চলারপথে রিপোর্ট :
হনুফা বেগম সাত মাসের অন্তঃসত্ত্বা ছিলেন বেসরকারি সংস্থার মাঠকর্মী। এক সহকর্মীর মোটরসাইকেলে চড়ে সকালে কর্মস্থলে যাচ্ছিলেন। পেছন থেকে ট্রাক্টর ধাক্কা দিলে তিনি মহাসড়কে ছিটকে পড়েন। এতে ঘটনাস্থলেই প্রাণ হারান। ৩০ নভেম্বর শনিবার বেলা সাড়ে ১১টার দিকে ঢাকা-সিলেট মহাসড়কের বিজয়নগর উপজেলার রামপুরা এলাকায় দুর্ঘটনায় নিহত হন হনুফা। খবর পেয়ে মরদেহ উদ্ধার করে খাটিহাতা হাইওয়ে থানায় নিয়ে রাখে পুলিশ।
পুলিশ ও পারিবারিক সূত্রে জানা গেছে, হনুফা পেশায় বেসরকারি একটি সংস্থার মাঠকর্মী। তাঁর কর্মস্থল ছিল বিজয়নগর উপজেলার ইছাপুর ইউনিয়নে। প্রতিষ্ঠানটির ইছাপুর শাখার ব্যবস্থাপক ফারুক হোসেনের (৩৫) সঙ্গে একই মোটরসাইকেলে চড়ে কর্মস্থলে যাচ্ছিলেন হনুফা। বেলা সাড়ে ১১টার দিকে ঢাকা-সিলেট মহাসড়কের বিজয়নগর উপজেলার রামপুরা এলাকায় পৌঁছালে বেপরোয়া গতির একটি ট্রাক্টর পেছন দিক থেকে ধাক্কা দেয়। এতে হনুফা মহাসড়কে ছিটকে পড়ে ঘটনাস্থলেই প্রাণ হারান। গুরুতর আহত ফারুককে জেলা সদরের একটি বেসরকারি হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
সরাইল খাটিহাতা হাইওয়ে থানার উপপরিদর্শক (এসআই) সিরাজুল ইসলাম বলেন, মোটরসাইকেল চালকের মাথায় হেলমেট থাকলেও হনুফার মাথায় হেলমেট ছিল না। মাথায় আঘাতের কারণেই তাঁর মৃত্যু হয়।
খাটিহাতা হাইওয়ে থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মারগুব তৌহিদ বলেন, মোটরসাইকেল ও ট্রাক্টরটি জব্দ করা হয়েছে। পরিবারের আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে ময়নাতদন্ত ছাড়াই লাশ পরিবারের জিম্মায় দেয়া হয়েছে। ট্রাক্টরচালক পলাতক। এ ব্যাপারে সড়ক আইনে মামলা প্রক্রিয়াধীন।
চলারপথে রিপোর্ট :
সিএনজি ও অটোরিক্সার মুখোমুখী সংঘর্ষে ৪ জন নিহত হয়েছেন। আজ ৩ আগস্ট রবিবার বিকেল সাড়ে ৪টার দিকে ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার বিজয়নগর উপজেলার রামপুর এলাকায় এ দুর্ঘটনা ঘটে। তবে সর্বশেষ খবর পাওয়া পর্যন্ত নিহতদের পরিচয় জানা যায়নি।
কাজী মো. মিজানুর রহমান নামের স্থানীয় এক ব্যক্তি জানান, ঢাকা-সিলেট মহাসড়কের রামপুর এলাকায় ঢাকামুখী দুটি মোটরসাইকেল ও মাধবপুর অভিমুখী সিএনজি চালিত অটোরিক্সার সংঘর্ষ হয়। পরে আরেকটি মোটরসাইকেল এসে ধাক্কা দেয়। পরে হাইওয়ে থানা পুলিশ এসে সেখান থেকে তিন জনের লাশ উদ্ধার করে। পরে আরো একজন মারা যায়।
