কসবায় ১৫২ বোতল ফেনসিডিলসহ রাজু আহমেদ (২৬) নামে একজনকে গ্রেফতার করেছে র্যাব। ২৩ নভেম্বর শনিবার রাত সাড়ে ১০ টার দিকে ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার কসবা উপজেলার তালতলা বটগাছ মোড় এলাকায় অভিযান চালিয়ে তাকে গ্রেফতার করা হয়। গ্রেফতারকৃত রাজু আহমেদ নবীনগর উপজেলার কৃষ্ণনগর গ্রামের মোঃ আব্দুল মান্নানের ছেলে। আজ ২৪ নভেম্বর রবিবার দুপুরে র্যাব-৯-এর সিলেট ক্যাম্পের মিডিয়া অফিসার সহকারী পুলিশ সুপার মোঃ মশিহুর রহমান সোহেল স্বাক্ষরিত এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে এসব তথ্য জানানো হয়েছে। বিজ্ঞপ্তিতে র্যাব জানায়, শনিবার রাত সাড়ে ১০ টার দিকে গোপন সংবাদের ভিত্তিতে উপজেলার তালতলা বটগাছ মোড় এলাকায় অভিযান চালিয়ে তাকে গ্রেফতার করা হয়। পরে তাদের সাথে থাকা ব্যাগ তল্লাশী করে ১৫২ বোতল ফেনসিডিল উদ্ধার করা হয়। তার বিরুদ্ধে কসবা থানায় মামলা দায়ের করা হয়েছে।
চলারপথে রিপোর্ট :
কসবা উপজেলায় হাজারো জনসাধারণের অংশগ্রহণে বায়েক ইউনিয়ন বিএনপির নেতাকর্মীদের বিরুদ্ধে দায়ের করা মিথ্যা মামলার প্রতিবাদে বিক্ষোভ মিছিল অনুষ্ঠিত হয়েছে।
ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা বিএনপির সদস্য আলহাজ্ব কবির আহমেদ ভূঁইয়ার প্রতি সমর্থন জানিয়ে এবং কসবা উপজেলা বিএনপির সভাপতি অ্যাডভোকেট ফখরুদ্দিন খান ও সাধারণ সম্পাদক শরিফুল হক স্বপনের নির্দেশনায় এই বিক্ষোভ মিছিলটি অনুষ্ঠিত হয়।
আজ ৪ এপ্রিল শুক্রবার বিকেলে কসবা উপজেলার বায়েক ইউনিয়নের বায়েক চৌমুহনী থেকে মিছিলটি শুরু হয়ে বায়েক ইউনিয়নের প্রধান প্রধান সড়ক প্রদক্ষিণ করে বায়েক গ্যাস পাম্পের সামনে এসে প্রতিবাদী বক্তব্যের মাধ্যমে শেষ হয়।
বিক্ষোভ সমাবেশটি বায়েক ইউনিয়ন বিএনপির সভাপতি মো. নাজমুল হাসান ও সাধারণ সম্পাদক মনির হোসেন এর নেতৃত্বে অনুষ্ঠানটি সঞ্চালনা করেন ইউনিয়ন বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক মো. রেজাউল করিম ভূঁইয়া।
বক্তব্য রাখেন ইউনিয়ন বিএনপির সাধারণ সম্পাদক মো. মনির হোসেন, সিনিয়র সহ-সভাপতি মো. রফিকুল ইসলাম, যুবদলের যুগ্ম আহ্বায়ক মামুন, মো. কামাল প্রমুখ।
বক্তারা বলেন, “আমরা অতীতে আন্দোলন-সংগ্রাম করেছি, কারাবরণ করেছি। আজ আমাদের ওপর ভিত্তিহীন ও রাজনৈতিক উদ্দেশ্যপ্রণোদিত মামলা দায়ের করা হয়েছে।”
এ সময় ইউনিয়নের বিভিন্ন ওয়ার্ডের নেতা-কর্মী, ও গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গ উপস্থিত ছিলেন।
বক্তারা অবিলম্বে মিথ্যা মামলা প্রত্যাহারের দাবি জানান এবং ভবিষ্যতে বৃহত্তর কর্মসূচির হুঁশিয়ারি দেন।
চলারপথে রিপোর্ট :
আলোচিত ফারুক চৌধুরী হত্যা মামলার স্বাক্ষী আজারুল ইসলাম হৃদয় (২৬) কে পিটিয়ে আহত করেছে হত্যা মামলার আসামীরা। ৮ মার্চ বুধবার রাত ৯টায় কসবা পৌর এলাকার শাহপুর গ্রামে এই ঘটনা ঘটে। আজারুলের চিৎকারে স্থানীয়রা এসে তাকে উদ্ধার করে কসবা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করে।
