চলারপথে রিপোর্ট :
নাসিরনগর উপজেলার সদর ইউনিয়নে ভূমি অধিগ্রহণ না করেই ব্যক্তিমালিকানা জায়গা চলছে সেতু নির্মাণের কাজ শুরুর অভিযোগ উঠেছে স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তরের (এলজিইডি) বিরুদ্ধে। এ ঘটনায় ক্ষতিগ্রস্ত এক জমির মালিক ঠিকাদারকে প্রধান আসামি করে আদালতে মামলা দায়ের করেছেন। ঘটনাটি ঘটেছে উপজেলার সদর ইউনিয়নের নাসিরপুর গ্রামে। আরো অন্তত ছয়টি সেতুর কাজেও জমি অধিগ্রহণ করা হয়নি বলে অভিযোগ রয়েছে।
১৯ জানুয়ারি অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট হেলেনা পারভীন মামলাটি আমলে নিয়ে সেতু নির্মাণে অস্থায়ী নিষেধাজ্ঞা জারি করেন। ঠিকাদারকে আদালতে হাজির হয়ে কারণ দর্শানোর নির্দেশও দিয়েছেন বলে জানা গেছে।
মামলা করা ক্ষতিগ্রস্ত জমির মালিক সত্যরঞ্জন বিশ্বাস। তিনি উপজেলার সদর ইউনিয়নের নাসিরপুর গ্রামের নারায়ণ চন্দ্র বিশ্বাসের ছেলে। অভিযুক্ত ঠিকাদার মো. কামাল মিয়া জেলা শহরের বাসিন্দা। তাঁর দাবি, সরকারি নির্দেশনা অনুযায়ী কাজ চলছে।
মামলা সূত্র ও সংশ্লিষ্টরা জানিয়েছে, ৯টি সেতু নির্মাণ প্রকল্পের আওতায় নাসিরপুর গ্রামের সেতুটির কুকুরিয়া খালের পূর্ব পাশে ৬৯ শতাংশ জমির মালিক সত্যরঞ্জন বিশ্বাস। সত্যরঞ্জনের জমির পাশেই সরকারি খাস জায়গা রয়েছে। আদালত নির্মাণ বন্ধ রাখতে বললেও ঠিকাদার কাজ চালিয়ে যাওয়ায় গত ২১ জানুয়ারি নাসিরনগর থানায় লিখিত অভিযোগ দেন সত্যরঞ্জন। পরে এসআই মো. ইছাক মিয়া কাজ বন্ধ করতে বলেন। এর পরও কাজ করছেন ঠিকাদার।
এলজিইডি সূত্রে জানা গেছে, বিশ্বব্যাংকের অর্থায়নে নাসিরনগর থেকে চাতলপাড় হয়ে সরাইলের অরুয়াইল পর্যন্ত তিনশ কোটি টাকা ব্যয়ে ৯টি সেতু ও ২৩ কিলোমিটার সড়কের নির্মাণকাজ চলছে। সবক’টির দরপত্র আহ্বান করা হয়েছে ২০২০-২১ অর্থবছরে। এর মধ্যে কুকুরিয়া খালের ওপর সেতুটির দৈর্ঘ্য ৩০০ ফুট ও প্রস্থ ১৮ ফুট। এটি নির্মাণে বরাদ্দ ১২ কোটি টাকা। কাজ পেয়েছে ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান মামুন এন্টারপ্রাইজ। যার মালিক কামাল মিয়া।
সরেজমিনে ঘুরে ও উপ-সহকারী প্রকৌশলী ইছাক মিয়ার তথ্য অনুযায়ী, কুকুরিয়া সেতুর পাশাপাশি আরও ছয়টির কাজ নিয়ে জটিলতা তৈরি হয়েছে। ভলাকুট ইউনিয়নের ২ নম্বর সেতু নির্মাণের জন্য দু’পাশে নির্মাণসামগ্রী রাখা হয়েছে। ২০২২ সালের ২২ ডিসেম্ভর কাজ শেষ করার কথা ছিল। তবে ভূমি অধিগ্রহণ না করায় কাজ শুরু করতে পারেননি ঠিকাদার। ৪ নম্বর সেতুটি হওয়ার কথা বালিখোলা গ্রামে। এ অংশে প্রায় ১৫ বিঘা জমি অধিগ্রহণ করতে হবে। আগামী ৭ জুলাই মেয়াদ শেষ হওয়ার কথা থাকলেও ২০ শতাংশ কাজও হয়নি।