ঘটনার সতত্যা নিশ্চিত করে খাটিহাতা হাইওয়ে থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মো. জাহাঙ্গীর আলম জানান, তিন জনের লাশ উদ্ধার করে নিয়ে আসা হয়েছে। পরে একজনের লাশ তার আত্মীয়রা নিয়ে গেছে বলে স্থানীয়ভাবে জানতে পেরেছি। তবে নিহতদের পরিচয় জানা যায়নি।
চলারপথে রিপোর্ট :
ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর, নবীনগর ও বিজয়নগর এই তিন উপজেলার নির্বাচনের প্রচার প্রচারনায় ব্যস্ত সময় পার করছেন প্রার্থীরা। জয়ের আশায় প্রার্থীরা ভোটারদের কাছে গিয়ে ভোট চাইছেন, দিচ্ছেন নানা প্রতিশ্রুতি। প্রার্থী নিজে এবং তাদের কর্মী সমর্থকদের মাধ্যমে নিজ নিজ প্রতীকের প্রচার করছেন তারা। এদিকে ভোটারদের মতে, সৎ যোগ্য ও এলাকার উন্নয়নে যিনি ভূমিকা রাখবেন, যাকে সুখে দুখে পাশে পাওয়া যাবে, তাকেই তারা ভোটের মাধ্যমে নির্বাচিত করবেন। তবে ভোটার এবং প্রার্থী সকলেই আশাবাদী একটি অবাধ, সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। সাধারণ ভোটাররা সৎ, যোগ্য ও নিষ্ঠাবান প্রার্থীকে ভোট দিয়ে জয়যুক্ত করতে চান। তবে জয়ের ব্যাপারে সকল প্রার্থীরাই আশাবাদী। আর তাই সেই আশায় প্রার্থীরা বিরামহীন চালিয়ে যাচ্ছেন নিজ নিজ প্রচার প্রচারণা। দিন যতই যাচ্ছে প্রার্থী, কর্মী ও ভোটারদের মধ্যে বাড়ছে আুৎসবের আমেজ। প্রার্থীর পক্ষে কর্মীরা সালাম জানাচ্ছেন ভোটারদেরকে। আগামী ৫ জুন চতুর্থ ধাপে ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর, বিজয়নগর ও নবীনগর উপজেলার নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। তিনটি উপজেলায় চেয়ারম্যান পদে ১৯ জন, ভাইস চেয়ারম্যান পদে ২৫ ও মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান পদে ১২ জন প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন।
চলারপথে রিপোর্ট :
বিজয়নগর থানার অফিসার ইনচার্জ মোঃ রাজু আহমেদ এর নির্দেশনায় চম্পকনগর পুলিশ ফাঁড়ি ইনচার্জ এস আই আবুল কালাম এর নেতৃত্বে সঙ্গীয় ফোর্সসহ আজ ৬ মে সকাল সাড়ে ১০ টায় ২৮ কেজি গাঁজা, ১টি সিএনজিসহ ১ জন গ্রেফতার করেছে বিজয়নগর থানা পুলিশের একটি দল।
গ্রেফতারকৃত মাদক কারবারি হলো উপজেলার মিরাশানী গ্রামের আব্দুল মতিন ভূইয়ার ছেলে মোঃ বশির মিয়া (৩১)।
গোপন সংবাদের ভিত্তিতে বিজয়নগর উপজেলার আউলিয়া বাজার থেকে চম্পকনগর বাজার যাওয়ার পথে সন্দেহজনক সিএনজিতে তল্লাশী চালিয়ে ২৮ কেজি গাঁজা, ১টি সিএনজিসহ ১ জন গ্রেফতার করা হয়।
বিজয়নগর থানার অফিসার ইনচার্জ মোঃ রাজু আহমেদ জানান, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে অভিযান পরিচালনা করে ২৮ কেজি গাঁজা, গাঁজা পাচারের কাজে ব্যবহারিত একটি সিএনজিসহ ১জন আসামীকে গ্রেফতার করা হয়েছে। গ্রেফতারকৃত আসামীর বিরুদ্ধে বিজয়নগর থানায় সংশ্লিষ্ট মাদকদ্রব্য আইনে মামলা রুজু করা হয়।
