অনলাইন ডেস্ক :
বৈষম্যবিরোধী আন্দোলন কেন্দ্রিক রাজধানীর পৃথক থানার মামলায় সাবেক আইনমন্ত্রী অ্যাড. আনিসুল হক, সাবেক খাদ্যমন্ত্রী অ্যাড. কামরুল ইসলাম, সাবেক এমপি সোলাইমান সেলিমের বিভিন্ন মেয়াদে রিমান্ড মঞ্জুর করেছেন আদালত।
আজ ২৭ নভেম্বর বুধবার তাদেরকে আদালতে হাজির করে পুলিশ। এরপর মামলার তদন্ত কর্মকর্তারা তাদের রিমান্ড চেয়ে আবেদন করেন। শুনানি শেষে ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট বেলাল হোসেনের আদালত তাদের রিমান্ড মঞ্জুর করে আদেশ দেন।
এর মধ্যে যাত্রাবাড়ী থানার হত্যা মামলায় আনিসুল হককে ৩ দিন, লালবাগ থানার মামলায় কামরুল ইসলামকে ৩ দিন, চকবাজার ও লালবাগ থানার দুই মামলায় সোলাইমান সেলিমকে ৭ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করা হয়। এছাড়া যাত্রাবাড়ী থানার মামলায় সাবেক সংসদ সদস্য আ স ম ফিরোজের ২ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন আদালত।
বিভিন্ন থানার মামলায়, সাবেক মন্ত্রী দীপু মনি, আনিসুল হক, সাবেক প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক, সাবেক প্রধানমন্ত্রীর বাণিজ্য উপদেষ্টা ও সাবেক সংসদ সদস্য সালমান এফ রহমান, সাবেক আইজিপি চৌধুরী আব্দুল্লাহ আল মামুন, আমির হোসেন আমু, হাসানুল হক ইনু, রাশেদ খান মেনন, সোলাইমান সেলিম, সাদেক খান, এবিএম ফজলে করিম, মনিরুল ইসলাম, আ স ম ফিরোজ, মশিউর রহমান এবং শাহরিয়ার কবিরকে নতুন করে গ্রেফতার দেখানো হয়েছে।
অনলাইন ডেস্ক :
ফুচকা খাওয়ার কথা বলে মায়ের কাছ থেকে ৩০ টাকা নিয়ে একটি বাঁশি কিনে দুই দিন ধরে নিজের স্কুলের সামনের সড়কে ট্রাফিকের দায়িত্ব পালন করছে ৭ বছরের শিশু আরাফ মাহিন। ট্রাফিক পুলিশের অবর্তমানে সড়কে যাতে কোনো বিশৃঙ্খলা না হয় সেজন্য বাগেরহাট শহরের পুলিশ লাইন স্কুলের প্রথম শ্রেণির শিক্ষার্থী আরাফের এই প্রচেষ্টা।
৯ আগস্ট বৃহস্পতিবার সকালে শহরের পুরাতন পুলিশ লাইন্সের সামনে গিয়ে দেখা যায়, হাতে বাঁশি নিয়ে রিকশা, মোটরসাইকেল ও ইজিবাইকক চালকদের সুশৃঙ্খলভাবে সড়কে চলাচলের আহ্বান করছেন আরাফ। আরাফের হাতে থাকা একটি দিকনির্দেশক লাঠি দিয়ে তিনি যানবাহনগুলোকে সারিবদ্ধ ভাবে যাওয়ার জন্য নির্দেশ দিচ্ছেন। সড়কের চলাচলরত যানবাহনগুলো তার নির্দেশ পালন করছেন। আরাফের এমন উদ্যোগে খুশি হয়েছেন তার মা লাইলি আঞ্জুমানসহ পথচারীরা।
আরাফের মা লাইলি আঞ্জুমান বলেন, আরাফের উদ্যোগে আমি খুব খুশি হয়েছি। ফুচকা খাওয়ার জন্য ৩০ টাকা নিয়েছিল, পরে জানলাম সে বাঁশি কিনে ট্রাফিকের দায়িত্ব পালন করছে। ওকে যখন নিতে আসছি তখন আমাকে বলে, আম্মু আমাকে একটা ঘণ্টা ট্রাফিকের দায়িত্ব পালন করতে দাও, চার ঘণ্টা বই পড়বো। ওর কথার পরে আর বাড়ি ফেরানোর চেষ্টা করিনি। বৃহস্পতিবার থেকে ও কাজ করছে, আমি দূর থেকে ওর সঙ্গে আছি। আরাফকে সব ধরনের সহযোগিতা করে যাচ্ছি আমি।
