চলারপথে রিপোর্ট :
বিএনপির আন্তর্জাতিক বিষয়ক সহ-সম্পাদক ব্যারিস্টার রুমিন ফারহানা বলেন, ‘সকল জুলুমেরই শেষ আছে। আওয়ামী লীগ মনে করেছিল, যতোদিন তারা বেঁচে থাকবে ততোদিন ক্ষমতায় থাকবে। দেশের মানুষ তাদের জবাব দিয়ে দিয়েছে। এমন কোনো দিন নেই বিএনপির নেতাকর্মীদের বাড়িতে পুলিশ তল্লাশি আর হামলা হয়নি। এমন কোনো দিন নেই- রাত নেই শান্তিতে আমরা ঘুমাতে পেরেছি।’ দেশের মানুষ তাদের জবাব দিয়ে দিয়েছে। মানুষের সমর্থন ও ভালোবাসা যদি থাকে তাহলেই রাজনীতি করা যায়।
আজ ২৯ নভেম্বর শুক্রবার বিকেলে ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার সরাইল উপজেলার অন্নদা সরকারি উচ্চ বিদ্যালয় মাঠে বিএনপির কর্মী সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন তিনি। তিনি আরও বলেন, বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান বলেছেন, বর্তমান অন্তর্বর্তী সরকারকে কোনোভাবে ব্যর্থ হতে দেওয়া যাবে না। বিএনপি আশা করে এ সরকার গণমানুষের দাবির প্রতি লক্ষ্য রেখে দ্রুত একটি অবাধ, সুষ্ঠ এবং অংশগ্রহণমূলক নির্বাচনের আয়োজন করবে। বিএনপি আর কোনো ষড়যন্ত্র দেখতে চায় না। আরেকবার ফ্যাসিবাদের পদধ্বনি শুনতে চায় না। বিএনপি চায় না নির্বাচনকালীন সময় ব্যবহার করে আবারও কোনো দুষ্কৃতকারী বাংলাদেশের মানুষের ঘাড়ে চেপে বসে।
বিএনপি নেতাকর্মীদের ওপর বিগত আওয়ামী লীগ সরকারে জুলুম-নির্যাতনের কথা উল্লেখ করে রুমিন ফারহানা বলেন, সবাই এখন ঐক্যবদ্ধ থাকার সময়। ষড়যন্ত্র বন্ধ হয়নি। আমরা ঐক্যবদ্ধ থেকে একটি নির্বাচন যদি আদায় করতে না পারি, তাহলে আন্দোলনের বিজয় ধুলিসাৎ হয়ে যাবে। সবাই ঐক্যবদ্ধ থাকলে কোনো ষড়যন্ত্রকারীর শক্তি বিএনপিকে পরাজিত করতে পারবে না।
এ সময় রুমিন ফারহানা আগামী সংসদ নির্বাচনে ব্রাহ্মণবাড়িয়া-২ (সরাইল-আশুগঞ্জ) থেকে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করে বিজয়ী হতে পারলে নানা উন্নয়ন কর্মকাণ্ড বাস্তবায়ন করার ঘোষণা দেন।
সরাইল উপজেলা বিএনপির সাবেক সাধারণ সম্পাদক আনোয়ার হোসেনের সভাপতিত্বে আয়োজিত সমাবেশে বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন জেলা বিএনপির সাবেক সভাপতি হাফিজুর রহমান মোল্লা কচি ও সাবেক সাধারণ সম্পাদক জহিরুল হক, সাবেক যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক এ. বি. এম. মোমিনুল হক ও জেলা ছাত্রদলের সাবেক সভাপতি ফুজায়েল চৌধুরী।
চলারপথে ডেস্ক :
আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেছেন, বিএনপিতে উকিল সাত্তারের অভাব নেই। বিএনপির অনেকেই নির্বাচনে অংশ নিতে তলে তলে সরকারের সঙ্গে যোগাযোগ করছে।
