চলারপথে রিপোর্ট :
আখাউড়া উপজেলায় গত ২৪ ঘণ্টায় বিশেষ অভিযান চালিয়ে বিস্ফোরক দ্রব্য আইন ও ডাকাতি মামলায় ৪ জনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। আজ ৯ নভেম্বর শনিবার দুপুরে গ্রেফতাকৃতদের ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা আদালতে সোপর্দ করা হয়। বিকেলে এক প্রেস বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে পুলিশ জানায়, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে বিভিন্ন জায়গায় অভিযান চালিয়ে বিস্ফোরক দ্রব্য আইনে ৩ জন ও ডাকাতি মামলায় একজনসহ ৪ জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে।
গ্রেফতারকৃতরা হলেন- ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার আখাউড়া উপজেলার দক্ষিণ ইউনিয়নের কুড়িপাইকা গ্রামের মৃত আবুল ফয়েজ মিয়ার ছেলে হামিদুল ইসলাম প্রকাশ ফোরকান, একই গ্রামের মৃত নূরুল ইসলাম ভূঁইয়ার ছেলে এরশাদুল ইসলাম ভূঁইয়া, ধরখার ইউনিয়নের ঘোলখার এলাকার বাবুল ভূঁইয়া ছেলে মো. তামিম ভূঁইয়া ও ছতুরা শরীফ এলাকার মৃত ইসমাইল খন্দকারের ছেলে শাহাব উদ্দিন খন্দকার।
আখাউড়া থানার ওসি মোহাম্মদ আবুল হাসিম জানান, গ্রেফতারকৃতদের ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা আদালতে সোপর্দ করা হয়েছে।
চলারপথে রিপোর্ট :
আন্তঃদেশীয় বাণিজ্য ও যাত্রীসেবার মান বাড়াতে শীঘ্রই আখাউড়া স্থলবন্দরে অবকাঠামোগত উন্নয়ন কাজ শুরু হবে বলে জানিয়েছেন বাংলাদেশ স্থলবন্দর কর্তৃপক্ষের চেয়ারম্যান মানজারুল মান্নান।
আজ ২৬ অক্টোবর শনিবার বিকেলে ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার আখাউড়া স্থলবন্দরের অপারেশনাল কার্যক্রম পরিদর্শন শেষে এসব কথা জানান তিনি। বন্দর কর্তৃপক্ষের চেয়ারম্যান বলেন, সরকার পরিবর্তনের পর সবকিছুই নতুনভাবে গঠন করতে হচ্ছে। তবে আশা করছি শীঘ্রই আখাউড়া স্থলবন্দরের উন্নয়নমূলক অবকাঠামোগত কাজগুলো শুরু হবে। এর ফলে আন্তঃদেশীয় বাণিজ্যে প্রসার ঘটবে। আর বাণিজ্য বাড়লে রাজস্বও বাড়বে।
তিনি আরো বলেন, আমদানি-রপ্তানি পণ্য নির্ধারণের ক্ষেত্রে সরকারকে অনেক বিষয় বিবেচনায় নিয়ে সিদ্ধান্ত নিতে হয়। এ বন্দর দিয়ে সব পণ্য আমদানির অনুমতি দিলে বাণিজ্য বাড়বে।
এ বিষয়টি আমরা আগেও উপস্থাপন করেছি। যখন বন্দরে অবকাঠামোগত সুযোগ-সুবিধা বাড়বে, তখন হয়তো সরকার সব ধরনের পণ্য আমদানি পণ্যের বিষয়ে সিদ্ধান্ত দেবে।
মানজারুল মান্নান সংশ্লিষ্টদের কর্মকর্তাদের সাথে নিয়ে আখাউড়া স্থলবন্দরের যাত্রী পারাপার ও রপ্তানি বাণিজ্য কার্যক্রম পরিদর্শন করেন।
