চলারপথে রিপোর্ট :
সমবায়ে গড়ব দেশ, বৈষম্যহীন বাংলাদেশ” প্রতিপাদ্যকে সামনে রেখে ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার নাসিরনগর উপজেলা প্রশাসন ও সমবায় কার্যালয়ের আয়োজনে জাতীয় পতাকা উত্তোলন, শোভাযাত্রা ও আলোচনা সভার মধ্যদিয়ে ৫৩তম জাতীয় সমবায় দিবস পালন করা হয়েছে। দিবসটি উপলক্ষে আজ ২ নভেম্বর শনিবার নাসিরনগর উপজেলা সদরে একটি শোভাযাত্রা বের করা হয়। শোভাযাত্রা শেষে জাতীয় পতাকা উত্তোলন করা হয়। পরে নাসিরনগর উপজেলা পরিষদ সম্মেলন কক্ষে আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়।
নাসিরনগর উপজেলা সমবায় কর্মকর্তা ফারজানা খন্দকারের সভাপতিত্বে সহকারি পরিদর্শক মোহাম্মদ শাহিন মিয়ার সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোহাম্মদ ইমরানুল হক ভূইয়া।
বিশেষ অতিথি ছিলেন সহকারি কমিশনার (ভূমি) মোহাম্মদ রবিউস সারোয়ার, বীর মুক্তিযোদ্ধা আবদুল বাকী, সাবেক ইউপি চেয়ারম্যান মো: রফিজ মিয়া ও প্রেসক্লাব সভাপতি সুজিত কুমার চক্রবর্তী।
সভায় বক্তব্য রাখেন প্রত্যাশা সার্বিক গ্রাম উন্নয়ন সমবায় সমিতির সভাপতি বসির আহমেদ, ধীবর সমবায় সমিতির সদস্য নিখিল দাস, হরেন্দ্র দাস প্রমুখ।
এ সময় স্থানীয় সরকারি কর্মকর্তা, বিভিন্ন সমিতির নেতৃবৃন্দসহ গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গ উপস্থিত ছিলেন।
নাসিরনগর উপজেলা নির্বাহী অফিসার ইমরানুল হক ভূইঁয়া বলেন, একটি দেশের অর্থনীতিকে গতিশীল করার জন্য সমবায়ের প্রসার ঘটাতে হবে। আর্থ-সামাজিক মানোন্নয়নের জন্য সমবায় সমিতির সকলকে ঐক্যবদ্ধভাবে কাজ করতে হবে।
চলারপথে রিপোর্ট :
নাসিরনগরে মোটর সাইকেলের ধাক্কায় আয়ুব আলী (৬০) নামে এক বৃদ্ধ নিহত হয়েছেন। আজ ৫ জুলাই বুধবার বিকাল ৪টার দিকে উপজেলার সদর ইউনিয়নের ব্রাহ্মণবাড়িয়া-হবিগঞ্জ সড়কের ধনকুড়া নামক স্থানে এই দুর্ঘটনা ঘটে। নিহত আয়ুব আলী সদর ইউনিয়নের ৮নং ওর্য়াডের মৃত আব্দুল মোমিনের ছেলে।
এ ঘটনায় মোটরসাইকেল চালক একই ইউনিয়নের দাঁতমন্ডল গ্রামের রোমান মিয়া আহত হয়েছে।
পুলিশ ও এলাকাবাসীর সূত্রে জানা যায়, বুধবার বিকাল ৪টার দিকে উপজেলা সদরে আসার জন্য ধনকুড়া এলাকায় গাড়ির জন্য অপেক্ষা করছিলেন আয়ুব আলী।
এসময় তিনজন আরোহীসহ একটি মোটর সাইকেল পিছন থেকে ধাক্কা দিলে মাথায় প্রচন্ড আঘাত পান আয়ুব আলী। পরে তাকে উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত ডাক্তার মৃত ঘোষণা করেন।
