চলারপথে রিপোর্ট :
ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার আখাউড়া স্থলবন্দর দিয়ে ভারতে যাওয়ার সময় মৌলভীবাজার জেলার শ্রীমঙ্গলের ইউপি সদস্য পিয়াস দাস (৩৪) আটক হয়েছেন।
আজ ৩০ অক্টোবর বুধবার দুপুরে তিনি পাসপোর্ট নিয়ে ইমিগ্রেশন পুলিশে যান, কিন্তু তার বিরুদ্ধে শ্রীমঙ্গল থানায় মামলা থাকায় ইমিগ্রেশন পুলিশ তাকে আটক করে থানা পুলিশের কাছে হস্তান্তর করে।
জানা যায়, পিয়াস দাস শ্রীমঙ্গল উপজেলার সবুজবাগ গ্রামের বাসিন্দা এবং তিনি সদর ইউপি’র ৫নং ওয়ার্ডের সদস্য। তার বিরুদ্ধে ৮ অক্টোবর শ্রীমঙ্গল থানায় একটি মামলা দায়ের হয়, যেখানে তিনি ১নং আসামি হিসেবে উল্লেখিত।
চলারপথে রিপোর্ট :
ধর্ম উপদেষ্টা ড. আ ফ ম খালিদ হোসেন বলেছেন, ফেব্রুয়ারিতে একটি সুন্দর নির্বাচন করতে পারবো। সেভাবে আমাদের প্রস্তুতি চলছে। আইনশৃঙ্খলা বাহিনী তৈরি আছে, আমাদেরও আন্তরিকতার অভাব নেই।
আজ ১০ আগস্ট রবিবার সন্ধ্যায় ব্রাহ্মণবাড়িয়ার মেড্ডা এলাকায় জামিয়া দারুল আরকাম মাদরাসায় আলেম-ওলামাদের সাথে মতবিনিময় শেষে তিনি একথা বলেন। ধর্ম উপদেষ্টা বলেন, আমরা যখন দায়িত্ব নেই, তখন থানা-পুলিশ ছিল না। আমি ঢাকায় ট্রাফিকের দায়িত্ব পালন করতে দেখেছি শিক্ষার্থীদের। আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি একদিনে নিয়ন্ত্রণ সম্ভব নয়। তবে বহুগুণে আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি ভালো হয়েছে। অর্থনীতি ভালো হয়েছে। নতুন বাংলাদেশ গঠনের ক্ষেত্রে আলেম-ওলামাদের অবদান সোনার অক্ষরে লেখার মতো। বাংলাদেশে যখনই বিপদ-দুর্যোগ এসেছে, আলেম-ওলামারা জনগণের সঙ্গে মিলে ময়দানে থেকেছেন। তারা জীবন উৎসর্গ করেছেন ও আহত হয়েছেন।
ধর্ম উপদেষ্টা খালিদ হোসেন আরো বলেন, জুলাই বিপ্লবের সময়েও শত শত মাদরাসাছাত্র আহত হয়েছেন। শাহাদাৎ বরণ করেছে। আগামী দিনেও আমাদের প্রিয় মাতৃভূমি বাংলাদেশকে গড়ে তোলার ক্ষেত্রে আলেম-ওলামা, মাদরাসাছাত্র-শিক্ষক প্রত্যেকে নিজ নিজ অবস্থান থেকে দেশের জন্য যে কোনো ত্যাগ স্বীকারে প্রস্তুত আছেন।
এ সময় উপস্থিত ছিলেন ধর্ম উপদেষ্টার সাথে হেফাজতে ইসলামের মহাসচিব মাওলানা সাজিদুর রহমান, জেলা হেফাজতে ইসলামের সিনিয়র সহ-সভাপতি বোরহান উদ্দিন কাসেমী ও সাধারণ সম্পাদক আলী আজম প্রমুখ।
অনলাইন ডেস্ক :
সাংবাদিকতার যোগ্যতা নির্ধারণে সাংবাদিকদের দাবির সঙ্গে সরকার একমত বলে জানিয়েছেন তথ্য ও সম্প্রচার প্রতিমন্ত্রী মোহাম্মদ আলী আরাফাত।
আজ ১৫ ফেব্রুয়ারি বৃহস্পতিবার বিকেলে রাজধানীর শাহবাগে বিসিএস প্রশাসন একাডেমি মিলনায়তনে ‘স্মার্ট বাংলাদেশ বিনির্মাণে গণমাধ্যমের ভূমিকা’ শীর্ষক কর্মশালার প্যানেল আলোচনা পর্বে অংশ নিয়ে তিনি এ মন্তব্য করেন।
