চলারপথে রিপোর্ট :
ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় সাবেক গৃহায়ণ ও গণপূর্ত মন্ত্রী ও ব্রাহ্মণবাড়িয়া-৩-(সদর-বিজয়নগর) আসনের সাবেক সংসদ সদস্য র. আ. ম উবায়দুল মোকতাদির চৌধুরী ও তার সহধর্মীনি মাউশির সাবেক মহাপরিচালক ও ইউনির্ভাসিটি অব ব্রাহ্মণবাড়িয়ার ট্রেজারার প্রফেসর ফাহিমা খাতুনসহ আওয়ামী লীগ ও অঙ্গ সহযোগী সংগঠনের ৩৫০ জনের নাম উল্লেখপূর্বক অজ্ঞাতনামা আরো ১০০/১২০ জনকে আসামি করে ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর মডেল থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করা হয়েছে।
গত ২০২১ সালের ২৭ মার্চ বিকেল ৩টার দিকে ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর উপজেলার বুধল ইউনিয়নের নন্দনপুর বাজারের সামনে সংঘর্ষের সময় বাদল মিয়া (২৬) নামক এক যুবক হত্যার ঘটনায় তার পিতা জাবির হোসেন বাদী হয়ে ২৮ অক্টোবর সোমবার সন্ধ্যায় এই মামলাটি দায়ের করেন মৃত বাদল মিয়া সুনামগঞ্জ জেলার দিরাই উপজেলার বজেন্দ্রগঞ্জ (লৌলারচর, চর হবিবপুর) গ্রামের জাবির মিয়ার ছেলে।
জাবির মিয়া তার পরিবার নিয়ে ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর উপজেলার সুহিলপুর বাজারের পাশে ভাড়াটিয়া বাড়িতে বসবাস করেন।
ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোঃ মোজাফ্ফর হোসেন মামলা দায়েরের বিষয়টি নিশ্চিত করেন। মামলার উল্লেখযোগ্য আসামীরা হলেন, জেলা পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান বিল্লাল মিয়া, ব্রাহ্মণবাড়িয়া পৌরসভার সাবেক মেয়র ও জেলা আওয়ামী লীগের সিনিয়র সহ-সভাপতি মোঃ হেলাল উদ্দিন, জেলা আওয়ামী লীগের সদস্য ও নবীনগর পৌর সভার সাবেক মেয়র শিব শংকর দাস, ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর উপজেলা পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান ও জেলা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক শাহাদাৎ হোসেন শোভন, সদর উপজেলা পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান ও সদর উপজেলা আওয়ামী লীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক মোঃ জাহাঙ্গীর আলম, জেলা আওয়ামী লীগের সাবেক সহ-সভাপতি তাজ মোহাম্মদ ইয়াছিন ও মুজিবুর রহমান বাবুল, জেলা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক শেখ মোঃ মহসিন, জেলা আওয়ামী লীগের দফতর সম্পাদক মোঃ মনির হোসেন, উপ-দপ্তর সম্পাদক সুজন দত্ত, জেলা আওয়ামী লীগের আইন বিষয়ক সম্পাদক অ্যাডভোকেট মফিজুর রহমান বাবুল, জেলা আওয়ামী লীগের সাংস্কৃতিক বিষয়ক সম্পাদক মোঃ জহিরুল ইসলাম জহির, জেলা আওয়ামী