প্রথম শ্রেণির শিক্ষার্থী আরাফ বলে, এই জায়গায় সব সময় পুলিশ আঙ্কেলরা ট্রাফিকের দায়িত্ব পালন করতেন। কিন্তু কয়েকদিন পুলিশরা দায়িত্ব পালন করছেন না। তাই মাঝে মাঝেই বিশৃঙ্খলা হচ্ছে। এজন্য শৃঙ্খলা ফেরাতে আমি নিজে ট্রাফিকের দায়িত্ব পালন করছি। অটো ও রিকশা চালক আঙ্কেলরাও আমার কথা শুনছেন, খুবই ভাল লাগছে। এছাড়া বড় শিক্ষার্থীদের সঙ্গে সড়কের ময়লা পরিস্কার করতেও দেখা যায় শিশু আরাফকে।
শিশু আরাফ বাগেরহাট শহরের সরুই এলাকার ইমরুল হাসানের ছেলে। সে শহরের পুলিশ লাইন্স স্কুলে প্রথম শ্রেণির শিক্ষার্থী।
এদিকে মঙ্গলবার সকাল থেকে বাগেরহাট শহরের কেন্দ্রীয় বাসস্ট্যান্ড, ট্রাফিক মোড়, দশানী, সাধনার মোড়, শালতলা ও ২৫০ শয্যা জেলা হাসপাতালের সামনে সাধারণ শিক্ষার্থীদের পাশাপাশি বিএনসিসি সরকারি পিসি কলেজ ও সরকারি মহিলা কলেজ ইউনিটের সদস্য, ইসলামী ছাত্র আন্দোলনসহ বিভিন্ন ছাত্র সংগঠনের কর্মীরা ট্রাফিকের দায়িত্ব পালন করেন।
অনলাইন ডেস্ক :
যুক্তরাজ্যের ইউনিভার্সিটি অব ব্রিস্টল এ উচ্চশিক্ষার জন্য প্রধানমন্ত্রী ফেলোশিপ (পিএমএফ) ২০২৩-২৪ পেয়েছেন নোয়াখালী সদর উপজেলা নির্বাহী অফিসার (ইউএনও) নিজাম উদ্দিন আহমেদ। রবিবার প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা তাঁর কার্যালয়ের শাপলা হলে মাস্টার্স ও পিএইচডি করার জন্য চুড়ান্তভাবে নির্বাচিত কর্মকর্তাদের এ ফেলোশিপ প্রদান করেন।
এসময় প্রধানমন্ত্রী ফেলোশিপের জন্য চুড়ান্তভাবে নির্বাচিত কর্মকর্তাদের হাতে সনদপত্র তুলে দেন। অনুষ্ঠানে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের প্রতিমন্ত্রী ফরহাদ হোসেন, প্রধানমন্ত্রীর মুখ্য সচিব মো. তোফাজ্জল হোসেন মিয়া ও জিআইইউর মহাপরিচালক অধ্যাপক মো. আবদুল লতিফ উপস্থিত ছিলেন।
উল্লেখ্য, বিশ্বের স্বনামধন্য বিশ্ববিদ্যালয়ে উচ্চশিক্ষার জন্য বিভিন্ন খাতের ৪৮ জন স্কলার প্রধানমন্ত্রী ফেলোশিপ (পিএমএফ) ২০২৩-২৪ পেয়েছেন। তাঁদের মধ্যে ৩৮ জন মাস্টার্স ফেলো এবং ১০ জন পিএইচডি ফেলো যুক্তরাষ্ট্র, যুক্তরাজ্য, অস্ট্রেলিয়া, কানাডাসহ বিশ্বের শীর্ষস্থানীয় বিশ্ববিদ্যালয়গুলোয় উচ্চশিক্ষার জন্য বৃত্তি পেয়েছেন। সিভিল সার্ভিস, শিক্ষাবিদ এবং দেশের যোগ্য নাগরিকদের জ্ঞান ও সক্ষমতা বৃদ্ধির জন্য ২০১৮ সালে প্রধানমন্ত্রী ফেলোশিপ চালু করা হয়। বিশ্বমানের বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়ার জন্য এখন পর্যন্ত ২৭৭ জন মাস্টার্স এবং ১০৮ জন পিএইচডি ফেলোকে এই বৃত্তি দেওয়া হয়েছে।
এই বৃত্তি পেতে হলে প্রত্যেক আবেদনকারীকে আগে নিজ যোগ্যতায় বিশ্বের ১০০ র্যাঙ্কিংয়ের মধ্যে থাকা যেকোনো একটি বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি নিশ্চিত করতে হয়। ভর্তি নিশ্চিত হওয়ার পর প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের গভর্ন্যান্স ইনোভেশন ইউনিটের (জিআইইউ) আওতায় এই বৃত্তির জন্য আবেদন করতে হয়। জিআইইউকে পিএমএফ ব্যবস্থাপনার দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে।
