চলারপথে রিপোর্ট :
নবীনগরে ডাকাতির প্রস্তুতিকালে চার ডাকাতকে গ্রেফতার করেছে নবীনগর থানা পুলিশ। গতকাল ২৩ নভেম্বর শনিবার রাত আনুমানিক আড়াইটার দিকে ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার নবীনগর উপজেলার কৃষ্ণনগর ইউনিয়নের সীতারামপুর ব্রিজের উপর অভিযান পরিচালনা করে তাদেরকে গ্রেফতার করা হয়।
গ্রেফতারকৃতরা হলেন জাহাঙ্গীর (২৮), মোঃ আব্দুল হাদি, মেরাজুল ইসলাম (২৫) মোঃ আবুল কালাম (৩০)। তাদের বাড়ি নরসিংদী রায়পুরা উপজেলার মনিপুর গ্রামে।
পুলিশ জানায়, নবীনগর উপজেলার কৃষ্ণনগর ইউনিয়নের সীতারামপুর মনতলা সেতুর ওপর শনিবার রাতে অস্ত্রশস্ত্রে সজ্জিত হয়ে ডাকাতির প্রস্তুতি নিচ্ছিল একদল ডাকাতরা। খবর পেয়ে নবীনগর থানা পুলিশ ওই সেতুতে অভিযান চালায়। পুলিশের উপস্থিতি টের পেয়ে ডাকাতরা পালিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করলে পুলিশ দুটি দেশীয় তৈরি পাইপগান (বন্দুক) ও ৪ রাউন্ড কার্তুজসহ ৪ ডাকাতকে আটক করতে সক্ষম হয়।
নবীনগর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা আবদুর রাজ্জাক বলেন, গ্রেফতারকৃতদের আদালতের মাধ্যমে জেল হাজতে প্রেরন করা হয়েছে। ডাকাতদের বিরুদ্ধে অস্ত্র ও ডাকাতি আইনে দুটি মামলা দায়ের করা হয়েছে।
চলারপথে রিপোর্ট :
ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার নবীনগরে মেয়াদোত্তীর্ন লাইসেন্স ও ডিপ্লোমা বিহীন ল্যাব টেকনিশিয়ান দিয়ে হাসপাতাল ও ডায়াগনস্টিক সেন্টার পরিচালনার দায়ে ভ্রাম্যমাণ আদালতের মাধ্যমে একটি প্রাইভেট হাসপাতালকে অর্থদন্ড করা হয়েছে।
আজ ১৮ সেপ্টেম্বর সোমবার এ অভিযান পরিচালনা করেন নবীনগর উপজেলা নির্বাহী অফিসার তানভীর ফরহাদ শামীম। এসময় এই অভিযানে সহযোগিতা করেন উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডাক্তার হাবিবুর রহমান।
জানা যায়, উপজেলার পৌরশহরে অবস্থিত মুক্তি প্রাইভেট হাসপাতাল ও ডায়াগনস্টিক সেন্টারের লাইসেন্সের মেয়াদ বিগত দুই বছর পূর্বে শেষ হয়ে যাওয়া সহ ল্যাব টেকনিশিয়ান ডিপ্লোমা বিহীন এস এস সি পাস স্টাফ দিয়ে ল্যাব পরিচালনা করার দায়ে মেডিকেল প্র্যাক্টিস এবং বেসরকারি ক্লিনিক ও ল্যাবরেটরি নিয়ন্ত্রণ অধ্যাদেশ ১৯৮২ এবং ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ আইন ২০১৯ অনুযায়ী ৫০ হাজার টাকা অর্থদন্ড করা হয়।
এ বিষয়ে নবীনগর উপজেলা নির্বাহী অফিসার তানভীর ফরহাদ শামীম জানান, মেয়াদোত্তীর্ন লাইসেন্স ও এস এস সি পাস ল্যাব টেকনিশিয়ান দিয়ে ল্যাব পরিচালনা করার দায়ে অর্থদন্ড করা হয়েছে। প্রাইভেট হাসপাতালগুলোতে সঠিক স্বাস্থ্য সেবা সুনিশ্চিত করতে এধরণের অভিযান অব্যাহত থাকবে।
