চলারপথে রিপোর্ট :
ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় সরকারি মডেল গার্লস হাই স্কুলের ৬য়তলা বিশিষ্ট নতুন একাডেমিক ভবনের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করা হয়েছে। আজ ২৮ নভেম্বর বৃহস্পতিবার সকালে জেলা প্রশাসক দিদারুল আলম এ ভিত্তিপ্রস্তরের উদ্বোধন করেন। নির্বাচিত সরকারি মাধ্যমিক বিদ্যালয় সমূহের উন্নয়ন প্রকল্পের আওতায় ৯কোটি ৫০লক্ষ টাকা ব্যয়ে ৬তলা বিশিষ্ট বিদ্যালয়ের এ নতুন ভবণটি নির্মিত হবে।
স্কুলের সিনিয়র শিক্ষক গিয়াস উদ্দিন মৃধার সঞ্চালনায় অন্যান্যের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (শিক্ষা ও আইসিটি) মাহমুদা আক্তার, শিক্ষা প্রকৌশল অধিদপ্তরের নির্বাহী প্রকৌশলী কামরুল ইসলাম, জেলা শিক্ষা অফিসার জুলফিকার হোসাইন, জেলা বিএনপির সদস্য সচিব সিরাজুল ইসলাম, জেলা জামায়াতের সাধারন সম্পাদক মোবারক হোসেন, ব্রাহ্মণবাড়িয়া প্রেসক্লাবের সভাপতি জাবেদ রহিম বিজন, বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক আব্দুল লতিফ, অন্নদা সরকারী উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক জাকির হোসাইন, সাবেরা সোবহান উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মোঃ বদিউজ্জামান প্রমুখ।
এসময় বক্তারা বলেন, অন্তর্বর্তীকালীন সরকার বর্তমানে নতুন ভাবে শিক্ষার ব্যবস্থার যুগোপযোগী করে তোলার পাশাপাশি উন্নয়নে ব্যাপক ভূমিকা পালন করে যাচ্ছে।
চলারপথে রিপোর্ট :
বিপুল উৎসাহ উদ্দীপনা ও জমকালো আয়োজনের মধ্য দিয়ে ব্রাহ্মণবাড়িয়ার স্থানীয় এবং বাংলাদেশের বিভিন্ন জেলার প্রায় দুই শতাধিক কবি সাহিত্যিকদের আনন্দঘন অংশহগ্রহনের মাধ্যমে ২৯ জুন শনিবার ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় দিনব্যাপী বর্ষামঙ্গল কবিতা উৎসব অনুষ্ঠিত হয়েছে। অদ্বৈতমল্লবর্মণ স্মৃতি গ্রন্থাগার ও গবেষণা কেন্দ্র ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর উপজেলা পরিষদ মিলনায়তনে এই মহাযজ্ঞের আয়োজন করেন। কয়েকটি পর্বে বিভক্ত এই কবিতা উৎসবে ছিলো উদ্বোধনী আলোচনা। কবিকণ্ঠে কবিতা পাঠ, আবৃত্তি গান ও সম্মাননা প্রদান।
সকাল ১০টায় অনুষ্ঠানের উদ্বোধন করেন ব্রাহ্মণবাড়িয়া পৌরসভার মেয়র মিসেস নায়ার কবির। এসময় তিনি এই ধরণের অনুষ্ঠানের মাধ্যমে ব্রাহ্মণবাড়িয়ার সাহিত্যের সুনাম সারাদেশে ছড়িয়ে দেবার জন্য ব্রাহ্মণবাড়িয়া পৌরসভার প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা কবি ও গীতিকার মো. আ. কুদদূস এর ভূয়সী প্রশংসা করেন এবং তাঁর সকল ভালো কাজে পাশে থাকার আশাবাদ ব্যক্ত করেন।