এসময় চেয়ারম্যানের সঙ্গে ভারতের আগরতলাস্থ বাংলাদেশ সহকারী হাইকমিশনার আরিফ মোহাম্মদ, স্থলবন্দর কর্তৃপক্ষের সদস্য আতিকুর রহমান, ব্রাহ্মণবাড়িয়ার অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক মো. সাইফুল ইসলাম, আখাউড়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা গাজালা পারভীন রুহি, আখাউড়া স্থলবন্দরের সহকারী পরিচালক মাহমুদুল হাসান, রাজস্ব কর্মকর্তা মো. ওয়াহিদুজ্জামান খান ও আখাউড়া আন্তর্জাতিক ইমিগ্রেশন চেকপোস্ট পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মো. খাইরুল আলম উপস্থিত ছিলেন।
চলারপথে রিপোর্ট :
ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার আখাউড়ায় শান্তিপূর্ণ পরিবেশে এইচএসসি পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়েছে। আজ ১৭ আগস্ট বৃহস্পতিবার সকালে আখাউড়া নাসরিন নবী পাইলট বালিকা উচ্চ বিদ্যালয় কেন্দ্রে উপজেলার ৩ টি কলেজের পরীক্ষার্থীরা বাংলা পরীক্ষায় অংশ নেয়। প্রথম দিনের পরীক্ষায় ৩ জন অনুপস্থিত ছিল।
জানা গেছে, এবছর আখাউড়া উপজেলার শহীদ স্মৃতি সরকারি কলেজ, জাহানারা হক মহিলা কলেজ এবং ক্যামব্রিয়ান কলেজের পুরাতন পরীক্ষার্থীসহ ৮১৩ জন পরীক্ষার্থী ছিল।
এরমধ্যে শহীদ স্মৃতি সরকারি কলেজের ৫০৫ জন, জাহানারা হক মহিলা কলেজের ১৯৯ জন এবং ক্যামব্রিয়ান কলেজের ১০৫ জন। বাকীরা পুরাতন পরীক্ষার্থী।
তবে, প্রথম দিন বাংলা পরীক্ষার্থী ছিল ৭৯৭ জন। এর মধ্যে ৭৯৪ জন পরীক্ষায় অংশ নেয়। ৩ জন অনুপস্থিত ছিল। এবছর প্রথম বারের মতো কেন্দ্রে সিসির ক্যামেরায় স্থাপন করা হয়।
আখাউড়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা অংগ্যজাই মারমা এ তথ্য নিশ্চিত করে বলেছেন নকল মুক্ত পরিবেশে পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়েছে।
চলারপথে রিপোর্ট :
ভক্তদের ঢল নেমেছিল সকাল থেকে। শিশু-কিশোরদের আকর্ষণীয় সাজের মধ্য দিয়ে ফুটে ওঠে শ্রীকৃষ্ণের জীবনের নানা ঘটনাবলি। সড়কের দুই পাশে ভীড় করে ভক্তরা। এভাবে বর্ণাঢ্য আয়োজনে আখাউড়ায় ‘ভগবান শ্রীকৃষ্ণের জন্মাষ্টমী পালিত হয়েছে। শ্রী শ্রী রাধামাধব আখড়া কেন্দ্রীয় মন্দিরের আয়োজনে শোভাযাত্রার আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন করেন উপজেলা নির্বাহী অফিসার অংগ্যজাই মারমা।
আজ ৬ সেপ্টেম্বর বুধবার সকালে শহরের সাহাপাড়া, দাস পাড়া, ঘোষ পাড়া থেকে শ্রীকৃষ্ণ ভক্তরা জড়ো হন পৌরশহরের রাধানগরস্থ রাধামাধব আখড়া কেন্দ্রীয় মন্দিরে। সকাল ৯টায় বিভিন্ন ফেস্টুন, বর্ণিল সাজে বর্ণাঢ্য শোভাযাত্রায় বের হয়। পরে শহরের প্রধান প্রধান সড়ক প্রদক্ষিণ করে একই জায়গা গিয়ে শেষ হয়।
এসময় শোভাযাত্রায় অন্যান্যের মধ্যে আরও উপস্থিত ছিলেন উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) প্রশান্ত কুমার চক্রবর্তী, রাধামাধব আখড়া কেন্দ্রীয় মন্দিরের সভাপতি চন্দন কুমার ঘোষ, সাধারণ সম্পাদক অলক কুমার চক্রবর্তী, উপজেলা পুজা উদযাপন পরিষদের আহবায়ক দীপক ঘোষ, সদস্য সচিব বিশ্বজিৎ পাল বাবু, ভজন দেব, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক, আখড়া মন্দির প্রমুখ।
