আব্দুল গফ্ফার, বগুরা
বগুড়া জেলা এ্যাডভোকেটস বার সমিতির নির্বাচনে জাতীয়তাবাদী আইনজীবী ফোরাম মনোনীত মুক্তা-রফিক প্যানেলের ১৩টি পদের সবাই বিজয়ী হয়েছেন। গতকাল ২৯ নভেম্বর শুক্রবার দিনভর ভোটগ্রহণ শেষে রাত সোয়া ১২টার দিকে ভোটের ফলাফল ঘোষণা করা হয়।
নির্বাচনের ফলাফল ঘোষণা করেন নির্বাচন পরিচালনা কমিটির প্রধান এ্যাডভোকেট জহুরুল হক জাফর। এ নির্বাচনে আওয়ামী লীগ সমর্থিত আইনজীবীরা প্রার্থী না দিলেও তারা ভোটাধিকার প্রয়োগ করেছেন। অপরদিকে জামায়াত পূর্ণ প্যানেলে এবং জাসদ সমর্থিত আইনজীবীরা আংশিক প্যানেলে পৃথকভাবে নির্বাচনে অংশ নেন।
প্রাপ্ত ফলাফলে জানা যায়, সভাপতি পদে ৪৪০ ভোট পেয়ে পুনরায় নির্বাচিত হয়েছেন জাতীয়তাবাদী আইনজীবী ফোরাম মনোনীত মুক্তা-রফিক প্যানেলের এ্যাডভোকেট আতাউর রহমান খান মুক্তা। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী জামায়াত সমর্থিত ফোরাম ল’ইয়ার্স কাউন্সিল এর প্রার্থী এ্যাডভোকেট রিয়াজ উদ্দীন পেয়েছেন ১৫৭ ভোট। ৩৪৩ ভোট পেয়ে সাধারণ সম্পাদক নির্বাচিত হয়েছেন জাতীয়তাবাদী আইনজীবী ফোরাম প্যানেলের এ্যাডভোকেট রফিকুল ইসলাম। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী বাংলাদেশ গণতান্ত্রিক আইনজীবী সমিতি মনোনীত পল্টু-ববি পরিষদের প্রার্থী আব্দুল লতিফ পশারী ববি পেয়েছেন ৩২৯ ভোট।
অন্যান্য বিজয়ীরা হলেন-সহ-সভাপতি পদে এ্যাডভোকেট আতিকুল মাহবুব সালাম, শফি আহম্মেদ মিঠু, যুগ্ম সম্পাদক পদে আব্দুল মতিন মন্ডল, এস এম নুরুজ্জামান মেহবুব, লাইব্রেরী ও সমাজ কল্যাণ সম্পাদক পদে জাকারিয়া সরকার ফেরদৌস, ম্যাগাজিন ক্রীড়া ও সাংস্কৃতিক সম্পাদক পদে এস আব্দুল্লা-হীল বাকি লিপন নির্বাচিত হয়েছেন। এছাড়াও কার্যনির্বাহী সদস্য পদে নির্বাচিত হয়েছেন এ্যাডভোকেট আশাবুদ জামান আশিব, নিউটন খন্দকার, মিন্টু কুমার সরকার, মোস্তফা শাকিল, মৌসুমী আকতার।
এ নির্বাচনে ১৩টি পদে বিএনপি, আওয়ামী লীগ, জামায়াত ও জাসদের মোট ৪৮জন প্রার্থী মনোনয়নপত্র দাখিল করেন। এদিকে আওয়ামী লীগ সমর্থিত প্রার্থীরা তাদের মনোনয়নপত্র প্রত্যাহার করেন।
অনলাইন ডেস্ক :
পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ বলেছেন, মিয়ানমার থেকে আবারও যে সীমান্তরক্ষীরা বাংলাদেশে আশ্রয় নিয়েছে, আগের মতোই তাদের ফেরত পাঠানোর লক্ষ্যে সরকার কাজ করছে।
আজ ১২ মার্চ মঙ্গলবার রাজধানীর সেগুনবাগিচায় পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে সাংবাদিকদের সাথে মতবিনিময়কালে মন্ত্রী এ কথা বলেন। এ দিন দুপুর পর্যন্ত নতুন করে মিয়ানমারের বর্ডার গার্ড পুলিশের ১৭৭ জন বাংলাদেশে প্রবেশ করেছে, কয়েকজন বেসামরিক নাগরিক আসার চেষ্টা করেছিল তাদের ফেরত পাঠানো হয়েছে, জানান তিনি।
পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, মিয়ানমার থেকে আগেও তাদের সীমান্তরক্ষী ও সেনাবাহিনীর সদস্য এবং তাদের পরিবারেরও কয়েকজন সদস্য আশ্রয় নিয়েছিলো। মিয়ানমার সরকারের সাথে আলাপ-আলোচনার মাধ্যমে আমরা তাদেরকে ফেরত পাঠিয়েছি। এবারও তাই করা হচ্ছে। মিয়ানমারের অভ্যন্তরীণ বিশেষ করে সীমান্তবর্তী অঞ্চলে উদ্বুত পরিস্থিতির জন্যই বারবার এমন অবস্থা তৈরি হচ্ছে।
মিয়ানমারের রাষ্ট্রদূতকে ডাকা হবে কি না এমন প্রশ্নে মন্ত্রী বলেন, তাদের সাথে সার্বক্ষণিক যোগাযোগ রয়েছে। প্রয়োজনে রাষ্ট্রদূতকে ডাকা হবে, এখনও ডাকা হয়নি।
এর আগে ঢাকায় নিযুক্ত মালয়েশিয়ার হাইকমিশনার হাজনাহ মুহাম্মদ হাশিমের সৌজন্য সাক্ষাত প্রসঙ্গে পররাষ্ট্রমন্ত্রী হাছান বলেন, মালয়েশিয়ায় কর্মরত বাংলাদেশিদের কল্যাণ ও কর্মসংস্থান বৃদ্ধি, বাংলাদেশে বিনিয়োগে ৮ম সর্বোচ্চ দেশ মালয়েশিয়া থেকে আরও বিনিয়োগ, আসিয়ান দেশগুলোর ডায়ালগ পার্টনারশিপের জন্য বাংলাদেশের আবেদনসহ দ্বিপাক্ষিক বিষয়াদি বৈঠকে স্থান পেয়েছে। সরকারের কঠোর অবস্থানের পরও বাজারে জিনিসপত্রের দাম বেশি রাখা হচ্ছে -এমন মন্তব্যের প্রেক্ষিতে মন্ত্রী সাংবাদিকদের বলেন, অসাধু ব্যবসায়ীদের বিরুদ্ধে জনরোষ তৈরি হয়েছে- এটাই আমাদের শক্তি। পাশাপাশি সরকার সামগ্রিক বাজার ব্যবস্থাপনার একটি পরিকল্পনা করছে, যাতে ব্যবসায়ীরা যা ইচ্ছা তাই করতে না পারে।
এক্ষেত্রে ব্যবসায়ীদের মানসিকতা একটি বিষয় উল্লেখ করে হাছান মাহমুদ বলেন, ‘চট্টগ্রামের বাজারে যে ফুলকপি ২০ টাকা, সেটিই বসতবাড়ির গলিতে ৬০ টাকা হাঁকে ভ্যানে করে বিক্রেতারা। ২০ টাকার কপি বহন খরচসহ ৩০ টাকা হতে পারে কিন্তু ৬০ টাকা চাওয়া চরম অতিরিক্ত। এটি মানসিকতার ব্যাপার।’
হাছান মাহমুদ বলেন, আশা করি পবিত্র রমজানে ব্যবসায়ীদের শুভবুদ্ধির উদয় হবে, তারা অতিরিক্ত মুনাফা করার প্রবণতা থেকে বিরত থাকবে।
বিএনপির কিছু নেতা বলছেন, জেল থেকে মুক্তি পেলেও তারা পুরো মুক্ত নন, বাক-স্বাধীনতা নেই এ সম্পর্কিত প্রশ্নের জবাবে আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক হাছান মাহমুদ বলেন, ‘বিএনপির নেতারা সকাল-বিকাল সরকারের বিরুদ্ধে বিষোদগার করে, সরকারকে টেনে নামিয়ে ফেলবে বলে তারা বলছে বাক-স্বাধীনতা নেই! আসলে নির্বাচনের পর চরম হাতাশার মধ্যে এ সব কথা বলে তারা দলটা টিকিয়ে রাখতে চায় মাত্র, অন্য কিছু নয়।’ সূত্র : বাসস
চলারপথে রিপোর্ট :
