে প্রত্যাহার করার কথা বলা হয়।
ডিসি পদ থেকে এসব কর্মকর্তাকে প্রত্যাহার করে বিভিন্ন দপ্তরে উপসচিব পদে বদলি করা হয়েছে।