চলারপথে রিপোর্ট :
আখাউড়া স্থলবন্দর দিয়ে ভারতে যাওয়ার সময় স্ত্রীসহ আটক হয়েছেন চট্টগ্রাম বন্দর থানা আওয়ামী স্বেচ্ছাসেবক লীগের নেতা নান্টু কুমার কর (৩৪)।
আজ ২৪ নভেম্বর রবিবার দুপুরে দায়িত্বরত বিজিবি-৬০ ব্যাটালিয়নের সদস্যরা স্থলবন্দর এলাকায় তাদেরকে আটক করে।
বিকেলে বিজিবি’র ৬০ ব্যাটালিয়নের অধিনায়ক লেঃ কর্ণেল জাবের বিন জব্বারের পাঠানো এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে এই তথ্য জানানো হয়।
আটককৃত নান্টু কুমার কর চট্টগ্রাম জেলার পটিয়া উপজেলার দৌলতপুর করপাড়ার সুচীন্দ্র করের ছেলে। শান্তা রানী (২৪) নান্টু কুমার করের স্ত্রী এবং একই এলাকার সঞ্জয় কুমার নাথের ছেলে।
বিজিবির প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে উল্লেখ করা হয়, নান্টু কুমার কর বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে চট্টগ্রাম বন্দরে ভাংচুর ও অগ্নিসংযোগ মামলার আসামী। তিনি স্ত্রী শান্তা রানী নাথকে নিয়ে আত্মগোপনে যেতে ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার আখাউড়া স্থলবন্দর দিয়ে ভারতে যাওয়ার চেষ্টা করছিলেন। এ সময় তাদেরকে আটক করা হয়। তাদেরকে আখাউড়া থানায় সোপর্দ করা হবে।
চলারপথে রিপোর্ট :
সনাতন ধর্মাবলম্বী হিন্দু সম্প্রদায়ের সবচেয়ে বড় ধর্মীয় উৎসব শারদীয় দুর্গাপুজা আগামী শুক্রবার থেকে শুরু হচ্ছে। চলবে টানা ৫ দিন। এরপরেই রয়েছে লক্ষ্মীপুজা। দুর্গাপুজা ও লক্ষ্মীপুজা উপলক্ষে আখাউড়া স্থলবন্দর দিয়ে ৭ দিন বন্ধ থাকবে আমদানী-রপ্তানী কার্যক্রম। তবে এসময় যাত্রী পারাপার স্বাভাবিক থাকবে।
আখাউড়া স্থলবন্দর আমদানী-রপ্তানিকারক এসোসিয়েশন ও সিএন্ডএফ এজেন্ট এসোসিয়েশেন এক বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে এ তথ্য জানিয়েছেন। ১৬ অক্টোবর সোমবার বিজ্ঞপ্তিতে দু’টি সংগঠনের সাধারণ সম্পাদক যথাক্রমে শফিকুল ইসলাম ও ফোরকান আহমেদ খলিফা স্বাক্ষর করেছেন। বিষয়টি সকল সিএন্ডএফ এজেন্ট, আমদানী-রপ্তানীকারক প্রতিষ্ঠানের মালিক-কর্মচারীদের অবগতির জন্য জানানো হয়।
সূত্রে জানা গেছে, দূর্গাপুজা উপলক্ষে আগামী ২১ অক্টোবর শনিবার থেকে ২৪ অক্টোবার মঙ্গলবার পর্যন্ত এবং লক্ষ্মী পুজা উপলক্ষে ২৭ অক্টোবর শুক্রবার ও ২৮ অক্টোবর শনিবার পর্যন্ত সকল প্রকার আমদানী রপ্তানী কার্যক্রম আখাউড়া স্থলবন্দর দিয়ে বন্ধ থাকবে।
