চলারপথে রিপোর্ট :
আখাউড়া উপজেলার ছয়গড়িয়া শাহআলম উচ্চ বিদ্যালয়ের সাবেক ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক মোছাঃ সেলিনা বেগমকে স্থায়ী বরখাস্তসহ ৪ দফা দাবিতে মানববন্ধন করেছে শিক্ষার্থীরা।
আজ ৩০ অক্টোবর বুধবার দুপুরে ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার আখাউড়া উপজেলা পরিষদ কমপ্লেক্সের সামনে আখাউড়া-আগরতলা সড়কে অনুষ্ঠিত মানববন্ধনে শতাধিক শিক্ষার্থী ও এলাকাবাসী অংশ নেয়।
মানববন্ধনে শিক্ষার্থীরা অভিযোগ করে বলেন মোছাঃ সেলিনা বেগম একজন মামলাবাজ।
বিদ্যালয়ের ভূমিদাতা ও সাবেক সভাপতি আবুল বাশার ওরফে মোঃ মোবারক হোসেনসহ বিদ্যালয়ের শিক্ষক ও ম্যানিজিং কমিটির সদস্যদের বিরুদ্ধে মিথ্যা দিয়ে হয়রানি করছেন তিনি। মামলার মানসিক চাপে বিদ্যালয়ের সাবেক সভাপতি মোবারক হোসেন গত ১০ জুলাই স্ট্রোক করে মৃত্যু বরণ করেছন। বিদ্যালয়ের পাঠদান ব্যহত হচ্ছে। বিদ্যালয়ের পড়ালেখার সুুষ্ঠু পরিবেশ ফিরিয়ে আনতে সেলিনা বেগমকে স্থায়ী বরখাস্ত করে অবিলম্বে নতুন প্রধান শিক্ষক নিয়োগ দেওয়ার দাবি জানান শিক্ষার্থীরা। এছাড়াও শিক্ষক ও কমিটির সদস্যদের বিরুদ্ধে দায়েরকৃত মিথ্যা মামলা প্রত্যাহার ও সেলিনা বেগমের বিচার দাবি করেন শিক্ষার্থীরা।
বিদ্যালয়ের গ্রন্থাগারিক মোঃ নজরুল ইসলাম বলেন, সেলিনা বেগম কথায় কথায় মামলা করে দেয়। বিদ্যালয়ের সাবেক সভাপতি মোবারক হোসেনের বিরুদ্ধে মামলা দিয়েছিল। মানসিক চাপে মোবারক হোসেনের মৃত্যু হয়েছে। তিনি আমিসহ কয়েকজন শিক্ষক ও ম্যানেজিং কমিটির সদস্যদের বিরুদ্ধে মিথ্যা মামলা দিয়েছে। আমরা মামলা সামলাবো নাকি পাঠ দান করাবো।
বিদ্যালয়ের সাবেক সভাপতি নিহত মোবারক হোসেনের মেয়ে রেখা বেগম অভিযোগ করে বলেন, আমার বাবা বিদ্যালয়ের একজন ভূমিদাতা। সেলিনা বেগম আমার বাবার বিরুদ্ধে মিথ্যা মামলা দিয়ে হয়রানি করেছে। মানসিক চাপে আমার বাবার মৃত্যু হয়েছে। আমি সেলিনা বেগমের বিচারচাই।
উল্লেখ্য, বিদ্যালয়ের তৎকালীন ম্যনেজিং কমিটি বিভিন্ন অভিযোগে গত ৫ জুলাই মোছাঃ সেলিনা বেগমকে ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষকের দায়িত্ব থেকে অব্যাহতি এবং সহকারি প্রধান শিক্ষকের পদ থেকে সাময়িক বরখাস্ত করেছে। এরপর থেকে তিনি বিদ্যালয়ে যাওয়া থেকে বিরত রয়েছে। গত সোমবার তিনি বিদ্যালয়ে গেলে শিক্ষার্থীরা ক্ষুব্ধ হয়ে তার পদত্যাগ দাবি করে বিক্ষোভ দেখায়।
আখাউড়া প্রতিনিধি :
