ইসকন নিষিদ্ধের দাবিতে ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় হেফাজতের বিক্ষোভ

জাতীয়, ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর, 28 November 2024, 4 Views,

চলারপথে রিপোর্ট :
হেফাজতে ইসলামের মহাসচিব আল্লামা সাজিদুর রহমান বলেছেন, আদালত প্রাঙ্গণে প্রকাশ্যে দিবালোকে অ্যাড: সাইফুল ইসলাম আলিফকে হত্যা করা হয়েছে। ইসলাম হত্যা সমর্থন করে না। যারা হত্যা করেছে এবং জড়িত ইসকনের সন্ত্রাসীদের গ্রেফতার করে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির ব্যবস্থা করতে হবে।

আজ ২৮ নভেম্বর বৃহস্পতিবার দুপুরে ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার উদ্যোগে পৌর শহরে ইসকন নিষিদ্ধ ও অ্যাডভোকেট সাইফুল ইসলাম আলিফ হত্যার প্রতিবাদে বিক্ষোভ মিছিল শেষে শহরের কাউতুলী মোড়ে সমাবেশে তিনি এ কথা বলেন।

হেফাজত নেতা বলেন, ২০২১ সালে ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় ১৫ জনকে হত্যা করা হয়। তাদেরকে এই বাংলার মাটিতে প্রকাশ্যে বিচার করতে হবে। হত্যার বিচার হলো ফাঁসি। শহিদ সাইফুল ইসলাম আলিফের হত্যাকারীদের ফাঁসিতে ঝুলাতে হবে।

তিনি আরো বলেন, হেফাজতে ইসলাম বাংলাদেশ, ব্রাহ্মণবাড়িয়া জামেয়া ইউনুছিয়া এবং ব্রাহ্মণবাড়িয়ার সমস্ত ওলামায়ে কেরাম-তৌহিদী জনতা এ সমস্ত সন্ত্রাসীদের বিরুদ্ধে লড়াই করতে প্রস্তুত আছি। জালেম যে কেউ হবে, এসব জালেমের ঠাঁই বাংলার মাটিতে হবে না। আমরা সমস্ত সন্ত্রাসী জঙ্গীদের বিচার চাই। ইসলামের শত্রু, মানবতার শত্রু, দেশের সার্বভৌমের শত্রু ইসকনকে নিষিদ্ধ করতে হবে। বিভিন্ন দেশে এই ইসকনকে নিষিদ্ধ করা হয়েছে।

ব্রাহ্মণবাড়িয়া হেফাজতে ইসলামের সভাপতি মুফতি মুবারকুল্লাহর সভাপতিত্বে বক্তব্য রাখেন সাধারণ সম্পাদক মাওলানা আলী আজম কাসেমী, মুফতি বোরহান উদ্দিন কাসেমী, মাওলানা বোরহান উদ্দিন আল মতিন, মাওলানা দ্বীন মোহাম্মদ আশরাফ, মাওলানা গাজী ইয়াকুব উসমানী প্রমুখ।

Leave a Reply

ইসকন ইস্যুতে বিশেষ সভা

চলারপথে রিপোর্ট : চলমান ইসকন ইস্যুতে আখাউড়ায় উপজেলা প্রশাসনের আয়োজনে Read more

গণঅভ্যুথানে আহত-শহীদদের স্মরণে স্মরণ সভা অনুষ্ঠিত

চলারপথে রিপোর্ট : জুলাই-আগস্ট মাসে ছাত্র-জনতার গণঅভ্যুথানে আহত ও শহীদদের Read more

নাসিরনগরে আইনশৃঙ্খলা কমিটির বিশেষ সভা অনুষ্ঠিত

চলারপথে রিপোর্ট : নাসিরনগরে সার্বিক আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি স্বাভাবিক রাখার লক্ষ্যে Read more

ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় অভ্যুত্থানে আহত ও শহীদের স্মরণে…