লীগের সদস্য ভিপি জায়েদুল হক, জেলা আওয়ামী লীগের সদস্য মাহমুদুর রহমান জগলু, জেলা আওয়ামী লীগের সাবেক স্বাস্থ্য ও জনসংখ্যা বিষয়ক সম্পাদক হালিম শাহ লিল মিয়া, জেলা স্বেচ্ছাসেবকলীগের সাধারণ সম্পাদক এম. সাইদুজ্জামান আরিফ, জেলা আওয়ামীলীগের উপ-প্রচার সম্পাদক মাসুম বিল্লাহ, ওলামা সমন্বয় পরিষদের জেলা সভাপতি ক্বারী আনিছ, জেলা চেম্বার অব কমার্স এন্ড ইন্ডাষ্ট্রি’র সহ-সভাপতি কাজী জাহাঙ্গীর, বিজয়নগর উপজেলা আওয়ামী লীগের ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক জাহাঙ্গীর মৃধা, বিজয়নগর উপজেলা পরিষদের সাবেক ভাইস চেয়ারম্যান ফয়জুন নাহার টুনি, জেলা পরিষদের সাবেক সদস্য মোঃ বাবুল আক্তার ও সনি আক্তার সূচী, সদর উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এম.এ.এইচ মাহবুব আলম, ব্রাহ্মণবাড়িয়া সরকারি কলেজের সাবেক ভিপি জালাল হোসেন খোকা, কেন্দ্রীয় যুবলীগ নেতা আলা মুনিল হক আলামিন, সাবেক কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগ নেতা মেহেদী হাসান লেনিন ও রিদোয়ান আনসারী রিমো, সদর উপজেলা যুবলীগের সভাপতি আলী আজম, সাধারণ সম্পাদক জসিম উদ্দিন রানা, জেলা যুবলীগের সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক মহসিন খন্দকার, জেলা ছাত্রলীগের সাবেক সহ-সভাপতি আনিসুর রহমান রনিসহ এজহারনামীয় ৩৫০জন। এছাড়াও মামলায় অজ্ঞাতনামা আরো ১০০/১২০ লোককে আসামী করা হয়।
মামলার বাদী জাবির মিয়া এজাহারে অভিযোগ করে বলেন, ২০২১ সালের ২৬ মার্চ ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির বাংলাদেশে আগমনকে কেন্দ্র করে আন্দোলন কর্মসূচির সময় জেলার বিভিন্ন স্থানে বিক্ষোভ মিছিল হয়। এরই ধারাবাহিকতায় ২৭ মার্চ বিকেল ৩ টার দিকে ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর উপজেলার বুধল ইউনিয়নের নন্দনপুর বাজারের সামনে সংঘর্ষের সময় বাদল মিয়ার উপর গুলি ককটেল নিক্ষেপ করে। তাদের ছোরা গুলি বাদেেল বুকে লাগে। পরে স্থানীয়রা তাকে উদ্ধার করে জেনারেল হাসপাতাল ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় নিয়ে আসলে কর্তব্যরত চিকিসৎক তাকে মৃত ঘোষণা করেন। ওই সময় হাসপাতাল থেকে কোন স্লিপ দেয়া হয়নি ও ময়নাতদন্ত ছাড়াই তার লাশ দাফন করা হয়।
এ ব্যাপারে ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোঃ মোজাফ্ফর হোসেনের সাথে যোগাযোগ করলে তিনি মামলা দায়েরের বিষয়টি নিশ্চিত করেন।
চলারপথে রিপোর্ট :