চাতলপাড়’র চকবাজার এলাকায় ৫ নম্বর সেতুর জন্য ৩০ শতাংশ জমি অধিগ্রহণ প্রয়োজন। ভলাকুটের কান্দি গ্রামে ৬ নম্বরটির জন্য দুই বিঘা জমি অধিগ্রহণ করতে হবে। তবে ৮ ও ৩ নম্বর সেতুর অধিগ্রহণ হয়েছে। বাকি সাতটি সেতুর ভূমি অধিগ্রহণ করা হয়নি। সেতুগুলোর মধ্যে ৫ ও ৭ নম্বর ছাড়া বাকিগুলোর কাজ চলমান।
ভলাকুট সেতু এলাকার জমির মালিক আব্দুল বাছির মিয়াসহ আরো চারজনের ২০ শতাংশ জমি অধিগ্রহণ করা হয়নি। আব্দুল বাছিরের দাবি, জমি অধিগ্রহণ না করেই উপজেলা প্রকৌশলী জোর করে সেতু নির্মাণ করতে চান। জমির মূল্য না দিলে পরিবার-পরিজন নিয়ে পথে বসতে হবে।
সত্যরঞ্জন বিশ্বাস বলেন, নাসিরপুর মৌজার ৬৯ শতাংশ জায়গা তিনি ক্রয়সূত্রে মালিক। পাশেই খাসজমি রয়েছে। সরকার এ জমিতে সেতু করতে পারে। কিন্তু কিছু অসাধু লোকের পরামর্শে এলজিইডির কর্তাব্যক্তিরা তাঁর জায়গায় সেতুর কাজ চলমান রেখেছেন। সরকারি উন্নয়নকাজ হোক, তবে ক্ষতিপূরণও দিতে হবে।
উপজেলা প্রকৌশলী সৈয়দ জাকির হোসেন বলেন, ‘আমরা কারও জমিতে জোর করে সেতু নির্মাণ করার পক্ষে নই। কারও জমি সেতু এলাকায় পড়লে মূল্য পরিশোধ করা হবে।’
এ বিষয়ে জানতে চাওয়া হলো নাসিরনগর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোঃ ফখরুল ইসলাম জানান কারও ব্যক্তিমালিকানার জমি সেতু ও সংযোগ সড়কের পাশে থাকলে তা অবশ্যই অধিগ্রহণ করা হবে।
নাসিরনগর প্রতিনিধি :
নাসিরনগরে সিএনজি চালিত অটোরিক্সা আটকে গণডাকাতি হয়েছে বলে অভিযোগ উঠেছে। আজ ২৭ জানুয়ারি শুক্রবার ভোররাতে উপজেলার চাপরতলা ইউনিয়নের চাপড়তলা-ছাতিয়াইন সড়কের বুড়ইউরি গ্রামের পাশে এই ঘটনা ঘটে। ডাকাতরা কমপক্ষে ৩০টি অটোরিক্সা আটকে এর যাত্রীদেরকে মারধোর করে তাদের কাছ থেকে স্বর্ণালংকার, মোবাইল ফোন ও প্রায় নগদ ৩ লাখ টাকা নিয়ে যায়। ডাকাতদের মারধোর ও দায়ের কোপে মহিলাসহ কমপক্ষে ৩০জন আহত হয়েছে। তবে পুলিশের দাবি ডাকাতদের হামলায় ৪/৫ জন আহত হয়েছে। ডাকাতরা কয়েকটি সিএনজি চালিত অটোরিক্সা ছিনিয়ে নিতে চেয়েছিলো কিন্তু নিতে পারেনি।
এলাকাবাসী ও স্থানীয় জনপ্রতিনিধি সূত্রে জানা গেছে, বৃহস্পতিবার রাতে উপজেলার চাপরতলা ইউনিয়নের খান্দুরা গ্রামে ওয়াজ মাহফিল অনুষ্ঠিত হয়। ওয়াজ মাহফিল শুনতে সেখানে হাজারো ধর্মপ্রাণ মানুষ সমবেত হন। ওয়াজ শুনে ভোর রাত ৪টার দিকে মুসল্লীরা অটোরিক্সায় করে বাড়িতে ফেরার পথে চাপরতলা-ছাতিয়াইন সড়কের বুড়ইউরি গ্রামের পাশে পৌছলে ২০/২৫ জনের একটি ডাকাত দল যাত্রীবাহী ৩০টি অটোরিক্সা আটক করে। পরে যাত্রীদেরকে নামিয়ে সড়কের পাশের জমিতে নিয়ে চোখ বেঁধে তাদের কাছ থেকে মোবাইল ফোন, নারীদের কাছ থেকে স্বর্ণালংকার ও নগদ টাকা লুটে নেয়।
