চলারপথে রিপোর্ট :
প্রাণবন্ত এক হঠাৎ আড্ডায় মেতে উঠেছিলো ব্রাহ্মণবাড়িয়া। দেশবরেণ্য এই জ্ঞানী গুণীদের আড্ডায় স্থান পেয়েছে সাহিত্যের সমকালীন অনেক বিষয়। সাহিত্যের গতিপ্রকৃতি। আগামীদিনের করণীয় ইত্যাদি ইত্যাদি। বলছিলাম ২২ নভেম্বর শুক্রবারের এক ভিন্নমাত্রার সন্ধ্যার কথা।
ব্রাহ্মণবাড়িয়া শহরের পশ্চিম মেড্ডার দারোগা বাড়ি। সেখানেই জন্ম গ্রহণ করেন এই জেলার কৃতি পুরুষ ডক্টর শাহ মোহাম্মদ সানাউল হক। যিনি একজন আপাদমস্তক বিনয়ী মানুষ। সাবেক এই আমলা ভদ্রলোকটিই আয়োজন করেন বিশাল এক সাহিত্যমেলার। আর সেটি তাঁর বাসার বিশাল ড্রয়িংরুমে। উৎসবমুখর এই মিলনমেলায় অংশ নেন, ডক্টর গোলাম কিবরিয়া পিনু, কথাসাহিত্যিক ফরিদ আহমেদ দুলাল, কবি ও সাংবাদিক ফারুক মাহমুদ। আর আমাদের ব্রাহ্মণবাড়িয়া থেকে অংশ নেন, কবি ও সংস্কৃতিজন আব্দুল মান্নান সরকার, কবি জয়দুল হোসেন, অধ্যাপক মানবর্দ্ধন পাল, কবি মো. আব্দুর রহিম, কবি-অধ্যাপক মোসলমে উদ্দিন সাগর, কবি এডভোকেট মানিক রতন শর্মা, কবি শাদমান শাহিদ, কবি এড. হুমায়ুন কবীর, কবি ও কথাশিল্পী আমির হোসেন, কবি ও সংগঠক হেলাল উদ্দিন হৃদয়, কবি রুদ্র মোহাম্মদ ইদ্রিস, আধুনিক পুতুল নাচের নবসংস্করণের পুরোধা জিয়া আমিন, কণ্ঠশিল্পী আনিসুল হক রিপন, সংগঠক ফারুক আহমেদ ভুঁইয়া, কবি মাশরেকী শিপার, কবি ও সংগঠক শাহাজাদা জালাল, কবি ও চিত্রশিল্পি কাজী বর্ণাঢ্য, কবি মাসুদ হাসান শিহাব, কবি এসএম ইউনূস, কবি ও ছড়াশিল্পী মনিরুল ইসলাম শ্রাবণ প্রমুখ। সভায় বক্তারা বলেন, সাহিত্য চর্চার জন্য গভীর পর্যবেক্ষণ আর অভিজ্ঞতা দরকার। অবশ্যই নিজস্ব সৃজনশীলতা থাকতে হবে। উদার মানসিকতা না থাকলে উত্তম সাহিত্য বেরিয়ে আসবে না। পুরনো পদ্ধতি ফিরিয়ে এনে তাতে নিজেদের চিন্তার সংমিশ্রণ ঘটিয়ে কল্যাণমুখি সাহিত্যকর্ম বের করে আনতে হবে। তারা বলেন, সাহিত্যের জন্য এখন আর রাজধানী আর মফসল শব্দ গুলো অনিবার্য নয়। কারণ প্রযুক্তির কল্যাণে এখন ঢাকা যা মফসলও তা। তাছাড়া এদেশের অনেক বিখ্যাত লেখক বেরিয়ে এসেছেন মফসলে থেকেই। তারা নিজের কাজটি কাজের মতো করেছেন। মুল কথা সাহিত্যের জন্য পরিশ্রম করতে হবে। কাজ করতে হবে। কাজের মূল্যায়ন হবেই। সভায় বাংলা সাহিত্যের বেশ কয়েকজন প্রবাদ পুরুষকে নিয়ে গবেষণাধর্মী কাজের উপর গুরুত্বারোপ করা হয়।
প্রসঙ্গত: মনোজ্ঞ এই আড্ডার শুরু থেকে শেষ অবধি হরেক রকমের ভর্তাসমেত শীতের বাহারি পিঠা, কলা আর চা পরিবেশন অব্যাহত ছিলো।
চলারপথে রিপোর্ট :
ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় পুকুরের পানিতে ডুবে দুই শিশুর মর্মান্তিক মৃত্যু হয়েছে। আজ ৩০ জুলাই মঙ্গলবার সকালে সদর উপজেলার সুহিলপুর ইউনিয়নের ঘাটুরা গ্রামে এ দুর্ঘটনা ঘটে। মৃত আব্দুর রহমান (৫) সুহিলপুর ইউনিয়নের ঘাটুরা গ্রামের সুমন মোল্লার ছেলে ও একই এলাকার রহমত মিয়ার ছেলে আবদুল্লা (৬)।
ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর মডেল থানার ওসি আসলাম হোসেন ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে জানান, সকালে পরিবারের সবাই ঘরে ছিলো। এ সময় শিশু আব্দুর রহমান ও আবদুল্লা বাড়ির উঠানে খেলা করছিল। খেলার এক পর্যায়ে শিশু দুইজন বাড়ির পাশে পুকুরের পানিতে পড়ে ডুবে যায়। পরে পরিবারের লোকজন শিশু দুটিকে দেখতে না পেয়ে খোঁজাখুঁজি শুরু করে। খোঁজাখুঁজির এক পর্যায়ে পুকুরে শিশুদের জুতা ভাসতে দেখে। পরে স্থানীয়রা দুই শিশুকে উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে আসলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাদের মৃত ঘোষণা করেন।
চলারপথে রিপোর্ট :
ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় ৩৩ কেজি গাঁজাসহ তিন মাদক ব্যবসায়ীকে গ্রেফতার করেছে মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রন অধিদপ্তর ও পুলিশ।
গতকাল শুক্রবার রাত ১০টায় এবং বিকেলে পৃথক অভিযানে কুমিল্লা সিলেট মহাসড়কের সদর উপজেলার গজারিয়া বাসস্ট্যান্ড এবং কসবা পৌর এলাকার টি.আলী বাড়ির মোড় থেকে তাদেরকে গ্রেপ্তার করা হয়। গ্রেফতারকৃতরা হলেন মোঃ মনির হোসেন, মোঃ আকছান চৌধুরী ও মোঃ রাসেল মিয়া।
গ্রেফতারকৃত মনির হোসেন ব্রাহ্মণবাড়িয়া পৌর এলাকার পূর্ব মেড্ডার ইদ্রিস মিয়ার ছেলে, আকছান চৌধুরী সদর উপজেলার চান্দপুর গ্রামের পাঘাচং গ্রামের ফারুক চৌধুরীর ছেলে এবং রাসেল মিয়া জেলার কসবা উপজেলার বায়েক ইউনিয়নের কান্দারপাড় গ্রামের ফিরোজ মিয়ার ছেলে।
ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রন অধিদপ্তর,ব্রাহ্মণবাড়িয়ার সহকারি পরিচালক মোঃ মিজানুর রহমান জানান, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে শুক্রবার রাত ১০টায় সদর উপজেলার গজারিয়া বাসস্ট্যান্ড এলাকায় অভিযান পরিচালনা করে একটি মোটর সাইকেলসহ মাদক ব্যবসায়ী মনির হোসেনকে গ্রেফতার করা হয়।
এসময় অপর মাদক ব্যবসায়ী আকছান চৌধুরী পালিয়ে যায়। পরে মোটর সাইকেল থেকে ৩০ কেজি গাঁজা উদ্ধার করা হয়। পরে মনির হোসেনের দেয়া তথ্য মতে আকছান চৌধুরীকে তার বাড়ি থেকে গ্রেফতার করা হয়। এ ঘটনায় সদর মডেল থানায় একটি মামলা দায়ের করা হয়েছে।
এদিকে কসবা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মোঃ মহিউদ্দিন জানান, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে শুক্রবার বিকেলে প্লাষ্টিকের পাইপের ভেতরে করে গাঁজা পাচারের সময় কসবা টি.আলীর বাড়ির মোড় থেকে মাদক ব্যবসায়ী রাসেল মিয়াকে গ্রেফতার করা হয়। এ সময় তার কাছ থেকে ৩ কেজি গাঁজা উদ্ধার করা হয়। এ ঘটনায় কসবা থানায় একটি মামলা দায়ের করা হয়েছে।