চলারপথে রিপোর্ট :
আগামী ৭ জানুয়ারি অনুষ্ঠিতব্য দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ব্রাহ্মণবাড়িয়া-৩-(সদর-বিজয়নগর) আসনে প্রতিদ্বন্দ্বি করার জন্য মনোনয়নপত্র দাখিল করেছেন আওয়ামী লীগ মনোননীত প্রার্থী ও এই আসনের সংসদ সদস্য, জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি র.আ.ম. উবায়দুল মোকতাদির চৌধুরী।
আজ ২৯ নভেম্বর বুধবার বেলা পৌনে ১২টার দিকে দলীয় নেতা-কর্মীদের সাথে নিয়ে তিনি নির্বাচনে রিটার্নিং কর্মকর্তা ও জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ে এসে রিটার্নিং কর্মকর্তা ও জেলা প্রশাসক মোঃ শাহগীর আলমের কাছে তার মনোনয়নপত্র জমা দেন।
এসময় তাঁর সহধর্মীনি, ইউনিভার্সিটি অব ব্রাহ্মণবাড়িয়ার ভারপ্রাপ্ত উপাচার্য ও মাউশির সাবেক মহাপরিচালক প্রফেসর ফাহিমা খাতুন, জেলা আওয়ামীলীগের সিনিয়র সহ-সভাপতি ও সাবেক পৌর মেয়র মোঃ হেলাল উদ্দিন, সহ-সভাপতি মোঃ হেলাল উদ্দিন, ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক মাহাবুবুল বারী চৌধুরী মন্টু, জেলা আওয়ামীলীগের সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক অ্যাডভোকেট মাহবুব আলম খোকন, সদর উপজেলা আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক এম.এ. এইচ মাহবুব আলমসহ দলীয় নেতা-কর্মীরা উপস্থিত ছিলেন।
মনোনয়নপত্র দাখিল শেষে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে র.আ.ম. উবায়দুল মোকতাদির চৌধুরী এমপি বলেন, ১৯৭১ সালে বঙ্গবন্ধুর ডাকে মহান মুক্তিযুদ্ধে অংশ গ্রহণ করেছিলাম। বঙ্গবন্ধু কন্যা ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা উন্নয়ন অগ্রগতির বাংলাদেশ বিনির্মানে কাজ করে যাচ্ছেন। চলমান উন্নয়ন কর্মকান্ডের অসমাপ্ত কাজ গুলো সমাপ্ত করার জন্য তিনি নির্বাচনে অংশ গ্রহণ করেছেন।
র.আ.ম. উবায়দুল মোকতাদির চৌধুরী তার নির্বাচনী এলাকার সর্বস্তরের জনগণের সহযোগিতা ও দোয়া কামনা করেন। তিনি বলেন, আমি জনগণের জন্য কাজ করেছি। জয়ের ব্যাপারে শতভাগ আশাবাদী।
উল্লেখ্য, র.আ.ম. উবায়দুল মোকতাদির চৌধুরী এমপি টানা চতুর্থবারের মতো ব্রাহ্মণবাড়িয়া-৩-(সদর-বিজয়নগর) আসনে আওয়ামীলীগের মনোনয়ন পেয়েছেন। তিনি একজন যুদ্ধাহত মুক্তিযুদ্ধা। সংসদ সদস্য হওয়ার আগে তিনি প্রধানমন্ত্রীর একান্ত সচিব ছিলেন।
