চলারপথে রিপোর্ট :
বিজয়নগর উপজেলা থেকে বিপুল পরিমাণ গাঁজাসহ ১ জন পেশাদার মাদক ব্যবসায়ীকে গ্রেফতার করেছে র্যাব-৯। এসময় গ্রেফতারকৃতের কাছ থেকে ৫৪ কেজি গাঁজা উদ্ধার করা হয়।
আজ ২০ নভেম্বর বুধবার গোপন সংবাদের ভিত্তিতে র্যাব-৯, সিপিসি-১, কোম্পানীর একটি আভিযানিক দল আনুমানিক রাত ৪:২০টায় ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার বিজয়নগর থেকে তাকে গ্রেফতার করে।
গ্রেফতারকৃত আসামী হলেন আরাফাত (১৯)। তিনি হবিগঞ্জের মাধবপুর উপজেলার গন্ধবপুর গ্রামের মো. ইদ্রিস আলীর ছেলে।
গ্রেফতারকৃত মাদক ব্যবসায়ীর বিরুদ্ধে মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইন, ২০১৮ এর সংশ্লিষ্ট ধারায় মামলা দায়ের করা হয় এবং আসামী ও জব্দকৃত আলামত সংশ্লিষ্ট থানায় হস্তান্তর করা হয়।
এছাড়াও মাদকের বিরুদ্ধে জিরো টলারেন্স নীতি বাস্তবায়নে র্যাব-৯ এর গোয়েন্দা তৎপরতা এবং চলমান অভিযান অব্যাহত থাকবে বলে জানানো হয়েছে।
স্টাফ রিপোর্টার:
ব্রাহ্মণবাড়িয়ার সরাইলে সিঁধ কেটে চুরির চব্বিশ ঘন্টা পর বিশেষ অভিযান চালিয়ে দুই চোরকে গ্রেপ্তার করেছে সরাইল থানা পুলিশ। গত রোববার দিবাগত রাত ২টায় উপজেলার নোয়াগাঁও থেকে তাদের গ্রেপ্তার করা হয়। আটক ব্যাক্তিরা হলেন উপজেলার নোয়াগাঁও গ্রামের বাসিন্দা মো.রকিব মিয়া (১৯) ও মো. ছোয়াব মিয়া (২২)।
পুলিশ সূত্রে জানায়, গত শনিবার দিবাগত রাত ৩টায় উপজেলার নোয়াগাঁও (মধ্যপাড়া) গ্রামের বাসিন্দা শিখা আক্তারের ঘরে সিঁধ কেটে ঘরে প্রবেশ করে ড্রয়ার থেকে নগদ টাকা, স্বর্ণের দোল, স্যামসাং এ্যানড্রয়েট মোবাইলসহ সর্বসাকুল্যে ৭২ হাজার টাকার মালামাল চুরি করে নিয়ে যায়। সরাইল থানা পুলিশ চুরির এই সংবাদে রবিবার রাতে বিশেষ অভিযান চালিয়ে দুই সিঁধেল চোরকে গ্রেপ্তার করে তাদের কাছ থেকে ১৮ হাজার টাকা উদ্ধার করে।
সরাইল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা আসলাম হোসেন জানান, গ্রেপ্তার হওয়া মো. রকিব মিয়া ও মো. ছোয়াব মিয়ার কাছে থেকে নগদ ১৮ হাজার টাকা উদ্ধার করা হয়েছে। তাদের বিরুদ্ধে সিঁধেল চুরির মামলা রুজু হয়েছে। গতকাল সোমবার তাদেরকে বিজ্ঞ আদালতের মাধ্যমে জেল হাজতে প্রেরণ করা হয়েছে।
চলারপথে রিপোর্ট :
বিজয়নগর বিকাল বেলা খেলতে গিয়ে পুকুরের পানিতে পরে দুই শিশুর মৃত্যু হয়েছে।
বিজয়নগর উপজেলার হরষপুর ইউনিয়ন বাগদিয়া আমতলী গ্রামের শহিদ মিয়ার মেয়ে মাহি আক্তার (০৬) ও আশ্ররাফ আলীর মেয়ে রুমা আক্তার (০৭)। তারা একেই পরিবারের সম্পর্কে ফুফু ভাতিজী লাগে।