আজ ১০ এপ্রিল সোমবার বিকেলে রাজধানীর বঙ্গবন্ধু এভিনিউয়ে ঢাকা মহানগর দক্ষিণ আওয়ামী লীগ আয়োজিত শান্তি সমাবেশে তিনি এ কথা বলেন। বিএনপি-জামায়াতের সন্ত্রাস, জঙ্গিবাদ, নৈরাজ্য, অপরাজনীতি ও অব্যাহত দেশবিরোধী ষড়যন্ত্রের বিরুদ্ধে এ শান্তি সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়।
সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্যে ওবায়দুল কাদের বলেন, আজকে রাজনীতিতে নতুন খেলা শুরু হয়ে গেছে। এ খেলা চক্রান্তের খেলা, এ খেলা ষড়যন্ত্রের খেলা। নির্বাচন যতই ঘনিয়ে আসছে বিএনপি ভাবছে এবং তারা জানে, আগামী নির্বাচনে শেখ হাসিনার বিজয় অনিবার্য। তারা জানে, শেখ হাসিনাকে হারানো যাবে না।
তিনি আরও বলেন, তাদের পলাতক দণ্ডপ্রাপ্ত আসামিও বুঝে গেছে বাংলাদেশে শেখ হাসিনার সঙ্গে নির্বাচন করে লাভ নেই। এটা বুঝতে পেরে আজকে ফখরুলের মনের জোর কমে যাচ্ছে। মনের জোর কমছে, গলার জোর বাড়ছে। এখন প্রতিনিয়ত অদ্ভুত অদ্ভুত কথাবার্তা বলছে। এখন মনে হয় বেপরোয়া গাড়ির চালকের মতো রাজনীতির বেপরোয়া চালক ফখরুল যেভাবে পথ হারিয়ে দিশেহারা হয়ে গাড়ি চালাচ্ছে, তাতে যেকোনো সময় না দুর্ঘটনা হয়ে যায়। রাজনীতির দুর্ঘটনা ঘটার পথে হাঁটছে বিএনপি। এই অপশক্তিকে ঠেকাতে হবে।
সিটি করপোরেশনের নির্বাচন নিয়ে ওবায়দুল কাদের বলেন, নিয়ম মাফিক সিটি নির্বাচন হতে যাচ্ছে। নির্বাচন কমিশন নিরপেক্ষ নির্বাচন করবে। তাতে ফখরুলের এত মাথাব্যথা কেন? কী অসুবিধা বিএনপির?
তিনি বলেন, বিএনপি ঘোমটা পরা প্রার্থী দেয়, প্রকাশ্যে আসে না। নিয়ম অনুযায়ী সিটি নির্বাচন হবে। কেউ আসুক বা না আসুক। নির্বাচন কারও জন্য থেমে থাকবে না। এখানেও তাদের ভয়। কারণ, এখানে হেরে গেলে জাতীয় নির্বাচনে আর সম্ভব না। এজন্য তারা ভয় পাচ্ছে।
ওবায়দুল কাদের বলেন, আওয়ামী লীগ সন্ত্রাসের রাজনীতি করে না। আওয়ামী লীগ সন্ত্রাসকে ঘৃণা করে। ঘৃণা করে বলেই ১৪ বছর ধরে একনাগারে শেখ হাসিনা ক্ষমতায়। আওয়ামী লীগ রাজনীতি করে মানুষের জন্য। আর বিএনপির রাজনীতি হচ্ছে তাদের পকেটের জন্য।
ঢাকা মহানগর দক্ষিণ আওয়ামী লীগের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি নুরুল আমিন রুহুলের সভাপতিত্বে শান্তি সমাবেশে বক্তব্য রাখেন আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য অ্যাডভোকেট কামরুল ইসলাম, ডাক্তার মোস্তফা জালাল মহিউদ্দিন, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মাহবুব উল আলম হানিফ, ঢাকা মহানগর দক্ষিণ আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক হুমায়ূন কবিরসহ কেন্দ্রীয় ও মহানগর আওয়ামী লীগের নেতৃবৃন্দ।