আখাউড়ায় ভারত সীমান্তবর্তী এলাকা থেকে ছুরিঘাতে আহত পাপন (২৭) নামে এক যুবককে উদ্ধার করেছে বিজিবি ও পুলিশ। আজ ৩ ফেব্রুয়ারি শুক্রবার সকাল ১১টার দিকে উপজেলার উত্তর ইউনিয়নের রাজাপুর এলাকা থেকে অচেতন অবস্থায় তাকে উদ্ধার করা হয়। উদ্ধারকৃত যুবক হলো উত্তর ইউনিয়নের রামধননগর গ্রামের নুরুল হকের পুত্র। তার বাম হাতে ও কপালে ছুরিকাঘাত এবং নাকে আঘাতের চিহ্ন রয়েছে। খবর পেয়ে ২৫ বিজিবি (সরাইল) এর অধিনায়ক কর্ণেল সৈয়দ আরমান আরিফ এবং আখাউড়া থানার অফিসার ইনচার্জ মোঃ আসাদুল ইসলাম ঘটনাস্থলে ছুটে আসেন। আহত যুবককে উদ্ধার করে প্রাথমিক চিকিৎসা দিয়ে আখাউড়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে পাঠায়। তবে ওই যুবক অচেতন অবস্থায় থাকায় কারা তাকে মারধর করেছে এ বিষয়ে বিস্তারিত জানা যায়নি। তার স্বজনরা এলাকায় না থাকায় তাদের সাথে কথা বলা সম্ভব হয়নি।
এলাকাবাসী ও বিজিবি সূত্রে জানা গেছে, সকালে আজমপুর বিজিবি ক্যাম্পের একটি টহল দল সীমান্তে টহল দেওয়ার সময় এক যুবককে অচেতন অবস্থায় পরে থাকতে দেখে উর্ধতন কর্তৃপক্ষকে অবহিত করে। খবর পেয়ে ২৫ বিজিবি (সরাইল) এর অধিনায়ক কর্ণেল সৈয়দ আরমান আরিফ, আখাউড়া থানার অফিসার ইনচার্জ মোঃ আসাদুল ইসলাম এবং স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যান মোহাম্মদ শাহজাহান ঘটনাস্থলে যান। পরে বিজিবি ও পুলিশ ওই যুবককে উদ্ধার করে।
হাসপাতালে পাপনের প্রতিবেশি জুম্মান মিয়া বলেন, পাপন বিল্ডিংয়ের কারুকাজ শ্রমিক হিসেবে কাজ করে।
এ ব্যাপারে ২৫ বিজিবি (সরাইল) এর অধিনায়ক কর্ণেল সৈয়দ আরমান আরিফ সাংবাদিকদের বলেন, বিজিবি টহল ওই যুবককে দেখতে আমাকে অবগত করে। আমি ঘটনাস্থলে সকলের উপস্থিতিতে তাকে উদ্ধার করি। তবে সে কীভাবে সেখানে গেল এবং কারা তাকে মারধর করেছে তা তদন্ত সাপেক্ষে জানা যাবে।
চলারপথে রিপোর্ট :
ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার সীমান্তবর্তী উপজেলা আখাউড়া। এ উপজেলার বেশীভাগ লোকজন কৃষি কাজে উতপ্রোত ভাবে জড়িত। বর্তমানে চলছে ইরি-বোরো ধান আবাদের ভরা মৌসুম। স্থানীয় কৃষকরা কনকনে শীতকে অপেক্ষা করে চলতি মৌসুমের ইরি-বোরো ধান আবাদ শুরু করেছে। কৃষকরা জমিতে পানি সেচ, হালচাষ, সার প্রয়োগ, বীজ উঠানো, প্রস্তুতকৃত জমিতে চারা রোপনে এক প্রকার ব্যস্ত সময় পার করছে। ধান আবাদ নিয়ে এখন সর্বত্র চলছে এক প্রকার উৎসবের আমেজ। আবহাওয়া অনুকূলে থাকলে বোরো আবাদে তেমন সমস্যা হবে না বলে মনে করেন স্থানীয় কৃষকরা।