যাত্রীদের চিৎকার শুনে তাদেরকে উদ্ধার করতে গেয়ে ডাকাতরা সাদ্দাম মিয়া নামে এক যুবকের হাতে রামদা দিয়ে কোপ দিলে তার হাতের চারটি আঙ্গুল বিচ্ছিন্ন হয়ে যায়। ডাকাতদের মারধোরে আহতদের মধ্যে আলফাজ মিয়া, ফয়েজ মিয়া, ছোয়াব মিয়া, আলাল মিয়া, রমজান মিয়া, জোবাইদ মিয়া, আনালক মিয়া, আবু কালাম মিয়া, ভুট্টু মিয়া, হৃদয় মিয়া, আনাল হক, সাদ্দাম মিয়া, আনোয়ারা বেগম, শরিফা বেগম, ইন্তেজ আলী, লায়েছ মিয়া, ফায়েজ মিয়া ও আব্দুল মালেক মিয়ার নাম জানা গেছে।
শুক্রবার সকালে স্থানীয়রা আহতদের উদ্ধার করে নাসিরনগর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে আসে। এর মধ্যে আঙ্গুল হারারো সাদ্দামকে উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢাকা প্রেরণ করা হয়। নাসিরনগর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে আহত আলফাজ মিয়া ও আলাল মিয়া বলেন, খান্দুরা গ্রামে ওয়াজ মাহফিল শুনে শুক্রবার ভোররাতে অটোরিক্সা যোগে বাড়িতে আসার সময় চাপরতলা-ছাতিয়াইন সড়কের বুড়ইউরি গ্রামের পাশে পৌছলে ২০/২৫ জনের একটি ডাকাত দল আমাদের অটোরিক্সা গুলো আটক করে। পরে আমাদেরকে অটোরিকসা থেকে নামিয়ে পাশের জমিতে নিয়ে চোখ বেঁধে আমাদের কাছ থেকে মোবাইল ফোন, নগদ টাকা ও নারীদের স্বর্ণালংকার নিয়ে যায়। যাত্রীদের বাঁচাতে গিয়ে সাদ্দাম নামে এক যুবক এগিয়ে আসলে ডাকাতরা রামদা দিয়ে কোপ দিয়ে তার হাতের ৪টি আঙ্গুল বিচ্ছিন্ন করে। তিনি বলেন, তাদের সাথে প্রায় একশত যাত্রী ছিলো। ডাকাতরা সবার মোবাইল ফোন ও টাকা পয়সা নিয়ে যায়। তাদের মারধোরে কমপক্ষে ৩০জন যাত্রী আহত হন। তিনি বলেন, শুনেছি এই রাস্তায় প্রায়ই অটোরিক্সায় ডাকাতি হয়। এই রাস্তায় রাতের বেলা টহল পুলিশ থাকলে ডাকাতির ঘটনা ঘটতোনা।
এ ব্যাপারে চাপরতলা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মোঃ মনসুর আলী ও ইউপি সদস্য মোঃ হাবিব মিয়া আহত যাত্রীদের বরাত দিয়ে জানান, শুনেছি ভোররাতে ওয়াজ মাহফিল থেকে বাড়ি ফেরার পথে যাত্রীবাহী ৩০টি অটোরিক্সা ডাকাতের কবলে পড়ে। ডাকাতরা তাদের কাছে থাকা নগদ টাকা পয়সা, মোবাইল ফোন ও স্বর্ণালংকার নিয়ে যায়।
এ ব্যাপারে নাসিরনগর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোঃ হাবিবুল্লাহ সরকার জানান, শুক্রবার ভোররাতে বড়ইউরি গ্রামের পাশে অটোরিক্সায় ডাকাতি হয়েছে বলে শুনেছি। এ সময় ডাকাতদের হামলায় ৩ জন আহত হয়েছে। ডাকাতরা কয়েকটি সিএনজি চালিত অটোরিক্সা ছিনিয়ে নিতে চেয়েছিলো কিন্তু নিতে পারেনি। আমরা বিষয়টি তদন্ত করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেব।
