চলারপথে রিপোর্ট :
আশুগঞ্জ থানা পুলিশের বিশেষ অভিযানে ৩২ কেজি গাঁজা, ২টি গাড়িসহ ২ জনকে আটক করা হয়েছে।
আজ ২৭ অক্টোবর রবিবার দুপুরে এসআই গাজী রবিউল ইসলাম ফোর্সসহ তাদেরকে আটক করেন।
জানা যায়, গোপন সূত্রের তথ্যের ভিত্তিতে ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার আশুগঞ্জ উপজেলার চরচারতলা সৈয়দ নজরুল ইসলাম সেতুর আশুগঞ্জ টোলপ্লাজার পূর্বপাশে পাকা রাস্তার উপর থেকে তাদেরকে আটক করা হয়।
আটককৃতরা হলেন, হবিগঞ্জ জেলার চুনারুঘাট উপজেলার ছোনখোলা গ্রামের মৃত আহম্মদ আলীর ছেলে মো. আইয়ুব আলী (৩২) এবং হবিগঞ্জ জেলার চুনারুঘাট উপজেলার জারুলিয়া গ্রামের মজিবর রহমানের ছেলে মো. রুবেল মিয়া (২৩)।
আটককৃতদের বিরুদ্ধে আশুগঞ্জ থানায় আইনগত ব্যবস্থা প্রক্রিয়াধীন।
চলারপথে রিপোর্ট :
ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার আশুগঞ্জে জায়গা নিয়ে বিরোধের জের ধরে সোহেল মিয়া (৩৫) নামে এক যুবককে হত্যা ঘটনার মামলায় প্রধান আসামী খলিল মিয়া (৩৬) ও তার স্ত্রী আকলিমা বেগম (২৮) কে গ্রেফতার করেছে র্যাব।
গতকাল শনিবার বিকেলে সিলেটের জৈন্তাপুর এলাকা হতে প্রধান আসামী খলিল মিয়া ও তার স্ত্রী আকলিমাকে গ্রেফতার করা হয়।
আজ ২৪ মার্চ রবিবার দুপুরে র্যাব-৯-এর মিডিয়া অফিসার সহকারী পুলিশ সুপার মশিহুর রহমান সোহেল সাক্ষরিত এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এই তথ্য জানানো হয়।
গ্রেফতারকৃত খলিল মিয়া আশুগঞ্জ উপজেলার আড়াইসিধা গ্রামের কাশেম মিয়ার ছেলে ও আকলিমা বেগম খলিল মিয়ার স্ত্রী।
সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, আড়াইসিধা গ্রামের বীর মুক্তিযোদ্ধা মুক্তিযোদ্ধা রোকন উদ্দিনের সাথে জায়গা সম্পত্তি তার ভাই কাশেম মিয়ার বিরোধ ছিলো।
এরই জেরে গত ১০ ফেব্রুয়ারি বিকেলে রোকন উদ্দিনের সাথে তার ভাতিজা আলমগীর, খলিল, মাইনুদ্দিন ও রমজানের সাথে কথা কাটাকাটি হয়। এক পর্যায়ে তারা রোকন উদ্দিনকে এলোপাতাড়ি মারধর শুরু করে। এই অবস্থায় রোকন উদ্দিনের ছেলে সোহেল মিয়া বাবার চিৎকার শুনে এগিয়ে আসলে তাকে এলোপাতাড়ি মারধর করে গুরুতর জখম করে।
আশঙ্কাজনক অবস্থায় পরিবারের লোকজন সোহেলকে উদ্ধার করে ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট জেনারেল হাসপাতাল ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় নিয়ে গেলে চিকিৎসারত অবস্থায় সোহেল মৃত্যুবরণ করেন।
এ ঘটনায় বীর মুক্তিযোদ্ধা রোকন উদ্দিন বাদী হয়ে ০৬ জনের নাম উল্লেখসহ অজ্ঞাতনামা ২/৩ জনের নামে আশুগঞ্জ থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন।