সরকারি কর্মকর্তা বিসিএস ও বিসিএস নয় এবং বেসরকারি প্রার্থী-এই তিন ভাগে বৃত্তি প্রদান করা হচ্ছে। প্রধানমন্ত্রীর বৃত্তি পাওয়া এসব ফেলো যুক্তরাষ্ট্র, যুক্তরাজ্য, অস্ট্রেলিয়া, কানাডাসহ বিভিন্ন দেশের বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়াশোনা করছেন।
প্রধানমন্ত্রী ফেলোশিপ পাওয়া নোয়াখালী সদর উপজেলা নির্বাহী অফিসার (ইউএনও) নিজাম উদ্দিন আহমেদ প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন। তিনি বলেন, ‘আমি সবার কাছে দোয়া চাই। উচ্চশিক্ষার গ্রহণের পর দেশে ফিরে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধুর স্বপ্নের সোনার বাংলা গড়ার কাজে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী দেশরত্ন শেখ হাসিনার নির্দেশনা বাস্তবায়নে অতীতের ন্যায় সততা ও নিষ্ঠার সাথে কাজে করে যাবো।’
চলারপথে ডেস্ক :
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, তাঁর সরকারের অধীনে জনগণের ভোটের অধিকার ও গণতন্ত্র সমুন্নত রেখে পরবর্তী জাতীয় নির্বাচন অবাধ ও সুষ্ঠু হবে। কাতারের দোহায় র্যাফেলস হোটেলে কাতার ইকনোমিক ফোরাম (কিউইএফ) আয়োজিত ‘ইন কনভারসেশন উইথ প্রাইম মিনিস্টার শেখ হাসিনা’ শীর্ষক অনুষ্ঠানে তিনি একথা বলেন।
কিউইএফ’র এডিটর অ্যাট-লার্জ হাসলিন্ডা আমিনের উপস্থাপনায় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন, ‘অতএব, আমাদের সরকারের অধীনে নির্বাচন অবশ্যই অবাধ ও সুষ্ঠু হবে।’
শেখ হাসিনা বলেন, ‘সুতরাং আমি এখানে এসেছি আমাদের জনগণের ভোটাধিকার নিশ্চিত করতে? জনগণই ঠিক করবে কে দেশ চালাবে। এটা জনগণের ক্ষমতা। তাই আমি জনগণের ক্ষমতা নিশ্চিত করতে চাই।’
শেখ হাসিনা আরো বলেন, ‘আমি এখানে ক্ষমতা দখল না করার জন্য এসেছি, বরং আমি জনগণকে তাদের অধিকার দিতে চাই যাতে তারা তাদের সরকার বেছে নিতে পারে।’
কিছু দলের নির্বাচনে অংশ নিতে অনিচ্ছুক হওয়ার কথা উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, তারা কীভাবে অংশগ্রহণ করতে পারে কারণ তাদের সময় দেশ অনেক ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছিল। আমাদের জনগণ ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছিল এবং সে সময় (বিএনপির শাসনামলে) সন্ত্রাস, দুর্নীতি, স্বজনপ্রীতি ও শোষণ ছিল সর্বত্র। তারা কখনই মানুষকে গোনায় ধরত না।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন, ‘আমাদের জনগণের জন্য একদিনে একবেলা খাবার পাওয়া খুবই কঠিন ছিল। এটাই ছিল তাদের অবস্থা।’
আওয়ামী লীগের সভানেত্রী শেখ হাসিনা বলেন, তার দল যখন আবার ক্ষমতায় আসে, তারা জনগণের জন্য সবকিছু নিশ্চিত করেছে। তাই, এখন নির্বাচন, এটা জনগণের অধিকার। এখন, মানুষ বুঝতে পারে। তারা যদি আমাদের ভোট দেয়, আমি এখানে থাকব।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘আমেরিকার প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের কথা চিন্তা করুন, জনাব ট্রাম্প এখনও ফলাফল মেনে নেননি। তারা এখন কী বলতে পারেন?’
