চলারপথে রিপোর্ট :
নাসিরনগর উপজেলার সদর ইউনিয়নে ভূমি অধিগ্রহণ না করেই ব্যক্তিমালিকানা জায়গা চলছে সেতু নির্মাণের কাজ শুরুর অভিযোগ উঠেছে স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তরের (এলজিইডি) বিরুদ্ধে। এ ঘটনায় ক্ষতিগ্রস্ত এক জমির মালিক ঠিকাদারকে প্রধান আসামি করে আদালতে মামলা দায়ের করেছেন। ঘটনাটি ঘটেছে উপজেলার সদর ইউনিয়নের নাসিরপুর গ্রামে। আরো অন্তত ছয়টি সেতুর কাজেও জমি অধিগ্রহণ করা হয়নি বলে অভিযোগ রয়েছে।
১৯ জানুয়ারি অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট হেলেনা পারভীন মামলাটি আমলে নিয়ে সেতু নির্মাণে অস্থায়ী নিষেধাজ্ঞা জারি করেন। ঠিকাদারকে আদালতে হাজির হয়ে কারণ দর্শানোর নির্দেশও দিয়েছেন বলে জানা গেছে।
মামলা করা ক্ষতিগ্রস্ত জমির মালিক সত্যরঞ্জন বিশ্বাস। তিনি উপজেলার সদর ইউনিয়নের নাসিরপুর গ্রামের নারায়ণ চন্দ্র বিশ্বাসের ছেলে। অভিযুক্ত ঠিকাদার মো. কামাল মিয়া জেলা শহরের বাসিন্দা। তাঁর দাবি, সরকারি নির্দেশনা অনুযায়ী কাজ চলছে।
মামলা সূত্র ও সংশ্লিষ্টরা জানিয়েছে, ৯টি সেতু নির্মাণ প্রকল্পের আওতায় নাসিরপুর গ্রামের সেতুটির কুকুরিয়া খালের পূর্ব পাশে ৬৯ শতাংশ জমির মালিক সত্যরঞ্জন বিশ্বাস। সত্যরঞ্জনের জমির পাশেই সরকারি খাস জায়গা রয়েছে। আদালত নির্মাণ বন্ধ রাখতে বললেও ঠিকাদার কাজ চালিয়ে যাওয়ায় গত ২১ জানুয়ারি নাসিরনগর থানায় লিখিত অভিযোগ দেন সত্যরঞ্জন। পরে এসআই মো. ইছাক মিয়া কাজ বন্ধ করতে বলেন। এর পরও কাজ করছেন ঠিকাদার।
এলজিইডি সূত্রে জানা গেছে, বিশ্বব্যাংকের অর্থায়নে নাসিরনগর থেকে চাতলপাড় হয়ে সরাইলের অরুয়াইল পর্যন্ত তিনশ কোটি টাকা ব্যয়ে ৯টি সেতু ও ২৩ কিলোমিটার সড়কের নির্মাণকাজ চলছে। সবক’টির দরপত্র আহ্বান করা হয়েছে ২০২০-২১ অর্থবছরে। এর মধ্যে কুকুরিয়া খালের ওপর সেতুটির দৈর্ঘ্য ৩০০ ফুট ও প্রস্থ ১৮ ফুট। এটি নির্মাণে বরাদ্দ ১২ কোটি টাকা। কাজ পেয়েছে ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান মামুন এন্টারপ্রাইজ। যার মালিক কামাল মিয়া।
সরেজমিনে ঘুরে ও উপ-সহকারী প্রকৌশলী ইছাক মিয়ার তথ্য অনুযায়ী, কুকুরিয়া সেতুর পাশাপাশি আরও ছয়টির কাজ নিয়ে জটিলতা তৈরি হয়েছে। ভলাকুট ইউনিয়নের ২ নম্বর সেতু নির্মাণের জন্য দু’পাশে নির্মাণসামগ্রী রাখা হয়েছে। ২০২২ সালের ২২ ডিসেম্ভর কাজ শেষ করার কথা ছিল। তবে ভূমি অধিগ্রহণ না করায় কাজ শুরু করতে পারেননি ঠিকাদার। ৪ নম্বর সেতুটি হওয়ার কথা বালিখোলা গ্রামে। এ অংশে প্রায় ১৫ বিঘা জমি অধিগ্রহণ করতে হবে। আগামী ৭ জুলাই মেয়াদ শেষ হওয়ার কথা থাকলেও ২০ শতাংশ কাজও হয়নি।