বিসিএস প্রশাসন একাডেমির সহযোগিতায় জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয় এ কর্মশালার আয়োজন করে। বাংলাদেশ সেক্রেটারিয়েট রিপোর্টার্স ফোরামের সদস্যরা কর্মশালায় অংশ নেন।
জনপ্রশাসন মন্ত্রী ফরহাদ হোসেন, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রাক্তন উপাচার্য ও শিক্ষাবিদ অধ্যাপক ড. আ আ ম স আরেফিন সিদ্দিক, জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব মোহাম্মদ মেজবাহ্ উদ্দিন চৌধুরী এবং তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব মো. হুমায়ুন কবীর খোন্দকার প্যানেল আলোচনায় অংশ নেন। প্যানেল আলোচনা পর্বে মডারেটর ছিলেন বিসিএস প্রশাসন একাডেমির রেক্টর (সচিব) ড. মো. ওমর ফারুক।
প্রতিমন্ত্রী বলেন, সাংবাদিকদের দাবি অনুযায়ী সাংবাদিকতার যোগ্যতা নির্ধারণের কিছু একটা থাকা দরকার। সরকার যখনই এটা বলবে তখনই বলা হবে, সরকার নিয়ন্ত্রণ করার চেষ্টা করছে। এজন্য বিষয়টি নিয়ে সাংবাদিকদেরই আওয়াজ তুলতে হবে। দেশে ও বিদেশের সব জায়গায় এ বিষয়ে লিখতে হবে। জাতীয় ও আন্তর্জাতিক পরিমণ্ডলে আপনাদের এ বক্তব্য তুলে ধরতে হবে যে, এটা আপনারাই চান। সরকার সাংবাদিকদের দাবির সঙ্গে একমত। সরকারের এ বিষয়ে কোনো অসুবিধা নেই। সরকার বিষয়টির সমাধান করবে।
তিনি বলেন, সকল পেশাদার সাংবাদিকদের দাবি, সাংবাদিকদের একটা সংজ্ঞা নির্ধারণ করা হোক, একটা পরীক্ষার ব্যবস্থা থাকুক, একটা সংজ্ঞায়ন থাকুক কে সাংবাদিক, কে সাংবাদিক না। সাংবাদিকরাই বলছেন, সাংবাদিকদের তালিকা থাকা উচিত। কেন বলছেন, কারণ অনেক অপেশাদার ঢুকে পড়েছে এ কমিউনিটিতে। যার দ্বারা সাংবাদিকরাই সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত। কিন্তু যখনই সরকার বলবে তালিকা তৈরি করা হচ্ছে, তখন আবার আরেক গোষ্ঠী বলে তালিকা কেন তৈরি হবে সাংবাদিকদের।
মোহাম্মদ আলী আরাফাত আরও বলেন, মুক্তিযুদ্ধের শক্তি বিভিন্ন সময়ে আক্রান্ত হয়েছে অপপ্রচার ও মিথ্যাচার দ্বারা। যেখানে সত্য থেমে যায়, সেখানে অসত্য ও মিথ্যাচার জায়গা করে নেয়। অপতথ্যের বিপক্ষে তথ্যের লড়াইটা খুব জরুরি। তথ্য এবং অপতথ্যের লড়াই এখনও চলছে। প্রশিক্ষণের মাধ্যমে অপতথ্য রোধে সাংবাদিকদের ভূমিকা রাখার সুযোগ রয়েছে।
সাইবার নিরাপত্তা আইন প্রসঙ্গে এ সময় প্রতিমন্ত্রী বলেন, শুধু সাইবার নিরাপত্তা আইনই নয়, যে কোন আইনের অপব্যবহারের বিপক্ষে সবাই মিলে ঐক্যবদ্ধভাবে আমাদের দাঁড়াতে হবে। সরকার মোটেও চায় না কোনো আইনের অপব্যবহারের মাধ্যমে নির্দোষ ব্যক্তি ক্ষতিগ্রস্ত হোক।
অনলাইন ডেস্ক :
