চলারপথে রিপোর্ট :
ভারতে পালানোর সময় নিষিদ্ধ সংগঠনের ছাত্রলীগ নেতা আব্দুর রহমান হারুনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। গতকাল ২৭ নভেম্বর বুধবার সন্ধ্যায় তাকে গ্রেফতার দেখিয়ে আখাউড়া থানায় সোপর্দ করা হয়। গ্রেফতারকৃত আব্দুর রহমান হারুন হবিগঞ্জের চুনারুঘাটের ওলুকান্দি ইউনিয়ন ছাত্রলীগের সভাপতি। তিনি চুনারুঘাট উপজেলার ওলুকান্দি গ্রামের আলফু মিয়ার ছেলে। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন আখাউড়া আন্তর্জাতিক ইমিগ্রেশন চেকপোস্ট পুলিশের ইনচার্জ মো. খায়রুল আলম। তিনি জানান, কেউ যেন ভারতে পালিয়ে যেতে না পারে- সেজন্য আখাউড়া আন্তর্জাতিক ইমিগ্রেশন পুলিশ সতর্ক রয়েছে। যাদের পাসপোর্টে নিষেধাজ্ঞা রয়েছে তাদেরকে আমরা ইমিগ্রেশন করতে দিচ্ছি না। ওই ছাত্রলীগ নেতার নামেও নিষেধাজ্ঞা থাকায় তাকে গ্রেফতার করা হয়েছে। তার বিরুদ্ধে চুনারুঘাট থানায় নাশকতা ও বিস্ফোরক আইনে মামলা রয়েছে।
চলারপথে রিপোর্ট :
ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার আখাউড়ায় মায়ের মৃত্যু শোক সহ্য করতে না পেরে বিলাপ করতে-করতে মারা গেলেন ঝান্টু মোল্লা (৫০) নামে এক ব্যক্তি। রোববার রাত ৮টায় উপজেলার দক্ষিণ ইউনিয়নের আব্দুল্লাহপুর গ্রামের পশ্চিমপাড়া মোল্লাবাড়িতে এ ঘটনা ঘটে।
আজ ৬ নভেম্বর সোমবার বেলা ১১টায় জানাযা শেষে ঝান্টুর মরদেহ পারিবারিক কবরস্থানে দাফন সম্পন্ন করা হয়েছে। তিনি ওই গ্রামের মৃত ইদ্রিস মোল্লার ছেলে।
এর আগে শুক্রবার দিবাগত রাতে বার্ধক্যজনিত কারণে ঝান্টুর মা রেজিয়া খাতুন (৭০) মারা যান।
স্থানীয় এলাকাবাসী দাবি করেছেন, মায়ের মৃত্যুতে মাতম করছিলেন বড় ছেলে ঝান্টু মোল্লা। শোক সইতে না পেরে বিলাপ করতে থাকেন তিনি। এতেই তার মৃত্যু হয়েছে।
এদিকে মা-ছেলের মৃত্যুতে ঝান্টু মোল্লার স্ত্রী হাজেরা ও দুই মেয়ে সুমাইয়া এবং সামিয়া অসুস্থ হয়ে পড়েছেন। তারা পারিবারিকভাবে প্রাথমিক চিকিৎসাধীন রয়েছেন।
স্থানীয় বাসিন্দা হুমায়ুন কবীর, সোহাগ ভূঁইয়া ও আলম মোল্লা বলেন, ঝান্টু মোল্লা মা ভক্ত ছিলেন। শুক্রবার দিবাগত রাতে তার মায়ের মৃত্যুর পর সে লাশের পাশে বসে কাঁদছিলেন। তার মাকে কবরস্থ করার পর শোক সইতে না পেরে বিলাপ করতে থাকেন তিনি। রবিবার রাত ৮টার দিকে বুকে ব্যথা ওঠে। কয়েক মিনিটের মধ্যেই মৃত্যুর কোলে ঢলে পড়েন।