আখাউড়া উপজেলা কৃষি অফিস সূত্রে জানা যায়, এ উপজেলায় চলতি মৌসুমে ৫ হাজার ৬শ ৫০ হেক্টর জমিতে বোরো ধানের লক্ষ্য মাত্রা নির্ধারণ করা হয়। রোপনকৃত জমির মধ্যে উন্নতফলনশীল জাতের ব্রি-২৯, ২৮, ৫০, ৮৫, ৮৭, ৮৮-৯৩, ৯৪, ৯৫ বঙ্গবন্ধু ১০০সহ নানা প্রজাতির ধান রয়েছে। এ মৌসুমে বোরো ধান রোপণের জন্য উপজেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদফতরের পক্ষ থেকে ৫হাজার দুইশত কৃষককে সরকারি প্রণোদনা দেওয়া হয়। এরমধ্যে ২৫০০ কৃষককে বীজ ধান, ১০ কেজি এমওপি এবং ১০ কেজি ডিওপি সার এবং ২৭০০ কৃষককে শুধুমাত্র বীজ দেওয়া হয়।
পৌর এলাকায় তারাগন, দেবগ্রাম, নারায়নপুর, উপজেলার নুরপুর, হীরাপুর, উমেদপুর, ধাতুর পহেলাসহ বিভিন্ন স্থানে গিয়ে দেখা যায় স্থানীয় কৃষকরা বোরো ধান আবাদে জমি প্রস্তুত, চারা উত্তোলন ও রোপনের কাজে তারা ব্যস্ত সময় পার করছেন। এরমধ্যে ফসলি জমিতে কেউ কেউ ট্রাক্টর দিয়ে হাল চাষ করছেন। কেউ কেউ শ্যালো মেশিন দিয়ে জমিতে পানি দিচ্ছেন, আবার কেউ বা ধানের চারা বীজতলা থেকে উঠাচ্ছেন। মাঠ জুড়ে বোরো আবাদের ধুম পড়ায় সূর্যের মুখ দেখা না গেলেও কোমর বেঁধে মাঠে নেমে কাজ করছেন কৃষকরা। কুয়াশায় ঢাকা শীতের সকালে বীজতলায় ধানের চারা পরিচর্যার পাশাপাশি জমি আবাদে কাজ চলছে যেন পুরোদমে। এদিকে তীব্র শীতে বীজতলা নষ্ট হওয়ার আশঙ্কায় কৃষকরা রাতে বীজতলা ঢেকে রাখছেন। সব মিলিয়ে স্থানীয় কৃষকরা বোরো ধান আবাদে ব্যস্ত সময় পার করছেন।
কৃষক মোঃ খোরশেদ আলম বলেন, এ মৌসুমে বোরো ধান আবাদ করতে সহায়তা হিসাবে উপজেলা কৃষি অফিস থেকে বীজ ও সার পেয়েছেন। গত আমনে ধান ৭ বিঘা জমি আবাদ করে ফলন ও বিক্রিতে ভালো দাম পেয়ে লাভবান হয়েছি। তাই এবার ১০ বিঘা জমিতে বোরো ধান আবাদ করা হবে।
কৃষক মো: জামশেদ মিয়া বলেন, এক সময় বোরো ধান আবাদ করতে পানির খুবই সমস্যা হতো। অতিরিক্ত টাকায় সেচ দিতে হতো। গত কয়েক বছর ধরে সোলারের মাধ্যমে সেচ দিতে পারায় খরচ অনেক কমে এসেছে। তাছাড়া উচ্চ ফলনশীল ধান আবাদে ফলন ও বিক্রিতে দর ভালো পাওয়ায় ধান চাষে লাভবান হচ্ছি। এ মৌসুমে ৮ বিঘা জমির মধ্যে ৫ বিঘা জমিতে চারা লাগানো শেষ হয়েছে। আগামী সপ্তাহে বাকী জমিতে লাগানোর কাজ শেষ হবে।