এ ব্যপারে জানতে চাইলে আমদানী-রপ্তানিকারক এসোসিয়েশনের সাধারণ সম্পাদক শফিকুল ইসলাম বলেন, দুর্গাপুজা উপলক্ষে ২১-২৪ অক্টোবর এবং লক্ষ্মীপুজা উপলক্ষে শুক্রবার ও শনিবার আমদানী রপ্তানী বন্ধ থাকবে। মাঝখানে আমদানী-রপ্তানী বন্ধ থাকবে। মাঝখানে বুধবার ও বৃস্পতিবার আমদানী রপ্তানী বন্ধ থাকবে। রবিবার থেকে যথারীতি আমদানী-রপ্তানী কার্যক্রম শুরু হবে।
চলারপথে রিপোর্ট :
আখাউড়ায় প্রখ্যাত আউলিয়া হযরত শাহপীর কল্লা শহীদ (র.) মাজার শরীফ পরিচালনা কমিটির নির্বাচন আগামী শুক্রবার অনুষ্ঠিত হবে।
এ উপলক্ষে আজ ২২ নভেম্বর বুধবার সকালে পৌরশহরের খড়মপুরে মাজার শরীফ মার্কেট কাম কমপ্লেক্সের ২য় তলায় হল রুমে আইন-শৃঙ্খলা সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। সভায় সভাপতিত্ব করেন উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) ও মাজার কমিটি নির্বাচনের রিটার্নিং কর্মকর্তা প্রশান্ত চক্রবর্তী। সভায় সদস্য পদে প্রতিদ্বন্ধিতাকারী ৪২ জন প্রার্থীসহ কমিটির সদস্যরা উপস্থিত ছিলেন।
সভায় বিশেষ অতিথির বক্তৃতা করেন নির্বাচনের প্রিসাইডিং অফিসার ও উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা মোঃ আবুল হোসেন, আখাউড়া থানার ওসি (তদন্ত) মোঃ শফিকুল ইসলাম।
নির্বাচন সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা সুষ্ঠু, সুন্দর ও শান্তিপূর্ণ নির্বাচন আয়োজনের লক্ষে দিক নিদের্শনামূলক বক্তব্য রাখেন। সভায় জানানো হয় নির্বাচন চলাকালীন সার্বক্ষনিক একজন ম্যাজিষ্ট্রেট দায়িত্ব পালন করবেন। এছাড়াও পুলিশসহ আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্য মোতায়েন থাকবে। বিধি মোতাবেক স্বচ্ছ ভোট হবে। জাল ভোট দেওয়ার কোন সুযোগ নাই। ভোটার ভোট কক্ষে মোবাইল ফোন নিতে পারবে না। প্রার্থীর এজেন্ট মোবাইল সঙ্গে রাখতে পারবে না। ভোটদানে প্রভাবিত করতে পারবে না। এমন অভিযোগ প্রমান পাওয়া গেলে ওই এজেন্টকে অযোগ্য ঘোষণা করে বহিস্কার করা হবে। নির্বাচনে বিশৃঙ্খলা করলে কিংবা সরকারি কাজে বাধা দিলে আইন অনুযায়ী জেল-জরিমানা হতে পারে বলেও সতর্ক করে দেন কর্মকর্তারা। এক্ষেত্রে ৫ দিন থেকে ৬ মাস পর্যন্ত জেল হতে পারে।
এসময় সুষ্ঠু নির্বাচন অনুষ্ঠানে সকলের সহযোগিতা কামনা করা হয়। সবাইকে জয় পরাজয় মেনে নেওয়ার আহবান জানান কর্মকর্তারা। প্রার্থীরাও সুষ্ঠু ভোটের লক্ষ্যে তাদের প্রস্তাব তুলে ধরে বক্তব্য রাখেন।
