চলারপথে রিপোর্ট :
ব্রাহ্মণবাড়িয়া পৌর শহরের কাউতলী এলাকায় অভিযান দুই ডাকাতকে গ্রেফতার করেছে র্যাব। ৫ নভেম্বর মঙ্গলবার সন্ধ্যায় অভিযান পরিচালনা করে তাদের গ্রেফতার করা হয়।
গ্রেফতারকৃত সায়মন মিয়া (২৪) ব্রাহ্মণবাড়িয়া পৌর শহরের ভাদুঘর এলাকার শফিক মিয়ার ছেলে ও দাতিয়ার এলাকার আবুল ফায়েজের ছেলে ওমর ফারুক রনি (২০)।
আজ ৬ নভেম্বর বুধবার দুপুরে র্যাব-৯, সিলেট ক্যাম্পের মিডিয়া অফিসার সহকারী পুলিশ সুপার মো. মশিহুর রহমান সোহেলের স্বাক্ষরিত এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ সব তথ্য জানানো হয়েছে।
বিজ্ঞপ্তিতে উল্লেখ করা হয়, মঙ্গলবার সন্ধ্যা সাড়ে ৫টার দিকে ব্রাহ্মণবাড়িয়া পৌর শহরের কাউতলী এলাকায় অভিযান পরিচালনা করে তাদের গ্রেফতার করা। গ্রেফতার সায়মন মিয়া ডাকাত দলের সর্দার। তার বিরুদ্ধে ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর মডেল থানায় একাধিক মামলা রয়েছে। জনস্বার্থে তাদের এই অভিযান অব্যাহত থাকবে বলে জানানো হয়।
চলারপথে রিপোর্ট :
ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় বাংলাদেশ গ্যাস ফিল্ডস স্কুল অ্যান্ড কলেজের অধ্যক্ষ মুস্তাব আলীর (৫৮) ঝুলন্ত মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ।
আজ ১০ মে বুধবার সকাল ১০টার দিকে ২নং গ্যাস ফিল্ডস কোয়ার্টারের বাথরুম থেকে তার মরদেহটি উদ্ধার করা হয়।
মুস্তাব আলী নাটোর জেলার পাইকপাড়া সর্দারবাড়ির মৃত মজির উদ্দিনের ছেলে। তিনি স্ত্রী ও সন্তান নিয়ে গ্যাস ফিল্ডের কোয়ার্টারে থাকতেন। ২০১৮ সালের নভেম্বর মাসে তিনি এই প্রতিষ্ঠানে অধ্যক্ষ হিসেবে যোগদান করেন।
নিহতের গাড়িচালক ও তার পরিবার সূত্রে জানা যায়, আজ সকাল ৮টার দিকে অধ্যক্ষ মুস্তাব তার গাড়ির চালককে বাসায় আসতে বলেন। এরপর তিনি বাথরুমে গেলে আর বেরিয়ে আসেননি। পরে পরিবারের লোকজনের সন্দেহ হলে তারা বাথরুমের দরজা ভেঙ্গে তার ঝুলন্ত মরদেহ দেখতে পান।
ঘটনাস্থলে থাকা ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর থানা পুলিশের উপ-পরিদর্শক (এসআই) মো. সাফায়েত উল্লাহ জানান, অধ্যক্ষ মুস্তাব ঋণগ্রস্ত ছিলেন। তিনি তার চাচাতো ভাইয়ের কাছ থেকে ৬ লাখ টাকা এবং ব্র্যাক ও ডাচ-বাংলা ব্যাংক থেকে লোন নিয়েছিলেন। এছাড়া তার ৪টি ট্রাক ছিল। কিন্তু তিনি সেগুলোর কিস্তি পরিশোধ করতে পারছিলেন না। ফলে যেখান থেকে তিনি ট্রাকগুলো ডাউন পেমেন্টে কিনেছিলেন সেখান থেকে দুটি ট্রাক নিয়ে যায়। অবশিষ্ট ট্রাকগুলো টিকিয়ে রাখতে গিয়ে তিনি ঋণগ্রস্ত হয়ে পড়েন। অধ্যক্ষ মুস্তাব গত মার্চ মাসেও একবার কেরি পোকা মারার ট্যাবলেট খেয়ে আত্মহত্যার চেষ্টা করেছিলেন।