চলারপথে রিপোর্ট :
ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার আখাউড়ায় জেলা পর্যায়ে মাহমুদা আখতার শ্রেষ্ঠ প্রধান শিক্ষক নির্বাচিত হয়েছেন। মাহমুদা আখতার আখাউড়া পৌর শহরের খড়মপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক। তাছাড়া মো. মাহবুবুল আলম শ্রেষ্ঠ সহকারী শিক্ষক নির্বাচিত হয়েছেন। তিনি উপজেলার উপজেলার ভান্ডুসার সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে সহকারী শিক্ষক।
জাতীয় শিক্ষা সপ্তাহ ২০২৪ উপলক্ষে শিক্ষার মান উন্নয়নে বহুমুখী অবদান রাখায় জেলা বাছাই কমিটি ওই দুজনকে শ্রেষ্ঠ শিক্ষক নির্বাচিত করেন। উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিস সূত্রে এ তথ্য পাওয়া গেছে।
মাহমুদা আখতার দুর্গাপুর এলাকার বাসিন্দা গোপিনাথপুর আলহাজ্ব শাহআলম ডিগ্রি কলেজের সহকারী অধ্যাপক মোহাম্মদ হাফিজুর রহমানের স্ত্রী। এর আগে ২০২২ সালে তিনি জেলা পর্যায়ে শ্রেষ্ঠ প্রধান শিক্ষক (মহিলা) নির্বাচিত হন।
শ্রেষ্ঠ শিক্ষক মাহমুদা আখতার বলেন, আসলে যে কোনো ভালো কৃতিত্ব বা অর্জন হলো আনন্দের। প্রতিষ্ঠানের প্রধান হিসেবে সব সময় বিদ্যালয়ের ভালো করার চেষ্টা করেছি। আমাকে জেলা পর্যায়ে শ্রেষ্ঠ প্রধান শিক্ষক নির্বাচিত করায় সংশ্লিষ্টদের প্রতি কৃতজ্ঞতা জানাই। আমার এ অর্জন প্রতিষ্ঠানের শিক্ষক শিক্ষার্থী, অভিভাবকসহ উপজেলাবাসীর জন্য উৎসর্গ করলাম।
মোহাম্মদ ইসমাইল হোসেন, আখাউড়া থেকে :
ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার আখাউড়ায় বিয়ের আটদিনের মাথায় স্বামীকে খুন করেছে স্ত্রী। গতকাল শুক্রবার দিবাগত গভীর রাতে পৌরসভার মসজিদ পাড়ায় এই হত্যাকান্ড ঘটে। পুলিশ অভিযুক্ত স্ত্রীকে আটক করেছে। প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে এই নারী হত্যার কথা স্বীকার করে দু’টি কারণ বলেছেন।
নিহত ব্যক্তি হলো মো. হাসান মিয়া (২৮)। কুমিল্লার এই যুবক আখাউড়া পৌরসভার মসজিদ পাড়ায় ভাড়া বাসায় থাকতেন। আটক নারী আখাউড়া পৌরসভার শান্তিনগর গ্রামের জান্নাত আক্তার (২৩)।
পুলিশ ভোরে লাশ উদ্ধার করে ময়না তদন্তের জন্য জেনােরল হাসপাতাল ব্রাহ্মণবাড়িয়ার মর্গে পাঠিয়েছে। তবে শনিবার বেলা ১২টা নাগাদ থানায় কোনো মামলা হয়নি।
আখাউড়া থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মো. ছমিউদ্দিন আটক স্ত্রীর বরাত দিয়ে জানান, গত ৯ মে তাদের বিয়ে হয়। আরেকটি ছেলের সাথে মেয়েটির প্রেমের সম্পর্ক ছিলো। বিয়ে পর স্বামী বেশি বেশি শাররিক সম্পর্ক করলে সেটি তিনি মেনে নিতে পারছিলেন না। শুক্রবার রাতে একাধিকবার শারিরিক সম্পর্কে আপত্তি জানান। স্বামী এতে রাজি না হলে কৌশলে ঘুমের ওষুধ খাওয়ান। পরে বালিশ চাপা দিয়ে স্বামীকে হত্যা করেন।