চলারপথে রিপোর্ট :
বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে শহিদ ও আহতদের স্মরণে ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় স্মরণ সভা এবং জুলাই গণঅভ্যুত্থানের ঘটনা প্রবাহ নিয়ে সাংস্কৃতিক কার্যক্রম আজ ২৬ নভেম্বর মঙ্গলবার সকাল ১১টায় অনুষ্ঠিত হয়েছে।
ব্রাহ্মণবাড়িয়া সরকারি কলেজ কর্তৃপক্ষের উদ্যোগে লেকচার থিয়েটার (এল টি) ভবনে এই অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়।
পরিচালনা কমিটির আহ্বায়ক ও কলেজের রাষ্ট্রবিজ্ঞান বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক মোহাম্মদ মোশাররফ হোসাইনের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন অধ্যক্ষ প্রফেসর আবু জাফর মোহাম্মদ আরিফ।
দর্শন বিভাগের সহকারি অধ্যাপক মোঃ নাছির উদ্দিন এর উপস্থাপনায় অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি ছিলেন ব্রাহ্মণবাড়িয়া সরকারি কলেজ শিক্ষক পরিষদ সম্পাদক মোহাম্মদ আবু হানিফ ও বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে উত্তরা আজমপুরে বিস্কুট পানি বিতরণ করতে যেয়ে পুলিশের গুলিতে শহীদ মীর মাহফুজুর রহমান মুগ্ধ’র পিতা মীর মোস্তাফিজুর রহমান বাবুল।
শিক্ষার্থী তাহির আহমেদের কোরআন তিলাওয়াতের মধ্য দিয়ে শুরু হওয়া স্মরণ সভায় বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনকালীন ব্রাহ্মণবাড়িয়া ও রাজধানী ঢাকার সরেজমিন প্রামাণ্য ভিডিও চিত্র প্রদর্শিত হয়।
আলোচনায় অংশ নেন অধ্যাপক মোঃ আবদুল কুদ্দুছ, অধ্যাপক আবদুল কাদির আলম শাহ, অধ্যাপক দিলারা আক্তার খান, সহযোগী অধ্যাপক এ.কে.এম. ওবাইদুল হক, সহযোগী অধ্যাপক মোঃ মাইদুল ইসলাম। ছাত্র আন্দোলনকালীন ঘটনাপ্রবাহ বর্ণনা করেন শিক্ষার্থী নিশাত তাসনিম চৌধুরী, মোঃ আসাদুজ্জামান, শাহ আলম পালোয়ান।
বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনের প্রয়োজনীয়তা গুরুত্ব উল্লেখ করে প্রধান অতিথির বক্তব্যে অধ্যক্ষ প্রফেসর আবু জাফর মোহাম্মদ আরিফ বলেন, চাকুরী ও সমাজসহ সর্বক্ষেত্রে যে বৈষম্য বিরাজ করছে তা যেন দূর হয়ে যায়। আমরা বৈষম্যহীন (মুক্ত) একটা সমাজ চাই। যেখানে সবাই স্বস্তি ও শান্তিতে থাকবে।
