চলারপথে রিপোর্ট :
আখাউড়ায় পৃথক স্থানে বিশেষ অভিযান চালিয়ে গত ২৪ ঘণ্টায় বিষ্ফোরক দ্রব্য আইনের মামলায় ২ আওয়ামী লীগ নেতাকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। গ্রেফতারকৃতরা হলেন- ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার আখাউড়া পৌর শহরের ১নং দুর্গাপুর এলাকার ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সিনিয়র সহ-সভাপতি মৃত আহাম্মদ আলীর ছেলে মো. মোসলেম মিয়া ও উপজেলার মোগড়া ইউনিয়নের রাজেন্দ্রপুর ৯নং ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মৃত ফায়েজ মিয়ার ছেলে আলফাজ মিয়া।
গ্রেফতারকৃতদের আজ ১৪ নভেম্বর বৃহস্পতিবার দুপুরে ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা আদালতে সোপর্দ করা হয়। এক প্রেস বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে থানা পুলিশ এ তথ্য জানায়। পুলিশ জানায়, পৃথক স্থানে অভিযান চালিয়ে বিষ্ফোরক দ্রব্য আইনের মামলায় ২ জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে।
আখাউড়া থানার ওসি মোহাম্মদ আবুল হাসিম গ্রেফতার হওয়ার বিষয়টির সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, গ্রেফতাকৃতদের ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা আদালতে সোপর্দ করা হয়েছে।
চলারপথে রিপোর্ট :
আখাউড়া স্থলবন্দরে গত দুই বছর ধরে গুদমে পড়ে থেকে পচে নষ্ট হয়ে গেছে ভারত থেকে আমদানি করা ২২৮ টন গম। যা এখন পশুখাদ্য হিসেবেও ব্যবহারের উপযোগী নয় বলে জানিয়েছে আমদানিকারক প্রতিষ্ঠান। ফলে গমের আমদানিমূল্য বাবদ ক্ষতির পরিমাণ অন্তত ৮০ লাখ টাকা। দফায় দফায় চিঠি দেওয়ার পরও আমদানিকারক গমগুলো ছাড়াতে আগ্রহী না হওয়ায় বিপাকে পড়েছে বন্দর কর্তৃপক্ষ। এ অবস্থায় গমগুলো ধ্বংসকরণের প্রস্তুতি নিচ্ছে শুল্ক কর্তৃপক্ষ। যদিও আমদানিকারক প্রতিষ্ঠানের দাবি, শুল্ক কর্তৃপক্ষের গড়িমসির কারণেই নির্ধারিত সময়ে গমগুলো খালাস করা যায়নি।
সংশ্লষ্টদের সাথে কথা বলে জানা গেছে, ২০২১ সালের আগস্ট থেকে প্রথমবারের মতো আখাউড়া স্থলবন্দর দিয়ে ভারত থেকে গম আমদানি শুরু হয়। মূলত ব্যবসায়ীদের চাহিদা মতো পণ্য আমদানির সুযোগ না থাকায় অনুমোদিত পণ্য আমদানি করে ভালো মুনাফা করতে না পারায় বন্দর দিয়ে কম পণ্য আমদানি করেন ব্যবসায়ীরা।