জাতিসংঘ ঘোষতি টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রা-২০৩০ র্অজনে কাজ করা পিস অ্যান্ড হারমোনি ট্রাস্ট-এর অঙ্গীকার; পৃথিবীর সকল বিপন্ন, জীবন্ত ও লুপ্ত ভাষা পুনরোদ্ধার, রক্ষা ও বিকাশে অবদান রাখা অন্যতম অভীস্ট। এ অঙ্গীকার ও অভীস্ট বাস্তবায়ন প্রচেষ্টার অংশ হিসেবে সহজতম উপায়ে ক্রীড়া-বিনোদনের মাধ্যমে পৃথিবীর সকল মাতৃভাষা পৃথিবীর সকল ভাষাভাষী মানুষকে শেখানোর প্রয়াসে পিস অ্যান্ড হারমোনি ট্রাস্ট প্রতিষ্ঠা করেছে পৃথিবীর র্সবপ্রথম মাতৃভাষা স্কুল।
মাতৃভাষা স্কুলের আনুষ্ঠানিক উদ্বোধনের জন্য বৈচিত্র্যর্পূণ প্রস্তুতি নিচ্ছি। এর ধারাবাহিকতায়, ব্রাহ্মণবাড়িয়ার ইতিহাস ঐতিহ্য সংস্কৃতির সাথে দেশ-বিদেশের বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তিদের সংযোগ ঘটানোর প্রয়াস চলছে। ভারতের শিল্পকলা বিশেষ করে সঙ্গীত, নৃত্য ও নাটক কাশে ভারতের সংস্কৃতি মন্ত্রণালয়রে অর্ন্তভুক্ত ভারতের সর্বপ্রথম রাষ্ট্রীয় একাডেমি সঙ্গীত নাটক একাডেমির জেনারেল কাউন্সিলের সদস্য ও মেঘালয়ের শিলং এর গীতাঞ্জলি ডান্স একাডেমির প্রতিষ্ঠাতা মিসেস মনিকা চন্দ পিস অ্যান্ড হারমোনি ট্রাস্টের আমন্ত্রণে ২৮ থেকে ৩০ জুলাই ৩ (তিন) দিনের সফরে ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় এসেছেন। প্রথম দিন ২৮ জুলাই সড়কপথে ও ২৯ জুলাই জলপথে তিনি ব্রাহ্মণবাড়িয়ার ঐতিহ্যবাহী স্থান সমূহ অবলোকন করেন।
আজ ৩০ জুলাই রবিবার প্রতিবেশী রাষ্ট্র ভারতের এই বিশিষ্ট সাংস্কৃতিক ব্যক্তিত্বকে ব্রাহ্মণবাড়িয়ার পাইকপাড়াস্থ ট্রাস্টের সহযোগি প্রতিষ্ঠান মাদার ল্যাংগুয়েজ স্কুলের হল রুমে সংবর্ধনা ও শিল্পী মাহমুদ শরীফ খানের পরিচালনায় মসলিন কাপড়ে হ্যান্ড-পেইন্ট শীর্ষক ওয়ার্কশপের আয়োজন করা হয়। প্রধান সমন্বয়কারী আবু নাসের সবাইকে মাদার ল্যাঙগুয়েজ বোর্ড প্রদর্শন করেন।
এছাড়াও অনুষ্ঠানে মনিকা চন্দ-এর সঙ্গে ব্রাহ্মণবাড়িয়ার সাংস্কৃতিক সামাজিক সংগঠনের নেতৃবৃন্দ শুভেচ্ছা বিনিময়সহ ভারত বাংলাদেশর ভাষা সংস্কৃতি বিষয়ে মত বিনিময় করেন।
অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন বরেণ্য কবি ব্রাহ্মণবাড়িয়ার সাংস্কৃতিক ব্যক্তিত্ব সাহিত্য একাডেমির সভাপতি কবি জয়দুল হোসেন।
অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য রাখেন পিস এন্ড হারমোনি ট্রাস্ট ও মাদার ল্যাংগুয়েজ স্কুলের প্রতিষ্ঠাতা কবি আনিস মুহম্মদ। সার্বিক কার্যক্রম তুলে ধরেন প্রতিষ্ঠানের হেড অব ক্রিয়েটিভ আশরাফ পিকো।
