হবিগঞ্জ প্রতিনিধি :
বানিয়াচংয়ে ব্যাটারিচালিত অটোরিক্সা স্ট্যান্ড দখল নিয়ে দু’পক্ষের গোলাগুলি ও সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। এতে গুলি ও টেঁটাবিদ্ধসহ অন্তত অর্ধশতাধিক আহত হয়েছে। গুরুতর আহত অবস্থায় রুবেল মিয়া (৩০), মোতালিব মিয়া (৩২) ও নাসির মিয়াকে (৩০) সিলেট ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। এছাড়াও আরো বেশ কয়েকজনকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। ১ ডিসেম্বর রবিবার সন্ধ্যা থেকে রাত ৮টা পর্যন্ত দফায় দফায় এ সংঘর্ষে ঘটনা ঘটে।
জানা যায়, হবিগঞ্জ উপজেলার নোয়াপাথারিযা গ্রামের বাসিন্দা বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে হত্যা মামলার আসামি কারাবন্দি ইউপি চেয়ারম্যান ও আওয়ামী লীগ নেতা আহাদ মিয়ার লোকজনের সাথে একই গ্রামের হাসন আলীর ছেলে সুরুজ আলীর টমটম স্ট্যান্ড নিয়ে ও গ্রাম্য আধিপত্য বিস্তার নিয়ে দীর্ঘদিন যাবৎ বিরোধ চলে আসছিল। এর জের ধরে সন্ধ্যায় উভয়ের পক্ষের লোকজন নোয়া পাথারিযা গ্রামে সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়ে। এ সময় আহাদ মিয়ার ভাই আওয়ামী লীগ নেতা আশিক মিয়া ও তার ছেলে যুবলীগ নেতা ডিপজল আগ্নেয়াস্ত্র দিয়ে গুলি ছোড়ে এবং ককটেল বিস্ফোরণ ঘটায়। এসময় উভয়পক্ষের সংঘর্ষে অন্তত অর্ধশতাধিক লোকজন আহত হয়।
বানিয়াচং থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) কবির হোসন বলেন, সংঘর্ষের খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পুলিশ গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। বর্তমানে ওই এলাকায় ফের সংঘর্ষ এড়াতে অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে।
অনলাইন ডেস্ক :
বিভিন্ন ক্ষেত্রে অবদান রাখার জন্য চলতি বছর সাতজন বিশিষ্ট ব্যক্তিকে স্বাধীনতা পুরস্কার প্রদান করা হবে। তাদের মধ্যে রয়েছেন বাংলা সাহিত্যের প্রবাদ পুরুষ কবি আল মাহমুদ (মরণোত্তর)। এছাড়াও মুক্তিযুদ্ধের সর্বাধিনায়ক এম এ জি ওসমানী (মরণোত্তর)। পাশাপাশি পপ সম্রাট আজম খান (মরণোত্তর) পাচ্ছেন সর্বোচ্চ রাষ্ট্রীয় পুরস্কার। সেই সঙ্গে বামপন্থি রাজনীতিবিদ ও বুদ্ধিজীবী বদরুদ্দীন উমর ও ব্রাকের প্রতিষ্ঠাতা ফজলে হাসান আবেদ (মরণোত্তর) পাচ্ছেন এই পুরস্কার।
এছাড়া ভাস্কর নভেরা আহমেদ (মরণোত্তর) ও বুয়েট শিক্ষার্থী আবরার ফাহাদ (মরণোত্তর) স্বাধীনতা পুরস্কার। বিভিন্ন ক্ষেত্রে বিশেষ অবদান রাখার জন্য তাদের স্বাধীনতা পদক দেয়া হয়। পুরস্কার হিসেবে প্রত্যেককে ১৮ ক্যারেটের ৫০ গ্রাম স্বর্ণের পদক, সম্মানীর অর্থের চেক ও একটি সম্মাননাপত্র দেয়া হয়। ৬ মার্চ বৃহস্পতিবার সংশ্লিষ্ট সূত্র এসব তথ্য নিশ্চিত করেছে। শীঘ্রই আনুষ্ঠানিকভাবে পুরস্কারপ্রাপ্ত ব্যক্তিদের নাম ঘোষণা করা হবে বলে সূত্র জানিয়েছে।