সূচনা পর্বে প্রধান অতিথির বক্তব্য রাখেন সাবেক সচিব কবি আসাদ মান্নান। এ পর্বে সভাপতিত্ব করেন অনুষ্ঠানের আহবায়ক সাবেক যুগ্ম সচিব কবি শাহ মোহাম্মদ সানাউল হক। স্বাগত বক্তব্য প্রদান করেন কবি জয়দুল হোসেন ও কবি মো. আ. কুদদূস। মো. মনির হোসেন এর সঞ্চালনায় এ পর্বে শুভেচ্ছা বক্তব্য প্রদান করেন, অনুষ্ঠানের আহবায়ক কমিটির সমস্য সচিব কবি আব্দুর রহিম, উপাধ্যক্ষ একেএম শিবলী।
এর আগে জাতীয় সঙ্গীতের মাধ্যমে অনুষ্ঠানের শুরু হয়। জাতীয় সঙ্গীত পরিবেশন করেন তিতাস আবৃত্তি সংগঠণ ও আনন্দলোক সাংস্কৃতিক কেন্দ্র। এসময় অনুষ্ঠান উপলক্ষে প্রকাশিত স্যুভেনির মোড়ক উন্মোচন ও বিতরণ করা হয়। তাছাড়াও কবি ও গীতিকার মো. আ. কুদদূস এর সদ্য প্রকাশিত ছিন্নপক্ষ এর মোড়ক উন্মোচন করা হয়। এরপর আবৃত্তি পরিবেশন করেন তিতান আবৃত্তি সংগঠণের নাওমী।
কয়েকটি পর্বে বিভক্ত অনুষ্ঠানমালায় কবিকণ্ঠে কবিতা পাঠ, আলোচনা, আবৃত্তি আর গানের মাধ্যমে পুরো অনুষ্ঠান উপভোগ করেন আমন্ত্রিতরা। দ্বিতীয় পর্বে সভাপতিত্ব করেন কবি জয়দুল হোসেন। এই সময় সভাকবির বক্তব্য প্রদান করেন ফরিদ আহমেদ দুলাল, আলোচনা করেন কামরুল হাসান, মজিদ মাহমুদ, মামুন মোস্তফা প্রমুখ। উপস্থাপনা করেন কবি হেলাল উদ্দিন হৃদয়। এসময় আবৃত্তি পরিবেশনা করেন- ভাষা সাহিত্য ও অনুশীলন কেন্দ্র ব্রাহ্মণবাড়িয়া। এসময় সঙ্গীত পরিবেশন করেন কবি আসাদ মান্নানের সহধর্মিনী নাজমা মান্নান।
তৃতীয় পর্বে সভাপতিত্ব করেন কবি জয়দুল হোসেন। এই সময় সভাকবির বক্তব্য প্রদান করেন সম্পাদক-অধ্যাপক ও কবি মাহমুদ কামাল, আলোচনা করেন রানা কুমার সিংহ, কুমিল্লা বিশ^বিদ্যালয়ের ডিন ডক্টর জিএম মনিরুজ্জামান। এ পর্বে উপস্থাপনা করেন কবি মনিরুল ইসলাম শ্রাবণ। এসময় আবৃত্তি পরিবেশনা করেন- তিতাস সাহিত্য সংস্কৃতি পরিষদের সভাপতি বরেণ্য আবৃত্তিশিল্পী রোকেয়া দস্তগীর।
অনুষ্ঠানে ব্রাহ্মণবাড়িয়া ও দেশের বিভিন্ন জেলা থেকে আগত প্রায় দুই শতাধিক কবি স্বরচিত কবিতা পাঠ করেন।
বর্ষামঙ্গল কবিতা উৎসবে বক্তারা বলেন, বর্ষা ঋতু বাংলার অর্থনীতিকে নিয়ন্ত্রণ করে। কাজেই বর্ষা ও পানিকে সুরক্ষ করতে হবে। তারা বলেন, এদেশের কৃষিনির্ভর অর্থনীতি বর্ষার পানির উপর নির্ভরশীল। এজন্য আমাদের জলবায়ূ নিয়ে কথা বলতে হবে। প্রকৃতির সব ঋতুর যেনো সুরক্ষা হয়-তা নিয়ে ভাবতে হবে। তারা আরও বলেন, সাহিত্যে বর্ষা নিজস্ব মহিমায় বিস্তৃত। সাহিত্যের প্রাচূর্য বৃদ্ধি পাক। তরুণ প্রজন্মকে সাহিত্যের দিকে টেনে আনার প্রতি গুরুত্বারোপ করে তারা বলেন, তরুণরা এখন কবিতা লিখছেনা, এটা ভাববার বিষয়। তরুণদের কবিতা পড়ায় উৎসাহ দিতে হবে।
বর্ষামঙ্গল কবিতা উৎসব শিরোনামের প্রশংসা করে তারা বলেন, কবিতার জন্য অবশ্যই বিষয় থাকতে হবে। একটা সময় বর্ষা ছিলো আমাদের জন্য আশির্বাদ। বাংলা সাহিত্যে এমন কোনো কবি নেই যিনি বর্ষা নিয়ে কবিতা লিখেন নাই। অথচ আজ প্রকৃতি যেমন বদলে যাচ্ছে তেমনি আমাদের কবিরাও বর্ষা নিয়ে তেমন কবিতা লিখছে না।
