অনলাইন ডেস্ক :
ঢাকা মহানগরীসহ সারা দেশের সকল (সরকারিকরণসহ) সরকারি মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে ২০২৫ শিক্ষাবর্ষে প্রথম শ্রেণি থেকে নবম শ্রেণিতে শিক্ষার্থী ভর্তি করা হবে।
শিক্ষার্থী ভর্তির ক্ষেত্রে বিদ্যালয় হতে কোনো ভর্তি ফরম বিতরণ করা হবে না।
ভর্তির আবেদন শুধু অনলাইনে https://gsa.teletalk.com.bd এই ঠিকানায় পাওয়া যাবে।
মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা অধিদপ্তর রোববার এক বিজ্ঞপ্তিতে জানায়, অনলাইনে আবেদন গ্রহণের প্রক্রিয়া ১২ নভেম্বর সকাল ১১টা থেকে শুরু হয়ে ৩০ নভেম্বর বিকাল ৫টা পর্যন্ত চলমান থাকবে। আবেদন শেষে ডিসেম্বরে লটারির মাধ্যমে শিক্ষার্থী বাছাই করা হবে। ২০২৫ শিক্ষাবর্ষে ভর্তির আবেদন ফি ১১০ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে, যা শুধু টেলিটক প্রি-পেইড মোবাইল থেকে এসএমএসের মাধ্যমে প্রদান করা যাবে।
সারা দেশে আবেদনকারীরা আবেদনের সময় প্রতিষ্ঠান নির্বাচনকালে থানাভিত্তিক শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের তালিকা পাবেন। এক্ষেত্রে প্রার্থীরা প্রাপ্যতার ভিত্তিতে প্রতিটি আবেদনে সর্বোচ্চ ৫টি বিদ্যালয় পছন্দের ক্রমানুসারে নির্বাচন করতে পারবে। ডাবল শিফট প্রতিষ্ঠানের ক্ষেত্রে উভয় শিফট পছন্দ করলে দুটি পছন্দক্রম সম্পন্ন হয়েছে বলে বিবেচিত হবে। একই পছন্দক্রমের বিদ্যালয় কিংবা শিফট দ্বিতীয় বার পছন্দ করা যাবে না।
২০২৫ শিক্ষাবর্ষে কেন্দ্রীয় পর্যায়ে অনুষ্ঠেয় ডিজিটাল দৈবচয়ন প্রক্রিয়ার কার্যক্রমে সারা দেশের সকল (সরকারিকরণসহ) সরকারি মাধ্যমিক বিদ্যালয়কে অংশগ্রহণ করতে হবে। শিক্ষার্থী ভর্তির ক্ষেত্রে দৈবচয়নের মাধ্যমে শিক্ষার্থী নির্বাচন প্রক্রিয়া নিষ্পন্ন করা ব্যতীত অন্য কোন পরীক্ষা গ্রহণ করা যাবে না।
জাতীয় শিক্ষানীতি-২০১০ ও সরকারি মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে শিক্ষার্থী ভর্তির নীতিমালা অনুযায়ী ২০২৫ শিক্ষাবর্ষে প্রথম শ্রেণিতে ভর্তির জন্য শিক্ষার্থীর বয়স ৬+ বছর নিশ্চিত করতে হবে।
তবে কাঙ্ক্ষিত শিক্ষাবর্ষের ১ জানুয়ারি তারিখে শিক্ষার্থীর সর্বনিম্ন বয়স ৫ বছর এবং ৩১ ডিসেম্বর তারিখে সর্বোচ্চ ৭ বছর পর্যন্ত শিক্ষার্থীরা আবেদন করতে পারবে (যেমন: ২০২৫ শিক্ষাবর্ষে ভর্তিকালে কোনো শিক্ষার্থীর বয়সসীমা সর্বনিম্ন ০৫ বছর হবে অর্থাৎ সর্বনিম্ন জন্ম তারিখ হবে ১ জানুয়ারি ২০২০ পর্যন্ত এবং সর্বোচ্চ বয়সসীমা ৭ বছর পর্যন্ত অর্থাৎ জন্ম তারিখ ৩১ ডিসেম্বর ২০১৭ পর্যন্ত)।