চলারপথে রিপোর্ট : ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানে আহত ও শহীদের স্মরণে আজ Read more

ভারতে পালাতে গিয়ে নিষিদ্ধ সংগঠন ছাত্রলীগ…

চলারপথে রিপোর্ট : ভারতে পালানোর সময় নিষিদ্ধ সংগঠনের ছাত্রলীগ নেতা Read more
ফাইল ছবি

ট্রেনে কাটা পড়ে মৃত্যু

চলারপথে রিপোর্ট : আশুগঞ্জে ট্রেনে কাটা পড়ে অজ্ঞাতনামা এক বৃদ্ধের Read more

ব্রাহ্মণবাড়িয়া পৌর ডিগ্রি কলেজে বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে…

চলারপথে রিপোর্ট : ব্রাহ্মণবাড়িয়া পৌর ডিগ্রি কলেজে বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে নিহত Read more

কিশোর-কিশোরী ও নারী উন্নয়নে উঠান বৈঠক

চলারপথে রিপোর্ট : ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা তথ্য অফিসের উদ্যোগে তথ্য ও Read more

জেলা আন্দোলন ও শহীদ পলু দিবস…

চলারপথে রিপোর্ট : কালোব্যাজ ধারণ, কবর জিয়ারত, পরিবারের সাথে সৌজন্য Read more

ইসকন নিষিদ্ধের দাবিতে ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় হেফাজতের বিক্ষোভ

চলারপথে রিপোর্ট : হেফাজতে ইসলামের মহাসচিব আল্লামা সাজিদুর রহমান বলেছেন, Read more

নাসিরনগরে অভ্যুত্থানে আহত-শহীদদের স্মরণে সভা

চলারপথে রিপোর্ট : জুলাই-আগস্টে ছাত্র-জনতার গণঅভ্যুত্থানে বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনের Read more

গভ: মডেল গার্লস হাই স্কুলের নতুন…

চলারপথে রিপোর্ট : ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় সরকারি মডেল গার্লস হাই স্কুলের ৬য়তলা Read more

উন্নত জীবন নিশ্চিতে সর্বজনীন পেনশন ব্যবস্থা চালু করা হয়েছে: প্রধানমন্ত্রী

জাতীয়, 17 August 2023, 709 Views,
ফাইল ছবি

অনলাইন ডেস্ক :
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, ‘সকলের আরও ভালো ও উন্নত জীবন নিশ্চিত করতে সর্বজনীন পেনশন ব্যবস্থার উদ্বোধন করা হলো।’

আজ ১৭ আগস্ট বৃহস্পতিবার সরকারি বাসভবন গণভবন থেকে ভার্চুয়ালি যুক্ত হয়ে সর্বজনীন পেনশন ব্যবস্থার উদ্বোধনকালে প্রধানমন্ত্রী এ কথা বলেন।

উদ্বোধনকালে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘আমরা পেনশন স্কিম চালু করেছি যাতে দেশের প্রতিটি মানুষ একটি উন্নত জীবনযাপন করতে পারে। প্রাথমিকভাবে ছয়টির মধ্যে চারটি স্কিম প্রগতি, সুরক্ষা, সমতা ও প্রবাসী উদ্বোধন করা হয়েছে। অন্য দু’টি পরে চালু করা হবে।’

শেখ হাসিনা বলেন, ‘আগামী দিনেও আমার প্রতি আস্থা, বিশ্বাস ও ভালোবাসা অব্যাহত রাখার জন্য আমি বাংলাদেশের জনগণকে অনুরোধ করছি।’

সরকারপ্রধান বলেন, ‘জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের একমাত্র লক্ষ্য ছিল দেশবাসীকে একটি উন্নত জীবন উপহার দেওয়া, যার জন্য তিনি তাঁর সমগ্র জীবন উৎসর্গ করেছেন।’

