চলারপথে রিপোর্ট
একটি আবাসিক হোটেলে অভিযান চালিয়ে দুই নারীসহ ৩ জনকে গ্রেফতার করেছে থানা পুলিশ। আজ ২৯ নভেম্বর শুক্রবার দুপুরে গ্রেফতারকৃতদের ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়। গ্রেফতারকৃতরা হলেন- ভূঁইয়া আবাসিক হোটেলের কর্মচারী হবিগঞ্জের মাধবপুরের পিয়াম গ্রামের জাবেদ আলীর ছেলে আলম, আখাউড়া উপজেলার ভবানীপুর গ্রামের ফরিদ মিয়ার মেয়ে তিশা আক্তার ও ময়মনসিংহের ফুলপুরের ছোট শুনোই গ্রামের রুকন মিয়ার স্ত্রী শান্তা।
আজ দুপুরে ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার আখাউড়া থানা পুলিশ এক প্রেস বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে এ তথ্য জানায়। এর আগে, পৌর শহরের সড়ক বাজার ভূঁইয়া আবাসিক হোটেলে অভিযান চালিয়ে অসামাজিক কাজে লিপ্ত থাকার অভিযোগে তাদের গ্রেফতার করা হয়। খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, দীর্ঘদিন ধরে আবাসিক হোটেলগুলোকে অসামাজিক কার্যকলাপ চলছে। প্রকাশ্যে দিন-দুপুরে নির্ভয়ে আবাসিক হোটেলে যৌনকর্মীরা যাচ্ছেন। এতে করে বাজারের পরিবেশ নষ্ট হচ্ছে এমন অভিযোগ স্থানীয়দের।
পুলিশ জানায়, পৌর শহরের সড়ক বাজার এলাকায় ভূঁইয়া আবাসিক হোটেলে অসামাজিক কাজ চলছে গোপন সংবাদ মাধ্যমে খবর পেয়ে অভিযান চালানো হয়। এ সময় অসামাজিক কাজে জড়িত থাকায় দুই নারীসহ ৩ জনকে হাতেনাতে গ্রেফতার করা হয়। আখাউড়া থানার ওসি মোহাম্মদ আবুল হাসিম ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, আবাসিক হোটেলে অভিযান চালিয়ে অসামাজিক কাজে জড়িত থাকায় দুই নারীসহ ৩ জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। এসব অসামাজিক কার্যকলাপ বন্ধে আমরা নিয়মিত অভিযান পরিচালনা করছি। গ্রেফতারকৃতদের আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়েছে। তিনি আরো বলেন, অপরাধ নির্মূলে আমাদের অভিযান অব্যাহত রয়েছে।
চলারপথে রিপোর্ট :
ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার আখাউড়া নাছরীন নবী পাইলট বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের বার্ষিক ক্রীড়া প্রতিযোগিতা ও পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত হয়েছে। আজ ২৬ জানুয়ারি রবিবার দিনব্যাপী স্কুল প্রাঙ্গণে ক্রীড়া প্রতিযোগিতা অনুষ্ঠিত হয়।