এ ঘটনায় ওইদিন রাতেই আহতের চাচা মোঃ শাহ আলম চৌধুরী বাদী হয়ে আনোয়ার হোসেন আনার (৪৫)কে প্রধান আসামী করে ৮ জনের বিরুদ্ধে কসবা থানায় একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন।
অভিযোগ ও আহত আজারুল ইসলামের পরিবার সূত্রে জানা যায়, বুধবার রাতে শাহপুর গ্রামের চাচার বাড়ি থেকে নিজ বাড়িতে ফেরার পথে ফারুক চৌধুরী হত্যা মামলার আসামীরা তার পথরোধ করে তাকে রড, লাঠি ও দা দিয়ে এলোপাথাড়ি পিটিয়ে রক্তাক্ত জখম করে। তার চিৎকারে পথচারীরা ও আশপাশের লোকজন তাকে মুমূর্ষ অবস্থায় উদ্ধার করে কসবা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করে।
আহত আজারুল ইসলামের মা আছিয়া বেগম জানান, আসামীরা হাইকোর্ট থেকে জামিনে এসে তার স্বামী ফারুক চৌধুরী হত্যা মামলা তুলে নেয়ার জন্য জন্য বাদীকে হুমকী-ধামকী দিয়ে আসছে। গত বুধবার তারা তার ছেলেকে হত্যার উদ্দেশ্যে বেদম মারধোর করে আহত করে। এ অবস্থায় আমরা নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছি।
উল্লেখ্য ২০২০ সালের ১৩ এপ্রিল বেলা ১১ টায় ফারুক চৌধুরী স্থানীয় একজনের নামাজে জানাজা শেষে বাড়ি ফেরার পথে আসামীরা তাকে এলোপাথাড়ি কুপিয়ে হত্যা করে।
এ ঘটনায় নিহতের বড় ভাই মোঃ শাহ আলম চৌধুরী বাদী হয়ে ৯ জনের বিরুদ্ধে হত্যা মামলা দায়ের করেন। বর্তমানে মামলাটি জেলা অপরাধ তদন্ত বিভাগে (সিআইডি) তদন্তনাধীন রয়েছে। এই হত্যা মামলার প্রত্যক্ষ স্বাক্ষী হলেন ফারুক মিয়ার ছেলে আজারুল ইসলাম।
এ ব্যাপারে কসবা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ মহিউদ্দিন জানান, এই বিষয়ে থানায় একটি লিখিত অভিযোগ দেয়া হয়েছে। আমরা আসামীদের গ্রেপ্তারের চেষ্টা করছি।
উল্লেখ্য, নিহত ফারুক চৌধুরী দৈনিক যায়যায়দিনের কসবা প্রতিনিধি মোঃ শাহ আলম চৌধুরীর ছোট ভাই।
চলারপথে রিপোর্ট :
ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার কসবায় কৃষি জমির পত্তনের পাওনা ১ হাজার টাকা দিতে না পারায় মুসা মিয়া (৩৪) নামে এক কৃষককে ছুরিকাঘাতে হত্যা করেছে জমির মালিকের ছেলে রুহুল আমিন। আজ ৩০ মার্চ শনিবার সকাল ১১টার দিকে উপজেলার কুটি ইউনিয়নের দক্ষিনখার গ্রামে এ ঘটনা ঘটে।
নিহত মুসা মিয়া দক্ষিনখার গ্রামের মৃত জজু মিয়ার ছেলে। পুলিশ লাশ উদ্ধার করে ময়না তদন্তের জন্য জেনারেল হাসপাতাল ব্রাহ্মণবাড়িয়ার মর্গে পাঠিয়েছে। ওই প্রান্তিক কৃষকের মৃত্যুতে পরিবারে চলছে শোকের মাতম। হত্যাকারী রুহুল আমিন একই গ্রামের মৃত তৌহিদ মিয়া পুত্র । ঘটনার পর থেকে পলাতক অভিযুক্ত রুহুল আমিন।
স্থানীয়রা জানায়, দীর্ঘ বছর ধরে দরিদ্র পরিবারের সন্তান প্রান্তিক কৃষক মুসা মিয়া একই গ্রামের তৌহিদ মিয়ার জমি পত্তন নিয়ে চাষাবাদ করে আসছিলো। প্রতি বছরই জমি পত্তনের টাকা যথাসময়ে পরিশোধ করে আসছিলো। এ বছর পত্তনের তিন হাজার টাকার মধ্যে ২ হাজার টাকা কিছুদিন আগে পরিশোধ করেছিলো মুসা মিয়া। অবশিষ্ট পাওনা ছিলো ১ হাজার টাকা। ওই ১ হাজার টাকা শনিবার পরিশোধ করার কথা ছিলো।