চলারপথে রিপোর্ট :
ব্রাহ্মণবাড়িয়া-৫ আসনের নবীনগর নির্বাচনী এলাকায় আওয়ামী লীগ প্রার্থী ফয়জুর রহমান বাদলকে সমর্থন দিয়ে নির্বাচন থেকে সরে দাঁড়ালেন স্বতন্ত্র প্রার্থী, বাংলাদেশ হকি ফেডারেশনের সাধারণ সম্পাদক ও ঢাকা মহানগর দক্ষিণ আওয়ামী যুবলীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক একেএম মমিনুল হক সাঈদ।
আজ ২৪ ডিসেম্বর রবিবার বিকেলে সলিমগঞ্জ বাজারে দলীয় নেতাকর্মীদের সঙ্গে মতবিনিময় করার সময় তিনি এই সিদ্ধান্ত নেন।
নির্বাচন থেকে সরে যাওয়ার ঘোষণা দিয়ে সাঈদ বলেন, আসন্ন দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে অংশগ্রহণমূলক করার জন্য স্বতন্ত্র প্রার্থী হয়েছিলাম। এবার নৌকার বিজয় নিশ্চিত করা ও নৌকার ভোটারদের বিভক্ত না করে নৌকাকে বিজয়ী করার জন্য আওয়ামী লীগ প্রার্থী ফয়জুর রহমান বাদলকে সমর্থন দিতেই নির্বাচন থেকে সরে এসেছি।
শফিকুল ইসলাম বাদল, নবীনগর :
ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার নবীনগর উপজেলার পৌর শাখার ৫, ও ৬, ৭ নং ওয়ার্ডের কৃষকদলের দ্বি-বার্ষিক সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়েছে। আজ ২ আগস্ট শনিবার বিকেলে নারায়ণপুর ফায়ার সার্ভিস সংলগ্ন বালুর মাঠে এ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়। নবীনগর পৌর কৃষকদলের আহবায়ক মো. আনোয়ার হোসেন এর সভাপতিত্বে ও নবীনগর পৌর কৃষকদলের সদস্য সচিব মো. আনোয়ার খানের সঞ্চালনায় উক্ত অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন- ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা বিএনপির সদস্য ও কেন্দ্রীয় কৃষক দলের সহ-সাধারণ সম্পাদক ও ব্রাহ্মণবাড়িয়া- (৫) আসনের ধানের শীষের মনোনয়ন প্রত্যাশী কে. এম. মামুনুর রশিদ।
প্রধান বক্তা ছিলেন-ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা কৃষকদলের সদস্য সচিব মো. জিল্লুর রহমান।
উদ্বোধক ছিলেন ঢাকা (দ.) মহানগর কৃষক দলের সম্মানিত সদস্য মো. কামাল হোসেন।
অতিথি ছিলেন- ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা কৃষকদলের যুগ্ম আহবায়ক মো. আল আমিন, নবীনগর উপজেলা কৃষক দলের আহবায়ক হাজী মো. জহিরুল হক (জরু মিয়া), নবীনগর উপজেলা কৃষক দলের সদস্য সচিব মো. আনোয়ার হোসেন (বাবুল), নবীনগর পৌর ৬ নং ওয়ার্ডের সভাপতি মোস্তফা কামাল (দুলাল) ৭নং ওয়ার্ডের আহবায়ক মো. বায়েজিদ ইসলাম, ৬ নং ওয়ার্ডের কৃষক দলের সাধারণ সম্পাদক মো. মরম আলী, ৫ নং ওয়ার্ডের কৃষক দলের সদস্য সচিব মো. সেলিম মিয়া, ৭নং ওয়ার্ডের কৃষক দলের সদস্য সচিব, মো. সোহাগ খানসহ বিএনপি ও অঙ্গ সহযোগী সংগঠনের নেতৃবৃন্দরা উপস্থিত ছিলেন।