আখাউড়া উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা তানিয়া তাবাসসুম বলেন, উপজেলার সর্বত্র কৃষকরা জমি প্রস্তুত করে পুরাদমে বোরো ধান আবাদ শুরু করেছেন। মাঠজুড়ে উৎসবের আমেজ বিরাজ করছেন। শেষ পর্যন্ত আবহাওয়া অনুকুলে এবং সেচ ব্যবস্থা ঠিকমতো থাকলে লক্ষ্যমাত্রা অর্জনের সম্ভাবনা রয়েছে বলে তিনি জানায়।
চলারপথে রিপোর্ট :
ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার আখাউড়ায় বিশ্ব ডায়াবেটিক দিবস উপলক্ষে র্যালি ও আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। আখাউড়া ডায়াবেটিক সমিতির উদ্যোগে আজ ১৪ নভেম্বর মঙ্গলবার সকালে পৌরশহরের কলেজ পাড়া থেকে র্যালিটি বের হয়ে শহরের প্রধান প্রধান সড়ক প্রদক্ষিণ করে সমিতির কার্যালয়ে ফিরে যায়।
এর আগে আগে আখাউড়া ডায়াবেটিস সমিতির সভাপতি সুপ্রীম কোর্টের আইনজীবী অ্যাড. আকছির এম চৌধুরীর সভাপতিত্বে আলোচনা সভায় বক্তব্য রাখেন উপজেলা আওয়ামী লীগের সাবেক যুগ্ম আহ্বায়ক সেলিম ভুঁইয়া, আখাউড়া ডায়াবেটিস সমিতির সাধারণ সম্পাদক (ভারপ্রাপ্ত) আবু জামাল ভুঁইয়া, আওয়ামী লীগ নেতা বাবুল পারভেজ, শওকত চৌধুরী ও আকছির এম চৌধুরী চ্যারিটি ট্রাস্ট স্কুলের প্রধান শিক্ষক শিরিন আক্তার প্রমুখ।
বক্তারা বলেন, আমাদের এবারের স্লোগান হলো ‘ইনসুলিন আমাদের অধিকার, বিনা মূল্যে ইনসুলিন চাই। সাশ্রয়ী মুল্যে ঔষধ চাই। শতকরা ৬৫ জন লোক ডায়াবেটিকে আক্রান্ত। তারা নিজেরাও জানে না তারা ডায়াবেটিকে আক্রান্ত। খাওয়া-দাওয়া, প্রেসার, টেনশন থেকে ডায়াবেটিক হয়। ডায়াবেটিক যাতে না হয় সেজন্য সবাইকে সচেতন থাকার আহবান জানান।
ডায়াবেটিক সমিতির সভাপতি অ্যাড. আকছির এম চৌধুরী বলেন, একবার যার ডায়াবেটিক হয়, সারা জীবন তাকে তা বয়ে বেড়াতে হয়। ডায়াবেটিক আক্রান্ত হলেও সচেতনতা এবং চিকিৎসকের পরামর্শ মতো চললে কোন ক্ষতি করতে পারে না। আমাদের প্রথম লক্ষ্য ডায়াবেটিক প্রতিরোধ করা। দুই বছর আগে আখাউড়ায় ডায়াবেটিক সমিতি গঠন করেছি।
চলারপথে রিপোর্ট :
ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার আখাউড়ায় বিশ্ব তামাকমুক্ত দিবস উপলক্ষে র্যালি ও আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে।
আজ ৩১ মে শুক্রবার সকালে উপজেলা পরিষদ চত্বর থেকে র্যালিটি বের হয়ে প্রধান সড়ক পর্যন্ত গিয়ে ফিরে আসে।
র্যালিতে প্রশাসনের কর্মকর্তা, শিক্ষক, চিকিৎসকসহ বিভিন্ন পেশার মানুষ অংশ নেয়।
পরে উপজেলা সম্মেলন কক্ষে আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়।