লক্ষ্মীপুরের কমলনগরে দোকান লুট মামলার প্রধান আসামিকে গ্রেফতারের পর ছেড়ে দেওয়ার ঘটনায় আদালতে মামলা দায়ের করা হয়েছে। এতে কমলনগর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ সোলাইমানসহ ৪ জনের বিরুদ্ধে সমন জারি করেছেন আদালত। আজ দুপুর আড়াইটার দিকে সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আমলী অঞ্চল কমলনগর আদালতের বিচারক তারেক আজিজ এ আদেশ দেন। থানার ওসিসহ ৪ জনের বিরুদ্ধে আদালতে ভুক্তভোগী ব্যবসায়ী মজিবুর রহমান একটি মামলা দায়ের করেন। এতে অজ্ঞাত আরো ৪ জনকে আসামি করা হয়।
আদালতের পেশকার মো. জসিম উদ্দিন বলেন, ওসিসহ ৪ জনকে আসামি করে মামলা দায়ের করা হয়েছে। আদালত মামলাটি আমলে নিয়েছেন। আদালত আসামিদের বিরুদ্ধে সমন জারি করেছে। ২০ জুন তাদেরকে আদালতে উপস্থিত থাকার জন্য নির্দেশনা দিয়েছেন বিচারক। বাদীর আইনজীবী মো. সোলাইমান মোল্লাও বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
মামলার অন্য আসামিরা হলেন কমলনগর উপজেলার চরজাঙ্গালিয়া গ্রামের শাহজাহান, চরমার্টিন গ্রামের নুর আলম ও চরলরেন্স গ্রামের কাউছার।
বাদী মজিবুর উপজেলার মধ্য চরমার্টিন গ্রামের আব্দুল মান্নানের ছেলে ও তোবারগঞ্জ বাজারের হার্ডওয়্যার দোকানের ব্যবসায়ী।
বাদী মজিবুর ও এজাহার সূত্র জানায়, শাহজাহানদের সঙ্গে মজিবুরদের জমি নিয়ে বিরোধ রয়েছে। এর জের ধরে শাহজাহান তার বিরুদ্ধে চাঁদাবাজি মামলা দায়ের করে। এ মামলায় ১৮ এপ্রিল পুলিশ তাকে গ্রেফতার করে লক্ষ্মীপুর আদালতের মাধ্যমে জেলা কারাগারে পাঠায়। ১৪ দিন জেল খেটে মজিবুর জামিনে মুক্ত হয়। এদিকে তিনি জেলে থাকাকালীন ২৪ এপ্রিল শাহজাহানরা তার (মজিবুর) দোকানের গ্রিল ভেঙে ভেতরে ঢুকে। একপর্যায়ে তারা ১০ লাখ টাকার মালামাল লুট করে। পরে জেল থেকে বের হয়ে ৪ জুন সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে শাহজাহানসহ ৫ জনের বিরুদ্ধে মজিবুর মামলা দায়ের করে। মামলাটি আমলে নিয়ে আসামিদের বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করেন বিচারক। ৭ জুন আদালতের নির্দেশনা পেয়ে কমলনগর থানা গ্রেফতারি পরোয়ানা নথিভুক্ত করে। বৃহস্পতিবার বিকেলে তোরাবগঞ্জ বাজার থেকে পুলিশের উপ-পরিদর্শক (এসআই) ইকবাল হোসেন মামলার আসামি শাহজাহান ও মাইন উদ্দিনকে গ্রেফতার করে। পরে তাদেরকে থানায় নিয়ে যায়। পরদিন শুক্রবার রাত ৩টার দিকে অবৈধভাবে আর্থিক লেনদেন করে থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সোলাইমান আসামি শাহজাহানকে ছেড়ে দেন।
একইদিন সকাল ৬টায় শাহজাহান লোকজনসহ ধারালো অস্ত্র নিয়ে বাদীর বাসার সামনে হত্যা করে লাশ গুমের হুমকি দেন। এ নিয়ে বাদী পরিবার নিয়ে আতংকে রয়েছেন।