সোমবার জোহরের নামাজের পর জানাযা শেষে ঝান্টু মোল্লার মরদেহ পারিবারিক কবরস্থানে দাফন করা হয়েছে। এর আগে শনিবার একই কবরস্থানে তার মায়েরও দাফন করা হয়েছে।
আখাউড়া দক্ষিণ ইউনিয়ন পরিষদের ৮নং ওয়ার্ডের সদস্য মো. রহিম মিয়া বলেন, মায়ের শোকে ছেলেরও মৃত্যু হয়েছে। বিষয়টি খুবই মর্মান্তিক। শুনেছি তাদের শোকে পরিবারের আরো তিনজন অসুস্থ হয়ে পড়েছেন।
চলারপথে রিপোর্ট :
বাংলাদেশ স্থলবন্দর কর্তৃপক্ষ দিবস উপলক্ষে ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার আখাউড়া স্থলবন্দরে ফুল-মিষ্টি বিতরণ করা হয়েছে। আজ ১৪ জুন বুধবার দুপুরে ফুল-মিষ্টি বিতরণ করে আখাউড়া স্থলবন্দর কর্তৃপক্ষ।
দিবসটি উদযাপনে আখাউড়া স্থলবন্দর শুল্ক স্টেশন, বিজিবি, ইমিগ্রেশন পুলিশ, সিঅ্যান্ডএফ এজেন্ট ও আমদানি-রপ্তানিকারক অ্যাসোসিয়েশনের নেতৃবৃন্দ এবং আগরতলা স্থলবন্দর, ইমিগ্রেশন কর্তৃপক্ষ, কাস্টমস ও বিএসএফ সদস্যদের ফুল-মিষ্টি উপহার দিয়ে শুভেচ্ছা বিনিময় করা হয়।
এ সময় আখাউড়া স্থলবন্দরের সুপারিনটেনডেন্ট সামাউল ইসলামসহ বন্দর কর্তৃপক্ষের অন্যান্য কর্মকর্তা-কর্মচারীরা উপস্থিত ছিলেন।
চলারপথে রিপোর্ট :
আখাউড়ায় থানা পুলিশের মাদক বিরোধী অভিযানে ১০ কেজি গাঁজাসহ বাবা-মেয়েকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।
গতকাল রবিবার রাত ৯টার দিকে উপজেলার মোগড়া ইউনিয়নের চরনারায়নপুর পাকা ব্রীজের উপর হতে তাদেরকে গ্রেফতার করা হয়। গ্রেফতারকৃতরা হলো উপজেলার ধরখার ইউনিয়নের বনগজ গ্রামের আব্দুল কাইয়ুম (৬০) ও তার মেয়ে ইয়াসমিন আক্তার (৩০)।
আখাউড়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আসাদুল ইসলাম জানান, গ্রেফতারকৃত আসামীদের বিরুদ্ধে আখাউড়া থানায় নিয়মিত মাদক মামলা রুজু করে বিজ্ঞ আদালতে সোপর্দ করা হয়েছে। মাদকের বিরুদ্ধে আমাদের অভিযান অব্যাহত থাকবে।
চলারপথে রিপোর্ট :
আখাউড়ায় জমে উঠেছে ঈদের কেনাকাটা। মার্কেটগুলোতে সকাল থেকে মধ্যরাত পর্যন্ত ক্রেতাদের উপচেপড়া ভিড় দেখা যায়। এবছর মেয়েদের পছন্দের শীর্ষে রয়েছে নায়রা। নায়রা নামের মেয়েদের পোষাকটি সবচেয়ে বেশি বিক্রি হচ্ছে। এছাড়াও সারেরা, গারেরা, ডিভাইডার, গাউন, লেহেঙ্গা, স্কার্ট রয়েছে পছন্দের তালিকায়। তবে দাম অনেকটা বেশি বলে জানিয়েছেন ক্রেতারা।
আখাউড়া শহরের মায়াবী শপিং কমপ্লেক্স, আদর আলী কমপ্লেক্স, আলী মার্কেট, চৌধুরী শপিং কমপ্লেক্স, সরকার প্লাজাসহ কয়েকটি মার্কেট ঘুরে দেখা গেছে বিভিন্ন ডিজাইনের আকর্ষণীয় পোষাক সাজিয়ে রেখেছেন। পছন্দের জামা-কাপড় কিনতে দোকানে ভিড় করছেন ক্রেতারা।