ধনকুড়া গ্রামের লোকমান মিয়া জানান, আয়ুব আলী বাজারে যাওয়ার জন্য রাস্তার পাশে গাড়ির জন্য অপেক্ষা করছিলেন। এসময় বেপরোয়া গতির একটি মোটর সাইকেল পিছন থেকে তাকে ধাক্কা দেয়।
নাসিরনগর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) হাবিবুল্লাহ সরকার ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, মোটর সাইকেলের ধাক্কা একজন নিহত হয়েছে। আইনানুযায়ী প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
চলারপথে রিপোর্ট :
৭ ডিসেম্বর নাসিরনগর হানাদার মুক্ত দিবস। ১৯৭১ সালের এই দিনে পাকিস্তানি হানাদার বাহিনীকে পরাজিত করে স্বাধীন বাংলাদেশের পতাকা উত্তোলন করা হয়। মুক্ত হয় নাসিরনগর উপজেলা। প্রতি বছরই এ দিনটিতে নানা কর্মসূচি গ্রহণ করে উপজেলা প্রশাসন। ১৯৭১ সালের ১৫ নভেম্বর পাক হানাদার বাহিনী নাসিরনগর উপজেলার বিভিন্ন গ্রামবাসীর ওপর নারকীয় হত্যাযজ্ঞ চালায়। উপজেলার ফুলপুর, নুরপুর, কুলিকুন্ডা, সিংহগ্রাম ও তিলপাড়া গ্রামের নিরীহ সাধারণ মানুষের ওপর অত্যাচার চালোনো হয়। বাড়িঘরে অগ্নিসংযোগ ও লুটপাট করা হয়।
মুক্তিযোদ্ধা ও সংগ্রামী জনতা পাকবাহিনীর বিরুদ্ধে দীর্ঘ ৯ মাস যুদ্ধ করে আজকের দিনে নাসিরনগর থানা অভ্যন্তরে (পুলিশ স্টেশন) স্বাধীন বাংলার পতাকা উত্তোলন করে।
চলারপথে রিপোর্ট :
ব্রাহ্মণবাড়িয়া-১-(নাসিরনগর) : হাওর বেষ্টিত এই আসনটি আওয়ামীগের ভোট ব্যাংক হিসেবে পরিচিত। ১৩টি ইউনিয়ন নিয়ে গঠিত এই আসনের ভোটার সংখ্যা ২লাখ ৫২হাজার ৫৪৭জন। এর মধ্যে পুরুষ ভোটার ১ লাখ ৩৩ হাজার ১০৯জন, মহিলা ভোটার ১ লাখ ১৯ হাজার ৪৩৬জন এবং হিজরা ২জন। এই আসনের বর্তমান সংসদ সদস্য বাংলাদেশ ছাত্রলীগের সাবেক কেন্দ্রীয় নেতা বদরুদ্দোজা মোঃ ফরহাদ হোসেন সংগ্রাম।
দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে আওয়ামীলীগের দূর্গ হিসেবে পরিচিত এই আসন থেকে প্রতিদ্ব›িদ্বতা করছেন আওয়ামীলীগসহ বিভিন্ন রাজনৈতিক দলেন ৫জন প্রার্থী।
প্রার্থীরা হলেন, বর্তমান সংসদ সদস্য ও আওয়ামীলীগ মনোনীত প্রার্থী বদরুদ্দোজা মোঃ ফরহাদ হোসেন সংগ্রাম (নৌকা প্রতীক), বিএনপির চেয়ারপারসনের বহিষ্কৃত উপদেষ্টা ও স্বতন্ত্র প্রার্থী আলহাজ্ব সৈয়দ একে একরামুজ্জামান (কলার ছড়ি প্রতীক), জাতীয় পার্টির মুহাম্মদ শাহানুল করিম (লাঙ্গল প্রতীক), বাংলাদেশ ইসলামী ফ্রন্টের মোঃ ইসলাম উদ্দিন (মোমবাতি প্রতীক) ও ওয়ার্কার্স পার্টির মোহাম্মদ বকুল হোসেন-( হাতুড়ি প্রতীক)।