‘পিড়িতের তাবিজ লাগবে গো তাবিজ’, বেদের মেয়ের সাজে এক শিক্ষার্থীর এমন হাঁক শুনে হাসিতে ভেঙ্গে পড়েন অনুষ্ঠানের প্রধান অতিথি উপজেলা নির্বাহী অফিসার গাজালা পারভিন রুহিসহ অতিথিরা। দু’দিকে মাথা নাড়িয়ে লজ্জায় ইউএনও ‘না’ বোধক ইঙ্গিত করেন তিনি। তবে, এসময় পাশে দাঁড়ানো উপজেলা বিএনপির সভাপতি জয়নাল আবেদীন আব্দু হাসতে হাসতে বলেন- লাগবে লাগবে। সাথে সাথে আরেক দফা হাসির রুল উঠে। পরে হাত বাড়িয়ে বেদের মেয়ের কাছ থেকে তাবিজ (!) নেন ইউএনও।
আখাউড়া উজেলার অন্যতম নারী শিক্ষা প্রতিষ্ঠান নাছরীন নবী পাইলট বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের বার্ষিক ক্রীড়া প্রতিযোগিতা ও পুরস্কার বিতরণ অনুষ্ঠানে এমন সুন্দর দৃশ্য দেখা যায়। রং বেরংয়ের পোষাক ও বাহারি সাজ আর দুর্দান্ত অভিনয়ের মাধ্যমে পিড়িতের তাবিজ ফেরি করে সবাইকে চমকে দেয় ওই শিক্ষার্থী। সকালে পৌরশহরের প্রাণকেন্দ্রে স্কুল মাঠে জাতীয় সঙ্গীতের সাথে পতাকা উত্তোলনের মধ্য দিয়ে অনুষ্ঠান শুরু হয়। এরপর কুচকাওয়াজ, ডিসপ্লে, বিভিন্ন খেলাধুলা, যেমন মানায় তেমন সাজোসহ শিক্ষা ও সচেতনতামূলক ইভেন্ট অনুষ্ঠিত হয়। দৌড়, ক্রিকেট, ব্যাডমিন্টন, মিউজিকেল চেয়ার, রশি লাফ খেলাধুলায় অংশ নেয় শিক্ষার্থীরা। এছাড়াও বাল্য বিবাহ রোধ ও ইভটিজিং বিষয়ে সচেতনতামূলক নাটিকায় অভিনয় করে শিক্ষার্থীরা। এছাড়াও বাল্য বিবাহ রোধ এবং ইভটিজিং বিষয়ে সচেতনতামূলক নাটিকা প্রদর্শন করে শিক্ষার্থীরা।
অনুষ্ঠানের শেষে এক শিক্ষার্থীর গানের সাথে গলা মেলান ইউএনও গাজালা পারভিন রুহি।
বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক দেবব্রত বণিকের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি ছিলেন উপজেলা বিএনপির সভাপতি মোঃ জয়নাল আবেদীন আব্দু, সাধারণ সম্পাদক ডাঃ খোরশেদ আলম, বিদ্যালয় পরিচালনা কমিটির সভাপতি ফকরুল আলম হানিফ, উপজেলা একাডেমিক সুপার ভাইজার কফিল উদ্দিন মাহমুদ, পৌর বিএনপির সভাপতি মোঃ সেলিম ভূইয়া, সাধারণ সম্পাদক মোঃ আক্তার খাঁন, উপজেলা জামায়াতের আমীর মাওঃ বোরহান উদ্দিন, বিদ্যালয়ের সহকারী প্রধান শিক্ষক কাজী মোঃ ইকবাল, বিএনপি নেতা মোঃ শাহনেওয়াজ খান, আবুল ফারুক বকুল, জালাল উদ্দিন জালাল, উপজেলা যুবদলের আহবায়ক মোঃ জাকির হোসেন প্রমুখ। এছাড়াও বিদ্যালয়ের শিক্ষকরা উপস্থিত ছিলেন।
অনুষ্ঠান সঞ্চালনা করেন শিক্ষক কাজী সাফিয়া খাতুন।
চলারপথে রিপোর্ট :
ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার আখাউড়ায় বাবার বাড়ি থেকে শ্বশুরবাড়ি ফেরার পথে তিন মেয়েসহ নিখোঁজ গৃহবধূর (২৮) সন্ধান পাওয়া গেছে।
আজ ৯ জুন রবিবার দুপুরে বগুড়ার এক ব্যক্তির বাড়ি থেকে তাদের উদ্ধার করে বিজয়নগর থানা পুলিশ। বিজয়নগর থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আসাদুল ইসলাম বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