জেলাপরিষদ চেয়ারম্যান, যুদ্ধাহত বীর মুক্তিযোদ্ধা আল-মামুন সরকার এক বিবৃতিতে, জাতীয় সংসদের ব্রাহ্মণবাড়িয়া-২ আসনের উপ-নির্বাচনে স্বতন্ত্র প্রার্থী উকিল আবদুস সাত্তারের বিজয়কে ‘ষড়যন্ত্র ও অপরাজনীতির বিরুদ্ধে গণতন্ত্রের বিজয় হিসাবে’’ উল্লেখ করে একটি সুষ্ঠ নির্বাচন উপহার দেওয়ায় তিনি সরাইল ও আশুগঞ্জ নির্বাচনি এলাকার ভোটার এবং নির্বাচন সংশ্লিষ্ট সকলকে ধন্যবাদ জানিয়েছেন।
বিবৃতিতে তিনি উপ-নির্বাচনে কম ভোটার উপস্থিতির বিষয় উল্লেখ করে বলেন, উপ-নির্বাচনটিতে রাজনৈতিক দল ভিত্তিক প্রার্থী বা প্রতিযোগীতা এবং শক্তিশালী প্রতিদ্বন্দ্বি না থাকায় নির্বাচনে উত্তাপ ছিলনা। সে কারণে ভোটারদের আগ্রহ ও কাক্সিক্ষত উপস্থিতি ছিলনা।
তবে, সুষ্ঠ ও শান্তিপূর্ণ নির্বাচন অনুষ্ঠানের ফলে ‘বিএনপি’র নির্বাচন বর্জন বা প্রতিহতের ঘোষণা’ জনগণ কর্তৃক প্রত্যাখাত হয়ে বিএনপি একটি জনসমর্থন বিহীন ক্ষয়িষ্ণু রাজনৈতিক দল হিসাবে প্রমাণিত হয়েছে।-প্রেস বিজ্ঞপ্তি
চলারপথে রিপোর্ট :
ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার সরাইল উপজেলা প্রশাসনের উদ্যোগে যথাযোগ্য মর্যাদায় পালিত হয়েছে মহান স্বাধীনতা ও জাতীয় দিবস-২০২৪। গতকাল মঙ্গলবার সূর্যোদয়ের সাথে ৩১ বার তোপধ্বনির মাধ্যমে দিবসটির সূচনা করা হয়। শহীদ মিনারে পুষ্পস্তবক অর্পণ করে স্বাধীনতা যুদ্ধে শহীদদের শ্রদ্ধা জানান স্থানীয় এমপি’র প্রতিনিধিরা, উপজেলা পরিষদ, প্রশাসন, স্থানীয় মুক্তিযোদ্ধা সংসদ, আওয়ামীলীগ, পুলিশ প্রশাসন, উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স, সরাইল সরকারি কলেজ, মহিলা কলেজ, সরাইল প্রেসক্লাব, জাতীয় পার্টি, বিএনপি, মুক্তিযোদ্ধা প্রজন্ম লীগ, স্বেচ্ছাসেবক লীগ, উপজেলা পূঁজা উদযাপন পরিষদ, উদীচী শিল্পী গোষ্ঠিসহ বিভিন্ন সরকারি বেসরকারি সামাজিক সাংস্কৃতিক ও স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন।
সরাইল উপজেলার সকল স্কুল কলেজ, সরকারি, আধাসরকারি, স্বায়ত্বশাসিত প্রতিষ্ঠান সমূহ ও বেসরকারি ভবনে জাতীয় পতাকা উত্তোলন করা হয়।
সকাল ৮টায় সরাইল অন্নদা সরকারি উচ্চ বিদ্যালয় মাঠে উপজেলা প্রশাসন ও ক্রীড়া সংস্থার ব্যবস্থাপনায় অনুষ্ঠিত হয় পুলিশ, আনসার-ভিডিপি, ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্স, স্কাউট এন্ড গার্ল ইন স্কাউট, কাবদল সহ বিভিন্ন সংগঠনের সমাবেশ, ডিসপ্লে, কুচকাওয়াজ ও ক্রীড়া প্রতিযোগিতা।
মাঠে উপস্থিত ছিলেন ২৪৪ ব্রাহ্মণবাড়িয়া-২ (সরাইল-আশুগঞ্জ) আসনের সংসদ সদস্য ও পার্বত্য চট্টগ্রাম বিষয়ক মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সদস্য মোঃ মঈন উদ্দিন, উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান রফিক উদ্দিন ঠাকুর, নির্বাহী কর্মকর্তা মো. মেজবা উল আলম ভূঁইয়া, অফিসার ইনচার্জ মোহাম্মদ এমরানুল ইসলাম, সরাইল সরকারি কলেজের অধ্যক্ষ মৃধা আহমাদুল কামাল। বেলা ২টায় উপজেলা পরিষদ মিলনায়তনে বীর মুক্তিযোদ্ধা ও শহিদ মুক্তিযোদ্ধা পরিবারবর্গকে দেয়া হয় সংবর্ধনা।