অনলাইন ডেস্ক :
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, ‘রমজান মাসের শুরুতে খেজুর, আমদানি করা ফল, লেবু, তরমুজ, পেঁয়াজসহ কয়েকটি পণ্যের দাম কিছুটা চড়া ছিল। তবে এসব পণ্যের দাম কয়েক দিনের মধ্যেই স্বাভাবিক ও সহনীয় পর্যায়ে নেমে এসেছে। জিনিসপত্রের দাম বাড়লে সাধারণ মানুষের, বিশেষ করে সীমিত আয়ের মানুষের কষ্ট হয়। আমরা দেশবাসীর প্রত্যাশা অনেকাংশেই পূরণ করতে সক্ষম হয়েছি।’
আজ ২৫ মার্চ সোমবার সন্ধ্যায় মহান স্বাধীনতা ও জাতীয় দিবস উপলক্ষে জাতির উদ্দেশে দেওয়া ভাষণে তিনি এসব কথা বলেন।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘আমরা এ বছর সরকারিভাবে এবং দলগতভাবে ইফতার পার্টির আয়োজন নিরুৎসাহিত করেছি। আওয়ামী লীগ এবং এর সকল সহযোগী সংগঠন নির্দেশমতো তৃণমূল পর্যায় পর্যন্ত গরিব-দুস্থদের মধ্যে ইফতারসামগ্রী বিতরণ করছে।’
শেখ হাসিনা বলেন, ‘এবারের রমজান মাসকে সামনে রেখে আমরা বেশ আগে থেকেই চিনি, ছোলা, ডাল, ভোজ্য তেলসহ কয়েকটি পণ্যের পর্যাপ্ত মজুদ গড়ে তুলি।
একচেটিয়া বাজার তৈরি করে অধিক মুনাফা যাতে কেউ করতে না পারে সে জন্য ভারত হতে ৫০ হাজার মেট্রিক টন পিঁয়াজ এবং প্রায় সমপরিমাণ আলু আমদানির অনুমতি দেওয়া হয়। পাশাপাশি রমজান মাসের শুরু হতে প্রান্তিক জনগোষ্ঠীর জন্য রাজধানী ঢাকার অন্তত ২৫টি স্থানে ট্রাকে করে মাছ, মাংস, ডিম এবং দুধ সুলভ মূল্যে বিক্রি করা হচ্ছে। টিসিবি প্রথম পর্যায়ে সারা দেশের এক কোটি কার্ডধারী পরিবারের জন্য সুলভ মূল্যে চাল, ডাল, ভোজ্য তেল, চিনি এবং ছোলা―এই পাঁচটি পণ্য বিতরণ করছে।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, দ্বিতীয় পর্যায়ে ঢাকা ও আশপাশের এলাকার কার্ডধারী পরিবারের জন্য চাল, ডাল, ভোজ্য তেল, চিনি, ছোলা ও খেজুর―এই ছয়টি পণ্য বিতরণ করছে।
ঈদ উপলক্ষে সারা দেশের এক কোটি ৬২ হাজার ৮০০ পরিবারের জন্য সরকার এক লাখ ৬২৮ মেট্রিক টন চালের বিশেষ বরাদ্দ দিয়েছে। প্রতি পরিবার বিনা মূল্যে ১০ কেজি করে চাল পাবেন।
তিনি আরো বলেন, লাদেশ আওয়ামী লীগ জন্মের পর থেকেই গণতন্ত্র, মানবিধাকার এবং মানুষের মৌলিক অধিকার আদায়ের লড়াই করে আসছে। এসব লড়াইয়ের অংশ হিসেবেই জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের নেতৃত্বে পাকিস্তানের স্বৈরশাসন, শোষণ-নির্যাতনের নাগপাশ থেকে মুক্তিলাভ করে সৃষ্টি হয় বাংলাদেশের। সাধারণ মানুষের অধিকার নিশ্চিত করার জন্য তিনি প্রণয়ন করেন বিশ্বের অন্যতম শ্রেষ্ঠ সংবিধান যেখানে চার মূলনীতি হিসেবে যুক্ত হয়েছে জাতীয়তাবাদ, সমাজতন্ত্র, গণতন্ত্র এবং ধর্মনিরপেক্ষতা।