আজ ১৪ সেপ্টেম্বর বৃহস্পতিবার বিকাল পাঁচ টার দিকে বাড়ির পশ্চিম পাশের পুকুর পানিতে এই ঘটনা ঘটে।
নিহত শিশুর স্বজনরা জানান, বাড়ির পশ্চিম দিকের পুকুরের পানির শব্দ পেয়ে বাড়ির লোকজন দৌড়ে এগিয়ে গিয়ে দেখেন ফুফু ভাতিজী পুকুরে পরে বাঁচতে চেষ্টা করছে। বাড়ির লোকজন তাদের উদ্ধার করে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক মৃত্যু ঘোষণা করেন।
বিজয়নগর থানার অফিসার ইনচার্জ মোঃ রাজু আহমেদ ঘটনার সততা নিশ্চিত করেন।
চলারপথে রিপোর্ট :
বিএনপির অর্থনৈতিক বিষয়ক সম্পাদক ইঞ্জিনিয়ার খালেদ হোসেন মাহবুব শ্যামল বলেছেন, আমরা এখনও ক্ষমতায় আসিনি। মাত্র টেস্ট পরীক্ষায় উর্ত্তীণ হয়েছি। সামনে আমাদের ফাইনাল পরীক্ষা। তাই সাধারণ মানুষের সাথে সুসম্পর্ক গড়ে তুলতে হবে। মানুষকে মূল্যায়ন করতে হবে। বিএনপি জনগণের ভোটের নির্বাচিত হতে চায়। আমরা ছাপানো ভোটে নির্বাচিত হতে চাই না।
১৪ সেপ্টেম্বর শনিবার বিকাল ৪টায় ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার বিজয়নগর উপজেলার চম্পকনগর কলেজ মাঠে বিএনপির চেয়ারপার্সন সাবেক প্রধানমন্ত্রী দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়ার রোগ মুক্তি ও বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনে শহীদদের স্মরণে দোয়া মাহফিল অনুষ্ঠানে তিনি এসব কথা বলেন।
এসময় তিনি বলেন, জনগণের সঙ্গে আওয়ামী লীগের কোনো সম্পর্ক ছিল না। তারা রাতের অন্ধকারে ছাপানো ভোটে নির্বাচন করতে করতে জনগণের সঙ্গে বিচ্ছিন্ন হয়ে গিয়েছিল। তারা প্রশাসনের মাধ্যমে ১৮ ও ২৪ সালে ভোট ছাপিয়ে ক্ষমতায় এসেছিল। আওয়ামী লীগের নেতারা ও শেখ হাসিনা দেশ ছেড়ে পালিয়েছে।
তিনি আরো বলেন, বিএনপি জনগণের ভোটে নির্বাচিত দল। জনগণের ভোটের অধিকারে বিএনপি বিশ্বাসী।
অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি ছিলেন- জেলা বিএনপির সাবেক সভাপতি ও সাবেক পৌর মেয়র হাফিজুর রহমান মোল্লা কচি, সহ-সভাপতি অ্যাড. শফিকুল ইসলাম, সাবেক সাধারণ জহিরুল হক খোকন, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক অ্যাড. আনিছুর রহমান মঞ্জু, গোলাম সারোয়ার খোকন, এবিএম মমিনুল হক।