এসময় অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য রাখেন মাজার কমিটির সাধারণ সম্পাদক মোঃ রফিকুল ইসলাম খাদেম (মিন্টু), কমিটির সদস্য ও পৌর কাউন্সিলর তাকদির খান খাদেম, কমিটির সদস্য কাজী লিটন খাদেম, মোবাশে^র আহমেদ খাদেম, সাজিদ মিয়া খাদেম, মোজাম্মেল হক খাদেম, রোস্তম কামরান খাদেম, দেলোয়ার খাদেম, ইয়াছিন খাদেম, কাজী মামুন খাদেম, সদস্য প্রার্থী এম. এন. এইচ খাদেম দুলাল, রাশেদ খান খাদেম প্রমুখ।
উল্লেখ্য, কল্লা শহীদ (র.) মাজারটি বাংলাদেশ ওয়াকফ্ এস্টেট এর তালিকাভুক্ত একটি দরগাহ শরীফ। ই. সি. নং ৪৫৬৬। ২৫ সদস্য বিশিষ্ট কমিটি মাজার পরিচালনা করে। পদাধিকার বলে জেলা প্রশাসক ওই কমিটির সভাপতি এবং আখাউড়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা সিনিয়র-সহ সভাপতি।
গ্রামের ৭টি পাড়া থেকে ৪২ জন প্রার্থী হয়েছেন। প্রত্যেক পাড়া থেকে ৩ জন করে ২১ জন সদস্য নির্বাচন করবেন ভোটাররা। পরবর্তীতে সদস্যের ভোটে একজন সাধারণ সম্পাদক ও একজন সহ সাধারণ সম্পাদক নির্বাচিত হয়। ওয়াকফ প্রশাসকের সুপারিশক্রমে ২ জন সদস্য মনোনয়ন দেওয়া হয়। কমিটির মেয়াদ ৩ বছর।
চলারপথে রিপোর্ট :
আখাউড়ায় জমে উঠেছে ঈদের কেনাকাটা। মার্কেটগুলোতে সকাল থেকে মধ্যরাত পর্যন্ত ক্রেতাদের উপচেপড়া ভিড় দেখা যায়। এবছর মেয়েদের পছন্দের শীর্ষে রয়েছে নায়রা। নায়রা নামের মেয়েদের পোষাকটি সবচেয়ে বেশি বিক্রি হচ্ছে। এছাড়াও সারেরা, গারেরা, ডিভাইডার, গাউন, লেহেঙ্গা, স্কার্ট রয়েছে পছন্দের তালিকায়। তবে দাম অনেকটা বেশি বলে জানিয়েছেন ক্রেতারা।
আখাউড়া শহরের মায়াবী শপিং কমপ্লেক্স, আদর আলী কমপ্লেক্স, আলী মার্কেট, চৌধুরী শপিং কমপ্লেক্স, সরকার প্লাজাসহ কয়েকটি মার্কেট ঘুরে দেখা গেছে বিভিন্ন ডিজাইনের আকর্ষণীয় পোষাক সাজিয়ে রেখেছেন। পছন্দের জামা-কাপড় কিনতে দোকানে ভিড় করছেন ক্রেতারা।
বিভিন্ন মার্কেট ঘুরে দেখা যায়, পবিত্র ঈদুল ফিতরকে সামনে রেখে শহরের প্রতিটি বিপণিবিতানে কেনাকাটার ধুম পড়েছে। সকাল থেকে গভীর রাত পর্যন্ত ক্রেতা-বিক্রেতার সরগরম প্রতিটি জামা-কাপড়ের দোকান। বেচাকেনা জমে ওঠায় খুশি বিক্রেতারাও। নতুন জামা-কাপড়ের পাশাপাশি জুতা এবং কসমেটিকস্ দোকানগুলোতেও ভিড় দেখা গেছে। তবে সব পণ্যের দামই দোকানিরা অনেক বেশি চাচ্ছেন এমন অভিযোগ ক্রেতাদের। তবে ব্যবসায়ীরা বলছেন দ্রব্যমূল্যের দাম বাড়ায় প্রতিটি জিনিষেই এর প্রভাব পড়েছে। তাছাড়া পোষাক তৈরির সরঞ্জামের দাম বেড়েছে এজন্য দাম কিছুটা বেড়েছে।