চলারপথে রিপোর্ট :
নাসিরনগরে মোটর সাইকেলের ধাক্কায় আয়ুব আলী (৬০) নামে এক বৃদ্ধ নিহত হয়েছেন। আজ ৫ জুলাই বুধবার বিকাল ৪টার দিকে উপজেলার সদর ইউনিয়নের ব্রাহ্মণবাড়িয়া-হবিগঞ্জ সড়কের ধনকুড়া নামক স্থানে এই দুর্ঘটনা ঘটে। নিহত আয়ুব আলী সদর ইউনিয়নের ৮নং ওর্য়াডের মৃত আব্দুল মোমিনের ছেলে।
এ ঘটনায় মোটরসাইকেল চালক একই ইউনিয়নের দাঁতমন্ডল গ্রামের রোমান মিয়া আহত হয়েছে।
পুলিশ ও এলাকাবাসীর সূত্রে জানা যায়, বুধবার বিকাল ৪টার দিকে উপজেলা সদরে আসার জন্য ধনকুড়া এলাকায় গাড়ির জন্য অপেক্ষা করছিলেন আয়ুব আলী।
এসময় তিনজন আরোহীসহ একটি মোটর সাইকেল পিছন থেকে ধাক্কা দিলে মাথায় প্রচন্ড আঘাত পান আয়ুব আলী। পরে তাকে উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত ডাক্তার মৃত ঘোষণা করেন।
ধনকুড়া গ্রামের লোকমান মিয়া জানান, আয়ুব আলী বাজারে যাওয়ার জন্য রাস্তার পাশে গাড়ির জন্য অপেক্ষা করছিলেন। এসময় বেপরোয়া গতির একটি মোটর সাইকেল পিছন থেকে তাকে ধাক্কা দেয়।
নাসিরনগর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) হাবিবুল্লাহ সরকার ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, মোটর সাইকেলের ধাক্কা একজন নিহত হয়েছে। আইনানুযায়ী প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
চলারপথে রিপোর্ট :
বাংলাদেশ পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির কয়েকটি জেলার ১০ কর্মকর্তাকে বিভিন্ন অভিযোগের প্রেক্ষিতে স্থায়ীভাবে চাকুরি চাকরিচ্যুৎ করা হয়। এরই প্রতিবাদে কেন্দ্রীয় কমিটির সিদ্ধান্ত অনুযায়ী সংশ্লিষ্ট জেলার বিদ্যুৎ সাময়িক বন্ধ করে রাখা হয়েছে। দাবি আদায় না হলে বিদ্যুৎ সরবরাহ করা হবে না বলে নিশ্চিত করেন ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার নাসিরনগর পল্লীবিদ্যুৎ সমিতির জেনারেল ম্যানেজার মো. আমজাদ হোসেন।
বহিষ্কারাদেশে উল্লেখ করা হয়, পল্লী বিদ্যুৎ খাতকে অস্থিতিশীল করায় নিয়ন্ত্রণকারী কর্তৃপক্ষ বাংলাদেশ পল্লী বিদ্যুতায়ন বোর্ড এর নির্দেশনার প্রতি অবজ্ঞা প্রদর্শন এবং দাপ্তরিক শৃঙ্খলা পরিপন্থী কার্যকলাপে লিপ্ত থাকায় পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির চাকরি বিধি ১৯৯২ (সংশোধিত, ২০১২) অনুযায়ী চাকরি হতে অব্যাহতি দেয়া হলো।