চাতলপাড়’র চকবাজার এলাকায় ৫ নম্বর সেতুর জন্য ৩০ শতাংশ জমি অধিগ্রহণ প্রয়োজন। ভলাকুটের কান্দি গ্রামে ৬ নম্বরটির জন্য দুই বিঘা জমি অধিগ্রহণ করতে হবে। তবে ৮ ও ৩ নম্বর সেতুর অধিগ্রহণ হয়েছে। বাকি সাতটি সেতুর ভূমি অধিগ্রহণ করা হয়নি। সেতুগুলোর মধ্যে ৫ ও ৭ নম্বর ছাড়া বাকিগুলোর কাজ চলমান।
ভলাকুট সেতু এলাকার জমির মালিক আব্দুল বাছির মিয়াসহ আরো চারজনের ২০ শতাংশ জমি অধিগ্রহণ করা হয়নি। আব্দুল বাছিরের দাবি, জমি অধিগ্রহণ না করেই উপজেলা প্রকৌশলী জোর করে সেতু নির্মাণ করতে চান। জমির মূল্য না দিলে পরিবার-পরিজন নিয়ে পথে বসতে হবে।
সত্যরঞ্জন বিশ্বাস বলেন, নাসিরপুর মৌজার ৬৯ শতাংশ জায়গা তিনি ক্রয়সূত্রে মালিক। পাশেই খাসজমি রয়েছে। সরকার এ জমিতে সেতু করতে পারে। কিন্তু কিছু অসাধু লোকের পরামর্শে এলজিইডির কর্তাব্যক্তিরা তাঁর জায়গায় সেতুর কাজ চলমান রেখেছেন। সরকারি উন্নয়নকাজ হোক, তবে ক্ষতিপূরণও দিতে হবে।
উপজেলা প্রকৌশলী সৈয়দ জাকির হোসেন বলেন, ‘আমরা কারও জমিতে জোর করে সেতু নির্মাণ করার পক্ষে নই। কারও জমি সেতু এলাকায় পড়লে মূল্য পরিশোধ করা হবে।’
এ বিষয়ে জানতে চাওয়া হলো নাসিরনগর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোঃ ফখরুল ইসলাম জানান কারও ব্যক্তিমালিকানার জমি সেতু ও সংযোগ সড়কের পাশে থাকলে তা অবশ্যই অধিগ্রহণ করা হবে।
চলারপথে রিপোর্ট :
নাসিরনগরে ৪টি সীসা কার্তুজসহ একজনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।
আজ ৭ জুলাই রবিবার সকালে ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার নাসিরনগর উপজেলার ভলাকুট ইউনিয়নের কান্দি গ্রাম থেকে কার্তুজসহ তাকে গ্রেফতার করা হয়। গ্রেফতারকৃত মো. সাইজ উদ্দিন কবির (৩৯) জেলার নাসিরনগর উপজেলার ভলাকুট ইউনিয়নের কান্দি গ্রামের এরশাদ উদ্দিনের ছেলে।
ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে নাসিরনগর থানার ওসি সোহাগ রানা জানান, রোববার সকালে উপজেলার ভলাকুট ইউনিয়নের কান্দি গ্রামে কবিরের বাড়িতে অভিযান পরিচালনা করে তাকে গ্রেফতার করা হয়। পরে তার বসতঘর তল্লাশি করে ৪টি সীসা কার্তুজ (লিডবল) উদ্ধার করা হয়। তার বিরুদ্ধে মামলা দায়েরের পর কোর্টের মাধ্যমে জেলহাজতে পাঠানো হয়েছে। তার বিরুদ্ধে নাসিরনগর থানায় একাধিক মামলা রয়েছে।