তবে, শুল্কমুক্ত হওয়ায় ২০২১ সালের আগস্ট থেকে গম আমদানির মাধ্যমেই সচল ছিল আমদানি বাণিজ্য। যদিও ২০২২ সালের মে মাসে গম রফতানিতে নিষেধাজ্ঞা দেয় ভারত সরকার। তবে নিষেধাজ্ঞার পরও কয়েক মাস পর্যন্ত পূর্বের খোলা এলসির গমগুলো আমদানি হয় আখাউড়া স্থলবন্দর দিয়ে। ২০২১-২২ অর্থবছরে আখাউড়া স্থলবন্দর দিয়ে ভারত থেকে ৮৮ হাজার ৫২৪ মেট্রিক টন গম আমদানি হয়।
২০২২ সালে শুল্কমুক্ত সুবিধায় আখাউড়া স্থলবন্দর দিয়ে ভারত থেকে প্রায় সাড়ে ১১ হাজার টন গম আমদানি করে চট্টগ্রামের আলম ট্রেডার্স। প্রতিটন গমের আমদানি মূল্য ছিল ৩২৫ থেকে ৩৫০ মার্কিন ডলার। বাজারে চাহিদা থাকায় আমদানির পরপরই গমগুলো খালাস করে আমদানিকারক প্রতিষ্ঠান। তবে ওই বছরের জুনে ভারতের ভারী বর্ষণের কারণে যোগাযোগ ব্যবস্থা ভেঙে পড়ায় গম আমদানি বন্ধ হয়ে যায়। পরবর্তীতে আগস্ট থেকে আবারও বন্দরে আসতে থাকে আটকে পড়া গমের চালান।
আমদানিকারক প্রতিষ্ঠানের দাবি, পশ্চিমবঙ্গের রফতানিকারক প্রতিষ্ঠান ভালো গমের সঙ্গে বৃষ্টিতে ভেজা গমও পাঠায়। যার পরিমাণ প্রায় ২২৮ টন। তাই ভালো গমগুলো প্রথমে খালাস করে পরবর্তীতে ভেজা গমগুলো ছাড়াতে গেলে আটকে দেয় শুল্ক কর্তৃপক্ষ। তাদের গড়িমসির কারণে নির্ধারিত সময়ে খালাস না করতে পারায় দীর্ঘসময় গুদামে পড়ে নষ্ট হতে থাকে গমগুলো। এসব গমে পোকা ধরেছে এবং পচে যাওয়ায় দুর্গন্ধ ছড়াচ্ছে।
আলম ট্রেডার্সের আখাউড়া স্থলবন্দর প্রতিনিধি মো. আক্তার হোসেন বলেন, গমগুলো ভেজা হওয়ায় রফতানিকারকের সাথে সমঝোতার ভিত্তিতে খালাসের উদ্যোগ নেওয়া হয়েছিল। কিন্তু শুল্ক কর্তৃপক্ষ ছাড় দিব-দিচ্ছি করতে করতে গমগুলো আর নির্ধারিত সময়ে খালাস করা যায়নি। ফলশ্রুতিতে অবহেলায় গুদামে পড়ে থেকেই সবগুলো গম পচে নষ্ট হয়েগেছে। এগুলো এখন আর ছাড়ানোর কোনো যৌক্তিকতা নেই, কারণ পশুখাদ্য হিসেবেও ব্যবহারের উপযুক্ত নেই গমগুলো।
এদিকে, দীর্ঘদিন ধরে গমগুলো গুদামে ফেলে রাখায় বিপাকে পড়েছে স্থলবন্দর কর্তৃপক্ষ। গুদাম ভাড়া বাবদ পাওনা হয়েছে কয়েক লাখ টাকা। যা আর আদায়ের কোনো সম্ভাবনাও দেখছে না কর্তৃপক্ষ। এছাড়া গুদামে অন্য কোনো পণ্যও রাখা যাচ্ছে না। তবে গুদাম খালি করার লক্ষ্যে গমগুলো ধ্বংসের উদ্যোগ নিয়েছে শুল্ক কর্তৃপক্ষ।
আখাউড়া স্থলবন্দরের সহকারী পরিচালক মো. মাহমুদুল হাসান বলেন, সবগুলো গমে পোকা ধরেছে এবং দুর্গন্ধও ছড়াচ্ছে। তবে আমদানিকারক গমগুলো আর ছাড়াতে আগ্রহী নয়। ফলে গুদামও খালি করা যাচ্ছে না। এতে করে বন্দর কর্তৃপক্ষও ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে। এছাড়া বন্দরের বিদ্যমান সড়কটি চারলেন উন্নীতকরণ কাজের জন্য গুদামটি ভাঙা পড়বে। তাই দ্রুত গুদাম খালি করা প্রয়োজন।