মামলা দায়েরের পর থেকে আসামীরা গা ডাকা দেয়। গত শনিবার বিকেলে সিলেটের জৈন্তাপুর এলাকা হতে প্রধান আসামী খলিল মিয়া ও তার স্ত্রী আকলিমাকে গ্রেফতার করা হয়। সহকারী পুলিশ সুপার মশিহুর রহমান সোহেল বলেন, গ্রেফতারকৃতদেরকে আশুগঞ্জ থানায় হস্তান্তর করা হয়েছে।
চলারপথে রিপোর্ট :
ঢাকা-চট্টগ্রাম-সিলেট রেলপথের মেঘনা নদীতে শহীদ আবদুল হালিম রেলসেতুতে আবারও অগ্নিকান্ডের ঘটনা ঘটেছে। গতকাল শুক্রবার রাত ৯টার দিকে এ ঘটনা ঘটে। পরে ভৈরব বিদুৎ বিতরণ বিভাগের সহায়তায় আধা ঘণ্টার চেষ্টায় আগুন নেভাতে সক্ষম হয় ভৈরব ফায়ার সার্ভিসের রিভার ইউনিট।
আশুগঞ্জ বিদ্যুৎ বিক্রয় ও বিতরণ বিভাগ সূত্র জানায়, আশুগঞ্জ থেকে ভৈরবে বিদ্যুৎ সরবরাহের ৩৩ কেভি’র ৩টি লাইন শহীদ আব্দুল হালিম রেলসেতু (প্রথম রেল সেতু) দিয়ে নেয়া হয়। এ ৩টি লাইনের মধ্যে ১টি নতুন ও ২টি পুরাতন। শুক্রবার রাত ৯টার দিকে বিকট শব্দে একটি বিদ্যুৎ লাইনের কেবল ফেটে গিয়ে আগুন ধরে যায়। বিদুৎ বিভাগ থেকে তাৎক্ষনিক বিদ্যুৎ সরবরাহ বন্ধ করে দেয়া হলেও সেতুতে আগুন জ্বলতে দেখা যায়।
খবর পেয়ে আশুগঞ্জ ফায়ার সার্ভিসের ইউনিট ঘটনাস্থলে পৌছে। কিন্তু সেতুর যে স্থানে আগুন তা নদীর মাঝামাঝি দিকে হওয়ায় তারা ফায়ার সার্ভিসের ভৈরব রিভার ইউনিটকে ঘটনাস্থলে আসতে অনুরোধ করে। ভৈরব ফায়ার সার্ভিসের রিভার ইউনিট ঘটনাস্থলে পৌঁছে পানি দেয় এবং পাশাপাশি ভৈরব বিদ্যুৎ বিতরণ বিভাগ অগ্নিনিরোধক গ্যাস নিক্ষেপ করে রাত সাড়ে নয়টার দিকে আগুন নেভাতে সক্ষম হয়। আগুনে বড় ধরনের কোন ক্ষতি না হলেও এ লাইনে বিদ্যুৎ সরবরাহ বন্ধ রয়েছে।
বিষয়টি নিশ্চিত করে আশুগঞ্জ ফায়ার সার্ভিসের স্টেশন ইনচার্জ মো. মিজানুর রহমান ও ভৈরব রিভার স্টেশনের লিডার মো. জহিরুল ইসলাম ভূঁইয়া জানান, খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পৌছে বিদ্যুৎ বিভাগ ও ফায়ার সার্ভিসের রিভার ইউটিটের সহায়তায় ২৫ মিনিটে আগুন নেভানো হয়।
ভৈরব বিদ্যুৎ বিতরণ বিভাগের সহকারি প্রকৌশলী মো. ইমরান হোসেন তালুকদার বলেন, সেতুতে বিদ্যুৎ বিতরণ বিভাগের একটি ক্যাবল বিস্ফোরিত হয়ে আগুনের সুত্রপাত। ঘটনার পরপরই বিদ্যুৎ বিভাগের লোকজন ঘটনাস্থলে পৌঁছে অগ্নিনিরোধক দ্রব্য (কার্বন ডাই অক্সাইড ও এবিসি ফোম) নিক্ষেপ করে। পরে ফায়ার সার্ভিসের সহায়তায় আগুন নেভানো হয়। শনিবার এ লাইন মেরামত করা হবে। এতে ভয় বা আতংকের কারণ নেই। কেননা ভালভাবে আর্থিং করা থাকায় সেতু বিদ্যুতায়িত হওয়ার সম্ভাবনা নেই।