প্রধানমন্ত্রী আরো বলেন, যারাই (পর্যবেক্ষক) পাঠাতে চায়, তিনি এরই মধ্যে সবাইকে বলেছেন, – ‘যদি তারা পর্যবেক্ষক পাঠাতে চায় তবে তারা পাঠাতে পারে। সুতরাং, আমি আপনাকে বলতে পারি যে আমি এখানে আমার জনগণের গণতান্ত্রিক অধিকার, ভোটের অধিকার নিশ্চিত করতে এসেছি এবং এটি আমাদের সংগ্রাম।’
প্রধানমন্ত্রী বিএনপির নাম উল্লেখ না করে হাসলিন্দা আমিনকে তাঁর প্রশ্নের জবাবে বলেন, ‘দলটি একজন সামরিক শাসক দ্বারা গঠিত হয়েছে। ওই দল বা যুদ্ধাপরাধী দল বা আমাদের বাবা-মায়ের খুনিরা হয়তো স্বাচ্ছন্দ্য বোধ করবে না। কিন্তু, অন্যরা, আরও অনেক দল আছে এবং তারা নির্বাচনে অংশ নেবে। সুতরাং, আমি বুঝতে পারছি না কেন বারবার এই প্রশ্ন করা হচ্ছে?’
শেখ হাসিনা বলেন, ‘১৯৭৫ সালে যখন তাঁর বাবাকে হত্যা করা হয়-তখন সামরিক স্বৈরশাসক সমস্ত ক্ষমতা কেড়ে নিয়েছিল। তখন তারা সমস্ত নির্বাচনী প্রক্রিয়াকে ঝুঁকিপূর্ণ করে ফেলে। ১৯৮১ সালে তার দল-বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ তাঁকে তাঁর অনুপস্থিতিতে দলের সভাপতি নির্বাচিত করে এবং এরপর থেকে আমরা গণতন্ত্রের জন্য, জনগণের ভোটাধিকারের জন্য সংগ্রাম শুরু করি-যার অর্থ তাদের প্রাপ্তবয়স্ক ভোটাধিকার প্রয়োগের অধিকার থাকা উচিত।’
আইএমএফ ঋণ সংক্রান্ত অপর এক প্রশ্নের জবাবে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘বাংলাদেশের অর্থনীতি সুন্দরভাবেই এগিয়ে যাচ্ছে। এটা এমন নয় যে-আমাদের অর্থনীতি সংকটে আছে। এই ঋণ কেবল আমাদের অর্থনীতিকে সুরক্ষিত করবে। আইএমএফ শুধু সেই দেশকে ঋণ দেয়, যারা তাদের ঋণ পরিশোধ করতে পারে। তারা (আইএমএফ) প্রথমে মনে করেছিল যে তারা যাদের ঋণ দিচ্ছে, তারা তা ফেরত দিতে পারবে কি না। বাংলাদেশ এমন একটি অবস্থানে রয়েছে যে ঋণ পরিশোধ করতে পারবে।’
জ্বালানি ও বিদ্যুতের মূল্যবৃদ্ধির বিষয়ে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘মূল্যবৃদ্ধির প্রভাব শুধু বাংলাদেশ নয়, সব দেশেই পড়ছে। আমরা আমাদের অগ্রগতি অব্যাহত রাখতে নবায়নযোগ্য শক্তি, সৌর বিদ্যুৎ ও অন্যান্য বিকল্প খুঁজছি।’
হাসলিন্দা আমিন বলেন, ‘ভারতের মতো দেশ রাশিয়ার কাছে অনেক কম দামে তেল চাইছে।’ তিনি প্রশ্ন করেন, রাশিয়া সম্ভাব্য সরবরাহকারী কিনা?