ওসি জানান, ওই গৃহবধূ ও তার তিন সন্তানকে উদ্ধার করে পুলিশী হেফাজতে রাখা হয়েছে। গৃহবধূর জবানবন্দি নেওয়া হলে নিখোঁজের কারণ জানা যাবে। প্রসঙ্গত, গত ২ জুন রবিবার ওই গৃহবধূ ও তাদের তিন মেয়েকে নিয়ে শ্বশুর বাড়ি থেকে বিজয়নগর উপজেলার মিরাশানী (ভূঁইয়া বাড়ি) বাবার বাড়িতে বেড়াতে যায়। গত ৭ জুন শুক্রবার বেলা সাড়ে ১১টার দিকে তিনি তিন মেয়েকে নিয়ে আখাউড়া থেকে আবার শ্বশুর বাড়ির উদ্দেশ্যে অটোরিকশায় করে বিজয়নগরের সিঙ্গারবিল বাজারে আসেন। এরপর থেকে আশপাশের আত্মীয়-স্বজন, হাসপাতালসহ বিভিন্ন এলাকায় খোঁজ করেও তাদের কোনো সন্ধান পাওয়া যায়নি।
এ ঘটনায় ৮ জুন শনিবার নিখোঁজ গৃহবধূর বাবা আব্দুল আউয়াল ভূঁইয়া বিজয়নগর থানায় একটি সাধারণ ডায়েরি (জিডি) করেন।
মোহাম্মদ ইসমাইল হোসেন, আখাউড়া থেকে :
ব্রাহ্মণবাড়িয়ার আখাউড়ার মোগড়া ইউনিয়ন পরিষদ প্রশাসক এম এইচ মামুন তার দায়িত্ব নেওয়ার ছয় মাসের মাথায় সাধারন মানুষের কাছে নিজের জবাবদিহিতা তুলে ধরেন। আজ ১৩ মে মঙ্গলবার ইউনিয়ন পরিষদ কার্যালয়ে বক্তব্য রাখার প্রায় ২০ মিনিটের মাথায় তিনি সরে দাঁড়ানোর ঘোষণা দেন।
এ সময় উপস্থিত সুধীজন তাকে সিদ্ধান্ত বদলের অনুরোধ করেন। এম এইচ মামুন জানান, প্রাশসক হিসেবে দায়িত্ব নিয়ে তিনি যথাসাধ্য চেষ্টা করেছেন স্বচ্ছতার সঙ্গে করার। জনগনের মতামতকে গুরুত্ব দিয়ে তিনি কাজ করে গেছেন। কিন্তু তিনি এটাতে সময় দিতে গিয়ে নিজের পেশার ক্ষতি হচ্ছে। আরো ভালো জায়গায় যাওয়ার প্রত্যাশা তিনি করছেন।
এম এইচ মামুন আখাউড়া প্রতিবন্ধী সেবা কেন্দ্রের কনসালটেন্ট। চাকরির পাশাপাশি তিনি সড়ক বাজারে ব্যক্তিগত চেম্বারে বসেন। উপজেলা বিএনপির সাধারন সম্পাদক ডা. খোরশেদ আলমের ছেলে তিনি।
এম এইচ মামুন জানান, তিনি কোনো চাপে নতি স্বীকার করেননি। তাকে কোথাও কেউ চাপ প্রয়োগ করতে পারবে এমনও না। তবে একটি মহল তাকে বিতর্কিত করার চেষ্টা করেছে। তার বিরুদ্ধে মিথ্যা অভিযোগ দেয়। তবে এটা তদন্তে প্রমাণ হয়নি।
তিনি বলেন, ‘আমি অভিযোগ নিয়ে বিচলিত ছিলাম না। তবে মর্মাহত হয়েছি।’ বিএনপি’র কিছু লোক তার পিছনে লেগেছিলো বলেও তিনি অভিযোগ করেন।
এ সময় উপস্থিত লোকজন এম এইচ মামুনকে দায়িত্ব না ছাড়ার জন্য বারবার অনুরোধ করতে থাকেন। এ সময তারা মামুনকে অনুরোধ করে বলেন, ‘এত স্বচ্ছতার সঙ্গে কাজ করার পর কেউ চলে যাক আমরা চাই না। এতে দুষ্টচক্র উৎসাহিত হবে।’ এ সময় কয়েকজন ইউপি মেম্বারও তাকে একই অনুরোধ করেন।
চলারপথে রিপোর্ট :