এদিকে মেয়েদের পোষাকের পাশাপাশি ছেলের পোষাকের দোকানগুলোতে তরুনদের উপস্থিতি বেড়েছে। ছেলেরা জিন্স প্যান্ট বেশি কিনছেন। সাথে স্টিচ শার্ট, টি-শার্ট। এছাড়াও পাঞ্জাবি-পায়জামার চাহিদাও রয়েছে। কালারফুল পাঞ্জাবিই ছেলেদের বেশি পছন্দ।
ব্যবসায়ীদের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, রমজানের শুরুর দিকে মার্কেটে বেশি বিক্রি হয় শিশু ও নারীদের জামা-কাপড়। ঈদ যতই এগিয়ে আসে এসব পণ্যের বিক্রিও ততই বাড়ে।
সড়ক বাজারের মরিয়ম লেডিস ফ্যাসনের মালিক মোঃ কাওছার আহমেদ বলেন, রোজার প্রথম কয়েকদিন ক্রেতারা শুধু জামাকাপড় দেখে নাম শুনে চলে যেত। এখন আল্লাহর রহমতে বেচাকেনা বেড়েছে। ঈদ যত ঘনিয়ে আসবে বিক্রির পরিমাণও তত বাড়বে। তিনি আরও বলেন, করোনার কারণে গত কয়েক ঈদে লোকসান হয়েছে। আশা করি, এবার করোনার লোকসান এবার পুষিয়ে উঠতে পারবো।
দুই মেয়েকে নিয়ে মার্কেটে এসেছেন স্মৃতি আক্তার। তিনি বলেন, বড় মেয়ের জন্য নায়রা কিনেছি। ছোট মেয়ে পছন্দ করেছে স্কার্ট। এবার দাম একটু বেশি। গত বছর যে পোষাক ১ হাজার দেড় হাজার টাকায় কিনেছে। সে পোষাক এবার তিন হাজার দাম চাচ্ছে বিক্রেতারা।
কাজী স্নেহ ও তোড়া বলেন, তারা নায়রা কিনেছেন। কারণ এ পোষাকটি এবার অনেক চলছে। আর দেখতেও সুন্দর লাগে।
চলারপথে রিপোর্ট :
দুর্গাপূজা উপলক্ষে বাংলাদেশ থেকে ভারতের ত্রিপুরা রাজ্যের আগরতলায় দ্বিতীয় দফায় গেল ২ হাজার ৩২০ কেজি ইলিশ। ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার আখাউড়া স্থলবন্দর দিয়ে সোমবার বিকালে দুটি পিকআপে করে এসব ইলিশ ত্রিপুরা রাজ্যের আগরতলায় পাঠানো হয়।
খুলনার এসএস করপোরেশন রপ্তানিকারক প্রতিষ্ঠান আখাউড়া স্থলবন্দরের সিঅ্যান্ডএফ এজেন্ট মেসার্স সাকিয়াত কনস্ট্রাকশন ও প্রীতম এন্টারপ্রাইজের মাধ্যমে মাছগুলো ত্রিপুরার আগরতলায় রপ্তানি করে। চলতি মাসে আখাউড়া দিয়ে আরো একাধিক ইলিশের চালান রাজ্যের আগরতলায় যাওয়ার কথা রয়েছে।