বিভিন্ন মার্কেট ঘুরে দেখা যায়, পবিত্র ঈদুল ফিতরকে সামনে রেখে শহরের প্রতিটি বিপণিবিতানে কেনাকাটার ধুম পড়েছে। সকাল থেকে গভীর রাত পর্যন্ত ক্রেতা-বিক্রেতার সরগরম প্রতিটি জামা-কাপড়ের দোকান। বেচাকেনা জমে ওঠায় খুশি বিক্রেতারাও। নতুন জামা-কাপড়ের পাশাপাশি জুতা এবং কসমেটিকস্ দোকানগুলোতেও ভিড় দেখা গেছে। তবে সব পণ্যের দামই দোকানিরা অনেক বেশি চাচ্ছেন এমন অভিযোগ ক্রেতাদের। তবে ব্যবসায়ীরা বলছেন দ্রব্যমূল্যের দাম বাড়ায় প্রতিটি জিনিষেই এর প্রভাব পড়েছে। তাছাড়া পোষাক তৈরির সরঞ্জামের দাম বেড়েছে এজন্য দাম কিছুটা বেড়েছে।
এদিকে মেয়েদের পোষাকের পাশাপাশি ছেলের পোষাকের দোকানগুলোতে তরুনদের উপস্থিতি বেড়েছে। ছেলেরা জিন্স প্যান্ট বেশি কিনছেন। সাথে স্টিচ শার্ট, টি-শার্ট। এছাড়াও পাঞ্জাবি-পায়জামার চাহিদাও রয়েছে। কালারফুল পাঞ্জাবিই ছেলেদের বেশি পছন্দ।
ব্যবসায়ীদের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, রমজানের শুরুর দিকে মার্কেটে বেশি বিক্রি হয় শিশু ও নারীদের জামা-কাপড়। ঈদ যতই এগিয়ে আসে এসব পণ্যের বিক্রিও ততই বাড়ে।
সড়ক বাজারের মরিয়ম লেডিস ফ্যাসনের মালিক মোঃ কাওছার আহমেদ বলেন, রোজার প্রথম কয়েকদিন ক্রেতারা শুধু জামাকাপড় দেখে নাম শুনে চলে যেত। এখন আল্লাহর রহমতে বেচাকেনা বেড়েছে। ঈদ যত ঘনিয়ে আসবে বিক্রির পরিমাণও তত বাড়বে। তিনি আরও বলেন, করোনার কারণে গত কয়েক ঈদে লোকসান হয়েছে। আশা করি, এবার করোনার লোকসান এবার পুষিয়ে উঠতে পারবো।
দুই মেয়েকে নিয়ে মার্কেটে এসেছেন স্মৃতি আক্তার। তিনি বলেন, বড় মেয়ের জন্য নায়রা কিনেছি। ছোট মেয়ে পছন্দ করেছে স্কার্ট। এবার দাম একটু বেশি। গত বছর যে পোষাক ১ হাজার দেড় হাজার টাকায় কিনেছে। সে পোষাক এবার তিন হাজার দাম চাচ্ছে বিক্রেতারা।
কাজী স্নেহ ও তোড়া বলেন, তারা নায়রা কিনেছেন। কারণ এ পোষাকটি এবার অনেক চলছে। আর দেখতেও সুন্দর লাগে।
চলারপথে রিপোর্ট :
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা প্রদত্ত বীর মুক্তিযোদ্ধাদের বোনাসের টাকা না পাওয়ায় ক্ষোভ প্রকাশ করেছে আখাউড়ার বীর মুক্তিযোদ্ধারা।