তিনি আরো বলেন, বিষয়টি খতিয়ে দেখা হচ্ছে। নিহতের মরদেহ সুরতহাল শেষে ময়নাতদন্তের জন্য জেলা সদর হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে।
চলারপথে রিপোর্ট :
ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা প্রশাসক গোল্ডকাপ ফুটবল টুর্ণামেন্ট এর ফাইনাল খেলা ও পুরস্কার বিতরণ অনুষ্ঠান আজ ২৭ সেপ্টেম্বর বুধবার বিকাল ২টা৪৫ মিনিটে নিয়াজ মুহম্মদ স্টেডিয়ামে অনুষ্ঠিত হবে।
অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি থাকবেন চট্টগ্রাম বিভাগীয় কমিশনার মোঃ তোফায়েল ইসলাম।
বিশেষ অতিথি থাকবেন পুলিশ সুপার মোহাম্মদ শাখাওয়াত হোসেন, জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান আল মামুন সরকার, সরাইল ব্যাটালিয়ন-২৫ বিজিবি অধিনায়ক লে: কর্ণেল সৈয়দ আরমান আরিফ, সুলতানপুর ব্যাটালিয়ন-৬০ বিজিবির অধিনায়ক লে: কর্ণেল মুহাম্মদ আশিক হাসান উল্লাহ, সিভিল সার্জন ডা: মোহাম্মদ একরাম উল্লাহ, জেলা ক্রীড়া সংস্থার সাধারণ সম্পাদক মাহবুবুল বারী চৌধুরী মন্টু। সভাপতিত্ব করবেন জেলা প্রশাসক মোঃ শাহগীর আলম।
জেলা প্রশাসক গোল্ডকাপ ফুটবল টুর্ণামেন্টের আয়োজন করেছে ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা প্রশাসন ও সহযোগিতায় রয়েছে জেলা ক্রীড়া সংস্থা।
আজ ফাইনাল খেলা ব্রাহ্মণবাড়িয়া পৌরসভা বনাম কসবা উপজেলার মধ্যে অনুষ্ঠিত হবে।
চলারপথে রিপোর্ট :
এ সময়ের সোনালী আঁশ হিসেবে পরিচিত পাটের জৌলুস আগের মতো আর নেই। পাটের ভালো ফলন হলেও চাষিরা আশানুরূপ লাভবান হতে পারছেন না। এছাড়াও পাট জাক (পঁচানো) দেয়ার জন্য পর্যাপ্ত পানি ও জায়গা না থাকায় চাষীরা বিপাকে পড়েন। তবু ঐতিহ্যকে ধরে রাখার জন্য বংশ পরস্পরায় অনেক চাষি এখনো পাটের চাষ করছেন।
কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর, ব্রাহ্মণবাড়িয়া কার্যালয়ের তথ্য মতে, ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় চলতি মৌসুমে পাটের ভালো ফলন হয়েছে। লক্ষ্যমাত্রাও অর্জিত হয়েছে। এ বছর জেলায় উৎপাদিত পাট প্রায় ৬০ কোটি বিক্রির আশাবাদ ব্যক্ত করেছেন তারা।
কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর, ব্রাহ্মণবাড়িয়া কার্যালয়ের তথ্য মতে চলতি বছর পাটের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারন করা হয়েছিলো ৪ হাজার ১শ ৮৯ হেক্টর জমি। চাষ হয়েছে ৪ হাজার ১শ ৯১ হেক্টর জমি। ২ হেক্টর জমি বেশী চাষ হয়েছে।
ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার নাসিরনগর উপজেলা, সরাইল উপজেলা, বিজয়নগর উপজেলা, নবীনগর উপজেলা বাঞ্ছারামপুর উপজেলায় পাটের ভালো ফলন হয়েছে। জেলায় চাষীরা এবার তাদের জমিতে দেশী কেনাফ, মেছতা এবং তোষা জাতের পাটের আবাদ করেছেন। ফলনও ভালো হয়েছে। তবে প্রতিকূল আবহাওয়ার কারনে পাটের আকার কিছুটা ছোট হয়েছে।