জবাবে শেখ হাসিনা বলেন, ‘রাশিয়া থেকে আমরা কখনোই তেল কিনিনি। যেখানেই তেল পাওয়া যাবে, নিশ্চিতভাবেই আমরা তা নেব, কেন নয়?’
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন, ‘আমাদের পররাষ্ট্রনীতি খুবই পরিষ্কার। আমি শুধু দর্শকদের বলতে চাই, বাংলাদেশ অনুসরণ করে-সবার সঙ্গে বন্ধুত্ব, কারও সঙ্গে বৈরিতা নয়। আরেকটি বিষয় আমার উল্লেখ করা উচিত যে-দেশে দেশে বিরোধ থাকতে পারে, কিন্তু আমরা কখনই এতে হস্তক্ষেপ করিনি। আমরা কখনই পক্ষপাতমূলক ভূমিকা পালন করব না। আমাদের দেশের উন্নয়ন করতে হবে। আমাদের জনগণের চাহিদা পূরণ করতে হবে। আমাদের দেশের উন্নয়ন করতে হবে- যাতে আমাদের দেশের মানুষ উন্নত জীবন পায়।’
অনলাইন ডেস্ক :
জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ২০০টি ভাষণ সংবলিত ‘ভায়েরা আমার’ শিরোনামে একটি বইয়ের মোড়ক উন্মোচন করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
আজ ১২ জুন সোমবার প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে অনুষ্ঠিত মন্ত্রিপরিষদের বৈঠকের শুরুতেই বইটির মোড়ক উন্মোচন করেন তিনি। ‘ভাইয়েরা আমার’ নামটি প্রধানমন্ত্রীর নিজের দেওয়া। এ ছাড়া বইটির ভূমিকাও লিখেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। ভাষণসমগ্রটির সংগ্রহ, সংকলন ও সম্পাদনা করেন প্রধানমন্ত্রীর স্পিচ রাইটার নজরুল ইসলাম। বইটি প্রকাশ করে জিনিয়াস পাবলিকেশন।
জাতির পিতার এই ভাষণসমগ্রের প্রধান বৈশিষ্ট্য হলো এতে এখন পর্যন্ত পাওয়া সকল ভাষণ অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে। বইটির দুইশ’ ভাষণের মধ্যে বাংলাদেশ বেতারের আর্কাইভস থেকে প্রাপ্ত টেপ/সিডি হতে একশ’র বেশি ভাষণ সংগ্রহ করা হয়; যা শ্রুতিলিখনের মাধ্যমে বইটিতে সংযোজন করা হয়েছে। প্রতিটি ভাষণের যথার্থতা ও নির্ভরযোগ্যতা যথাযথভাবে যাচাই করা হয়েছে। বইটিতে প্রতিটি ভাষণের গুরুত্বপূর্ণ অংশ হাইলাইট করে আলাদাভাবে প্রদর্শন করা হয়েছে। এছাড়া সূচিতে ভাষণের বিষয়বস্তু, সাল ও তারিখ উল্লেখ করা হয়েছে।
জাতির পিতার ভাষণ শুধু বাংলাদেশেই নয় সমগ্র বিশ্বে এক অমূল্য দলিল। ভাষণসমগ্রটির ভূমিকাতে প্রধানমন্ত্রী উল্লেখ করেন, ‘নতুন প্রজন্ম, বিশেষ করে আওয়ামী লীগের নেতাকর্মী এবং সমর্থকদের বঙ্গবন্ধুর ভাষণ শুধু পড়া নয়, সেগুলোর মর্মার্থ অনুধাবন করে নিজ নিজ জীবনে অনুশীলন করতে হবে।’ প্রধানমন্ত্রী আরও উল্লেখ করেন, ‘জাতির পিতা সোনার বাংলা গড়তে সোনার মানুষ চেয়েছিলেন। এই সোনার মানুষ হতে হলে জাতির পিতার আদর্শ ও জীবনাচরণ চর্চা করা অত্যাবশ্যক।’