বর্তমানে নির্বাচনী এলাকায় বিরাজ করছে উৎসব মুখর পরিবেশ। প্রতিদ্ব›িদ্ব প্রার্থীরা তাদের প্রচার-প্রচারনা চালিয়ে যাচ্ছেন। প্রার্থীরা গণসংযোগ, উঠান বৈঠক ও নির্বাচনী সভা করছেন।
কাগজে-কলমে এই আসনে ৫ জন প্রার্থী থাকলেও ইতিমধ্যেই জাতীয় পার্টির প্রার্থী মুহাম্মদ শাহানুল করিম ঘোষনা দিয়ে স্বতন্ত্র প্রার্থী আলহাজ্ব সৈয়দ একে একরামুজ্জামানের কলার ছড়ি প্রতীকের সমর্থনে নির্বাচনী মাঠ থেকে সরে দাঁড়িয়েছেন।
বাংলাদেশ ইসলামী ফ্রন্টের মোঃ ইসলাম উদ্দিন (মোমবাতি প্রতীক) ও ওয়ার্কার্স পার্টির মোহাম্মদ বকুল হোসেন-( হাতুড়ি প্রতীক) এর তেমন প্রচার-প্রচারনা নেই।
নির্বাচনী মাঠে আওয়ামীলীগের প্রার্থী ও বর্তমান সংসদ সদস্য বদরুদ্দোজা মোঃ ফরহাদ হোসেন সংগ্রাম ও স্বতন্ত্র প্রার্থী আলহাজ্ব সৈয়দ একে একরামুজ্জামান ব্যাপক প্রচার-প্রচারণা চালিয়ে যাচ্ছেন।
ব্রাহ্মণবাড়িয়া-১-(নাসিরনগর) আসনটি ১৯৯৬ সালের পর থেকে আওয়ামী লীগের দখলে। ২০০১ সালের নির্বাচনে চট্টগ্রাম বিভাগে আওয়ামীলীগের বিপর্যয়ের সময়ও বর্ষিয়ান আওয়ামীলীগ নেতা ও সাবেক মৎস্য ও প্রাণীসম্পদ মন্ত্রী অ্যাডভোকেট ছায়েদুল হক এই আসন থেকে বিজয়ী হয়েছিলেন। অ্যাডভোটে ছায়েদুল হক ১৯৯৬ সাল থেকে টানা ৪ বারসহ মোট ৫ বার এই আসন থেকে বিজয়ী হয়েছিলেলন।
২০১৭ সালের ১৬ ডিসেম্বর অ্যাডভোকেট ছায়েদুল হক মৃত্যুবরণ করলে ২০১৮ সালের ১৩ মার্চ অনুষ্ঠিত উপ-নির্বাচনে বি.এম ফরহাদ হোসেন সংগ্রাম আওয়ামী লীগের প্রার্থী হিসেবে এই আসনে প্রথমবারের মতো বিজয়ী হন। পরবর্তীতে একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনেও বি.এম ফরহাদ হোসেন সংগ্রাম বিএনপির হেভিওয়েট প্রার্থী ও বিএনপির চেয়ারপারসনের তৎকালীন উপদেষ্টা সৈয়দ একে একরামুজ্জানকে হারিয়ে দ্বিতীয়বারের মতো সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন।
দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনেও আবার মুখোমুখী হয়েছেন আওয়ামীলীগ প্রার্থী বি.এম ফরহাদ হোসেন সংগ্রাম এবং হেভিওয়েট প্রার্থী ও স্বতন্ত্র প্রার্থী সৈয়দ একে একরামুজ্জান।
এবারের নির্বাচনী মাঠে বদরুদ্দোজা মোঃ ফরহাদ হোসেন সংগ্রাম অনেকটা চাপে আছেন। দলীয় অনেক নেতা-কর্মীই তার পক্ষে নেই। আওয়ামীলীগের এই বিভক্তির কারনে নির্বাচনী মাঠে সুবিধা পাচ্ছেন স্বতন্ত্র প্রার্থী আলহাজ্ব সৈয়দ একে একরামুজ্জামান। দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে আওয়ামীলীগের মনোনয়ন বঞ্চিত তিন নেতা কেন্দ্রীয় কৃষকলীগের অর্থ সম্পাদক আলহাজ্ব নাজির মিয়া, তার স্ত্রী ও