চলারপথে রিপোর্ট :
আন্তর্জাতিক নারী দিবস উপলক্ষে “নারীর সমঅধিকার, সমসুযোগ এগিয়ে নিতে হোক বিনিয়োগ” এই প্রতিপাদ্যকে সামনে রেখে ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার নাসিরনগরে র্যালি ও আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে।
আজ ৮ মার্চ শুক্রবার সকালে উপজেলা প্রশাসনের সহযোগিতায় উপজেলা মহিলা বিষয়ক অধিদপ্তরের উদ্যোগে এ অনুষ্ঠানের আয়োজন করে।
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো: ইমরানুল হক ভূইয়ার সভাপতিত্বে উপজেলা মহিলা বিষয়ক কর্মকর্তা বিশ্বজিৎ দাসের সঞ্চালনায় এতে প্রধান অতিথি ছিলেন উপজেলা চেয়ারম্যান রাফিউদ্দিন আহমেদ।
বিশেষ অতিথি ছিলেন উপজেলা মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান রুবিনা আক্তার, থানার অফিসার্স ইনর্চাজ (ওসি) মো: সোহাগ রানা, উপজেলা নিবার্চন কর্মকর্তা মো: শহিদুল ইসলাম, উপজেলা আনসার ভিডিপি কর্মকর্তা মিজানুর রহমান, প্রোগ্রামার মো: শাহজালাল।
উপজেলা পরিষদ সম্মেলন কক্ষে নারী দিবসের আলোচনা সভায় “নারীর ক্ষমতায়নে বঙ্গবন্ধুর অবদান”কে তুলে ধরে বক্তব্য রাখেন সদর ইউপি চেয়ারম্যান পুতুল রানী দাস, প্রেসক্লাব সভাপতি সুজিত চক্রবর্তী ও শিবলী চৌধুরী প্রমুখ।
চলারপথে রিপোর্ট :
পবিত্র ঈদ উল-ফিতর উপলক্ষে ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার নাসিরনগর উপজেলার চাপরতলায় অসহায় ও গরীব মানুষের মধ্যে গোশত (মাংস) বিতরণ করা হয়েছে।
আজ ৪ এপ্রিল শুক্রবার সকালে চাপরতলা কুতুবুন্নেছা ইসলামিয়া হাফিজিয়া মাদ্রাসা প্রাঙ্গণে চাপরতলা দাওয়াতুল কোরআন ইসলামী সংগঠনের উদ্যোগে চাপরতলা গ্রামের ৮০টি সুবিধাবঞ্চিত পরিবারের মধ্যে ঈদ উপহার হিসেবে গরুর মাংস বিতরণ করা হয়।
বিতরণ কার্যক্রমের উদ্বোধন করেন নাসিরনগর উপজেলা ইমাম পরিষদের সভাপতি ও উপজেলা কমপ্লেক্স জামে মসজিদের খতিব মুফতি মুখলেছুর রহমান।
এসময় দাওয়াতুল কোরআন ইসলামী সংগঠনের সভাপতি মাওলানা জিয়াউর রহমান, সহ-সভাপতি মাওলানা রোকন উদ্দিন,মাওলানা আবদুল হান্নান, সাধারণ সম্পাদক মাওলানা নুরুল হকসহ সংগঠনের নেতৃবৃন্দ ও এলাকার গন্যমান ব্যক্তিবর্গ উপস্থিত ছিলেন।