বিশেষ অতিথি শহীদ মুগ্ধ’র পিতা মীর মোস্তাফিজুর রহমান বাবুল শিক্ষার্থীদের উদ্দেশ্যে বলেন, শুধু শিক্ষাই জাতির মেরুদন্ড এতে আমি বিশ্বাস করি না। সুশিক্ষাই হলো একটা জাতির মেরুদন্ড। কারও দালালী না করে লেখাপড়া করে মানুষের মতো মানুষ হতে হবে। সুশিক্ষা গ্রহণ করে নীতি নৈতিকতা বজায় রেখে সুনাগরিক হয়ে গড়ে উঠতে হবে। বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে শহীদদের আত্মার মাগফিরাত ও আহতদের দ্রুত সুস্থতা কামনা করে দোয়া মোনাজাত পরিচালনা করেন কলেজ মসজিদের খতিব মাওলানা মোঃ ইয়াহিয়া। পরে কলেজের শিক্ষার্থীরা সাংস্কৃতিক কার্যক্রমে অংশ নেয়।
চলারপথে রিপোর্ট :
নৌপরিবহন প্রতিমন্ত্রী খালিদ মাহমুদ চৌধুরী বলেছেন, কিছু ধর্মান্ধ সাম্প্রদায়িক গোষ্ঠী বার বার আমাদের সংস্কৃতি ও মুক্তিযুদ্ধের চেতনার উপর আঘাত করেছে।
তিনি আজ ১২ এপ্রিল বুধবার সন্ধ্যায় ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা প্রশাসন আয়োজিত জেলার বিশেষ চাহিদা সম্পন্ন শিশু ও তাদের পরিবারে সদস্যদের সাথে ইফতার ও দোয়া মাহফিলে প্রধান অতিথির বক্তব্যে একথা বলেন।
এ সময় তিনি আরো বলেন, ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় ওস্তাদ আলাউদ্দিন খাঁ সঙ্গীতাঙ্গনে সাম্প্রদায়িক হামলার খবরে আমাদের হৃদয় যেন ছিড়ে গিয়েছিল। আমরা পবিত্র মাসে শপথ নিতে চাই, আর কোনো সাম্প্রদায়িক গোষ্ঠী যেন আমাদের স্মৃতি আমাদের গর্ব এবং অহংকারের জায়গাটিতে আর আঘাত করতে না পারে। আমরা ১৯৭২ সালের মুক্তিযুদ্ধের চেতনার বাংলাদেশকে এগিয়ে নিয়ে যেতে চাই।
তিনি বলেন, স্বাধীনতার জন্যে ৩০ লাখ মানুষ প্রাণ দিয়েছে। জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান স্বপরিবারে জীবন দিয়েছেন। অসম্প্রদায়িক বাংলাদেশ ও মানবিক বাংলাদেশ আমরা যেদিন বিনির্মান করতে পারবো সেই দিন এই রক্তের প্রতি শ্রদ্ধা জানাতে পারবো।
ইফতার মাহফিলে অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর আসনের সংসদ সদস্য ও বেসামরিক বিমান ও পর্যটন মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সভাপতি র.আ.ম. উবায়দুল মোকতাদির চৌধুরী। ইফতার মাহফিলে তিনি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এবং বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্য দোয়া চান।
ইফতার ও দোয়া মাহফিলে উপস্থিত ছিলেন জেলা প্রশাসক মোঃ শাহগীর আলম, পুলিশ সুপার মোহাম্মদ শাখাওয়াত হোসেন, জেলা পরিষদের প্রধান নির্বাহী অফিসার মোঃ আমিনুল ইসলাম, সদর উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান ফিরোজুর রহমানসহ প্রায় শতাধিক বিশেষ চাহিদা সম্পন্ন শিশু ও তাদের পরিবারের সদস্য।
চলারপথে রিপোর্ট :