সর্বজনীন পেনশন ব্যবস্থা নিয়ে শেখ হাসিনা বলেন, ‘আমরা শোকের মাসে সর্বজনীন পেনশন ব্যবস্থা চালু করেছি। জনগণকে একটি সুন্দর ও উন্নত জীবন দেওয়ার আমাদের প্রচেষ্টা দেখে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান এবং বঙ্গমাতার আত্মা শান্তি পাবে।’

প্রধানমন্ত্রী প্রত্যেক দেশবাসীর জীবনকে অর্থবহ করার লক্ষ্যে তাঁর পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের অসমাপ্ত কাজগুলো সম্পন্ন করতে জনগণের কাছে দোয়া চান। দেশের প্রতিটি মানুষকে আরও ভালো ও উন্নত জীবন দিতে ব্যর্থ হলে বঙ্গবন্ধুর দেওয়া দেশের স্বাধীনতা বৃথা যাবে বলে তিনি মন্তব্য করেন।

শেখ হাসিনা বলেন, ‘আমরা দেশের স্বাধীনতাকে ব্যর্থ হতে দেব না, এটি ব্যর্থ হবে না এবং এটি ব্যর্থ হয়নি। তাঁর (বঙ্গবন্ধুর) আদর্শ অনুসরণ করে আমরা স্বল্পোন্নত দেশ থেকে উন্নয়নশীল দেশের মর্যাদা পেয়েছি।’ সূত্র : বাসস

সারদায় এএসপিদের প্রশিক্ষণ সমাপনী কুচকাওয়াজ অনুষ্ঠানে প্রধানমন্ত্রী

জাতীয়, 29 January 2023, 1188 Views,

চলারপথে ডেস্ক :
সহকারী পুলিশ সুপারদের (এএসপি) প্রশিক্ষণ সমাপনী কুচকাওয়াজ অনুষ্ঠানে যোগ দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। আজ ২৯ জানুয়ারি রবিবার বেলা ১১টা ১৭ মিনিটের দিকে সারদায় বাংলাদেশ পুলিশ একাডেমির অনুষ্ঠানস্থলে উপস্থিত হন তিনি। বিটিভিসহ দেশের একাধিক টেলিভিশন চ্যানেলে অনুষ্ঠানটি সরাসরি সম্প্রচার করা হয়।

একাডেমির প্যারেড গ্রাউন্ডে ৩৮তম বিসিএস পুলিশ ক্যাডারের শিক্ষানবিশ সহকারী পুলিশ সুপারদের প্রশিক্ষণ সমাপনী কুচকাওয়াজ পরিদর্শন করবেন তিনি। পরে প্রধানমন্ত্রী প্রশিক্ষণে শ্রেষ্ঠত্ব অর্জনকারী কর্মকর্তাদের মাঝে ট্রফি বিতরণ করবেন এবং নবীন এই পুলিশ কর্মকর্তাদের উদ্দেশে বক্তব্য রাখবেন।

অনুষ্ঠানে মন্ত্রী, প্রতিমন্ত্রী, সংসদ সদস্য, পুলিশের মহাপরিদর্শকসহ ঊর্ধ্বতন পুলিশ কর্মকর্তারা উপস্থিত রয়েছেন।

অনুষ্ঠান শেষ করে রাজশাহীর জেলা ও মহানগর আওয়ামী লীগ আয়োজিত জনসভায় প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখবেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। দুপুর আড়াইটার দিকে নগরীর মাদ্রাসা মাঠে এ জনসভা অনুষ্ঠিত হবে।

রাজশাহী কেন্দ্রীয় কারাগারে প্রস্তুত মহিউদ্দিন ও জাহাঙ্গীরের ফাঁসির মঞ্চ

জাতীয়, 26 July 2023, 699 Views,
ফাইল ছবি

ডেস্ক রিপোর্ট :
রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের (রাবি) ভূতত্ত্ব ও খনিবিদ্যা বিভাগের অধ্যাপক ড. এস তাহের আহমেদ হত্যা মামলার দুই আসামির ফাঁসি বৃহস্পতিবার রাতে কার্যকর হতে পারে। সংশ্লিষ্ট বিভিন্ন সূত্র থেকে এ ধরনের আভাস পাওয়া গেছে। তবে এ নিয়ে কোনো আনুষ্ঠানিক বক্তব্য দেয়নি রাজশাহী কেন্দ্রীয় কারাগার কর্তৃপক্ষ। তবে প্রস্তুতি চলছে বলে জানানো হচ্ছে।