কমলনগর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ সোলাইমান বলেন, মামলার বিষয়টি আমার জানা নেই। এখনো আদালতের কোন চিঠিও পাইনি। আসামি শাহজাহান হার্টের রোগী ছিল। অসুস্থ হয়ে পড়ায় তাকে শর্ত দিয়ে ছাড়া হয়েছিল।
চলারপথে রিপোর্ট :
লালমাই পাহাড়ের ঢালুতে প্রথমবারের মতো বাণিজ্যিকভাবে আনারসের চাষ হয়েছে। হানিকুইন জাতের আনারসে হাসছে পাহাড়ের সদর দক্ষিণ উপজেলার বড় ধর্মপুরের বিস্তীর্ণ এলাকা। স্থানীয় কৃষকরা দুই হেক্টর জমিতে আনারসের চাষ করেছেন। প্রথমবারে ভালো ফলন পেয়ে খুশি তারা। এই ফল চাষে আগ্রহী হচ্ছেন অন্য কৃষকরাও।
সরেজমিনে শনিবার বড় ধর্মপুরে গিয়ে দেখা যায়, উদ্যোক্তা আলী নেওয়াজ, আবদুর রশিদ ও তার সহযোগীরা বাগান থেকে আনারস কাটছেন। কেটে এনে বাগানের পাশে স্তুপ করছেন। পাহাড়ি উঁচু নিচু পথ পেরিয়ে ট্রাক্টর বাগানের পাশে এসে পৌঁছেছে। স্তুপ করা আনারস ট্রাক্টরে তুলে দেয়া হচ্ছে। সেই আনারস চলে যাবে পাহাড়ি এলাকা সংলগ্ন কুমিল্লা-চাঁদপুর আঞ্চলিক মহাসড়কের পাশের দুতিয়াপুর ফিলিং স্টেশনের পাশে। সেখানে খুচরা পাইকারি আনারস বিক্রি করা হয়। পাহাড়ে আনারস চাষ দেখতে প্রতিদিন উৎসুক মানুষ ভিড় করেন। আনারস কেটে জমিতেই অনেক ক্রেতা খেতে শুরু করেন। বাতাসে ছড়িয়ে পড়ে আনারসের মিষ্টি ঘ্রাণ। আনারসের রসে ভিজে যায় ক্রেতার মুখ ও হাত।
স্থানীয় দুতিয়াপুরের ক্রেতা কামাল হোসেন বলেন, লালমাই পাহাড়ে একসাথে এতো জমিতে আর আনারস চাষ হতে দেখিনি। ভালো ফলন হয়েছে। স্থানীয়রাও সাশ্রয়ী মূল্যে আনারস ক্রয় করতে পারছেন।
দত্তপুর গ্রামের ক্রেতা আবদুল হাসান। তিনি বলেন, তিনি ভ্যানে আনারস ও পেয়ারা কেটে বিক্রি করেন। পাহাড়ের আনারসের স্বাদ ও গন্ধ ভালো হওয়ায় তিনি এখান থেকে আনারস কিনে নেন।
উদ্যোক্তা আলী নেয়াজ বলেন, অন্য সবজিতে বেশি সার ও কীটনাশক দিতে হয়। খরচ বেশি হয়। তাই আমরা এলাকার কয়েকজন কৃষক মিলে আনারসের চাষ করেছি। এটাতে খরচ কম। কৃষি অফিস আমাদের পরামর্শ দিয়ে সহযোগিতা করেছে। প্রথম বছরে ভালো ফলন হয়েছে। ৬ লাখ টাকা খরচ হয়েছে। আড়াই লাখ টাকা বিক্রি করেছি। আশা করছি আরো ৬-৭ লাখ টাকা বিক্রি করতে পারবো। আমাদের দেখে অন্য কৃষকরাও আরনারস চাষে আগ্রহ প্রকাশ করেছেন।
উপ-সহকারী কৃষি অফিসার এম এম শাহারিয়ার ভূঁইয়া বলেন, এখানে হানিকুইন জাতের আনারসের ৬০ হাজার চারা লাগানো হয়েছে। বিভিন্ন সময়ে আমরা উদ্যোক্তাদের পরামর্শ দিয়েছি। ফলন আসার পর মাঠ পরিদর্শন করে দেখেছি। ভালো ফলন হয়েছে। এতে কৃষক খুব খুশি।