উপজেলা বিএনপির আহবায়ক মো. জমির হোসেন দস্তগীরের সভাপতিত্বে ও সদস্য সচিব অ্যাড. ইমাম হোসেনের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে আরও উপস্থিত ছিলেন- মো. আলী আজম, মো. জসিম উদ্দিন (রিপন), মো. নুরুল হুদা সরকার, মাইনুল হোসেন (চপল), জেলা শ্রমিকদলের সাধারণ সম্পাদক গোলাম মোস্তফা, পৌর বিএনপির সভাপতি নজির উদ্দিন আহমেদ, মো. নিয়ামুল হক, জেলা যুবদল সভাপতি শামীম মোল্লা, সাধারণ সম্পাদক ইয়াসিন মাহমুদ, মোল্লা সালাউদ্দিন, মো. হেবজুল বারী, কাজী মুহিবুল ইসলাম ডিকন, ফুজায়েল চৌধুরী, সাজিদুর রহমান সাজিদ, মো. রেজাউনুর হক, উপজেলা ছাত্রদলের আহবায়ক আমিনুল ইসলাম, হৃদয় আহমেদ প্রমুখ।
চলারপথে রিপোর্ট :
ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার বিজয়নগরের উৎপাদিত আখের রসের লালি দেশজুড়ে খ্যাতি লাভ করেছে। কৃষি নির্ভর বিজয়নগর উপজেলায় গত কয়েকযুগ ধরে উৎপাদিত হচ্ছে আখের রসের লালি। মূলত শীতকালেই এই লালি উৎপাদিত হয়। এই লালি পিঠা-পুলির সাথে খেতে পছন্দ করেন ভোজন রসিকরা। আবার অনেকে মুড়ির সাথেও খান এই লালি।
চলতি বছর প্রায় ১ কোটি ৩০ লাখ টাকার লালি বিক্রি হবে বলে আশাবাদ ব্যক্ত করেছেন কৃষি সংশ্লিষ্টতা।
কৃষি বিভাগের দেয়া তথ্য মতে, ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার সদর উপজেলা, বিজয়নগর উপজেলা, কসবা উপজেলা ও আখাউড়া উপজেলার কিছু এলাকায় বাণিজ্যিকভাবে আখ চাষ করা হয়। এসব আখের রস থেকে লালি উৎপাদন করেন চাষীরা।
চলতি বছর বিজয়নগর উপজেলার ২৫ হেক্টর জমিতে আখের চাষ হয়। এই আখ থেকে অন্তত ১শ টনেরও বেশি লালি উৎপাদন হবে আশা করছেন কৃষি বিভাগ। যার বাজার মূল্য কমপক্ষে ১ কোটি ৩০ লাখ টাকা।
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, বিজয়নগর উপজেলার বিষ্ণুপুর, দুলালপুর ও বক্তারমুড়া গ্রামের অর্ধশতাধিক পরিবার বংশ পরস্পরায় বাণিজিক্যভাবে লালি উৎপাদন করে আসছে। প্রতিবছর শীতের শুরুতে শুরু হয় লালি তৈরির কাজ। মূলত নভেম্বর মাসের শেষ সপ্তাহ থেকে ফেব্রুয়ারি মাস পর্যন্ত চলে লালি তৈরি ও কেনা-বেচা। প্রতি কেজি লালি বা তরল গুড় খুচরা বিক্রি হচ্ছে ১৫০ টাকায়।
প্রতিদিন জেলার বিভিন্ন এলাকা ও আশপাশ এলাকা থেকে মানুষ লালি তৈরী দেখতে যায় বিজয়নগরে। অনেকে ফিরে যাওয়ার সময় লালি নিয়ে যাওয়া সহ আখের রস খেয়ে যান। প্রতিদিন ভোর থেকে সন্ধ্যা পযন্ত চলে লালি তৈরির কাজ।
প্রথমেই চলে আখ মাড়াই। পরে মহিষের ঘানি দিয়ে আখ মাড়াই করে আখের রস সংগ্রহ করা হয়। পরে রস ছাকনি দিয়ে ছেকে রাখা হয় বড় কড়াইয়ে। পরবর্তীতে এই রস দুই থেকে তিন ঘণ্টা জ্বাল দিয়ে ঘন করা হয়। জ্বাল দিয়ে রস লাল রং ধারণ করলে নামানো হয় কড়াই থেকে। এভাবেই তৈরি হয় মুখরোচক লালি বা তরল গুড়।