রাজশাহী কেন্দ্রীয় কারাগারের সিনিয়র জেল সুপার আবদুল জলিল বলেন, আমাদের সব ধরনের প্রস্তুতি রয়েছে। কবে কখন মৃত্যুদণ্ড কার্যকর করা হবে, সেটা আমি বলব না। এটা জেলকোডে নেই। তবে এটুকু বলতে পারি যে, এ মাসের মধ্যেই রায় কার্যকর হবে।

সংশ্লিষ্ট একটি সূত্র জানায়, রায় কার্যকরের জন্য ইতোমধ্যে মঞ্চ প্রস্তুত করা হয়েছে। জল্লাদদের নিয়ে কয়েক দিন ধরে মহড়াও চলছে। একই মঞ্চে দুজনের মৃত্যুদণ্ড কার্যকর হবে। এ মঞ্চে একসঙ্গে একাধিক আসামির মৃত্যুদণ্ড কার্যকর করার সুযোগ আছে। মহিউদ্দিন ও জাহাঙ্গীরের ক্ষেত্রে কী করা হবে, সেটি কারা কর্তৃপক্ষ সিদ্ধান্ত নেবে।

২০০৮ সালে এ মামলার রায় ঘোষণার পর থেকেই মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত আসামি রাবির ভূতত্ত্ব ও খনিবিদ্যা বিভাগের বরখাস্ত হওয়া সহযোগী অধ্যাপক মিয়া মোহাম্মদ মহিউদ্দিন ও ড. তাহেরের বাসার তত্ত্বাবধায়ক জাহাঙ্গীর আলম রাজশাহী কেন্দ্রীয় কারাগারে বন্দি রয়েছেন। পদোন্নতি না পাওয়ার ক্ষোভে মিয়া মহিউদ্দিন একই বিভাগের অধ্যাপক তাহেরকে হত্যার পরিকল্পনা করেছিলেন বলে মামলার তদন্ত প্রতিবেদনে বলা হয়।

বিশ্ববিদ্যালয়ের আবাসিক কোয়ার্টার থেকে ২০০৬ সালের ১ ফেব্রুয়ারি নিখোঁজ হয়েছিলেন অধ্যাপক তাহের আহমেদ। ২ ফেব্রুয়ারি তার লাশ বাসার পেছনের ম্যানহোল থেকে উদ্ধার করা হয়। এ হত্যা মামলার বিচার শেষে ২০০৮ সালের ২২ মে রাজশাহীর দ্রুতবিচার আদালতের বিচারক চারজনকে ফাঁসির আদেশ দেন। এছাড়া দু’জনকে খালাস দেওয়া হয়। পরে দণ্ডপ্রাপ্তরা উচ্চ আদালতে আপিল করেন। আপিল বিভাগ মিয়া মহিউদ্দিন ও জাহাঙ্গীর আলমের রায় বহাল রাখলেও আসামি নাজমুল আলম ও তার স্ত্রীর ভাই আব্দুস সালামের সাজা কমিয়ে যাবজ্জীবন করা হয়।