আন্তঃনগর ট্রেনের টিকিটসহ মো. কালু (৪১) নামে এক কালোবাজারিকে গ্রেফতার করেছে রেলওয়ে থানা পুলিশ।
আজ ১৭ জুলাই বৃহস্পতিবার সকালে রেলওয়ে স্টেশনের টিকিট কাউন্টারের সামনে টিকিট বিক্রির সময় তাকে হাতেনাতে গ্রেফতার করা হয়।
আখাউড়া রেলওয়ে থানার ওসি মো. শফিকুল ইসলাম আজ দুপুরে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। গ্রেফতারকৃত মো. কালু ব্রাহ্মণবাড়িয়া পৌর এলাকার মো. সাচ্চু মিয়ার ছেলে।
ওসি মো. শফিকুল ইসলাম বলেন, কালুর কাছ থেকে আন্তঃনগর ট্রেনের পাঁচটি টিকিট পাওয়া যায়। এসব টিকিটে ১৭টি আসন রয়েছে। অভিযানের সময় তার কাছ থেকে টিকিট বিক্রির পাঁচ হাজার ১০০ টাকা জব্দ করা হয়। তার বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করে ব্রাহ্মণবাড়িয়ার আদালতে পাঠানো হয়েছে।
চলারপথে রিপোর্ট :
ইচ্ছা ছিল হেলিকপ্টারে চড়ে ছেলের বিয়ে দিয়ে পুত্রবধূকে ঘরে তুলবেন। সেই ইচ্ছা পূরণ হয়েছে আখাউড়া উপজেলার ধরখার ইউনিয়নের ছতুরা শরিফ গ্রামের বাসিন্দা ইতালি প্রবাসী মো.জহিরুল হক জুরুর।
আজ ১৩ ফেব্রুয়ারি সোমবার জেলার আখাউড়া পৌরশহরের কলেজপাড়া এলাকার সৌদি আরব প্রবাসী মো. সাকের আহমদ কবিরের মেয়ে তাবাচ্ছুম আক্তার স্নেহার সঙ্গে বিয়ের পিঁড়িতে বসেন বর ইতালি প্রবাসী হৃদয় হক।
জানা গেছে, আখাউড়া উপজেলার ধরখার ইউনিয়নের ছতুরা শরিফের ছতুরা শরিফ স্কুল মাঠ থেকে দুপুর আড়াইটার দিকে হেলিকপ্টারে চড়ে উপজেলার শহীদ স্মৃতি সরকারি কলেজ মাঠে অবতরণ করেন বর। পরে পৌরশহরের কলেজপাড়ার বাঁধন কমিউনিটি সেন্টারে বিয়ের আনুষ্ঠানিকতা সম্পূর্ণ করা হয়। আনুষ্ঠানিকতা শেষে বিকালে নববধূকে নিয়ে আবারো একই হেলিকপ্টারে করে নিয়ে আসেন।
এদিকে নববধূ ও হেলিকপ্টার দেখতে কলেজ শিক্ষার্থীসহ মাঠে উৎসুক মানুষের ভিড় জমে। আর এসব সামাল দিতে পুলিশকে রীতিমতো হিমশিম খেতে হয়।
আখাউড়া থানার ওসি মো. আসাদুল ইসলাম জানান, বিয়ের বিষয়টা তাদের আগেই জানানো হয়েছিল। তাই যাতে কোনো বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি না হয় সেজন্য আগে থেকেই ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে।
বরের বাবা মো. জহিরুল হক জুরু জানান, আমার স্বপ্ন ছিল ছেলেকে হেলিকপ্টার দিয়ে বিয়ে করাব। মহান আল্লাহ আমার ইচ্ছা পূরণ করেছেন। আমার বাকি ছেলে ও এক মেয়েকেও হেলিকপ্টারে চড়ে বিয়ে করাব।
মেয়ের জামাই হেলিকপ্টারে চড়ে বিয়ে করতে আসায় খুশি বরের শ্বশুর সাকের আহমদ কবির। তিনি বলেন, আমি গর্বিত যে জামাই হেলিকপ্টারে আমার মেয়েকে নিতে এসেছে। আমি খুবই আনন্দিত। আল্লাহ যেন তাদের দাম্পত্য জীবন সুখী করেন।