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে আখাউড়া স্থল শুল্ক স্টেশনের সহকারী কমিশনার মো. ইমরান হোসেন বলেন, গমগুলো ভেজা এবং নিম্নমানের ছিল। তাই আমদানি নীতিবর্হিভূত হওয়ায় তখন ছাড় দেওয়া যায়নি। পরবর্তীতে আমদানিকারককে চিঠি দেওয়া হলেও গমগুলো খালাসে আগ্রহী নয় বলে জানায়। গমগুলো পশুখাদ্য হিসেবে ব্যবহারের উপযোগী কিনা- সেটি পরীক্ষা করে দেখার জন্য নমুনা পাঠানো হয়েছিল। পরীক্ষার রিপোর্টে বিষয়টি স্পষ্টভাবে উল্লেখ না করায় আবার রিপোর্ট চাওয়া হয়েছে। নতুন রিপোর্ট এলেই গমগুলো আনুষ্ঠানিকভাবে বাজেয়াপ্ত ঘোষণা করে ধ্বংসের প্রক্রিয়া শুরু হবে।
চলারপথে রিপোর্ট :
ভারতের ত্রিপুরা রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মানিক সাহা ও রাজ্য সরকারের গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তিদের জন্য উপহার হিসেবে রংপুরের বিখ্যাত হাড়িভাঙ্গা আম, ইলিশ মাছ ও রসগোল্লা পাঠিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
আজ ২৭ জুন বৃহস্পতিবার দুপুরে ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার আখাউড়া স্থলবন্দর দিয়ে ৪০০ কেজি হাড়িভাঙ্গা আম, ৫০ কেজি ইলিশ মাছ ও ৫০ কেজি রসগোল্লা হস্তান্তর করা হয়।
স্থলবন্দরের শূন্যরেখায় উপহারগুলো গ্রহণ করেন আগরতলাস্থ বাংলাদেশ সহকারী হাইকমিশনের প্রথম সচিব মো. রেজাউল হক চৌধুরী।
পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় থেকে কার্গোওয়ার্ল্ড লজিস্টি নামে ঢাকার একটি রফতানিকারক প্রতিষ্ঠানের মাধ্যমে উপহারসামগ্রীগুলো হস্তান্তর করা হয়। এর আগে গত ২৩ জুন প্রধানমন্ত্রীর জন্য ৫০০ কেজি আনারস উপহার পাঠান ত্রিপুরার মুখ্যমন্ত্রী।
এই শুভেচ্ছা উপহারের বিনিময়ের মাধ্যমে ভারত ও বাংলাদেশের মধুর সম্পর্ক আরও সুদৃঢ় হবে উল্লেখ করে বাংলাদেশ সহকারী হাইকমিশনের প্রথম সচিব মো. রেজাউল হক চৌধুরী বলেন, ত্রিপুরার সাথে বাংলাদেশের সম্পর্ক মুক্তিযুদ্ধের আগে থেকে। আমাদের মধ্যে সহমর্মিতা-সহাবস্থান বজায় আছে। দ্রুত সময়ের মধ্যে মুখ্যমন্ত্রীর দপ্তরে যোগাযোগ করে প্রধানমন্ত্রীর উপহারগুলো পৌঁছে দেওয়া হবে।
এ সময় স্থলবন্দরের শূন্যরেখায় আখাউড়া স্থল শুল্ক স্টেশনের রাজস্ব কর্মকর্তা আব্দুল কাইয়ূম তালুকদার, আগরতলা কাস্টমসের রাজস্ব কর্মকর্তা দিব্যেন্দু ভৌমিক ও আখাউড়া আন্তর্জাতিক ইমিগ্রেশন চেকপোস্ট পুলিশের পরিদর্শক খাইরুল আলম প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।
চলারপথে রিপোর্ট :