ভাষণসমগ্রটি রাজনীতিবিদ, শিক্ষক, গবেষক, শিক্ষার্থী, ও আগামী প্রজন্মের জন্য একটি বিশেষ গুরুত্বপূর্ণ দলিল হিসেবে বিবেচিত হবে মর্মে মন্তব্য করেন এর সম্পাদক নজরুল ইসলাম।
অনলাইন ডেস্ক :
কোটা সংস্কার আন্দোলনকে কেন্দ্র করে দেশব্যাপী সহিংসতা শুরু হলে পরিষেবা স্থগিত করে বাংলাদেশ রেলওয়ে।
এর এক সপ্তাহ পরে আগামীকাল ২৫ জুলাই বৃহস্পতিবার থেকে অতি সীমিত পরিসরে যাত্রীবাহী ট্রেন চলাচল শুরু হবে।
আজ বুধবার এ তথ্য জানিয়েছেন রেলপথ মন্ত্রণালয়ের সচিব হুমায়ুন কবির।
আগামীকাল ২৫ জুলাই বৃহস্পতিবার সীমিত পরিসরে চলবে যাত্রীবাহী ট্রেন। সংঘাত পরবর্তী সময়ে স্বল্প দূরত্বে চলাচলকারী কমিউটার ট্রেন দিয়ে চালু হচ্ছে রেলপথ। কারফিউ শিথিল থাকা সময়ে এসব ট্রেন চলাচল করবে বলে জানিয়েছে রেলওয়ে কর্তৃপক্ষ।
কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, পাঁচ ঘণ্টা শিথিল সময়ের মধ্যে আন্তঃনগর ট্রেন চালানো সম্ভব নয়। ফলে আপাতত কমিউটার ট্রেন চলবে। আগামী শুক্রবার থেকে কিছু আন্তঃনগর ট্রেন চালানোর প্রস্তুতি রয়েছে।
রেলওয়ে সূত্র জানিয়েছে, আগামীকাল ২৫ জুলাই বৃহস্পতিবার ঢাকা-নারায়ণগঞ্জ, ঢাকা-গাজীপুর এবং ঢাকা-টাঙ্গাইল পথের কমিউটার ট্রেনগুলো চলাচল করবে। তবে সময় পাঁচ ঘণ্টা। এ সময়ের মধ্যে দুই থেকে তিনবার যাতায়াত (ট্রিপ) করতে পারবে। দূরবর্তী যাত্রার মধ্যে ঢাকা-ব্রাহ্মণবাড়িয়ার মধ্যে চলাচল করবে তিতাস কমিউটার ট্রেন। স্বাভাবিক সময়ে তিতাস ট্রেন দিনে চারবার আসা-যাওয়া করে। কাল সকাল সোয়া ১০টায় যাবে। দুপুর ১টা ৫ মিনিটে ফিরতি যাত্রা শুরু করবে। প্রসঙ্গত, রেলে সাধারণত একটা ট্রেন কোনো গন্তব্যে গেলে সেটি ফিরে আসার পর এক ট্রিপ ধরা হয়।
রেলের পশ্চিমাঞ্চলে (রাজশাহী, রংপুর ও খুলনা বিভাগ) দুটি পথে ট্রেন চলাচল করতে পারে বলে জানিয়েছে রেলওয়ে সূত্র। এর মধ্যে রাজশাহী-চাঁপাইনবাবগঞ্জ এবং লালমনিরহাট-বুড়িমারী পর্যন্ত চলাচল করবে কমিউটার ট্রেন। এর বাইরে মালবাহী ট্রেন আজও কিছু চলাচল করেছে। আর তেলবাহী ট্রেন গতকাল ২৩ জুলাই মঙ্গলবার থেকেই চলাচল করছে। ভারত থেকে পাথরবাহী দুটি মালবাহী ট্রেন আজ চলাচল করেছে। আর বিদ্যুৎ কেন্দ্রে জ্বালানি সরবরাহের লক্ষ্যে চলছে তেলবাহী ট্রেন।