ফেনী, নোয়াখালী, লক্ষ্মীপুর জেলার বিভিন্ন স্থানে বৈদ্যুতিক ট্রান্সফরমার চুরির ঘটনার মূল হোতাসহ আন্তঃজেলা ট্রান্সফরমার চোর চক্রের ৬ সদস্য গ্রেফতার করেছে পুলিশ। এসময় তাদের কাছ থেকে চোরাইকৃত ট্রান্সফরমারের অংশবিশেষ, তামার কয়েল ও সরকারী বৈদ্যুতিক তার, চোরাইকাজে ব্যবহৃত সিএনজি ও সারঞ্জামাদি উদ্ধার করা হয়।
আজ ১৭ জুলাই সোমবার ফেনী পুলিশ সুপারের কার্যালয়ে এ সংক্রান্ত এক প্রেস ব্রিফিং এর আয়োজন করা হয়। এসময় অতিরিক্ত পুলিশ সুপার(ক্রাইম এন্ড অপস মো. শাহাদাত হোসেন জানান, দাগনভূঞার সেকান্দরপুর গ্রামসহ বিভিন্ন এলাকায় বৈদ্যুতিক ট্রান্সফরমার চুরির ঘটনায় পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির দাগনভূঞা জোনাল অফিসের ডেপুটি ম্যানাজার জাহাঙ্গির আলম গত ১৪ জুলাই শুক্রবার দাগনভূঞা থানায় মামলা দায়ের করেন। সে প্রেক্ষিতে পুলিশ দাগনভূঞা থানা ও নোয়াখালী থানার বিভিন্ন এলাকায় সাড়াশি অভিযান করে মো. কামাল(৩১), মো. খোকন (৩৫), মো. সবুজ (২৭), চোর চক্রের ম‚ল হোতা জসিম উদ্দিন (৪০), সিএনজি চালক ইলিয়াছ(২৬), ও মো. বোরহান উদ্দিন(২৮)সহ ৬ জনকে গ্রেফতার করা হয়। তারা নোয়াখালী ও লক্ষীপুর জেলার বিভিন্ন এলাকার বাসিন্দা।
গ্রেফতারকৃত আসামিদের দেওয়া তথ্যে মতে, নোয়াখালী সুধারাম থানার হকার্স মার্কেটের পিছনে আসামি মো. বোরহান উদ্দীন এর ভাঙ্গারি দোকানে অভিযান করে চোরাইকৃত ট্রান্সফরমারের অংশবিশেষ, ট্রান্সফরামারের কয়েল ও সরকারি বৈদ্যুতিক তারসহ ট্রান্সফরমার কয়েল বিক্রির ১৫ হাজার টাকা উদ্ধার করা হয়।
অনলাইন ডেস্ক :
দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের তফসিল ঘোষণা হওয়ায় টেকনোক্র্যাট মন্ত্রী ও প্রধানমন্ত্রীর উপদেষ্টারা পদত্যাগ করেছেন। আজ ১৯ নভেম্বর রবিবার মন্ত্রিপরিষদ বিভাগে তাঁরা পদত্যাগপত্র জমা দিয়েছেন। ২০১৮ সালে টেকনোক্র্যাট মন্ত্রীরা পদত্যাগ করলেও প্রধানমন্ত্রীর উপেদষ্টারা পদত্যাগ করেননি।
প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয় ও মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ সূত্রে জানা যায়, নির্বাচনের তফসিল ঘোষণা হওয়ায় টেকনোক্র্যাট দুই মন্ত্রী ও এক প্রতিমন্ত্রী এবং প্রধানমন্ত্রীর সাতজন উপদেষ্টাকে পদত্যাগপত্র জমা দেওয়ার জন্য মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ চিঠি দিয়েছিল।
এরপর আজ বিকেলে তাঁরা পদত্যাগ করেছেন।