নাসিরনগর উপজেলা আওয়ামীলীগের সহ-সভাপতি রোমা আক্তার এবং নাসিরনগর উপজেলা আওয়ামীলীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক ও উপজেলা পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান এটিএম মনিরুজ্জামান সরকার প্রকাশ্যে স্বতন্ত্র প্রার্থী আলহাজ্ব সৈয়দ একে একরামুজ্জামানের কলার ছড়ির পক্ষে মাঠে কাজ করছেন। এছাড়াও নির্বাচন থেকে সড়ে দাঁড়ানো জাতীয় পার্টির নেতা মুহাম্মদ শাহানুল করিমও কলার ছড়ির পক্ষে মাঠে কাজ করছেন। এদিকে আওয়ামীলীগের প্রার্থী বদরুদ্দোজা মোঃ ফরহাদ হোসেন সংগ্রাম স্থানীয় এক সাংবাদিককে ও একজন ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যানকে দেখে নেয়ার হুমকি দেয়ায় নির্বাচনী মাঠে ব্যাপক সমালোচিত হয়েছেন। নির্বাচনী আচরণবিধি লঙ্ঘনের দায়ে গত ২৪ ডিসেম্বর সংগ্রামকে নির্বাচন অনুসন্ধান কমিটি তাকে শোকজ করে। পরদিন ২৫ ডিসেম্বর তিনি স্বশরীরে অনুসন্ধান কমিটির কাছে হাজির হয়ে ব্যাখ্যা দেন। সব মিলিয়ে নির্বাচনী মাঠে আওয়ামীলীগ মনোনীত প্রার্থী বদরুদ্দোজা মোঃ ফরহাদ হোসেন সংগ্রাম অনেকটা বেকায়দায় আছেন। এবারের নির্বাচনে আসনটি আওয়ামীলীগের হাতছাড়া হওয়ার আশাঙ্কা রয়েছে।
এ ব্যাপারে বাংলাদেশ কৃষকলীগের অর্থ বিষয়ক সম্পাদক আলহাজ্ব মোঃ নাজির মিয়া বলেন, বি.এম ফরহাদ হোসেন সংগ্রাম ক্ষমতায় থেকে তাদের উপর, দলের নেতা-কর্মীদের উপর অনেক অত্যাচার, অবিচার করেছেন এজন্য তারা নাসিরনগরবাসীকে নিরাপদে রাখতে এবার স্বতন্ত্র প্রার্থীর পক্ষে কাজ করছেন।
এ ব্যাপারে আওয়ামীলীগ মনোনীত প্রার্থী বদরুদ্দোজা মোঃ ফরহাদ হোসেন সংগ্রাম সাংবাদিকদের জানান তিনি নির্বাচনী এলাকায় উন্নয়ন কর্মকান্ড করেছেন। নির্বাচনে জয়ের ব্যাপারে শতভাগ আশাবাদী।
এ ব্যাপারে স্বতন্ত্র প্রার্থী আলহাজ্ব সৈয়দ একে একরামুজ্জামান বলেন, নির্বাচনী মাঠে ব্যাপক সাড়া পাচ্ছি। জনগন পরিবর্তন চায়, এক ব্যক্তির কারাগার থেকে মুক্তি চায়। তিনি বলেন, আগে দলীয় প্রার্থী হিসেবে নির্বাচন করেছি। বর্তমানে স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে নির্বাচন করায় আমার সাথে আওয়ামীলীগ, বিএনপি ও জাতীয় পার্টির নেতা-কর্মীরা আছে। আওয়ামীলীগ থেকে মনোনয়ন বঞ্চিত তিন প্রার্থী আমার জন্য কাজ করছেন। ইতিমধ্যেই জাতীয় পার্টির প্রার্থী শাহানুল করিমও আমাকে সমর্থন করে নির্বাচন থেকে সড়ে দাড়িয়েছেন। সাধারন মানুষের কাছ থেকে বিপুল সাড়া পাচ্ছি। বর্তমান পরিবেশ যদি বজায় থাকে তাহলে আমি জয়ের ব্যাপারে শতভাগ আশাবাদি।