আজকের শিশু আগামীদের দিনের ভবিষ্যত’ এই প্রতিপাদ্যে ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার আখাউড়ায় কিন্ডার গার্টেন মেধা যাচাই (বৃত্তি) পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়েছে। উপজেলা কিন্ডার গার্টেন এসোসিয়েশনের উদ্যোগে গতকাল বৃহস্পতিবার সকালে রেলওয়ে সরকারি উচ্চ বিদ্যলয়ের মনোরম পরিবেশে এ পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়। ১ম শ্রেণী থেকে ৫ম শ্রেণীর তিন শতাধিক ছাত্রছাত্রী পরীক্ষায় অংশ নেয়। এদিকে, ছোট্ট সোনামণিদের মেধা বৃত্তি পরীক্ষার আয়োজন করায় অভিভাবকরাও খুশি। উৎসাহ উদ্দীপনার সাথে নিজ নিজ সন্তানকে পরীক্ষা কেন্দ্রে নিয়ে আসেন তারা।
আয়োজক সূত্রে জানা যায়, এসোসিয়েশনের অন্তর্ভূক্ত ১৩টি স্কুলের ৩২৪ জন ছাত্রছাত্রী পরীক্ষায় অংশ নিয়েছে। বাংলা, ইংরেজি, গণিতসহ ৫টি বিষয়ে ১০০ নম্বরের পরীক্ষা নেওয়া হয়। প্রতিযোগিতামূলক পরীক্ষার মাধ্যমে ছোট্ট সোনামণিদের মেধার বিকাশ এবং উৎসাহ প্রদান করাই এ পরীক্ষার লক্ষ্য।
অভিভাবক মো. জসিম উদ্দিন বলেন, আমার ছেলের সাহস যোগানের জন্য বৃত্তি পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করিয়েছি। পাশ ফেল বড় কথা নয়। বৃত্তি পরীক্ষা দেওয়াতে পড়ার প্রতি আগ্রহ সৃষ্টি হয়েছে।
হাসিনা বেগম নামে আরেক অভিভাবক বলেন, বৃত্তি পরীক্ষা দেওয়াতে পরীক্ষা ভীতি দূর হয়। সাহস বাড়ে। বৃত্তি পেলে বাচ্চারা আনন্দিত হয়।
আখাউড়া উপজেলা কিন্ডার গার্টেন এসোসিয়েশনের চেয়ারম্যান দেওয়ান সাজিদুল হক দুলাল বলেন, ছোট্ট সোনামনিদেরকে প্রতিযোগিতার মাধ্যমে পড়াশোনায় মনোনিবেশ করা এবং উৎসাহ দেওয়ার জন্য মেধা বৃত্তি পরীক্ষা নেওয়া হয়। শিশুদের উজ্জল ভবিষ্যত গড়তে পরীক্ষা সম্পর্কে অভিভাবক ও সচেতন মহলের পরামর্শ চাই। আজকের শিশু আগামীদের দিনের ভবিষ্যত। আশা করি তারা ভালো করবে।
এসময় অন্যান্যের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন শিক্ষক আক্তার হোসেন, শেখ মনির হোসেন নিজাম, আক্তার হোসেন, মো. ইয়াছিন, মো. রাজু, মো. মাসুদ প্রমুখ।
চলারপথে রিপোর্ট :
আইনমন্ত্রী আনিসুল হক বলেছেন, বাংলাদেশকে ধ্বংস করার জন্য দুই-তিনটা রাজনৈতিক দল খুব চেষ্টা করছে। জনগণকে সেই ষড়যন্ত্র সম্বন্ধে সজাগ থাকার আহবান জানিয়ে তিনি বলেন, আমি বিশ্বাস করি বাংলাদেশের মানুষ তাদের ষড়যন্ত্র প্রতিহত করবে এবং ছিন্নভিন্ন করে দিবে।
দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে সামনে রেখে তিনি নিজ নির্বাচনী এলাকা আখাউড়ায় আজ ২ মে মঙ্গলবার দিনভর গণসংযোগ করেন। গণসংযোগকালে মনিয়ন্দ ইউনিয়নের শৌনলোহঘর প্রাথমিক বিদ্যালয় মাঠের পথসভায় বক্তৃতায় তিনি এসব কথা বলেন।
আইনমন্ত্রী বলেন, করোনা মহামারির সময় জননেত্রী শেখ হাসিনা বাংলাদেশের মানুষকে বিনা পয়সায় ৩টি টিকা দিয়েছেন। ১ লাখ ৮৩ হাজার কোটি টাকা প্রণোদনা দিয়েছেন। গার্মেন্টস শ্রমিকদেরকে বিনা কাজে ৩ মাস বেতন দিয়েছেন।
তিনি আরো বলেন, বাংলাদেশের মানুষের টাকা পদ্মা সেতু নির্মাণ হয়েছে। জননেত্রী শেখ হাসিনা গৃহহীনকে গৃহ দিয়েছেন। পরে তুলাই উচ্চ বিদ্যালয় মাঠের পথসভায় মন্ত্রী আরও বলেন, শেখ হাসিনা থাকলেই বাংলাদেশের উন্নয়ন হবে। বিএনপি জামাত থাকলে বাংলাদেশ ধ্বংস হয়ে যাবে।
তিনি বলেন, বাংলাদেশকে সারা বিশ্বে উন্নয়নের রুল মডেল হিসাবে ধরা হয়। জননেত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে আমরা আরও উন্নত হতে চাই। তাঁর পরিকল্পনা অনুযায়ী বঙ্গবন্ধুর স্বপ্নের সোনার বাংলা গড়ে ২০৪১ সালে আমরা একটি উন্নত দেশ হব।
পথসভায় নৌকা মার্কায় ভোট দেয়ার আহবান জানিয়ে স্থানীয় সংসদ সদস্য আনিসুল হক বলেন, আওয়ামী লীগকে নৌকা মার্কায় ভোট দিয়ে আবারো বঙ্গবন্ধু কন্যা জননেত্রী শেখ হাসিনাকে প্রধানমন্ত্রী নির্বাচিত করলে বাংলাদেশের উন্নয়ন অব্যাহত থাকবে।
পথসভায় অন্যান্যের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন আখাউড়া উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি মোহাম্মদ আলী চৌধুরী, সাধারণ সম্পাদক ও পৌর মেয়র তাকজিল খলিফা কাজল, কসবা উপজেলা চেয়ারম্যান চেয়ারম্যান রাশেদুল কায়সার জীবন, কসবা পৌরসভার মেয়র এম.জি হাক্কানি, মনিয়ন্দ ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মাহবুবুল আলম চৌধুরী দীপক, আখাউড়া উপজেলা আওয়ামী লীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক মনির হোসেন বাবুল, যুবলীগের যুগ্ম আহবায়ক আব্দুল মমিন বাবুল, আতাউর রহমান নাজিম, তুলাই শিমুল উচ্চ বিদ্যালয় পরিচালনা কমিটি সভাপতি মোঃ লুৎফুর রহমান প্রমুখ।
এর আগে আইনমন্ত্রী আনিসুল হক সকাল সাড়ে ১০টায় মনিয়ন্দ ইউনিয়ন পরিষদ চত্বরে পথসভার মাধ্যমে এসব পথসভায় তিনি এলাকার অসমাপ্ত উন্নয়ন কাজ করে দেওয়ার প্রতিশ্রুতি দেন। বিগত ২০২০ সাল থেকে করোনা ভাইরাস অতিমারির কারণে এলাকার সংসদ সদস্য হিসেবে এলাকায় লোকজনকে দেখাশোনা করতে না পারায় তিনি দু:খ প্রকাশ করেন। দিনভর গণসংযোগ শুরু করেন। বেলা সাড়ে ৩টা পর্যন্ত তিনি মনিয়ন্দ ইউনিয়নের ৯টি পথসভায় যোগদান করেন।