চলারপথে রিপোর্ট :
ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় সদর উপজেলার মাসিক আইন-শৃংখলা কমিটির সভা আজ ৩১ মে বুধবার সদর উপজেলা পরিষদ মিলনায়তনে অনুষ্ঠিত হয়।
সদর উপজেলা নির্বাহী অফিসার মোহাম্মদ সেলিম শেখের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত সভায় বক্তব্য রাখেন সদর উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান ফিরোজুর রহমান ওলিও, সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মোঃ এমরানুল ইসলাম, ট্রাফিক ইন্সপেক্টর দেবব্রত কর, সদর উপজেলা আওয়ামীলীগের সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা আবুল কালাম ভ‚ইয়া, সাধারণ সম্পাদক এম.এ. এইচ মাহবুব আলম,ব্রাহ্মণবাড়িয়া প্রেসক্লাবের সাধারণ সম্পাদক মোঃ বাহারুল ইসলাম মোল্লা, ইউপি চেয়ারম্যান মোঃ নাছির উদ্দিন, আলামিনুল হক পাবেল, সদর উপজেলা ইউসিসি লিমিটেডের (বিআরডিবি) সভাপতি মোঃ আবু কাউছার, ব্রাহ্মণবাড়িয়া চেম্বার অব কমার্স এন্ড ইন্ডাষ্ট্রি’র সিনিয়র সহ-সভাতি কাজী জাহাঙ্গীর আলম, ইউপি চেয়ারম্যান আবদুল হাকিম মোল্লা, আবদুর রশীদ ভূঁইয়া, ওমর ফারুক, মোঃ শাহআলম, কামরুল ইসলাম প্রমুখ।
সভায় আসন্ন ঈদ-উল আযহা উপলক্ষে পশুর হাট গুলোতে কেউ যেন জাল টাকা ছড়াতে না পারে, পশুর হাটে আসা ক্রেতা-বিক্রেতারা যেন কোন ধরনের হয়রানির শিকার না হন এবং কেউ যাতে অসুস্থ ও রোগা পশু বিক্রি করতে না পারে সেদিকে খেয়াল রাখার জন্য সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের কাছে দাবি জানানো হয়।
সভায় সম্প্রতি সদর উপজেলার বড়হরণ এলাকায় অবৈধভাবে রেলওয়ের জলাশয় ভরাটের পর অবৈধ দখলদারকে ভ্রাম্যমাণ আদালতের মাধ্যমে জরিমানা ও অবৈধ বালু জলাশয় থেকে অপসারণ করার জন্য সদর উপজেলা প্রশাসনকে ধন্যবাদ জানানো হয়।
সভায় শহরের যানজট নিরসনে শহরের মসজিদ রোড ও কোর্টরোডকে স্থায়ীভাবে ওয়ানওয়ে করার জন্য দাবি করা হয়। সভায় সদর উপজেলার বিভিন্ন গ্রামে চলমান দেশীয় অস্ত্র উদ্ধার অভিযানকে সাধুবাদ জানিয়ে আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে সামনে রেখে অবৈধ আগ্নেয়াস্ত্র উদ্ধার করার জন্য পুলিশ প্রশাসনের কাছে দাবি জানানো হয়।
সভায় পবিত্র ঈদ-উল ফিতরের মতো আসন্ন ঈদ-উল আজহাতে যেন মহাসড়কে কোন ধরনের যানজটের সৃষ্টি না হয় সেদিকে খেয়াল রাখার জন্য সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের প্রতি আহবান জানানো হয়। সভায় রিক্সা চালকদের যাত্রীদের কাছ থেকে অতিরিক্ত ভাড়া নেয়ার বিষয়ে ক্ষোভ প্রকাশ করে পৌরসভার নির্ধারিত ভাড়ার চেয়ে রিক্সা চালকরা যাতে বেশী ভাড়া না নিতে পারে সে বিষয়ে ব্যবস্থা নেয়ার জন্য পৌর কর্তৃপক্ষের প্রতি আহবান জানানো হয়।