এছাড়া, সরকারি মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে কর্মরত শিক্ষক/কর্মচারীগণের ভর্তির উপযুক্ত সন্তান সংখ্যার সমসংখ্যক আসন স্ব স্ব বিদ্যালয়ে সংরক্ষিত থাকবে। এক্ষেত্রে তাদের অনলাইনে আবেদন করার প্রয়োজন নেই। তবে শিক্ষক/কর্মচারী সরকারি মাধ্যমিক বালক বিদ্যালয়ে কর্মরত থাকলে এবং তার ভর্তি উপযুক্ত সন্তান বালিকা হলে নিকটতম সরকারি বালিকা/সহশিক্ষা বিদ্যালয়ে আসন সংরক্ষিত রাখতে হবে। শিক্ষক/কর্মচারী সরকারি মাধ্যমিক বালিকা বিদ্যালয়ে কর্মরত থাকলে এবং তার ভর্তি উপযুক্ত সন্তান বালক হলে নিকটতম সরকারি বালক/সহশিক্ষা বিদ্যালয়ে আসন সংরক্ষিত রাখতে হবে। একইভাবে শিক্ষক যদি সহশিক্ষা বিদ্যালয়ে কর্মরত থাকে তাহলে তার ভর্তি উপযুক্ত সন্তানের ভর্তির জন্য কর্মরত বিদ্যালয়েই আসন সংরক্ষিত রাখতে হবে। তবে কর্মরত বিদ্যালয়ে ভর্তির উপযুক্ত কাঙ্ক্ষিত শ্রেণি না থাকলে নিকটতম বালক/বালিকা/সহশিক্ষা বিদ্যালয়ে (প্রযোজ্য ক্ষেত্রে) আসন সংরক্ষিত রাখতে হবে।
সারা দেশের সরকারি মাধ্যমিক বিদ্যালয়সমূহে শিক্ষার্থী নির্বাচন প্রক্রিয়ার তারিখ, সময় ও স্থান পরবর্তীতে জানিয়ে দেওয়া হবে। অনলাইনে আবেদন ফরম পূরণ ও ভর্তি সংক্রান্ত বিস্তারিত নিয়মাবলি www.dshe.gov.bd এর secondary circular/order এবং www.teletalk.com.bd ওয়েবসাইটে জানা যাবে।
চলারপথে রিপোর্ট :
চলতি মাসে শেষ হচ্ছে বাংলাদেশ-ভারতের আখাউড়া-আগরতলা রেলপথ প্রকল্পের কাজ। প্রথমে ট্রায়াল রান (পরীক্ষামূলক) ট্রেন চালানো হবে। যাতে কোনো ত্রুটি না থাকে। চলতি বছরের সেপ্টেম্বরে রেলপথটি চালুর আশা করছেন রেলপথ মন্ত্রণালয়ের মন্ত্রী নূরুল ইসলাম সুজন ও সচিব ড. মো. হুমায়ুন কবীর।
ভারত-বাংলাদেশ রেলওয়ে সংযোগ প্রকল্পটি আখাউড়া-ঢাকা হয়ে আগরতলা এবং কলকাতার মধ্যে ভ্রমণের সময় ও দূরত্ব কমিয়ে দেবে। প্রকল্পটি চালু হলে ৩১ ঘণ্টার পরিবর্তে সময় লাগবে ১০ ঘণ্টা এবং আগরতলা-কলকাতার দূরত্ব ১ হাজার ৬৫০ কিলোমিটার থেকে দূরত্ব কমে দাঁড়াবে মাত্র ৫১৩ কিলোমিটার।
স্থানীয় বাসিন্দাদের কর্মসংস্থানের পাশাপাশি দুই দেশের মধ্যে রেলপথে বাণিজ্যের দ্বার খুলবে, কমবে পরিবহণ খরচ- এমনটাই দাবি করছেন রেলপথ মন্ত্রী ও সচিবসহ সংশ্লিষ্টরা।