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, গ্রামাঞ্চলে এখন চলছে পাটকাটা, পাট জাক দেয়া ও পাট শুকনোর কাজ। তবে বর্ষা মৌসুমে পর্যাপ্ত পরিমান পানি না হওয়ায় ও পাট জাক দেয়ার (পঁঁচানো) পর্যাপ্ত জায়গা না থাকায় বিপাকে পরেছেন পাট চাষীরা।
পাট চাষিদের অভিযোগ পাটের উৎপাদন খরচ বাড়লেও পাটের ন্যায্য মূল্য পাচ্ছেন না তারা। এজন্য কৃষকরা পাট চাষে আগ্রহ হারিয়ে ফেলছেন। তবে কৃষি বিভাগের দাবি ভালো ফলন ও লাভবান হওয়ায় প্রতিবছরই বাড়ছে পাটের আবাদ।
চাষিরা জানান, এক সময় পাটকে বলা হতো সোনালী আঁশ। পাট বিদেশে রপ্তানী হতো অর্জিত হতো বৈদেশিক মুদ্রা। ওই সময়ে সোনালী আঁশ পাট চাষে কৃষকরা লাভবান হওয়ায় ব্রাহ্মণবাড়িয়ার বিভিন্ন উপজেলায় গড়ে উঠেছিলো বড়-বড় হাট বাজার। এখন পাটের সোনালী দিন আর নেই। ঐতিহ্যকে ধরে রাখার জন্য বংশ পরস্পরায় অনেকে এখনো পাটের চাষ করছেন।
নাসিরনগরের দুলাল মিয়া নামে এক পাট চাষী জানান, আমরা যে আশা করে পাট চাষ করেছিলাম বৃষ্টি না থাকার কারনে আমাদের পাটগুলো আকারে ছোট হয়েছে। আগে পানির মধ্যে পাট কাটতে খরচ কম হতো কিন্তু এবার খরচ বেশি হয়েছে। পানি না থাকার কারণে পাট এক জায়গা থেকে অন্য জায়গায় নিয়ে যেতেও খরচ হয়। আর যদি পানি থাকতো তাহলে এখানেই সবকিছু করা যেতো। তিনি বলেন, বর্তমানে ২ হাজার টাকা মন দরে পাট বিক্রি হচ্ছে। এই দামে পাট বিক্রি করলে আমাদের লোকসান গুনতে হবে। সরকার যদি পাটের দামটা ৩ হাজার টাকা করে দিতো তাহলে আমরা লাভবান হতাম।
বিজয়নগর উপজেলার ফরিদ মিয়া নামে আরেক পাট চাষী বলেন, এবার আমরা পাট নিয়ে খুবই চিন্তিত। পানি না থাকায় জমি থেকে পাট কেটে অন্য জায়গায় নিতে শ্রমিক খরচও লাগছে। আমরা পাটের ন্যায্য মূল্য পাচ্ছি না। তিনি বলেন, পাট জাক দেয়ার জন্য পর্যাপ্ত পানি না পাওয়ায় আমাদেরকে বিপাকে পড়তে হয়েছে।
এ ব্যাপারে কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর, ব্রাহ্মণবাড়িয়ার উপ-পরিচালক সুশান্ত সাহা বলেন, ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় এবছর পাটের ভালো ফলন হয়েছে। পাট চাষে আমাদের লক্ষ্যমাত্রা অর্জিত হয়েছে। তিনি বলেন, চলতি বছর আমাদের পাট চাষে লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছিলো ৪ হাজার ১শ ৮৯ হেক্টর জমি, চাষ হয়েছে ৪ হাজার ১শ ৯১ হেক্টর জমি। তিনি বলেন, জেলার নাসিরনগর, সরাইল, বিজয়নগর, নবীনগর এবং বাঞ্ছারামপুর উপজেলায় পাটের আবাদ বেশী হয়েছে। চাষীরা তাদের জমিতে দেশী কেনাফ, মেছতা এবং তোষা জাতের পাটের আবাদ করেছেন। জেলায় কমপক্ষে ৪১ হাজার ১৬১টি বেল পাট উৎপাদন হবে। যার বাজার মূল্য কমপক্ষে ৬০কোটি টাকা।