উৎসবমূখর পরিবেশে বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন মালিক সমিতির ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা শাখা ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা বাস মিনিবাস মালিক সমিতির কার্যকরি পরিষদের ত্রি-বার্ষিক সাধারণ নির্বাচন ২৩ নভেম্বর শনিবার অনুষ্ঠিত হয়েছে। নির্বাচন উপ-কমিটি ২০২৪ এর চেয়ারম্যান মোঃ আবুল বাশার, সদস্য সচিব মোহাম্মদ নিয়ামত খান, উপদেষ্টা হাজী মোঃ শাহজাহান মিয়া ও সদস্য মোঃ মঞ্জুর আলমের সার্বিক তত্ত্বাবধানে জেলা প্রশাসন এবং পুলিশ প্রশাসনের সার্বিক সহযোগিতায় মেড্ডাস্থ ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা বাস মিনিবাস মালিক সমিতির প্রধান কার্যালয়ে সকাল সাড়ে ৮টা থেকে ভোটগ্রহণ শুরু হয়ে বিকাল ৪টা পর্যন্ত শান্তিপূর্ণভাবে ভোটগ্রহণ অনুষ্ঠিত হয়। দিনব্যাপী ভোটগ্রহণ শেষে ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা বাস মিনিবাস মালিক সমিতির নির্বাচন উপ-কমিটি ২০২৪ এর চেয়ারম্যান মোঃ আবুল বাশার স্বাক্ষরিত এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে জানা যায়, সভাপতি পদে নির্বাচিত হয়েছেন জসিম উদ্দিন জমসেদ, কার্যকরি সভাপতি পদে বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত হয়েছেন কাজী তাহাসিন, সিনিয়র সহ-সভাপতি পদে বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত হয়েছেন আমজাদ খান, সহ-সভাপতি পদে নির্বাচিত হয়েছেন মোঃ ছোট্ট মিয়া, সহ-সভাপতি পদে নির্বাচিত হয়েছেন মোঃ নুরুজ্জামান, সাধারণ সম্পাদক পদে বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত হয়েছেন মোঃ হানিফ, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত হয়েছেন শাহাদাত হোসেন, সহ-সাধারণ সম্পাদক নির্বাচিত হয়েছেন মোঃ ফায়েজ খাঁন, সাংগঠনিক সম্পাদক পদে নির্বাচিত হয়েছেন মোঃ আক্তার মিয়া, দপ্তর সম্পাদক পদে বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত হয়েছেন মোঃ হানিফ, প্রচার সম্পাদক পদে বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত হয়েছেন মোঃ আব্দুর রহমান, আপ্যায়ন সম্পাদক পদে বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত হয়েছেন মোঃ জাকারিয়া মাসুদ নোয়াব, কোষাধ্যক্ষ পদে বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত হয়েছেন এম এ কাউছার, কার্যকরি সদস্য পদে নির্বাচিত হয়েছেন মোহাম্মদ আব্দুল্লাহ্, মোঃ আক্তার হোসেন, মোহাম্মদ আব্দুল্লাহ্, মোঃ আক্তার হোসেন, আবুল বাসার, আল নওয়াব, মোঃ শাহজাহান সিরাজ, মোঃ আবু তাহের।-প্রেস বিজ্ঞপ্তি