গণহত্যার দায়ে পতিত স্বৈরাচার শেখ হাসিনা ও তার দোসরদের ফাঁসি এবং বাংলাদেশের অভ্যন্তরীণ রাজনীতিতে ভারতীয় ষড়যন্ত্রের প্রতিবাদে আজ ২২ আগস্ট বৃহস্পতিবার কেন্দ্রীয় কর্মসূচির অংশ হিসেবে ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা স্বেচ্ছাসেবক দল আয়োজিত বিক্ষোভ মিছিল ও প্রতিবাদ সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়।
জেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের আহবায়ক দেলোয়ার হোসেন দিলীপের নেতৃত্বে বিক্ষোভ মিছিল শহরের প্রধান প্রধান সড়ক প্রদক্ষিণ শেষে ব্রাহ্মণবাড়িয়া প্রেসক্লাব প্রাঙ্গণে সংক্ষিপ্ত সমাবেশে বক্তব্য রাখেন জেলা বিএনপির সদস্য সচিব সিরাজুল ইসলাম সিরাজ, জেলা বিএনপি সদস্য সাবেক উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান নূরে আলম সিদ্দিকী, জেলা ছাত্রদলের সভাপতি শাহীনুর রহমান, সাধারণ সম্পাদক সমীর চক্রবর্তী, জেলা যুবদলের যুগ্ম সম্পাদক সজিবুর রহমান সজিব, ব্রাহ্মণবাড়িয়া সরকারি কলেজের সাবেক জিএস আরমান উদ্দিন পলাশ, পৌর স্বেচ্ছাসেবক আহবায়ক সজিব, সদস্য সচিব ইয়াছিন বাবু প্রমুখ।
সভা পরিচালনা করেন জেলা স্বেচ্ছাসেবকদলের সিনিয়র যুগ্ম আহবায়ক মোঃ আরমান মিয়া।
চলারপথে রিপোর্ট :
শিক্ষকদের সম্মান ফিরিয়ে আনতে ও বিদ্যালয়ের শিক্ষার সুষ্ঠু পরিবেশের দাবিতে বিক্ষোভ মিছিল ও মানববন্ধন করেছে ব্রাহ্মণবাড়িয়া গভঃ মডেল গার্লস হাই স্কুলের শিক্ষার্থীরা।
আজ ১৭ সেপ্টেম্বর মঙ্গলবার সকালে বিদ্যালয়ের প্রধান ফটকের সামনে বিভিন্ন শ্রেণীর শিক্ষার্থীরা প্লে-কার্ড, ফেস্টুন ও ব্যানার হাতে নিয়ে এই বিক্ষোভ করেন। পরে তারা বিক্ষোভ মিছিল নিয়ে শহরের প্রধান সড়ক প্রদক্ষিণ করে স্থানীয় প্রেসক্লাবের সামনে গিয়ে মানববন্ধন করে।
এসময় শিক্ষার্থীরা অভিযোগ করে বলেন, একটি বিশেষ মহল নিজেদের স্বার্থ হাসিলের উদ্দেশ্যে কিছু সংখ্যক শিক্ষার্থীদের ভুল বুঝিয়ে বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষকসহ অন্যান্য ৬ শিক্ষকদের বিরুদ্ধে নানা অনিয়ম ও দুর্নীতির মিথ্যা অভিযোগ তুলেছে। এর ফলে ৬ শিক্ষককে পাঠদান থেকে বিরত রাখা হয়েছে। এ ধরণের অস্থিরতার কারণে বিদ্যালয়ের অন্যান্য শিক্ষকদের মাঝে পাঠদানে ভীতি কাজ করছে। এতে বিদ্যালয়ের শিক্ষার সার্বিক সুষ্ঠু পরিবেশ বিঘ্নিত হচ্ছে।