আপিলে সাজা কমে যাবজ্জীবন হওয়া দুই আসামির দণ্ড বৃদ্ধি চেয়ে আপিল করে রাষ্ট্রপক্ষ। শুনানি শেষে ২০২২ সালের ৫ এপ্রিল আপিল বিভাগ হাইকোর্ট বিভাগের রায়ই বহাল রাখেন। অন্যদিকে ফাঁসির দণ্ডপ্রাপ্ত দুই আসামির স্বজনরাও দণ্ড কমাতে একের পর এক আইনগত প্রক্রিয়া চালিয়ে যান। সবশেষ গত মঙ্গলবার জাহাঙ্গীরের ভাইয়ের করা একটি রিট খারিজ হয়ে যায়। এখন আসামিদের দণ্ড কার্যকরে আইনগত বাধা নেই।

রায় কার্যকর করার আগে মঙ্গলবার দুই আসামির পরিবার ও স্বজনদের সঙ্গে ‘শেষ সাক্ষাৎ’ করার সুযোগ দেয় কারা কর্তৃপক্ষ। দুই আসামির স্বজনরাই তাদের সঙ্গে দেখা করেন। স্বজনরা এভাবে সাক্ষাৎ করার পর থেকেই দণ্ডপ্রাপ্তরা মুষড়ে পড়েছেন বলে একটি সূত্র জানিয়েছে।

ব্রাহ্মণবাড়িয়া সংবাদপত্র পরিষদের সভাপতি মনজুরুল আলমের পদত্যাগ

ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর, 18 August 2024, 158 Views,

চলারপথে রিপোর্ট :
ব্রাহ্মণবাড়িয়া সংবাদপত্র পরিষদের সভাপতি মনজুরুল আলম গত ১৪ আগস্ট ২০২৪ খ্রি. তারিখে ব্যক্তিগত ও পারিবারিক অসুবিধার কারণে সংগঠনের সভাপতি পদ থেকে স্বেচ্ছায় পদত্যাগ করে একটি আবেদন করেছেন। তাঁর আবেদনের প্রেক্ষিতে গত ১৫ আগস্ট বিকালে সংগঠনের জরুরী সভা আমিন কমপ্লেক্সের ৫ম তলায় অনুষ্ঠিত হয়।

সংগঠনের সিনিয়র সহ-সভাপতি পীযুষ কান্তি আচার্য্যরে সভাপতিত্বে ও সাধারণ সম্পাদক মোঃ শাহজাদা’র সঞ্চালনায় অনুষ্ঠিত সভায় বক্তব্য রাখেন সংগঠনের নির্বাহী সদস্য মোহাম্মদ আরজু, সহ-সভাপতি মোঃ এমদাদুল হক, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আশিকুর রহমান মিঠু, কোষাধ্যক্ষ আবুল হাসনাত মোঃ সাবেরিন ভূইয়া লিটন, দপ্তর সম্পাদক মোঃ আবু নাসের রতন, সদস্য আব্দুল মালেক, আজকের হালচাল প্রতিনিধি মোঃ আশরাফুল হক প্রমুখ।

সভায় উপস্থিতি সকলে সংগঠনের সভাপতির পদত্যাগ পত্র নিয়ে আলোচনা করেন।

সকলের মতামতের ভিত্তিতে ব্রাহ্মণবাড়িয়া সংবাদপত্র পরিষদের সভাপতি মনজুরুল আলমের পদত্যাগ পত্রটি গ্রহণ করে এবং সংগঠনের কার্যক্রম পরিচালনার জন্য সিনিয়র সহ-সভাপতি পীযুষ কান্তি আচার্য্যকে ভারপ্রাপ্ত সভাপতির দায়িত্ব প্রদান করা হয়।

সভায় সংগঠনের কার্যক্রমকে আরো গতিশীল করার জন্য গুরুত্বারোপ করা হয়।

দেশের মানুষের কল্যাণে রক্ত দিতেও আমি প্রস্তুত: প্রধানমন্ত্রী

জাতীয়, 11 November 2023, 517 Views,
ফাইল ছবি

অনলাইন ডেস্ক :
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, দেশ ও দেশের মানুষের কল্যাণে প্রয়োজনে বাবার মতো বুকের রক্ত দিতেও আমি প্রস্তুত।