২০১০ সালের ২২ নভেম্বর ব্রাহ্মণবাড়িয়া-৩-(সদর-বিজয়নগর) আসনের তৎকালীন সংসদ সদস্য অ্যাডভোকেট লুৎফুল হাই সাচ্চু মৃত্যুবরণ করলে উপ-নির্বাচনে আওয়ামীলীগের প্রার্থী হিসেবে র.আ.ম উবায়দুল মোকতাদির চৌধুরী বিএনপির কেন্দ্রীয় কমিটির অর্থনৈতিক বিষয়ক সম্পাদক প্রকৌশলী খালেদ হোসেন মাহবুব শ্যামলকে হারিয়ে প্রথমবারের মতো সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন। দশম ও একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনেও তিনি আওয়ামীলীগ মনোনীত প্রার্থী হিসেবে এই আসন থেকে বিপুল ভোটের ব্যবধানে নির্বাচিত হন। বর্তমানে তিনি জাতীয় সংসদদের বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটন মন্ত্রণালয় সংক্রান্ত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সভাপতি হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন। টানা তিনবার বিজয়ী হয়ে তিনি তার সংসদীয় এলাকায় বিপুল উন্নয়ন কর্মকান্ড বাস্তবায়ন করেছেন।
চলারপথে রিপোর্ট :
৭০ কেজি গাঁজা, ৩১৩ বোতল ইস্কফ সিরাপ এবং ১৬২৫ পিস ইয়াবা ট্যাবলেটসহ মোঃ ইয়ার হোসেন (৩২) নামে এক মাদক ব্যবসায়ীকে গ্রেফতার করেছে আইন-শৃংখলা কমিটির সদস্যরা। এ সময় মাদকদ্রব্য বিক্রির নগদ সাড়ে চার হাজার টাকা ও মাদকদ্রব্যবাহী একটি মাইক্রোবাস উদ্ধার করা হয়।
আজ ৫ মার্চ রবিবার সকালে র্যাব-১৪-এর সদস্যরা ও বিজিবির সরাইল ব্যাটালিয়নের সদস্যরা (২৫ ব্যাটালিয়ন) জেলার বিজয়নগর ও আখাউড়া উপজেলার বিভিন্ন স্থানে পৃথক পৃথক অভিযান চালিয়ে বিপুল পরিমান মাদকদ্রব্যসহ মাদক ব্যবসায়ীকে গ্রেফতার করে।
রবিবার দুপুরে র্যাব ভৈরব ক্যাম্প থেকে পাঠানো প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে উল্লেখ করা হয়, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে রোববার সকাল ১০টায় র্যাব ভৈরব ক্যাম্পের সদস্যরা সিনিয়র সহকারী পুলিশ সুপার মোহাম্মদ আক্কাছ আলীর নেতৃত্বে বিজয়নগর উপজেলার চান্দুরা বাজার এলাকায় অভিযান চালিয়ে মাদক ব্যবসায়ী মোঃ ইয়ার হোসেনকে গ্রেফতার করে।
গ্রেফতারকৃত ইয়ার হোসেন আখাউড়া উপজেলার আবদুল্লাহপুর গ্রামের মৃত আবুল কাশেমের ছেলে। এ সময় তার কাছ থেকে ৩০ কেজি গাঁজা, মাদকদ্রব্য বিক্রির নগদ সাড়ে ৪ হাজার টাকা ও মাদকদ্রব্য বহনকারী একটি মাইক্রোবাস জব্দ করা হয়। এ ঘটনায় র্যাবের পক্ষ থেকে বিজয়নগর থানায় একটি মামলা করা হয়েছে।
অপর দিকে বিজিবির প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে উল্লেখ করা হয়, বিজিবির সরাইল ব্যাটালিয়নের সদস্যরা (২৫ বিজিবি) রবিবার সকালে জেলার বিজয়নগর ও আখাউড়া উপজেলার বিভিন্ন স্থানে অভিযান চালিয়ে ১৬২৫ পিস ইয়াবা ট্যাবলেট, ৩১৩ বোতল ইস্কফ সিরাপ এবং ৪০ কেজি গাঁজা উদ্ধার করে।