চলারপথে রিপোর্ট :
ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় জেলে সম্প্রদায়ের দাবির মুখে সদর উপজেলার সুহিলপুর ইউনিয়নের সীতানগরের কাজলা বিলের প্রাকৃতিক জলাশয়ে অবৈধ দখলবাজদের দেয়া বাঁধটি অপসারণ করা হয়েছে।
আজ ৩ জুলাই সোমবার দুপুরে সদর উপজেলা সহকারি কমিশনার (ভূমি) ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্র্যাট মোঃ মোশারফ হোসেন ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করে অবৈধ বাঁধটি অপসারণ করেন।
এ সময় প্রাকৃতিক জলাশয়ে অবৈধভাবে বাঁধ দেয়ার অপরাধে দখলদার কিলন মিয়াকে ১লাখ টাকা জরিমানা করা হয়। দীর্ঘদিন পর জলাশয়টি উম্মুক্ত করে দেয়ায় জেলে সম্প্রদায়ের লোকদের মধ্যে স্বস্তি নেমে এসেছে।
স্থানীয়রা জানান, বর্ষা মৌসুমের শুরুতেই সিতানগর গ্রামের কাজলা বিলের উম্মুক্ত জলাশয়ে বাঁধ নির্মান করেন একটি প্রভাবশালী চক্র। এতে করে মুক্ত জলাশয়ে মাছ শিকার করা থেকে বঞ্চিত হচ্ছিলেন সিতানগর ও কাশিনগর গ্রামের শতাধিক জেলে পরিবার।
উপায়ন্তু না দেখে গ্রামবাসী জলাশয়টি উন্মুক্ত করে দেয়ার জন্য সদর উপজেলা নির্বাহী অফিসারের কাছে লিখিত আবেদন করে।
পরে উপজেলা নির্বাহী অফিসারের পক্ষ থেকে জলাশয়টি উন্মুক্ত করে দেয়ার জন্য দখলদার কিলন মিয়া ও গৌর সাহাকে একাধিক নোটিশ দেয়া হয়।
নোটিশ পেয়েও তারা জলাশয়টি উম্মুক্ত করে না দেয়ায় সোমবার দুপুরে বিলে ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করেন সদর উপজেলা সহকারি কমিশনার (ভূমি) ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্র্যাট মোঃ মোশারফ হোসেন। তিনি জলাশয়ে থাকা বাঁধটি অপসারন করে দেন ও কিলন মিয়াকে ১লাখ টাকা জরিমানা করেন।
এ ব্যাপারে সুহিলপুর ইউনিয়ন পরিষদের ৯নং ওয়ার্ডের সদস্য নিশিকান্ত ঋষি জানান, গ্রামের শতাধিক পরিবার এই বিলের সাথে জড়িত। প্রভাবশালী গৌর সাহা এবং কিলন মিয়া এই বিলের মধ্য বাঁধ নির্মান করেন। এতে এলাকার জেলে স¤প্রদায়ের মাঝে ক্ষোভ বিরাজ করছিল। জেলেদের আবেদনের প্রেক্ষিতে ভ্রাম্যমাণ আদালতের অভিযান পরিচালনা করে জলাশয়টি উম্মুক্ত করা হয়।
এ ব্যাপারে অভিযান পরিচালনাকারী সদর উপজেলা সহকারি কমিশনার (ভূমি) ও নির্বাহী ম্যাজিষ্ট্রেট মোঃ মোশারফ হোসেন বলেন, দখলদাররা জলাশয় দখলের বিষয়টি স্বীকার করায় পরিবেশ সংরক্ষন আইন ১৯৯৫ এর আলোকে দখলদার কিলন মিয়াকে একলাখ টাকা জরিমানা করা হয়। এখন থেকে জেলেরা উম্মুক্তভাবে জলাশয় থেকে মাছ শিকার করতে পারবেন।