আজ ১১ নভেম্বর শনিবার বিকেলে কক্সবাজারের মহেশখালী উপজেলার মাতারবাড়ী কয়লা বিদ্যুৎকেন্দ্র-সংলগ্ন টাউনশিপ মাঠে স্থানীয় আওয়ামী লীগ আয়োজিত জনসভায় তিনি এ কথা বলেন। এর আগে মাতারবাড়ী গভীর সমুদ্রবন্দর চ্যানেল উদ্বোধন ও প্রথম টার্মিনালের নির্মাণ কাজের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করেন প্রধানমন্ত্রী।

শেখ হাসিনা বলেন, আমি যেদিন বাংলাদেশে ফিরে এসেছি, সেদিন আমার কেউ ছিল না। যাদের রেখে গিয়েছিলাম এসে পেয়েছি সারি সারি কবর। আপনাদের মাঝেই আমি ফিরে পেয়েছি আমার বাবার স্নেহ, মায়ের স্নেহ, ভাইয়ের স্নেহ।

‘কাজেই আপনাদের কল্যাণের জন্য, আপনাদের উন্নয়নের জন্য আমি যেকোনো ত্যাগ স্বীকারে প্রস্তুত। প্রয়োজনে বাবার মতো বুকের রক্ত দিতেও আমি প্রস্তুত। শুধু আপনাদের কল্যাণ করাটাই আমার একমাত্র কাম্য। আমি আপনাদের কাছে দোয়া চাই।’

প্রধানমন্ত্রী বলেন, বাবা-মা, ভাই সব হারিয়েছি। আমাদের হারাবার কিছু নেই, পাওয়ারও কিছু নেই। শুধু একটাই কাজ- বাংলাদেশের মানুষ যেন ভালো থাকে। যেভাবে আমার বাবা স্বপ্ন দেখেছিলেন ক্ষুধামুক্ত, দারিদ্র্যমুক্ত, উন্নত সমৃদ্ধ বাংলাদেশ গড়ে তোলা, সেই বাংলাদেশই আমি গড়ে তুলতে চাই। আমার বাবার স্বপ্নটাই আমি পূরণ করতে চাই।

বিএনপি-জামায়াত থেকে জনগণকে সাবধান থাকার আহ্বান জানিয়ে সরকারপ্রধান বলেন, কোনো মানুষের মধ্যে যদি মনুষত্ববোধ থাকে তাহলে জীবন্ত মানুষকে আগুন দিয়ে পুড়িয়ে মারতে পারে না। বিভিন্ন জায়গায় জীবন্ত মানুষগুলোকে ওই বিএনপি-জামায়াত পুড়িয়ে হত্যা করছে। গাড়ি-ঘোড়া পুড়িয়ে দিচ্ছে। মানুষকে পুড়িয়ে মারা, সম্পদ পুড়িয়ে নষ্ট করা এটাই তাদের কাজ।

তিনি বলেন, বাংলাদেশকে জাতির পিতা স্বল্পোন্নত দেশে রেখে গিয়েছিলেন। তার আদর্শ বুকে নিয়ে ও পদাঙ্ক অনুসরণ করে আজকে বাংলাদেশকে উন্নয়নশীল দেশের মর্যাদায় উন্নীত করেছি। সেটা আমাদের বাস্তবায়ন করতে হবে। এটা বাস্তবায়ন করতে হলে নৌকা মার্কায় ভোট দিয়ে আওয়ামী লীগকেই জয়ী করতে হবে।

শেখ হাসিনা আরও বলেন, আমরা উন্নয়ন করি, আমরা সৃষ্টি করি, ওরা ভাঙে, ওরা নস্যাৎ করে। ওরা ধ্বংস করতে জানে, জনগণের কল্যাণ করতে জানে না। কাজেই ওদের থেকে জনগণকে সাবধান থাকতে হবে।

