চলারপথে রিপোর্ট :
বেসরকারি কেজি স্কুলের মেধাবিকাশ বৃত্তি পরীক্ষা ২০২৪ অত্যন্ত আরম্ভরপূর্ণ আনন্দঘন পরিবেশে আজ ১ ডিসেম্বর রবিবার ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার সরাইল উপজেলার অরুয়াইল ফুলকলি কিন্ডার গার্টেন স্কুলে অনুষ্ঠিত হয়েছে। চুন্টা, পানিশ্বর, চাতলপাড়, পাকশিমুল ও অরুয়াইল সহ মোট ৫ ইউনিয়নের ১৮টি কেজি স্কুলের ৮৩৫ জন শিক্ষার্থী বৃত্তি পরীক্ষায় অংশ গ্রহণ করে। প্রথম শ্রেণী থেকে ৫ম শ্রেণী পর্যন্ত মোট ২শত শিক্ষার্থীকে বৃত্তি প্রদান করা হবে বলে জানিয়েছেন অরুয়াইল ফুলকলি কিন্ডার গার্টেন এর অধ্যক্ষ আব্দুল হামীম। প্রায় ২ ঘন্টা ব্যাপী এই পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়। সার্বিক তদারকি ও পৃষ্ঠপোষকতায় এ সময় উপস্থিত ছিলেন সাবেক চেয়ারম্যান আব্দুল হাকিম, পরিচালক ইঞ্জিনিয়ার মোঃ তাহের উদ্দিন, অ্যাড. জালাল উদ্দিন, সিরাজুল ইসলাম, উত্তম ঘোষ, এ কে এম আল আমিন, অরুয়াইল কলেজের প্রভাষক রেহান উদ্দিন, হিরা মাস্টার প্রমুখ। এ সময় এলাকার গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গ উপস্থিত ছিলেন। কর্তৃপক্ষ জানান, শিশুদের মেধাবিকাশে ছোট বেলা থেকেই প্রতিযোগিতামূলক পরীক্ষায় অংশগ্রহণের মাধ্যমে আগামী পৃথিবীর বৃহৎ পরিসরের প্রতিযোগিতার জন্য নিজেকে তৈরী করার প্রয়াস পাবে।
চলাপথে রিপোর্ট :
ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার সরাইলে তীব্র তাপদাহে স্বস্তির বৃষ্টিসহ মহান আল্লাহর রহমত কামনায় ইসতিসকার নামাজ আদায় করা হয়েছে।
আজ ২৭ এপ্রিল শনিবার সকাল ৮ টায় সরাইল উপজেলার সদর ইউনিয়নের কুট্টাপাড়া বাঙ্গালপাড়া খেলার মাঠে (প্রস্তাবিত শেখ রাসেল মিনি স্টেডিয়াম) উক্ত নামাজ আদায় করা হয়।
আনসারিয়া ঈদগাহ কমিটির উদ্যোগে অনুষ্ঠিত উক্ত ইসতিসকার নামাজে ঈমামতি করেন সরাইল বিকাল বাজার শাহী জামে মসজিদের খতিব মাওলানা খালেদ সাইফুল্লাহ আল হুদা।
নামায শেষে বিশেষ মোনাজাতে উপস্থিত সকল মুসল্লিগণ কান্নাজড়িত কন্ঠে মানুষের পাপাচার কৃতকর্মের জন্য মহান আল্লাহর নিকট ক্ষমা প্রার্থনার পাশাপাশি তীব্র তাপদাহের মত সকল আযাব ও গুজব থেকে মুক্তি কামনা করেন। একই সাথে জমিনে মানুষের বসবাসের অনুকূল আবহাওয়া, ফসল-ফসলাধি ও সকল প্রাণীকূলের জন্য স্বস্তির বৃষ্টিসহ মহান আল্লাহর রহমত কামনা করা হয়।
চলারপথে রিপোর্ট :
ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার সরাইলে গ্রাম বাংলার ঐতিহ্যবাহী লাঠি খেলায় ছিল ক্রীড়ামোদী উৎসুক জনতার উপচে পড়া ভীড়। গতকাল ১ মে শনিবার বিকালে সরাইল অন্নদা সরকারি উচ্চ বিদ্যালয় খেলার মাঠে উক্ত লাঠি খেলা অনুষ্ঠিত হয়।