চলারপথে রিপোর্ট :
নবীনগরে ফতেহপুর কমলাকান্ত গুরুচরণ উচ্চ বিদ্যালয়ের এসএসসি পাশ করা কৃতি শিক্ষার্থীদের সংবর্ধনা প্রদান ও দোয়া মাহফিল অনুষ্ঠিত হয়েছে।
আজ ১৮ মে শনিবার দুপুরে বিদ্যালয়ের অডিটোরিয়ামে এই সংবর্ধনা প্রদান ও দোয়া মাহফিলসহ দশম শ্রেণীর শিক্ষার্থীদের অভিভাবক সমাবেশ ও নবগঠিত পিটিএ কমিটির পরিচিতি সভা অনুষ্ঠিত হয়। এতে প্রধান অতিথি ছিলেন বিদ্যালয়ের ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি ডা. মো. মিজানুর রহমান।
প্রধান শিক্ষক শাহ জাহান কবিরের সভাপতিত্বে ও সহকারী শিক্ষক আলী আকবর মাস্টারের সঞ্চালনায় এ সময় বিশেষ অতিথি ছিলেন ইউপি চেয়ারম্যান মো. জাহাঙ্গীর আলম, বিদ্যালয়ের ম্যানেজিং কমিটির সদস্য মো. জসিম উদ্দিন, মো. শাহীন, বাছির উদ্দিন, মিজানুর রহমান, মোখলেছুর রহমান, ইভা আক্তার, শিক্ষক প্রতিনিধি আবুল হোসেন, বায়েছ মিয়া ও হাজেরা বেগম, প্রভাষক আবুল হোসেন, মতিউর রহমান, পিটিএ কমিটির সভাপতি মফিজুল করিম, সদস্য সচিব বোরহান উদ্দিন প্রমুখ।
বক্তারা ২০২৪ সালের এসএসসি পরীক্ষার ফলাফলে ফতেহপুর কমলাকান্ত গুরুচরণ উচ্চ বিদ্যালয়ের ৮ জন শিক্ষার্থী জিপিএ-৫ সহ ৯১.৪% শিক্ষার্থী পাশ করায় উচ্ছ্বাস প্রকাশ করেন।
তারা বলেন, বিদ্যালয়ের ম্যানেজিং কমিটির সার্বিক দিকনির্দেশনায়, শিক্ষকদের অক্লান্ত পরিশ্রম এবং শিক্ষার্থীদের সদিচ্ছার কারণেই এ ফলাফল অর্জন করা সম্ভব হয়েছে এবং ভবিষ্যতেও প্রতিষ্ঠানটির উত্তরোত্তর সাফল্যে এমন ফলাফলের ধারাবাহিকতা ধরে রাখতে হবে। এ জন্য তারা উপস্থিত অভিভাবক ও শিক্ষার্থীদের বিভিন্ন দিকনির্দেশনামূলক পরামর্শ দেন।
পরে দেশ, জাতি ও ফতেহপুর কমলাকান্ত গুরুচরণ উচ্চ বিদ্যালয়ের উত্তরোত্তর সাফল্য কামনায় মিলাদ শেষে দোয়া করা হয়।
চলারপথে রিপোর্ট :
নবীনগর উপজেলার শীর্ষ সন্ত্রাসী ও ১১ মামলার আসামী ইব্রাহিম মিয়াকে যৌথ বাহিনীর সহায়তায় গ্রেফতার করেছে নবীনগর থানা পুলিশ। গতকাল ২৭ সেপ্টেম্বর শুক্রবার দিবাগত গভীর রাতে ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার নবীনগর পৌর এলাকার নারায়ণপুর থেকে তাকে গ্রেফতার করা হয়। গ্রেফতারকৃত ইব্রাহিম নবীনগর পৌর এলাকার খোরশেদ মিয়ার ছেলে।
নবীনগর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা হুমায়ুন কবীর জানান, গোপান সংবাদের ভিত্তিতে যৌথবাহিনী অভিযান পরিচালনা করে নবীনগর পৌর এলাকার নারায়নপুর নিজ বাড়ী থেকে ১১ মামলার আসামী ও শীর্ষ সস্ত্রাসী ইব্রাহিম মিয়াকে গ্রেফতার করেন। আজ ২৮ সেপ্টেম্বর শনিবার তাকে আদালতের মাধ্যমে জেল হাজতে প্রেরন করা হয়েছে।