অনুষ্ঠানের শেষ পর্যায়ে আগত কবিদের মাঝে সম্মাননা স্মারক প্রদান করা হয়।
সারাদিনব্যাপী অনুষ্ঠানে ওয়েলকাম ড্রিংকস, চা, মধ্যাহ্নভোজের আয়োজন ছিলো। পুরো অনুষ্ঠানটির সার্বিক ব্যবস্থাপনায় ছিলেন, ব্রাহ্মণবাড়িয়া পৌরসভার প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা কবি ও গীতিকার এবং কবিতাবিষয়ক গবেষক মো. আ. কুদদূস ও সাবেক যুগ্ম সচিব কবি সানাউল হক।
দিনব্যাপী এই বর্ষামঙ্গল কবিতা উৎসবে পার্বত্য চট্টগ্রাম ও সিলেটের ক্ষুদ্র নৃ গোষ্ঠীর কয়েকজন কবি অংশগ্রহন করেন এবং তাদের মাতৃভাষায় রচিত কবিতা পাঠ করেন। অনুষ্ঠানে ব্রাহ্মণবাড়িয়ার কবিদের সাথে পার্বত্য চট্টগ্রাম, চট্টগ্রাম, সিলেট, পাবনা, ময়মনসিংহ, টাঙ্গাইল, কুমিল্লা, নোয়াখালি ও ঢাকার কবিরা অংশগ্রহন করেন।
অনুষ্ঠানে ব্রাহ্মণবাড়িয়া সরকারি মহিলা কলেজের অধ্যক্ষ প্রফেসর মো. শফিকুল্লাহ, অধ্যাপক মানবর্দ্ধন পাল, অধ্যাপক এসআরএম ওসমান গণি সজিব উপস্থিত ছিলেন।
চলারপথে রিপোর্ট :
কনটেইনার ট্রেনের বগি লাইনচ্যুতের ঘটনায় ১৪ ঘণ্টা বন্ধ থাকার পর ঢাকার সঙ্গে আপলাইনে চট্টগ্রাম, সিলেট ও নোয়াখালীর রেল যোগাযোগ পুনরায় চালু হয়েছে।
১৯ নভেম্বর রবিবার রাত সাড়ে ১০টায় দুর্ঘটনাকবলিত কনটেইনার ট্রেনটি ঢাকা অভিমুখে ব্রাহ্মণবাড়িয়া ছেড়ে যাওয়ার মধ্য দিয়ে ট্রেন চলাচল স্বাভাবিক হয়। তবে কনটেইনার ট্রেনটিকে ২০ কিলোমিটার গতিতে ঢাকায় যাওয়ার নির্দেশনা দেওয়া হয়।
এর আগে সকাল সাড়ে ৮টায় ব্রাহ্মণবাড়িয়া রেলওয়ে স্টেশনের আউটারে চট্টগ্রাম থেকে ঢাকাগামী কনটেইনার ট্রেনের একটি বগির চারটি চাকা লাইনচ্যুত হয়। এ ঘটনায় আপলাইনে ঢাকার সঙ্গে চট্টগ্রাম, সিলেট ও নোয়াখালীর ট্রেন চলাচল বন্ধ হয়ে যায়।
দুর্ঘটনায় অন্তত ৩০০ মিটার রেললাইন ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ার পাশাপাশি শতাধিক স্লিপার ভেঙে যায়। পরে ক্ষতিগ্রস্ত রেললাইন মেরামত এবং স্লিপার পরিবর্তন শেষে দুর্ঘটনাকবলিত কনটেইনার ট্রেনের বগিটি উদ্ধারে কাজ শুরু করে উদ্ধারকারী ট্রেন।
ব্রাহ্মণবাড়িয়া রেলওয়ে স্টেশনের মাস্টার মো. জসিম উদ্দিন জানান, দুর্ঘটনাকবলিত কনটেইনার ট্রেনের বগিটি উদ্ধার কাজ প্রায় ১১ ঘণ্টা পর রাত ৭টা ৫ মিনিটে সম্পন্ন হয়। তবে, আপলাইনে ট্রেন চলাচল স্বাভাবিক হয় সাড়ে ১০টায়।
চলারপথে রিপোর্ট :
ডিস্ট্রিক্ট পলিসি ফোরাম (ডিপিএফ)-ব্রাহ্মণবাড়িয়ার উদ্যোগে গতকাল আজ ২৫ ডিসেম্বর সোমবার ফোরামের মাসিক সভা স্থানীয় কাউতলীস্থ স্বপ্নতরী কনফারেন্স হলে অনুষ্ঠিত হয়েছে।