১৯৭৫-এর পর আইয়ুব-ইয়াহিয়ার অনুকরণে জিয়াউর রহমান ক্ষমতা দখল করলে আওয়ামী লীগই প্রথম এগিয়ে আসে গণতন্ত্র পুনরুদ্ধারের সংগ্রামে। পরের ২১ বছর আওয়ামী লীগের হাজার হাজার নেতাকর্মী রাজপথে রক্ত ঝরিয়েছে গণতন্ত্র এবং ভোট ও ভাতের অধিকার প্রতিষ্ঠার জন্য। ১৯৮১ সালে ছয় বছরের নির্বাসন শেষে দেশে ফিরে আসার পর ভোট ও ভাতের অধিকার আদায়ের সংগ্রাম করতে গিয়ে আমাকেও বারবার মৃত্যুর মুখোমুখি এবং কারাবন্দি হতে হয়েছে। আমাকে হত্যার জন্য কমপক্ষে ১৯ বার সশস্ত্র আক্রমণ চালানো হয়।
চলারপথে রিপোর্ট :
প্রভাবশালীদের দখলে চলে যাচ্ছে একের পর এক বিল। অপরিকল্পিতভাবে কাটা হচ্ছে মাছের ঘের। নষ্ট হচ্ছে ফসলি জমি। ধবংস হচ্ছে দেশীয় মাছ ও জীববৈচিত্র্য।
ভূমির শ্রেণি পরিবর্তন আইন থাকলেও প্রভাবশালীরা এই আইনের তোয়াক্কা না করে অপরিকল্পিতভাবে কেটে যাচ্ছেন একটার পর একটা মাছের ঘের। আর এই বিল, দেশীয় মাছ, জীববৈচিত্র্য, তিনফসলি জমি রক্ষা ও অপরিকল্পিতভাবে মাছের ঘের কাটার প্রতিবাদে গোপালগঞ্জের কোটালীপাড়া উপজেলায় মানববন্ধন করেছে এলাকাবাসী।
আজ ৩০ মে মঙ্গলবার উপজেলার কলাবাড়ি ইউনিয়নের বুরুয়া দক্ষিণপাড়া এলাকার নারী-পুরুষ বুরুয়া বিলে হাঁটুপানিতে নেমে এ মানববন্ধন কর্মসূচি পালন করেন।
এ সময় গৃহিণী চায়না হালদার, নয়নতারা মন্ডল, আধুরী বৈদ্য, সবিতা মজুমদার, কৃষক মঙ্গল বিশ্বাস, অরবিন্দ দত্ত, পরিতোষ হাজরা, বুদ্ধিমন্ত বিশ্বাস, পরিতোষ মজুমদার, মৃণাল বৈদ্য বক্তব্য রাখেন।
বুদ্ধিমন্ত বিশ্বাস বলেন, এই বুরুয়া বিলে গত ৪০ বছর ধরে আমি দেশীয় মাছ ধরে সংসার চালাই। এখন এখানে ঘের করা হলে আমার অন্য পেশায় গিয়ে সংসার চালানো কষ্টসাধ্য হয়ে পড়বে। আমার মতো আরো অনেকে এই বিল থেকে দেশীয় মাছ ধরে সংসার চালায়। তাই আমরা এলাকাবাসী চাই না এখানে ঘের কেটে এই দেশীয় মাছ ধবংস করা হোক।
চায়না হালদার বলেন, এই বিল থেকে ঘাস কেটে আমরা আমাদের গরুকে খাওয়াই। এখন এখানে ঘের কাটলে এই বিলে আর ঘাস পাওয়া যাবে না। আর ঘাস পাওয়া না গেলে আমাদের গরু পালনে সমস্যায় পড়তে হবে।
কৃষক মৃণাল বৈদ্য বলেন, এলাকার চিত্ত মজুমদার, স্বপন মজুমদার, দিলীপ মজুমদার, মনোতোষ মজুমদারসহ কয়েকজন প্রভাবশালী ব্যক্তি মিলে বুরুয়া বিল দখল অপরিকল্পিতভাবে মাছের ঘের তৈরি করছে। এভাবে মাছের ঘের তৈরি করলে দেশীয় মাছ, জীববৈচিত্র্য ধবংস হয়ে যাবে।