বর্তমানে সরকারের মন্ত্রিপরিষদে টেকনোক্র্যাট মন্ত্রী-প্রতিমন্ত্রীরা হলেন বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিষয়ক মন্ত্রী ইয়াফেস ওসমান, ডাক ও টেলিযোগাযোগ মন্ত্রী মোস্তাফা জব্বার, পরিকল্পনা মন্ত্রণালয়ের প্রতিমন্ত্রী শামসুল আলম।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে ডাক ও টেলিযোগাযোগ মন্ত্রী মোস্তাফা জব্বার বলেন, এ বিষয়ে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ কাজ করছে। ২০১৮ সালেও মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ টেকনোক্র্যাট মন্ত্রীদের পদত্যাগ করার জন্য চিঠি দিয়েছিল।
এবারও তারা কাজ করছে। এ বিষয়ে তাদের সঙ্গে যোগাযোগ করেন।
মন্ত্রীপরিষদ বিভাগের এক যুগ্ম সচিব নাম প্রকাশ না করার শর্তে বলেন, ‘টেকনোক্র্যাট মন্ত্রীদের পদত্যাগের বিষয়ে আলোচনা হচ্ছে শুনেছি। তবে পদত্যাগপত্র জমা দিয়েছেন কি না, সেটা জানি না।’
মন্ত্রীসভার যেসব সদস্য ভোটের মাধ্যমে নির্বাচিত নন তাঁদের টেকনোক্র্যাট মন্ত্রী বলা হয়।
চলারপথে রিপোর্ট :
আব্দুল কাদের চিতই পিঠা বিক্রি করে মাসে আয় করেন লাখ টাকা। পিঠা বিক্রি শুরু করেন রিক্সা চালানো বাদ দিয়ে। প্রতিমাসে লাখ টাকা আয় করে হয়ে যান সফল উদ্যোক্তা। স্বামী-স্ত্রী দুইজন মিলে পিঠা বিক্রি করে তিনি এখন সফল ব্যবসায়ী হিসেবে পরিচিত। একসাথে তিনি সাতটি চুলায় পিঠা তৈরি করেন, পিঠা বানানোর কৌশল দেথে মুগ্ধ লোকজন।
মানিকগঞ্জ সদর উপজেলার পুটাইল ইউনিয়নের গোকুল নগর গ্রামের ওসমান গনির হতদরিদ্র পরিবারের সন্তান আব্দুল কাদের। রিক্সা চালিয়ে অতিকষ্টে চলতো তার সংসার। এক পিঠা বিক্রেতার কাছ থেকে পরামর্শ নিয়ে ২০১২ সালে স্ত্রী রুবি আক্তারকে সাথে নিয়ে শুরু করেন পিঠা বিক্রি । মানিকগঞ্জ বাজারের উত্তর পারে রাস্তার পাশে বসে তিনি পিঠা বিক্রি করেন। শুরুতে একটু কমহলেও এখন মাসে আয় করেন লক্ষ টাকা।
আব্দুল কাদের জানান, প্রতিদিন ৯০০-১০০০ পিঠা বিক্রি হয়। প্রতিটি পিঠা দশ টাকা দরে বিক্রি হয়। প্রতি পিঠায় কমপক্ষে লাভ হয় তিন টাকার মতো। কাদের পিঠা বিক্রি করেই নউখন্ডা এলাকায় সাড়ে পাঁচ শতক জমি ক্রয় করে নির্মাণ করেছেন বাড়ি। তিনি দুই কন্যা সন্তানের জনক। তারা স্কুলে লেখাপড়া করে। ভেজাল মুক্ত পিঠার সাথে দেয়া হয় ধনেপাতা, সরিষাবাটা, শুটকি ভর্তাসহ বিভিন্ন ভর্তা। বিভিন্ন ভর্তা দিয়ে মজাদার এই চিতই পিঠা খেতে বিভিন্ন এলাকা থেকে লোক ভিড় করেন আব্দুল কাদেরের দোকানে। বিকেল ৩টা থেকে রাত ১২টা নাগাদ বিক্রি হয় এই পিঠা। রাতেই বিক্রি বেশি হয়। পিঠা খেতে হয় সিরিয়াল ধরে। গরম গরম পিঠা দোকানে বসে খাওয়া শেষে পরিবারের জন্যও অনেকে নিয়ে যায়। দেখা যায়, পিঠার জন্য লোকজন অপেক্ষা করছেন। কেউ আবার বসে খাচ্ছেন, কেউ বা বসার জায়গা না পেয়ে দাঁড়িয়ে দাঁড়িয়েই সাবার করছে পিঠা।