রেলওয়ে সূত্রে জানা গেছে, গত বছরের ১৮ ফেব্রুয়ারি রাতেও সেতুতে এ ধরনের অগ্নিকাণ্ড ঘটেছিল। এসময় সতর্ক বার্তা না পাঠানোয় আগুন জ্বলা অবস্থায় সেতু দিয়ে ব্রাহ্মণবাড়িয়াগামী তিতাস ট্রেন সেতু অতিক্রম করেছিল। ওই ঘটনার পরেও আরো একবার ছোটখাট অগ্নিকান্ডের ঘটনা ঘটে।
এদিকে বারবার রেল সেতুতে অগ্নিকান্ডের ঘটনাকে ঝুঁকিপুর্ণ মনে করছে বাংলাদেশ রেলওয়ে এবং ফায়ার সার্ভিস কর্তৃপক্ষ। তারা মনে করেন, কখনো সেতুতে ট্রেন থাকা অবস্থায় এ ধরনের ঘটনা ঘটলে বড় ধরনের ক্ষয়-ক্ষতির আশংকা রয়েছে। তাই গত বছর অগ্নিকান্ডের পর সেতুতে থাকা বিদ্যুৎ লাইন সরিয়ে নিতে বিদ্যুৎ বিতরণ বিভাগকে অনুরোধ জানিয়ে চিঠি দেয় রেলওয়ে কর্তৃপক্ষ।
বিদ্যুৎ বিতরণ বিভাগের কর্মকর্তাদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, মেঘনা নদীতে টাওয়ার নির্মাণ করা না হলে আপাতত সেতু থেকে বিদ্যুতের লাইন সরিয়ে নেয়া সম্ভব নয়।
এ ব্যাপারে রেলওয়ের সহকারি নির্বাহী প্রকৌশলী মো. নাজমুল হাসান বলেন, বারবার সেতুতে আগুনের ঘটনা উদ্বেগজনক। সেতু থেকে বিদ্যুৎ সরবরাহের তার সরিয়ে নিতে বা এ ধরনের ঘটনা আর যেন না ঘটে, সে ব্যাপারে পদক্ষেপ নিতে বিদ্যুৎ বিভাগকে অনুরোধ করে চিঠি দেওয়া হয়েছে।
চলারপথে রিপোর্ট :
প্রশাসনের আশ্বাসে ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার আশুগঞ্জ নদীবন্দরে অনির্দিষ্টকালের নৌযান ধর্মঘট প্রত্যাহার করা হয়েছে। আজ ১২ জুন সোমবার বন্দরে কাজে যোগদান করেছেন শ্রমিকরা।
নৌযান শ্রমিক ফেডারেশনের কেন্দ্রীয় সমন্বয়ক হাবিবুল্লাহ বাহার মাস্টার জানান, প্রশাসন থেকে আমাদের আশ্বাস দেওয়া হয়েছে, বিষয়টির সুষ্ঠু সমাধান করবে। তাই আমরা ধর্মঘট প্রত্যাহার করে নিয়েছি। শ্রমিকরা কাজে যোগদান করেছেন। আগামীকাল আমাদের সভা আহ্বান করা হয়েছে। সেখানে এই বিষয়ে আলোচনার পর পরবর্তী করণীয় সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হবে।
এ বিষয়ে আশুগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) শ্যামল চন্দ্র বসাক জানান, প্রশাসনের পক্ষ থেকে শ্রমিক নেতাদের সঙ্গে কথা হয়েছে। শ্রমিকরা কাজে ফিরেছেন।
জানা যায়, শনিবার আশুগঞ্জ নৌবন্দরে তদারকি করতে কার্গো জাহাজ মালিকদের সংগঠন বাংলাদেশ কার্গো ভেসেল ওনার্স অ্যাসোসিয়েশনের কেন্দ্রীয় নেতারা ও ওয়াটার ট্রান্সপোর্ট সেলের নেতারা আসেন। এ সময় তীরে নোঙরে থাকা ১৮টি জাহাজের শ্রমিকদের কোনো কারণ ছাড়াই মারধর করেন মালিক পক্ষের লোকজন। শ্রমিকদের মারধরের প্রতিবাদে রবিবার থেকে অনির্দিষ্টকালের ধর্মঘট শুরু করেন শ্রমিকরা।