সকালে ঘটনার সময় রুহুল আমিনদের কাছ থেকে পত্তন নেয়া জমিতেই কাজ করছিলো মুসা মিয়া। সকালে টাকা আনতে গিয়ে বাড়িতে না পেয়ে জমিতে যায় রুহুল আমিন। টাকা দিতে অপারগতা প্রকাশ করায় ক্ষিপ্ত হয়ে রুহুল আমিনের সাথে থাকা একটি ছুরি দিয়ে কৃষক মুসা মিয়াকে উপুর্যপরি ছুরিকাঘাত করে। এসময় মুসা মিয়ার আর্তচিৎকারে স্থানীয়রা ও বাড়ির লোকজন উদ্ধার করে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।
কসবা থানা ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মো. রাজু আহমেদ জানান, জমির টাকা নিয়ে ছুরিকাঘাতে কৃষক নিহতের ঘটনায় খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে গিয়ে লাশ উদ্ধার করে ময়না তদন্তের জন্য জেনারেল হাসপাতাল ব্রাহ্মণবাড়িয়ার মর্গে পাঠানো হয়েছে। এ বিষয়ে নিহতের পরিবারের পক্ষ থেকে মামলার প্রস্তুতি চলছে।
চলারপথে রিপোর্ট :
কসবা সীমান্তে বিজিবি কর্তৃক পরিচালিত অভিযানে ১ কোটি ৮০ লক্ষ টাকারও অধিক মূল্যের বিপুল পরিমাণ ভারতীয় শাড়ি ও থ্রিপিস আটক করা হয়েছে।
আজ ১৭ সেপ্টেম্বর সকালে বিজিবির সুলতানপুর ব্যাটালিয়ন (৬০ বিজিবি) এর ব্যাটালিয়ন সদরের একটি বিশেষ টহলদল ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার কসবা উপজেলাধীন সীমান্তবর্তী গুরুহিত মোড় পাকা রাস্তার উপর হতে চোরাচালান বিরোধী অভিযান পরিচালনা করে।
অভিযানে বিজিবি টহলদল একটি ট্রাকসহ ভারতীয় উন্নতমানের ১৫৮৪ পিস শাড়ি এবং ১৭৭ পিস থ্রিপিস মালিকবিহীন অবস্থায় উদ্ধার করে।
দাফন সম্পন্ন
স্টাফ রিপোর্টার:
ব্রাহ্মণবাড়িয়ার বিজয়নগরের লক্ষীমুড়া গ্রামের নিহত হারুন মিয়ার দাফন সম্পন্ন হয়েছে। রোববার (১১ ডিসেম্বর) সন্ধ্যা ৬টায় মনিপুর বন্দরবাজার বালুর মাঠে তার জানাজা অনুষ্ঠিত হয়। জানাজায় স্থানীয় হারুন মিয়ার আত্মীয় স্বজনসহ সহস্রাধিক মানুষ অংশগ্রহণ করে। এর আগে শনিবার (১০ ডিসেম্বর) রাত ৯টার দিকে হারুন মিয়া নিজ বাড়িতে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান। পরদিন দুপুরে ময়নাতদন্তের পর হারুন মিয়ার মরদেহে এসে পৌঁছায় তার নিজ এলাকায়। মরদেহ পৌঁছার পর থেকেই স্থানীদের ভিড় বাড়ে তার বাড়িতে। এরপর জানাজা শেষে পারিবারিক কবরস্থানে তাকে দাফন করা হয়। জানাজায় উপস্থিত ছিলেন, বিজয়নগর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা রাজু আহমেদ, পত্তন ইউনিয়নের চেয়ারম্যান মো. তাজুল ইসলাম, আওয়ামীলীগ নেতা হৃদয় আহমেদ জালাল, সাবেক মেম্বার সেলিম মিয়া, হোসেন মিয়া, মাওলানা সিরাজ আকরামসহ এলাকার গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গরা। নিহত হারুন মিয়ার ভাতিজা সোহেল বলেন, দুধ মিয়া সরাসরি করিম মিয়ার পক্ষে নিয়েছে। যার কারণে আমার চাচা হারুন মিয়া হত্যার শিকার হয়েছে। আমার চাচার হত্যার সাথে দুধ মিয়া জড়িত। দুধ মিয়াসহ যারা আমার চাচাকে হত্যা করেছে তাদের ফাঁসির দাবি জানাই।
বিজয়নগর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) রাজু আহমেদ জানান, শান্তিপূর্ণ ভাবে হারুন মিয়ার জানাযা সম্পন্ন হয়েছে। এলাকায় স্বাভাবিক পরিস্থিতি বিরাজ করছে। অভিযুক্ত আসামীদের দ্রুত গ্রেফতারের চেষ্টা চলছে তিনি জানান।