সভায় সভাপতিত্ব করেন ডিপিএফ ব্রাহ্মণবাড়িয়ার সভাপতি মোহাম্মদ আরজু মিয়া।
সভায় অন্যান্যের মধ্যে বক্তৃতা করেন ডিপিএফর সহ-সভাপতি এস সি তাপসী রায়, সাধারন সম্পাদক মোঃ শরিফ উদ্দিন, এস এম শাহীন, আইয়ুব খান, মাহবুব খান, তাহের উদ্দিন ভূঁইয়া, আশিকুর রহমান, মোহাম্মদ পারভেজ, শিরিনা বেগম নারায়ন চক্রবর্তী, মেহেদী হাসান রজত, সোমা আক্তার, মদিনা বেগম প্রমুখ।
সভায় বক্তারা বাল্য বিবাহ প্রতিরোধে উঠান বৈঠক ও শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে বাল্য বিবাহ বিরোধী সমাবেশ সহ বিভিন্ন কর্মসূচি গ্রহণ করা হয়।
চলারপথে রিপোর্ট :
ব্রাহ্মণবাড়িয়া ভোক্তা সংরক্ষণ অধিদপ্তরের অভিযানে ৪ খেজুর ব্যবসায়ীকে জরিমানা করা হয়েছে। খেজুরের প্যাকেটে এর জাত ও মূল্য না থাকায় ওই ৪ ব্যবসায়ীকে মোট ৯ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়েছে। ১১ মার্চ মঙ্গলবার এ অভিযান পরিচালনা করে ভোক্তা সংরক্ষণ অধিদপ্তর।
ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরের সহকারী পরিচালক ইফতেখারুল আলম রিজভী এ অভিযান পরিচালনা করেন। অভিযান সূত্রে জানা যায়, খেজুরের বাজার দর নিয়ন্ত্রণে রাখতে আজ মঙ্গলবার পৌর এলাকার কোর্ট রোড, মসজিদ রোড ও থানা রোডের দোকানগুলোতে অভিযান চালানো হয়।
এ সময় কয়েকটি দোকানে জাত ও দাম না লেখা এবং ক্রয় রশিদ না থাকার বিষয় পরিলক্ষিত হয়। অভিযানের সময় খোলা খেজুর ডেকে বিক্রি করার বিষয়ে সতর্ক থাকার জন্য ব্যবসায়ীদেরকে বলা হয়।
চলারপথে রিপোর্ট :
ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় বিভিন্ন মেয়াদে সাজাপ্রাপ্ত ৪ পলাতক আসামীকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। গতকাল বুধবার ভোরে সদর উপজেলার বিভিন্ন এলাকায় পৃথক অভিযান চালিয়ে তাদেরকে গ্রেফতার করা হয়।
গ্রেফতারকৃতরা হলেন সদর উপজেলার নাটাই উত্তর ইউনিয়নের বিরাসার গ্রামের মোঃ সোহেল (২৬), পৌর এলাকার শিমরাইলকান্দি গ্রামের দুলাল মিয়া (৫৫), একই গ্রামের আমীর হোসেন ওরফে মীর হোসেন ওরফে নাইক্কা (৩৬) ও পৌর এলাকার কাজীপাড়ার মোঃ উজ্জ্বল মিয়া (৪০)।
ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোঃ আসলাম হোসেন জানান, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে পৃথক অভিযান চালিয়ে বিভিন্ন মেয়াদে সাজাপ্রাপ্ত ৪ আসামিকে গ্রেফতার করা হয়েছে।
গ্রেফতারকৃত সোহেল ১০ বছরের সশ্রম সাজাপ্রাপ্ত এবং ৫ হাজার টাকা জরিমানা অনাদায়ে আরো ২ মাসের সাজাপ্রাপ্ত, দুলাল মিয়া ১ বছর ৩ মাসের সাজাপ্রাপ্ত, আমীর হোসেন ওরফে মীর হোসেন ওরফে নাইক্কা ৬ মাসের সাজাপ্রাপ্ত ও উজ্জ্বল মিয়া ৬ মাসের সাজাপ্রাপ্ত আসামী। দুপুরে আদালতের মাধ্যমে তাদেরকে জেল হাজতে পাঠানো হয়েছে।