সাদা ধুতি কাপড় পড়ে ভিন্ন রকম সাজে সজ্জিত হয়ে ঢোলের তালে তালে হেলে দোলে ও নেচে গেয়ে লাঠি খেলার মনোমুগ্ধকর নানা কসরত প্রদর্শন করেন লাঠি খেলোয়ারগণ। বিভিন্ন এলাকার ৭ টি টিম উক্ত লাঠি খেলায় অংশগ্রহন করেন। এ সময় উৎসব মুখর পরিবেশে খেলা উপভোগ করেন বিভিন্ন শ্রেণি পেশার উৎসুক লোকজন।
সরাইল সদর ইউনিয়ন পরিষদের ৪নং ওয়ার্ড মেম্বার সালাউদ্দিন সুরুজের সভাপতিত্বে লাঠি খেলায় প্রধান অতিথি ছিলেন সরাইল উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান মো: শের আলম মিয়া।
বিশেষ অতিথি ছিলেন সরাইল সদর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আব্দুল জব্বার, উপজেলা যুবলীগের সাবেক সভাপতি এডভোকেট আশরাফ উদ্দিন মন্তু।
খেলার বাড়তি আকর্ষণ ছিল সরাইল সদর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আব্দুল জব্বার ও সদর ইউনিয়ন পরিষদের ৪নং ওয়ার্ড মেম্বার সালাউদ্দিন সুরুজ এর মধ্যকার লাঠি খেলা।
গ্রাম বাংলার ঐতিহ্য এই লাঠি খেলা এখন অনেকটা বিলুপ্তির পথে হলেও মাঝে মধ্যে বিভিন্ন এলাকায় ঢোলের শব্দের তালে তালে এই খেলা অনুষ্ঠিত হতে দেখা যায় যা ক্রীড়ামোদী মানুষকে বিশেষ আনন্দ প্রদান করে বলে স্থানীয় লোকজনের ধারনা।
চলারপথে রিপোর্ট :
সরাইলে মোঃ সাঈম (২০) নামে এক মাদকসেবী ও স্বপন আলী (৩৫) নামে এক মাদক পাচারকারীকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।
গতকাল মঙ্গলবার রাতে উপজেলা সদরের সরাইল সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সামনে থেকে ঢাকা-সিলেট মহাসড়কের সরাইলের সাফকো সিএনজি পাম্পের সামনে থেকে তাদেরকে গ্রেফতার করা হয়।
গ্রেফতারকৃত মোঃ সাঈম সরাইল উপজেলার চানমনিপাড়ার কবির হোসেনের ছেলে এবং গ্রেফতারকৃত স্বপন আলী শেরপুর জেলার নালিতাবাড়ি উপজেলার বাঁশকান্দি গ্রামের গিয়াস উদ্দিনের ছেলে।
সরাইল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোঃ আসলাম হোসেন জানান, মঙ্গলবার রাত সাড়ে ৯ টার দিকে সরাইল সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সামনে বসে মাদক সেবনকালে মোঃ সাঈমকে গ্রেফতার করা হয়। পরে উপজেলা নির্বাহী অফিসার ও নির্বাহী ম্যাজিষ্ট্রেট মুহাম্মদ সারোয়ার উদ্দিন ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করে তাকে ১ বছরের বিনাশ্রম কারাদন্ড প্রদান করেন।
অপর দিকে খাঁটিহাতা হাইওয়ে থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আকুল চন্দ্র বিশ্বাস বলেন, মঙ্গলবার দুপুরে ঢাকা-সিলেট মহাসড়কের উপজেলার সাফকো সিএনজি পাম্পের সামনে থেকে স্বপন আলীকে গ্রেফতার করা হয়।