চলারপথে রিপোর্ট :
বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সময় ছাত্র জনতা ও পুলিশের উপর হামলাসহ থানা ভাংচুর, অগ্নিসংযোগ, পুলিশের গাড়ি ভাংচুর ও অস্ত্র লুটপাট সংক্রান্ত মামলায় মোহাম্মদ হরমুজ আলী (৬০) নামের এক ব্যক্তিকে গ্রেফতার করা হয়েছে।
আজ ৫ অক্টোবর শনিবার অভিযান পরিচালনা করে তাকে গ্রেফতার করা হয়। পুলিশ মিডিয়া উইংস, ব্রাহ্মণবাড়িয়া প্রেস রিলিজ থেকে এ তথ্য জানানো হয়।
গ্রেফতারকৃত আসামী মোহাম্মদ হরমুজ আলী (৬০) ৯নং ওয়ার্ড সেন্দ, রামরাইল ইউপি’র মৃত রহিজ মিয়ার ছেলে। পরবর্তী আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণের লক্ষ্যে ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর মডেল থানায় বিস্ফোরক আইনের ৩/৬ মামলা রুজু করা হয়।
উল্লেখ্য, তিনি ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর উপজেলার রামরাইল ইউনিয়নের সেন্দ ৯ নং ওয়ার্ডের আওয়ামী লীগ সভাপতি ছিলেন।
চলারপথে রিপোর্ট :
ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় মাদক, চুরি, ছিনতাই এবং অসামাজিক কার্যকলাপ বন্ধে মানববন্ধন ও বিক্ষোভ মিছিল করেছে গ্রামবাসী।
আজ ১৮ ডিসেম্বর সোমবার বেলা ১১টায় রামরাইল ইউনিয়নের সেন্দ বাজারে গ্রামবাসী উদ্যোগে এ মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়।
সেন্দ গ্রামের মাদক নির্মূল কমিটির সভাপতি তাজুল ইসলামের সভাপতিত্বে বক্তব্য দেন- নির্মূল কমিটির সাধারণ সম্পাদক মো. আলামিন, আব্দুর রহমান, মুক্তিযোদ্ধা তাজু মিয়া, স্থানীয় ইউপি সদস্য মো. মারুফ মিয়া।
এ সময় বক্তারা বলেন, গ্রামের ভেতর বেশ কয়েকটি স্পটে প্রকাশ্যে মাদক ক্রয় বিক্রয় হচ্ছে। এতে যুব সমাজ চুরি, ছিনতাই, ইভটিজিংসহ নানা অপরাধমূলক কাজে জড়িয়ে পড়ছে। ভাঙে যাচ্ছে অনেক সংসার। নেশার টাকা জোগাড় করতে পারিবারিক ও সামাজিক অপরাধমূলক কর্মকাণ্ড করছে তারা। এ বিষয়ে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর কাছে বিভিন্ন সময় অভিযোগ করলেও প্রতিকার মিলছে না। বিভিন্ন সময় লোক দেখানো অভিযান চালানো হলেও পরক্ষণে তারা দ্বিগুণ উৎসাহে একই কাজে লিপ্ত হচ্ছে। প্রশাসনের কাছে মাদক নির্মূলে জোর দাবি জানাচ্ছি।
পরে মাদকের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ জানিয়ে একটি মিছিল বিভিন্ন সড়ক প্রদক্ষিণ করে।
ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. আসলাম হোসেন জানান, মাদকের বিরুদ্ধে আমাদের অভিযান অব্যাহত রয়েছে।