এ ব্যাপারে দাওয়াতুল কোরআন ইসলামী সংগঠনের সাধারণ সম্পাদক মাওলানা নুরুল হক জানান, ধন্যবাদ জানাই সংগঠনের সব সহযোদ্ধাকে, যাদের অক্লান্ত পরিশ্রমে আমরা প্রথম ধাপের কাজটি সফলভাবে সম্পন্ন করতে পেরেছি।
চলারপথে রিপোর্ট :
সিলেটের গোলাপগঞ্জ উপজেলার চৈতন্য দেব মহাপ্রভুর মন্দিরের বার্ষিক কীর্তনে সংঘবদ্ধভাবে চুরি করতে এসে পুলিশের হাতে ধরা খেয়েছেন আন্তঃজেলা চোরচক্রের ২৭ জন সদস্য।
আজ ৩ এপ্রিল সোমবার দুপুরে গোলাপগঞ্জ থানায় প্রেস ব্রিফিংয়ে বিষয়টি নিশ্চিত করেন ওসমানীনগর সার্কেলের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (অতিরিক্ত দায়িত্বে গোলাপগঞ্জ সার্কেল) আশরাফুজ্জামান পিপিএম। আটককৃতদের মধ্যে ২৪ জন নারী ও তিনজন পুরুষ সদস্য রয়েছেন।
তারা হলেন- ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার নাসিরনগরের ধরমন্ডল গ্রামের জাহাঙ্গীর মিয়ার স্ত্রী নারজিন বেগম (৩০), শাহজাহান মিয়ার স্ত্রী নাজমা বেগম (৩২), শিপন মিয়ার স্ত্রী রিমা আক্তার (২৮), নিজাম উদ্দিনের স্ত্রী মহিমা আক্তার (৩৫),আব্দুল্লাহ স্ত্রী পপি বেগম (৩০), রনি মিয়ার স্ত্রী আয়েশা বেগম (৩৫), জাহাঙ্গীর মিয়ার স্ত্রী সুমি বেগম (৩০),মতিন মিয়ার স্ত্রী বিলকিস বেগম (২৮,) হৃদয় মিয়ার স্ত্রী সুফিয়া বেগম (২২), আজিজ উদ্দিনের স্ত্রী শাহিদা বেগম (২৮) আলফাজ মিয়ার স্ত্রী লুৎফা বেগম (২৫), সুবারক মিয়ার স্ত্রী নাজমা বেগম (৩০), শামীম মিয়ার স্ত্রী রোকসানা বেগম (২৫), কুফাদ মিয়ার স্ত্রী সালমা বেগম (৩৫), আব্দুল ছত্তারের স্ত্রী তাছলিমা বেগম (৩৫), জাকারিয়া হোসেনের স্ত্রী রোজিনা বেগম (৩০), শাহিন মিয়ার স্ত্রী লাভলী আক্তার (৩৫), শামসুদ্দিনের স্ত্রী আছমা বেগম (৩৮), বাছির মিয়ার স্ত্রী পারভিন বেগম (৩০), আলমগীর মিয়ার স্ত্রী তাছলিমা আক্তার (৩৫), জলিল মিয়ার স্ত্রী অনুফা আক্তার (৩০), তাহের মিয়া স্ত্রী আমেনা বেগম (৩০), মোবারক মিয়ার স্ত্রী ফুলচান বিবি(২৮), তোফাজ্জেল মিয়ার স্ত্রী আছমা বেগম (২৫)।
বাকি তিনজন হলে, হবিগঞ্জের মাধবপুরের বাঘশুরা গ্রামের ইজাজ আলীর ছেলে সুহেল মিয়া, একই থানার ফতেপুর গ্রামের মো.শামীম মিয়ার ছেলে শাহিন আলম (২০) ও সিলেটের ফেঞ্চুগঞ্জের ছত্তিশ গ্রামের সামছু মিয়ার ছেলে ছাইদুল ইসলাম।
এসময় তাদের কাছ থেকে নয়টি সোনার চেইন, এক জোড়া হাতের বালা, ৪ জোড়া চুড়ি, ১৪ জোড়া কানের দুল, আটটি রূপাসদৃশ্য চেইন, আটটি রূপাসদৃশ্য নুপুর, ছয়টি শাঁখা, সাতটি মোবাইল ফোন এবং পরিবহনের কাজে ব্যবহৃত একটি মাইক্রোবাস উদ্ধার করা হয়।