আজ ২৬ মার্চ রবিবার সকালে মহান স্বাধীনতা দিবস উপলক্ষে উপজেলা প্রশাসন প্রদত্ত বীর মুক্তিযোদ্ধা, যুদ্ধাহত মুক্তিযোদ্ধা এবং শহীদ মুক্তিযোদ্ধা পরিবারের সদস্যদের সংবর্ধণা ও আলোচনা সভা অনুষ্ঠানে সাবেক সাংগঠনিক কমান্ডার বীর মুক্তিযোদ্ধা বাহার মালদার তাঁর বক্তব্যে ক্ষোভ প্রকাশ করেন। তিনি বলেন, গত বছরের ডিসেম্বর মাসে বিজয় দিবস উপলক্ষে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা মুক্তিযোদ্ধাদেরকে ৫ হাজার টাকা করে বোনাস দিয়েছেন। কিন্তু ৩ মাস পেরিয়েও গেছে এখনও আমরা সেই বোনাসের টাকা পাইনি। আমলারা বলতেছে, আখাউড়ায় নাকী তিন জন মুক্তিযোদ্ধা জীবত আছে। বিষয়টি জানার পর আমার হতভম্ব হয়ে ইউএনও সাহেব এবং ডিসি সাহেবের কাছে গিয়েছি। ইউএনও সাহেব এবং ডিসি সাহেব আমাদের কথা শুনে মন্ত্রণালয়ে চিঠি লিখেছে। আমরা পর পর তিন বার মন্ত্রণালয়ে গিয়ে সচিব সাহেবের সাথে দেখা করেছি। সচিব আমাদেরকে আপনারা নিশ্চিত থাকার অনুরোধ বলেছিলেন এই মাসের ১৫ তারিখ টাকা পাঠিয়ে দিবেন। কিন্ত ডিসেম্বর গিয়ে মার্চ মাসের আজ ২৬ তারিখ। আমরা এখনও বোনাসের টাকা পাইনি।
এসময় তিনি স্থানীয় প্রশাসন এবং রাজনীতিবিদদেরকে সতর্ক করে বলেন, আমলারা আখাউড়ার মুক্তিযোদ্ধাদের সাথে এধরনের কার্যকলাপ করছে। মুক্তিযোদ্ধাদের পক্ষ থেকে তিনি প্রশাসনকে অনুরোধ করে বলেন মুক্তিযোদ্ধাদের সাথে যেন এ ধরনের আচরণ না করা হয়। নতুবা শক্ত কর্মসূচি দেওয়ারও হুঁসিয়ারি উচ্চারণ করেন তিনি। এসময় বীর মুক্তিযোদ্ধা বাহার মালদার স্থানীয় সাংবাদিকদের প্রতি অনুরোধ করেন বিষয়টি গণমাধ্যমে তুলে ধরার জন্য।
এসময় সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে উপস্থিত অন্যান্য বীর মুক্তিযোদ্ধারাও তাঁর বক্তব্যের সাথে সহমত পোষন করেন।
আখাউড়া উপজেলা মুক্তিযোদ্ধা সংসদের সাবেক কমান্ডার সৈয়দ জামসেদ শাহ’র কাছে এ ব্যপারে জানতে বলেন, আখাউড়ায় প্রায় ২৩০ জন বীর মুক্তিযোদ্ধা জীবিত রয়েছেন। আমরা বিজয় দিবসের প্রধানমন্ত্রীর বোনাসের টাকা এখনও পাইনি।
উপজেলা নির্বাহী অফিসার অংগ্যজাই মারমার সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি ছিলেন উপজেলা পরিষদের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান মোঃ মুরাদ হোসেন, মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান নাসরিন সফিক আলেয়া, আখাউড়া থানার অফিসার ইনচার্জ মোঃ আসাদুল ইসলাম, স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ডাঃ হিমেল খান প্রমুখ।
উল্লেখ্য, ‘বিজয় দিবস ভাতা’র নামে প্রত্যেক মুক্তিযোদ্ধাকে ৫ হাজার টাকা প্রদান করছে সরকার।