আব্দুল কাদের ছাড়াও আজিজুল হক, ফরমান আলীসহ জেলায় শতাধিক লোক চিতই পিঠা বিক্রি করে জীবিকা নির্বাহ করছেন। কেউ কেউ ভাপা পিঠাও বিক্রি করেন। আসল খেজুরের গুড় সংকট হওয়ায় ভাপা পিঠার কদর খুব বেশী নেই। শহরের রিজার্ভ ট্যাংকের পাশে বসে আজিজুলও প্রতিদিন পাঁচশত পিঠা বিক্রি করেন বলে জানান। আজিজুলও মাসে আয় করে থাকেন চল্লিশ থেকে পঞ্চাশ হাজার টাকা। জেলায় শতাধিক লোক পিঠা বিক্রির সাথে জড়িত। জানা যায়, তারা প্রতিজন ৫ থেকে ৬শত পিঠা বিক্রি করে থাকেন। তাদের দেয়া তথ্য মতে জেলায় প্রতিদিন প্রায় ৫ লক্ষ টাকার চেতই পিঠা বিক্রি হয়।
চলারপথে রিপোর্ট :
বিশ্ব শিশুশ্রম প্রতিরোধ দিবস দিবস উপলক্ষে খাগড়াছড়িতে শিশুশ্রম নিরসনে সচেতনতা বৃদ্ধি শীর্ষক এক সেমিনার অনুষ্ঠিত হয়েছে। আজ ১২ জুন সোমবার খাগড়াছড়ি জেলা প্রশাসন ও শ্রম ও কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়ের কারখানা ও প্রতিষ্ঠান পরিদর্শন অধিদপ্তর রাঙ্গামাটি জেলা কার্যালয়ের উদ্যোগে এই অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়।
অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক মো. নজরুল ইসলামের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত সেমিনারে প্রধান অতিথি ছিলেন জেলা প্রশাসক মো. সহিদুজ্জামান। অনুষ্ঠানে অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মো. তৌফিক, চট্টগ্রাম বিভাগীয় শ্রম দপ্তরের সহকারী পরিচালক মো. মোকশেদুল আলম, খাগড়াছড়ি জেলা পরিষদ সদস্য ও আবাসিক হোটেল মালিক সমিতির সভাপতি কল্যাণ মিত্র বড়ুয়া, খাগড়াছড়ি প্রেসক্লাবের সভাপতি জীতেন বড়ুয়া, বাজার ব্যবসায়ী সমিতির সভাপতি হাজী লিয়াকত আলী চৌধুরী ও জেলা শিশু বিষয়ক কর্মকর্তা উষানু চৌধুরী বক্তব্য রাখেন। অনুষ্ঠানে মুল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন কারখানা পরিদর্শক মো. মোজাম্মেল হোসেন।
সেমিনারে জেলায় বিভিন্ন পেশায় নিয়োজিত শিশু শ্রমিকদের ডাটাবেজ তৈরি করে তাদের প্রশিক্ষণ ও তাদের উপর নির্ভরশীল পরিবারগুলোকে সামাজিক নিরাপত্তা বেষ্টনীর আওতায় নিয়ে আসার উপর গুরুত্বারোপ করা হয়। পাশাপাশি বিদ্যমান আইনের প্রয়োগ করে শিশুশ্রম নিরুৎসাহিত করার আহ্বান জানানো হয়। সরকারের নানামুখী পদক্ষেপের কারণে শিশু শ্রমিকের সংখ্যা কমছে এবং এ পর্যন্ত ৮টি সেক্টরকে শিশুশ্রমমুক্ত ঘোষণা করা হয়েছে বলে সেমিনারে জানানো হয়।
অনুষ্ঠানে বিভিন্ন সরকারি বিভাগের বিভাগীয় প্রধান, বেসরকারি উন্নয়ন সংস্থা, আবাসিক হোটেল রেস্তোরাঁ ও দোকান মালিক সমিতির নেতৃবৃন্দ ও সংবাদিকরা উপস্থিত ছিলেন।