মাছের ঘের তৈরি কমিটির সাধারণ সম্পাদক মনোতোষ মজুমদার বলেন, ‘এই বিলে আমাদের প্রায় ১০০ বিঘা জমি আছে। এই জমি বছরের প্রায় অধিকাংশ সময়ই পানিতে ডুবে থাকে। আমরা সকলে মিলে বিলের কিছু এলাকায় বাঁধ দিয়ে এই পানি নামানোর জন্য একটি স্লুইস গেট নির্মাণের চেষ্টা করছি। এভাবে বাঁধ দিয়ে স্লুইস গেট নির্মাণের মাধ্যমে পানি নামালে আমাদের জমিগুলো আর অনাবাদি থাকবে না। এ জন্য আমরা কয়েকজন মিলে এখানে মাছের ঘের তৈরি করছি।’
উপজেলা নির্বাহী অফিসার ফেরদৌস ওয়াহিদ বলেন, ‘দেশীয় মাছ, জীববৈচিত্র্য ও ফসলি জমি রক্ষার জন্য আমরা নানা পদক্ষেপ গ্রহণ করেছি। এ ছাড়া ভূমির শ্রেণি পরিবর্তন আইন মেনে পরিকল্পিতভাবে যাতে মাছে ঘের কাটা হয় সে জন্য আমরা প্রচার-প্রচারণা চালাচ্ছি।’
অনলাইন ডেস্ক :
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা জঙ্গিবাদ, সন্ত্রাস, মাদক ও দুর্নীতি দমনে পুলিশ বাহিনীকে জনগণের সেবা অব্যাহত রাখার এবং এ জন্য সক্রিয় ভূমিকা পালনের আহ্বান জানিয়েছেন। তিনি বলেছেন, ‘আমি পুলিশ বাহিনীর সদস্যদের বলব, আপনারা দেশের মানুষের সেবা করেন। দুষ্টের দমন শিষ্টের পালন, এটা হচ্ছে পুলিশের মূলমন্ত্র। কাজেই পুলিশ বাহিনী মানুষের আস্থা ও বিশ্বাস অর্জন করবে―এটাই সব সময় আমাদের কাম্য।’
আজ ২৭ ফেব্রুয়ারি মঙ্গলবার সকালে রাজধানীর রাজারবাগ পুলিশ লাইনসে ছয় দিনব্যাপী ‘পুলিশ সপ্তাহ-২০২৪’-এর উদ্বোধনকালে দেওয়া প্রধান অতিথির ভাষণে এসব কথা বলেন।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘আজকে দেশের মানুষ পুলিশের প্রতি সে আস্থা রাখতে পারছে। কাজেই আপনারা আন্তরিকতার সাথে মানুষের সেবা করবেন, সেটাই আমরা চাই। জঙ্গিবাদ, সন্ত্রাস, মাদক ও দুর্নীতির বিরুদ্ধে আমাদের অভিযান অব্যাহত থাকবে। আর এই ক্ষেত্রে পুলিশ বাহিনীকে সক্রিয় ভূমিকা পালন করতে হবে। দেশকে উন্নত সমৃদ্ধ করতে হলে দেশের শান্তি ও স্থিতিশীলতা একান্তভাবে অপরিহার্য।’
তিনি আরো বলেন, ‘দেশের মানুষ যখনই কোনো বিপদে পড়ে তখনই আশ্রয় খোঁজে পুলিশের কাছে। কাজেই পুলিশ জনগণের বন্ধু, এটা সব সময় চলে আসছে এবং এটাকেই প্রতিষ্ঠা করা একান্তভাবে দরকার। সে কারণেই আমি মনে করি আমাদের পুলিশ বাহিনী তাদের সততা, পেশাদারিত্ব, নিষ্ঠা, দক্ষতা, নিরপেক্ষতা, ত্যাগ, বীরত্ব ও দেশপ্রেম ও মানবীয় মূল্যবোধ নিয়েই জনগণের সেবা করবে। পুলিশ বাহিনীকে আমরা সেভাবেই গড়ে তুলছি।’
১৯৭৫ সালের ১৫ জানুয়ারি প্রথম পুলিশ সপ্তাহে পুলিশ সদস্যদের উদ্দেশে জাতির পিতা প্রদত্ত ভাষণের উদ্ধৃতি তুলে ধরে প্রধানমন্ত্রী তাঁদের জনগণের প্রতি ভালোবাসা নিয়ে আরো একনিষ্ঠ হয়ে দায়িত্ব পালনের আহ্বান জানিয়ে বলেন, ‘জাতির পিতা বলেছিলেন, তোমরা স্বাধীন দেশের পুলিশ। তোমরা ইংরেজের পুলিশ নও। তোমরা পাকিস্তানি শোষকদের পুলিশ নও।