চাকরি হতে স্থায়ী বহিস্কৃতরা হলো- ঢাকা পল্লী বিদ্যুৎ সমিতি ২ এর সহকারী জেনারেল ম্যানেজার মো. সালাহ উদ্দিন, ব্রাহ্মণবাড়িয়া পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির ডেপুটি জেনারেল ম্যানেজার মো. আসাদুজ্জামান ভূইয়া, নেত্রকোনা পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির সহকারী ম্যানেজার মনির হেসেন, মাগুরা পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির ডেপুটি জেনারেল ম্যানেজার মো. রাহাত, ঢাকা পল্লী বিদ্যুৎ সমিতি ১ এর সহকারী জেনারেল ম্যানেজার আব্দুল হাকিম, কুমিল্লা পল্লী বিদ্যুৎ সমিতি ৪ এর সিনিয়র সহকারী জেনারেল ম্যানেজার মো. জাকির হোসেন, নোয়াখালী পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির ওয়্যারিং পরিদর্শক সালাম জাবেদ, বরিশাল পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির জেনারেল ম্যানেজারমো. হুমায়ুন কবীর, মুন্সিগঞ্জ পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির সহকারী জেনারেল ম্যানেজার রাজন কুমার দাস ও কুমিল্লা পল্লী বিদ্যুৎ সমিতি ১ এর ডেপুটি জেনারেল ম্যানেজার দিপক কুমার সিংহ।
ব্রাহ্মণবাড়িয়া পল্লী বিদ্যুৎ সমিতি সূত্রে জানা যায়, পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির ৪৫ হাজার কর্মকর্তা-কর্মচারী দেশের ৮০ ভাগ অঞ্চলের প্রায় ১৪ কোটি মানুষকে বিদ্যুৎ সরবরাহ করেন। পল্লী বিদ্যুতায়ন বোর্ডের দ্বৈতশাসন ৪৭ বছর ধরে চলমান আছে। তাদের শোষণ, বৈষম্য ও নিপীড়ন থেকে মুক্তির জন্য আরইবি-পবিস একীভূতকরণসহ অভিন্ন চাকরিবিধি বাস্তবায়ন এবং সব অনিয়মিত ও চুক্তিভিত্তিক কর্মচারীদের নিয়মিতকরণের ২ দফা দাবি তোলা হয়। বিদ্যুৎ সচিবসহ প্রধান উপদেষ্টার দাবি তাদের দাবিকে যৌক্তিক বললেও বাস্তবায়ন না করে উল্টো আমাদের ১০ কর্মকর্তাকে চাকুরি থেকে স্থায়ীভাবে বহিষ্কার করা হয় এবং একজনকে আইসিটি আইনে গ্রেফতার করা হয়। যা আমাদের উদ্বিগ্ন করেছে।
নাসিরনগর পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির জেনারেল ম্যানেজার মো. আমজাদ হোসেন বলেন, আরইবির লোকজনের কেনা পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির জন্য নির্মাণসামগ্রী থেকে শুরু করে সব মালামাল খুবই নিম্নমানের। এসবের কারণে ভূতুড়ে বিল আসে। এর দায় আসে আমাদের ওপর। আমরা এসবের প্রতিবাদ করায় আমাদের ১০ কর্মকর্তার বিরুদ্ধে মামলা করা হয়েছে। চাকরি থেকে বহিষ্কার করা ১০ কর্মকর্তার সব মামলা বাতিল করে সসম্মানে চাকরিতে পূনর্বহালসহ আমাদের যৌক্তিক সকল দাবি না মানলে বিদ্যুৎ সরবরাহ বন্ধ থাকবে।
চলারপথে রিপোর্ট :
ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার নাসিরনগরে মাঠ থেকে গরু আনতে গিয়ে বজ্রপাতে এক গৃহবধূর মৃত্যু হয়েছে। আজ ৩০ মার্চ শনিবার বিকেল পাঁচটায় উপজেলার বুড়িশ্বর ইউনিয়নের শ্রীঘর গ্রামের পার্শ্ববর্তী ফসলি জমির মাঠে এ ঘটনা ঘটে বলে বিষয়টি নিশ্চিত করে জানিয়েছেন নাসিরনগর থানা ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো: সোহাগ রানা। নিহত আপন বেগম (৩৫) বুড়িশ্বর ইউনিয়নের শ্রীঘর (হাজী বাড়ির) মাহফুজ মিয়ার স্ত্রী।
পুলিশ ও স্থানীয়রা জানান, আজ শনিবার বিকেলে হঠাৎ করে গুড়িগুড়ি বৃষ্টি শুরু হয়। এর কিছুক্ষণ পর থেকে এলাকায় বজ্রসহ বৃষ্টি হতে থাকে। বৃষ্টির মধ্যেই আপন বেগম বাড়ির পাশে ফসলি জমির মাঠ থেকে গরু আনতে যান। এ সময় হঠাৎ বজ্রপাতে তিনি গুরুতর আহত হন। স্থানীয় লোকজন তাৎক্ষণিক তাকে উদ্ধার করে নাসিরনগর উপজেলা স্বাস্থ্য কেন্দ্রে নিয়ে গেলে চিকিৎসক পরীক্ষা-নিরীক্ষা করে তাকে মৃত ঘোষণা করেন।
বুড়িশ্বর ইউনিয়ন পারিষদের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান মো রুহুল আমিন বলেন, শুনেছি মাঠ থেকে গরু আনতে গিয়ে আপন বেগম নামে এক নারী নিহত হয়েছে। তিনি বজ্রপাতের সময় ঘর থেকে বের না হতে সবার প্রতি আহ্বান জানান।
চলারপথে রিপোর্ট :
যথাযোগ্য মর্যাদায় মহান স্বাধীনতা দিবস ও জাতীয় দিবসসহ মার্চ মাসে অনুষ্ঠিতব্য বিভিন্ন দিবস উদযাপন ও সুষ্ঠুভাবে বাস্তবায়ণের লক্ষ্যে আজ ৩ মার্চ রবিবার উপজেলা প্রশাসনের উদ্যোগে এক প্রস্তুতিমূলক সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে।
নাসিরনগর উপজেলা নিবার্হী কর্মকর্তা মোহাম্মদ ইমরানুল হক ভূঁইয়ার সভাপতিত্বে উপজেলা পরিষদ সম্মেলন কক্ষে অনুষ্ঠিত সভায় বক্তব্য রাখেন, উপজেলা চেয়ারম্যান মো: রাফি উদ্দিন আহমেদ, সহকারী কমিশনার ভূমি মোনাব্বর হোসেন, উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান সৈয়দ ফজলে ইয়াজ আল-হোসাইন, মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান রুবিনা আক্তার, থানার অফিসার ইনচার্জ মো: সোহাগ রানা, অধ্যক্ষ (ভারপ্রাপ্ত) জামিল ফোরকান, উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা আজহারুল ইসলাম ভূঁইয়া, উপজেলা শিক্ষা কর্মকর্তা মো: ইকবাল মিয়া, উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা মো: সাইফুল ইসলাম, উপজেলা মহিলা বিষয়ক কর্মকর্তা বিশ্বজিৎ দাস, গুনিয়াউক ইউপি চেয়ারম্যান মো: জিতু মিয়া, বীর মুক্তিযোদ্ধা মো: আবদুল বাকি, সাংবাদিক আকতার হোসেন ভূঁইয়া প্রমুখ।
এসময় সরকারি কর্মকর্তা, জনপ্রতিনিধি, রাজনৈতিক নেতৃবৃন্দ, মুক্তিযোদ্ধা, এনজিও প্রতিনিধি, সামাজিক ও সাংস্কৃতিক সংগঠনের কর্মী, সাংবাদিক, শিক্ষকসহ এলাকার বিশিষ্ট ব্যক্তিবর্গ উপস্থিত ছিলেন।