ইউএনও’র সভাপতিত্বে সংবর্ধনা সভায় উপস্থিত ছিলেন উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান রফিক উদ্দিন ঠাকুর। সমাজসেবা কর্মকর্তা মো. পারভেজ আহমেদের সঞ্চালনায় বক্তব্য রাখেন-সরকারি কমিশনার (ভূমি) নাছরিন সুলতানা, সিনিয়র সহকারি পুলিশ সুপার (সরাইল সার্কেল) মো. রকিবুল হাসান, মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান রোকেয়া বেগম, মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডার মো. ইসমত আলী, ডেপুটি কমান্ডার মো. আনোয়ার হোসেন,সরাইল মহিলা কলেজের অধ্যক্ষ মোহাম্মদ বদর উদ্দিন, আওয়ামীলীগ নেতা বীর মুক্তিযোদ্ধা অ্যাড. আব্দুর রাশেদ, মহিলা কলেজের সভাপতি মো. মাহফুজ আলী, প্রেসক্লাবের সভাপতি মোহাম্মদ আলী ও মুক্তিযোদ্ধা প্রজন্ম লীগের যুগ্ম আহবায়ক মো. বাবুল হোসেন। একই স্থানে অনুষ্ঠিত হয় “জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান এঁর ঐতিহাসিক নেতৃত্ব এবং দেশের উন্নয়ন” বিষয়ক আলোচনা সভা। হাসপাতাল ও এতিমখানায় পরিবেশন করা হয় উন্নতমানের খাবার।
মসজিদ মন্দির ও গীর্জায় বিশেষ প্রার্থনা করা হয়।
এর আগে গত ২৫ মার্চ বীর মুকিযোদ্ধাদের কন্ঠে গণহত্যার স্মৃতিচারণ মূলক আলোচনা ও শহিদদের স্বরণে শহীদ মিনারে মোমবাতি প্রজ্জ্বলন করা হয়।
চলারপথে রিপোর্ট :
ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার সরাইলে যথাযোগ্য মর্যাদায় ভাষা দিবস তথা মহান ২১ ফেব্রুয়ারি পালনের লক্ষ্যে প্রস্তুতি সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে।
আজ ১২ ফেব্রুয়ারি সোমবার সকালে নির্বাহী কর্মকর্তা মো. মেজবা উল আলম ভূঁইয়ার সভাপতিত্বে ওঁর কার্যালয়ে অনুষ্ঠিত সভায় জনপ্রতিনিধি, সরকারি কর্মকর্তা, অধ্যক্ষ, কলেজ শিক্ষক, শিক্ষক, গণমাধ্যম কর্মী, সাহিত্যিক, রাজনীতিবিদসহ নানা শ্রেণি পেশার লোকজন উপস্থিত ছিলেন।
সভায় ইউএনও বলেন, মহান ২১ ফেব্রুয়ারি যথাযোগ্য মর্যাদায় পালনের সরকারি ভাবে দেয়া কর্মসূচির মধ্যে জাতীয় পতাকা উত্তোলনে পরিবর্তন বা প্রস্তাব এসেছে। নতুন নিয়মে জাতীয় অর্ধনমিত করতে হবে ব্যবহৃত খুঁটি বা লাঠির চার ভাগের এক ভাগ নীচে। অর্থাৎ খুঁটিকে মেপে সমান চার ভাগ করে উপরের অংশের এক ভাগের শেষ সীমানায় নীচের অংশে পতাকার উপরের অংশের ফিতা বাঁধতে হবে। এরপর টান দিয়ে নীচে যতটুকু যায় বেঁধে ফেলতে হবে। শহিদ মিনারে পুষ্ফস্তবক অর্পণ ও আলোচনা সভা, রচনা ও চিত্রাংকন প্রতিযোগিতা পূর্বের মতই আছে। সভায় সরাইল মহিলা কলেজের ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ মোহাম্মদ মাহবুব খান প্রস্তাব করেন, ভাষা আন্দোলনের ৭১ বছর পরও সরাইলে কিন্ডার গার্টেন, প্রাথমিক, মাধ্যমিক, মাদ্রসা ও কলেজসহ মোট ২২৫টি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে আদৌ নির্মাণ হয়নি শহিদ মিনার। সরকারি/ বিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ/ স্থানীয় জনপ্রতিনিধি/ বিত্তশালী ব্যক্তিবর্গের সহায়তায় প্রত্যেকটি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে ছোট করে হলেও দ্রুত শহিদ মিনার নির্মাণ করা হউক। ফলে নতুন প্রজন্ম খুবই উপকৃত হবে।
অন্যান্যের মধ্যে সভায় বক্তব্য রাখেন- সহকারী কমিশনার (ভূমি) নাছরিন সুলতানা, সরাইল সরকারী কলেজের অধ্যক্ষ মৃধা আহমাদুল কামাল, স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা: মো. নোমান মিয়া, মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা সহিদ খালিদ জামিল খান, প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা নৌশাদ মাহমুদ, বিআরডিবি কর্মকর্তা মাসুদ রানা, মৎস্য কর্মকর্তা মুকসুদ হোসেন, সরাইল প্রেসক্লাবের আহ্বায়ক মো. আইয়ুব খান প্রমুখ।
চলারপথে রিপোর্ট :
ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার সরাইল ব্যাটালিয়ন (বিজিবি-২৫) অবৈধভাবে ভারত হতে বাংলাদেশে প্রবেশের সময় মো. মামুন-অর-রশিদ (২৪) নামে একজন বাংলাদেশিকে আটক করেছে।
আজ ৩০ নভেম্বর শনিবার সকাল ৬ টা ৩০ মিনিটে হবিগঞ্জের মাধবপুরে সরাইল ব্যাটালিয়ন (বিজিবি ২৫) এর ধর্মঘর বিওপির টহলদল সীমান্ত পিলার ১৯৯৬/২৫-এস হতে আনুমানিক ১০০ গজ বাংলাদেশের অভ্যন্তরে সন্তোষপুর হতে তাকে আটক করতে সক্ষম হয়।
তিনি রাজশাহী জেলার গোদাগাড়ী উপজেলার মাটিকাটার সাউ গান ঘুটনটি গ্রামের মো. মোয়াজ্জেম এর ছেলে।
আটককৃতকে জিজ্ঞাসাবাদে জানা যায়, ভারতের অভ্যন্তরে চেন্নাই রাজমিস্ত্রী কাজের জন্য আনুমানিক ২ বছর পূর্বে রাজশাহী সীমান্ত দিয়ে অবৈধভাবে ভারতে গমন করে।
পরবর্তীতে ৩০ নভেম্বর শনিবার ভারত হতে বাংলাদেশে প্রবেশের সময় ধর্মঘর বিওপির টহলদলের নিকট আটক হন। এসময় এই অবৈধ অনুপ্রবেশকারীর নিকট হতে বিভিন্ন প্রকার ভারতীয় প্রসাধনী সামগ্রী-৪৪ পিছ পাওয়া যায়। এরপর মালামালসহ তার নামে মাধবপুর থানায় মামলা দায়ের করা হয় এবং আসামি হস্তান্তরের কার্যক্রম প্রক্রিয়াধীন রয়েছে।
এ বিষয়ে লে. কর্ণেল ফারাহ মোহাম্মদ ইমতিয়াজ বিজিওএম পিএসসি সিগন্যালস বিজিবি-২৫ বলেন, সীমান্ত দিয়ে যাতে অবৈধভাবে কোনো প্রকার অবৈধ অনুপ্রবেশকারী সীমান্ত অতিক্রম করতে না পারে, এ ব্যাপারে সরাইল ব্যাটালিয়ন (বিজিবি ২৫) বদ্ধপরিকর। এ ব্যাপারে সরাইল ব্যাটালিয়ন (বিজিবি ২৫) এর অভিযান চলমান থাকবে।