গেল মে মাসের মাঝামাঝি সময়ে আখাউড়া-আগরতলা রেললাইন প্রকল্প কাজ প্রথমে পরিদর্শন করেন রেলমন্ত্রী নূরুল ইসলাম সুজন। পরে পরিদর্শন করেন রেলপথ মন্ত্রণালয়ের সচিব ড. মো. হুমায়ুন কবীর। তারা দু’জনই জানিয়েছেন, সবকিছু ঠিক থাকলে আগামী সেপ্টেম্বরে বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি এ প্রকল্প উদ্বোধন করবেন।
প্রকল্প সংশ্লিষ্টদের দাবি, ইতোমধ্যে প্রকল্পের সার্বিক অগ্রগতি ৯০ শতাংশের বেশি শেষ হয়েছে এবং চলতি জুন মাসের মধ্যে বাকি কাজও সম্পূর্ণ হবে। তবে এ রেলপথটি চালু হলে প্রথমে শুধু দুই দেশে পণ্য পরিবহণ হবে।
সংশ্লিষ্টদের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, আখাউড়া থেকে আগরতলার নিশ্চিন্তপুর পর্যন্ত ডুয়েল গেজ রেলপথ নির্মাণের জন্য ২০১৮ সালের ২১ মে ভারতের ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান টেক্সমেকো রেল অ্যান্ড ইঞ্জিনিয়ারিং লিমিটেডের সঙ্গে চুক্তি হয়। ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান ২০১৮ সালের ২৯ জুলাই প্রকল্পের কাজ শুরু করে।
দুই দেশের এ রেলপথের দৈর্ঘ্য ১২.২৪ কিলোমিটার। এর মধ্যে বাংলাদেশ অংশে ৬.৭৮ কিলোমিটার। এ প্রকল্পটি বাস্তবায়নে মোট ব্যয় ৪৭৭ কোটি ৮১ লাখ টাকা। এর মধ্যে সরকারি অর্থায়ন ৫৭ কোটি ৫ লাখ টাকা এবং ভারতীয় ঋণ ৪২০ কোটি ৭৬ লাখ কোটি টাকা।
২০১০ সালে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ভারত সফরের সময় এ রেলপথ নির্মাণের বিষয়ে উভয় দেশের মধ্যে সমঝোতা স্মারক সই হয়।
আখাউড়া-আগরতলা রেলপথ প্রকল্পের পরিচালক ও ভারতীয় ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান টেক্সমেকো রেল অ্যান্ড ইঞ্জিনিয়ারিং লিমিটেডের প্রকৌশলী ভাস্কর বকশী জানান, করোনার কারণে আমাদের দীর্ঘদিন কাজ বন্ধ রাখতে হয়েছিল। প্রকল্পের কাজের মালামালও ভারত থেকে আনা যায়নি। পরবর্তীতে করোনা পরিস্থিতি স্বাভাবিক হলেও মালামাল আনার অনুমতি পেতে বিলম্ব হয়েছিল। এখন আমাদের শেষ পর্যায়ের কাজ চলছে।
তার দাবি, বাংলাদেশ সরকারের বেঁধে দেয়া সময়ের মধ্যেই আখাউড়া-আগরতলা রেলপথ প্রকল্পের কাজ শেষ করতে পারব।
গত ১৭ মে প্রকল্প এলাকা পরিদর্শন শেষে সাংবাদিকদের রেলপথ মন্ত্রী নূরুল ইসলাম সুজন বলেন, আখাউড়া-আগরতলা রেলপথ দুই দেশের জন্যই গুরুত্বপূর্ণ। আমরা আশা করছি, চলতি জুন মাসের মধ্যে আখাউড়া-আগরতলা রেলপথের নির্মাণ কাজ শেষ হবে। সেপ্টেম্বরের পরে জাতীয় নির্বাচন রয়েছে। তাই সেপ্টেম্বরের মধ্যে আমাদের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি আনুষ্ঠানিকভাবে এ রেলপথ উদ্বোধন করবেন।
চলারপথে ডেস্ক :