শিক্ষার্থীরা আরো বলেন, আন্দোলন ছিল সংস্কারে। কিন্তু তা সেই পর্যায়ে থাকেনি। বরং প্রাইভেট টিউশন, টিফিনের টাকাসহ বিভিন্ন অর্থনৈতিক অনিয়মের মিথ্যাচার করে শিক্ষকদের সম্মানহানি করা হচ্ছে। সেই শিক্ষকদের সম্মান রক্ষার্থে গভঃ মডেল গার্লস হাই স্কুলের শিক্ষার্থীরা মাঠে নেমেছে। তারা বলেন, শিক্ষকদের বিরুদ্ধে যেসব অভিযোগ উঠেছে এর সত্যতা থাকলে প্রশাসন তদন্ত করে দেখবে। তারা দ্রুত বিদ্যালয়ের শিক্ষকদের শ্রেণী কক্ষে ফিরিয়ে আনার দাবীর পাশাপাশি শিক্ষার সুষ্ঠু পরিবেশ নিশ্চিত করতে সংশ্লিষ্ট মহলের প্রতি আহ্বান জানান। পরে বিক্ষুব্ধ শিক্ষার্থীরা জেলা প্রশাসক মোঃ দিদারুল আলমের সাথে তার কার্যালয়ে সাক্ষাৎ করে সার্বিক বিষয়ে কথা বলেন। জেলা প্রশাসক আশ্বাস দেন, দ্রুত সময়ের মধ্যে বিদ্যালয়ের শিক্ষক, শিক্ষার্থী এবং অভিভাবকদের নিয়ে আলোচনা করে বিষয়টি তদন্ত করে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নেবেন। এ সময় শিক্ষার্থীদের ক্লাসে ফিরে যাওয়ার আহ্বান জানান জেলা প্রশাসক মোঃ দিদারুল আলম।
চলারপথে রিপোর্ট :
‘ভবিষ্যতে যারা চাঁদাবাজি করবে, যারা গুম–হত্যার সঙ্গে জড়িত থাকবে, যারা অন্যের জমি দখল করবে, যারা লুটতরাজ চালাবে, যারা সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের ওপর আঘাত করবে, তাদেরও কিন্তু এই আওয়ামী লীগ সরকারের মতো বিদায় হতে হবে। এমন কাজ করবেন না, যাতে ভবিষ্যতে এমনভাবে আমাদেরও বিদায় হতে হয়।’
৩০ আগস্ট শুক্রবার দুপুরে পৌর শহরের মেড্ডা সিও অফিস হল রুমে ১ নম্বর ওয়ার্ড বিএনপি ও অঙ্গ সংগঠনের উদ্যোগে অনুষ্ঠিত দোয়া মাহফিলে বিএনপির কেন্দ্রীয় অর্থনৈতিক বিষয়ক সম্পাদক ও ব্রাহ্মণবাড়িয়ার নেতা ইঞ্জিনিয়ার খালেদ হোসেন মাহবুব শ্যামল বলেন, ভবিষ্যতে যারা চাঁদাবাজি করবে, যারা খুন-হত্যার সঙ্গে জড়িত থাকবে, যারা অন্যের জমি দখল করবে তাদেরকে আওয়ামী লীগ সরকারের মতো বিদায় হতে হবে। আজকে এই শোক সভার মাধ্যমে আমাদের নেতাকর্মীদের সর্তক করে দিতে চাই। যে আওয়ামী লীগ ১৭ বছর ক্ষমতায় ছিল তাদের কিন্তু এসব ভুলের জন্য বিদায় নিতে হয়েছে। সে ভুল পুনরায় করে আমাদেরকে যেন তাদের মতো বিদায় না হয়।
এসময় উপস্থিত ছিলেন- জেলা বিএনপির সাবেক সভাপতি হাফিজুর রহমান মোল্লা কচি, জেলা বিএনপির সাবেক সাধারণ সম্পাদক জহিরুল হক খোকন, অ্যাডভোকেট সফিকুল ইসলাম, অ্যাডভোকেট গোলাম সারওয়ার খোকন, অ্যাডভোকেট তারিকুল ইসলাম খান রুমা, এবি এম মমিনুল হক, জসিম উদ্দিন রিপন, আলী আজম, মাইনুল ইসলাম চপল, নজরুল ইসলাম, মাইনুল ইসলাম, নিয়ামুল হক, অ্যাডভোকেট সামসুজ্জামান চৌধুরী কানন, জামাল হোসেন কাউন্সিলর। পৌর বিএনপির সভাপতি নজির উদ্দিন আহমেদ, সাধারণ সম্পাদক, মিজানুর