প্রতিষ্ঠানের হেড অব সিভিক এ্যাঙ্গেজমেন্ট আল আমীন শাহীনের সঞ্চালনায় আলোচনা করেন ক্ষুদ্র নৃগোষ্ঠী ফেডারেশনের প্রেসিডেন্ট শিপন চন্দ্র সিংহ, পৌর কাউন্সিলর মিজান আনছারী, ব্রাহ্মণবাড়িয়া প্রেস ক্লাবের সাবেক সাধারণ সম্পাদক ব্রাহ্মণবাড়িয়া প্রেসক্লাবের সাবেক সাধারণ সম্পাদক জাবেদ রহিম বিজন, প্রেস ক্লাবের সাবেক সহ-সভাপতি দৈনিক কুরুলিয়ার সম্পাদক ইব্রাহিম খান সাদাত, আখাউড়া প্রেস ক্লাবের সভাপতি মোঃ মানিক মিয়া, ভাষা সাহিত্য অনুশীলন কেন্দ্রের পরিচালক ওসমান গণি সজিব, কমরেড নজরুল ইসলাম, তিতাস বার্তার সম্পাদক আব্দুল মতিন শানু, সম্মিলিত সাংস্কৃতিক জোটের সদস্য সচিব সঞ্জিব ভট্টাচার্য, সাংস্কৃতিক সংগঠক হাবিবুর রহমান পারভেজ, সুর সম্রাট দি আলাউদ্দিন সঙ্গীতাঙ্গনের সংঙ্গীত প্রশিক্ষক রওনক সুলতানা পারভিন, অংকুর শিশু কিশোর সংগঠনের প্রতিষ্ঠাতা আনিছুল হক রিপন প্রমুখ। কবিতা আবৃত্তি করেন রাবেয়া জাহান তিন্নি, শারমীন আক্তার, নুসরাত জেরিন, বাংলাদেশ টেলিভিশনের নৃত্য পরিচালক জিয়া আমিন এর পরিচালনায় নৃত্য পরিবেশন করেন নৌশিন ইকরা, রিধা মনীষা। অনুষ্ঠানে সংবর্ধিত নৃত্য ব্যক্তিত্ব মনিকা চন্দ বলেন, ভারত-বাংলাদেশের সম্প্রীতির বন্ধন ঐতিহ্যমন্ডিত। পিস এন্ড হারমোনি ট্রাস্টের আমন্ত্রণে বাংলাদেশে এসে আমি খুবই আনন্দিত; ব্রাহ্মণবাড়িয়ার আতিথিয়তায় মুগ্ধ হয়েছি। এখানে এসে আমি ঐতিহ্যবাহী তিতাস নদী ভ্রমণসহ রসুলপুর ও কুরুলিয়া খাল হয়ে বিখ্যাত উপন্যাসিক অদ্বত মল্ল বর্মণের জন্মভিটা দেখার সৌভাগ্য হয়েছে।
ব্রাহ্মণবাড়িয়া শহরে অবস্থিত উপমহাদেশের অন্যতম বৃহৎ কালভৈরর বিগ্রহ ও মন্দির পরিদর্শন করেছি। তিতাস পাড়ের সংস্কৃতি-সমৃদ্ধ মানুষের আন্তরিক সান্নিধ্য লাভ করেছি। ব্রাহ্মণবাড়িয়ার সামাজিক সাংষ্কৃতিক সম্প্রীতির জন্য নিবেদিত এক ঝাঁক তরুণের সাথে আমার সেতুবন্ধন তৈরী হয়েছে। এই অভিজ্ঞতা আমার জীবনের এক অনন্য অধ্যায় হয়ে থাকবে। শান্তির জন্য ভাষা এই শ্লোগানকে ধারণ করে মাদার ল্যাঙগুয়েজ স্কুলের শাখা সর্বভারতে বিস্তারের মাধ্যমে বিশ্ব শান্তির জন্য কাজ করার অঙ্গীকার ব্যক্ত করছি। তিনি বাংলাদেশ এবং ভারতের সম্প্রীতির বন্ধন আরো শক্তিশালী করার লক্ষ্যে দু’দেশের যৌথ নদীভিত্তিক উৎসব করার পরিকল্পনার কথা জানান। এ ছাড়াও আগামী সেপ্টেম্বর-২০২৪খ্রি. মেঘালয়ে অনুষ্ঠিতব্য সংস্কৃতি উৎসবে অংশগ্রহণের আমন্ত্রণ জানান।
চলারপথে রিপোর্ট :
গতকাল সোমবার সকাল ১০টায় বঙ্গবন্ধু স্কয়ারে স্বাধীনতার মহান স্থপতি জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের প্রতিকৃতিতে ফুলেল শ্রদ্ধা নিবেদন করেন ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর উপজেলা পরিষদের দায়িত্বপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান জেলা স্বেচ্ছাসেবক লীগ সভাপতি আলহাজ্ব এডভোকেট লোকমান হোসেন।