আশুগঞ্জ নদী বন্দরে নৌপথে সার, রড, সিমেন্ট, ধান, চাল, পাথর, কয়লাসহ কোটি কোটি টাকার বিভিন্ন পণ্য নিয়ে প্রতিদিন অর্ধশত জাহাজ নোঙর করে। এসব পণ্য আশুগঞ্জ থেকে সিলেট, হবিগঞ্জ, মৌলভীবাজার, সুনামগঞ্জ, ব্রাহ্মণবাড়িয়া, কুমিল্লা, কিশোরগঞ্জের চাহিদা মিটিয়ে থাকে।
চলারপথে রিপোর্ট :
ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার আশুগঞ্জে অটোরিকশা চালকের পানির জগের আঘাতে মোশারফ হোসেন (৫৮) নামে এক ব্যক্তি নিহত হয়েছেন।
২৫ ডিসেম্বর সোমবার সন্ধ্যার দিকে উপজেলার শরীফপুর ইউনিয়নের খোলাপাড়া বাজারে এ ঘটনা ঘটে।
মোশারফ হোসেন খোলাপাড়া দুল্লা গ্রামের মৃত আব্দুল মান্নানের ছেলে।
স্থানীয়দের বরাত দিয়ে আশুগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. নাহিদ আহমেদ জানান, সন্ধ্যায় খোলাপাড়া বাজারে খোলাপাড়া মোল্লা বাড়ির সাইদুর রহমানের ছেলে অটোরিকশা চালক ইমরান (৪০) তার গাড়ি তুলে দেন মোশারফ হোসেনের পায়ে। এ ঘটনায় দুজনের মধ্যে বাকবিতণ্ডার এক পর্যায়ে ইমরান পাশের চায়ের দোকানের পানির জগ দিয়ে মোশারফের মাথায় আঘাত করেন। এতে তিনি অজ্ঞান হয়ে মাটিতে লুটিয়ে পড়েন। এসময় স্থানীয় লোকজন তাকে উদ্ধার করে ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় হাসপাতালে নিয়ে যাওয়ার পথে মোশারফ মারা যান।
ওসি আরো জানান, মোশারফের মরদেহ ময়নাতদন্তের জন্য জেনারেল হাসপাতাল ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় পাঠানো হয়েছে। ঘটনার পর ঘাতক ইমরানকে আটক করা হয়েছে।
স্টাফ রিপোর্টার:
গৌরব ও অহংকারের ১৬ ডিসেম্বর বাঙ্গালী জাতির মহান বিজয় দিবস। বিজয় দিবসে জাতি সশ্রদ্ধচিত্তে স্মরণ করবে স্বাধীনতার স্বপ্নপুরুষ, সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ বাঙালি, বাংলাদেশের মহান স্থপতি জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে। কৃতজ্ঞচিত্তে স্মরণ করবে অকুতোভয় বীর মুক্তিযোদ্ধা, জীবন উৎসর্গকারী ও যুদ্ধাহত বীর সন্তানদের, যাঁদের ত্যাগে অর্জিত হয়েছে আমাদের কাঙ্খিত বিজয়; জাতি অর্জন করেছে লাল সবুজ পতাকা এবং স্বাধীন সার্বভৌম দেশ। বিজয়ের সুবর্ণজয়ন্তী ও মুজিববর্ষে মহান বিজয় দিবস-২০২২ যথাযোগ্য মর্যাদায় উদযাপনের লক্ষ্যে ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা প্রশাসন বিভিন্ন কর্মসূচী গ্রহণ করেছে। আজ প্রত্যুষে সূর্যোদয়ের সাথে সাথে ব্রাহ্মণবাড়িয়া শহরের ফারুকী