নিয়মিত স্বাস্থ্য পরীক্ষার জন্য আজ ২৯ এপ্রিল শনিবার বিকেলে হাসপাতালে যাবেন বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া।
দলের মিডিয়া সেলের সদস্য শায়রুল কবির খান এ তথ্য জানিয়েছেন।
তিনি বলেন, নিয়মিত স্বাস্থ্য পরীক্ষার অংশ হিসেবে বিকেল তিনটায় বিএনপি চেয়ারপার্সন খালেদা জিয়া রাজধানীর এভারকেয়ার হাসপাতালে স্বাস্থ্য পরীক্ষা করতে যাবেন।
খালেদা জিয়া দীর্ঘদিন ধরে আর্থ্রাইটিস, ডায়াবেটিস, কিডনি, লিভার, ফুসফুস, চোখের সমস্যাসহ নানা শারীরিক জটিলতায় ভুগছেন। অসুস্থতা বাড়লে মাঝেমধ্যে তাকে হাপাতালে নিতে হচ্ছে।
দুই মামলায় দণ্ডপ্রাপ্ত খালেদা জিয়া কারাবন্দি ছিলেন। নির্বাহী আদেশে খালেদা জিয়ার দণ্ড স্থগিত রয়েছে। জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট দুর্নীতি মামলায় ২০১৮ সালের ৮ ফেব্রুয়ারি খালেদা জিয়াকে পাঁচ বছরের কারাদণ্ড দেন বকশীবাজার আলিয়া মাদ্রাসা মাঠে স্থাপিত ঢাকার ৫ নম্বর বিশেষ আদালত। রায় ঘোষণার পর খালেদাকে পুরান ঢাকার নাজিমউদ্দিন রোডে অবস্থিত পুরোনো কেন্দ্রীয় কারাগারে বন্দি রাখা হয়। এরপর ৩০ অক্টোবর এই মামলায় আপিলে তার আরো পাঁচ বছরের সাজা বাড়িয়ে ১০ বছর করেন হাইকোর্ট।
একই বছরের ২৯ অক্টোবর জিয়া চ্যারিটেবল ট্রাস্ট দুর্নীতির মামলায় খালেদা জিয়াকে সাত বছরের সশ্রম কারাদণ্ডের আদেশ দেন একই আদালত। রায়ে সাত বছরের কারাদণ্ড ছাড়াও খালেদা জিয়াকে ১০ লাখ টাকা জরিমানা করা হয়। জরিমানা অনাদায়ে আরো ৬ মাসের কারাদণ্ডের আদেশ দেন।
২০২০ সালের মার্চে করোনা মহামারি শুরু হলে পরিবারের আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে নির্বাহী আদেশে দণ্ড স্থগিত করে কারাবন্দি খালেদা জিয়াকে সরকার শর্তসাপেক্ষে ছয় মাসের জন্য মুক্তি দেয়। এরপর পরিবারের আবেদনে দণ্ড স্থগিতের মেয়াদ ছয়বার বাড়ানো হয়। সর্বশেষ দণ্ড স্থগিতের মেয়াদ গত ২৪ মার্চ শেষ হয়। এর আগেই খালেদা জিয়ার পরিবারের পক্ষ থেকে মুক্তির মেয়াদ বাড়াতে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে আবেদন করা হয়েছিল।
তার পরিপ্রেক্ষিতে আবারও তার মুক্তির মেয়াদ আরও ৬ মাস বাড়ানো হয়েছে। আইন মন্ত্রণালয়ের মতামত পাওয়ার পর গত ১৯ মার্চ এ বিষয়ে প্রজ্ঞাপন জারি করা হয়।
চলারপথে রিপোর্ট :
কুমিল্লার লাকসামে ১৫শ ক্ষুদ্র ও প্রান্তিক কৃষকের মাঝে বিনামূল্যে বীজ ও রাসায়নিক সার বিতরণ করা হয়েছে। ৩০ মার্চ বৃহস্পতিবার উপজেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরে আনুষ্ঠানিকভাবে সার ও বীজ বিতরণ কার্যক্রম উদ্বোধন করেন উপজেলা চেয়ারম্যান অ্যাডভোকেট মো. ইউনুছ ভুঁইয়া।
উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা সৈয়দ শাহিনুর ইসলামের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি ছিলেন, সিনিয়র উপজেলা মৎস্য কর্মকর্তা মো. শওকত আলী, উপজেলা কৃষি সম্প্রসারণ কর্মকর্তা মোহাম্মদ রুবেল মিয়া, সহকারী কৃষি সম্প্রসারণ কর্মকর্তা মো. দেলোয়ার হোসেন, উপ-সহকারী উদ্ভিদ সংরক্ষণ কর্মকর্তা আলী আহমদ প্রমুখ।
উপজেলার ৮টি ইউনিয়ন ও পৌরসভা এলাকার ১৫০০ কৃষকের মাঝে বিনামূল্যে ৫ কেজি উচ্চ ফলনশীল আউশ ধান বীজ, ১০ কেজি ডিএপি সার ও ১০ কেজি এমওপি সার দেওয়া হয়।
উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা সৈয়দ শাহিনুর ইসলাম জানান, ২০২২-২৩ অর্থ বছরে খরিপ-১/২০২৩-২৪ মৌসুমে উফশী আউশ ধানের উৎপাদন বৃদ্ধির লক্ষ্যে প্রণোদনা কর্মসূচির আওতায় ক্ষুদ্র ও প্রান্তিক কৃষক-কৃষাণীর মাঝে বিনামূল্যে বীজ ও রাসায়নিক সার বিতরণ করা হয়। ‘এক ইঞ্চি জমিও যেন অনাবাদি না থাকে’ প্রধানমন্ত্রীর এ ঘোষণা বাস্তবায়নের লক্ষ্যে আবাদ ও উৎপাদন বৃদ্ধির জন্য কৃষকদের বীজ ও সার দেওয়ার পাশাপাশি মাঠপর্যায়ে তদারকি ও প্রয়োজনীয় পরামর্শ প্রদান করা হচ্ছে। উপজেলার ১৫শ কৃষককে ১০ জনের গ্রুপ করে দেওয়া হয়েছে।
উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা জানান, উপকারভোগী ক্ষুদ্র ও প্রান্তিক কৃষক-কৃষাণীর মাঝে রয়েছে উপজেলার বাকই দক্ষিণ ইউনিয়নের ২৩০ জন, মুদাফরগঞ্জ উত্তর ইউনিয়নের ৮০ জন, কান্দিরপাড় ইউনিয়নের ৩০০ জন, গোবিন্দপুর ইউনিয়নের ১০ জন, উত্তরদা ইউনিয়নের ৮০ জন, আজগরা ইউনিয়নের ২৮০ জন, লাকসাম পূর্ব ইউনিয়নের ২৯০ জন ও পৌরসভা এলাকার ২৩০ জন।
অনলাইন ডেস্ক :
১০০ টাকা মূল্যমানের প্রাইজবন্ডের ১১৬তম ‘ড্র’ অনুষ্ঠিত হয়েছে। এতে ছয় লাখ টাকার প্রথম পুরস্কার বিজয়ী সিরিজের নম্বর ০৯৩৪০৭৭। আর তিন লাখ ২৫ হাজার টাকার দ্বিতীয় পুরস্কার বিজয়ী সিরিজের নম্বর ০৬২৯২২০।
বুধবার (৩১ জুলাই) ঢাকা বিভাগীয় কমিশনারের কার্যালয়ের সম্মেলন কক্ষে এ ড্র হয়। এতে সভাপতিত্ব করেন স্থানীয় সরকার বিভাগ ঢাকার পরিচালক শিবির বিচিত্র বড়ুয়া।
একক সাধারণ পদ্ধতি তথা প্রত্যেক সিরিজের একই নম্বরে ড্র পরিচালিত হয়। এবার ৮০টি সিরিজের ৪৬টি সাধারণ সংখ্যার মোট ৩ হাজার ৬৮০টি নম্বর পুরস্কারের যোগ্য বিবেচিত হয়েছে।