উপজেলা নির্বাহী অফিসার রাবেয়া আক্তারের সভাপতিত্বে এসময় বক্তব্য রাখেন উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) এস.এম. রাহাতুল ইসলাম, উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের আবাসিক মেডিকেল অফিসার ডাঃ মোঃ লুৎফুর রহমান, উপজেলা শিক্ষা অফিসার শাহ ইলিয়াস উদ্দিন, প্রধান শিক্ষক মো. মাহতবাব মিয়া, শিক্ষক দিলিপ দেবনাথ, মোঃ রফিকুল ইসলাম প্রমুখ।
বক্তারা তামাকের কুফল সম্পর্কে বক্তব্য রাখেন। তামাক ব্যবহারে মানব দেহের ক্ষতি ও অর্থ অপচয় হয়। তামাক প্রতিরোধে আইনের প্রয়োগ বেশি দরকার বলে মনে করেন।
অনলাইন ডেস্ক :
ফিলিস্তিনে ইসরাইলের অবৈধ আগ্রাসনের প্রতিবাদে ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার আখাউড়ায় বিক্ষোভ মিছিল প্রতিবাদ সমাবেশ হয়েছে। আখাউড়া উপজেলা ওলামায়ে কেরাম, ইমাম পরিষদ ও সর্বস্তরের তৌহিদী জনতার আয়োজনে আজ ১৪ অক্টোবর শনিবার সকালে এ কর্মসূচি পালন করা হয়। সড়ক বাজারের অ্যাড. সিরাজুল হক মুক্ত মঞ্চ থেকে একটি বিক্ষোভ মিছিল বের হয়ে শহরের লাল বাজার, রাধানগর সড়ক বাজার ঘুরে একই স্থানে এসে সমাবেশ করে। বিক্ষোভ মিছিলে মাদ্রাসার ছাত্র-শিক্ষক, মসজিদের ইমামসহ ধর্মপ্রাণ মুসলমানরা অংশ নেয়। সমাবেশ থেকে সরকারের প্রতি তিন দফা দাবী উপস্থাপন করা হয়।
স্থানীয় মহিউস সুন্নাহ মাদ্রাসার প্রিন্সিপাল মুফতি আসয়াদ আল হাবিবির সভাপতিত্বে এসময় বক্তব্য রাখেন উপজেলা দেবগ্রাম মাজহারুল ইসলাম দারুল উলুম মাদ্রাসার প্রিন্সিপাল মাওলানা আসয়াদুজ্জান, আনন্দপুর মাদ্রাসার প্রিন্সিপাল মাওলানা উবায়দুল্লাহ, ইমাম পরিষদের সভাপতি মাওঃ কাজী মাইনুদ্দিন, মাওলানা হাবিবুল্লাহ বাহার, মাওলানা মাহমুদুল হাসান, মোঃ জালাল উদ্দিন, হাফেজ মোঃ রাসেল মোল্লা, মাওলানা আবু আব্দুল্লাহ, মুফতি সোহাইল, আলহাজ¦ শেখ ইকরাম প্রমুখ। অনুষ্ঠান সঞ্চালনা করেন আলহাজ¦ মোঃ বিল্লাল হোসেন।
বক্তারা প্রধানমন্ত্রীর প্রতি আহবান জানিয়ে বলেন ফিলিস্তিনে ইসরাইলের হামলার ঘটনায় জাতীয় সংসদে নিন্দা প্রস্তাব গ্রহন করে ফিলিস্তিনের পক্ষে সমর্থন ব্যক্ত করুন। জিহাদে অংশ নিতে ফিলিস্তিনে যাওয়ার অনুমতি প্রদান এবং ইসরাইলের পণ্য বর্জন করতে হবে। বক্তারা বলেন, বিশ্বের সকল মুসলিম রাষ্ট্রগুলো এক হয়ে ইসরাইলের বিরুদ্ধে জিহাদ করলে তারা টিকে থাকতে পারবে না। ইসরাইলকে ধ্বংস করে দেওয়ার জন্য বিশ্বনেতাদের প্রতি আহবান জানানো হয় সমাবেশে। পরে ফিলিস্তিনের মুসলমানদের মুক্তির জন্য দোয়া পাঠ করে কর্মসূচি শেষ হয়।