সিঅ্যান্ডএফ এজেন্ট সাকিয়াত কনস্ট্রাকশনের স্বত্বাধিকারী মো. ইদন মিয়া সাংবাদিকদের বলেন, ত্রিপুরায় ইলিশের ব্যাপক চাহিদা রয়েছে। সোমবার বিকালে ১০০টি কার্টনে মাছগুলো ত্রিপুরা রাজ্যের আগরতলায় পাঠানো হয়। প্রতি কেজি ইলিশ মাছের রফতানি মূল্য ১০ মার্কিন ডলার; যা বাংলাদেশের মুদ্রায় প্রায় এক হাজার ১১৩ টাকা।
এদিকে গত শুক্রবার প্রথম চালানে ১৪৩টি কার্টনে করে ৩ হাজার ২২৫ কেজি ইলিশ ভারতের ত্রিপুরা রাজ্যের আগরতলা রফতানি করা হয়েছে।
আখাউড়া স্থলবন্দরের রাজস্ব কর্মকর্তা তরিকুল ইসলাম বলেন, ৩০ অক্টোবর পর্যন্ত ইলিশ রপ্তানির সুযোগ রয়েছে। এ সময়ের মধ্যেই ব্যবসায়ীরা নিয়ম মেনে ভারতে ইলিশ রপ্তানি করতে পারবেন।
দুর্গোৎসব উপলক্ষে ভারতে ৩ হাজার ৯৫০ মেট্রিক টন ইলিশ রপ্তানির অনুমতি দিয়েছে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়। দেশের ৭৯টি প্রতিষ্ঠান এই অনুমতি পেয়েছে। প্রতিষ্ঠানগুলো ৫০ মেট্রিক টন করে ইলিশ রপ্তানি করতে পারবে। আগামী ৩০ অক্টোবর পর্যন্ত এ অনুমতি কার্যকর থাকবে।
চলারপথে রিপোর্ট :
আখাউড়ায় বিপুল পরিমাণ ভারতীয় স্কাফ সিরাপসহ আঁখি আক্তার নামে এক নারীকে আটক করেছে আখাউড়া থানা পুলিশ। তবে আঁখি আক্তার মাদক ব্যবসার সাথে সম্পৃক্ত না থাকলেও মাদক ব্যবসায়ীর গচ্ছিত রাখা স্কাফ সিরাপ তার গোসলখানায় পাওয়ায় আঁখি আক্তারকে আটক করা হয়। এসময় তার গোসলখানায় থাকা ১০০ বোতল ভারতীয় স্কাফ সিরাপ উদ্ধার করে পুলিশ। গতকাল রবিবার সন্ধ্যায় উপজেলার উত্তর ইউনিয়নের ভারত সীমান্ত সংলগ্ন আনোয়ারপুর গ্রামের আঁখি আক্তারের বাড়িতে অভিযান চালিয়ে তাকে গ্রেফতার করে পুলিশ। গ্রেফতারকৃত আঁখি আক্তার ওই গ্রামের ওমান প্রবাসী সুমনের স্ত্রী।
পুলিশ জানায়, গোপন সংবাদের পুলিশ প্রবাসী সুমনের বাড়িতে অভিযান চালায়। এসময় বাড়ির গোসলঘর থেকে ১০০ বোতল ভারতীয় স্কাফ সিরাপ পাওয়া যায়। পরে স্কাফ সিরাপসহ আঁখি আক্তারকে আটক করা হয়।
আখাউড়া থানার অফিসার ইনচার্জ মো. আসাদুল ইসলাম জানায়, আটককৃত আঁখি আক্তার মূলত মাদক ব্যবসায়ী না। তার বাড়িটি সীমান্ত লাগোয়া হওয়ায় ওপার থেকে আসা মাদকের চালান তার বাড়িতে রেখে সুযোগমত অন্য জায়গায় সরিয়ে নেওয়া হত। বিনিময়ে মাদক ব্যবসায়ীদের কাছ থেকে আঁখি আক্তার টাকা নিতেন। কিছুদিন থেকে এমন একটি খবর আমাদের কাছে ছিল। রবিবার সন্ধ্যায় অভিযান চালিয়ে স্কাফ সিরাপসহ তাকে আটক করি। তার বিরুদ্ধে মাদক নিয়ন্ত্রণ আইনে মামলা দিয়ে সোমবার সকালে আদালতে পাঠানো হয়।