বর্তমানে প্রচলনযোগ্য ১০০ টাকা মূল্যমানের ৮০টি সিরিজ যথা: কক, কখ, কগ, কঘ, কঙ, কচ, কছ, কজ, কঝ, কঞ, কট, কঠ, কড, কঢ, কথ, কদ, কন, কপ, কফ, কব, কম, কল, কশ, কষ, কস, কহ, খক, খখ, খগ, খঘ, খঙ, খচ, খছ, খজ, খঝ, খঞ, খট, খঠ, খড, খঢ, খথ, খদ, খন, খপ, খফ, খব, খম, খল, খশ, খষ, খস, খহ, গক, গখ, গগ, গঘ, গঙ, গচ, গছ, গজ, গঝ, গঞ, গট, গঠ, গড, গঢ, গথ, গদ, গন, গফ, গব, গম, গল, গশ, গষ, গপ, গস, গহ, ঘক এবং ঘখ এই ‘ড্র’-এর আওতাভুক্ত।
তৃতীয় পুরস্কারের এক লাখ টাকার দুটি বিজয়ী সিরিজ হলো ০০১২২২১ ও ০১৬৮০১৮। চতুর্থ পুরস্কার ৫০ হাজার টাকা বিজয়ী নম্বর দুটি হলো ০১০১৬৮৬ ও ০৮৬২২৫০। এছাড়া পঞ্চম পুরস্কার বিজয়ী প্রতিটি সিরিজের ৪০টি সংখ্যা ১০ হাজার টাকা করে পাবে।
৪০টি পঞ্চম পুরস্কারের নম্বর
০০২৯৪২৫, ০২২৬৩২০, ০৪৭৩৩৫০, ০৬৫৭৭৬৮, ০৮৫৫২৬৬, ০০৭৪৩১১, ০২৭০৩৭১, ০৫৪৮৩৮৯, ০৬৬৫১৭৯, ০৮৬৬৫৪৭, ০১১০১৯৬, ০৩৯৯৬২৮, ০৫৭৫২৯০, ০৬৯১৮২৫, ০৮৬৭৩০৩, ০১৪৪৩৩৬, ০৪১২৬৮৩, ০৫৭৬০৬৮, ০৭৪১৭১০, ০৮৯১৩১৮, ০১৫৪৯৪২, ০৪৩৬৪৪১, ০৬০৭০৮১, ০৭৭৬৩০৫, ০৯৩৬২৮১, ০১৮৪৬৯৭, ০৪৪৬৩২৯, ০৬৪০৪১৯, ০৮০৬৯৮৩, ০৯৭২১৫৫, ০১৮৫৯২১, ০৪৫৯১৬৭, ০৬৪৬৭০২, ০৮১৫৭৫৫, ০৯৭৫৫২২, ০২০৭১৭৩, ০৪৬৮৮৫৫, ০৬৫৫০৫৬, ০৮৩৫১৭২ ও ০৯৯৫৯০৭।
ড্রয়ের নির্ধারিত তারিখ থেকে ৬০ দিন আগে (বিক্রির তারিখ ধরে ও ড্রয়ের তারিখ বাদ দিয়ে) যেসব প্রাইজবন্ড বিক্রি হয়েছে, সেগুলো এ ড্রয়ের আওতাভুক্ত। আয়কর আইন ২০২৩ এর ১১৮ ধারার নির্দেশনা অনুযায়ী প্রাইজবন্ডে পুরস্কারের অর্থ থেকে ২০ শতাংশ হারে উৎসে কর কর্তন করার বিধান রয়েছে।
চলারপথে রিপোর্ট :
মুরাদনগরে ঘাস কাটার সময় বজ্রপাতে এক কৃষকের মৃত্যু হয়েছে। আজ ২৩ সেপ্টেম্বর শনিবার উপজেলার বাঙ্গরাবাজার থানার আকুবপুর গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। মৃত ব্যক্তির নাম মো. আলম মিয়া (৫৬)। তিনি আকুবপুর গ্রামের এয়াকুব আলীর ছেলে। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন স্থানীয় ইউনিয়ন পরিষদ সদস্য মো. সালাউদ্দিন।
স্থানীয়দের বরাত দিয়ে তিনি জানান, কৃষিকাজের পাশাপাশি গরু পালন ও আকুবপুর বাজারে পোল্ট্রির দোকান ছিল আলম মিয়ার। বেলা ১২ টার দিকে মাঠে গরুর জন্য ঘাস কাটছিলেন তিনি। এসময় বজ্রপাতে মারা যান আলম। আলম ছয় মেয়ে ও এক ছেলের জনক। বাদ মগরিব তাকে দাফন করা হবে।
বাঙ্গরাবাজার থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) রিয়াজ উদ্দিন চৌধুরী জানান, বজ্রপাতে একজনের মৃত্যুর সংবাদ পেয়েছি।