লালি নিতে আসা বিজয়নগর উপজেলার পাহাড়পুর ইউনিয়নের শারমিন আক্তার জানান, প্রতি বছরই শীত মৌসুমে তিনি দুলালপুর থেকে লালি কিনে নিয়ে যান। তার শ্বশুরবাড়ির সবাই এই লালি খুবই পছন্দ করেন। তিনি জানান, পিঠার সাথে লালি খেতে খুবই ভালো লাগে।
দুলালপুর গ্রামের বাসিন্দা ও লালি উৎপাদনকারী মোহাম্মদ আলী ও রাকিব মিয়া জানান, কয়েক বছর আগেও তাদের গ্রামের অধিকাংশ মানুষ আখ চাষ করতো। বর্তমানে কমে যাচ্ছে আখ চাষীর সংখ্যা। আবার আখ কাটা ও মাড়াইয়ের কাজে শ্রমিকের মজুরি বেড়েছে। ঘানি টানানোর জন্য লাখ টাকা বা তার চেয়ে বেশি দিয়ে মহিষ কিনতে হচ্ছে। সব মিলিয়ে লালি তৈরিতে যে খরচ পড়ছে, সে অনুযায়ি দাম পাওয়া যায় না।
একই গ্রামের আরেকজন লালি চাষী সহিদ মিয়া জানান, বংশ পরস্পরায় তিনি লালি তৈরি করে আসছেন। তবে ভালো লাভ না হওয়ায় বিগত সময়ের চেয়ে এবার কম জমিতে আখ চাষ করেছেন।
এ ব্যাপারে বিজয়নগর উপজেলা কৃষি অফিসার মোঃ সাব্বির আহমেদ জানান, লালিগুড় তৈরিতে কোন ধরনের ক্ষতিকর কেমিক্যাল মেশানো হয় না। ক্ষতিকর কোন উপাদান ব্যবহার না করায় সারাদেশেই লালির জনপ্রিয়তা রয়েছে। তিনি বলেন, লালি গুড় উৎপাদনের সংশ্লিষ্টদের উপজেলা কৃষি বিভাগের পক্ষ থেকে পরামর্শ ও সহযোগিতা দেয়া হচ্ছে।
চলারপথে রিপোর্ট :
বিজয়নগরে দুই কোটি টাকার মূল্যের বিপুল পরিমাণ ভারতীয় পণ্য সামগ্রী আটক করেছে বাংলাদেশ বর্ডার গার্ড (২৫) বিজিবি।
আজ ১ সেপ্টেম্বর রবিবার দুপুরে বিজিবি পাঠানো প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে জানা যায়, জেলার সরাইল ব্যাটালিয়ন (২৫ বিজিবি)র ব্রাহ্মণবাড়িয়া ট্রানজিট ক্যাম্পের একটি টহল দল গত শনিবার (৩১ আগস্ট) ঢাকা-সিলেট মহাসড়কের বিজয়নগর উপজেলার চান্দুরা নামক স্থানে গাড়ি তল্লাশি চালায়। এসময় ঢাকাগামী একটি কাভার্ড ভ্যানে তল্লাশি চালিয়ে ভারতীয় অবৈধ স্কিন সাইন ক্রিম-৫৮ হাজার ৩২০ পিস, বেটনোভেট (এন) ক্রিম- ৮ হাজার ৪০০ পিস এবং স্ট্যাপলার পিন-১৯২ প্যাকেট আটক করে।
এছাড়া গত বৃহষ্পতিবার (২৯ আগস্ট) সিলেট হতে ঢাকাগামী পাথর বোঝাই একটি ট্রাকে তল্লাশি চালিয়ে ১১ হাজার ৪৫০ কেজি ভারতীয় চিনি উদ্ধার করা হয়। যার বাজার মূল্য ১৮ লক্ষ ৩২ হাজার টাকা। আটককৃত চোরাচালানী মালামাল বিজিবি’র হেফাজতে রয়েছে। পরবর্তীতে আখাউড়া কাস্টমস অফিসে জমা করার কার্যক্রম প্রক্রিয়াধীন রয়েছে বলে বিজিবি জানায়।