পরে দুপুর ১২ টায় সদর উপজেলা পরিষদ কার্যালয়ে তাঁকে ফুলেল শুভেচ্ছা জ্ঞাপন করেন দলীয় অগ্রজ নেতৃবৃন্দ, বন্ধুজন, শুভানুধ্যায়ী, সহকর্মী, স্থানীয় জনপ্রতিনিধি ও বিশিষ্টজনদের মাঝে উপস্থিত ছিলেন জেলা আওয়ামী লীগের সিনিয়র সহ সভাপতি সাবেক মেয়র মোঃ হেলাল উদ্দিন, সহ-সভাপতি হাজী মোহাম্মদ হেলাল উদ্দিন, ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক মাহাবুবুল বারী চৌধুরী মন্টু, জেলা আওয়ামী লীগের সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক অ্যাডভোকেট মাহবুবুল আলম খোকন, সদর উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা আবুল কালাম ভূইয়া, সাধারণ সম্পাদক এম এ এইচ মাহবুবুল আলম, পৌর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মোঃ রফিকুল ইসলাম, জেলা আওয়ামী লীগের অন্যতম নেতা শেখ মোঃ আনোয়ার, সৈয়দ মোহাম্মদ আসলাম, মোহাম্মদ জাহাঙ্গীর, প্রভাষক মোঃ মনির হোসেন, আব্দুল খালেক বাবুল, জেলা কৃষক লীগ আহবায়ক মোঃ সাদেকুর রহমান শরীফ, পৌর আওয়ামী লীগ নেতা মোঃ মাসুকুল কবীর, মাছিহাতা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আল আমিনুল হক পাভেল, সুহিলপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আলহাজ্ব আব্দুর রশিদ ভূইয়া, মজলিশপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মোঃ কামরুল হাসান, সাদেকপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মোঃ নাসির উদ্দিন, বুধল ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আলহাজ্ব আতিকুর রহমান শফিক, নাটাই দক্ষিণ ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মোঃ শাহ আলম, বাসুদেব ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আলহাজ্ব আব্দুল হাকিম মোল্লা, নাটাই উত্তর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান হাজী মোহাম্মদ আবু সাঈদ, তালশহর পূর্ব ইউনিয়নের চেয়ারম্যান মোঃ মনিরুল ইসলাম, সাবেক ছাত্রলীগ নেতা ভিপি হাসান সারওয়ার, জেলা স্বেচ্ছাসেবক লীগের সাধারণ সম্পাদক এম সাইদুজ্জামান আরিফ, সদর উপজেলা স্বেচ্ছাসেবক লীগ সভাপতি মোঃ মনিরুজ্জামান ভূইয়া শিপু, সাধারণ সম্পাদক কাজী খায়রুল হাসান, পৌর স্বেচ্ছাসেবক সভাপতি এডভোকেট কামরুজ্জামান অপু, সাধারণ সম্পাদক এডভোকেট আরিফুল ইসলাম, জেলা যুব মহিলা লীগ সাধারণ সম্পাদক আলম তারা দুলি, জেলা পরিবহন শ্রমিক লীগ সভাপতি বারিন্দ্র নাথ ঘোষ, জেলা মৎস্যজীবী লীগ সভাপতি আব্দুর রহমান, সাধারণ সম্পাদক মোঃ শাহপরান, জেলা তাঁতী লীগ সভাপতি মোঃ আসাদুজ্জামান, সাধারণ সম্পাদক দেলোয়ার হোসেন দুলাল, পৌরসভার ৮ নং ওয়ার্ড আওয়ামী লীগ সভাপতি মোহাম্মদ আবুল কাশেম, সাধারণ সম্পাদক সৈয়দ সাজ্জাদ করিম, ১ নং ওয়ার্ড সাধারণ সম্পাদক ও জেলা বাস মালিক সমিতির সাধারণ সম্পাদক মোহাম্মদ হানিফ মিয়া, ২ নং ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও সাবেক কাউন্সিলর আবুল বাশার, জেলা ছাত্রলীগ সভাপতি মোহাম্মদ রবিউল হোসেন রুবেল, সাধারণ সম্পাদক শাহাদাত হোসেন শোভন, সহ-সভাপতি মোহাম্মদ সানি শাহ্, সদর উপজেলা ছাত্রলীগ সভাপতি মোঃ তরিকুল ইসলাম রায়হান, সাধারণ সম্পাদক তাবাসসুম অনিক, জেলা ছাত্রলীগ সহ সভাপতি মোহাম্মদ সানি শাহ্, সদর উপজেলা ছাত্রলীগ সভাপতি মোঃ তরিকুল ইসলাম রায়হান, সাধারণ সম্পাদক তাবাসসুম অনিক।
এ সময় তিনি আনুষ্ঠানিকভাবে ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান (ভারপ্রাপ্ত) হিসাবে দায়িত্বভার গ্রহণ করেন।
উপজেলা পরিষদ সুন্দর ও সাফল্যের সাথে যথাযথভাবে পরিচালনায় অ্যাডভোকেট লোকমান হোসেন সদর উপজেলার সকলস্তরের জনগণের দোয়া ও ভালোবাসা কামনা করেন।
চলারপথে রিপোর্ট :
ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় বিনম্র শ্রদ্ধা ও ভালোবাসার মধ্যে দিয়ে ২৬ মার্চ মহান স্বাধীনতা ও জাতীয় দিবস পালিত হয়েছে। দিবসটি উপলক্ষে শহীদ স্মৃতিসৌধে পুষ্পস্তক অর্পন ও কুচকাওয়াজ অনুষ্ঠিত হয়। ২৬ মার্চ মঙ্গলবার ভোরে সূর্যোদয়ের সাথে সাথে ৩১ বার তোপধ্বনির মধ্য দিয়ে দিবসটির শুভ সূচনা করা হয়।
পরে স্থানীয় ফারুকী পার্কের শহীদ স্মৃতিসৌধে জেলা প্রশাসনের পক্ষে পুষ্পস্তবক অর্পন করে শ্রদ্ধা নিবেদন করেন জেলা প্রশাসনের পক্ষে জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ হাবিবুর রহমান, জেলা পুলিশের পক্ষে পুলিশ সুপার মোহাম্মদ শাখাওয়াত হোসেন।
পরে পুলিশের একটি চৌকষ দল গার্ড অব অনার প্রদান করেন। পরে শহীদ স্মৃতিসৌধ সর্বস্তরের মানুষের জন্য উম্মুক্ত করা হলে জেলা আওয়ামীলীগের পক্ষে দলের ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক মাহাবুবুল বারী চৌধুরী মন্টু, পৌরসভার পক্ষে মেয়র মিসেস নায়ার কবীর, ব্রাহ্মণবাড়িয়া প্রেসক্লাব, বাংলাদেশ রেডক্রিসেন্ট সোসাইটি,ব্রাহ্মণবাড়িয়া ইউনিট, জেলা পরিষদ, সড়ক ও জনপথ বিভাগসহ বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের পক্ষ থেকে পুষ্পস্তক অর্পন করা হয়।
স্মৃতিসৌধে আসা বীর মুক্তিযোদ্ধা আবুল কালাম ভ‚ঞা বলেন, আমাদের দাবি ২৫ মার্চ কালরাত্রিকে গণহত্যা দিবসটি হিসেবে আর্ন্তজাতিকভাবে স্বীকৃতি দেয়া ও জাতির পিতার স্বপ্ন বাস্তবায়নে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে স্মার্ট বাংলাদেশ গঠনে সকলকে একযোগে কাজ করা।