রহমান, ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর উপজেলা বিএনপি আহবায়ক জহিরুল ইসলাম চৌধুরী, সদস্য সচিব আলমগীর হোসেন, জেলা যুবদলের সভাপতি শামীম মোল্লা, সাধারণ সম্পাদক ইয়াছিন মাহমুদ, যুবদল নেতা জসীম উদ্দিন, রাশেদুল হক, জালাল উদ্দিন, জিয়াউল, ছাত্রদল নেতা, সাঈদ হাসান সানি, ফুজায়েল, হৃদয়, সানি।
জেলা শ্রমিক দলের সভাপতি হেফজুলবারী, জেলা বিএনপির ও যুবদল, শ্রমিক, ছাত্রদল, মহিলাদল, স্বেচ্ছাসেবক দলের নেতারা।
চলারপথে রিপোর্ট :
ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় ডিপ্লোমা ইন নার্সিং সায়েন্স এন্ড মিডওয়াইফারি এবং ডিপ্লোমা ইন মিডওয়াইফারি কোর্সকে স্নাতক সমমান ডিগ্রী (পাস কোর্স) করার দাবিতে বিক্ষোভ সমাবেশ ও অবস্থান কর্মসূচি পালিত হয়েছে। আজ ৩ মে শনিবার দুপুরে ব্রাহ্মণবাড়িয়া প্রেসক্লাবের সামনে এই কর্মসূচি পালিত হয়। দুপুরে নার্সিং শিক্ষার্থীরা “এইচএসসির পর ডিপ্লোমা নাই, ডিপ্লোমাকে ডিগ্রি (সম্মান) সমমান চাই” শ্লোগানে ব্রাহ্মণবাড়িয়া নাসিং ইনস্টিটিউটের সামনে জড়ো হন।
জেলা ডিপ্লোমা নার্সিং ও মিডওয়াইফারি ডিগ্রি বাস্তবায়ন কমিটির উদ্যোগে সেখান থেকে তারা একটি বিক্ষোভ মিছিল বের করেন। মিছিলটি জেনারেল হাসপাতাল ব্রাহ্মণবাড়িয়ার প্রধান ফটকের সামনে কিছুক্ষণ দাঁড়িয়ে অবস্থান নেন। পরে ব্রাহ্মণবাড়িয়া প্রেসক্লাবের সামনে গিয়ে বিক্ষোভ সমাবেশ ও অবস্থান কর্মসূচি পালন করেন।
বক্তারা জানান, এইচএসসি পাসের পর তিন বছর মেয়াদি ডিপ্লোমা কোর্স সম্পন্ন করে ছয় মাসের ইন্টার্নশিপও শেষ করেছেন তারা। শিক্ষার মান, কঠিন সিলেবাস ও মূল্যায়ন প্রক্রিয়া অনুসরণ করা সত্ত্বেও এই কোর্সকে এখনও এইচএসসি সমমান ধরা হচ্ছে—যা অবিচার।
দ্বিতীয় বর্ষের শিক্ষার্থী রিমা আক্তার বলেন, ‘চার বছর ধরে কঠোর পরিশ্রম করে আমরা যেখানে পৌঁছেছি, সেখানে আবার আমাদেরকে এইচএসসি সমমান বলা হচ্ছে। এটা আমাদের সঙ্গে চরম বৈষম্য।’
তৃতীয় বর্ষের শিক্ষার্থী হাফিজা সুলতানা বলেন, ‘যেখানে উচ্চশিক্ষার বিকল্প নেই বলা হচ্ছে, সেখানে আমাদের শিক্ষাকে কেন মূল্যায়ন করা হচ্ছে না?’
আন্দোলনে সংহতি প্রকাশ করে গণঅধিকার পরিষদের ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা শাখার সভাপতি আশরাফুল হাসান তপু বলেন, ‘এই বৈষম্য আর চলতে দেওয়া যাবে না। আমরা প্রধান উপদেষ্টা ড. ইউনূসের কাছে দ্রুত সমস্যার সমাধান দাবি করছি।’
এ সময় নাসিং ইনস্টিটিউটের অন্তত শতাধিক শিক্ষার্থী উপস্থিত ছিলেন।