পার্কে ৫০ বার তোপধ্বনির মাধ্যমে দিবসটির সূচনা হবে। বর্ণাঢ্য অনুষ্ঠানমালার মধ্যে রয়েছে- ফারুকী পার্কস্থ স্মৃতিসৌধে সরকারি-বেসরকারি, স্বায়ত্বশাসিত বিভাগ/সংস্থা সামাজিক, রাজনৈতিক, সাংস্কৃতিক ও পেশাজীবী সংগঠনসহ সর্বস্তরের জনতা কর্তৃক স্মৃতিসৌধে পুস্পস্তবক অর্পন, সূর্যোদয়ের সাথে সাথে সরকারি, বেসরকারি স্বায়ত্ব শাসিত এবং বেসরকারি ভবনে যথাযোগ্য মর্যাদায় জাতীয় পতাকা উত্তোলন, সকাল ৮টায় ব্রাহ্মণবাড়িয়া নিয়াজ মুহম্মদ স্টেডিয়ামে আনুষ্ঠানিকভাবে জাতীয় পতাকা উত্তোলন করবে জেলা প্রশাসন। এ সময় কুচকাওয়াজ ও অভিবাদন গ্রহণ অনুষ্ঠিত হবে। মহান বিজয় দিবস উপলক্ষ্যে সকাল সাড়ে ১০টায় একই মাঠে মোরগ লড়াই ও বেলা ১১টায় কারাতে প্রতিযোগিতা, একই মাঠে বীর মুক্তিযোদ্ধা এবং শহীদ বীর মুক্তিযোদ্ধা পরিবারের সদস্যদেরকে সংবর্ধনা প্রদান এবং জাতির পিতার স্বপ্নের সোনার বাংলা বিনির্মাণে মুক্তিযুদ্ধের চেতনা ধারণ ও ডিজিটাল প্রযুক্তির সর্বোত্তম ব্যবহার শীর্ষক আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হবে বেলা ১১টায়। বেলা সাড়ে ১১টায় ব্রাহ্মণবাড়িয়া মূক ও বধির নিম্নমাধ্যমিক বিদ্যালয় ও সরকারি শিশু পরিবারের সুবিধাবঞ্চিত শিশুদের অংশগ্রহণে ক্রীড়া ও সাংস্কৃতিক প্রতিযোগিতা অনুষ্ঠিত হবে। এরপর জেলার সকল মসজিদে বাদ জোহর জাতির শান্তি, সমৃদ্ধি ও অগ্রগতি কামনা এবং মুক্তিযুদ্ধে শহিদ ও যুদ্ধাহত বীর মুক্তিযোদ্ধাদের জন্য বিশেষ মোনাজাত এবং অন্যান্য ধর্মীয় উপাসনালয়সমূহে সুবিধাজনক সময়ে প্রার্থনা অনুষ্ঠিত হবে। পাশাপাশি এদিন ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার সকল সরকারি হাসপাতাল, শিশু সদন, জেলখানা, এতিমখানা ও শিশু পরিবারে উন্নতমানের খাবার পরিবেশন করা হবে। বিকেল আড়াটায় ব্রাহ্মণবড়িয়া নিয়াজ মুহাম্মদ স্টেডিয়ামে জেলা প্রশাসন একাদশ বনাম ব্রাহ্মণবাড়িয়া পৌরসভা ও মুক্তিযোদ্ধা একাদশ দলের মধ্যে প্রীতি ফুটবল প্রতিযোগিতা অনুষ্ঠিত হবে। বিকাল ৩টায় সরকারি মডেল বালিকা উচ্চ বিদ্যালয় মাঠে জেলা মহিলা ক্রীড়া সংস্থার আয়োজনে ক্রীড়া প্রতিযোগিতা ও পুরষ্কার বিতরণ করা হবে। বিকেল সাড়ে ৫টায় মহান বিজয় দিবস উপলক্ষ্যে সাংস্কৃতিক ও পুরষ্কার বিতরণী অনুষ্ঠিত হবে।
মহান এ দিবসের সকল অনুষ্ঠানে যথাযথ স্বাস্থ্যবিধি মেনে দেশপ্রেমি মানুষের স্ববান্ধব উপস্থিতি কামনা করেছেন ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা প্রশাসক মোঃ শাহগীর আলম।
অনুরূপ কর্মসূচি জেলার সকল উপজেলায় পালিত হবে।