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার আগমনে সাজ সাজ রব উঠেছিল সমুদ্রের কোলঘেঁষা প্রত্যন্ত জনপদ মাতারবাড়ী এলাকায়। সেখানে এক জনপদের বদলে যাওয়ার সাক্ষী সাগরপাড়ের অগণিত মানুষের দলে দলে যাত্রা। প্রধানমন্ত্রীর আগমন আর জনসভা কেন্দ্র করে সকাল থেকে ছিল মানুষেল স্বতঃস্ফূর্ত উপস্থিতি।

উপচেপড়া আবেগের বহিঃপ্রকাশ জনসভা মাঠে মানুষের বাঁধভাঙা উচ্ছ্বাস। নজিরবিহীন গণজমায়েতে পূর্ণ মাতারবাড়ী টাউনশিপ মাঠ। প্রায় তিন দশক পর মাতারবাড়ী আসা শেখ হাসিনাকে বরণ করে নেন সব শ্রেণি-পেশা আর বয়সী মানুষ। তারা বলছেন, ১৯৯৫ সালে বিরোধীদলীয় নেতা হিসেবে যে স্বপ্ন দেখিয়েছিলেন মাতারবাড়ীবাসীকে, তা বাস্তব করেন সরকারপ্রধান হিসেবে।

এর আগে সকালে দোহাজারী-কক্সবাজার আইকনিক রেলস্টেশনের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন, ২০০১ সালে আমরা শান্তিপূর্ণভাবে ক্ষমতা হস্তান্তর করেছি। কিন্তু বাংলাদেশের গ্যাস বহির্বিশ্বের কাছে বিক্রি করতে রাজি হইনি, তাই আমাকে পরবর্তী সময়ে ক্ষমতায় আসতে দেয়নি একটি চক্র। আমি ক্ষমতার লোভে দেশের সম্পদ কারও হাতে তুলে দিতে রাজি ছিলাম না।

রিরোধীদলকে উদ্দেশ করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, তারা উন্নয়ন চোখে দেখে না। তাদের বলবো, ঢাকায় খুবই উন্নতমানের আই ইনস্টিটিউট করা আছে, সেখানে মাত্র ১০ টাকা টিকিট কেটে চক্ষু পরীক্ষা করে নেবেন।

তিনি আরও বলেন, আজ দিনটি বাংলাদেশের জনগণের জন্য একটি গর্বের দিন। দোহাজারী থেকে কক্সবাজার পর্যন্ত রেললাইনের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে থাকতে পেরে সত্যি আমি খুব আনন্দিত। একটা কথা দিয়েছিলাম, কথাটা রাখলাম।

বঙ্গবন্ধুকন্যা বলেন, বিএনপি-জামায়াত শুধু ধ্বংস করতে জানে, সৃষ্টি করতে জানে না। গত ১৫ বছরে অনেক এগিয়ে গেছে বাংলাদেশ।

সরকারের উন্নয়ন কর্মকাণ্ড যেসব বিরোধী দলীয় নেতাদের চোখে পড়ে না, তাদের ডাক্তার দেখানোর পরামর্শ দিয়ে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন, আমি জানি যে আমাদের বিরোধী দল, তারা আমাদের উন্নয়নটা চোখে দেখে না, এগুলো বলার কিছু নাই। চোখ থাকতে যারা অন্ধ হয় তাদের আর কী বলব।

‘তাদের একটা পরামর্শ দিতে পারি- আমি কিন্তু ঢাকায় খুব আধুনিক আই ইনস্টিটিউট করেছি, চোখ থাকতেও যারা অন্ধ তারা সেই আধুনিক আই ইনস্টিটিউটে যেয়ে চোখটা দেখিয়ে আসতে পারেন। মাত্র ১০ টাকার টিকিট লাগে, বেশি লাগে না। আসলে তাদের চোখের দোষ না, মনের দোষ।

এদিন প্রধানমন্ত্রী কক্সবাজারে ১৪টি সমাপ্ত প্রকল্পের উদ্বোধন এবং ৪টি প্রকল্পের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করেন।