সে সেখানে ঢাকা যাওয়ার জন্য বাসের জন্য অপেক্ষা করছিলো। পরে স্বপনকে তল্লাশী করে তার পেটের মধ্যে স্কচটেপ দিয়ে কৌশলে রাখা ২ কেজি গাঁজা উদ্ধার করা হয়। তার বিরুদ্ধে মাদকদ্রব্য আইনে মামলা দায়ের করা হয়।
চলারপথে রিপোর্ট :
সরাইলে গলায় ফাঁস দিয়ে শমলা বেগম (৭০) নামে এক বৃদ্ধা আত্মহত্যা করেছে বলে অভিযোগ উঠেছে। পুলিশ ঘটনাস্থল থেকে শমলা বেগমের মরদেহ উদ্ধার করেছে।
আজ ২৬ জুলাই বুধবার সকাল ৮টায় উপজেলার পাকশিমুল ইউনিয়নের পরমানন্দপুর গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। শমলা বেগম ওই গ্রামের মৃত তালু হোসেনের স্ত্রী। তার দুই ছেলে সৌদি আরব প্রবাসী।
সৌদি আরব প্রবাসী ছেলে কালা মিয়া মোবাইল ফোনে বলেন, রাতে এশার নামাজ পড়ে মা তার রুমে ঘুমাতে যায়। সকাল ৮টায় আমার বড় ভাই সুলেমান মাকে খাবারের জন্য ডাক দিতে গিয়ে দেখেন দড়িতে ঝুলছে। জীবিত আছেন ভেবে তারা মাকে দড়ি থেকে খুলে দেখেন মা মারা গেছেন।
তিনি আরো বলেন, আমার মা পাগলাটে টাইপের রাগী ও জেদী মানুষ ছিলেন। অনেকটা মানসিক রোগীই বলা যায়। যা মন চাইতো, তাই করতো। হয়তো পাগলামির বশবর্তী হয়েই একাজ করেছেন।
সরাইল থানার ওসি (তদন্ত) আ স ম আতিকুর রহমান জানান, উপজেলার পরমানন্দপুর গ্রামে বড় ছেলের ঘরে বৃদ্ধ মা গলায় ফাঁস দিয়ে আত্মহত্যা করেছে-এমন সংবাদ পেয়ে দ্রুত ঘটনাস্থলে পুলিশ পাঠানো হয়েছে। মরদেহ ময়নাতদন্তের জন্য জেনারেল হাসপাতাল ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় পাঠানোর প্রস্তুতি চলছে।
চলারপথে রিপোর্ট
ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার সরাইলে ৪ ব্যক্তির লাশ উদ্ধার করেছে সরাইল থানা পুলিশ। আজ ২৬ নভেম্বর মঙ্গলবার সন্ধ্যায় সরাইল উপজেলার বিভিন্ন ইউনিয়ন থেকে নারীসহ ৪ ব্যক্তির লাশ উদ্ধার করা হয়েছে।
তারা হল সরাইল উপজেলার অরুয়াইল ইউনিয়নের ধামাউড়া গ্রামের বজলুর রহমানের ছেলে মতর আলী (৭৭) ও একই গ্রামের আহাদ আলীর স্ত্রী জোহেরা খাতুন (৭৬)।
দুইজনের স্বজনরা জানান পূর্ব শত্রুতার জের ধরে গত সাতদিন আগে তাদের প্রতিবেশীদের সাথে একটি মারামারি হয়ে আহত হয়েছিল, কোন হাসপাতালে চিকিৎসা নেইনি।
কালীকচ্ছ ইউনিয়নের নন্দিপাড়া গ্রামের মৃত রন্জিত শুক্ল দাসের ছেলর অজয় শুক্ল দাস (৪২) ও শাহজাদাপুর ইউনিয়নের দেওড়া গ্রামের মিলন মিয়ার স্ত্রী সুফিয়া বেগম (৪৫)। বাকি দুইজন নিহতদের ঘটনার সম্পর্কে কোন তথ্য এখনো পাওয়া যায়নী।
সরাইল থানার অফিসার ইনচার্জ মোঃ রফিকুল হাসান বলেন, বিভিন্ন ইউনিয়ন থেকে লাশ উদ্ধার করে ময়না তদন্তের জন্য জেনারেল হাসপাতাল ব্রাহ্মণবাড়িয়ার মর্গে পাঠানো হয়েছে। ঘটনার সঠিক কারণ জানা যায়নি।