উপজেলা কৃষি অফিসার জোনায়েদ কবির খান বলেন, লালমাই পাহাড়ের প্রথমবারের মতো বাণিজ্যিকভাবে আনারসের চাষ হয়েছে। তাদের সফলতা দেখে অন্য কৃষকরাও আগ্রহী হয়েছেন। লালমাই পাহাড়ের আনারস সম্প্রসারণের ভালো সম্ভাবনা রয়েছে।
চলারপথে রিপোর্ট :
গাইবান্ধার গোবিন্দগঞ্জ উপজেলার মহিমাগঞ্জ বাজারে তুচ্ছ ঘটনায় দুই গ্রামের সহস্রাধিক মানুষের সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। আজ ১০ সেপ্টেম্বর রবিবার সকাল ১০টা থেকে দফায় দফায় চলা এ সংঘর্ষে উভয় গ্রামের ১০-১২ জন আহত হয়েছে। এ সময় রেলপথ থেকে আনা পাথরের ঢিলে উভয়পক্ষের লোকজন আহত হওয়ার পাশাপাশি বাজার এলাকার বাড়িঘর ও দোকানপাটের ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে। খবর পেয়ে সকাল ১১টার দিকে গোবিন্দগঞ্জ থানার একদল পুলিশ এসে সংঘর্ষ থামাতে ব্যর্থ হয়। পরে গাইবান্ধার থেকে অতিরিক্ত পুলিশ এসে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ করে।
স্থানীয়রা জানান, গত শনিবার উপজেলার মহিমাগঞ্জ টাউন ক্লাব মাঠে একটি তুচ্ছ বিষয় নিয়ে একই ইউনিয়নের গোপালপুর ও জিরাই গ্রামের কয়েকজন যুবকের সাথে কথা কাটাকাটি হয়। মহিমাগঞ্জ ইউনিয়ন পরিষদের একজন সদস্য বিরোধ মিমাংসার জন্য সেখানে এগিয়ে গেলে তাকে লাঞ্ছিত করা হয় বলে অভিযোগ ওঠে।
এরই জের ধরে পরদিন রবিবার সকাল ১০টার দিকে জিরাই ও গোপালপুর গ্রামের কয়েকশ মানুষ লাঠি, রামদাসহ বিভিন্ন দেশীয় অস্ত্রে সজ্জিত হয়ে মহিমাগঞ্জ বাজার এলাকায় সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়ে। এর মধ্যে মাথায় হেলমেট পরে ব্যাগে বহণ করা রেলপথ থেকে আনা পাথরের টুকরা দিয়ে উভয় দিক থেকে বৃষ্টির মতো ঢিল ছোড়াছুড়ি শুরু হয়। এ সময় উভয় পক্ষে ১০-১২ জন মাথায় আঘাত পেয়ে আহত হয়। আহতদের মধ্যে আটজনের নাম পাওয়া গেছে। তারা হলো গোপালপুর গ্রামের আবুল কালাম (৩৫), ফেরদৌস (২০), জোহা (৫৫) ও রানা (৩২) এবং জিরাই গ্রামের সজিব (২০), মিঠু (৩০), ইসরাইল (৩৫) ও হানিফ (২০)। আহতদের বিভিন্ন চিকিৎসাকেন্দ্রে চিকিৎসা দেয়া হচ্ছে।
দুপুরে গোবিন্দগঞ্জ উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ও উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান আব্দুল লতিফ প্রধান, উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা রাসেল মিয়া, মহিমাগঞ্জ ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আনোয়ারুল ইসলাম প্রধান, গাইবান্ধার সহকারী পুলিশ সুপার উদয় কুমার সাহা, গোবিন্দগঞ্জ থানার ওসি (তদন্ত) বুলবুল ইসলাম উভয় গ্রামের লোকজনের সাথে পৃথক পৃথক বৈঠক করে বিষয়টি নিষ্পত্তির চেষ্টা করা হচ্ছে বলে জানিয়েছেন।