চলারপথে রিপোর্ট :
ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার আখাউড়া ও কসবায় বন্যার পানি কমতে থাকায় পরিস্থিতির আরও উন্নতি হয়েছে। গত ১২ঘণ্টায় আখাউড়ার হাওড়া নদীর পানি আরও ৪ সেন্টিমিটার কমে বিপৎসীমার ৫১ সেন্টিমিটার নিচ দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। তবে বন্যার পানিতে বিভিন্ন স্থানে সড়ক ও বাঁধ ভেঙে যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন রয়েছে। এছাড়া নিরাপত্তার স্বার্থে এখনও বেশ কয়েকটি গ্রামে বিদ্যুৎ সংযোগ বিচ্ছিন্ন রয়েছে।
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, ভারতের উজান থেকে নেমে আসা পাহাড়ি ঢল ও টানা বৃষ্টিপাতের ফলে গত বুধবার আখাউড়ায় বন্যা সৃষ্টি হয়। এতে উপজেলার বঙ্গেরচর, কালিকাপুর, বাউতলা, আড়িয়ল ও খলাপাড়াসহ ৪০টিরও বেশি গ্রাম প্লাবিত হয়। পরদিন বৃহস্পতিবার বন্যার পানি বেড়ে পরিস্থিতির আরও অবনতি হয়। তবে ঢলের পানির বেগ কমায় এবং বৃষ্টি না হওয়ায় বন্যার পানি কমতে থাকে। গতকাল শনিবার সকাল থেকে পরিস্থিতির আরও উন্নতি হয়। ইতোমধ্যে বেশিরভাগ বসা-বাড়ি থেকে পানি সরে গেছে।
তবে বন্যার কারণে আড়িয়ল ও খলাপাড়া এলায় হাওড়া নদীর দুইটি বাঁধসহ অন্তত ৮টি স্থানে সড়ক ধ্বসে পড়ে। এতে করে ওইসব সড়ক দিয়ে যান চলাচল বন্ধ রয়েছে। এছাড়া পানি সরে গেলেও সড়ক যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন থাকায় এখনও বন্ধ রয়েছে আখাউড়া স্থলবন্দরের বাণিজ্যিক কার্যক্রম। পাশাপাশি আখাউড়া আন্তর্জাতিক ইমিগ্রেশন চেকপোস্ট দিয়েও যাত্রী পারাপার বন্ধ রয়েছে।
ব্রাহ্মণবাড়িয়া পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী মনজুর আহমেদ সাংবাদিকদের জানান, হাওড়া নদীর পানির সমতল হ্রাস পাওয়া অব্যাহত রয়েছে। গত সন্ধ্যা ৬টা হতে গতকাল সকাল ৬টা পর্যন্ত আরও ৪ সেঃমিঃ কমে বিপৎসীমার ৫১ সেন্টিমিটার নিচ দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। বর্তমানে হাওড়া নদীর গঙ্গাসাগর পয়েন্টে পানির সমতল রয়েছে ৫ দশমিক ৫৪ মিটার। ফলে বন্যা পরিস্থিতির ক্রমশ উন্নতি হচ্ছে।
আখাউড়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা গাজালা পারভীন রুহি জানান, আখাউড়ার বন্যা পরিস্থিতি ক্রমশ উন্নতি হচ্ছে। বাসা-বাড়ি থেকে পানি সরে যাচ্ছে। দ্রুত ভেঙে যাওয়া বাঁধ ও সড়ক মেরামত করে যান চলাচল ও স্থলবন্দরের বাণিজ্যিক কার্যক্রম স্বাভাবিক করা হবে।