এদিকে সকাল সাড়ে ৮টায় ব্রাহ্মণবাড়িয়ার নিয়াজ মুহাম্মদ স্টেডিয়ামে বর্ণাঢ্য কুচকাওয়াজ অনুষ্ঠিত হয়। কুচকাওয়াজ শেষে বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থীরা ডিসপ্লে প্রদর্শন করে। ডিসপ্লেতে ব্রাহ্মণবাড়িয়ার ঐতিহ্যবাহি পুতুল নাচসহ ইতিহাস ঐতিহ্য ও মহান স্বাধীনতার সংগ্রামের দৃশ্য তুলে ধরা হয়।
চলারপথে রিপোর্ট :
বাংলাদেশের কমিউনিস্ট পার্টি ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা কমিটির উদ্যেগে আজ ৬ মার্চ পৌর মুক্তমঞ্চে জাতীয় পতাকা ও সংগঠনের পতাকা উত্তোলনের মধ্যদিয়ে পার্টির ৭৫ তম প্রতিষ্ঠা বার্ষিকীর কর্মসূচি শুরু হয়।
পার্টির জেলা কমিটির সভাপতি কমরেড অ্যাডঃ সৈয়দ মোঃ জামালের সভাপতিত্বে আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়। সভায় বক্তব্য রাখেন জেলা কমিটির সাধারণ সম্পাদক কমরেড সাজিদুল ইসলাম, সহ-সাধারণ সম্পাদক কমরেড আছমা খানম, সম্পাদক মন্ডলীর সদস্য আহমেদ হোসেন, শুভেচ্ছা জানিয়ে বক্তব্য রাখেন কৃষক সমিতির জেলা সভাপতি এম এ রাকিব, মহিলা পরিষদের সাংগঠনিক সম্পাদক শামীমা শিকদার দীনা, উদীচীর জেলা সাধারন সম্পাদক ফেরদৌস রহমান,জেলা টি ইউসির সদস্য সচিব আল মামুন, রিক্সা- ভ্যান শ্রমিক ইউনিয়নের সাধারণ সম্পাদক মোঃ সাহেদ প্রমুখ।
সভায় নেতৃবৃন্দ বলেন, মুক্তিযুদ্বের ৫২ বছর পর মানুষ ভোটের অধিকার হারিয়েছে। দুর্নীতি লুটপাট পাহাড় সমান। মানুষের মধ্যে প্রতিদিন বৈষম্য বাড়ছে। দেশে আজ দুই ধরনের অর্থনীতি চলছে, একটি বড় লোকের অর্থনীতি আর একটি গরীবের অর্থনীতি, বড় লোকের জন্য এক ধরনের শিক্ষা, চিকিৎসা ও খাদ্যনীতি আর গরীব মানুষের জন্য আর এক ধরনের শিক্ষা চিকিৎসা ও খাদ্য নীতি। আজ ও মানুষ ভাতের জন্য সংগ্রাম করতে হয়।
নেতৃবৃন্দ বলেন, দুই বড় দলই আজ সাম্প্রদায়িক ও সাম্রাজ্যবাদকে তেষন করছে। তাই আজকে মুক্তিযুদ্বের চেতনায় দেশকে ফিরিয়ে আনতে এবং বৈষম্য-শৌষন ও দুর্নীতি মুক্ত দেশ গড়তে সমাজতন্ত্রের সংগ্রামকে জোরদার করতে হবে।
চলারপথে রিপোর্ট :
ব্রাহ্মণবাড়িয়া পৌর ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক শেখ মঞ্জুরে মাওলা ফারানী (২৬) গ্রেফতার হয়েছেন। ৯ এপ্রিল বুধবার বিকেলে তাকে ব্রাহ্মণবাড়িয়া পোর শহরের ভাদুঘর বাসস্ট্যান্ড এলাকা থেকে র্যাব গ্রেফতার করে। শেখ মঞ্জুরে মাওলা ফারানী ব্রাহ্মণবাড়িয়া মেড্ডা এলাকার মামুন মিয়ার ছেলে।
ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোজাফফর হোসেন জানান, শেখ মঞ্জুরে মাওলা ফারানী ৫ আগস্টের পর থেকে পলাতক ছিলেন। তার বিরুদ্ধে ৯টি মামলা রয়েছে। বুধবার বিকেলে ভাদুঘর থেকে র্যাব সদস্যরা তাকে গ্রেফতার করে এবং রাতে থানায় হস্তান্তর করে। তাকে ১০ এপ্রিল বৃহস্পতিবার আদালতে পাঠানো হবে।