সংবাদ সম্মেলনে আশরাফুজ্জামান পিপিএম জানান, চৈতন্য দেব মহাপ্রভুর মন্দিরের বার্ষিক কীর্তনে আগত পূণ্যার্থীদের বিভিন্ন জিনিস খোয়া যাওয়ার খবরে কঠোর গোয়েন্দা নজরদারিতে একে একে ২৭ জন চোরকে ধরতে সক্ষম হয় পুলিশ। প্রাথমিকভাবে চুরির সঙ্গে সম্পৃক্ততার কথা স্বীকার করে জানিয়েছে তারা সংঘবদ্ধভাবে চুরি করে এবং সকলেই ব্রাহ্মণবাড়িয়ার নাসিরনগর থানাধীন ধরমণ্ডল গ্রামের বাসিন্দা। মূলত চুরির উদ্দেশে দেশের বিভিন্ন জায়গায় তারা দল বেধে অংশ নেয়। এর ধারাবাহিকতায় দুটি গাড়ি যোগে ব্রাহ্মণবাড়িয়া থেকে সিলেটে আসে তারা।
সোমবার বিকেলে তাদের আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়েছে বলে জানিয়েছেন সিলেট জেলা পুলিশের সহকারী মিডিয়া ফোকাল পয়েন্ট কর্মকর্তা ওসি শ্যামল বণিক।
চলারপথে রিপোর্ট :
ছোট একটি রুম, পাশে টয়লেট। এই রুমে প্রায় ৮-৯ মাস ধরে বন্দি মানসিক ভারসাম্যহীন সুজিত দাস। রুমের দরজার নিচে একটু ফাঁক, এই ফাঁক দিয়েই দেওয়া হয় খাবার। খাবার দেওয়ার পর এই ফাঁকটুকু আবার বন্ধ করে দেয় স্বজনেরা। এভাবেই চলছিলো সুজিতের প্রায় ৮-৯ মাস।
গতকাল সোমবার দুপুরে স্থানীয় একজন ফাঁক দিয়ে সুজিতকে দেখতে পায়। পরে তিনি পুলিশকে খবর দেন। পুলিশ এসে সুজিতকে উদ্ধার করে। ঘটনাটি ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার নাসিরনগর উপজেলার সদর ইউনিয়নের কাশিনগর এলাকার। উদ্ধার সুজিত দাস (৩৪) কাশিনগর এলাকার হরেন্দ্র দাসের ছেলে। উদ্ধারের পর পুলিশ সুজিতকে স্বজনদের মাধ্যমে গোসল করান ও ভালো কাপড় পড়ান।
নাসিরনগর থানার ওসি সোহাগ রানা সাংবাদিকদের জানান, সুজিত মানসিক ভারসাম্যহীন। ৭-৮ বছর আগে তিনি তার চাচাকে আঘাত করেন। পরে সুজিতের আঘাতে তার চাচার মৃত্যু হয়। এ ঘটনায় মামলা দায়েরের পর সুজিত জেল খাটে। জেল থেকে বের হয়ে আবার পাগলামি শুরু করে সুজিত। এতে পরিবারের সদস্যরা নিরাপত্তাহীনতায় ভোগে। কাকে, কখন আবার আঘাত করে। পরিবারের স্বজনেরা সুজিতকে অনেক চিকিৎসাও করায়। তাতেও তার কোনো কাজ হয়নি। পরে পরিবারের সদস্যরা নিজেদের নিরাপত্তা স্বার্থে ছোট্ট একটি রুমে তাকে আটকে রাখে। এই রুমে সুজিত প্রায় ৮-৯ মাস আটকা ছিলো।
২৯ এপ্রিল সোমবার দুপুরে স্থানীয় একজনের মাধ্যমে খবর পায় পুলিশ। পরে পুলিশ এসে এই রুম থেকে সুজিতকে উদ্ধার করে। পরিবারের সদস্যদের মাধ্যমে সুজিতকে আবারো চিকিৎসার জন্য পাঠানো হবে।