তোমরা জনগণের পুলিশ। তোমাদের কর্তব্য জনগণকে সেবা করা। বাংলার মানুষ চায় তারা শান্তিতে ঘুমাক। তোমাদের কাছ থেকে আশা করে যে, চোর, বদমাশ, গুণ্ডা, দুর্নীতিবাজ তাদের ওপর অত্যাচার না করে। তোমাদের কর্তব্য অনেক বেশি।’
শেখ হাসিনা বলেন, ‘জাতির পিতার ভাষণের এই মর্মবাণী ধারণ করে বাংলাদেশ পুলিশের প্রতিটি সদস্য গভীর দেশপ্রেম ও মানুষের প্রতি ভালোবাসা নিয়ে কাজ করে যাবে, এই আমার প্রত্যাশা।’
প্রধানমন্ত্রী খোলা জিপে চড়ে বাংলাদেশ পুলিশের কুচকাওয়াজ পরিদর্শন এবং সালাম গ্রহণ করেন। পুলিশ সপ্তাহ উপলক্ষে বিভিন্ন পুলিশ বাহিনী বর্ণাঢ্য কুচকাওয়াজ করেছে। প্রধানমন্ত্রী সাহসী কাজের স্বীকৃতিস্বরূপ ৩৫ পুলিশ সদস্যকে বাংলাদেশ পুলিশ পদক (বিপিএম-বীরত্ব) এবং ৬০ জনকে রাষ্ট্রপতি পুলিশ পদক (পিপিএম-বীরত্ব) প্রদান করেন।
এ ছাড়া ৯৫ জন পুলিশ সদস্য বিপিএম সেবা পদক এবং ২১০ জন পিপিএম সেবা পদক পেয়েছেন। এর আগে প্রধানমন্ত্রী অনুষ্ঠানস্থলে পৌঁছলে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান, জননিরাপত্তা বিভাগের সিনিয়র সচিব মো. মোস্তাফিজুর রহমান এবং পুলিশের মহাপরিদর্শক (আইজিপি) চৌধুরী আবদুল্লাহ আল মামুন তাঁকে স্বাগত জানান। এ সময় মন্ত্রিপরিষদ সদস্য, সংসদ সদস্য ও ঊর্ধ্বতন সরকারি কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন। অনুষ্ঠানের শুরুতে জাতীয় সংগীত পরিবেশন করা হয়। সূত্র : বাসস
অনলাইন ডেস্ক :
গৃহায়ণ ও গণপূর্ত মন্ত্রী যুদ্ধাহত বীর মুক্তিযোদ্ধা র আ ম উবায়দুল মোকতাদির চৌধুরী এমপির সাথে বাংলাদেশে নিযুক্ত ফ্রান্সের রাষ্ট্রদূত মারি মাসদুপুই সৌজন্য সাক্ষাৎ করেছেন। আজ ২৪ মার্চ রবিবার সচিবালয়ে গৃহায়ণ ও গণপূর্ত মন্ত্রণালয়ের মাননীয় মন্ত্রীর অফিসকক্ষে এ সাক্ষাৎ অনুষ্ঠিত হয়।
সাক্ষাৎকালে জলবায়ু পরিবর্তনের অভিঘাত মোকাবেলা, নির্মাণ খাতে সবুজায়ন, পরিবেশ সুরক্ষাসহ এসংক্রান্ত বিভিন্ন বিষয়ে পারস্পরিক সহযোগিতার বিভিন্ন দিক নিয়ে আলোচনা হয়। আলোচনা শেষে কার্বন নিঃসরণ হ্রাস ও জলবায়ু পরিবর্তনের অভিঘাত মোকাবেলায় বাংলাদেশকে সহযোগিতার আশ্বাস দেন ফরাসি রাষ্ট্রদূত।
উল্লেখ্য, ৭ ও ৮ মার্চ ফ্রান্সের প্যারিসে ৭০টি দেশের ১৪০০ প্রতিনিধি ‘বিল্ডিং অ্যান্ড গ্লোবাল ফোরাম ২০২৪’-এ মিলিত হন। ফোরামে ফ্রান্স সরকারের আমন্ত্রণে গৃহায়ণ ও গণপূর্ত মন্ত্রীর নেতৃত্বে বাংলাদেশ প্রতিনিধিদল অংশগ্রহণ করে। ফোরামে কপ-২৮ সম্মেলনের সিদ্ধান্তসমূহ বাস্তবায়ন, কার্বন নিঃসরণ হ্রাস এবং পরিবেশ সুরক্ষা নিশ্চিত করতে ৯ দফা সিদ্ধান্ত সংবলিত Declaration de Chaillot গৃহীত হয়।
উক্ত ঘোষণার আলোকে ফ্রান্স ও বাংলাদেশ সরকারের পারস্পরিক সহযোগিতার বিষয়ে সাক্ষাতে বিস্তারিত আলোচনা হয়।