চলারপথে রিপোর্ট :
ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার নাসিরনগরে ফুটবল খেলা নিয়ে দুই গোষ্ঠীর মধ্যে দফায় দফায় সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। ১০ মার্চ সোমবার দুপুরে উপজেলার চাপরতলা ইউনিয়নের চাপরতলা গ্রামে এই সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। এ সময় অন্তত ১০ জন আহত হন। আহতরা বিভিন্ন হাসপাতালে চিকিৎসা নিয়েছেন। পুলিশ ও স্থানীয়রা জানান, শনিবার নাসিরনগর উপজেলার চাপরতলা গ্রামে ফুটবল খেলা নিয়ে ফকির গোষ্ঠীর বাবুর সঙ্গে একই গ্রামের মোল্লাবাড়ি গোষ্ঠীর আকাশের ঝগড়া হয়। এ নিয়ে রোববার সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়েছিল ফকির গোষ্ঠী ও মোল্লাবাড়ি গোষ্ঠীর লোকজন। এরই জেরে সোমবার দেশীয় অস্ত্রশস্ত্র নিয়ে ফের সংঘর্ষে লিপ্ত হয় দুই গোষ্ঠীর লোকজন। সংঘর্ষে উভয় পক্ষের অন্তত ১০ জন আহত হন। পুলিশ জানায়, মোল্লা গোষ্ঠীর মো. সাজু ও ফকির গোষ্ঠীর আহাদ মিয়ার নেতৃত্বে এই সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে।
নাসিরনগর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) খাইরুল আলম বলেন, ফুটবল খেলা নিয়ে চাপরতলা গ্রামে মোল্লা গোষ্ঠী ও ফকির গোষ্ঠীর মধ্যে এই সংঘর্ষ হয়েছে। খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে এনেছে। বর্তমানে পরিস্থিতি শান্ত রয়েছে। সংঘর্ষের ঘটনায় আইনগত ব্যবস্থা প্রক্রিয়াধীন।
চলারপথে রিপোর্ট :
নাসিরনগরে ১৫ আগস্ট জাতীয় শোক দিবসের স্মরণে মোহাম্মদ ছায়েদুল হক ফাউন্ডেশনের উদ্যোগে বিনামূল্যে চিকিৎসা সেবা কর্মসূচি অনুষ্ঠিত হয়েছে।
আজ ১৮ আগস্ট শুক্রবার সকাল থেকে দিনব্যাপী উপজেলার পূর্বভাগ ইউনিয়নের পূর্বভাগ সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে এই চিকিৎসা সেবা কর্মসূচি অনুষ্ঠিত হয়। ১-১৫ বছর বয়সী জন্মগতভাবে হাত-পা বাঁকা, ভাঙ্গা ও বিভিন্ন শারীরিক সমস্যায় জড়িত শিশুদের চিকিৎসায় প্রফেসর ডা. সারোয়ার ইবনে সালামের নেতৃত্বে একদল বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক অংশগ্রহণ করেন।
বিনামূল্যে চিকিৎসা সেবা কর্মসূচির আয়োজক ও প্রয়াত মৎস্য ও প্রাণীসম্পদ মন্ত্রী অ্যাডভোকেট ছায়েদুল হকের একমাত্র সন্তান ডা. রায়হানুল হক জানান, মহান নেতার প্রতি শ্রদ্ধা রেখে জাতীয় শোক দিবসের স্মরণে বিনামূল্যে চিকিৎসা সেবা প্রদানের মাধ্যমে আমরা কিছু মানুষের পাশে দাঁড়িয়েছি।